মাসুম হাসান
বাংলাদেশের শিক্ষা, শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়ে গভীর অনুসন্ধান, উপলব্ধি এবং ব্যক্তিগত ও পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক ধরণের ভাবনা মনে মালা গেথেছে৷ তারই প্রতিফলন এই লেখাটি যেখানে বিস্তারিত তত্ত্ব কথার নির্যাস প্রবচন আকারে প্রকাশিত হলো৷
১. এদেশের ছাত্রদের ‘স্কুলপালানো’ একটা কমন ব্যাপার। অপরাধ বিবেচিত হলেও ‘স্কুলপালানো’ আসলে ট্যালেন্টেড ছাত্রদের এক ধরণের প্রতিবাদ; আমাদের আকর্ষণহীন ব্যর্থ শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
শিক্ষাপদ্ধতি ঠিক থাকলে এই ওয়াইল্ড ট্যালেন্টেড ছাত্রদের হয়ত আমরা ক্লাশরুমে ধরে রাখতে পারতাম৷
২. পৃথিবীর সর্বত্র ছাত্র-ছাত্রীরাই সম্ভবত সবচে’ বেশি প্রতিবাদ করে এবং প্রচলিত আচার-বিচার-সংস্কারকে চ্যালেঞ্জ করার শক্তি ও সাহস রাখে কেননা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদেরকে প্রায়শই বাস্তবতা বিবর্জিত পথে পরিচালিত করে৷
৩. সরকার নানা কায়দায় আসলে ছাত্রদের জোর করেই A+ ধরিয়ে দিচ্ছে। সম্ভবত এটা সুদীর্ঘ চক্রান্ত যাতে প্রতিভাবান, মেধাবী ও বুদ্ধিমান মানবসম্পদ এদেশে আর তৈরি না হয়!
কারণ, মেধাহীনরা খুব অনুগত, ভক্ত এবং মুরিদ টাইপ হয়; অথচ মেধাবীরা ঘটায় বিপ্লব যা ক্ষমতাসীনরা কখনওই চায় না।
আর তাই, শিক্ষাব্যবস্থাকে চিৎ-কাইত, ওলট-পালট, ওপর-নিচ করে, পালাক্রমে কিংবা উপর্যুপরি, নিয়মিত বলাৎকারেরই কাঙ্ক্ষিত ফসল এই A+পাওয়া অসহায় ছাত্রছাত্রীরা!
৪. এদেশে ছাত্রদের স্বপ্ন দেখানো হয় নির্মম মিথ্যা দিয়ে। “Aim in Life” বা “জীবনের লক্ষ্য” রচনা পড়তে গিয়ে ছাত্ররা নিজেদের স্বপ্নহীন যাত্রায় বুঝতে পারে বড় হয়ে সে ডাক্তার হবে, পাস করেই নিজ গ্রামে চলে যাবে, সেখানে দাতব্য চিকিৎসালয় গড়ে তুলবে এবং “ফ্রি ট্রিটমেন্ট” দিতে শুরু করবে৷
বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা কিংবা মানবিক বিভাগের ছাত্ররাও ডাক্তার হওয়ার মতো দুঃস্বপ্ন দেখে! আমাদের ছেলেমেয়েদের এসব অস্পৃশ্য স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্নভঙ্গের পথে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া, যা অন্যায়, বন্ধ করা খুব জরুরি।
প্রকৃতপক্ষে, শিক্ষার্জন করে তরুণদের ১ম লক্ষ্য, হতে পারত “মহান কৃষক” হওয়ার স্বপ্ন৷ কিন্তু এমনটা ভাবা যেন আরেক দুঃস্বপ্ন৷
৫. জ্ঞান ও শিক্ষা কাউকে দেয়া যায় না যদি সে তা নিতে না জানে।
৬. বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসন বুঝতে চাইলে রাজধানী পর্যন্ত যেতে হয় না। দেশের যেকোনো প্রান্তের একটি প্রাইমারি স্কুলে গেলেই আপনি পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। কারণ, প্রতিটি শিক্ষাঙ্গন এখন এক একটা “মিনি পলিটিকাল গভর্নমেন্ট”! সরকার-প্রেতাত্না প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আছর করে আছে!
৭. এখন শিক্ষকরা ক্লাশরুমে পড়ান না; কিছুক্ষণ পর ঐ ছাত্রদের অন্যত্র পড়াবেন বলে তাদেরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তোলেন!
৮. বর্তমানে শিশুদের সঠিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায় হলো তাদের “আম্মুরা”। আম্মুরা স্কুলগুলোর চারপাশে সারাদিন বসে থাকেন প্রতিটি বাচ্চাকে “ফার্স্ট” বানানোর জন্য! তারা অবিবেচকের মতো প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ঈর্শা-হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদি শেখাচ্ছেন অবুঝ শিশুদের।
৯. বর্তমান শিক্ষা, সমাজ ব্যবস্থা, মানুষের যাপিত জীবন এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ নামক দেশটির কথা একবার ভাবুন দু’চোখ বুঁজে; একটি পুরোনো কথা মনে পড়বে আপনার—
“উপরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাট”!
১০. প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কল্যাণে এদেশের তরুণতরুণীরা অনেক অগ্রসর হয়েছে; তবে আরো এগুতে পারত যদি তাদের বাবা-মা এবং কম-জানা ও একগুঁয়ে শিক্ষকরা তাদেরকে বাঁধা দিয়ে পিছিয়ে না দিত।
১১. অকারণে রেগে যাওয়া এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থ প্রশাসকদের শেষ মারণাস্ত্র!
১২. বর্তমানে উচ্চপদস্থ শিক্ষিত ব্যক্তিরা সবচেয়ে বড় ক্রিমিনাল। তাঁরা(তারা) নিজ নিজ চেয়ারে বসে যদি শুধু লিগ্যাল কথাগুলো বলতেন আর নিজ দায়িত্বগুলো অবহেলা না করতেন, তাহলে এদেশের সাধারণ মানুষের জীবন অনিবার্যভাবে বদলে যেত।
১৩. এদেশের নেতৃস্থানীয় (রাজনীতিক নেতা নয়) লোকজনকে, যারা আমাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেন, হতে হবে অনেক বেশি সুশিক্ষিত ও নির্লোভ। তাদের একটি “হ্যা” অথবা “না” পুরো জাতির ভাগ্যে যে কত বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম তা তারা জানেন না।
১৪. এখন তথাকথিত শিক্ষিত প্রশাসকরা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী রূপ দিতে কপট থেকে কপটতর হচ্ছে। এদের চোখের ভেতর স্বপ্ন নেই কোনো; আছে বিদ্বেষ, অহমিকা, গোপন অসততা আর আত্ন-প্রেম।
১৫. এদেশে শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতি মানুষের মনোজগতকে অবরুদ্ধ করে রাখে৷ ফলে, কেউই সমাজে Alternative Reality বা বিকল্প বাস্তবতার অস্তিত্ব মেনে নিতে পারে না;
বরং যেকোনো নতুন বা সমান্তরাল অস্তিত্বকে অস্বীকার করাটাই এখানকার সংস্কৃতি।
১৬. সম্ভবত, আমাদের শিক্ষাদর্শনই মানুষে মানুষে বৈষম্য ও দূরত্ব বাড়াতে সহায়তা করছে।
১৭. বাংলাদেশে আর্থনীতিক সমাজবাস্তবতা আর সাধারণ মানুষের উপার্জনগত বৈষম্য এতটা তীব্র যে, এখানে মানুষ শিক্ষিত হওয়ার জন্য শিক্ষাগ্রহণ করে না।
১৮. শিক্ষিত নারীদের মধ্যে ধূমপায়ীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনেক নারী দোকান থেকে নিজে সিগারেট কিনতে কিংবা জনসমক্ষে সিগারেট টানতে দ্বিধা করছে না।
এতে আমার কষ্ট লাগে কেননা তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ছে।
এতে আমার কষ্ট লাগে না; কেননা পুরুষের সাথে সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীরা একধাপ এগিয়ে গেছে।
লেখক: বার্তা সম্পাদক, দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
|
|
|
আজ ১৭ অক্টোবর ২০২২, সোমবার। ইতিহাসের আজকের দিনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গেছে। এর মধ্যে ১৯০৩ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়নের বিষয়টি অনেক যুগান্তকারী ঘটনা ছিল। ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয় রয়েছে।
ঘটনাবলিঃ
১৮৪৬ - সাপ্তাহিক ‘দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
১৮৪৮ - সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ‘সাপ্তাহিক অরুণোদয়’ প্রকাশিত হয়।
১৯০৩ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট ও উইলবার রাইট সাফল্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের উড্ডয়ন ঘটান।
১৯০৫ - বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি।
১৯১৪ - গ্রিস ও এশিয়া মাইনরে প্রচন্ড ভূমিকম্পে ৩ হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৩৬ - ইরান-তুরস্ক শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়।
১৯৪০ - মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহ শুরু হয়।
১৯৬২ - গণবিরোধী হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলায় ছাত্র আন্দোলন ও হরতাল পালিত হয়।
১৯৬৩ - জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে জেনিভা নিরস্ত্রিকরণ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েত ইউনিয়নসহ ১৭টি দেশের উত্থাপিত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এই প্রস্তাবে সকল দেশের উদ্দেশ্যে পরমাণু অস্ত্র অথবা অন্য যে কোনো গণ বিধ্বংসী অস্ত্র পৃথিবীর কক্ষপথে মোতায়েন না করার আহ্বান জানানো হয়।
১৯৮০ - ইরানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শহীদ মোহাম্মাদ আলী রাজাই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তার দেশের ওপর ইরাকের ব্যর্থ সরকারের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা দেন।
১৯৮৮ - সিউলে ১৬০টি দেশের অংশগ্রহণে ২৪তম অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধন হয়।
১৯৮৯ - যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনির্য়া উত্তরাঞ্চলে প্রচন্ড ভূমিকম্প হয়। অনেক সড়ক আর সেতু এই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় । এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৭১ জনের মৃত্যু হয়। তা ছাড়া, দুর্গত এলাকায় কমপক্ষে ৫০০ জন আহত।
১৯৯৪ - চীনের শিনচিয়াংএর চিওহো প্রাচীন নগরে চীনের হ্যান রাজবংশের সমাধি সংগ্রহশালা আবিষ্কার করা হয়।১৯২০ - প্রবাসে [তাসখন্দে] ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়।
