শিক্ষা -
রাজারহাটে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত

মোঃ বুলবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

“চলো আমরা করি প্রতিবাদ সহিংসতা বন্ধে তুলি রেডকার্ড”। এই প্রতিবাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে রাজারহাটে বাল্যবিয়ে বন্ধ ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ ঘটিকায় রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের সুকদেব সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এসএসবিসি প্রকল্পের স্ট্রেনদেনিং সোশ্যাল এন্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আয়োজনে ও ইউনিসেফের অর্থায়নে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সুকদেব বালিকা উচ্চ বিদ্যোলয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুর রশিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- অত্র বিদ্যালয়ের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুকদেব প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুরুজ্জামান সরকার।

আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন সমাজ কর্মি হাসান মাসুদ, অভিভাবকের পক্ষ থেকে ছামসুল হক সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আরো বক্তব্য দেন এসএসবিসি প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার জেমস উজ্জ্বল শিকদার প্রমূখ, এসএসবিসি প্রজেক্টের কমিউনিটি ফেসিলিটেটর আপেল মাহমুদ, মিনহাজুল ইসলাম ও সাইদুল হক। বক্তারা বাল্যবিবাহ বন্ধে সকল শ্রেণী পেশার মানুষজনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ আজগার আলী, জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরায় শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, জেলা তথ্য অফিসার, জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক, কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন শিক্ষকরাই জাতি গঠনের কারিগর, তারা রাজনীতি করবেন আমি এটার ঘোর বিরোধী। এভাবে আমরা দেশের বারোটা বাজিয়েছি। স্কুলের শিক্ষকদের ক্লাসের চেয়ে প্রাইভেট পড়ানোর দিকে নজর বেশি, এটা কারও কাম্য না।

যে পলিটিকস জনবান্ধব নয় সেটা করে লাভ কি প্রশ্ন রেখে তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন আমরা কি দায়বন্ধতার যায়গায় যেতে পারিনা? যে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন না তার থাকার দরকার নেই। কেউ যদি নিজেকে অযোগ্য মনে করেন তারা নিজেরাই সরে দাড়ান।

তিনি এ বিষয়ে সকল শিক্ষককে সতর্ক করে বলেন স্কুল কলেজে আকর্ষিক পরিদর্শণের জন্য ইউএনওদেরকে তদারকি করতে নির্দেশনা দিয়েছি। আমি নিজেও কয়েকটি মাদ্রাসা ও কলেজে আকর্ষিক পরিদর্শনে গিয়েছি। যদি প্রত্যেকটা উপজেলায় একটা সরকারি কলেজ থাকে তবে কেন একটি সরকারি মাদ্রাসা থাকবেনা প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন আমি এবিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছি।

কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তকর্তা কর্মচারিরা মানুষের রক্ত চুষবে আর আমি মোস্তাক আহমেদ এখানে চুপ করে বসে থাকবো এটা সম্ভব না। আমি ওদের বিরুদ্ধে এবং সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি সবসময় স্বোচ্চার আছি। পরিশেষে তিনি সকল স্কুল কলেজের শিক্ষকদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন এবং সকল প্রতিষ্ঠানের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। সবশেষে তিনি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ফুল গাছ লাগাতে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে লটারি প্রথা বাতিল চাই , মেধা ছাড়া ভর্তি নাই !

মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,

ঠাকুরগাঁও জেলায় লটারি নামক কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রকৃত মেধার লড়াইয়ের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার জন্য মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা ।
“লটারি প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক” এই শ্লোগানে ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে সমবেত হয় । সে খানে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে আগে পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হতো । কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে লটারি নামক পঙ্গু সিস্টেমে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হয় । এক্ষেত্রে মেধাবীরা ঐ প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় । বক্তব্য শেষে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের স্বারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা ।

মধ্যপাড়া খনিতে জিটিসি কর্তৃক পাথর খনি শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান

মোঃ আফজাল হোসেন, 

দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া খনিতে জিটিসি কর্তৃক পাথর খনি শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩ টায় মধ্যপাড়া পাথর খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর অধীনে খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা হয়েছে।  

মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকাবাসীর জন্য জিটিসি চ্যারিটি হোম এর সামজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খনির সন্মুখে অবস্থিত জিটিসি চ্যারিটি হোমে খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ জাবেদ সিদ্দিকী এর পক্ষে এই উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করেন জিটিসি’র শ্রমিক কল্যান উপদেষ্টা, কর্নেল ( অব.) মোঃ মুনির হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষণ এবং উৎপাদন কাজে নিয়োজিত দেশীয় একমাত্র মাইনিং কোম্পানী জার্মানীয়া কর্পোরেশন লিমিটেড ও বেলারুশ কোম্পানী এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) তাদের অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিক সহ সংশ্লিষ্ট খনি এলাকাবাসীর মাঝে সেবামূলক এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম এবং মধ্যপাড়া পাথর খনির এলাকাবাসীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ সেবা প্রদান সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সমাজ কল্যাণ সংস্থা “জিটিসি চ্যারিটি হোম” স্থাপন করেছে। খনি এলাকায় সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন বাড়াতে এলাকার বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে জিটিসি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, জিটিসি চ্যারিটি হোমে ০১ জন অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা সপ্তাহে ৫ দিন খনি এলাকার মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে খনি এলাকার প্রায় অর্ধশত রোগী এই চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছেন।

কাউনিয়ায় এইচএসসি আলিম ও কারিগরি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬১ জন, ২টি মাদ্রাসায় শতভাগ পাশ

সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় এইচএসসি, আলিম ও কারিগরি পরীক্ষা ২০২৪ ফলাফলে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬১ জন, পাশ করেছে ১৯২৮ জন। ২টি মাদ্রাসায় শতভাগ পাশ। কাউনিয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মোঃ মাহফুজ জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় ২০২৬ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৫৭৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৩জন, পাশের হার ৭৮.৩২%, আলিম পরীক্ষায় ২১৪ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৭০ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫জন, পাশের হার ৭৯.৪৪%, ও কারিগরি পরীক্ষায় ১৮৫ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৭৯ জন, জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ জন. পাশের হার ৯৬.৭৬। এছারাও সাব্দী মাদ্রাসা এবং ভায়ারহাট পিয়ারিয়া মাদ্রাসায় শতভাগ পাশ করেছে।

এইচএসসির ফল জানা যাবে যেদিন

চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামী ১৫ অক্টোবর প্রকাশ করা হবে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক প্রফেসর তপন কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ১৫ অক্টোবর বেলা ১১টায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে।

এর আগে, চলতি বছরের ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।

রূপগঞ্জে সরকারি শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন

মো: রাসেল মোল্লা 

 

সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বৈষম্য দূর করণে এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা, শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষকরা।২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। মানববন্ধন পূর্বক আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সলিম উদ্দিন চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর মালুম।

সভায় বক্তব্য রাখেন গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র সাহা, কাজী আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব, দেবই কাজীরবাগ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ বশির আহমেদ শাহরিয়ার, চনপাড়া আল আরাফা মাদরাসার সুপার আব্দুর রাজ্জাক, মর্তুজাবাদ দারুল উলুম কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, মাওলা আনম বোরহান উদ্দিন, সহিতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আল আমিন, মহাসিন মিয়া, রমজান মিয়া, গোলাকান্দাইল মুজিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক গোলাম ছাদেক প্রমুখ। 

 সভায় বক্তারা বলেন, সারা দেশের মতো রূপগঞ্জেও শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য দূর করতে হবে।  

এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে এবং জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখতে হবে। শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করে দিতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার চাকরির জন্য ইন্টারভিও প্রয়োজন হবেনা বলেও তারা দাবি জানান। 

রিপোর্ট 

নির্বাহী সম্পাদক 

দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম

আমাদের শিক্ষা : একপথ, একস্কেল, একসম্মান!

মাসুম হাসান

সব স্তরের শিক্ষকদের জন্য একটা পৃথক বেতন স্কেল ও তাদের সমাজ রাষ্ট্রে অধিকতর দায়িত্ব গ্রহণের পথ সুগম করার দাবি, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে জিডিপির ছয় ভাগে নিয়ে আসাসহ ১৭ দফা সুপারিশ করেছেন আমাদের পাঠশালার উদ্যোগে ‘কেমন শিক্ষাব্যবস্থা চাই’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তরা।

 

বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রমেশচন্দ্র মজুমদার মিলনায়তনে এই আলোচনা ও মতবিনিময়ে অংশ নেন ছাত্র-শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, শিল্পী ও ছাত্রনেতারা।

 

আমাদের পাঠশালার পরিচালক আবুল হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান; লেখক ও শিক্ষক সফিক ইসলাম; শিক্ষক গবেষক সামিনা লুৎফা; লেখক, গবেষক ও শিল্পী অরূপ রাহী; সংগঠক ও শিল্পী অমল আকাশ; শিক্ষক ও শিল্পী বিথী ঘোষ; ছাত্রনেতা মশিউর রহমান রিচার্ড; রাগীব নাঈম প্রমুখ।

 

 

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষা বিষয়ে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরং একটা শিক্ষা কমিশন গঠন করার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এগোনো দরকার। যেসব বিষয়ে সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে যেমন পাঠ্যপুস্তক থেকে ফ্যাসিবাদী এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক ইতিহাসের বয়ান বাতিল করা, শিক্ষকদের আলাদা বেতন স্কেল চালু, শিক্ষকসহ শিক্ষা সম্পর্কিত মানুষদের নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক ব্যবস্থা চালু ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কাজে হাত দেওয়া যেতে পারে।

 

আলোচনা সভার শুরুতে আমাদের পাঠশালার পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত প্রস্তাব উত্থাপিত হয়:

 

১. শিক্ষা খাতে বরাদ্দ পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে জিডিপির ছয় ভাগে নিয়ে আসতে হবে। বুনিয়াদি শিক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সকল শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। সকলের জন্য গণিত, ভাষা, ইতিহাস, বিজ্ঞানের একটি সাধারণ পাঠ্যক্রম থাকবে, যা সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান সকল প্রতিষ্ঠানকে একটা পরিকল্পনার অধীনে কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য প্রাথমিক গণশিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে পরিচালনার উপযোগী করে থানা শিক্ষা অফিস থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ও আমলাতান্ত্রিকতা থেকে মুক্ত করতে হবে।

 

 

২. বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর জন্য মাতৃভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। এই লক্ষ্যে একটি জাতীয় অনুবাদ সংস্থা গঠন করতে হবে, যা দেশ-বিদেশের নানা ধরনের পাঠ্যপুস্তককে ও ধ্রুপদী সাহিত্যকে দেশীয় ভাষায় রূপান্তর করবে। এই অনুবাদের কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য বই অনুবাদকে গবেষণা প্রবন্ধ ছাপার সমতুল্য কাজ হিসেবে ভবিষ্যৎ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে।

 

