মাসুম হাসান, বার্তা সম্পাদক, নতুন বাজার ৭১.কম
অনেকেই ভাবেন পর্ন সিনেমার প্রতি মেয়েরা তেমন আগ্রহী না কিংবা তারা পর্নোগ্রাফি দেখেন না। ঠোঁটে ঠোঁট, একটু ঘনিষ্ঠ দৃশ্য-- খুব বেশি হলে অ্যাডাল্ট সিনেমা। দৌড় ওই পর্যন্তই। এই ধারণা যদি আপনারও থাকে, তাহলে আপনি ভুলের রাজ্যে আছেন। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার রিপোর্ট যা বলছে, তা চমকানোর মতোই।
বিশ্বের সবচেয়ে নামী পর্ন সাইটের মধ্যে অন্যতম একটি সাইটের সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রীতিমতো হার্ড কোর পর্ন সার্চ করেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মহিলা।
মহিলাদের সার্চ টার্মে এক নম্বরে রয়েছে, `world`s biggest c**k`, `black p***s`, `longest p***s`, `first f**k` ইত্যাদি৷ ২০১৫ সালে মহিলাদের পর্ন সার্চে ৪৯৯ শতাংশই এই শব্দবন্ধগুলি। অন্যান্য সার্চ টার্মের মধ্যে রয়েছে `romantic sex` মাত্র ১২৫ শতাংশ
পর্ন দেখেন মেয়েরা। সমীক্ষা বলছে পুরুষদের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই তাঁরা। গোপনে পর্ন দেখে যৌনসুখ উপভোগ করেন মহিলারা। কিন্তু যে কোনও কারণে হোক সরাসরি সেটি নিয়ে কথা বলতে চান না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন একাংশের বক্তব্য "পর্ন বানানো অন্যায়, কিন্তু দেখা?"
আসলে যৌনতা নিয়ে চর্চা মানেই যে পুরুষ সেই নিষিদ্ধ ধারণা (ট্যাবু) ভেঙে গিয়েছে। মহিলারাও এখন সেদিকে ঝুঁকেছেন। তবে আলোচনা চান না। আন্তর্জাতিক পর্ন সাইটের সমীক্ষা বলছে ১০০ জন মহিলার মধ্যে ৩০ জন পর্ন দেখেন।
ছেলেদের মতো যাবতীয় সব ধরনের পর্ন দেখতেই ভালোবাসেন মহিলারা। মূলত ১৫ থেকে ৫০ ঊর্ধ্ব সকলেই পর্ন দেখে যৌনসুখ নিতে চান। তবে বয়স ভিত্তিতে তাঁদের পছন্দের হেরফের হতে দেখা যায়। সমীক্ষা বলছে, সবচেয়ে বেশি সার্চ হয় অফিসের বস কলিগের সম্পর্ক থেকে প্রতিবেশি সঙ্গে সম্পর্ক বা স্ট্রেনজার। জাপানের পর্ন দেখতেও বেশ ভালোবাসেন মহিলারা।
মেয়েদের যৌনচাহিদা গুরুত্ব যেখানে বেশি, সেই ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন মহিলারা। যেখানে মহিলাদের শরীরিক চাহিদা গুরুত্ব পাচ্ছে সেই পর্ন দেখতে ভালবেসে থাকেন।
আগে পরুষদের কথা মাথায় রেখে পর্ন বানানো হত। কিন্তু এখন মহিলাদের চাহিদাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের সামনে রাখলেই সেল ভাল হবে। তাই পণ্য হিসাবে সর্বত্র থাকে মহিলাদের ছবি। কিন্তু এখন সেই মহিলাদের কল্পজগৎকেও প্রশ্রয় দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
মহিলাদের সমকামী থেকে, বন্য যৌন সম্পর্ক, দুই পুরুষের সঙ্গে এক মহিলার সম্পর্ক, আর সেখান থেকে চূড়ান্ত যৌনসুখ সব ধরনের পর্ন দেখতে পছন্দ করেন মহিলারা। এমনই অবাক করা তথ্য দিচ্ছে আত্নর্জাতিক পর্ন সাইটগুলি৷
মহিলাদের পর্ন সার্চ টার্মের মধ্যে রয়েছে, পুরুষ নিম্নাঙ্গে সুখ দিচ্ছে বা সেক্সের আরামে চরম শীত্কার। শুধু তাই নয়, প্রেগেন্যান্সি পর্ন বা গর্ভবতী মহিলার মিলনের মতো সার্চ টার্মও রয়েছে তালিকায়।এছাড়া লেসবিয়ান(নারী নারী সমকাম) সেক্স সার্চ করে দেখেন এমন নারীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়৷ আবার, ৩৭ শতাংশ মহিলা সার্চ করেছেন গে সেক্স ভিডিও, যা তাত্পর্যপূর্ণ।
আরও জানুনঃ
# প্রতি ১০০ জনে ৩০ জন মহিলা নিয়মিত পর্ন দেখেন
# ১৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী প্রত্যেক মহিলা সেক্স করার সময় পর্ন ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন
# শারীরিক চাহিদা যখন তুঙ্গে, তখনি তারা পর্ন দেখতে ভালোবাসেন
# এখন মহিলাদের জন্য বিশেষ বিশেষ পর্ন তৈরি করা হয়
তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন পর্ন সাইট অবলম্বনে
|
|
|
আজব ঘটনার কথা তো কতই শোনা যায়। তবে জানেন কি, আস্ত একটা সাইকেল খেয়েও কেউ সুস্থ থাকতে পারে? বা দু’চোখের পাতা এক না করেও কেউ কাটিয়ে দিচ্ছেন ৪৬ বছর! এমন অবিশ্বাস্য কিছু মানুষের গল্পই জানানো হলো…
৪৬ বছর নির্ঘুমঃ এনগকের নাম শুনেছেন? ৪৬ বছর ধরে না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন এনগক। ভিয়েতনামের ৭৭ বছরের এই বৃদ্ধ নাকি ১৯৭৩-র পর থেকে আর ঘুমোননি। এমনটা দাবি করেছে সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো। তবে এত বছর ধরে দু’চোখের পাতা এক না করলেও দিব্যি সুস্থ রয়েছেন এনগক।
জীবন্মৃতঃ সরকারীভাবে তিনি মৃত। তবে তিনি বেঁচে আছেন। এমনই হয়েছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের লালবিহারীর সঙ্গে। ঋণের আবেদন করার সময় বিষয়টা নজরে আসে। ১৯৭৬ সাল থেকে রাজস্ব বিভাগের রেকর্ডে তাঁর স্টেটাস ছিল ‘মৃত’। দীর্ঘ ১৯ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর সরকারি ভাবে ফের ‘বেঁচে’ ওঠেন লালবিহারী। মামলা জিতে প্রমাণ করেন, তিনি জীবিত।
যার নেই কোনো দেশঃ স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘দ্য টার্মিনাল’ সিনেমাটির কথা মনে আছে? রাতারাতি দেশহীন হয়ে নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে ‘বন্দি’ হয়ে পড়েছিলেন ভিক্টর নাভরোস্কি। এমনই ঘটেছিল ইরানের শরণার্থী মেহরান করিমি নাসেরির সঙ্গে। ভিসা অবৈধ হওয়ায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য আটকে ছিলেন প্যারিসের বিমানবন্দরে। স্পিলবার্গের সিনেমাটি ওই ঘটনার ছায়ায় তৈরি।
ছবি তুলে খাবার খানঃ রেস্তোরাঁয় গেলেই খাবারদাবারের ছবি তুলে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে দেন? এমনটা তো অনেকেই করেন। তবে জাপানের ইয়োশইরো নাকামাৎসু এমনটাই করছেন গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। যে খাবারই খান না কেন, তার ছবি তুলে রাখেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের জন্য নয়, খাবারের অ্যানালিসিস করার জন্যই নাকি এমন অভ্যাস নাকামাৎসুর!