জন্ম:
১৫৭৭ - ক্রিস্টফানো আলরি, তিনি ছিলেন ইতালীয় চিত্রশিল্পী।
১৮১৭ - স্যার সৈয়দ আহমদ খান বাহাদুর, তিনি ছিলেন ভারতের একজন বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ যিনি ভারতের মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন।
১৯০০ - জাঁ আর্থার, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা।
১৯১৫ - আর্থার মিলার, তিনি ছিলেন মার্কিন নাট্যকার, প্রবন্ধকার ও লেখক।
১৯২০ - মিগুয়েল ডেলিবেস, তিনি ছিলেন স্প্যানিশ সাংবাদিক ও লেখক।
১৯৩৩ - উইলিয়াম অ্যান্ডার্স, তিনি হংকং বংশোদ্ভূত আমেরিকান জেনারেল ও মহাকাশচারী।
১৯৩৭ - পাক্সটন হোয়াইটহেড, তিনি ইংরেজ অভিনেতা।
১৯৫৫ - জর্জ আলগস্কউফিস, তিনি গ্রিক অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ।
১৯৬৫ - অরবিন্দ ডি সিলভা, তিনি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার।
১৯৭০ - অনিল কুম্বলে, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটার।
১৯৮০ - মোহাম্মদ হাফিজ, তিনি পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
মৃত্যু:
১৫৮৬ - ফিলিপ সিডনি, তিনি ছিলেন ইংরেজ সভাসদ ও কবি।
১৮৩৭ - জহান নেপমুক হুমেল, তিনি ছিলেন অস্ট্রিয়ান পিয়ানোবাদক ও সুরকার।
১৮৪৯ - ফ্রেদেরিক ফ্রান্সিস শোপাঁ, তিনি ছিলেন পোলিশ পিয়ানোবাদক ও সুরকার।
১৮৮৯ - রুশ সাহিত্যিক নিকোলাই চেরনিশেভস্কি মৃত্যুবরণ করেন।
১৮৯০ - লালন, বাউল সম্রাট। তিনি একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন।
১৯৩৪ - নোবেলজয়ী [১৯০৬] স্পেনীয় জীববিজ্ঞানী শান্তিয়াগো রামন হাই কাজাল মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩৮ - কার্ল কাউটস্কয়, চেক বংশোদ্ভূত জার্মান সাংবাদিক, দার্শনিক ও তাত্ত্বিক।
১৯৬৩ - জাক আদামার, তিনি ছিলেন ফরাসি গণিতবিদ।
১৯৬৯ - চীনের ছিং রাজবংশের শেষ রাজা ফুই চিকিৎসার ব্যর্থতায় মারা যান।
১৯৮৩ - ফ্রান্সের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী রেমন্ড এ্যারন মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৮৭ - আবদুল মালেক উকিল, তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশ আইনজীবি ও রাজনীতিবিদ।
১৯৯১ - টেনেসি এরনিএ ফোর্ড, তিনি ছিলেন আমেরিকান গায়ক ও অভিনেতা।
১৯৯৩ - সাংবাদিক এস এম আলী মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৯৮ - হাকিম সাইদ, তিনি ছিলেন পাকিস্তানি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ।
২০১২ - হেনরি ফ্রিডলাডের, তিনি ছিলেন জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও লেখক।
২০১২ - আলেক্সান্দ্র কশক্যন, তিনি ছিলেন রাশিয়ান মুষ্টিযোদ্ধা।
|
|
|
হেদায়েতুল ইসলাম নাবিদ, কুবি প্রতিনিধি:
লালমাই পাহাড়ের কোলে, প্রকৃতির মায়ায় ঘেরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।
লালমাটির ক্যাম্পাস বলে খ্যাত দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ২০০৬ সালের ২৮ মে লালমাটির পাহাড় আর সমতল ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়টি।
কুমিল্লা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার অদূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে সালমানপুর গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। ৫০ একর আয়তনের এ ক্যাম্পাসের বেশির ভাগজুড়েই টিলা। মূল ক্যাম্পাসের অদূরে নতুন করে একই মৌজায় আরও ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেখানেও সবুজে ঘেরা উঁচু উঁচু টিলা। আগামীতে এসব জায়গায় নানা ধরনের স্থাপনা গড়ার পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষৃতে সরকার ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদনও দিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এই কাজ করবে।প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চোখজুড়ানো এক জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হবে এই ক্যাম্পাস। তখন নিশ্চয়ই পর্যটকদের ভিড় বাড়বে আরও।
২০০৭ সালের ২৮ মে প্রথম ব্যাচের ৭ বিভাগে মোট ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১৫ শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬টি অনুষদের ১৯টি বিভাগে আছেন ৭ হাজার ৫৫ জন শিক্ষার্থী ও ২২৫ শিক্ষক।বর্তমানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ টি আবাসিক হল রয়েছে। ছাত্রদের জন্য ৩ টি, ছাত্রীদের জন্য রয়েছে ২টি হল। এছাড়াও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে ডরমেটরি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টি একাডেমিক ভবনের পাশাপাশি রয়েছে ১টি দৃষ্টিনন্দন প্রশাসনিক ভবন।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৮ টি নীল বাস এবং বিআরটিসির ১২ টি ভাড়া বাসসহ সর্বমোট ২০ টি বাসের ব্যবস্থা রয়েছে।এছাড়াও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য রয়েছে যাতায়াতের সুব্যবস্থা।বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে রয়েছে জরুরী প্রয়োজনে ২ টি এম্বুলেন্স। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি সুসজ্জিত লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে রয়েছে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি বই।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো CSE চত্বর,বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য,ফরেস্ট অব আর্ডেন,লালন চত্বর,বাবুই চত্বর, পিএ চত্বর, কাঠাল তলা,বৈশাখী চত্বর,প্রেম সেতু,ক্যাফেটেরিয়া,শহীদ মিনার,মুক্ত মঞ্চ প্রভৃতি। যা ক্যাম্পাসকে রাঙ্গিয়ে তুলেছে। মূলত একেকটি স্থাপনা ক্যাম্পাসকে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রতিনিধিত্ব করে। শিক্ষার্থীদের পদচারণে এ সকল স্থান উৎসবমূখর হয়ে উঠে। এ সব স্থান শিক্ষার্থীদের মিলনায়তন হিসেবেও পরিচিত।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে রয়েছে নানা ধরনের ফল,ফুল ও ঔষধি গাছ। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য বৃক্ষগুলো হলো কাঁঠাল,তাল খেজুর,আম, কৃষ্ণচূড়া ফুল ,কাশফুল, জেসমিন ফুল ,জারুল, দাঁতরাঙ্গা, পাম, ইউক্যালিপটাস ও ইসকলোনিয়া নামক বৈদেশিক বৃক্ষসহ আরো হরেকরকমের গাছ। এ সব বৃক্ষগুলো যেমন ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও।বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রকম দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের সংস্পর্শে এসে শিক্ষার্থীরা কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিসে দক্ষ হয়ে উঠছে। এ সব সংগঠনের অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষায় জন্য পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সংগঠন হলো ডিবেটিং সোসাইটি,থিয়েটার,বিএনসিসি,রোভার স্কাউড,বৃত্ত কুবি,মডেল ইউনাইটেড নেশন,রক্তদান সংগঠন বন্ধু,ইএলডিসি,রোটার্যাক্ট ও লিও ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক মানের সংগঠন।
১৭ বছর আগের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আর এখনকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আকাশপাতাল ব্যবধান হয়ে দাড়িয়েছে। পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে এই ক্যাম্পাসে। ধারাবাহিকভাবে এগোচ্ছে কুবি। শিক্ষার্থীরা আশাবাদী আগামীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হয়ে উঠবে।
জয়তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
|
|
|
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। ঘড়ির কাটা রাত ১২টা ছুঁয়ে গেলেই ভালোবাসার সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক উৎসব, ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র উদযাপন শুরু। এই বিশেষ দিনে মনের মানুষ কিংবা সঙ্গীর মন ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে কে না চায়? সবারই প্রথম চিন্তা থাকে উপহার নিয়ে। কিন্তু কী উপহার দিবেন? এ নিয়ে জলপনা কলপনার যেন শেষ থাকে না।
অনেকে উপহার কিনে ফেলেছেন এরই মধ্যে। অনেকে আবার এখনও ভাবছেন। সময় কম তারপরও সেরা উপহারটিই দিতে চান সবাই। শেষ মুহূর্তে এসে আপনার জন্য থাকছে এমন কিছু টিপস, যাতে সঙ্গীর জন্য সবচেয়ে রোমান্টিক উপহারটি বেছে নিতে পারেন সহজেই।
রূপচর্চাসামগ্রী : আজকাল ছেলে-মেয়ে উভয়ই কম বেশি রূপচর্চা
করে। আর রূপচর্চার জন্য ভালো ব্রান্ডের প্রসাধনী পেলে কে না খুশি হয়? এবারের ভ্যালেন্টাইনে আপনার সঙ্গীকে খুশি করতে তার পছন্দের প্রসাধনী উপহার দিন।
ঘড়ি বা অলঙ্কার : ছেলেদের জন্য হাল ফ্যাশনের ঘড়ি আর মেয়েদের কাছে যেকোনো ধরনের স্টাইলিশ অলঙ্কার সবসময়ই অনেক প্রিয়। আর সেটা যদি উপহার হিসেবে সবচেয়ে কাছের মানুষ দেয়, এর চেয়ে রোমান্টিক আর কী হতে পারে?
