জেলায় এবার গমের আবাদ বেড়েছে। গম চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা গম চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগ জেলায় এবার গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল এক হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আবাদ। কিন্তু আবাদ হয়েছে দুই হাজার ১৩৩ হেক্টর জমিতে। আবাদ বেশি হয়েছে ৫৬৭ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় গমের আবাদ হয়েছে ৭৫০ হেক্টর, কলারোয়া উপজেলায় ২৮০ হেক্টর, তালা উপজেলায় ১৪২ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ২০ হেক্টর কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫০ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ৬৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ২৬ হেক্টর জমিতে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক আতাউর রহমান জানান, তিনি এবার পাঁচ বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। জমির হারি, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচসহ তার মোট খরচ হবে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। যদি কোনো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার গম বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, গম চাষে একটু ঝামেলা বেশি। উঁচু জায়গায় গম চাষ করতে হয়। নিচু জমিতে গমের আবাদ হয় না। উঁচু জায়গায় গমের আবাদ করতে হয় বলে সেচ দিতে হয়। একবার চারা রোপনের পর তিন থেকে চারবার ঘাস বেছে সার ও পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। তবে ফলন ভালো হলে ধানের চেয়ে এটি লাভজনক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান পরিবর্তন ডটকমকে জানান, জেলায় ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষ করে থাকেন।
জেলা সদরে বেশি গমের আবাদ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সদরের অধিকাংশ জমি উঁচু। উঁচু জায়গায় বোরো আবাদের খরচ বেশি হয়। সেক্ষেত্রে কৃষকরা গম চাষ করে থাকেন। গম চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি।