ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ফুটপাত দখল করে নারায়ণগঞ্জে পিতাপুত্রের চাদাঁবাজি
7, July, 2022, 7:45:17:PM
স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান: নারায়ণগঞ্জ জেলা সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের পাশের অংশে রিক্সালেন ও ফুটপাতের অবৈধ তিনশত দোকান উচ্ছেদ করার পর ফের দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম ও তার ছেলে ইলিয়াস ইসলাম লিয়নের বিরুদ্ধে।
ফুটপাত দখল করে দোকান বসিয়ে প্রতিদিন পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তুলছেন নাসিক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম ও তার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস।
সওজ এবং পুলিশ উচ্ছেদ করার পর পরক্ষণেই ঐ রিক্সালেন লিটন বাহিনী দখল করায় একে পুলিশের সাথে লিটন বাহিনীর টম এন্ড জেরীর নাটক নামে অবহিত করেছেন শিমরাইলের একাধিক মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুটপাতের অবৈধ দোকানের মালিকদের পুলিশ তথা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নামে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম ও তার ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াছের পালিত চাদাবাজেরা।
তারা আরও জানান, এক সময় মুরগি রিপন চাঁদা উত্তোলন করলেও চাঁদাবাজীর মামলা খাওয়ার পর এখন রিপন আসে না এখন নতুন করে ইলিয়াছ বাহিনী পুলিশের নামে চাঁদা তুলছেন।
ইলিয়াছের নামে এক চাঁদাবাজ তার নিয়োজিত লোক রিপন ও মাসুদ সহ আরো ২০-২৫ জন কিশোর গ্যাং দিয়ে পুলিশের নামে চাঁদা তুলছেন। এসব দোকানপাট থেকে দৈনিক ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। দোকান প্রতি ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম নেয় সংঘবদ্ধ এ চাঁদাবাজ চক্র।
রিক্সা লেনের ফুটপাত থেকে চাঁদা উত্তোলনের ব্যাপারে কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম জানান, তার উত্তোলিত চাঁদার পরিমান সামান্য। এ চাঁদার একটি অংশ পুলিশ, প্রশাসনের একাধিক ব্যক্তি ও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে দিয়ে সন্তষ্ট করেন বলে জানান তিনি। এতে তার অনেক টাকা খরচ হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাকী টাকা এক মার্কেটের মালিক ও তার সহযোগীদের মধ্যে দিয়ে তার অল্প কিছু টাকা লাভ থাকে বলে মন্তব্য তার।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল জানান, আমরা মাস খানেক আগে একবার উচ্ছেদ করেছি। আবারো উচ্ছেদের জন্য ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে চিঠি লিখেছি। তবে সবার সহযোগিতা ছাড়া এককভাবে সওজের পক্ষে সড়কটি দখলমুক্ত করে রাখা যাবে না। যেহেতু ট্রাফিক কন্ট্রোলটা সওজ করে না। এখানে অনেক বিষয় আছে। ট্রাফিকেরও তো দেখতে হবে এখানে গাড়ি কেন ঢুকতেছে না।
তিনি আরো বলেন, এই সড়কটি নিয়ে আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে। এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বাধ্য করতে হবে। আদমজী থেকে গাড়িগুলো বের হয়ে যাতে মেইন হাইওয়েতে আসতে না পারে সেজন্য আমরা ডিভাইডার দিয়ে ব্লক করে দিবো। ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। ঈদের পর কাজ শুরু হবে। আশা করছি আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে চিরদিনের জন্য এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নবির হোসেন বলেন, শিমরাইল মোড়ে মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে বাই লেন দিয়ে যান চলাচল করবে। এখানে কোনো দোকানপাট বসানো যাবেনা। যথাশীঘ্রই আবার এসব দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে। তাছাড়া কিছুদিন আগেও আমরা কাচপুর বাস স্টান্ড এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান করেছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায় করা হয় তা জানতাম না। তবে যারা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।