শোপিস : উপহার যদি একইসঙ্গে ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন আর অনেক দিন সংরক্ষণ করার মতো হয় তাহলেতো কথাই নেই। পছন্দের মানুষের জন্য এমন উপহার বেছে নিন, যা আপনার অস্তিত্বকে জানান দিবে বহু সময় ধরে। আবার সৌন্দর্যও হবে এমন যেন জুড়ি মেলা ভার। শেষ মুহূর্তে এমন উপহার কিনে ফেলুন তাড়াতাড়ি।
শখের জিনিস : সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দ, শখ সম্পর্কে জানেনা আজকালকার যুগে এমন যুগল খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন কোনো পছন্দের বা শখের জিনিস, যা আপনার প্রিয় মানুষটির সংগ্রহে এখনও নেই? মনে করে দেখুনতো? এবার নেমে পড়ুন তার খোঁজে। কথায় আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু।
বই : অনেকে হয়তো ভ্রু কুঁচকাবেন ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র উপহার বই দিবেন এটা শুনে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এখনও এমন অনেক মানুষই আছেন, যার কাছে নতুন নতুন বই পড়া আর সংগ্রহে রাখার চেয়ে বড় উপহার আর কিছুই হতে পারে না। তাহলে দেরি কেন? এখনই চলে যান লাইব্রেরিতে। কিনে আনুন বিশেষ মানুষের পছন্দের সব বই। এমন সঙ্গী থাকলে হতাশ না হয়ে বরং নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতে পারেন।
উপহার ছাড়া বিশেষ দিন উদযাপন করা যায় না, এমন নয়। আবার দিবস গুনে ভালোবাসা হয় না, এমনটাও বলতে শোনা যায় অনেককে। কথা কিন্তু মিথ্যা নয়। ভালবাসা আর উপহারের নির্দিষ্ট দিন নেই, নেই মাপকাঠিও। সময় করে একটু সময়ই না দিলেন, তারচেয়ে সেরা রোমান্টিক উপহার আর কী হতে পারে?
|
|
|
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরস্পরকে আলিঙ্গন করার বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। আলিঙ্গনের সময় ‘অক্সিটোসিন’ নামক একটি হরমোনের নিঃসরণ হয়, যা বিষণ্নতা, রাগ ও একাকীত্ব ইত্যাদি দূর করে মনে প্রশান্তি আনে। শুধু তাই নয়, উদ্বেগ কমানো থেকে শুরু করে আত্মিক সংযোগ তৈরি করতে পারে একটি আলিঙ্গন। অনেক আবেগ কিংবা না বলার কথার বিকল্পও হতে পারে এটি।বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলো আলিঙ্গনের অনেক সুবিধার প্রমাণ পেয়েছে। এটি কেবল স্বাচ্ছন্দ্য, কর্টিসল, স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমায় না বরং ব্যথা উপশম করে এবং পেশী শিথিল করে। চলুন আলিঙ্গনের ৮টি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
হয়, তখন ব্রেস্টবোনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, যা মনকে আবেগপূর্ণ করে তোলে। এটি প্লেক্সাস চক্রকেও সক্রিয় করে, যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যকারিতাকে উদ্দীপিত করে। এই গ্রন্থি শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
২. স্ট্রেস কমায়: আলিঙ্গন করটিসলের মাত্রা হ্রাস করে, এটি হলো স্ট্রেস হরমোন। করটিসলের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে চাপযুক্ত পরিস্থিতিতে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন হ্রাস করে। আলিঙ্গন করলে তা রাতে ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে। তাই প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করুন। এটি দুজনের জন্যই ইতিবাচক।
৩. একাকিত্ব দূর করে: কাছের মানুষদের থেকে যত দূরে সরে যাবেন, নিজেকে তত বেশি একা ও নিঃসঙ্গ লাগবে। আলিঙ্গন মনে করিয়ে দেয় যে আমরা নিরাপদ, অন্যের কাছে প্রিয় এবং একা নই। তাই একাকিত্ব দূর করতে আলিঙ্গনের অভ্যাস করুন।
৪. ব্যথা দূর করে: শুধু মনের ব্যথা নয়, শরীরের ব্যথাও দূর করে আলিঙ্গন। এটি আপনার শরীরের ব্যথার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে। যে কারণ শরীরের উত্তেজনা হ্রাস হয়, যা উত্তেজনাপূর্ণ পেশীগুলোকে শিথিল করে।আলিঙ্গন ব্যথার বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি, রক্ত সঞ্চালনকেও উন্নত করতে সহায়তা করে। এমনকি এটি নরম টিস্যুগুলোতে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, যা পেশী টানকে শিথিল করতে সহায়তা করে।
৬. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: প্রিয়জনদের আলিঙ্গন করলে শরীরে অক্সিটোসিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি শরীর থেকে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যার ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭. ভয় দূর করতে সহায়তা করে: আলিঙ্গন উদ্বেগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলিঙ্গন মানুষের মন থেকে অস্তিত্বের ভয় দূর করতেও সহায়তা করে। তাই একাকিত্বের সময় কাউকে আলিঙ্গন করলে নিরাপত্তার অনুভূতি হয়।
৮. মন ভালো রাখে: ভালোবাসার মানুষকে জড়িয়ে ধরলে সেরোটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন মেজাজ ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সেরোটোনিনের বর্ধিত মাত্রা আপনার মেজাজকে উন্নত করে এবং মন খুশি রাখে।
|
|
|
তামিম ইকবাল, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম ও মিথিলা রাঁধবেন তাদের পছন্দের খাবার [ঢাকা, ১৮ নভেম্বর ২০২১]: জনপ্রিয় সেলিব্রেটি ও শীর্ষস্থানীয় রেস্টুরেন্টের শেফ/মালিকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত কুকিং শো ‘ফর দ্য লাভ অফ ফুড’ - এর দ্বিতীয় সিজন শুরু হতে যাচ্ছে। আজ (১৮ নভেম্বর) থেকে এনটিভিতে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হবে। অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা’র উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন নুহাশ হুমায়ুুন। সিজন-২ তে তামিম ইকবাল, চঞ্চল চৌধুরী, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা এবং সিয়াম আহমেদ অংশগ্রহণ করবেন। চার পর্বে এই অনুষ্ঠানটি প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬:৪৫ থেকে ৭:১৫ পর্যন্ত এনটিভিতে সম্প্রচারিত হবে। টিভিতে সম্প্রচারের পর প্রতিটি পর্ব ফুডপ্যান্ডা’র ইউটিউব এবং ফেসবুক পেজে আপলোড করা হবে, যাতে দর্শকরা তাদের প্রিয় সেলিব্রেটিদেরকে নিজেদের পছন্দের খাবার রান্না করতে দেখতে পারেন। গত বছর আয়োজিত ‘ফর দ্য লাভ অফ ফুড’ (এফটিএলওএফ)’র প্রথম সিজনটি দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং শুধুমাত্র ফেসবুকেই এর ১ কোটির বেশি ভিউ হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভোজন রসিকরা তাদেও প্রিয় সেলিব্রেটিদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানার পাশাপাশি, বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের শেফ/মালিকদের সাথে তাদের নিজেদের পছন্দের খাবার তৈরি করতেও দেখতে পারবেন। বাংলাদেশিদের ভোজন রসিক বলা হয় এবং সুস্বাদু খাবার আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশিদের সাথে খাবারের এমন নিবিড় সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই গত বছর ফুডপ্যান্ডা এই অসাধারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করে। সিজন ২ আরও বেশি আকর্ষণীয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের আয়োজনে মোট চারটি পর্ব থাকবে, যেখানে ঢাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টগুলোর শেফ এবং বিভিন্ন সেলিব্রেটিরা অংশগ্রহণ করবেন এবং তাদের পছন্দের খাবার রান্না করবেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় ডিলসহ তাদের পছন্দের খাবার কিনতে প্রোমো কোড প্রদান করা হবে। সেলিব্রেটি অতিথিদের পাশাপাশি, ম্যাডশেফ, কাচ্চি ভাই, গ্লেজড এবং বারকোড গ্রুপের মেজ্জান হাইলে আইয়ুন এই চারটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টের শেফ/মালিকরা এ অনুষ্ঠানে খাবার তৈরি করবেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন জনপ্রিয় ভিডিও নির্মাতা রাফসান শাবাব।
|
|
|
অতীত কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হলো বলিউড অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতমকে! চটে গেলেন অভিনেত্রী।
সাইফ আলি খান, অর্জুন কাপুর, ইয়ামি গৌতম এবং জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ অভিনীত ‘ভূত পুলিশ’ প্রেক্ষাগৃহে আসছে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর। সেই ছবির প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে গিয়েই ঘটল বিপত্তি! ঠিক কী হয়েছে?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানা গেছে, সম্প্রতি ‘ভূত পুলিশ’ সিনেমার প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ইয়ামি। সাদা পোশাকে সেজে এসেছিলেন অভিনেত্রী। তার স্টাইল স্টেটমেন্টে বজায় ছিল মিশরীয় লুক। তবে কানে পরেছিলেন কাশ্মিরী ঘরানার গয়না।
ওই অনুষ্ঠানে ইয়ামিকে উদ্দেশ করে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ বলে ডেকেছিলেন এক ফটোগ্রাফার। আর তাতেই ক্ষেপে যান অভিনেত্রী। প্রমোশনাল ইভেন্টে ইয়ামি যখন ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছিলেন, তখনই ওই চিত্রগ্রাহক বলে ওঠেন, ‘ও ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ একটু এদিকেও তাকান।’ তৎক্ষণাৎ অভিনেত্রী রেগে যান। পাশাপাশি ওই ফটোগ্রাফারকে একহাত নিতেও ছাড়েননি তিনি।
ইয়ামি বলেন, ‘আর একবার বলে দেখো…! সম্মান দিয়ে বলো। এসব নামে ডাকবে না আমাকে…।’ তবে অভব্য আচরণ না করে হাসিমুখেই উত্তর দেন ইয়ামি। উপস্থিত পাপারাজ্জিরাও ততক্ষণে অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চান।
ছোট পর্দার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন ইয়ামি। তবে পরবর্তীকালে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন সিনেমাজগতে। বলিউডের একগুচ্ছ হিট ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
তবে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ ক্রিমের বিজ্ঞাপন করে ‘রোষানলে’ পড়েছিলেন ইয়ামি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেত্রীকে নিয়ে সেই সময় ট্রোল-মিমের অন্তও ছিল না। কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ফর্সা হওয়ার প্রসাধনী দ্রব্যের বিজ্ঞাপনী দূত হিসেবে।
প্রসঙ্গত, বলিউডের পাশাপাশি পাঞ্জাবি, তামিল, তেলুগু, মালায়ালামসহ কন্নড় ছবিতেও অভিনয় করেছেন ইয়ামি। বর্তমানে নিজের ব্যক্তিগত এবং কর্মক্ষেত্র দুই জীবনে দারুণ সফল এই অভিনেত্রী। কিছুদিন আগেই ‘উরি’ পরিচালক আদিত্য ধরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইয়ামি। পরিবার এবং ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে তারা বিয়ে সারেন।
|
|
|
অতীতের ভুল থেকে বিএনপিকে শিক্ষা নিতে হবে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র নেতারা। `ইতিহাস কথা কয়`- শিরোনামে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
বুধবার (১৮ আগস্ট) এই ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অনেক ভুল করেছে। তার আত্মসমালোচনা করতে হবে। জিয়ার আদর্শচ্যুত হওয়ায় বিএনপি ক্ষমতা হারিয়েছে। বিএনপি যাতে বন্ধুহীন না হয়ে পড়ে সে বিষয়ে বিএনপিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় হাফিজ বলেন, ক্ষমতায় যেতে বিএনপি যেন কারো দয়া ভিক্ষা নিতে না যায়, জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে যতদিন সময় লাগবে ততদিনই অপেক্ষা করতে হবে।
‘শত চেষ্টা করেও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে না পেরে মুজিব হত্যার সাথে জিয়াকে জড়ানোর চেষ্টা করছে। হিংসা থেকেই আওয়ামী লীগ জিয়ার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে,’ বলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আফগানিস্তান থেকে শিক্ষা নেন। আমরা আশান্বিত হয়েছি। যত বড় পরাশক্তির সমর্থনই নেন, জনসমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় থাকা সম্ভব নয়। ষড়যন্ত্রের দিন শেষ, বিনাভোটে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের দিন ঘনীয়ে আসছে।
ভার্চুয়াল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভার শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তাবেদার রাজনীতিক দল ও জনবিচ্ছিন্ন সরকার। ১৫ আগস্টের ভ্রান্ত ইতিহাস তুলে ধরতে চায় সরকার, জিয়া সম্পর্কে মিথ্যা কথা কেউ বিশ্বাস করবে না বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
ইতিহাসের সত্যতা হলো, বাকশাল প্রতিষ্ঠা, ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ, বিরোধী রাজনীতিকদের হত্যার ইতিহাসও তুলে ধরতে হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বিতর্কিত করে কোনো লাভ হবে না,’ বলেন মির্জা ফখরুল। এ সরকারকে বিতাড়িত করতে তরুণ যুবকদেরকে সামনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান দলের মহাসচিব।
১৭ আগস্টের চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, বিনা উসকানিতে জিয়ার মাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ ১৮৭ রাউন্ড গুলি করেছে। মামলা দিয়ে বিএনপিকে দমন করাই সরকারের উদ্দেশ্য বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। এসময় বিএনপির মহাসচিব এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান।
ফখরুল বলেন, যখনই জিয়াকে নিয়ে ইতিহাস বিকৃতি চলবে তখনই প্রকৃত ইতিহাস সামনে এনে তার বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। সরকারের মন্ত্রীরা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তিকে টার্গেটে পরিণত করেছে।
লিখিত বক্তব্যে ফখরুল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়ার নাম সম্পৃক্ত করা আওয়ামী লীগের দেওলিয়াপনা ও ১৫ আগস্টের রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার শামিল।
দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার আলোচনায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা ছাড়াও কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের সাথে যুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরেন।
|
|
|
এই জগত রহস্য ভরে রয়েছে। কিছু রহস্য ভেদ করতে সফল হয়েছে মানুষ। তবে কিছু রহস্য এখনও পর্যন্ত অজানা রয়ে গিয়েছে মানবজাতির কাছেও। ঠিক এমনই একটি রহস্য হলো ২৪০ পাতার একটি বই। কথিত আছে, আজ পর্যন্ত কেউ এই বইটি পড়তে পারেনি।
ইতিহাসবিদদের মতে, এই রহস্যময় বইটি ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো। কার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, বইটি ১৫ শতাব্দীতে লেখা হয়েছিল। বইটি হাতে লেখা হয়েছিল। কিন্তু কী লেখা হয়েছিল এবং কোন ভাষায় লেখা হয়েছিল, তা আজ পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেনি৷ বইটি আজ পর্যন্ত রহস্যময় হয়ে রয়ে গিয়েছে। বইটি ‘ভয়নিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট’ নামে নামকরন করা হয়েছে। বইটিতে মানুষ থেকে নিয়ে গাছপালার একাধিক ছবি বানানো হয়েছে।
‘ভয়নিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট’ নামের এই বইটির সবথেকে অদ্ভুত বিষয় হলো, বইটিতে এমন কিছু গাছপালার ছবি রয়েছে, যেগুলোর পৃথিবীর গাছপালার সঙ্গে কোনো মিল নেই। ইতালির একটি বইয়ের ডিলার বিলফ্রিড বায়োনিকয়ের নামে নামকরণ হয়েছে। বলা হয় তিনি এই বইটি ১৯১২ সালে কিনে এনেছিলেন। কিন্তু তিনি কোন জায়গা থেকে বইটা কিনেছিলেন আজ পর্যন্ত বড় রহস্য। এই রহস্যময় বইটিতে অনেক পাতা ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পাতাগুলো নষ্ট হচ্ছে। এই মুহূর্তে বইটিতে মাত্র ২৪৬ টি পাতা রয়েছে৷ এই বিষয়ে বেশি কিছু তথ্য খুঁজে পাওায়া যায়নি৷ কিন্তু এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বইটির কিছু শব্দ ল্যাটিন এবং জার্মান ভাষায় রয়েছে।
অনেকে বলে থাকেন, এই বইটি ইচ্ছাকৃতভাবে এইভাবে লেখা হয়েছে যাতে কেউ পড়তে না পারে এবং এর রহস্যভেদ না হয়। তবে সেই রহস্যটা কী, সেটা শুধুমাত্র এই বইটির লেখকই হয়তো জানতেন। কিংবা আগামিদিনে হয়তো কেউ এই বইটিতে কী লেখা রয়েছে, সেই রহস্যভেদ করতে সফল হবে। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
|
|
|
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল চিকিংসা আর চিকিৎসকের অবহেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত মেহবাহুল হক লালন (১৯) সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামের জলাই মন্ডলের ছেলে। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
নিহত লালনের বড় ভাই বিপ্লব বলেন, দেড় মাস আগে ফুটবল খেলার সময় ডান হাতের হাড় ভেঙে যায় লালনের। স্থানীয় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করে সুস্থ হলেও মাঝে মাঝে হালকা ব্যাথা অনুভব করতো লালনের হাতে ।
বুধবার (৩ মার্চ) সকালে ডা. জিল্লুর রহমান সিদ্দীর কে দেখালে তিনি বলেন, জরুরি ভাবে হাতে অপারেশন করতে হবে। তিনি ভর্তি হতে বলেন শহরের ডেল্টা হাসপাতাল ক্লিনিকে। ডাক্তারের কথা মতে বিকেলেই লালন ভর্তি হয় সেখানে। ভূল চিকিৎসায় রাতে মারা যান লালন।
লালনের দুলাভাই মজিবর রহমান বলেন,
বুধবার রাত ১০টার পরে লালনকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগে অনেক কথা হয়েছে।
লালন বলেছিল, তার অন্য কোনো সমস্যা নেই। হাতের অপারেশন ভয়ের কিছু নেই। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পরে সে সবার সাথে কথা বলছিল। লালনকে অপারেশন থিয়েটারের বাহির থেকেই দেখা যাচ্ছিল।
তাকে কয়েকটা ইঞ্জেকশন পুশ দেওয়া হলে সে ধীরেধীরে জ্ঞান হারায় । পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে লালনের হালকা সমস্যা দিনাজপুর মেডিকেলে নিতে হবে। অ্যাম্বুলেন্সে দ্রুত তুলে নিয়ে সরে যায় তারা। হালকা শ্বাসপ্রশ্বাস চললেও পথে তার মৃত্যু হয় লালনের।
লালনের বাবা জলই মন্ডল বলেন,
ডাক্তার বলেছিল হালকা অপারেশন সে জন্য ছেলেকে নিয়ে গেছিলাম। আগে জানলে কসাই খানায় নিয়ে যেতাম না ছেলেকে নিয়ে । সুস্থ ছেলেকে হাতের ছোট একটা অপারেশনে হারাতে হবে ভাবতে পারিনি। ইচ্ছে করছে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উচিত শিক্ষা দেই। আমার মত আর যেন কোন বাবার কোল খালি না করে তারা। কিন্তু মামলা করলে সোনার ছেলেকে কাটা ছেড়া করবে সে কারণে মামলা করছি না। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলাম স্বপ্ন আমার শেষ হয়ে গেল।
তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডা. জিল্লুর রহমান সিদ্দীর কোন কথা বলতে রাজি হননি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পরিদর্শক (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে শুনেছি। কেউ এখনো কোন অাভিযোগ করপনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
|
|
|
আপডেট:মার্চ ০৪,২০২১
সিলেট প্রতিনিধি:মো.আমিন আহমেদ- ওসমানীনগরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ভারতীয় নাসির বিড়িসহ ২ জনকে আটক করেছে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। বুধবার (৩ মার্চ) গোয়ালাবাজার থেকে এদেরকে আটক করা হয়। আটকৃতরা হচ্ছেন, ওসমানীনগর থানার নগরীকাপন গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আয়াছ মিয়া (৪০) ও নবীগঞ্জ থানার ঢালারপার গ্রামের মৃত কালাম উদ্দিনের পুত্র মজনু মিয়া (২৭)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওসমানীনগর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, শেরপুর থেকে সিলেটগামী বিরতিহীন যাত্রীবাহী বাস গাড়িতে ভারতীয় নাসির বিড়ি নিয়ে উঠেছে ৪জন লোক। গোয়ালাবাজারে গাড়ি থামলে পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে ৪জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ জড়িতদের মধ্যে ২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। অন্য ২ জন পালিয়ে যায়। এব্যাপারে এসআই মো. নাজমুল হুদা বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। আটক করা ৭৭ হাজার শলাকা নাসির বিড়ি যার বাজার মূল্য ৬৫ হাজার টাকা। আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বনিক বলেন, পলাতকদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
|
|
|
নজরুল ইসলাম তোফা:: আজকের এ বাংলাদেশটিকে স্বাধীনের পিছনে প্রতীকিভাবেই চলে আসে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদের রক্তে রাঙানো শহীদ মিনার, অসাম্প্রদায়িকতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইত্যাদি। এমন বিষয়গুলো আজকে প্রতীকিভাবেই প্রকাশ করানোর মাঝে বেঁধেছে সংঘাত। এই দেশের স্বাধীনতার পিছনে এমন কিছু বৃহৎ শক্তিগুলোর অবদানকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজ এইদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন বা বর্জনের দ্বিধা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলেই যেন তারা সিদ্ধান্তের নিরিখে দোলাচল। সেখানে তাদের প্রতিবাদটাও `ভঙ্গুর`। আর যথার্থ প্রতিবাদের ভাষায় উঠে আসে নিম্ন চেতনার কিছু `পোড়া টায়ারের গন্ধ`। তাদের আঘাত প্রত্যাঘাতের মাঝে জন্মদাগও মুছে যায়। অবাক হতে হয়, স্বাধীনতার ডাক দিয়ে যে পুরুষ বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল, তাকে নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিতে কথা বলায় বুক কাঁপেনা। তারা সংশোধনাগার থেকে আজও সঠিক ঠিকানায় পৌঁছাতে পারলোনা। এই দেশে কিছু কুচক্রী মহলের নিকট থেকে নিরুপায় হয়ে অনেক দূরত্বে যেন `সুশীল সমাজ`। কঠিন থেকে কঠিনতর এক বাস্তবতাকে পর্যায় ক্রমিক প্রহসনে রূপান্তরিত অসাধু মানুষ। যেকোনো ধর্মের দোহাই দিয়ে শুধুমাত্র চায়- ``ক্ষমতা``। এ লোভ যেন ইতিহাস বিকৃতির এক ভয়ানক লোভ। "কলমে বঙ্গবন্ধু, ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু বা চেতনার বঙ্গবন্ধু`কে তারা নিশ্চিহ্ন করতে চায়। ভাববার সময় এসেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে এদেশের বিজয়ের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য কতোটুকু সত্য থাকবে সন্দেহ হয়। সাম্প্রদায়িকতার প্রতিবাদটা দেশে কোথা থেকেই আসে মস্তিষ্কে তাদের।
অসাম্প্রদায়িকতার বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতার এক তান্ডব যেন অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিছুসংখ্যক ভিন্ন মনোভাব পোষণকারী এবং মতাবলম্বী মানুষদের গুরুত্ব দিয়েই যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বা সংস্কৃতির আজ বিলুপ্তির পথে। মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা ও জাতির পিতা "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের গর্ব এবং অহংকার``। মুুুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই তো আমরা আজকে পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বলতেও পারি যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ, আর তা দিনে দিনেই এসে দাঁড়িয়েছে প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ। তরুণরা এদেশের খুব সত্য ইতিহাস খোঁজে পায়না বললেই চলে, তা জানতে তার মধ্যেও দ্বিধা দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। একটু বলতেই চাই যে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে পরাজিত গোষ্ঠী জামায়াত, আলবদর, রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীরা পরাজিত হয়ে, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি নেতৃত্বদানকারী আরো চিহ্নিত কিছু দল ঐক্যবদ্ধ হয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য চেষ্টা চালায়। বিভিন্ন তথ্য মতে ইসলামিক সংগঠনগুলো জামায়াত-শিবিরসহ উগ্রপন্থী ইসলামিক দলগুলিই যেন স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করার জন্যে নানাধরণের অপকর্ম, বিশৃঙ্খলতা বা স্বাধীনতার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি কিংবা জাতির পিতার স্মৃতি মুছে ফেলার জন্যে অপপ্রচার চালিয়ে এইদেশের জনগণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে। যা দেশের জনগণের ভিতরে একটি স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়েই ভুল বোঝা বুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। এই দেশে স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি দালালরা একের পর এক কৌশলে দেশ বিরোধী অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তিলকে তাল বানিয়ে যেন অন্যান্য ধর্মীয় মানুষকে কোনঠাসা করছে। জনসাধারণ আজ ধর্মীয় জাঁতাকলেই নিরুপায়। তবুও আজ দেশের সঠিক ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের কাছে চিন্তা- ভাবনার জায়গা সৃষ্টি করে দিতে হবে। স্বাধীনতার বিজয়ের কিছু ইতিহাস ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা না করলেও একটু সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশের নিকট থেকে এই দেশের জনগণ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই পাকিস্তানের দুই প্রদেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ইস্যু নিয়েই সম্পর্কের অবনতি ঘটে, সেগুলোর মধ্যে কিছু তুলে ধরা যেতে পারে যেমন ধরুন ভূূমি সংস্কার, রাষ্ট্র ভাষা, অর্থনীতি এবং প্রশাসনের কার্য ক্রমের মধ্যে যেন দু`প্রদেশের অনেক বৈষম্য, প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসন, পূর্বপাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ও নানাধরনের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংঘাত সৃষ্টি হয়। মূলত `ভাষা আন্দোলন` থেকে বাংলাদেশের মুুুক্তিযুদ্ধের নানা পটভূমি তৈরি হতে থাকে। একটু জানার চেষ্টা করি যে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকেই `স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা` বলা যায়। এ বাঙালিরা ১৯৫৪ সালের ``নির্বাচনে জয়ী`` হওয়ার পরেও তারা ক্ষমতা পেয়ে পূর্বপাকিস্তান বা পূর্ববাংলাকে শাসন করার অধিকার পায়নি। ঠিক তখন পূূর্ববাংলার জনগণ মূলত “২১-দফা” প্রণয়ন করে জনগণকে সংঘ বদ্ধ করে রাজনৈতিক আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা শুরু করে। আর ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে গিয়েও আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে, সেখানেই `বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে` পাকিস্তানের সেই সামরিক এবং বেসামরিক নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের জননেতা- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাপ্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসতে দেওয়া হয়নি কিংবা অস্বীকার করেছে। তাইতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তার প্রতিবাদে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। তিনি ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বা বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জন-সমুদ্রে ঘোষণা করেছিল, ``এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,.. এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তারই ঘোষণায় সাধারণ মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এরপরে ১৯৭১ এ ২৬ মার্চে আবার বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিলে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মুুুক্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্ত