জঙ্গি হামলার শঙ্কা উড়িয়ে না দিয়ে আসন্ন কোরবানির ঈদে মাজার, পীরের দরগা ও শিয়া সম্প্রদায়ের ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা প্রস্তুতি ঘুরে দেখার পর তিনি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “আশঙ্কা উড়িয়ে দেই না, জঙ্গিরা বসে নেই, তারা একটা না একটা কাজ করতে চায়। অনলাইনে কোন না কোনভাবে তৎপর থাকে।“
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তাই সবসময় তৎপর থাকে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, “এ বছর মাজার, পীর, শিয়া সম্প্রদায়কেন্দ্রিক ঈদ জামাতের নিরাপত্তায় বেশি নজর দেওয়া হয়েছে।“
ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা এবং হাটে নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, “ভোর থেকে অনেক মানুষ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে আর গরুর হাটের নিরাপত্তা এখনও ভালো আছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।“
ঈদে যারা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশে পুলিশ কমিশনার বলেন, “আবারও একটি কথা বলি, খালি বাসার নিরাপত্তা, মূল্যবান জিনিসপত্র নিজ হেফাজতে রাখতে বলি। অন্যান্য দেশে মূল্যবান জিনিসপত্র ব্যাংকের লকারে রেখে যাওয়া হয়। আমাদের দেশে এই কালচার ওভাবে চালু হয়নি।"কমিশনার জানান, এর আগে কয়েকটি ঘটনা তদন্ত করে তারা দেখেছেন, সোনার দোকানে চুরি-ডাকাতির সঙ্গে সঙ্গে ওইসব মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মীরাই জড়িত।
সে কথা মাথায় রেখে ঢাকার গয়নার মার্কেটগুলোতে দায়িত্ব পালন করা নিরাপত্তাকর্মীদের তথ্য ভাণ্ডার পুলিশ তৈরি করেছে বলে জানান কমিশনার।
ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার সময় মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়ে সঙ্গে ছাতা নিতে বলেন।
তিনি বলেন, “ছাতা ছাড়া কিছু যাতে না আনে, এমন কি মোবাইল না আনলেও ভালো, কারণ নামাজ পড়ার সময় এই মোবাইল ফোনও অনেকে হারিয়ে ফেলেন।”
ঈদযাত্রার সময় মহাসড়কে মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক প্রশ্নে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ প্রধানের নির্দেশে একটি ফরমেটে জরুরি প্রয়োজনে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে।