জাতীয় -
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দিনাজপুরে “ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৪ইং” উদযাপন।

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

 

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৪ইং উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। এইবারের প্রতিপাদ্য “Yes! We Can End TB-হ্যাঁ! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি” এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান ও ডাঃ মোঃ রাকিবুল ইসলাম,আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এবং মোঃ আব্দুল্লাহ আল আরিফ, টিএলসিএ, এবং ব্র্যাক ম্যানেজার সহ আলোচনা সভায় বিভিন্ন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন প্রমুখ। 

 

 

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীনতার স্বাদ পেত না ---- চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল

মোঃ জুলহাজুল কবীর

নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর। 

 

বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতোনা, আমরাও স্বাধীনতার স্বাদ পেতামনা। দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়নের ডিজিটাল রূপকার জননেত্রীর আস্থা ভাজন শিবলী সাদিক এমপি `র দিকনির্দেশনা অনুসারী চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার বক্তৃতায় জ্বালাময়ী এ কথাগুলো বলেন। 

 দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে। রবিবার (১৭ মার্চ) দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে ৪নং দিওড় ইউনিয়ন পরিষদ। সূর্যদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বেসরকারি অফিস ভবন, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সঠিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯ টায় ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

 

ইউনিয়ন পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডের পুরুষ ও মহিলা সদস্য, গ্রাম পুলিশ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। 

গোলাপগঞ্জে ব্যতিক্রমী আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

 

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

গোলাপগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস (২০২৪) ব্যতিক্রমী আয়োজনে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সিলেট রেন্জ এবং জেলার যৌথ উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে । রোববার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন জানান উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, গোলাপগঞ্জ পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক, সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ব্যতিক্রমী আয়োজনে সভায় সরকারি মোহাম্মদ (এমসি) চৌধুরী একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী গোপা প্রিয়ন্তি দাশের সভাপতিতে ¡ মঞ্চে অতিথির আসন গ্রহন করেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীরা।

আলোচনায় সভায় গোলাপগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী কাকলি আক্তার ও ঢাকাদক্ষিণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির ফেরদৌস রুহামার যৌথ পরিচালনায় ঢাকাদক্ষিণ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী তছনিম আক্তার লামিছা শুভেচ্ছা বক্তব্যেও মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলো এলবি গ্রিন ফ্লাওয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিয়ান রহমান। বিশেষ অতিথির আসন গ্রহণ করেন সরকারি মোহাম্মদ চৌধুরী একাডেমির সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুন নুর লুবাবা, আল এমদাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শামসুল ইসলাম মাহদি, এলবি গ্রিন ফ্লাওয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্ণব দাশ ।

এসময় গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন শিশু শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন।

পুষ্পস্থবক অর্পণকালে ও সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরী, উপজেলা কৃষি অফিসার মাশরেফুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম রাব্বানী মজুমদার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেওয়ান নাজমুল আলম, সমাজসেবা অফিসার নুরুল হক, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আহসান ইকবাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাছুদুল আমিন, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার, গোলাপগঞ্জ লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান, গোলাপগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব সফিকুর রহমান প্রমুখ। 

 

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ইং ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ উদযাপন।

স্টাফ রিপোর্টার 

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ এ বিনম্র শ্রদ্ধায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান স্যারের নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর এর এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোঃ রাকিবুল ইসলাম,আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), ডাঃ মোঃ সাজেদুল ইসলাম, ডেন্টাল সার্জন, ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান ও ডাঃ মোঃ মোস্তাকিম আহম্মেদ মাহিন, মেডিকেল অফিসার এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স, সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী, হাসপাতাল স্টাফবৃন্দ প্রমুখ।

পরবর্তীতে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্তঃ বিভাগে (ইনডোর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু রোগীদের দ্বারা কেক কেটে উদযাপন করা হয়েছে। বহিঃ বিভাগে শিশু রোগীদের টিকিট ফ্রি ও শিশু রোগীদের চকলেট বিতরণ করা হচ্ছে। অন্তঃ বিভাগে ভর্তি রোগীদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।

 

 

 

ফুলবাড়ীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত।

মোঃ আফজাল হোসেন, 

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১৭ ই মার্চ মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে।

 

দিবসের শুরুতে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ্ তমাল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী। এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মোঃ ইছার উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুশফিকুর রহমান বাবুল, ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রীতা মন্ডল, কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানিক রতন, খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হকসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষকগন।