৩. বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা উপযুক্ত ও মেধাবী শিক্ষকের অভাব। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ও সুবিধাদির অনুপস্থিতি এবং তাদের ভবিষ্যৎ পেশাগত উন্নতির পথ রুদ্ধ করা একটা বড় বাধা আকারে কাজ করে। কাজেই শিক্ষকদের জন্য একটা পৃথক বেতন স্কেল ও তাদের সমাজ রাষ্ট্রে অধিকতর দায়িত্ব গ্রহণের পথ সুগম করতে হবে।

 

৪. শিক্ষাক্ষেত্রের পরিচালনার দায় দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রশাসন কিংবা অন্যান্য ক্যাডার থেকে কাউকে নিয়োগ না করে বরং শিক্ষকদের মধ্য থেকেই যাতে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার উপযুক্ত ব্যক্তিরা তৈরি হতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই লক্ষ্যে একটি শিক্ষণ বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হতে পারে একটা অগ্রাধিকার, যেখানে সমস্ত পর্যায়ের শিক্ষকরা মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাবেন। তাদের মর্যাদা হবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনুরূপ এবং তাদের ভেতর থেকে শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনার প্রয়োজনীয় লোকবল সৃষ্টি করতে হবে।

 

 

৫. পাঠ্যপুস্তক সংস্কার। পাঠ্যপুস্তকে যেসব ঔপনিবেশিক, ফ্যাসিবাদের মতাদর্শ উৎপাদনকারী এবং ধর্ম, জাতি ও লিঙ্গ বৈষম্য উৎপাদনকারী উপাদান আছে, তা বাদ দিয়ে জনগণের সক্রিয়তা ও ভূমিকাকে মুখ্য উপাদান করে দলমত নির্বিশেষে সকলের ঐতিহাসিক ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তককে এমনভাবে ঢেলে সাজানো দরকার যাতে করে শিক্ষার্থীদের ভেতর চিন্তার সক্রিয়তা ও সৃজনশীলতা বিকশিত হতে পারে। বিজ্ঞান ও গণিত বইয়ের আবশ্যিক সংস্কার এক্ষেত্রে জরুরি।

 

৬. বিগত সরকারের সর্বশেষ পাঠ্যক্রমে যেভাবে বিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তার বদল দরকার। পক্ষান্তরে জীবন জীবিকা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহ যেসব বিষয়ে প্রয়োজনের চাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেগুলোকে কমিয়ে প্রয়োজন অনুপাতিক করা।

 

৭. শিক্ষাকে মনন ও সৃজনশীলতা বিকাশের উপযোগী করার ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষক গবেষকের পাশাপাশি সৃজনশীল ব্যক্তিদের (লেখক, কবি, শিল্পী) প্রয়োজনের থানা ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া।

 

৮. প্রতিটি বিদ্যালয়ে সক্রিয় লাইব্রেরি থাকতে হবে, প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সহ ল্যাবরেটরি, খেলার মাঠ, নিয়মিত সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের উপযোগী কার্যক্রম চালু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রতিযোগিতার চাইতে সহযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধির উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ।

 

৯. ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ককে হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা সম্মান ও ভালোবাসার। এর ভেতর দিয়ে একটা মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কোন নিষ্ক্রিয় গ্রহণকারী হিসেবে বিবেচনা না করে বরং পাঠ প্রক্রিয়ায় তার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং তাৎক্ষণিক জবাব এর চাইতে অনুসন্ধানের প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

 

১০. কর্মমুখী শিক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে এবং দেশব্যাপী নানা ধরনের কর্মমুখী শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে সেখানে সত্যিকার অর্থে কর্মের মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই শিক্ষা শেষে দেশে ও বিদেশে তারা যাতে উপযুক্ত কাজে নিয়োজিত হতে পারে সেজন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ থাকতে হবে।

 

১১. শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষ মূল্যায়ন ও বার্ষিক মূল্যায়নের সমন্বয় করতে হবে। শ্রেণিকক্ষ মূল্যায়ন সার্বিক ও কার্যকর করতে প্রয়োজনে শিক্ষক সহায়ক নিয়োগের বিষয়ে বিবেচনা করতে হবে। শিক্ষার স্তর শেষে একটি সম্মিলিত মূল্যায়ন জাতীয় ভিত্তিতে করার ব্যবস্থা করতে হবে।

 

 

১২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে করতে হবে নিবিড় জ্ঞান অনুশীলন ও গবেষণার ক্ষেত্র। জাতীয় অর্থনীতির বিকাশের উপযোগী, যে কোনো সংকট কিংবা দুর্যোগ মোকাবেলার উপযোগী গবেষণায় রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পারস্পরিক আদান-প্রদানের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান ও গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।

 

১৩. বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার যে ধারা তার বদল ঘটাতে হবে। ছাত্রদের শিক্ষা আবাসন কিংবা শিক্ষকদের নিয়োগ, পদোন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতাই যাতে একমাত্র মাপকাঠি হয়, কারো রাজনৈতিক পক্ষপাত যাতে করে বিবেচনার বিষয় না হতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো ও সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

 

১৫. শিক্ষা খাতের সাথে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে একীভূত করার চলবে না। এবং এই দুই খাতের বাজেট আলাদাভাবে প্রণয়ন করতে হবে।

 

১৬. শিক্ষা খাতের পুনর্গঠনে একটি কমিশন গঠন করতে হবে এবং সেখানে যোগ্য, দক্ষ, অভিজ্ঞ শিক্ষক, চিন্তক ও এ বিষয়ে সক্রিয় নাগরিকদের যুক্ত করতে হবে। এই পুনর্গঠনের জন্য সময় প্রয়োজন এবং তার সাথে সম্পর্কিতভাবে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের প্রস্তুত করতে হবে। তড়িঘড়ি করে কোনো কিছু শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। বিদ্যমান শিক্ষাক্রমে যেসব পরিবর্তন প্রত্যাবশ্যক সেগুলিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করে শিক্ষা কার্যক্রমের গতি সচল রাখতে হবে।

