দুই লাখ টাকা বেতনের আকর্ষণীয় চাকরিতে দরখাস্ত আহ্বান করা হলেও সেখানে একটিই মাত্র আবেদন পড়েছে। আর ওই পদের জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল চলতি মাসের ১০ তারিখ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চুক্তিভিত্তিকভাবে এক বছরের জন্য গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক (এক্স ক্যাডার-প্রটোকল) পদে নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। সেই আকর্ষণীয় বিজ্ঞপ্তিটি অবশ্য অনেক শর্তযুক্ত যেমন বয়সসীমা বেধে দেয়া হয়েছিল ৫৫-৬০ বছর। অভিজ্ঞতায় গিয়ে বলা হয়েছিল- সরকারি বা বেসরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান বা কোনো সংস্থায় ২৫ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা। সঙ্গে প্রটোকল অফিসার হিসেবে ১০ বছরের প্রায়োগিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা। আর এই বিজ্ঞপ্তির পর যে আবেদনটি জমা পড়েছে তা একই পদে বর্তমানে চাকরিরত মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামানের। অবশ্য তার চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পুনরায় নিয়োগ প্রদান করার জন্য বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি পাস করানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, সার্কুলারটি এমনভাবে দেয়া হয়েছে যেন উল্লিখিত কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউই এতে আবেদন করতে না পারেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। কারণ, স্বাভাবিকভাবে একজন কর্মকর্তা দীর্ঘদিন চাকরি করে মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। আর এই পদটিতে যারা পদোন্নতি পান তারা তাদের মেধা ও দক্ষতার কারণেই পান। একজন চলে গেলে সেই জায়গায় তার নিচের পদের যোগ্য কর্মকর্তাটিকেই পদোন্নতি প্রদান করা হয়। কিন্তু সেখানে যদি কাউকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয় তাহলে সেই পদের পরবর্তী যোগ্য কর্মকর্তাটি বঞ্চিত হন। বিষয়টি যখন বোর্ড সভায় উত্থাপন করা হয় তখন বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স কাউন্সিল ক্ষোভ প্রকাশ করে গভর্নর ড. আতিউর রহমানকে একটি চিঠিও দেয়। কিন্তু তা আমলে নেয়া হয়নি।
তবে গভর্নর সবসময়ই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মেধাবীদের মিলনমেলা হিসেবে দাবি করেন। তিনি নিজে এ দাবি করেন আবার নিজেই সেটার অবমূল্যায়ন করছেন বলেও অভিযোগ কর্মকর্তাদের।