নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের খৈশাইর, কলিঙ্গা, পুটিনা, আগলা, বাগলা এলাকার অর্ধ শতাধিক পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। দাউদপুরের কলিঙ্গা এলাকার বহু মামলার আসামী সন্ত্রাসী তৌহিদ বাহিনীর জমিদখল, ভাংচুর, হামলা, লুটপাট, ভয়ভীতি, হুমকি, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও বেপরোয়া চলাচলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মটর সাইকেল মহড়ায় ও অস্ত্র প্রদর্শনীতে শিশু ও মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে উঠে। ওই সন্ত্রাসী বাহিনী সরকার দলীয় সমর্থিত হওয়ায় প্রতিবাদ করার কেউ সাহস পাচ্ছে না। প্রতিবাদ করলেই হামলা ও সাজানো মামলার আসামী হতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
পুলিশ জানায়, গত ২ আগষ্ট খৈশাইর গ্রামের গৃহবধু জয়নব বেগমের ছোট ভাই মোঃ রাসেল মিয়া অটোরিক্সায় খৈশাইর এলাকার এএবি ও এইচইউবি ইটভাটায় যাওয়ার সময় তৌহিদ বাহিনীর সদস্যরা তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে এলোপাথারি পিটিয়ে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আহত অবস্থায় মোঃ রাসেল মিয়াকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জয়নব বেগম বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন ।
গত ২৮ জুলাই খৈশাইর এলাকার এসটিএ ইট ভাটার ম্যানেজার তাজুল ইসলামের কাছে তৌহিদ বাহিনীর সদস্যরা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাজুল ইসলামকে মারপিট করে অফিস কক্ষের আলমারি ভেঙ্গে নগদ ৯ লক্ষ টাকা সন্ত্রাসীরা লুটে নেয়। এ ব্যাপারে তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন । কিন্তু সন্ত্রাসীরা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তৌহিদ বাহিনীর সক্রিয় সদস্যরা হলেন খৈশাইর ও কলিঙ্গা গ্রামের সানি, ফোরকান, আলাল, ফয়সাল, সাগর, ফারুক,শাকিল, সজিব, রাসেল, কাইয়ুম, আতাহার, বাছির , ও সৌরভ,।
এলাকাবাসী জানায়, তৌহিদ বাহিনীর প্রধান তৌহিদুল ইসলাম, বিএনপির ক্ষমতাকালে দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার দলীয় সমর্থীত হিসেবে রাজনীতি করছেন। এ সুযোগে অবাধে তৌহিদুল ইসলাম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, তৌহিদ বাহিনী নামে রূপগঞ্জে কোনো সন্ত্রাসী দল নেই। তবে সন্ত্রাসীরা যত ক্ষমতাশীলই হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।