ভালুকায় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ।
17, August, 2023, 2:40:6:AM
নিজস্ব প্রতিনিধি
ভালুকা উপজেলার ১নং উথুরা ইউনিয়নের চামিয়াদী ওয়ার্ড যুবলীগের প্রভাবশালী নেতাসহ স্থানীয় ৫/৬ জন এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ চাঁন মাহমুদ গত ১৬/০৭/২৩ ইং তারিখে পাঁচ জনের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জানা যায়, চাঁন মাহমুদের সঙ্গে চামিয়াদী এলাকার মৃত কদ্দুছ আলীর চার ছেলে আঃ ছালাম , আঃ রহমান,আঃ রশিদ , মোঃ হারুন, ও একই এলাকার মৃত আঃ ছালামের ছেলে মোঃ বাবুল মিয়ার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। অভিযুক্ত বিবাদীগণ স্থানীয় যুবলীগ নেতা কে নিয়ে বিভিন্ন সময় জোরপূর্বক চাঁন মাহমুদের চামিয়াদী মৌজার ৫৫ নং খতিয়ানে ৩১০/৩১৩/৩০৭ নম্বর দাগে ১৩০ শতাংশ জমি বেদখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। উচ্চ আদালতে মামলা ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, গত ১৪/০৮/২৩ ইং সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিজের নেতৃত্বে ৬/৭ জন লোক জমিতে হাল চাষ শুরু করে,এসময় ভুক্তভোগী চাঁন মাহমুদ ও তার ছেলেরা বাধা দিতে গেলে, যুবলীগ নেতা রফিজ, হারুন, বাবুল , ছালাম, রহমান, রশিদ।
ভুক্তভোগী চাঁন মাহমুদসহ তার ছেলেদের উপর চড়াও হয়, অকত্ত ভাষায় গালমন্দ করে, খুন যখমের হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী চাঁন মাহমুদ বলেন, ‘বাধা দিতে গেলে রফিজসহ তার লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে।
এ ব্যাপারে আমি পাঁচ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। আসামিরা আমাকে হুমকি দিয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযোক্ত হারুন বলেন, আমরা দখল মূলে রফিকুল ইসলাম রফিজের কাছে জমি বিক্রি করে দিয়েছি। জানতে চাইলে আদালতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জমিতে হাল চাষ করেন ও বিক্রি করলেন, কি মূলে, জবাবে কোন উত্তর দেয়নি হারুন।
এ ব্যাপারে অভিযোক্ত ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিজের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ০১৭৫৭- ৪০৯২২৩ নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানার এ এসআই মোজাম্মেল হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়া পর তদন্ত করে দেখেছি যে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান তাই আমি মামলাটি উচ্চ আদালতে প্রেরণ করে দিয়েছি।
ভুক্তভোগী চাঁন মাহমুদের ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৩৪ সালে আমার দাদা এই জমি কবুলত মূলে ক্রয় করেছিল , আফসার উদ্দিন ফকিরের কাজ থেকে ১৯৬৪ আবার ফকিররা আর ও আর করে নেয়, আমারা ২০০৭ সালে উচ্চ আদালতে মামলা করে ২০১৮ সালের ডিগ্রী পাই, ডিগ্রি মূলে ২০২২ সালে উচ্ছেদ মামলা করি উচ্চ আদালতে, এখনো মামলা চলমান আছে । হঠাৎ করে যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিজ এই জমিতে চাষাবাদ করা শুরু করে আমরা জিজ্ঞেস করলে একবার বলে জায়গা ক্রয় করে নিয়েছি আবার বলে এমনিতেই নিয়ে নিয়েছি, রফিজ কোন প্রকার দলিলাদি দেখাতে পারেন।