ক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় সূচিত হয়। অর্জিত বাংলার স্বাধীনতা। ২৬ মার্চ আর ১৬ ডিসেম্বর দুটি দিবস কিংবা দিনকে বুঝতে বা বুুঝাতে হয়তো বা অনেকেরই সমস্যা হয়। `‘স্বাধীনতা দিবস`’ ২৬ মার্চ আর ‘`বিজয় দিবস`’ ১৬ ডিসেম্বর এ দুটি দিবসকে গুলিয়ে ফেলি। স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসটাকে নিয়ে বহুজনেরই উলটাপালটা হয়। পেপার পত্রিকাতেও এ ভুল অনেকের চোখে পড়ে। দু`জায়গার কথাগুলোকে গুলিয়ে ফেলেই একাকার করে দেয়। পরিস্কার ধারণার আলোকেই বলতে হয়,- বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসটা হচ্ছে ২৬ মার্চ তারিখে পালিত হওয়া এক জাতীয় দিবস, এইটিকেই ১৯৭১ সালের `২৫ মার্চ` রাতে তৎকালীন- পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবেই যেন স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। আর সেই মুহূর্তের রাতের পর দিনটি আসে ২৬ মার্চ, আর সে দিনটাকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা দিবস বলছেন। আরো পরিষ্কার ভাবেই বলতে চাই,- ২৬ মার্চের রাত বারোটা থেকেই এ দেশের জনগণ স্বাধীনতা দিবস পালন করে আসছে। কারণটা হলো যে, ১২টার পর মুহূর্তে পূর্ব পাকিস্তান কিংবা এ বাংলাদেশের জমিনে যতধরণের পাকিস্তানী সেনারা ছিলো তারা যেন হয়েই গেলো `বিদেশী হানাদার শত্রু বাহিনী` এবং তাদের নিজস্ব এই জন্মভূমির মাটি থেকে তাড়াতে যে যুদ্ধ শুরু হলো- সেটাই হচ্ছে `মুক্তিযুদ্ধ`, স্বাধীনতার যুদ্ধ একথাটা- “একটু ভুল”। আর ‘২৬ মার্চ’- থেকেই যদি আমরা শুরুর প্রক্রিয়াতে স্বাধীন না হই তাহলে, মুক্তিযুদ্ধটা কিন্তু আর- `মুক্তিযুদ্ধ` থাকে না, পাকিস্তানের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ হয়ে যায়। সুতরাং, এমন বিদেশী দখলদার বাহিনীদের সহিত দীর্ঘ- ”নয় মাস” আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশে ‘বিজয়’ আনে, তাই তো আমরা পেয়েছি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস।
এ পৃথিবীতে মাত্র দুইটি দেশ- "স্বাধীনতার ডাক বা কথা`` ঘোষণা দিয়েই দেশ স্বাধীন করেছে। এ `বাংলাদেশ আর আমেরিকা`। সেই হিসাবে ২৬ মার্চ থেকেই এ বাংলাদেশ স্বাধীন, তা অবশ্যই সাংবিধানিক ভাবেই প্রতিষ্ঠিত, এটা নিয়ে আদৌ তর্কের কোন অবকাশ নেই। বলা প্রয়োজন যে, পাকিস্তানের শাসকরাই চেয়ে ছিল ক্ষমতা সব সময় পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে থাকুক। সুতরাং তারা যেন দিনে দিনে পূর্ব পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের মানুষকে যাঁতা কলে বন্দি রাখার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।পূর্ব পাকিস্তানের ‘পাট’, ‘চামড়া’ বা ‘চা’ রপ্তানি করেই যে বিদেশি মুদ্রা আয় হতো- তা পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন কাজে চতুরতার সঙ্গে তারা ব্যয় করতো। পূর্ব পাকিস্তান এর চাষ করা ফসলের বাজার দাম পশ্চিম পাকিস্তানেই অনেক কম আর পূর্ব পাকিস্তানে অনেক বেশি। এই সব অসংখ্য তথ্য রয়েছে। যা পূর্ব পাকিস্তান এবং আজকের বাংলাদেশের সকল জনতা মেনে নিতে পারেন নি। আর ভেতরে ভেতরে যেন একধরনের ক্রোধ সৃৃষ্টি হয়েছিল এ দেশের জনগণের। সারা পূর্ব পাকিস্তান বা আজকের এ দেশ তখন মিছিলের নগরী হয়েছিল।
১মার্চ পাকিস্তানের সেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সাহেব জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করার পরে বিভিন্ন কাজে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান মুখোমুখি অবস্থানেই দাঁড়িয়ে যায়। পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠির মুখোশ উম্মোচিত হয়। পূর্ববাংলার জনসাধারণ বুুঝতে পারে এইবার তারা আলাদা জন্ম ভূমি গড়তে পারবে। এ দেশের পরিস্হিতি যদিও আয়ত্তের বাইরে চলে যায়, তবুও ৩ মার্চে ঢাকাতে `কারফিউ জারি` করে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়েছিল। এই খবর বাংলার জনতা জানার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার বাইরের যারা তাদেরও যেন দেশের জন্য উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছিল। আর সেই সময়ে মিছিলমিটিংয়ের নতুন গতি পেয়েছিল। আবার ২মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এদেশের পতাকা ওড়িয়েছিল ডাকসুর ভিপি, আ স ম আব্দুর রব আর ৪মার্চে ঢাকায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিল ছাত্রলীগ নেতা, শাহজাহান সিরাজ। তার ভিত্তিতেই বলা যায় এই দেশে কারফিউ হয়ে ছিল। আসলেই মার্চ থেকে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলকভাবে আলোচনা করার ইচ্ছা থাকলেও অল্প পরিসরেই তা সম্ভব হচ্ছেনা। তবুও বলি এদেশটা পাওয়ার উদ্দ্যেশে আওয়ামীলীগের ডাকেই সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত জোরদার ভাবে হরতাল পালিত হয়েছিল।
জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশনায়- দুপুর আড়াইটা থেকেই বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অতি জরুরি কাজ করার জন্যে সরকারি বেসরকারি অফিস কিংবা ব্যাংক খোলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। তাছাড়াও তিনি জরুরি সার্ভিস, হাসপাতাল, ঔষধের নানান দোকান অ্যাম্বুলেন্স সহ সংবাদ পত্র এবং সংবাদ পত্রের গাড়ি, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন এইগুলো সেই হরতালের বাহিরে রেখে ছিল। এক কথায় বলতে গেলে, জাতির জনক "বঙ্গবন্ধু" যা যা বলেছিল তাই ঘটেছিল। তার নির্দেশে পূর্ববাংলার সকল জনতা একীভূত হয়ে এই দেশটি স্বাধীন করেছে। আরো জানা দরকার, ৬ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ‘ইয়াহিয়া খান’ রেড়িওতে জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণ দেয়। এতেই ”২৫ মার্চ” জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে বসার ঘোষণা ছিল। আর তার সঙ্গে বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, এক প্রকার হুমকি বা ধমক দিয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তা একেবারেই যেন সহ্য করতে পারেননি, তিনিও ৭ মার্চের ভাষণেই তার অনেক জবাব দিয়ে ছিল। আবার ১৫ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আমাদের পূর্ব পাকিস্তান আসে এবং ১৬মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সে বৈঠকে কোনো কাজ না আসলে বঙ্গবন্ধু- ``শেখ মুজিবুর রহমান" বাংলা ছাড়ার ডাক দেন। ক্ষুব্ধ `ইয়াহিয়া` রাগেই যেন ফোঁস ফোঁস করে। এ ধরনের আরো অনেক বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু কোনো প্রকার কাজ হয়নি। অনেকাংশে তাদের কাল ক্ষেপণের মধ্য দিয়ে যেন পশ্চিম পাকিস্তান থেকেই- গোলা বারুদ, সৈন্য-সামন্ত বাংলার জমিনে খুব দ্রুত গতিতে আসতে থাকে। তখনই পূর্ববাংলার মানুষরা যুক্তিতর্কের উর্ধ্বে উঠেই যেন স্বাধীনতা অর্জনের নেশায় উম্মত্ত হয়ে যায় এবং যার যাছিল গাইতি, বল্লম, রামদা, বর্শা, লাঠি এই গুলো নিয়েই রাস্তায় নেমে পড়ে। সুতরাং তারাই তো আমাদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’, তাঁরা এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে।
বাংলাদেশের “স্বাধীনতা সংগ্রাম” ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং শোষণের বিরুদ্ধে। ১৮ মার্চ এক অসহযোগ আন্দোলনে ১৬ দিনেই তারা "পদার্পণ করে"। এ আন্দোলনের ঢেউ গ্রাম হতে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে। সংকটাপন্ন অবস্থায় এইদেশ, যুদ্ধ চলছে, চলছে লাশের মিছিল। ২০ মার্চ জয়দেবপুরের রাজ-বাড়ীতেই অবস্থিত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি দক্ষ `ব্যাটালিয়ন` তাদের হাতিয়ার ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রকে `নস্যাৎ` করে দেয়। তারপরে শহর হতে গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা সবাই মিলে টঙ্গী এবং জয়দেবপুরের মোড়ে একটা ব্যারিকেড গড়ে তোলে নব নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সদস্য, মোঃ শামসুল হকের নেতৃত্বে। ২২ মার্চে শহর হতে গ্রাম পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য বাঙালী সংগ্রামে গর্জে ওঠে। এমন ভাবে যতই দিন রাত অতিবাহিত হচ্ছিল, ‘`রাজনৈতিক সঙ্কট`’ ততই গভীরতর হয়ে যাচ্ছিল। এর পরে আরও আসে, ইতিহাসের একটি ভয়ালতম কালোরাত্রি। সে কালো রাতটা যেন বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে আতংকের রাত। পশ্চিমপাকিস্তানের সামরিক সরকার থেকে গণ হত্যার নির্দেশ আসে। তখন ব্যাপক পরিমাণেই পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের সমাগম ঘটে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নির্বিচারে গণ হত্যা শুরু হয় এমন রাতে। ২৫ মার্চ কালো রাত ও অপারেশন সার্চলাইট অপারেশনে নেমেছিল সেই কুচক্রী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যেন নির্বিচার হত্যার সাথে সাথেই জ্বালাও পোড়াও স্বাধীনতাকামী বাঙালীর কণ্ঠস্বরটাকে বুলেট দিয়ে চিরতরে স্তব্ধ করার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এ অপারেশনের মূল লক্ষ্য ছিলো ইপিআর (“ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস”, বর্তমানে বিজিবি) ও এই দেশের পুলিশ সহ বাঙালী সেনা সদস্যদের নিরস্ত্র করা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ আওয়ামীলীগ এর নেতা এবং গুরুত্ব পূর্ণ ১৬ জন ব্যক্তির বাসায় হানা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। জ্বলছে ঢাকা আর মরছেও বাঙালী`রা। একই সাথে শুরু হয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার প্রথম প্রহর। এ ভাবেই ‘`মুক্তিযুদ্ধ`’ চলতে চলতে যখন হানাদার পাকবাহিনী বুঝে গেল পরাজয় তাদের অনিবার্য তখনই তারা এ পূর্ব বাংলাকে মেধা-শূন্য, পঙ্গু, কিংবা নেতৃত্বহীন করার জন্যই ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার, আল-বদর, আল -শামস বাহিনীর সহযোগিতায় অন্ধকার রাতে হত্যা করে বহু সংখ্যক অধ্যাপক, প্রকৌশলী, ডাক্তার, আইনজীবী, শিল্পী বা কবি-সাহিত্যিকদের। তথ্যের আলোকেই প্রথম সারির দু শতাধিক বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে হত্যার মাধ্যমে ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা করে ছিল।এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েই প্রায় দুই লাখ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে এই `স্বাধীনতা`৷ আবার বহু জন তাঁদের মূল্যবান ধনসম্পদকেও হারিয়ে ছিল। ‘অগ্নি সংযোগ’, ‘নারী ধর্ষণ’, ‘গণহত্যা’, ‘সংঘর্ষ’ কিংবা ‘হামলা’, আর লুটতরাজের মতো অনেক অপ্রীতিরক ঘটনা-ঘটে যাওয়ার পরও বাঙালির চেতনায় যেন স্বাধীনতা ছিল।
ইশতেহারে বলাই ছিল, আজ থেকেই “স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ” এমন ঘোষণার কথাটা পূর্ণবাংলার মানুষের প্রাণশক্তি, আর তাইতো ৫৪ হাজার বর্গমাইলের ৭কোটি মানুষের আবাস ভূূমির নাম হবে বাংলাদেশ, এতে আজ বাঙালি গর্বিত। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের পর যুদ্ধ সুকৌশলে চালিয়েই পাক-বাহিনীর আত্ম সমর্পণের মধ্য দিয়েই ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় করেছে। সুতরাং, অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন বাংলাদেশের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হয়ে ছিল বাঙালি জাতির মুল কর্ণধার। সারাবিশ্বের দরবারে বা মানচিত্রে সংযোজিত হয়েছে `নতুন ও স্বাধীন` এদেশ, ``গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ``। এই বাংলার জনপ্রিয় নেতা,- ``বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান" জেল থেকে বাহির হয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল আর তিনিই এ দেশের স্থপতি, তাকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখার জন্যেই প্রতিকী ভাস্কর্য নির্মাণ করা জাতির কাছে হবে অনেক গর্বের বিষয়। তাছাড়াও তরুণ প্রজন্ম আগামীতে মহান ব্যক্তিকে স্মরণ করায় হয়তো বাধাগ্রস্ত হবে। ভুলে গেলে কি চলবে, তিনিই ছিলেন সকল জাতি পেশার একজন অসাম্প্রদায়িক নেতা। সুতরাং যুুুুগেযুগে এমন কালজয়ী সর্বশ্রেষ্ঠ মহানায়কের হাত ধরে অর্জিত হওয়া "লাল সবুজের জাতীয় পতাকা" এবং তাঁর ভাস্কর্য অক্ষন্ন রাখা আমার, আপনার অসাম্প্রদায়িক চেতনাতে লালন করা উচিত।
লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।
|
|
|
নজরুল ইসলাম তোফা: বর্তমানে সারাবিশ্বের ঘরে ঘরে বিনোদনের জন্য অনেকেই পছন্দের তালিকায় রেখেছে ইউটিউব। ইউটিউব মুলত নানা প্রকারের ভিডিও প্রচার কিংবা প্রকাশনার এক বৃহৎ ওয়েবসাইট। দেখা যায় যে, এমন প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি মানুষ এখন ভিডিও নির্মাণ ক্লিপ ইউটিউবে দিচ্ছে। সেখানে সব সময় চলমান থাকে শিক্ষা মূলক নানা অনুষ্ঠান, ডকুমেন্টারি, টিউটোরিয়াল, গান, নাটক, সিনেমা, কৌতুকসহ কৌতুকমূলক নাট্যাংশ থেকেই বিভিন্ন ধরনের রান্না, ভ্রমণ, ঐতিহ্য পূর্ণ স্হানের পাশাপাশি নানা ধরনের ৫০০ কোটি ভিডিও এক দিনেই দেখা যায় ইউটিউবে। বিস্ময়ের শেষ এখানেই নয়। প্রতি মিনিটে এখানে আপলোড কিংবা যোগ হচ্ছে প্রায়- ৩০০ ঘণ্টার ভিডিও। প্রায় ১৩০ কোটি খুব সাধারণ মানুষ সহ অভিজ্ঞ মানুষ`রা ইউটিউব ব্যবহার করেন। এই জনপ্রিয় মাধ্যমে ভিডিও নির্মাণ এবং প্রচার প্রচারণা যারা করেন তাদেরকে যেন ইউটিউবার বলছেন। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ গুগল মানসম্পন্ন কিংবা জনপ্রিয় ভিডিও গুলোর জন্যে নিবন্ধিত ইউটিউবারগনরা `অর্থমূল্যেও পুরস্কৃত` হচ্ছেন। বছর না ঘুরতেই কোটিপতি বনে যাচ্ছেনও কেউ কেউ। কিন্তু দুঃখের বিষয়টা হচ্ছে, আমাদের বাংলাদেশে কিছু ইউটিউবার`রা অসৎ উপায় অবলম্বন করছেন। তারা সে স্বপ্নে বিভোর হয়ে অশ্লীলতার পথে পা বাড়িয়েছেন।
ইউটিউব সান ব্রুনো, ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত একটি মার্কিন অনলাইন ভিডিও-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তারা নির্বুদ্ধিতা পরিচয় দিচ্ছেন। দু্ঃখ হয় যে,- বর্তমানে মানুষদের ভিডিও দেখা মানেই `ইউটিউব`। এমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, তাদের মোবাইল আছে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা ইউটিউবের প্রোগ্রামগুলি দেখেন না। কেউনা কেউ যেকোনো ধরনের শিক্ষা, খেলা-ধুলা, বিনোদন, সংবাদ, প্রযুক্তি, সাজসজ্জা, রান্না ও ভ্রমণ থেকে শুরু করে প্রায় সবধরনের ইউটিউবের ভিডিওতে দেখেন। ভালোমন্দের সমাহারে এগিয়ে যাচ্ছে ইউটিউব। কিন্তু আমাদের দেশে তরুণ প্রজন্মের ছেলেরা ভিডিও ক্লিপ নির্মাণে শুধুমাত্রই অশ্লীলতা খোঁজছেন। ইউটিউবে প্রকাশ করলেই তাদের `অশ্লীলতার ছড়াছড়ি`। শিক্ষা-বিনোদনের নামে পরিবার থেকে অনুমতি নিয়েই নোংরা পথে হাঁটছেন। এক অনন্য মাধ্যম যদি হয় ইউটিউব তবে সেখানে নির্মাতাদের বাবা মাকে দৃষ্টি রাখা উচিত। এমন অশ্লীল নির্মাতারাই তাদের প্রিয়জন ও বাবা মাদের ভুল বুঝিয়ে বা অর্থ উপার্জনের সফলতার পথ শুনায়ে শুটিং স্পটে নোংরামি করছে। এ জনপ্রিয় মাধ্যম অর্থ দিলেও তারা অশ্লীলতার উপর ভর করে সমাজ পরিবেশকে নষ্ট করছে। যেকোনো সরকার ক্ষমতায় থাকুক না কেন, সেই সরকারসহ এই সমাজের সামাজিক সচেতন ব্যক্তিরা তরুণপ্রজন্মকেই সচেতনতা কথা বুঝাতে হবে। ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করেই যেমন স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় তেমনি অনেক আয়ও করা যায়। তার মানে স্বাধীনতা পেয়েই কি নোংরামি করবেন। আপনার কি সামাজিক দায়বদ্ধতা নেই।
ইউটিউব ব্যবহারকারীদের আপলোড দেওয়া বা দেখার সুযোগ প্রদানসহ তাকে মূল্যায়ন করা, শেয়ার, প্লেলিস্টে যুক্তকরণ, রিপোর্ট, ভিডিওগুলিতেও মন্তব্য করা কিংবা অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাবস্ক্রাইব করার খুবই সুবিধা প্রদান করেছে। এই ইউটিউব ব্যবহারকারী-উৎপাদিত ও কর্পোরেট মিডিয়ায় ভিডিও গুলো যেন একটি বিস্তারিত উপস্থাপন প্রদান করে। উপলভ্য সামগ্রীর মধ্যেই ভিডিও ক্লিপ, মুভি ট্রেলার, টিভি শো ক্লিপ, স্বল্পদৈর্ঘ্য বা প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, অডিও রেকর্ডিং, সঙ্গীত ভিডিও, ভিডিও ব্লগিং ও লাইভ স্ট্রিম, স্বল্পদৈর্ঘ্য মূল ভিডিও কিংবা শিক্ষামূলক ভিডিওর মতো অন্যান্য সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত আছে বলে এই ইউটিউবে বেশিরভাগ সামগ্রী ব্যক্তিগতভাবে আপলোড করা যায়। তবে ভেভো, বিবিসি, সিবিএস কি়ংবা হুলুসহ মিডিয়া কর্পোরেশন সমূহ `ইউটিউব` এর অংশীদারিত্বের প্রোগ্রামে অংশ হিসাবেই তাদের কিছু উপাদান ইউটিউব এর মাধ্যমে সরবরাহ করে। এইখানে যিনি ইউটিউব এর নিবন্ধিত বা ব্যবহারকারী তারাই কেবল মাত্র এ সাইটেই ভিডিও দেখতে। তবে তাদেরকে কোনোকিছু আপলোড করার সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় নাই। আর যা পারবেন, তা হলো নিবন্ধিত ব্যবহারকারীদেরও `সীমাহীন সংখ্যক` ভিডিও আপলোড সহ বিভিন্ন ভিডিওতেই মন্তব্য করার অনুমতি। আবার বয়স-সীমাবদ্ধ এমনধরনের বেশকিছু ভিডিওগুলো কেবল নিবন্ধিত ব্যবহারকারীদের জন্যেই কমপক্ষে `১৮ বছর` বয়সের মানুষদের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দেখার অনুমোদন রয়েছে।
ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা ভিডিওর মধ্যে থাকা যাকিছু কপিরাইটযুক্ত বিষয়বস্তু তাকে দেখাশুনা কিংবা পরিচালনা করার জন্য যেন ইউটিউব সদাসর্বদা আছে। সেইগুলির রিপোর্ট অনুসারেই অ্যালগরিদম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও মিথ্যাচার প্রচার বিষয়ক কমিটি আছে। এমন ভিডিও গুলিকেই ইউটিউব স্থগিত করে। আবার শিশুদের লক্ষ্য করেই ভিডিও গুলোতে জনপ্রিয় চরিত্র গুলোতে জড়িত সহিংস এবং যৌন পরামর্শদায়ক সামগ্রী, নাবালিকাদের ভিডিও মন্তব্য বিভাগে যেন `পেডোফিলিক ক্রিয়াকলাপ` আকর্ষণ ও বিজ্ঞাপনে নগদীকরণের জন্যেও `ইউটিউব` উপযুক্ত সামগ্রী বা অর্থ প্রদানের একটি বৃহৎ ওঠানামার নীতিমালা রয়েছে। ইউটিউব বা নির্বাচিত নির্মাতা গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন উপার্জন অর্জন করে থাকে, এটি এমন একটি `প্রোগ্রাম` যা সাইটের সামগ্রী ও শ্রোতা অনুযায়ী বিজ্ঞাপনকে লক্ষ্য করে। এই ইউটিউবের সিংহ ভাগ ভিডিও নিখরচায় দেখার জন্য উন্মুক্ত। তবে একটা কথা যে, এটি "সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক প্রিমিয়াম চ্যানেল"। চলচ্চিত্র ভাড়ার পাশাপাশিও ইউটিউব মিউজিক কিংবা ইউটিউব প্রিমিয়াম সহ সাবস্ক্রিপশন পরিসেবাগুলি যথা ক্রমে প্রিমিয়াম, বিজ্ঞাপন-মুক্ত সঙ্গীত স্ট্রিমিং ও উল্লেখ যোগ্য ব্যক্তিত্ব থেকেই `কমিশন যুক্ত একচেটিয়া সামগ্রী` সহ সমস্ত সামগ্রীতে বিনা মূল্যে প্রবেশযোগ্য।
