এটিএম কার্ড জালিয়াতির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০টি প্রতিষ্ঠান জড়িত বলে রিমান্ডে তথ্য দিয়েছে গ্রেফতার বিদেশি নাগরিক পিওতর সিজোফেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তারা আরো জানান, পিওতর এই পর্যন্ত কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছিলো সে।
জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে নেয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার বিদেশি নাগরিক পিওতর সিজোফেন ও তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে সোমবার দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছে, প্রথম দফা রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবারো রিমান্ড চেয়েছিলেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে পিওতর বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম বলেছেন যারা তার সঙ্গে যুক্ত ছিলো। সেই চক্রের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে সেসব তথ্য যাচাই করছেন তারা। সম্পৃক্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবং কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের এটিএম জালিয়াতিতে ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মার্চেন্ট, ব্যাংক কর্মকর্তা, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, সঙ্গীত অঙ্গন এবং ব্যাংকারদের বিশাল একটি সিন্ডিকেট আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে এটিএম বুথ ছাড়াও পস মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিত এ কাজ করে চক্রটি। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পস মেশিনে গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে গ্রাহকের টাকা তুলে নেয় চক্রের সহায়তায়।
তারা আরো বলছেন, গ্রেফতারের সময় পিওতরের কাছে জার্মান নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র এবং পোল্যান্ডের পাসপোর্ট পাওয়া যাওয়ায় তার নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় দেয়া দেয়। পরে তারা নিশ্চিত হয়েছেন সে মূলত জার্মানির নাগরিক। আর পুলিশ পাসপোর্টটি ছিলো নকল।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আরো জানান, ফরিদ নবী নামে লন্ডন প্রবাসী যে বাংলাদেশি নাগরিক পিওতরের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে তার সম্পর্কেও খোঁজখবর করছেন তারা।