বিশেষ সংবাদ -
টাকা কী দুনিয়ার সব?

নাদিয়া রিফাত যখন ছিলো আমার দিন ভালো , ছিলো তখন আমার ঘরে আলো। ছিলাম আমি তখন দুধে ভাতে, ধন সম্পদ ছিলো আমার হাতে। সবার আপন তখন যে আমি , ভাবতো আমায় সবাই যে দামী। ধন সম্পদ সব গেল ফুরিয়ে , মানুষের রুপ যে এলো বেড়িয়ে । কেউ আর আসেনা আমার ঘরে, পথে আমায় দেখলে যায় সরে । অশুসিক্ত নয়নে বলি, হে রব টাকায় কী তবে দুনিয়ার সব ?

আগামী নির্বাচনে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে আ.লীগ: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভয় নেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, এ দেশকে কখনোই পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়ার মত পরিস্থিতি হতে দেবে না দল।রোববার (০৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে শুরু হওয়া আওয়ামী লীগের ‘বিশেষ বর্ধিত সভায়’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।এসভায় সভাপতিত্ব করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্র আবারও শুরু হয়েছে, আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রমও চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতার মাঝেও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা কারও কাছে মাথা নত করেন না। ভয় পাবেন না৷ ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপির কিছু লোকজন দেখে ভয়ের কিছু নেই। তাদের চেয়ে আমাদের লোকবল অনেক বেশি। ভয় নেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে আওয়ামী লীগ।

গণভবনে বর্ধিত সভায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশকে কখনোই পাকিস্তানের বন্ধুদের হাতে তুলে দেয়া হবে না।

 

বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা, জাতীয় সংসদের দলীয় সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা এবং সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত রয়েছেন।

 

এর আগে গতকাল শনিবার (৫ আগস্ট) দলের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সভার কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিশেষ বর্ধিত সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান।

তারেক-জুবাইদার সাজার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবীদের কালো পতাকা মিছিল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় সাজার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আইনজীবী ফোরাম।

রোববার (৬ আগস্ট) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনে থেকে সুনামগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কালো পতাকা হাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আদালত প্রাঙ্গণের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সমিতি ভবনের সামনে এসে সমাবেশ করেন।

এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুক আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হক, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট তৈয়বুর রহমান বাবুল, অ্যাডভোকেট শেরেনুর আলী, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহিম শাহিন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারে পায়ের নিচে মাঠি নেই। তাই নিশ্চিত পরাজয় জেনে তড়িঘড়ি করে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি মামলায় আদালতকে প্রভাবিত করে বেআইনি সাজা প্রদান করা হয়েছে। এ সরকারের পতন সুনিশ্চিত। 

বক্তারা আরও বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হবে।

আমতলীতে দলছুট হয়ে লোকালয়ে বিরল প্রজাতির হনুমাণ

পারভেজ শাহরিয়ার

আমতলী (বরগুনা)ঃ 

 

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কেওয়াবুনিয়া গ্রামের একটি উচু রেইন্ট্রি গাছের মগডালে গত তিন দিন ধরে অবস্থান করছে একটি বিড়ল প্রজাতির হনুমান। ওই হনুমানটি এক গাছ থেকে আরেক গাছে ছুটাছুটি করছে। উৎসুক জনতা ঢিল ছুড়ে ও ভেংচি কেটে হনুমানটিকে বিরক্ত করছে।   

বনবিভাগ ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো জানিয়েছে, বন্য প্রাণীকে বিরক্ত না করলে নিজে থেকেই আবার বনে ফিরে যায়। এদের উদ্ধার করে খাঁচায় আটকে রাখা কোনো সমাধান নয়।

জানা গেছে. গত শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে কেওয়াবুনিয়া গ্রামের আবদুল সত্তার আকনের বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি উচু রেইন্ট্রি গাছে ওই বিড়ল প্রজাতির হনুমানটিকে সর্বপ্রথম দেখতে পাওয়া যায়। হনুমানটিকে সারাদিন ধরে ওই বাড়ীর বিভিন্ন গাছে ছুটাছুটি করছে করতে দেখা যায়। আজ রবিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ওই এলাকা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে মোশারফ আকনের বাড়ির পুকুর পাড়ে একটি চাম্মল গাছে হনুমানকে দেখা গেছে। এভাবে একেক সময় একেকটি গাছে ছুটে বেড়াচ্ছে ওই বিড়ল প্রজাতির হনুমানটি।