 

১৭. শিক্ষকদের উচ্চতর শিক্ষা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণের সময়কাল প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়াতে হবে। উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষকদের অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের জন্য সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।

(তথ্যসূত্র : অন্তর্জাল) 

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আলোকে

মাসুম হাসান

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণের ধারণাটি বর্তমানে বেশ আলোচিত হচ্ছে, বিশেষ করে যখন দেশটি শিক্ষার মান উন্নত করার এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। জাতীয়করণ শিক্ষার মানকে একীভূত করতে এবং বৈষম্য কমাতে সাহায্য করতে পারে, যাতে প্রতিটি শিশুর একই মানের শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়, তাদের পটভূমি নির্বিশেষে। তবে, এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা, উল্লেখযোগ্য সম্পদ, এবং সমাজের সকল স্তরের সমর্থন প্রয়োজন।

 

**একটি স্পষ্ট নীতিমালা ও আইনগত কাঠামো তৈরি করা**

 

বাংলাদেশে শিক্ষা জাতীয়করণের প্রথম পদক্ষেপ হল একটি সুস্পষ্ট জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা প্রতিষ্ঠা করা। এই নীতিমালা স্পষ্টভাবে জাতীয়কৃত শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য এবং নীতিগুলি নির্ধারণ করতে হবে, যা সমান প্রবেশাধিকার, উচ্চমানের শিক্ষা এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার উপর জোর দিতে হবে।

 

নীতিমালার পাশাপাশি আইনগত সংস্কারও প্রয়োজন। বিদ্যমান আইনগুলি সংশোধন বা নতুন আইন প্রবর্তন অন্তর্ভুক্ত করতে পারে যা একটি একীভূত পাঠ্যক্রমের সহায়তা করবে, শিক্ষার প্রশাসন কেন্দ্রীভূত করবে, এবং বেসরকারি ও ধর্মীয় স্কুলগুলোকে(মাদ্রাসা)  নিয়ন্ত্রণ করবে। একটি বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইন কার্যকর করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে যাতে সকল শিশু একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত স্কুলে উপস্থিত থাকে।

 

### **একটি একীভূত পাঠ্যক্রম উন্নয়ন**

 

জাতীয়করণ প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় অংশ হল একটি উন্নত জাতীয় পাঠ্যক্রম উন্নয়ন। এই পাঠ্যক্রমটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সাংস্কৃতিকভাবে প্রাসঙ্গিক এবং বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলের এবং সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যপূর্ণ চাহিদার সাথে মানানসই হতে হবে। এটি শুধুমাত্র একাডেমিক উৎকর্ষতা নয় বরং সমালোচনামূলক চিন্তা, সৃজনশীলতা, এবং একটি শক্তিশালী জাতীয় পরিচয় তৈরি করার ক্ষেত্রেও সহায়ক হতে পারে - এমন হওয়া সমীচীন। 

 

এছাড়াও, মানসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তক তৈরি এবং বিতরণ করতে হবে যাতে সকল স্কুলে একটি অভিন্ন শিক্ষার উপকরণ সরবরাহ করা যায়। একটি পরিষ্কার ভাষা নীতিমালা প্রতিষ্ঠা করা দরকার, যা বাংলা ভাষাকে শিক্ষা মাধ্যম হিসেবে অগ্রাধিকার দেবে, পাশাপাশি ইংরেজি এবং আঞ্চলিক ভাষাগুলিও অন্তর্ভুক্ত করবে যাতে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক পাঠ্যধারায় অধ্যয়নের সুযোগের জন্য প্রস্তুত হয়।

 

### **প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ**

 

জাতীয়করণের জন্য একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীভূত প্রশাসন প্রয়োজন। একটি জাতীয় শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠিত বা শক্তিশালী করা যেতে পারে যা পাঠ্যক্রমের বাস্তবায়ন, শিক্ষক নিয়োগ এবং স্কুল স্বীকৃতি পর্যবেক্ষণ করবে। এই বোর্ডটি নিশ্চিত করবে যে শিক্ষার মান দেশজুড়ে সমানভাবে বজায় থাকে।

 

যদিও কেন্দ্রীভূতকরণ গুরুত্বপূর্ণ, স্থানীয় স্তরে কিছু নমনীয়তা দেওয়াও জরুরি। স্থানীয় অফিসগুলি স্কুলগুলোকে স্থানীয় স্তরে পরিচালনা এবং পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করতে পারে, যাতে তারা বিশেষ চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে এবং তাদের সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করতে সক্ষম হয়।

 

### **শিক্ষকদের উন্নয়নে বিনিয়োগ**

 

শিক্ষকরা যেকোনো শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি। তাই, শিক্ষক নিয়োগকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং নিশ্চিত করা যে সব শিক্ষক জাতীয় যোগ্যতার মান পূরণ করেন, তা অপরিহার্য। নতুন শিক্ষণ পদ্ধতি, প্রযুক্তি সংযোজন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার চর্চাগুলির উপর শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

 

যোগ্য শিক্ষকদের ধরে রাখতে, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং স্বল্পোন্নত এলাকায়, সরকারের উচ্চতর বেতন, বাসস্থান এবং অন্যান্য সুবিধাসহ প্রণোদনা দেওয়া উচিত।

 

**স্কুল অবকাঠামো ও সম্পদ উন্নয়ন**

 

জাতীয়করণ সফল করতে হলে স্কুল অবকাঠামোর উপর উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। এতে শ্রেণীকক্ষ, লাইব্রেরি, পরীক্ষাগার এবং স্যানিটেশন সুবিধাগুলি নির্মাণ ও উন্নত করা অন্তর্ভুক্ত, বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকায়।