স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসাঃ পান থেকে চুন খসলেই অনেকেই আইন-আদালতের ভয় দেখান। তবে আমেরিকার টিমোথি দামোশেল কবেই আপনাদের ছাপিয়ে গিয়েছেন। ২০১৪-এ টিভি সংস্থাকে আদালতে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন টিমোথি। তাঁর অভিযোগ, টিভির সামনে সারাক্ষণ বসে থাকায় স্ত্রীর ওজন বেড়ে গিয়েছে। আর এর জন্য দায়ী টিভি সংস্থাই!
ধাতু খাদকঃ মিশেল লোলিতো খেতে খুব ভালবাসতেন। তবে সেই খাওয়া আমার আপনার মতো নয়। ফ্রান্সের এই নাগরিক চেখে দেখেছেন রাবার, কাচ, ধাতব পদার্থও। ছোটখাটো গাড়ি, সাইকেল থেকে শুরু করে এক বার আস্ত একটা বিমানও খেয়ে ফেলেছিলেন। তাও ৫৭ বছর পর্যন্ত তিনি বেঁচে ছিলেন। ২০০৭ সালে মারা যান তিনি।
চুলোত্তমা সুপত্রাঃ সারা মুখ জুড়েই গজিয়েছে চুল। থাইল্যান্ডের মেয়ে সুপত্রা সাসুফানের এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা সময় খুব ছড়িয়েছিল। অ্যামব্রাস সিনড্রোমের কারণেই এমনটা হয়েছে সুপত্রার। ২০১০-এ ‘ওয়ার্ল্ডস হেয়ারিয়েস্ট গার্ল’ নামে গিনেস রেকর্ড করেন তিনি।
ভাইকে পেটে ধারণঃ ছোট থেকেই সঞ্জু ভগতের পেটটা অনেকটা বাইরে ঝুলে থাকত। অনেকেই তাঁকে অন্তঃসত্ত্বা বসে খ্যাপাতেন। ৩৬ বছর বয়সে শ্বাসের সমস্যা শুরু হওয়ায় মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন সঞ্জু। চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন তাঁর পেটে টিউমার হয়েছে। তবে অস্ত্রোপচারের সময় দেখা যায়, তাঁরই যমজ ভাইয়ের ভ্রূণ রয়েছে তাঁর শরীরে।
অনুলিখনঃ মাসুম হাসান, বার্তা সম্পাদক, দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
কার্টেসিঃ বাংলা ইনসাইডার
|
|
|
রাসেল মোল্লা
রাস্তার পাশের দোকানে হোক বা বড় রেঁস্তোরায় হোক তেহারী আর বিরিয়ানির হাঁড়িগুলো লাল শালু দিয়ে মোড়া থাকে৷ কিন্তু কেন? অন্য কোনও রঙ নেয় কেন? অথবা অন্য কোনো খাবার এভাবে ঢাকা হয় না কেন? ভেবে দেখেছেন কখনও? এর একটা বিশেষত্ব তো আছে বটেই। আর লাল শালু দেখলেই বিরিয়ানি প্রিয় মানুষেরা কেমন স্প্যানিশ ষাঁড়ের মতো এগিয়ে যায় লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই!