আজ দুপুরে সরেজমিনে কেওয়াবুনিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, লম্বায় ৩ ফুট উচ্চতার ওই হনুমানটি স্থানীয় মাহবুল হোসেনের বাড়ির বাগানের ২০০ ফুট উচ্চতার একটি রেইট্রি গাছের মগডালে বসে রয়েছে। উৎসুক মানুষের ভিড়, কৌতুহল বসতঃ ভেচিং কেটে ও ঢিল ছুড়ার কারণে হনুমানটি এক গাছ থেকে লাফিয়ে আরেক গাছে গিয়ে অবস্থান বদল করছে।

কেওয়াবুনিয়া গ্রামের হৃদয় হোসেন জানান, ‘সকাল থেকে একটি হনুমান আমাদের গ্রামের বিভিন্ন গাছের মগডালে অবস্থান করছে। ঘন্টায় ঘন্টায় সে তার অবস্থান পরিবর্তণ করছে। উৎসুখ জনতা হনুমানটিকে ঢিল ছুড়ে বিরক্ত করছে। চেষ্টা করছি যেন হনুমানটিকে নিরাপদে রাখা যায়। বন বিভাগের উচিত হনুমানটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেয়া।’

আমতলী উপজেলা বন বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বিরল প্রজাতির ওই হনুমানটি দলছুট হয়ে লোকালয়ে এসেছে। স্থানীয়দের প্রতি অনুরোধ প্রানীটিকে যেন বিরক্ত করা না হয়। তাকে তার মতো থাকতে দিলে ভালো হবে। সে এনতিইে আবার বনে ফিরে যাবে। 

নারী সাংবাদিক আসমা আক্তারের অকাল মৃত্যুতে ঢাকা প্রেস ক্লাবের শোক প্রকাশ

মোঃ শহিদুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকা প্রেস ক্লাবের স্থায়ী কমিটির নারী সদস্য ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশ কালান্তর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আসমা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় তার স্বামী দেশ কালান্তর এর সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বাচ্চু ও তার সতিন রোজিনা বেলায়েতকে দায়ি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার অকাল মৃত্যুকালে দুটি সন্তান রেখে গেছেন। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে যান। আসমার বাড়ি বরিশালে। নারী সাংবাদিক আসমা আত্মহত্যার ঘটনায় ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থায়ী সদস্যবৃন্দ নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, পারিবারিক কলহের জন্য যদি এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান ঢাকা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ নারী সাংবাদিক আসমা আত্মহত্যার ঘটনায় ঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল সাধারণ সম্পাদক এ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন,ও স্থায়ী সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহ ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। তাঁর সাথে সাথে নারী সাংবাদিক আসমা আক্তারের মৃত্যুর ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

একটি শোক সংবাদ,

 দৈনিক নতুন বাজার ৭১ ডট কম এর সম্পাদক ওপ্রকামক এম এ মান্নার সাহেবের চাচাত ভাই  মোঃ মোজাম্মেল হক, নিজ বাসভবনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তিনি একজন সত মানুষ ছিলেন, তিনি নামাজ পরতেন, আমাদের জানা মতে দেখিনাই নামাজ কাজা করতে,রাতে কোন দিন তিনি ঘুমান নাই,রাতে সব সময় তিনি কোরান শরীফ পরতেন, জিকির করতেন, মসজিদে সব সময় পথম কতারে নামাজ আদায় করতেন সব সময়, জীবনে কারো সাথে কোন দিন ঝগড়া বিবাদ করেন নাই।জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

সিরাজগঞ্জে সাংবাদিক বারীর দাফন সম্পন্ন

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের চণ্ডি দাসগাতি স্কুল মাঠে জানাযা শেষে চণ্ডিদাসগাতি কবরস্থানে বারীকে দাফন করা হয় বলে তার বড় ভাই আব্দুল আলীম জানান। 

এর আগে বুধবার রাত ২টার দিকে বারীর মরদেহ লাশবাহী গাড়িতে করে ঢাকা থেকে তার বাড়িতে নেওয়া হয়। লাশ পৌঁছানোর পর পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষবারের মত বারীকে দেখতে স্বজন ও গ্রামবাসী ভিড় করতে থাকেন।