 

শিক্ষার প্রযুক্তিগত অংশও সংহত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল শিক্ষার সরঞ্জাম, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং কম্পিউটার ল্যাব প্রদান করতে হবে যাতে সমস্ত শিক্ষার্থী আধুনিক শিক্ষার সম্পদ থেকে উপকৃত হতে পারে।

 

সম্পদ সুষমভাবে বিতরণের উপরও মনোযোগ দিতে হবে। পিছিয়ে পড়া এলাকায় স্কুলগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত যাতে বৈষম্য কমানো যায় এবং সকল শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যায়।

 

**মান ও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা**

 

উচ্চ শিক্ষার মান বজায় রাখতে, নিয়মিত জাতীয় মূল্যায়ন করতে হবে যাতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করা যায়। স্কুল পরিদর্শন এবং প্রতিক্রিয়া পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ যাতে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায় এবং শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করা যায়।

 

জাতীয়কৃত ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্তি মূলনীতি হওয়া উচিত। বিশেষ চাহিদার শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষজ্ঞ প্রোগ্রাম এবং সম্পদ উন্নয়ন করা উচিত যাতে তারা সমানভাবে শিক্ষা লাভ করতে পারে। লিঙ্গ সমতা প্রচার করা উচিত, যাতে মেয়েরা শিক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা না থাকে এবং পাঠ্যক্রম লিঙ্গ-সংবেদনশীল হয়।

 

**বেসরকারি ও ধর্মীয় স্কুলের(মাদ্রাসা) অন্তর্ভুক্তি**

 

জাতীয়করণের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল বেসরকারি এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির মাদ্রাসাগুলির অন্তর্ভুক্তি। মাদরাসা শিক্ষা জাতীয় পাঠ্যক্রমের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করা উচিত যাতে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়ের সমন্বিত শিক্ষা পায়।

 

বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যাতে তারা জাতীয় মান পূরণ করে, তবে তাদের কিছু স্বাধীনতা বজায় রাখা উচিত। এই প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সহযোগিতা জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার একীকরণে সহায়ক হতে হবে যা সকল শিক্ষার্থীর প্রয়োজন মেটাবে।

 

### **জনসাধারণের সচেতনতা ও সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ**

 

জাতীয়করণের সফলতা অর্জনের জন্য জনসাধারণের সচেতনতা এবং সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনসাধারণকে জাতীয়করণের সুবিধা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে সচেতনতা প্রচারাভিযান চালানো উচিত। স্থানীয় সম্প্রদায়, পিতামাতা এবং অন্যান্য অংশীদারদের কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা উচিত যাতে শিক্ষা ব্যবস্থা সর্বজনীন প্রয়োজন মেটাতে পারে।

 

### **অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও টেকসইতা**

 

জাতীয়করণ প্রক্রিয়া সফল করতে উল্লেখযোগ্য আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। সরকারের জাতীয় বাজেটে শিক্ষা Prioritize করতে হবে এবং এই প্রক্রিয়া সমর্থনের জন্য যথেষ্ট তহবিল বরাদ্দ করতে হবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সহায়তা ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অতিরিক্ত সম্পদ সংগ্রহ করা যেতে পারে।

 

জাতীয়কৃত ব্যবস্থার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে হলে সম্পদের দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং খরচ-কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

### **চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও এগিয়ে যাওয়া**

 

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ চ্যালেঞ্জিং হলেও, এটি একটি অর্জনযোগ্য লক্ষ্য। এর সফলতা নির্ভর করবে শক্তিশালী রাজনৈতিক ইচ্ছা, স্থিতিশীল শাসন এবং সমস্ত অংশীদারের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর।

 

নীতিমালা সংস্কার, পাঠ্যক্রম উন্নয়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং মান পর্যবেক্ষণ সহ একটি ধাপে ধাপে পদ্ধতি গ্রহণ করে, বাংলাদেশ একটি সমান, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।

 

জাতীয়করণ শুধুমাত্র শিক্ষার মান একীভূত করা নয়, এটি একটি শক্তিশালী, একক জাতি গড়ে তোলার ব্যাপার যেখানে প্রতিটি শিশুর সফল হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

 

লেখক: বার্তা সম্পাদক,  নতুন বাজার ৭১.কম

*লেখাটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্ল্যাটফর্ম (চ্যাট জিপিটি ও জেমিনাই) ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে। 

জিটিসি কর্তৃক পাথর খনি শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান

মোঃ আফজাল হোসেন, 

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া পাথর খনি শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মধ্যপাড়া পাথর খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর অধীনে খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা হয়েছে।  

মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকাবাসীর জন্য জিটিসি চ্যারিটি হোম এর সামজিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খনির সন্মুখে অবস্থিত জিটিসি চ্যারিটি হোমে খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রদান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের হাতে এই উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করেন জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ জাবেদ সিদ্দিকী এর পক্ষে উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদ হোসেন।

জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষণ এবং উৎপাদন কাজে নিয়োজিত দেশীয় একমাত্র মাইনিং কোম্পানী জার্মানীয়া কর্পোরেশন লিমিটেড ও বেলারুশ কোম্পানী ট্রেস্ট এস এস এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) তাদের অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিক সহ সংশ্লিষ্ট খনি এলাকাবাসীর মাঝে সেবামূলক এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম এবং মধ্যপাড়া পাথর খনির এলাকাবাসীর জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ সেবা প্রদান সহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সমাজ কল্যাণ সংস্থা “জিটিসি চ্যারিটি হোম” স্থাপন করেছে। খনি এলাকায় সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন বাড়াতে এলাকার বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে জিটিসি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, জিটিসি চ্যারিটি হোমে ০১ জন অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা সপ্তাহে ৫ দিন খনি এলাকার মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে খনি এলাকার প্রায় অর্ধশত রোগী এই চিকিৎসা সেবা গ্রহন করছেন।

ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে ৬টি বিষয়ে মার্স্টাস কোর্স চালুর দাবীতে মাননীয় শিক্ষমন্ত্রী বরাবর আবেদন

মোঃ আফজাল হোসেন, 

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে ৬টি বিষয়ে মার্স্টাস কোর্স চালুর দাবীতে মাননীয় শিক্ষমন্ত্রী বরাবর আবেদন। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে চলমান ৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স এর অনুকূলে জরুরী ভিত্তিতে মার্স্টাস কোর্স চালুর দাবীতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় উপাচার্য, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় বরাবর আবেদন করেন ফুলবাড়ী উপজেলার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী। 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী সরকারি কলেজটি দিনাজপুরের সর্বপ্রথম কলেজ। ফুলবাড়ী সরকারি কলেজটি ১৯৬৩ সালে স্থাপিত হয়। দিনাজপুর জেলার প্রাণ কেন্দ্র অবস্থিত ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ। ১৯৬০ এর দশকে এসে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এখানে ছাত্রছাত্রী চাপ বৃদ্ধি হতে থাকে। অপর দিকে নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, ফুলবাড়ী, পাবর্তীপুর ও চিরিরবন্দর থেকে এসে পড়াশোনা করার মত পরিবেশ ও আর্থিক সংগতি অধিকাংশ অভিভাবকের ছিল না। যে কারণে এসএসসি পাশ করার পরেই কলেজের প্রচুর শিক্ষা লাভে বি ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়ার মান ও সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষে তদানিন্তন জাতীয় পরিষদ সদস্য নুরুল হুদা চৌধুরী শিক্ষার্কে সার্বজনীন করার লক্ষে থানা পর্যায়ে ১৯৬৩ সালে ফুলবাড়ী কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলে গভর্নিং বডির প্রথম সভাপতি ছিলেন তদানিন্তন এসডিও মরহুম কাজী আজিজুল ইসলাম। প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন এম আব্দুল গফুর, তারপর আব্দুল আজিজ। কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ৮০ভাগ জমি দান করেছিলেন শফিউদ্দীন মন্ডল, লুৎফর রহমন চৌধুরী ও তছির উদ্দীন মন্ডল স্বেচ্ছায় তারা কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন। ১৯৬৬ সালে ড. মোঃ আব্দুল বারী রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর থাকাকালীন নুরুল হুদা চৌধুরীর বিশেষ অনুরোধে ফুলবাড়ী কলেজকে ডিগ্রি পর্যায়ে উন্নিত করেন। যা বর্তমান চালু রয়েছে। 

মাননীয় উপাচার্য, ১৯৮৯ সালে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ ফুলবাড়ীতে সফরে এসে ফুলবাড়ী কলেজটিকে সরকারি কলেজ হিসাবে ঘোষনা দেন। 

২০১৩খ্রি: সাল হতে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজটিতে ৬টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। (১) বাংলা, (২) ইংরেজি, (৩) গণিত, (৪) রসায়ন, (৫) রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও (৬) দর্শন। যাহার ফলশ্রতিতে ২০২৪খ্রি: সাল পর্যুন্ত অসংখ্য শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করে। 

দিনাজপুর জেলা একমাত্র দিনাজপুর সরকারি কলেজে মার্স্টাস কোর্স চালু ব্যতিত আর কোন কলেজে মার্স্টাস কোর্স চালু না থাকার কারণে এই অ লে বহু সংখ্যক গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন শিক্ষার্থী মার্স্টাস কোর্সে ভর্তি নিয়ে বিপাকে পড়েছে। সকল দিক বিবেচনা করে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজে জরুরী ভিত্তিতে মার্স্টাস কোর্স চালু করলে এই অ লের বিপুল সংখ্যাক শিক্ষার্থী উপকৃত হবে। দিনাজপুরের দক্ষিণ অি লের ৭টি উপজেলার এলাকাবাসির দাবী ২০২৪ইং সাল থেকে অতিসত্তর বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি কল্পে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের কল্যান সাধনে মার্স্টাস কোর্স চালু করার জোর দাবী জানান। 

এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট কাজী এজেডএম লুৎফর রহমান চৌধুরী সাবেক সংসদ সদস্য ১১- দিনাজপুর ৬ আসনের তিনিও এই দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে অতিসত্তর মার্স্টাস কোর্স চালুকরার দাবী জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তদানিন্তন জাতীয় পরিষদ সদস্য রাজারামপুর, হাউস, মুন্সিপাড়ার মরহুম নুরুল হুদা চৌধুরীর পুত্র বিশিষ্ট্য সমাজসেবক মোহাম্মাদ আলী চৌধুরীর গত ১০/০৭/২০২৪ইং তারিখে মার্স্টাস কোর্স চালু করণের জন্য অধ্যক্ষ, ফুলবাড়ী সরকারি কলেজ মধ্যমে একটি আবেদন মাননীয় উপাচার্য বরাবর দিয়েছেন। আমি বিষয়টি অতি জরুরী হওয়ায় মাননীয় উপাচার্য বরাবর পাঠিয়ে দেই। 

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ জিল্লুর রহমান এর সাথে কথা বলতে তিনি জানান, মার্স্টাস কোর্স খোলা হলে এই এলাকার শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। 