যাক এ আলোচনায় যা বলতে চাই তা হলো, ইউনিসেফ বলছে,- বিশ্বজুড়ে রোজ ১ লাখ ৭৫ হাজার কোমলমতি শিশু নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর অর্থ হচ্ছে, প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজন শিশু প্রথম বারের মতো ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে। আর সেই শিশুদের ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করাটাই তাদের মূখ্য কাজে দাঁড়ায়। ইউটিউবের ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর হাত থেকে এই শিশুদের রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারসহ সকল মানুষের। বলতে দ্বিধা নেই যদি এক্ষেত্রে সরকার, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসে। তবে তাদের ভবিষ্যৎ হবে খুব ভয়াবহ। এই প্রযুক্তি শিল্পগুলোর সাথে তারা ব্যবসায় জড়িত তাদেরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে, তাদের পরিচ্ছন্নভাবেই ভিডিও নির্মাণ করতে হবে। তারা নোংরামিকে বর্জন করলে হয়তো শিশুরা সমাজের বৃহৎ বৃহৎ কাজে লাগার সম্ভাবনা আছে। ক্ষীণবুদ্ধি সম্পূর্ণ যে সকল মানুষগুলো আছে, পর্যবেক্ষণে দেখা যায়- তারাই ইউটিউব চ্যানেলে সুবিধা মতো টাকা উপার্জনের জন্যই কাজ করছে। কোয়ালিটি সম্পন্ন কাজ বেশ কিছু মানুষ করতে পারলেও এই সমাজকে দেখাতে পারেনা। কারণ হলো `ভালো মানুষের শত্রু বেশি` এবং তারা ইউটিউবের মে সাবস্ক্রাইব বিষয়টা আছে সেখানে সাবস্ক্রাইব করতে চাননা। কারো ভালো আজকে এ সমাজে কেউ চায় না।মূঢ়তার পরিচয় দিয়ে আর কাউকে অপমান করতে চাই না। দেশের জন্য, জাতির জন্য হলেও ইউটিউবে ``ভালো কিছু আপলোড করতে হবে। সর্বশেষে একটা কথা বলা যায়, সফলতার জন্য সময় ও শ্রমের যথাযত মুল্যায়নটা জরুরি, তা হতে হবে সৎ উদ্দেশ্যে। অভিভাবকদের ১টা ইউটিউব চ্যানেলে লিংক দেওয়া হচ্ছে- https://www.youtube.com/watch?v=LqmvxKlqFEQ&feature=share&app=desktop&persist_app=1 সাবস্ক্রাইব করে তাদের ভালো ভালো কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারেন।
✍️লেখক: নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।
|
|
|
বিয়ে একটি পারিবারিক বন্ধন। এ বন্ধনে আবদ্ধ হতে প্রাপ্তবয়স্ক একজন ছেলে ও মেয়ের লিখিত চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয় একসঙ্গে পথ চলা। কিন্তু এই পথচলা সব সময় সহজ হয় না।সংসার যাত্রার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বুঝেশুনে চলতে হয়। শুধু ভালোবাসায় সংসার টেকে না। ভালোবাসার পাশাপাশি আরো অনেক কিছু জানার আছে। ভালোবাসা টিকে থাকে বিশ্বাসের ওপর। এর জন্য বিয়ের আগে সঙ্গীকে কিছু বিষয়ে জানানো উচিত। যদি আপনার কোনো খারাপ অভ্যাস থাকে, সেটিও অসংকোচে জানিয়ে দিন হবু জীবন সঙ্গীকে।
আপনি আপনার জীবন সঙ্গীকে যেমন বিশ্বাস করবেন; আপনারে জীবন সঙ্গীও ঠিক তেমনই আপনাকে বিশ্বাস করবে। তাই যদি কোনো গোপনীয়তা থাকে; সে সম্পর্কে সঙ্গীকে জানিয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদী পুরোনো কিছু রোগ থাকে। এগুলোর বেশিরভাগই জিনগত। যা আপনাকে তো বটেই, আপনার পরিবারকেও সমস্যায় ফেলে। তাই দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকলে বিয়ের আগেই সঙ্গীকে জানিয়ে দিন। কোনো মানসিক অসুস্থতা থাকলে তা-ও জানাতে ভুলবেন না।
অনেকেরই বিভিন্ন নেশা থাকে। কারো বইপড়া, কারো গেম খেলায়। আবার কারো রান্না বা বেড়াতে যাওয়ার নেশা। অনেকের আবার খারাপ নেশাও থাকে। যেমন- ধূমপান, মদপান বা মাদকাসক্তি। এসব ক্ষেত্রে যার সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাবেন ঠিক করেছেন, তাকে আগে থাকতে জানিয়ে রাখুন।
অর্থ বা সম্পদ নিয়ে কখনো বাড়িয়ে বলবেন না সঙ্গীকে। এতে দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে আপনার পার্টনারের স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
আপনি যদি অতীতে কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে থাকেন; সে বিষয়েও বিয়ের আগে সঙ্গীকে জানিয়ে দিন। আপনার সব সত্য় জেনেও যদি সঙ্গী আপনাকে ভালোবাসতে পারেন, সেটাই বড় প্রাপ্তি।
|
|
|
ফিচার ডেস্ক : হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, একথা কে না জানে! আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটেন, তবে বেশকিছু উপকারিতা মিলবে। শরীর ভালো থাকার পাশাপাশি কমবে ওজনও। যাদের পক্ষে ভারী কোনো ব্যায়াম করা সম্ভব নয়, তাদের ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস করতে হবে।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে. খাওয়ার পরে হাঁটলে অতিরিক্ত উপকার পাওয়া যায়। দিনের যেকোনো সময়ই কি হাঁটা যায়? নাকি নির্দিষ্ট কোনো সময় রয়েছে যখন হাঁটলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়? দিনে ঠিক কতক্ষণ হাঁটা প্রয়োজন? এ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান টাইমস-
সেরা সময় দিনের যো কোনো সময়েই হাঁটা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ওজন কমানোর জন্য খাওয়ার পরে হাঁটতে পারেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও খাওয়ার পরে হাঁটা ভালো। যাদের কোনো শারীরিক সমস্যা নেই, তারা নিরোগ ভবিষ্যতের জন্য প্রতিদিনই হাঁটতে পারেন।
কীভাবে হাঁটবেন বাড়িতে হাঁটাচলা এবং কাজকর্ম করার ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালোরি আমরা রোজ বার্ন করি। একে বলে রেস্টিং মেটাবলিজম। এর সঙ্গে আমরা ব্যায়াম বা জগিং করলে বা হাঁটাহাঁটি করলে অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন হয়। আপনি যত নড়াচড়া বাড়াবেন, তত বেশি ক্যালোরি বার্ন হবে।
প্রতিদিন দ্রুত পায়ে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটলে শুধু যে ওজন কমে তাই নয়, এর ফলে ব্লাড সুগার লেভেলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন খাওয়ার পরে দশ মিনিট হাঁটলে ডায়াবিটিস রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। দিনের যেকোনো সময় টানা ত্রিশ মিনিট হাঁটার থেকে খাওয়ার পরে দশ মিনিট হাঁটা অনেক বেশি কার্যকরী।
হাঁটার সময় আমাদের হার্টরেট বেড়ে যায় এবং মাসল শরীরে জমে থাকা কার্বোহাইড্রেট বা সুগার থেকে এনার্জি সংগ্রহ করে। খাওয়ার পরে হাঁটলে আপনার খাবার থেকে শরীর যে কার্বোহাইড্রেট সংগ্রহ করেছে, সেখান থেকে মাসল এনার্জি সংগ্রহ করে। ফলে অতিরিক্ত কার্বস শরীরে ফ্যাটের আকার নিতে পারে না। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে যে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
|
|
|
ফিচার ডেস্ক : ফ্রিজ আমাদের ব্যস্ত জীবনে এক প্রকার আশীর্বাদ। কারণ ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণের কারণে অনেক খাবার নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়, বেঁচে যায় অনেকটা সময়ও। কারণ খাবার ফ্রিজে না রাখলে তখন বারবার গরম করে রাখতে হয়। তাতে সময় নষ্ট হয় অনেকখানি।
নিঃসন্দেহে ফ্রিজে খাবার রাখার অনেক ভালো দিক আছে। কিন্তু ফ্রিজে খাবার রাখার কারণে অনেকসময় এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন অনেকে। অনেকে আবার ফ্রিজে রাখা খাবার থেকে এক ধরনের গন্ধ পান। তারা ফ্রিজে রাখা খাবার খেতে পারেন না। কী করলে ফ্রিজে রাখা খাবারের স্বাদ অটুট থাকবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-
* কোনো খাবার ফ্রিজের গায়ে লাগিয়ে রাখবেন না, কোনো রকম ফল শাকসবজি একেবারেই রাখবেন না। যদি অনেকদিন ভালো রাখতে চান তাহলে একদম এয়ারটাইট পাত্রে ভরে ফ্রিজে রাখবেন।
* মজার একটা ব্যাপার হলো, চানাচুর, গুঁড়ো দুধ ফ্রিজে রাখলে তা অনেকদিন মুচমুচে থাকে। এর জন্য এটিকে প্লাস্টিকের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে।
* ফ্রিজে যা-ই রাখুন না কেন, এয়ারটাইট পাত্রে ভরে রাখবেন। মাঝেমধ্যে পাত্র সোডা ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন।
* একটি কাটা লেবু সবসময় ফ্রিজে রেখে দেয়ার চেষ্টা করবেন। এর ফলে কোনো দুর্গন্ধ ছড়াবে না। তবে একই লেবু অনেকদিন রাখবেন না। ক’দিন পরপর লেবু বদলে দিন।
* বেশি মাছ রাখলে তা অবশ্যই লবণ-পানি দিয়ে ধুয়ে রাখবেন। এতে করে ফ্রিজের ভেতর দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
* যদি কাটা কোনো সবজি রাখতে হয় তাহলে একটি কনটেইনারের কিছুটা লবণ দিয়ে এয়ারটাইট ভাবে রাখবেন।
* ডিম রাখতে হলে ডিম রাখার ট্রেতে না রেখে একটি বাটিতে করে ভিতরে রাখবেন।
* ফল রাখার থাকলে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কেটে বাকিগুলো আস্ত রাখার চেষ্টা করবেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান > নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
|
|
|
2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com
|
Developed By: Dynamicsolution IT [01686797756] |
|