দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের উত্তর মুরাদপুর (হাঁড়ি পাড়া,দক্ষিণ পাড়া) গ্রামে হরিপদ মালী (৫৫) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ।
হরিপদ মালী উপজেলার উত্তর মুরাদপুর ( হাঁড়ি পাড়া,দক্ষিণ পাড়া) গ্রামের মৃত- লক্ষীরাম মালীর ছেলে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।
এলাকাবাসী এবং গোপন তঘ্যানুসন্ধানে পাওয়া সূত্র জানায়,হরিপদ মালী উপজেলার উত্তর মুরাদপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির বাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবত রাজমিস্ত্রীর কাজ করা কালীন সময়ে ঐ বাড়ীর কর্তার স্ত্রীর সাথে গোপনে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি যেকোনো ভাবে প্রকাশ হলে পরকীয়ার বিষয়টি ভিন্নভাবে ধামাচাপা অথবা দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য গত ৩-৪দিন আগে হরিপদ মালীকে রাতের বেলা তার দাউদপুর সিডির মোড় এলাকার ভাড়া বাসা থেকে জোর পূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ঐ বাড়ীতে দীর্ঘসময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে সেখানে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর প্রাক্তন ইউপি সদস্য উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার স্বার্থে হরিপদ মালীকে চড় থাপ্পড় মেরে এরকম ঘটনা পরবর্তীতে না ঘটানোর জন্য সতর্ক করে।পরে হরিপদ মালী কোনো ভাবে ছাড়া পেয়ে বাসায় এসে লোক লজ্জার ভয়ে বিষপান করে আত্ন হত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিবেশীরা বিষপানের বিষয়টি অনুমান করে প্রায় অচেতন অবস্থায় তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করেন। সেখানে চিকিৎসক তার অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক মনে করে আরও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
তার অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাকে বাসায় নিয়ে আসা হলে ২১মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হরিপদ মালী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
খবর পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করতঃ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
এলাকাবাসী ও হরিপদ মালীর স্বজনদের দাবী পরকীয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে হরিপদ মালীকে মারপিটের কারনে সে লজ্জায় আত্ন হত্যার পথ বেছে নেয়। তার মৃত্যুর জন্য ঐব্যক্তিরাই দায়ী। আমরা হরিপদ মালী হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মৃত হরিপদ মালীর ছোট ভাই ভোলা মালী বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, মৃত ব্যক্তিকে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রকাশ্য এবং গোপনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।