 

আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এম.পি। এ সময় প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে

ভারত মহাসাগরে এমভি আবদুল্লাহ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। জাহাজে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে জিম্মি করে জলদস্যুরা। এবার জিম্মি জাহাজে অবস্থানরত চার জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দেশটির নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। এতে জিম্মি জাহাজে ভারী অস্ত্রসহ টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

এক্সের পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ নামের জাহাজটি থেকে সাহায্যের আবেদন পেয়ে জাহাজটির কাছে প্রথমে তাদের একটি নজরদারি বিমান মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ গিয়েছিল। কিন্তু বিমানটি এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেনি। পরে, হাইজ্যাক করা ক্রু সদস্যদের (বাংলাদেশি নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে। ওই সময় নাবিকদের অবস্থান ও পরিস্থিতি নিরূপণ করে যুদ্ধজাহাজটি। কিন্তু দস্যুদের কিছু করতে না পারায় ছিনতাই হওয়া জাহাজটির পিছু নেয় ভারতীয় নৌ সেনারা। সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত বাংলাদেশি জাহাজটির কাছাকাছি অবস্থান করে ভারতের যুদ্ধজাহাজটি।

আজ জানা যাবে শরিকদের আসন

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতাদের সঙ্গে জোটের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বৈঠকের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে অবস্থিত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।এর আগে বৈঠক শেষে ব্রিফি করার কথা ছিল আজ রাতেই।

বৈঠকের আগে জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। শরিকরা একাদশ সংসদের তুলনায় দ্বাদশে বেশি আসন চাইবেন। সেসব নিয়ে দর-কষাকষি হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের ঘরের স্বতন্ত্রদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, সে বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা তোলা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই আজ সোমবার শেষ হয়েছে। নির্বাচনের জন্য কোন আসনে কোন প্রার্থী বৈধতা পাচ্ছেন তাও পরিষ্কার হয়েছে। এমন দিনেই শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগ।

 

টানা তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও জোট নিয়ে ভোটে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা তফসিল ঘোষণার পর থেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় ছিল।

 

গত নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি আসন পায় তিনটি। ঢাকা-৮ আসনে রাশেদ খান মেনন, সাতক্ষীরা-১ আসনে মুস্তফা লুতফুল্লাহ এবং রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনে নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসেন।

এ ছাড়া বগুড়া-৪ আসন থেকে জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন এবং ফেনী-১ আসন থেকে শিরীন আখতার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ―এ দুই দলের ছয়টি আসনের বাইরে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে চট্টগ্রাম-২ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়। পিরোজপুর-২ আসন ছাড়া হয় জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেনকে।