আসলে বিরিয়ানিকে যতই মোগলাই খাবারের তালিকায় ফেলুন না কেন, রসনাপ্রিয় বাঙালির হেঁশেলে এই জনপ্রিয় খাবার ঢুকে পড়েছে বেশ অনেকদিন হল। নিত্যদিনের খাবার তালিকাতে না থাকলেও, প্রায়শই বিরিয়ানির দোকানে কিংবা বাড়িতে নিজেদের মতো করে বানিয়ে নেওয়া হচ্ছে এই মোগলাই খানা।
প্রকৃতপক্ষে, বিরিয়ানির হাঁড়ির লাল কাপড় এসেছে মুঘলদের সৌজন্যে৷ আসলে লাল রঙের আলাদা একটা তাৎপর্য রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত কোনো বিদেশি ভারতে এলে লাল রঙের গালিচাতেই অভ্যর্থনা জানানো হয়। মাজার কিংবা মন্দিরের গায়েও লাল রঙের কাপড়ই দেখা যায়। পানের দোকানের ক্ষেত্রেও তো তাই। তাছাড়া বিরিয়ানিরও তো আইডেন্টিটি ওই লাল কাপড়।
লাল রঙের নিজস্ব পরিচয় রয়েছে। শৌর্য, আক্রমণ ও বিপদ অর্থে বলুন, লাল নিশানের দ্বারা বিদ্রোহ বলুন বা সিগনালে লাল সবকিছুর আলাদা আলাদা মানে। খেলার মাঠে লাল কার্ড হলে তো খেল খতম। প্রেমের বহিঃপ্রকাশেও সেই লাল রঙ। এই সব লালের আলাদা ইতিহাস রয়েছে। তবে বিরিয়ানির হাঁড়ির লাল কাপড় এসেছে মুঘলদের সৌজন্যে। তাদের প্রিয় এই খাবার পরিবেশনে আরও আকর্ষণ বাড়াতে৷
মুঘলরা পারস্য সংস্কৃতির দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত। শোনা যায় মুঘল সম্রাট হুমায়ুন যখন ইরানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, পারস্য সম্রাটের অভর্থ্যনায় লাল গালিচা পেয়েছিলেন তিনি। এমনকি খাদ্য পরিবেশনের বিশেষত্বেও সেই লাল রঙের বাহুল্য। চিনা মাটির পাত্র, রুপোলি বাসন সবই ঢাকা থাকত লাল কাপড়ে। সেখান থেকেই মুঘল দরবারে তা আসে। লখনৌয়ের নবাবরাও এটা অনুসরণ করেছিলেন। সেই পরম্পরা চলছে আজও। সুতরাং, তিলোত্তমাতেও সেই ধারা অব্যবহিত। তবে প্রেমের রঙ যদি লাল হয় তাহলে বিরিয়ানিতে লাল কাপড়ে বাঁধা কোথায়! হাজার হোক বিরিয়ানি হচ্ছে ভোজনরসিকদের এক অতুলনীয় ভালোবাসার নাম ।
লেখক : সহ-সম্পাদক, দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
|
|
|
প্রতীকী ছবি: রাজা ইডিপাস ও তার জননী
মাসুম হাসান
অজাচার বলতে মূলত দুজন নিকটাত্মীয়ের মধ্যে অবৈধ, যদিও কিছু অঞ্চলে বৈধ, যৌন সম্পর্ককে বোঝায়। এখানে নিকটাত্মীয় বলতে ভাই-বোন, মা-ছেলে,বাবা-মেয়ে,শ্বশুড়-পুত্রবধু,জামাই-শ্বাশুড়ি,মামী-ভাগ্নে,কাকী-ভাতিজা ইত্যাদি বোঝায় । এটা সমাজে নিষিদ্ধ হিসেবে ধরা হয়। বিভিন্ন ধর্মেও এটার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা আছে। কিছু কিছু দেশে শাস্তির জন্য আইনও আছে । অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ভুটান,ব্রুনেই ,কানাডা, আইসল্যান্ড ,ডেনমার্ক ,জার্মানি ,গ্রিস ,ইন্দোনেশিয়া ,আয়ারল্যান্ড,ইরান ,ইতালি, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে ,পাকিস্তান ,পোল্যান্ড ,সিঙ্গাপুর ,হংকং, সুইজারল্যান্ড সহ বেশ কিছু দেশে এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে ভারত,তুরস্ক ,থাইল্যান্ড , স্পেন, দ. কোরিয়া, স্লোভেনিয়া ,রাশিয়া,পর্তুগাল , নেদারল্যান্ড ,জাপান,লাতভিয়া,লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, চীন ,বেলজিয়াম ,আর্জেন্টিনা সহ কিছু দেশে এটা বৈধ ।
আধুনিক ও সভ্য সমাজে এধরণের সম্পর্ক ঘৃণ্যতম কাজ। প্রচলিত আইন ও সামাজিক মূল্যবোধের দিকে লক্ষ্য করে এটি নিষিদ্ধ ও পরিত্যাজ্য বিবেচিত হলেও সমাজে গোপনে অজাচার সংঘটিত হয়ে থাকে। কন্যার সঙ্গে পিতার এবং ছোট বোনের সঙ্গে ভাইয়ের অজাচারের কথা বেশি শোনা যায়। এছাড়া সৎকন্যার সঙ্গে পিতার এবং সৎবোনের সঙ্গে সৎভাইয়ের অজাচার তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে অনেক দেশে গোপনে মায়ের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠে । আর এটা পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে । পাশ্চাত্য দেশগুলোতে কিশোর ছেলেরা তার নিজ মায়ের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে এ সম্পর্কিত কোনো আইন নেই।পৃথিবীর সব দেশেই ভাই-বোনের মধ্যে অবৈধ যৌন সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমি এর মূল কারণ হিসেবে পর্ণোগ্রাফিকেই দায়ী করছি ।ইউরোপের দেশসমূহে মা-ছেলে যৌনসম্পর্ক অহরহ। বাংলাদেশেও পিছিয়ে নেই। যদিও সংখ্যায় কম।অনেকেই মনে করেন যে মা-ছেলে যৌন সম্পর্ক শুধু মনে হয় নিম্নবিত্ত, অশিক্ষিত পরিবারেই হয়। কিন্তু না৷ শিক্ষিতরা থেমে নেই৷ তারা বরং অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবেই এ ধরনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে৷
ইন্ডিয়ায় মা-ছেলে যৌন সম্পর্ক ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজিতে মাস্টার্স করে বর্তমানে ইন্ডিয়ায় এম.ফিল করছেন এমন একজন গবেষক(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) একটা জরিপে দেখেছেন যে ভারতে মা-ছেলে অবৈধ যৌন সম্পর্ক বাড়ছেই ।এর পিছনে তিনি যেসব কারণ খুঁজে পেয়েছেন, তা হলোঃ
১.অনেক মহিলার স্বামীই কাজের জন্য অন্য শহর বা বিদেশে থাকেন এবং তারই সুযোগ নেয় সন্তানেরা।
২.ভারতের অনেক স্বামীর ওপর সন্তুষ্ট নয় ভারতীয় মহিলারা, এইজন্য অনেক মহিলায় স্বেচ্ছায় নিজ সন্তানের সাথে যৌনতা উপভোগ করতে আপোষ করে না।
তবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে শশুর আর পুত্রবধূর অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া খুব দুর্লভ কোনো ঘটনা নয়। এছাড়াও সহোদর ভাইবোনের মধ্যে অজাচার যে বেড়ে যাচ্ছে ক্রমাগত সেসব ঘটনা মিডিয়ায় না এলেও অনেকেই অকপটে স্বীকার করছেন৷ এমনসব ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে ভিজিট করুন www.quora.com সাইটে৷
সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটা নিউজের হেডলাইন দেখলেই বুঝতে পারবেন বিষয়টির ছড়িয়ে পড়ার দৌরাত্ম্য৷
"আদিতমারীতে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর গ্রেফতার"।
"বাবা-মেয়ে যৌন সম্পর্কের পরিমান বাড়ছে দেশে"
"সৎ-ভাইয়ের সাথে দৈহিক সম্পর্কের ফলে কিশোরী অন্ত:স্বত্তা"
এর মূল কারণ হলো অনেক মহিলাই নিজের স্বামীর সাথে যৌনমিলনে উৎসাহী নয়।তারা স্বামীকে সময় দিতে পারে নাহ। এইজন্য অনেক পুরুষ নিজ জৈবিক চাহিদা পূরণে নিজ কন্যার সাথে যৌনমিলনে লিপ্ত হন। আবার কৈশোরে যৌনতার অজানা অধ্যায় আবিষ্কার করতে যেয়ে একই পরিবারের আপন ভাইবোন লিপ্ত হচ্ছে ইনসেস্ট নামক আদিম যৌনতা চর্চায়৷
লেখক: বার্তা সম্পাদক, দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
|
|
|
মাসুম হাসান
সভ্যতা হলো কোনো মিশ্র সমাজব্যবস্থা যা মানুষের দৈনন্দিন আবিস্কার, সামাজিক গোত্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র পরিচয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রণের মত গুণাবলি দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
সভ্যতার ইংরেজি শব্দ হল civilization যা ল্যাটিন শব্দ civis থেকে আগত যার অর্থ নগরে বসবাসরত কোন ব্যক্তি। এর কারণ হল, যখন কোনো স্থানের মানুষ সভ্য হয়, তখন তারা কোন ছোট গোত্র বা যৌথ পরিবারের মত দলে নয় বরং নগরীর ন্যায় একটি বৃহৎ সুসংগঠিত আকারের দলে একত্রে বসবাস করে। সভ্যতার ক্ষেত্রে এমনটাই আমাদের মনস্তত্ত্ব৷
কিন্তু এই পৃথিবীতে এমন কিছু স্থান আছে যেগুলোতে এখনো সভ্যতার ছোয়া লাগেনি৷ বর্তমান লেখাটিতে তেমনি কিছু অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা তুলে ধরা হলো যারা কোনো দেশে নয় বরং পৃথিবীর কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকায় বসবাস করে এবং প্রতিষ্ঠিত সামাজিক অবস্থার সঙ্গে এদের কোনো ধরণের যোগাযোগ নেই৷
১. সেন্টিলেজ, ভারত মহাসাগর
ভারত মহাসাগরে অবস্থিত আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপে এই জনগোষ্ঠীর বসবাস। সেন্টিনেলিজ নামটা আসলে গবেষকদের দেয়া, কারণ খুব সম্ভবত এরাই পৃথিবীর একমাত্র জনগোষ্ঠী যাদের সাথে আধুনিক পৃথিবীর কোনো যোগাযোগ নেই। ফলে তারা তাদের কী নামে ডাকে সেটা জানা যায়নি। দ্বীপের নামানুসারে তাদের সেন্টিনেলিজ ডাকা হয়।
ভারতীয় আদমশুমারি সংস্থা বিভিন্ন সময় সেন্টিলেজ দ্বীপের মোট জনসংখ্যা বের করার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা কখনোই জানা সম্ভব হয়নি। ২০০৪ সালের ভয়ংকর সুনামির কী প্রভাব পড়েছিল সেন্টিনেলিজদের উপর সেটা দেখার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে জরিপ করার চেষ্টা করেছিল। এ সময় তারা খাবার এবং সাহায্য দ্রব্যাদি তীরে ফেলে উপর থেকে। কিন্তু হেলিকপ্টার দ্বীপের উপরে যাবার কিছুক্ষণ পরেই জঙ্গল থেকে সেন্টিনেলিজরা হেলিকপ্টার বরাবর তীর মেরে আক্রমণ করলে হেলিকপ্টার সরে আসে। সেন্টিনেলিজদের মধ্যে কৃষি ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। এরা মূলত বন্য পশু শিকার, মাছ ধরে খাবার সংগ্রহ করে থাকে। এদের ঘরবাড়িগুলোর কোনো দেয়াল নেই, শুধু মাথার উপর ছাউনির মতো থাকে। আশেপাশে কুড়িয়ে পাওয়া ধাতব সামগ্রী দিয়ে অল্প কিছু জিনিস বানাতে পারলেও ধাতু দিয়ে বেশি কিছু বানাতে পারে না। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এরা আগুন জ্বালাতে পারে না, অন্তত বিশেষজ্ঞদের এটাই ধারণা। বর্তমানে এই দ্বীপের সাথে যোগাযোগের এবং যাবার সকল প্রকার চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয়। তবে সরকার এবং বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা সেন্টিনেলিজদের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম খুঁজে পেতে এখনো উৎসাহী।
২. সুর্মা উপজাতি, ইথিওপিয়া
পশ্চিম ইথিওপিয়ায় বাস করা সুর্মা জনগোষ্ঠীর মানুষদের চেনা যায় তাদের অদ্ভত সব শারীরিক বৈশিষ্ট্যের জন্য। এসব বৈশিষ্ট্য তাদের জন্মগত নয়, বরং কৃত্রিমভাবে তারা শরীরের বিভিন্ন অংশ বিকৃত করে। সেই সাথে রয়েছে শরীরে বিভিন্ন রকমের রঙ দিয়ে আঁকা কারুকার্য। বিচ্ছিন্ন এবং দুর্গম পাহাড়ে বাস করতেই বেশি পছন্দ করে এরা। আশপাশের গোত্রের সাথে লড়াইটাও অনেকটা ঐতিহ্যগত এদের জন্য। তবে অন্যান্য বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে পার্থক্য হলো এরা আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে। সুদানের গৃহযুদ্ধের সুবাদে এই বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর হাতেও উঠে এসেছে একে-৪৭ এর মতো আধুনিক মারণাস্ত্র। কৃষিকাজ করেই মূলত সুর্মারা জীবন ধারণ করে থাকে। টোবাকো, কফি, বিভিন্ন জাতের কপি চাষ করে থাকে। বিভিন্ন গোত্রের সাথে বিনিময় করে প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে সুর্মারা। সিংহের চামড়া, জিরাফের লেজ, হাতির দাঁতের বিনিময়ে অস্ত্র সংগ্রহ করে আমহারা এবং শানগালাদের কাছ থেকে। সুর্মা মেয়েরা বয়োঃসন্ধিতে পৌঁছলে তাদের নিচের পাটির সব দাঁত ফেলে দিয়ে নিচের ঠোঁট ছিদ্র করা হয়। এরপর সেখানে একটি প্লেট বসিয়ে দেয়া হয়। তাদের সংস্কৃতিতে যার প্লেট যত বড়, সে তত সুন্দর! প্লেটের উপর অনেক কারুকার্যও করা থাকে। তবে বর্তমানে অনেক সুর্মা মেয়েরা এই ঐতিহ্য আর পালন করে না।
৩. ম্যাস্কো-পিরো উপজাতি, আমাজন
বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর কথা হবে আর আমাজন আসবে না তা কি আর হয়। খুব সম্ভবত আমাজনেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী যাদের অনেকের কথা আমরা এখনো জানিই না। সেরকমই প্রায় অজানা এক গোষ্ঠী হচ্ছে ম্যাস্কো-পিরো। ১৮৯৪ সালে কমান্ডার কার্লোস মাস্কো-পিরোদের বিশাল একটা অংশকে হত্যা করে। এরপর ম্যাস্কো-পিরোরা আমাজনের একেবারে ভেতরে চলে যায় এবং দীর্ঘদিন তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ম্যাস্কো-পিরোরা সহজে বাইরের মানুষদের আক্রমণ করে না, তবে কয়েকবার সাধারণ মানুষ হত্যার অভিযোগও রয়েছে। এমনকি একটি গ্রাম আক্রমণ করে খাবার এবং বিভিন্ন সামগ্রী লুন্ঠনের অভিযোগ পর্যন্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে সব মিলিয়ে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে তারা। আধুনিক মানুষের সংস্পর্শে এলেও নিজেদের তারা এখনো সেই আগের মতোই রেখেছে। অন্যান্য বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর মতো তীর-ধনুক এবং বর্শা তাদের প্রধান অস্ত্র, পোশাক আশাকের বালাইও নেই বললেই চলে। ব্রাজিল এবং পেরু ম্যাস্কো-পিরোদের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে প্রধান বাধা হচ্ছে ভাষা। ম্যাস্কো-পিরোদের ভাষা পুরোপুরি জানে এমন কেউ নেই। ইয়েনে গোত্রের লোকেরা কিছুটা বুঝলেও পুরোটা বুঝে না। ফলে ভাষা সমস্যার কারণে এখনো ভালভাবে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি।
৪. করোওয়াই, ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার কারোওয়াই উপদ্বীপে বাস করে এক উপজাতি। তাদেরকে করোওয়াই জাতি বলে চেনে সবাই। ১৯০০ সালের দিকে বিভিন্ন খ্রিস্টান মিশনারী দল করোওয়াইদের মাঝে গিয়ে থাকা শুরু করে এবং আধুনিক সভ্যতার সাথে পরিচয় ঘটানোর চেষ্টা করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা সফল হয়নি। ১৯৮০ সালের পর থেকে অনেক করোওয়াই তাদের জঙ্গল ছেড়ে আশেপাশের গ্রামে বাস করা শুরু করে। মূলত শিকার এবং হর্টিকালচারের মাধ্যমে এরা জীবিকা নির্বাহ করে। এখনো তীর-ধনুক দিয়ে শিকার করে, পাথরের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করে এবং পোশাক পরে না বললেই চলে! গাছের উপরে ঘর বানানো করোওয়াইদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এদের ঘরগুলো গাছের বেশ উপরে বানানো হয়, এর ফলে তারা অন্যান্য গোত্রের সাথে যুদ্ধে অনেক সুবিধা পায়। উপরে বানানোর কারণে কেউ সহজে আগুন ধরিয়ে ক্ষতিও করতে পারে না। ঘন জঙ্গলে থাকার পরেও আলো-বাতাসের সমস্যা হয় না। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়া রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বে বাস করা করোওয়াইদের ১৯৭৪ সালের আগে বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না! পাপুয়া নিউ গিনির সীমান্তের কাছে জঙ্গলে এদের বাস। তাদের বিশ্বাস ছিল তারা তাদের এলাকা ছেড়ে বের হলে সবাই মারা যাবে। গবেষকদের ধারণা করোওয়াইরা বর্তমানে তাদের মানুষখেকো স্বভাব থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে করোওয়াইদের অনেকেই দাবি করে তারা কিছু ধর্মীয় বিধানের জন্য এখনো মানুষখেকো রয়ে গিয়েছে। অনেক গোত্র বিদেশী এবং বাইরের লোকদের আক্রমণ না করলেও অনেকেই ধারণা করে যে জঙ্গলের ভেতরে আরো গোত্র থাকতে পারে যারা এখনো বাইরের লোকদের সাক্ষাৎ পায়নি।
৫. জারোয়া, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ।
এটি একটি ক্ষুদ্র জাতি। বাস করে জঙ্গলে। এদের সমাজব্যবস্থা ও জীবনযাত্রা আদিম ধরনের। তার মানে এ জাতি জংলি। এরা উলঙ্গ বা আধা উলঙ্গ অবস্থায় থাকে। জারোয়ারা কথা বলে জারোয়া ভাষায়। এ ভাষার কোনো হরফ নেই। জারোয়াদের প্রধান খাদ্য জঙ্গলের জীবজন্তু, ফলমূল আর সাগরের মাছ। তীর-ধনুক দিয়ে এরা শূকর প্রভৃতি শিকার করে। এদের খাদ্য তালিকায় মধুও আছে। মধু সংগ্রহে এরা দক্ষ। জারোয়াদের গায়ের রঙ কালো। সম্ভবত এরা আফ্রিকার নিগ্রোদের বংশধর। বঙ্গোপসাগরের বুকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এ দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে ৫৭২টি দ্বীপ। দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন অংশের জঙ্গলে বাস করে কয়েকটি আদিবাসী সম্প্রদায়। এদেরই একটি জারোয়া। এরা একধরনের যাযাবর। তার মানে এরা ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন জঙ্গলে, খাদ্য সংগ্রহ ও জীবনযাত্রার প্রয়োজনে। জারোয়াদের বসবাস আন্দামানে দক্ষিণ-পূর্বের দ্বীপে। জারোয়া এলাকায় বাইরের মানুষের অনুপ্রবেশ এরা পছন্দ করে না। কেউ ঢুকে পড়লে বিষমাখা তীর ছুড়ে হত্যা করতেও পিছপা হয় না। গত শতকের (২০ শতক) সত্তরের দশকে জারোয়া এলাকার বুক চিরে ভারত সরকার সড়ক নির্মাণ করে। এতে ভারতের মূল ভূখণ্ড বা বাইরের দুনিয়ার মানুষের এখানে আসার সুযোগ হয়। ফলে জারোয়া জনগোষ্ঠীর নিজস্ব জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে এবং বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে এদের অবস্থা কাহিল করে। বর্তমানে জারোয়াদের সুরক্ষায় এদের এলাকায় পর্যটক ও বাইরের মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তার মানে জারোয়াদের আবাসভূমিকে সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
লেখক: বার্তা সম্পাদক, দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
তথ্যসূত্রঃ Wikipedia, Thrillar master, Smithsonian Magazine.
