মোঃ আফজাল হোসেন,

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

 দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে শেখ কামাল আন্ত স্কুল ও মাদরাসা এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার বিজয়ী প্রতিযোগিগণকে পুরস্কার না দেয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এ্যাথলেটিক্সকে শিক্ষার্থীদের নিকট আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করা ও লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশসহ প্রতিযোগি মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ক্রীড়া আন্দোলন সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত, স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠির সুত্রে জানা গেছে, গ্রæপ ভিত্তিক খেলোয়াড়দের প্রতি ইভেন্টে সকল পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কমিটি কতৃক ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারিকে ক্রেষ্ট/ মেডেল/পদক এবং সনদ দিতে হবে। প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু গত ২৮ জানুয়ারী শনিবার দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় প্রতিযোগিতা করা হলেও ১ম প্রতিযোগিকে মেডেল দেয়া ছাড়া ২য় ও ৩য় প্রতিযোগি কাউকে পুরস্কার দেয়া হয়নি। এ নিয়ে খেলোয়াড়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিযোগি জানান, শুধুমাত্র ১ম বিজয়ীকে একটি কমদামি মেডেল, সনদ ও একটি টি-শার্ট দেয়া হয়েছে। ২য় ও ৩য় স্থান পাওয়া প্রতিযোগিকে শুধুমাত্র সনদ ও একটি টি-শার্ট দেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রীড়া শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থীরা পুরস্কার না পেয়ে মন খারাপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। আমরা কষ্ট করে তাদের খেলা শেখানোসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাই। তাদের মন খারাপ হওয়া দেখে নিজেকেও খারাপ লেগেছে। খেলোয়াড়দের পুরস্কার দেয়া উচিত ছিল। এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হলেও উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আরো ৪৫ হাজারের মতো স্পন্সর টাকা সংগ্রহ করা হলেও খেলোয়াড়দের পুরস্কার দেয়া হয়নি। যা দুঃখজনক।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খালিদ হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ম বিজয়ীকে টি-শার্টসহ দেয়া হয়েছে। ২য় ও ৩য় প্রতিযোগিকে টি-শার্ট দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে চিরির বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খালিদ হাসান এর সাথে গতকাল সোমবার কথা বললে তিনি জানান যারা পুরুষ্কার পাননি তাদের কে পুরস্কার পৌঁছে দেওয়া হবে।