আমতলীতে জমা-জমি নিয়ে বিরোধ চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে হাতুড়ি পেটায় ১১ জনকে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকা সিএমইএইচ(সামরিক হাসপাতালে) এবং ২ জন বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ৮ জন আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ সকাল ১০টায় আমতলীর পূজাখোলা নামক গ্রামে আলাল হাং গংরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লোহার রড,লাঠিসোঠা,সাফল, হাতুড়ি ইত্যাদি দেশিয় অ¯্রসশ্র ও লোকজন জমায়েত পূর্বক পার্শ্ববর্তী অব: সোবেদার মেজর বশির হাং এর পৈত্রিক সম্পত্তিতে মেশিন নিয়ে চাষ করতে নামে। এ সময় বশির হাং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট গেলে তিনি ৩ জন চৌকিদার পাঠিয়ে আলাল হাংগংকে জমি চাষাবাদ থেকে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু আলাল হাং গংরা চৌকিদারদের কথায় কর্ণপাত না করে চাষাবাদ করতে থাকলে সোবেদার মেজর বশির তার লোকজন নিয়ে চাষাবাদে বাঁধা দিতে নামেন। এ সময় আলাল হাং গংরা পূর্ব পরিকল্পিতরূপে কতগুলো মরিচের গুড়া হাতে নিয়ে বশির গংদের চোখে-মুখে ছিটিয়ে দেয়। এতে তারা জ্বালা-যন্ত্রণায় ছটফট করা কালে আলাল হাং গংদের হাতে থাকা লাঠিসোটা, রড,সাফল, হাতুড়ি ইত্যাদি দিয়ে এলোপাতালি পিটাতে থাকে। ছেনার কোপের আঘাতে বশির এর মাথার খুলি কেটে গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন সাথে সাথে তাকে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা সামরিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এতে নিজাম হাং, ইউসুফ হাং বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে এবং মিরাজ হাং ,সিদ্দিক, হারুন হাং ,ফারুক হাং, মনির হাং, মিজানুর, সজিব, সাকিল হাং ৮ জন আহত হলে তাদেরকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য উক্ত জমিজমা নিয়ে আলাল হাং গংরা জোর জবর দস্তি করে উক্ত জমি ভোগ দখল করতে চাইলে এ নিয়ে বশির এর সাথে বহু বার শালিশ বৈঠক হলেও আলাল হাং গংরা তা বারবার অমান্য করে আসছে।
আমতলী থানার ইনচার্জ মো: মিজানুর রহমান জানান, কোন মামলা হয়নি মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।