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দেশে কোনো সংকট নেই, সংকট আছে বিএনপিতে এবং তাদের নেতৃত্বে ও সিদ্ধান্তে।
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের জবাবে রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের চাওয়া আর আবদারের কোনো শেষ নেই, তারা কখনও নিরপেক্ষ সরকার, কখনও নির্বাচনকালীন সরকার, আবার কখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং মাঝেমধ্যে কখনও জাতীয় সরকার নিয়ে কথা বলেন। আসলে বিএনপি নেতারা কি চায়, তা তারা নিজেরাও জানে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে সংকটের কথা বলেছেন তার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে নয়, সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনকালে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কথা বলছেন, সেটা একটা মীমাংসিত বিষয়, সুতরাং এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এই দল গড়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে কীভাবে আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়। রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয় নি, আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।
|
|
|
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার (২৫ জুলাই) চারটি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ হওয়ার কথা ছিলো। তবে এ সংলাপে দুটি দল আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইসির সহকারী জনসংযোগ পরিচালক আশাদুল হক। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে যা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
ইসির আজকের সংলাপের তালিকায় দেখা গেছে, বেলা সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি, দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এবং ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে সংলাপ হওয়ার কথা। কিন্তু বাসদ ও এলডিপি সংলাপে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে যা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
|
|
|
বলিউডের তারকা দম্পতি ভিকি কৌশল ও ক্যাটরিনা কাইফকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন হুমকি পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। এ ঘটনায় সান্তাক্রুজ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে হুমকিতে কী বলা হয়েছে, সেটি জানা যায়নি।
সম্প্রতি মালদ্বীপে ছুটি কাটিয়ে এসেছেন ভিকি-ক্যাটরিনা। সেখান থেকেই ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে অনুরাগীদের মাতিয়ে রাখেন তারা। ভারতে ফিরেই এমন হুমকির সম্মুখীন তারকা দম্পতি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বলিউডের ভাইজান সালমান খান ও তার বাবা সেলিম খানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। যে কারণে সালমান ও তার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
|
|
|
বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। বছর দুয়েক আগে তার গাওয়া একটি বিজ্ঞাপনের জিজ্ঞেল শ্রোতামহলে বেশ সাড়া ফেলেছিলো। এবার সেই লাইনগুলোকে পূর্ণাঙ্গ গান আকারে নিয়ে আসছেন তিনি। কক্সবাজারে চলছে গানটির ভিডিওচিত্রের দৃশ্যধারণ।
শাহরিয়ার পলকের পরিচালনায় মিউজিক ভিডিওতে তাহসানের সঙ্গী হয়েছেন নতুন মুখ স্নিগ্ধা চৌধুরী। সাজিদ সরকারের সংগীতায়োজনে ‘সেই তুমি কে’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি সুরও করেছেন তাহসান।
রোববার (২৪ জুলাই) কক্সবাজারে মিউজিক ভিডিওর দৃশ্যধারণ শুরু হয়েছে। সেখান থেকেই শুটিংয়ের কিছু ছবি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন তাহসান।
ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কোনো এক ভোরে, ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে, তোমার সাথে সকাল দেখবো, সেই তুমি কে?’ মূলত গানের কথাই ক্যাপশনে তুলে ধরেছেন গায়ক। সেই পোস্টের নিচে অনুরাগীদের ভালোবাসাময় মন্তব্যে সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
কক্সবাজার থেকে তাহসান আরটিভি নিউজকে জানান, ‘গতকাল থেকে শুটিং শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কতদিন সময় লাগবে, সেটা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। ভিডিওতে বেশ নতুনত্ব রাখার চেষ্টা চলছে। দর্শক দেখলেই সেটি বুঝতে পারবেন। আশা করি, কেউ নিরাশ হবেন না।’
|
|
|
গোপনে বিয়ে, অতঃপর প্রকাশ্যে কাদা-ছোড়াছুড়ি করে আলোচনায় এসেছিলেন সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন ও মডেল-অভিনেত্রী সুবহা শাহ হুমায়রা। তাদের দাম্পত্য কলহ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে ১০ লাখ টাকায় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় আপস করেছেন নায়িকা।
সোমবার (২৫ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক আবেরা সুলতানা খানমের আদালতে উপস্থিত হয়ে এ তথ্য জানান সুবহা। এ সময় তার সাবেক স্বামী ইলিয়াস হোসাইনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক আগামী ২৭ জুলাই এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন।
সুবহা বিচারককে বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে ১০ লাখ টাকায় মামলা মীমাংসা করেছি। টাকা আমি বুঝে পেয়েছি। এখন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’
এ নায়িকার ভাষ্য, ‘যে সংসার করবে না, তার সঙ্গে জোর করে সংসার করা যায় না। ইলিয়াস তার জীবন নিয়ে ভালো থাকুক, আমি আমার মতো ভালো থাকি। পারিবারিকভাবে আমাদের আপস হয়েছে। আমি ২০ লাখ টাকা দাবি করেছিলাম। তবে যে কোনোভাবে আমরা মীমাংসা করেছি।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ডিসেম্বর পারিবারিক আয়োজনে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হয়েছিলেন ইলিয়াস-সুবহা। তবে মাস না পেরুতেই সেই সংসারে ভাঙনের সুর বাজে। এর পরের চিত্র মোটামুটি সবার জানা। একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের অবস্থান বুঝাতে চেয়েছেন ইলিয়াস-সুবাহ।
নবাগত নায়িকা সুবাহ ছয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার অভিনীত কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি।
অন্যদিকে, ইলিয়াস হোসাইন ‘না বলা কথা’, ‘আমার ভিতর’, ‘এক পলকে’, ‘নীল নয়না’, ‘সারাটি জীবন’, ‘শোন একটা কথা বলি’ গানগুলোর মাধ্যমে শ্রোতামহলে তুমুল জনপ্রিয়তা পান।
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আমি এখনও বেঁচে আছি, দয়া করে সাহায্য করুন, সাহায্য করুন আমায়!` কবরস্থানের ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছে তীব্র আর্তনাদ। সস্প্রতি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। পাঞ্জাবের তান্ডলিয়ানওয়ালার একটি কবরস্থানে ঘটা এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
খবরে বলা হয়, কবরস্থান থেকে যে আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল, তা মানুষেরই কণ্ঠের! কিন্তু কীভাবে কবরের মধ্যে পৌঁছালেন ওই জীবিত ব্যক্তি?
তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যক্তি কবরস্থানে গিয়েছিলেন তার কাছের একজনের মৃত্যুতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। সেই সময়ই আচমকা ধস নামে। ধসের কবলে কবরে মাটিচাপা পড়েন তিনি। ওই অবস্থাতেই তিনি সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করতে থাকেন।
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে পুরুষরা অনেকটা মেয়েদের মত মাথা ও মুখ ঢাকেন৷ শতাব্দী ধরে চলে আসছে এ প্রথা৷ চলুন তেমন কয়েকটি দেশ সম্পর্কে জেনে আসি যেখানে পুরুষরা হিজাব পরেন।
লিবিয়া আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা মরুভূমি এবং সাহিল জোনে যাযাবর সম্প্রদায়ের তুয়ারেগ গোষ্ঠীর মানুষ এমন পাগড়ি পরে কাপড়ে মুখ ঢাকেন৷ তবে কেবল সূর্যের তাপ বা বালি থেকে বাঁচা এর উদ্দেশ্য নয়, এভাবে মাথা ও মুখ ঢাকা এখানে সম্মানের অংশ৷ তুয়ারেগ পুরুষরাই কেবল পুরো মুখ ঢাকেন৷ তাদের বিশ্বাস, মরুভূমিতে চলাফেরার সময় মৃত আত্মাদের হাত থেকে এটি তাদের রক্ষা করে৷ ঐতিহ্যগত ভাবে তারা সাদা কাপড়ে নীল রঙ করে পাগড়ি পরেন৷ এ কারণে তাদের বলা হয় মরুভূমির ‘নীল মানব’৷
মরক্কো মরক্কোর বর্বর উপজাতির পুরুষদের মাথার পাগড়ি এবং মুখবন্ধকে প্রথাগতভাবে বলা হয় ‘তাগেলমুস্ট’ বা ‘লিথাম’৷ তবে এরা বেশিরভাগ হলুদ লিথাম পরে৷ অতীতে লড়াইয়ের সময় বর্বররা এভাবে মাথা মুখ ঢেকে রাখলে তাদের সহজে চেনা যেত না৷
মিশর তুয়ারেগ এবং বর্বরদের মত বেদুঈনও মরুভূমির যাযাবর হিসেবে পরিচিত৷ প্রতিবেশি দেশ ইসরায়েল ও মিশরের মাঝে আরব উপত্যকায় এদের বাস৷ ছবিতে দেখা এই পাগড়ি ও মুখবন্ধকে বলা হয় ‘কুফিয়া’৷ কোথাও কোথাও বলে ঘুত্রা বা হাত্তা৷ তবে এলাকা ভিত্তিতে এটা পরার ভঙ্গি ভিন্ন হয়৷
শাদ শাদের উত্তরাঞ্চলে টুবু উপজাতির পুরুষরা মাথা মুখ ঢাকেন কাপড় দিয়ে৷ এই পুরুষরা নিজেদের কাপড় নিজেরাই বুনেন৷ এরা সাধারণত মেষপালক৷
নাইজেরিয়া নাইজেরিয়ার কানো রাজ্যে পুরুষেরা অনেকটা বোরকার মত মাথা ও মুখ ঢাকেন৷ এখানে কানোর আমিরকে দেখা যাচ্ছে, নাইজেরিয়ায় সুলতানের পরেই ক্ষমতাধর মুসলিম নেতা তিনি৷
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। আর আতঙ্কে রয়েছেন মানুষ। বিভিন্ন দেশে প্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া সবই বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে অনেকেই আগে-ভাগেই কিনে রাখছেন দরকারি জিনিস। যেমন-খাবার, ওষুধ এসব।
কিন্তু নেদারল্যান্ডসে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র। এখানে লোকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি কিনতে শুরু করেছে গাঁজা! কোন দিন দোকান বন্ধ হয়ে যাবে, সেই ভয়ে লোকে লাইন দিচ্ছে গাঁজার দোকানে! এমনই একটি ছবি তুলে টুইটারে পোস্ট করেছেন একজন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ১০০ লোক লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা নাকি সবাই গাঁজা কিনছেন!
এর আগে দেখা যায়, ইতালিতে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় কীভাবে কত মানুষ একসঙ্গে গান গাইতে শুরু করেছেন। স্পেনেও একই দৃশ্য ধরা পড়েছে। আর এভাবেই মানুষ সময় কাটাচ্ছে। আর সেই সময়ে নেশার দ্রব্যটিও গুছিয়ে রাখতে চাইছেন সবাই। তাই দোকান বন্ধ হওয়ার আগে গাঁজা কিনে নেয়ার শেষ কাজটি করে রাখতে চাইছেন অনেকেই।
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
বাংলাদেশে কোটি মানুষের বসবাস। নারী-পুরুষ উভয়েরই বসবাস রয়েছে এই দেশে। কিন্তু জেনে অবাক হবেন যে, এদেশে এমন এক গ্রাম আছে যেখানে নেই কোনো নারী!