এ ব্যাপারে তদানিন্তন জাতীয় পরিষদ সদস্য রাজারামপুর, হাউস, মুন্সিপাড়ার মরহুম নুরুল হুদা চৌধুরীর পুত্র বিশিষ্ট্য সমাজসেবক মোহাম্মাদ আলী চৌধুরী গত ০৭/০৭/২০২৪ইং তারিখে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বরাবর সকল দপ্তরে বিষয়টি সদয় অবগত করে পত্র দিয়েছেন।

পটিয়ায় ক্বলবে কুরআনের আলো ফাউন্ডেশন’র সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 

 

“কুরআন পড়ি কুরআন শিখি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ক্বলবে কুরআনের আলো ফাউন্ডেশন’র ব্যবস্থাপনায় সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

৫ জুলাই (শুক্রবার) বিকেল ৩টার সময় পটিয়া গিরি চৌধুরীর বাজার নতুন বাস স্টেশন সংলগ্ন,ছালেহা তাহফীজুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার হলরুমে ক্বলবে কুরআনের আলো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনায় সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ক্বলবে কুরআনের আলো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি লেখক ও শায়ের মুহাম্মদ আকতার উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পটিয়া ফারইষ্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের জোনাল ম্যানেজার হাফেজ মাহমুদ উল্লাহ্।

 

ক্বলবে কুরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত ও মুহাম্মাদ ফরহাদ যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া বিশেষ অতিথি ছিলেন চন্দনাইশ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা নুরুল আবছার, বিশেষ অতিথি ছিলেন মাওলানা জয়নাল আবেদীন জিহাদী, বিশেষ অতিথি ছিলেন হাজী জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে, গাজী মুহাম্মদ ছাদেক,ডা: ইমাম উদ্দিন আশফাক, মাওলানা সাইফুদ্দিন দৌলতপুরী, মাওলানা রায়হান, হাফেজ আতিকুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহজাহান চৌধুরী হাফেজ ইব্রাহিম, মোরশেদুল আলম, আনিসুর রহমান প্রমুখ।

 

প্রধান অতিথি বলেন কুরআনের কারণে দুনিয়া আখেরাতে সম্মান মানবতার মুক্তির দিশা মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। এটি মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। এটি আল্লাহর রহমত, এটি হিদায়াত, এটি নুর, এটি শিফা বা আরোগ্য, এটি বিশ্বভুমন্ডলের মহান অধিপতির পবিত্র কালাম। যে ব্যক্তি একনিষ্ঠভাবে তার জীবনকে কুআনচর্চায় উৎসর্গ করে, মহান আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করেন। পরিশেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে একজন গুনীব্যক্তিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে দোয়া ও মুনাজাতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

বীরগঞ্জে সভাপতি নির্বাচনে অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্কুলে তালা।

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

 

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে নানা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্ ও প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিভাবক সদস্য ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে শিক্ষক- কর্মচারীদের বের করে দিয়ে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।

উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় শতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ১ জুলাই সোমবার বেলা ১১টায় শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধন আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকে।

তাদের দাবী সভাপতি হিসেবে মোস্তাক শামীমকে নির্বাচিত করতে হবে, কেননা এলাকাবাসী ও নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যা গরিষ্ঠরাই তার পক্ষে কিন্তু জালিয়াতি ও প্রতারনার মাধ্যমে রাকিবুল ইসলাম মুক্তারকে সভাপতি বানানোর অপচেষ্টা লিপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সে সময় অভিভাবক সদস্য সফিকুল ইসলাম বাবুলসহ আন্দোলনকারীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন প্রতিষ্ঠানের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করেছে। তার স্বেচ্ছাচারিতার কারণে শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে, ছাত্রছাত্রী কমে গেছে।

নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য ফারুক ইসলাম বলেন, জাল জালিয়াতির হোতা প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও দূর্নীতিবাজ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্ এর অপসরন ও সভাপতি বানানোর অপচেষ্টা রাকিবুল ইসলাম মুক্তারকে বাদ দিয়ে স্থানীয় মোস্তাক শামীমকে সভাপতি নির্বাচিত ঘোসনা না করা পযর্ন্ত আমাদের আন্দলন আরো ব্যগবান হবে।

সহকারী প্রধান শিক্ষক হাজী আমিনুল ইসলাম জানায়, প্রধান শিক্ষক ৩ দিন যাবত আত্মগোপনে আছেন, তিনি কারো ফোন রিসিভ করছেন না এবং বিদ্যালয়েও আসতেছেন না। অভিভাবক সদস্য ও জনগণ দলবদ্ধ ভাবে বিদ্যালয়ের প্রবেশ করে সকলকে তাড়িয়ে দিয়ে ৫ টি তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

এ ব্যপারে একাধিকবার মোবাইল করেও প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনকে পাওয়া যায়নি।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ-এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, জনগন তাদের আন্দোলন করতেই পারে, তাতে আমার করার কিছু নাই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি ইতোমধ্যে শিক্ষা অফিসারকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে, দাপ্তরিক কাজে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয় দিনাজপুরে অবস্থান করছেন বলেও জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন`২০২৪ উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভোটের মাধ্যমে ৯ জন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হন। এর ধারাবাহিকতায় ২৭ জুন দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে মোস্তাক শামীম ও রাকিবুল ইসলাম মুক্তা নামে দুজন সভাপতি প্রার্থীর উপস্থিতিতে কোনো রকম রেজুলেশন ও ভোট ছাড়াই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অভিভাবক সদস্যদের মৌখিক কথার ভিত্তিতে রাকিবুল ইসলাম মুক্তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ্ নানা প্রশ্নের সম্মুখীন এবং শারিরীক লাঞ্ছিত হন এবং ৩০ জুন রবিবার বেলা ৪ টায় বীরগঞ্জ পৌর শহরের বিজয় চত্বরে শতগ্রাম ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে আধা ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বীরগঞ্জের চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় ছাত্রের কেউই পাস করেনি