প্রধানমন্ত্রী সুধী সমাবেশে

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া পৌঁছান। এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।এখান থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। এরপর ট্রেনে চড়ে স্বপ্ন জয়ের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গা রেল জংশনে পৌঁছাবেন। সেখানে এক প্রেস ব্রিফিং শেষে ভাঙ্গার জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে বরণে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। বর্ণিল সাজে সেজেছে ভাঙ্গা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। বাংলাদেশকে বদলে দেয়া উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনাকে স্বচক্ষে এক নজর দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ।দীর্ঘ ৬ বছর পর ভাঙ্গায় যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বরণে জনসভাস্থলে সকাল থেকেই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করেছেন। প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বাদ্যযন্ত্রসহকারে দলে দলে ভাঙ্গার জনসভাস্থল ডা.কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বারে এখন উপচেপড়া ভিড়।জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এসএসএফ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা নিয়োজিত রয়েছেন।উল্লেখ্য, উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষ জানান, শুরুতে তিনটি স্টেশনে ট্রেন থামবে। এগুলো হলো মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচর। পাশাপাশি শিগগিরই চালু হবে মুন্সীগঞ্জের নিমতলা স্টেশন।এরই মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত সবকটি রেলস্টেশন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সমাবেশস্থল, উদ্বোধনী ট্রেন সাজানো শেষ হয়েছে। কমলাপুর-গেন্ডারিয়া-ভাঙ্গা জংশন পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।প্রকল্প সূত্র জানায়, আপাতত কমলাপুর স্টেশন থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। এজন্য চীন থেকে কেনা নতুন সাতটি কোচের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটের দুটি আন্তঃনগর ট্রেন, সুন্দরবন ও চিত্রা, ঢাকা-বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস বর্তমান রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এ ছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটের আন্তর্জাতিক ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেসও রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় ঢুকবে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর  জিয়াউর রহমান সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৮ অক্টোবর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে আমি শুধু দেশে ফিরে আসি একটি লক্ষ্য সামনে রেখে, সেটি হলো এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করা। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। মৃত্যুকে সামনে থেকেও দেখেছি। কিন্তু ভয় পাইনি। কারণ ছোটবেলা থেকেই আমি আমার বাবাকে দেখেছি। তার সঙ্গে দেখা হতো আমার কারাগারে। কলেজে থাকতেও বাবাকে কারাগারে গিয়ে দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেও তাকে কারাগারে গিয়ে দেখতাম। এক টানা দুই বছর তিনি কখনও কারাগারের বাহিরে ছিলেন না।প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আমরা দুই বোন বিদেশে ছয়টি বছর রিফিউজি হিসেবে থেকেছি। আমরা আমাদের আপনজন হারিয়েছি, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ হারিয়েছিল তাদের সব ভবিষ্যৎ। উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষা, ক্ষুধা দারিদ্র থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ সবই হারিয়েছিল। কারণ তখন হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল শুরু হয়। ছয় বছর পর আমার অবর্তমানে আমাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি সিদ্ধান্ত নিই দেশে ফিরে আসব। আমার মেয়ে তখন মাত্র ৮ বছর বয়সী আর ছেলের তখন ১০ বছর। তাদেরকে মাতৃস্নেহ বঞ্চিত করে আমি ফিরে এসেছিলাম দেশের মানুষের কাছে। আমি সেই দেশে ফিরে এসেছিলাম যেখানে আমার বাবা-মায়ের হত্যার বিচার হয়নি, বিচার করা যাবে না। ইন্ডিমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে অপরাধীদের রেহাই দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল।তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর যেই মিলিটারি ডিক্টেটর, যে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিলেন, সেই জিয়াউর রহমান। তিনি আমার ছোট বোনের পাসপোর্টটাও রিনিউ করতে দেয়নি। আমরা ১৯৮০ সালে লন্ডনে জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটি ঢাকা আসতে চেয়েছিল, জিয়াউর রহমান তাদের ভিসাও দেয়নি।শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে আমি শুধু দেশে ফিরে আসি একটি লক্ষ্য সামনে রেখে, সেটি হলো এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করা। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। মৃত্যুকে সামনে থেকেও দেখেছি। কিন্তু ভয় পাইনি। কারণ ছোটবেলা থেকেই আমি আমার বাবাকে দেখেছি। তার সঙ্গে দেখা হতো আমার কারাগারে। কলেজে থাকতেও বাবাকে কারাগারে গিয়ে দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেও তাকে কারাগারে গিয়ে দেখতাম। এক টানা দুই বছর তিনি কখনও কারাগারের বাহিরে ছিলেন না।অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৫টি প্রকল্প-কর্মসূচির আওতায় নির্মিত ভবন ও জিইএমএস সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

পি কে হালদারের ২২ বছরের কারাদণ্ড

গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের রায় ঘোষণা  করা হয়েছে। রায়ে পিকে হালদারকে ২২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বাকি ১৩ আসামিকে দুই ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত আসামি অবন্তিকা, শঙ্খ, সুকুমার ও অনিন্দিতার উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।বাকী আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ ব্যাপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।এর আগে, গত বুধবার (৪ অক্টোবর) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন হয়। পরে বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কারাগারে থাকা ৪ আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়।২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন পি কে হালদার।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানিলন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন পি কে হালদার।

বর্ডার খুলে দিলে কেজি হবে ২০-২৫ টাকা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, এ মুহূর্তে দেশে চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি। এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের ১৭ কোটি মানুষ ভুগছে। এখানে যৌক্তিক কিছু কারণ রয়েছে। আমদানিকৃত পণ্যে ডলারের সমন্বয় করতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে। যার প্রভাব সারাবিশ্বের মতো আমাদের দেশেও পড়ছে।ভোক্তার ডিজি আরো বলেন, বর্ডার খুলে দিলে ভোক্তারা ২০-২৫ টাকার মধ্যে আলু খেতে পারবেন। তবে এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।তিনি বলে, এখন আমরা বর্ডার খুলে দিলে কৃষক বা আলু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পরের বছর তারা আলু উৎপাদনে উৎসাহিত হবে না। অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়।

সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ভোক্তা অধিকার সচেতনতাবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তার ডিজি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় সেগুলোর উৎপাদন খরচ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসায়ী মহল, করপোরেট গ্রুপ বা যারা এটি নিয়ন্ত্রণ করে, তারা মাঝে মধ্যে একেকটা দ্রব্য নিয়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করে। এর বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।নিয়ন্ত্রণহীন আলুর বাজার নিয়ে ভোক্তার ডিজি বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী আলুর দাম নির্ধারণ করেছেন। খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা ও হিমাগার পর্যায়ে ২৭ টাকায় বিক্রি করতে। এটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুপারিশ অনুসারে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আলু দেড়-দুই মাস আগেও যখন হিমাগার থেকে ২৩-২৪ টাকায় বিক্রি হত, তখনও তাদের লাভ থাকত। এমন কোনও কারণ উদ্ভব হয়নি বা খরচ বাড়েনি যে, সেটি ৩৬-৪২ টাকা পর্যন্ত হিমাগার থেকে বিক্রি হবে। যার ফলে ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৫৫ টাকাও বিক্রি হয়েছে। এগুলো অস্বাভাবিক আচরণ।তিনি বলেন, অনেকের মতামত যে, আলুর দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণের দুই সপ্তাহ পরও সরকারি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না। এটি সত্য কথা। আবার এটাও সত্য কথা, আমাদের প্রচেষ্টার ফলে আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে ৬০-৭০ টাকা হয়নি বরং অন্তত ১০ টাকা কমেছে। খুচরা পর্যায়ে এখন ৪০ টাকার মধ্যে আলু পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় আমরা ৩৬ টাকায় আলু বিক্রি নিশ্চিত করেছি।ভোক্তার ডিজি বলেন, প্রতিদিন আমাদের ৪০-৪৫টি টিম বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কিন্তু এ অভিযান কী যথেষ্ট? এ অভিযান কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। আমাদের লজেস্টিক সমস্যা আছে। ১৭টি জেলায় আমরা কোনও কর্মকর্তা দিতে পারিনি। জেলায় যেখানে আমরা ম্যান পাওয়ার দিতে পারিনি, সেখানে উপজেলা বা বড় বড় হাটগুলোতে আমাদের অভিযান চালানোর সুযোগ কম। তারপরও আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কিছু দুর্বলতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইন যতই শক্তিশালী হোক বা জনবল দশ গুণ বাড়ালেও কী তা দিয়ে আমি বাজার নিয়ন্ত্রণ বা ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব? এটি কখনোই সম্ভব নয়, যতক্ষণ না আমাদের ব্যবসায়িক সমাজকে আমরা যুক্ত করতে না পারব। পাশাপাশি ভোক্তারা যতক্ষণ না নিজের অধিকার সম্পর্কে জেনে সেটি নিয়ে সোচ্চার না হবে, ততক্ষণ আমরা পারব না।ভোক্তার ডিজি বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমি বলতে পারি না আপনারা ডিম খাওয়া কমিয়ে দেবেন। এটি বলা ঠিক হবে না। আমরা ১৫ টাকার ডিম অভিযান চালিয়ে সাড়ে ১২ টাকা পর্যন্ত করতে পারলাম। কিন্তু আমরা সরকার নির্ধারিত ১২ টাকা অনেক চেষ্টা করেও করতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত আমাদের ডিম আমদানির পথ খুলে দিতে হয়েছে। এতে দেশীয় পোল্ট্রি হুমকির মুখে পড়বে তা আমরা জানি। কিন্তু এখানে যে চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটি ভাঙতে হলে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।সংবাদ সম্মেলনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ ও জেল-জরিমানা বা শাস্তি দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। ঈদ, পূজাপার্বণ বা কোনও উৎসব এলেই সুযোগ বুঝে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো যাবে না। জোগান থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ চাহিদা বাড়লে মূল্যবৃদ্ধি করা উচিত নয়। তবে দেশে এখনও অনেক মানবিক ব্যবসায়ী ও করপোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা জনগণকে স্বস্তি দিয়ে দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করে।উল্লেখ্য, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চলছে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা। ছায়া সংসদের আদলে এ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। গত ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। ইতোমধ্যে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্ব শেষে সেমিফাইনাল ও গ্র্যান্ড ফাইনালের প্রস্তুতি চলছে। সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, তেঁজগাও কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল দুই লাখ টাকা ও রানার্স আপ দল এক লাখ টাকা পুরস্কার পাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ দেশের বোঝা নয়, সম্পদ হবে: পার্বত্যমন্ত্রী

খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচীর আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতি উপকরণ, প্রাণী সম্পদ, মৎস্য, মিশ্র ফল চাষাবাদ, তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নসহ ১ কোটি টাকা ও আপদকালীন ত্রাণ হিসেবে ১৪৬ জনকে ৫৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউএনডিপি প্রকল্পের আওতায় জিওবি অর্থায়নে চার কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন প্রকল্পের দেড় কোটি টাকার চেক বিতরণ  করা হয়।খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু‍‍`র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে ২৪ বছরের সমস্যার সমাধান হয়েছে। যার সুফল ভোগ করছে এ পার্বত্য অঞ্চলের জনগন। একসময় পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্দেহ ও অবিশ্বাস ছিল। কথা বলার সুযোগ ছিল না। চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। আজ যারা অতি উৎসাহী হয়ে মানবতার কথা বলছে, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে তাদের কী ভূমিকা ছিল। তাই এ পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকলকে শপথ নিতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ দেশের জন্য বোঝা নয়, আমরা সম্পদে পরিণত হবো । আর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, ডিজিএফআইয়ের ডেট কমান্ডার এএসএম বদিউল আলম, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, বীর মুক্তিযোদ্ধা রইস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফ মজুমদার ও সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও সুবিধাভোগী প্রমূখ।

রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ, দূর্ভোগে যাত্রীরা

ফরিদপুরের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সাথে দন্দের জেরে রাজবাড়ীর পরিবহন বাস মালিকরা ধর্মঘট ডেকেছে। এতে রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) ভোররাত থেকে এ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।নাম প্রকাশ করার না শর্তে বাস বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাজবাড়ী পরিবহন মালিক গ্রুপের এক সদস্য।তিনি জানান, রাজবাড়ীর কোন বাস পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যায় না। কিন্তু গোল্ডেন লাইন বাস পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যায়। এছাড়া গোল্ডেন লাইন রাজবাড়ীর পরিবহন মালিকদের সাথে আলোচনা না করে তারা নিজেদের মতন ট্রিপ পরিচালনা করছিলো। এতে তাদের বাঁধা দেয়ায় ঢাকার গাবতলীতে রাজবাড়ীর বাস কাউন্টার গুলোতে ভাঙচুর করে।পরে তারা ঢাকার বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সুরহা করেছিলাম। এরপর সিদ্ধান্ত হয় গোল্ডেন লাইন রাজবাড়ীতে দুইটি ট্রিপ চালাবে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে একাধিক ট্রিপ চালাচ্ছিলো। তাই গত শুক্রবার আমরা বাস মালিক সমিতির সামনে থেকে গোল্ডেন লাইনের একটি বাস যাত্রী নামিয়ে ঢাকা ফেরত পাঠায়। এতেই তাদের সাথে আমাদের আবার দ্বন্দের সৃষ্টি হয়।তিনি আরও জানান, গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সাথে নতুন করে কোন দ্বন্দ নয়। এর আগেও গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সাথে দ্বন্দের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে তারা আলোচনা করে ও ঢাকার বাস-ট্রাক ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে বসে বিষয়টি মিমাংসা করেছিলাম। কিন্তু তারপরও গোল্ডেন লাইন তাদের ইচ্ছামতন ট্রিপ চালাচ্ছে।এতে আমাদের ব্যাবসার ক্ষতি হচ্ছে।এদিকে ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে হঠাৎ পরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা কাউন্টারের এসে ফেরত যাচ্ছে।এতে অনেক যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। যাদের জরুরি কাজ রয়েছে তারা ভেঙে ভেঙে ছোট গাড়িতে, অটোরিকশা, ভ্যান, মাহিন্দ্র, করে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত যাচ্ছে। আবার অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।মাহিন্দ্রে আসা দৌলতদিয়া ঘাটে আসা ঢাকা মিরপুর গামী যাত্রী হুমায়ুন হোসেন বলেন, জরুরি কাজে ঢাকায় যাবো, কাউন্টারে এসে দেখি বাস বন্ধ। তাই ঝুঁকি নিয়ে মাহিন্দ্র করে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত এসেছি। এখন ফেরিতে নদী পার হয়ে ওপার থেকে লোকাল বাসে যাবো। রাজবাড়ী থেকে সরাসরি বাসে যেতে পারলে সময় বাঁচতো ও ভোগান্তি ও কম হতো। মাঝে মধ্যেই দেখি ঢাকা-রাজবাড়ী রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজবাড়ীর সৌহার্দ্য পরিবহনের ঘাট সুপারভাইজার মো. মনির হোসেন বলেন, গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সাথে আমাদের ঝামেলার কারনে রাজবাড়ী জেলা বাস মালিক সমিতির কতৃপক্ষের নির্দেশে আমরা বাস অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছি।যতদিন ঝামেলা না মিটবে ততদিন বাস বন্ধ থাকবে।এ বিষয়ে রাজবাড়ী বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উদ্বোধনের প্রথম ২৮ দিনে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮টি যানবাহন চলাচল করেছে। এসব যানবাহন এয়ারপোর্ট-ফার্মগেট অংশ ব্যবহার করেছে। এসময় টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি আছে, দৈনিক সাড়ে ১৩ হাজারের চেয়ে কম যানবাহন চলাচল করলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। আর এ বিধান কার্যকর হওয়ার কথা ২০২৪ সালের ১ জুন থেকে, যে সময় কাওলা থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত পুরো প্রকল্প চালু হবে। কিন্তু তার আগেই প্রথমাংশ উদ্বোধনের পরে অর্জিত হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা।এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম ২৮ দিনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮টি গাড়ি চলেছে। তবে মোট গাড়ি চলাচলের ৯৯ শতাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি। যার সংখ্যা ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৭টি।এদিকে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করে লাভে আছে বিআরটিসি।এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে বেসরকারি গণপরিবহনগুলো যানজট এড়াতে পারতো। কিন্তু চলতি পথের যাত্রী সংকট হবে এমন অযুহাত দেখিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে না অন্য কোনো গণপরিবহন।তবে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বাস চলাচল চালু করে। শুরুর দিনে ৮টি বাস চলাচল করে সংস্থাটি রাজস্ব আয় করে প্রায় ৬৮ হাজার টাকা। তবে দ্বিতীয় দিন দ্বিগুণ হয়ে সংস্থাটি রাজস্ব আয় পায় প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে বিআরটিসি বাড়িয়েছে বাসের সংখ্যা আর আয়ও বেড়েছে সংস্থাটির।জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সর্বনিম্ন সাড়ে ১৩ হাজার যানবাহন চলাচল না করলে সরকারকে দিতে হবে জরিমানা। তবে পুরোপুরি কাওলা থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত চালু না হওয়া ও ৮০ হাজারের বেশি গাড়ি না চলায় এখন যে টোল আদায় হচ্ছে তার পুরোটা পাচ্ছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোগুলো।অন্যদিকে দৈনিক সর্বোচ্চ ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করলে যে রাজস্ব আদায় হবে সেটির ২৫ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। আর সেতু কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত আয় থেকে ১০ শতাংশ দেবে রেলওয়েকে।এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে গাড়ি চলাচলের যে লক্ষ্যমাত্রা সেটি পূরণ হবে। তখন ৮০ হাজারের বেশি গাড়ি চললে রাজস্ব পাবে সরকার। এখন যেভাবে চলছে তাতে বলা যায় অনেকটা সুবিধাই হচ্ছে।গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে যানজটের নগরীতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।আগামী জুনের মধ্যে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তখন এর পুরো সুফল পাবে নগরবাসী।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন

যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে এই চ্যান্সারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং ২০০০ সালে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, প্রধানমন্ত্রী দূতাবাসে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে তিনি সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।পরে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে তাদের অত্যন্ত আন্তরিকতা, পেশাদারত্ব, সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।তিনি শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধু কর্নারসহ দূতাবাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নবাবগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন

মোঃ জুলহাজুল কবীর,

নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।

বর্ণাঢ্য র‍্যালী, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ৩ দিন ব্যাপী জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলার উদ্ধোধন করা হয়েছে।

১৭সেপ্টেম্বর রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শিবলী সাদিক এমপি।

মেলা উদ্বোধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আশিক রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম, নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ তাওহীদুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।

মেলায় বিভিন্ন প্রকারের ২৫ টি স্টল বসে। আলোচনা সভা শেষে উন্নয়ন বিষয়ক ভিডিও প্রদর্শনী,মেলার স্টল পরিদর্শন,এবং বিকেল সাড়ে ৪ থেকে ৫ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শন,স্থানীয় বিভিন্ন উন্নয়ন এবং রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষে তথ্য সমৃদ্ধ চিত্র/ভিডিও প্রদর্শণী করা হয়।

 


   Page 1 of 104
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান

নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
    2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com

Developed By: Dynamicsolution IT [01686797756]