২৮ বছর বয়সী বারী ডিবিসি নিউজের একজন প্রডিউসার ছিলেন। বুধবার সকাল ৭ টার দিকে পুলিশ প্লাজার উল্টো দিকে লেকের ধারের সড়কে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায় বলে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহানুর রহমান জানান।

বারীর গলা ও পেটে ছুরিকাহতের চিহ্ন ছিল। লাশের পাশে তার মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, জুতা এবং একটি চাকু রাখা ছিল।

মহাখালী ওয়্যারলেস গেইট এলাকায় ডিবিসি নিউজের কার্যালয়ের কাছে একটি মেসে থাকতেন আব্দুল বারী।

ডিবিসি নিউজের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি রিফাত রহমান জানান, বারীর দাফনের সময় বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। তার বাড়িতে এখন শোকের মাতম চলছে।  

সিরাজগঞ্জ সদরের শিয়ালকোল ইউনিয়নের চণ্ডিদাসগাতি গ্রামের আব্দুল্লাহ সেখের ছেলে বারী ছয় ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন পঞ্চম। ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষে বারী প্রথমে যোগ দেন মোহনা টেলিভিশনে। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে চাকরি নেন ডিবিসি নিউজে।

নড়াইলের সি আর এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হোলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

নড়াইল জেলা প্রতিনিধি 

‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের সি আর এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চিত্রাংকন, কুইজ, সচিত্র প্রতিবেদন,দেশেত্ববোধক গান ,কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরুস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ই ফাল্গুন) সকাল ৭ ঘটিকা থেকে বিছালী ইউনিয়নের সি আর এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মোঃ হিমায়েত হুসাইন ফারুক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আজমল হোসেন(খোকন) বিশিষ্ট সমাজ সেবক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত মোঃ মুরসালিম ( ক্যাম্প ইনচার্জ মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্প) নড়াইল সদর নড়াইল। মোঃ আফরোজ জামান সান্টু এর সভাপতিত্বে, মেহেদী হাসান রিয়াজ ও হৃদয় হাসানের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মোঃ হিমায়েত হুসাইন ফারুক চেয়ারম্যান বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মোঃ আজমল হোসেন (খোকন)এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ কুরবান আলী বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন সি আর এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আব্দুর সবুর, মালল,মোঃ শামিম শেখ, মোছাঃ হেলেনা পারভীন, মোঃ ইব্রাহিম শেখ , মোঃ আলেক আলী শেখ (বিশিষ্ট সমাজ সেবক) মোঃ আব্বাস উদ্দিন বিশ্বাস, মোঃ মাজেদ আলী শেখ, মোঃ রমজান আলী শেখ, মোঃ নিজাম উদ্দিন মোল্ল্যা,মোঃ হরমুজ বিশ্বাস মোঃ জুলহাস উদ্দিন বিশ্বাস,মোঃ হালিম বিশ্বাস, মোঃ মোরাদ শেখ মোঃ তরিকুল শেখ, মোঃ মূসা ইব্রাহিম, সাংবাদিক মোঃ রাসেল হুসাইন, বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী সহ বিছালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।

শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএমএসএফ চট্টগ্রাম জেলা ও বন্দর জোন কমিটি

বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ অমর একুশে প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ এর চট্টগ্রাম জেলা ও বন্দর জোন কমিটির উদ্যোগে ভাষা ও শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় অস্থায়ী শহিদ মিনারে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি ২১ তারিখ ১২ টা ১ মিনিটে শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেন, শহীদদের স্মরণে যথাযথ মর্যাদায় সাথে দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে এ বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়,এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃত লাভ করে। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্যদেশ সমূহে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়ে আসছে, রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ১ মিনিটে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর পরপরই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা সহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকসহ আরো অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন ‘মায়ের ভাষার’ মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পায় নবপ্রেরণা। এরই পথ বেয়ে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পরবর্তী নয় মাস পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে সংযোজিত হয় নতুন এক স্বাধীন সার্বভৌম দেশ- ‘বাংলাদেশ’। একুশে ফেব্রুয়ারি শোকাবহ হলেও এর যে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় তা পৃথিবীর বুকে অনন্য। কারণ বিশ্বে এ যাবতকালে একমাত্র বাঙালি জাতিই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ছুটির দিন। এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা কমিটির আহ্বায়ক কে এম রুবেল শহীদ মিনার চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে প্রতিক্রিয়া জানাতে তিনি বলেন, যে ভাষার জন্য ৫২’র আন্দোলনে এদেশের দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্তে-জীবন বিলিয়ে গেলেন; আর এখন সেই ভাষা নানা ভাবে বিকৃত হচ্ছে। আইন আদালতে ইংরেজীতে আদেশ দিচ্ছেন; যা প্রায় ৯০ ভাগ সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয় না। বাঙালী জাতির ঐতিহ্যবাহী বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় রাষ্ট্রীয় ভাবে সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত হওয়াটা জরুরী বলে আমি মনে করছি। তিনি আরো বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায় পৃথীবির বহু দেশে অন্য দেশের ভাষা চাপিয়ে দিয়ে নিজ দেশের ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেমন সাউথ সুদানের ভাষা বিলুপ্ত করে নর্থ সুদানের ভাষা, ইথুউপিয়ার ভাষা বিলৃপ্ত করে অন্য ভাষা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। তেমনি ৫২’র দিকে বাংলাদেশে বাংলা ভাষার স্থানে উর্দূ ভাষা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার দামাল ছেলেরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করেছিল। তেমনি সেই চক্রান্ত কিন্তু এখনও মুছে যায়নি। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক কে এম রুবেল জেলা কমিটি, আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মুক্তার আহমেদ , ইয়াছিন আরাফাত, আহমেদ শাকিল, আব্দুল সফুর সাখাওয়াত শিবলী, মোঃ মামুন,শেখ আহমেদ শাকিল, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল গায়ের, রতন বড়ুয়া, মোঃ দিদারুল আলম, মির সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ , মোঃ জাফরুল ইসলাম, রওশান আলী, রোকনউদ্দিন জয়, আসিফ খন্দকার ,দিলু জইতা বড়ুয়া, আব্দুল ছালাম, মোঃ সেলিম খোকন, এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,জাতীয় দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোচীফ,মোঃ শহিদুল ইসলাম ( শহিদ) ,জাতীয় দৈনিক একুশের সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার,মোঃ রিয়াজ উদ্দিন,দৈনিক তালাশ টাইমস পত্রিকার চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি,মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান , মোঃ শুক্কুর ও প্রমুখ

গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী আর নেই

বাংলাদেশের বরেণ্য গীতিকার ও জ্যোতিষশাস্ত্রবিদ কাওসার আহমেদ চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেছেন। 

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একথা নিশ্চিত করেছেন কাওসার আহমেদ চৌধুরীর ছেলে আহমেদ সাফি চৌধুরী। 

মাল্টিপল অর্গান ফেইলিওর নিয়ে এমাসের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন কাওসার আহমেদ চৌধুরী। 

করোনায় আক্রান্ত হয়ে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

কাওসার আহমেদ চৌধুরী মূলত একজন গীতিকার। তবে জ্যোতিষী হিসেবেও তিনি পরিচিত। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গোয়েন্দা হিসেবে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন তিনি।

তার লেখা জনপ্রিয় কয়েকটি গানের মধ্যে রয়েছে ‘যেখানেই সীমান্ত তোমার সেখানেই বসন্ত আমার’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়ল তোমায়’, ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’, ‘এই রুপালি গিটার ফেলে’,  ‘মৌসুমি কারে ভালোবাসো তুমি’।

হোসেনপুরকে মডেল পৌরসভা করতে চান মোবারিছ

মোঃ মনির হোসেনঃ


কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছ। ছাত্রলীগ থেকে শুরু হয় তার রাজনীনৈতিক জীবন। আসন্ন হোসেনপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে ময়দানে চালাচ্ছেন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। আসন্ন হোসেনপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। দলীয় মনোনয়নের নামে সোনার হরিণ পেতে ভোটের মাঠে চালাচ্ছেন গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা। এছাড়াও দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে গড়ে তুলছেন সখ্যতা।