দিনাজপুর প্রতিনিধি 

 

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি। তাদের অন্যতম দিনাজপুরে বীরগঞ্জের চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়। নতুন এমপিও পাওয়া একটি বিদ্যালয়ের ছয়জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করতে পারেনি। এক বিদ্যালয়ের সবাই ফেল করার বিষয়টি বীরগঞ্জে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। ৭জন শিক্ষক মিলে ৬ জন পরিক্ষার্থীকে পাশ করাতে না পারায় শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক ও সাধারন জনগনের মাঝে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বলছেন নবম-দশম শ্রেণীর কোন শিক্ষক না থাকায় এই ফল বিপর্যয হয়েছে।

 

 

 

জানা গেছে, উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নে ১৯৯৮ সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৩ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৮৫ জন শিার্থী রয়েছে। যারমধ্যে ১৯ জন দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত রয়েছে।

 

 

 

বিদ্যালয়ে এমপিও ভূক্ত সাতজন শিক্ষক, পাঁচজন কর্মচারি রয়েছে। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য দশম শ্রেনীতে ১১ জন শিক্ষার্থী টেষ্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এদের মধ্যে ছয়জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে চারজন ছাত্রী ও দুজন ছাত্র। ছাত্রদের মধ্যে একজন ছাত্রী প্রতিবন্ধী, একজন ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে । বিদ্যালয় থেকে প্রথমবারের মতো মানবিক বিভাগ থেকে সবাই পরীক্ষা দেয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় পরীক্ষায় কেউ পাস করতে পারেনি।

 

 

 

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস বানু জানান, এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ হতদরিদ্র। এ কারণে শিার্থীদের বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের আয়ের কাজে অংশগ্রহণ করতে হয়। এসব কারণে শিার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম থাকায় লেখাপড়ায় কিছু ঘাটতি রয়ে যায়। তা ছাড়া নবম-দশম শ্রেণীর কোন শিক্ষক নেই। নিন্ম মাধ্যমিকের শিক্ষক দিয়ে তাদেরকে পড়ানো হয়। তবে আগামীতে বিদ্যালয়ের পড়ালেখার বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।

 

 

 

 

 

বিদ্যালয়ের সভাপতি মজিবর রহমান জানান, নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিক্ষক সংকট রয়েছে। তার পরও লেখাপড়ার শিক্ষকদের চেষ্টার কমতি ছিল না। বিদ্যালয়ের যে দুর্বল দিকগুলো আছে সে বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

 

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ জানান, একটি বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রও এসএসসি পাস না করার ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

অন্য বিদ্যালয় এগুলো হলো– গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ ঘোগোয়া গার্লস হাইস্কুল, পরীক্ষার্থী ১৪ জন। নীলফামারীর ডিমলা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব গার্লস হাইস্কুলে দুজন ও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব শুখহাটি গার্লস হাইস্কুলে পাঁচজন পরীক্ষার্থী। 

গ্লেনরিচ শিক্ষার্থীদের প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য অনুষ্ঠিত হলো ‘গ্লেনজিউর’

মো: রাসেল মোল্লা 

 

গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল সাতারকুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব ‘গ্লেনজিউর’। আয়োজনে গ্রেড ৩ থেকে গ্রেড ৮ এর শিক্ষার্থীরা তাদের বহুমুখী প্রতিভা প্রদর্শন করার সুযোগ পায়। প্রাণবন্ত অর্কেস্ট্রা পারফরম্যান্স থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা নৃত্য, গান, কত্থক এবং ভরতনাট্যম নাচ পরিবেশন করে।

অনুষ্ঠানটি সকাল ৯টায় শুরু হয়। আয়োজনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্কুলের কর্মীদের অংশগ্রহণ নতুন মাত্রা যোগ করে। ইন-হাউস ব্যান্ডের কনসার্ট সহ অন্যান্য পারফরম্যান্সের কারণে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা উপস্থিত সবাইকে বিমোহিত করে।

অভিভাবকরা এমন একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজনের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানায়। এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত প্রতিভা বিকাশ ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। প্রতিভা বিকাশের সুযোগের পাশাপাশি ‘গ্লেনজিউর’ আয়োজন ছিল শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

রিপোর্ট 

নির্বাহী সম্পাদক 

দৈনিক নতুন বাজার৭১.কম

রূপগঞ্জের ইমান ভূঁইয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কামসাইর ইমান ভূঁইয়া ক্রিয়েটিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে ৩টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কামসাইর ইমান ভূঁইয়া ক্রিয়েটিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী, । 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাননীয় সংসদ সদস্য ও রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক । অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকারি সদস্য আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রহিম মাস্টার, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌস আক্তার রিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন খাজ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, ওমর ফারুক ভূঁইয়া, আলহাজ্ব মোঃ মতিন ভূঁইয়া, 

কামসাইর ইমান ভূঁইয়া ক্রিয়েটিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো: নওয়াব ভূঁইয়া, কামসাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম মিয়া, মতিন মোল্লা, জসিম মিয়া, কালিপদ সরকার, নুর হোসেন মিয়া, মামুন মোল্লা এবং অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ ।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তি, নৃত্য ও চমকপ্রদ নাচ,গান যেমন খুশি তেমন সাজসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

পরে বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করে অতিথিবৃন্দ।


   Page 1 of 17
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান
>
নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা


উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232

ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
    2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com

Developed By: Dynamicsolution IT [01686797756]