যমজ দুই ভাই হাসান ও হুসাইন। বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র গ্রামে। বর্গাচাষির সন্তান তারা। এখনও তারা বিশ্বাস করতে পারছে না যে, মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৯ মার্চ) রাত ১০টায় ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্সে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে মাত্র ১২০ টাকা (ফর্মের দাম) খরচ করে স্বপ্ন পূরণ হলো ঝিনাইদহের ৬৮ তরুণ-তরুণীর।
বাবা হারা শাহরিয়ার জোবায়েরের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাকড়ি গ্রামে। পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি হওয়ায় আবেগে আপ্লুত তরুণ বলেন, আমি আমার শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে কাজ করবো।
মেধা ও যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হলেন কৃষকের মেয়ে আঁখিতারা খাতুন জানান, পুলিশে চাকরি পেতে টাকা লাগে না। এখন যোগ্যতাই মূল চাবিকাঠি।
আঁখিতারা খাতুনের গর্বিত পিতা আখের আলী বলেন, আমাদরে বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। এখান থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে। টাকা দিয়ে চাকরি কোনোভাবেই আমাদের পক্ষে সম্ভব না। বিনা পয়সায় আমার মেয়ের চাকরি হয়েছে। আমি খুব খুশি।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, মোট ৬৮ জনের চাকরি হয়েছে। তার মধ্যে ১০ জন মেয়ে আর ৫৮ জন ছেলে রয়েছে। কনস্টেবল নিয়োগে গত ২, ৩ ও ৪ মার্চ ২৩৪৮ চাকরি প্রার্থী প্রাথমিক পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করেন ৪১৮ চাকরি প্রার্থী। গেল ৯ মার্চ তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৬৪ জন। আর ১৯ মার্চ রোববার মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ হন ৬৮ জন।
তিনি বলেন, আইজিপি স্যারের নির্দেশে সর্বোচ্চ সততার সঙ্গে এ পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হলো। যারা চাকরি পেয়েছেন তারা সবাই নিজ মেধা আর যোগ্যতার ভিত্তিতে পেয়েছেন। চাকরিপ্রাপ্তরা দেশের সেবায় সব সময় সচেষ্ট থাকবেন বলে প্রত্যাশা করি।