পিতার বাড়ি নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলো ছোট ছেলে মান্নান ও লক্ষ লক্ষ টাকার দামী মালামাল ভাংচুর।
17, September, 2022, 10:26:1:PM
মোঃ সোহেল রানা
রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় সাবানার পুকুর পাড়ে স্টিল ফ্রেকটরি সংলগ্নে মোঃ আলী হোসেন এর নিজের বাড়ী। সেখানে প্রায় বিশ বছর যাবত টিনসেট বাড়ী ছিল। তিনি প্রতি বাড়ী ভাড়া পেতেন ১১ হাজারে টাকা। মোঃ আলী হোসেন তিনি একজন ব্যাংক একাউন্টিং অফিসার পদে চাকুরী করেন আমিনবাজার জনতা ব্যাংকে। মোঃ আলী হোসেন তার টিনসেট বাড়ীতে মোট ৩ শতাংশ জমিতে বসত করতেন। সেখানে তার ছোট ছেলে মান্নান একটি রুম জোর করে নিজে দখল করে রাখতো। তখন থেকে সে বসত বাড়ী নিয়ে তার পিতার সাথে বিভিন্ন ভাবে জামেলা সৃষ্টি করতো। তারপর ও মুখ বুজে সজ্জ করতেন পিতা মোঃ আলী হোসেন। এলাকার কাউকে এ বিসয়ে কোনো কিছু প্রকাশ করেননি। তিনি এ বিসয়ে আলোচনা করে সমাধান করার চেষ্টা করতে চেয়েছেন। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী তে বাড়ীতে ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ী করার কথা বললে ও মান্নান কে বুঝিয়ে বললে তখন সে বসত বাড়ীতে জামেলা থেকে বিরত থাকে। এরপর মোঃ আলী হোসেন তিনি জমির নকসা তৈরি ও প্লান পাশ করে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেন। প্রথম,দ্বিতীয়,ও ত্বীতিয় তালার ছাদ হওয়ার পর মান্নান তার পিতা মোঃ আলী হোসেন কে বাড়ীর অংশ লিখে দিতে বলেন। তখন পিতা মোঃ আলী হোসেন তাকে বলেন তোমাদের অংশ তো আগেই তিন ভাই কে ২০ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে তোমাদের কে দেওয়া হবে সবাই মিলে আলোচনা সাপেক্ষে। সে তার পিতার কোনো কথা শুনলেন না সময় ও অপেক্ষা করলেন না। তার বড় ভাইদের কোনো কথা তোয়াক্কা করলেন না মান্নান। মান্নান তার পিতা মোঃ আলী হোসেন কে বাড়ীর অংশের জন্য হুমকি দামকি দেওয়া শুরু করলো। এক পর্যায়ে সে তার পিতার গায়ে হাত তুলতে দিধা বোধ করলো না। আশে পাশের সবাই পিতা ও পুএের কথা বলা বলিতে জামেলা দেখতে পেয়ে ছুটে আশে ও মান্নান কে বাধা দেয়। পরদিন দুপুরে বিল্ডিং এর ভিতরে কেউ ছিলোনা। সে সুযোগে মান্নান নতুন বাড়ীর ভিতরে ডুকে নতুন টাইস,প্লাস্টিকের গেট, থেকে যাবতীয় লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল ভাংচুর করে ও সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তার কিছুখন পরে বিল্ডিং এর কাজে কর্মরত রাজমিস্ত্রী ও হেলপার এসে সকল মালামাল ভাংচুর দেখতে পেয়ে বাড়ীওয়ালা মোঃ আলী হোসেন কে জানায়। তিনি ঘটনাস্থলে আসেন ও সব কিছু দেখে আইনের আশ্রয় নেন। আনুমানিক ঐ দিনই মোঃ আলী হোসেন সাভার মডেল থানায় যায় ও মান্নান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মোঃ আলী হোসেন জানান তিনি বাড়ী করার জন্য জনতা ব্যাংক থেকে ৪০ লাখ টাকা লোন নিয়ে বাড়ীর কাজ শুরু করেন। এই বাড়ীটি ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ আছে। পিতা মোঃ আলী হোসেন কস্টের টাকায় রিন এর টাকায় বাড়ী কমপ্লিট না হতেই ছেলে অত্যাচারের শিকার হলেন পিতা মোঃ আলী হোসেন। এ বিসয়ে তিনি সাভার মডেল থানা কর্মরত ওফিসার কে সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রদক্ষ আসামি কে আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।