সুন্দরবনের দুবলার চর। যেখানে ২০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু সেখানে নেই কোনো নারী সদস্য। চলুন জেনে নেয়া যাক এর রহস্য-
চর হিসেবে পরিচিত হলেও স্থানটি মূলত কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে অবস্থিত একটি দ্বীপ। দুবলার চর কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এই চরকে এক কথায় শুঁটকির রাজ্য বলা যেতে পারে। একজন ট্যুর গাইড শাকিল জানালেন, সুন্দরবনে ঘুরতে এলে এই স্থানটিতে না ঘুরে কেউ ফিরতে চান না।
এমন কি শুধু এই দুবলার চরের উদ্দেশেও দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে অনেক পর্যটক। সুন্দরবনের নিরাপত্তা কর্মী শাহ্জাহান জানালেন, দুবলার চরে মানুষের আনাগোনা থাকে বছরে মাত্র পাঁচ মাস। যার বেশির ভাগটাই শুঁটকিকে কেন্দ্র করে। সরকার কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রায় ২০ হাজার জেলে শুষ্ক মৌসুমে এখানে মাছ ধরার জন্য আসে এবং অস্থায়ী বাসস্থান তৈরি করে মাছ ধরা, শুঁটকি করাসহ আনুসঙ্গিক কাজে নিয়োজিত থাকে।
এই সময়টাতে শুঁটকিকে উপলক্ষ করে প্রচুর পর্যটক এখানে ঘুরতে আসে, তাদের কাছে খুচরা শুঁটকি বিক্রির জন্য রয়েছে একটি বাজারও। এখানে আরো একটি কারণে লোকসমাগম হয়ে থাকে, তা হলো হিন্দুদের পুণ্যস্নান এবং রাসমেলা। প্রতিবছর নভেম্বর মাসে এই ধর্মীয় উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
দুবলার চরের শুটকি গ্রাম। যেখানে ছড়ানো ছিটানো রয়েছে ছোট ছোট অসংখ্য ছনের ঘর। যেগুলোর বড় আঙ্গিনায় শুকাতে দেয়া হয়েছে হরেক রকমের মাছ। আশে-পাশেই অনেক লোককে দেখা যায়। কেউ ঝুড়ি বোঝাই করে শুঁটকি মাথায় নিয়ে যাচ্ছে, কেউ কেউ শুঁটকি বাছাই করছে, কেউ কেউ বসে বসে মাছ ধরার জাল ঠিক করছে।
আরেকজন ট্যুর গাইড সুমন জানান, এ গ্রামে কোনো নারী নেই। কারণ হিসেবে সে জানায়, চরে কেউ নারী নিয়ে আসলেই ডাকাতরা ধরে নিয়ে যায়।
আসলেই তাই। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো নারী পাওয়া যাবে না সে গ্রামে। শুটকি কেনার জন্য বাড়ির ভেতরে গিয়েও দেখা মিলবে না কোনো নারীর। উল্টো রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত দেখা যাবে পুরুষদেরকেই।
সেখানকার বসবাসরত পুরুষদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সবারই একই উত্তর থাকে ‘এখানে কোনো নারী নেই’। কেউ কেউ বললেন, অস্থায়ী আবাসের কারণেই তারা নারীদের সঙ্গে করে আনেন না।
তবে সেখানে কিছু নারীর দেখা মিলবে, যারা দুবলার চরে ঘুরতে আসেন। অনেক নারী নির্ভয়ে সন্ধ্যা রাতেও দুবলার চরে ঘুরে বেড়ান। তবে ডাকাতদল তাদের কোনো ক্ষতি করেন না বলেই জানান সেখানকার অনেক পুরুষ।
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এবার সামনে এলো একটি অদ্ভুত দর্শন প্রাণীর কঙ্কালের ভিডিও। প্রাণীটি সামুদ্রিক বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এক মহিলা সকালে ঘুরতে বেরিয়ে কঙ্কালটি দেখতে পান। মোবাইলের ক্যামেরা অন করে সেটির ছবি রেকর্ড করেন। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বছর পঁচিশের এক তরুণী, এরিকা কনস্টানটাইন পাঁচ বছর ধরে আমেরিকায় সাউথ ক্যারোলিনার চার্লস্টন শহরে থাকেন। শহরের সংলগ্ন সানরাইজ পার্ক এলাকার সৈকতে রোজই তিনি হাঁটতে যান। সঙ্গে থাকে তাঁর পোষা কুকুরটি। তিনি জীবনে এমন অদ্ভুত জিনিস দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের মতো এদিনও হাঁটতে বেরিয়েছিলেন এরিকা। কিন্তু দিনের শুরুটা তাঁর আর পাঁচটা দিনের মতো হলো না। পোষা কুকুরটি হঠাৎই দৌড়ে গিয়ে কিছু একটার সামনে চিৎকার করতে থাকে। এরিকা জানিয়েছেন, তাঁর পোষ্যটি যখন কোনও মৃত প্রাণী বা অদ্ভুত কিছু দেখে এমন চিৎকার করে। তিনিও দ্রুত কুকুরটির কাছে পৌঁছে যান।
এরিকা গিয়ে দেখেন এক অদ্ভুত দেখতে প্রাণীর কঙ্কাল সমুদ্র তটে পড়ে রয়েছে। যার বড় বড় দাঁত। চোখ কোথায় ছিল ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। এরিকার দাবি, আকারে সেটি একটি কুকুরের সমান হবে। কিন্তু তাঁর দেখা কোনও প্রাণীর সঙ্গেই এই কঙ্কালটির কোনও মিল পাচ্ছিলেন না এরিকা। তিনি ভিডিওটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন।
ন্যাশনাল ওস্যানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, পৃথিবীর সমুদ্রের ৯৫ শতাংশই এখনও অন্বেষণ করা বাকি, আর সমুদ্রতলের ৯৯ শতাংশ অংশে এখনও কোনও ভাবেই পৌঁছতে পারে না মানুষ। তাই সমুদ্রের অতল গভীরে কোন কোন প্রাণী রয়েছে তার অনেক কিছুই দেখা বাকি। তেমনই কোনও একটি প্রাণী হতে পারে এই কঙ্কালটি। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
|
|
|
ডেস্কঃ ভারতের তামিলনাড়ুর পাট্টাবিরামে কান্দিগাই গ্রামে নিজের প্রেমিক ডি আপ্পুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন স্টেফি। ওই গ্রামে গিয়ে কুয়ার ধারে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার পরিকল্পনা করেন তারা। ভালো সেলফি তোলার আশায় ওই যুগল কুয়ার সিঁড়িতে উঠে পড়ে। সেখানে বসে সেলফি তুলতে গিয়েই পিছলে কুয়াতে পড়ে যায় স্টেফ। গত সোমবার এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কুয়ায় পড়ে যাওয়া পর স্টেফিকে বাঁচাতে প্রেমিক আপ্পুও নেমেছিলেন কুয়ায়। সে সময় আপ্পুর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন সেখানে থাকা কয়েক জন কৃষক। তারা এসে আপ্পুকে উদ্ধার করতে পারলেও স্টেফিকে খুঁজে পাননি। এরপর উদ্ধারকারী দলকে খবর দেন স্থানীয় লোকজন। তারা এসে স্টেফির মরদেহ উদ্ধার করেন।
স্টেফির দেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। আপ্পুরও চিকিৎসা চলছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনা নিয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনারও তদন্ত করা হচ্ছে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান > নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
|
|
|
2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com
|
Developed By: Dynamicsolution IT [01686797756] |
|