অনলাইন নিউজপোর্টাল নতুনবাজার৭১.কম’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছ তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও রাজনৈতিক জীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে সন্মান অর্জন করতে এসেছি, অর্থ বিত্ত অর্জন করতে নয়। যার প্রমান ২৬ বছর ধরে রাজনীতিতে দিয়ে আসা সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেছিলাম হিমেল, কামাল, ডালিম, মনজিল সহ কিছু বন্ধুদের নিয়ে। লড়াই সংগ্রাম আন্দোলন করে ১৮টি মামলার আসামি হয়ে তিনবার জেল খেটেছিলাম। একবার বিশেষ ক্ষমতার অধীনে ডিটেনশন দেয়া হয়েছিলো আমাকে ও হিমেলকে। ছয়মাস জেল খেটে হিমেল ও ডালিম ক্ষোভে চলে যায় বিএনপিতে, কামাল চলে যায় চাকরিতে আর আমি বড্ড একা হয়ে যাই।

তিনি বলেন, সেই থেকে দলের ভালোবাসার টানে একাই লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাই। এর মাঝে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করি। দুই দুইবার বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হই। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভোটে নির্বাচিত হয়ে এখনো সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।

তিনি বলেন, বিগত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অর্থের কাছে বিক্রি হওয়া কিছু নিজ দলীয় নেতার কারণে পরাজিত হই। তার মাঝে পেয়ে যাই হাজার যুবক ভাই বোনদের ভালোবাসা ও মা বাবাদের দোয়ায় ৩০ হাজার ভোট, যা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় লিখা আছে আমার হৃদয়ের মণিকোঠায়। সেই ৩০ হাজার ভোটারের শক্তি নিয়ে আগামী হোসেনপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাই। আশা রাখি মনোনয়ন বোর্ড ৩০ হাজার ভোটারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটির যথাযথ মূল্যায়ন করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিবেন।

তিনি বলেন, আল্লাহ যদি সহায় হয় আগামী মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো করবোই ইনশাল্লাহ। ভোট চাই ভোটারের দোয়া চাই সকলের।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন অনুপ্রবেশকারীকে দলীয় পদ পদবি ও দলীয় মনোনয়ন দেয়া যাবেনা। আশা রাখি, আগামী মেয়র নির্বাচনে হোসেনপুরে তার যথাযথ বাস্তবায়ন হবে। দলীয় মনোনয়ন পাবে তারা আওয়ামী লীগের আতুর ঘর ছাত্রলীগে জন্ম নিয়েছে যারা। আর মেয়র নির্বাচিত হবেন তিনি দলমত নির্বিশেষে মানুষের ভালোবাসা কুঁড়াতে পেরেছেন যিনি।

তিনি বলেন, আশা রাখি দলীয় মনোনয়ন পাবো এবং সর্বজনের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হব।স্বচ্ছ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আধুনিক ও জবাবদিহিতা মূলক মডেল পৌরসভা গড়বো। ভোট চাই ভোটারের দোয়া চাই সকলের। তিনি বলেন,আমার দৃঢ় বিশ্বাস দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হবো। তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে হোসেনপুর পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো।

ভ্রমণপিপাসুদের দুর্নিবার আকর্ষণ অলওয়েদার সড়কটি

মোঃ মনির হোসেনঃ

কিশোরগঞ্জের সফল সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ খানের পুত্র রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক। হাওরবাসীর স্বপ্নপূরণের বিস্ময়কর সড়ক তৈরী করে তিনি এখন কিশোরগঞ্জবাসীর হৃদয়ের মনিকোঠায় অবস্থান করছেন।। 

স্বপ্নের এই নান্দনিক সড়ককেই ঘিরে এখন হাওরে উন্মোচিত হয়েছে পর্যটন সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। সড়কটি নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন ‘ভাটির শার্দুল’ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তাঁর হাত ধরেই হাওরের বিশাল জলরাশির বুকচিরে বাস্তবায়িত হয়েছে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি।

তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের জন্য তৈরি করা নান্দনিক এই সড়কটি এখন হয়ে ওঠেছে সৌন্দর্য্যের এক দুর্নিবার আকর্ষণের নাম। সড়কটি দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন সৌন্দর্য্য আর ভ্রমণপিপাসুরা। হাজারো পর্যটকের পদচারণায় এখন মুখরিত হাওরের একসময়ের অবহেলিত আর প্রত্যন্ত এই জনপদ।

বাংলাদেশের কোথাও হাওরের মাঝখানে এত দীর্ঘ সড়ক নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এঁর স্বপ্নের অলওয়েদার সড়কটি দেখতে ভিড় করছেন। রাস্তার দু’পাশে থৈ থৈ পানি, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। মেঘ আর জলের এই মনোরম মিতালির সামনে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকা।

সড়কের পাশে বসে বুকভরে নির্মল বাতাস উপভোগ আর হাওরের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে ক্ষণিকের জন্য পর্যটকদের হারিয়ে যায় মন। হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা হাজারো পর্যটক আর এলাকাবাসীর কাছে এ যেন অপার সৌন্দর্য্যের এক লীলাভূমি।

দিগন্ত বিস্তৃত এ সড়ককে ঘিরে দুঃখ ঘুচেছে হাওরবাসীর। ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণের ফলে হাজারো মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। বর্ষায় কর্মহীন অনেক মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লাভবান হয়েছেন এসব উপজেলার মানুষ।

হাওরের বুকচিরে নির্মিত দীর্ঘ নান্দনিক সড়ক দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করেন। ফলে এলাকায় ক্ষুদ্র দোকানি, রেঁস্তোরা মালিক, নৌকার মাঝি, নসিমন-করিমন-লেগুনা-অটোরিকশা-মিশুকের চালক মিলিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য মানুষের।

জানা গেছে, জেলার হাওরাঞ্চল ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগের জন্য ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে অলওয়েদার সড়কটি নির্মিত হয়েছে। ৮৭৪ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক বদলে দিয়েছে হাওরের দৃশ্যপট। অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে সেখানকার আর্থসামাজিক অবস্থার।

একটি মাত্র সড়ক যেভাবে একটি জনপদের অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে দিচ্ছে তা বিষ্ময়কর। দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি, নয়নাভিরাম সড়ক ও হাওরের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকদের ঢল নামে সেখানে। হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম এখন পরিণত হয়েছে পর্যটকদের তীর্থক্ষেত্রে।

 

অঢেল সম্পদের মালিক ওসি প্রদীপ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

চাকরি জীবনের মাত্র ২৪ বছরেই টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। প্রচুর ব্যাংক ব্যালেন্সসহ ওসি প্রদীপের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে রয়েছে ব্যবসা, বাড়ি, প্লট-ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি ও ভরি ভরি স্বর্ণালঙ্কার। অভিযোগ রয়েছে তিনি মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়। সমাজ বিশ্লেষকদের ধারণা এসবই হয়েছে ক্রসফায়ারের ভয় আর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে।

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় জায়গা দখল করে স্ত্রীর নামে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চট্টগামের পাঁচলাইশ থানার ওসি থাকাকালে মুরাদপুরে দশ কাঠা জায়গা দখল করেন। সম্পদ গড়েছেন কক্সবাজারেও। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওসি প্রদীপের চট্টগ্রামের দাশের লাল খান বাজারে একটি ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেলের মালিকানা, বেয়ালখালীতে স্ত্রী চুমকির নামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। রয়েছে মৎস্য খামার, আগরতলা ও অস্ট্রেলিয়ায় তার বাড়ি রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

 

তার স্ত্রী চুমকি গৃহিণী হলেও ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মৎস্য খামার তার নামে করা হয়। পাথর ঘাটায় ৪ শতক জমি রয়েছে চুমকির নামে; যার মূল্য ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ওই জমির ছয়তলা ভবনের বর্তমান মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার, পাঁচলাইশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকার জমি কেনা হয়; ২০১৭-১৮ সালে কেনা হয় কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজায় ৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট; যার দাম ১২ লাখ ৩২ হাজার টাকা। জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেয়া প্রদীপ কুমার দাশ চাকরি জীবনের বেশিরভাগ কাটিয়েছেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়, কখনো মিথ্যা মামলায় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের 

অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চাকরি জীবনের ১৫ বছরের মাথায় এক বৃদ্ধের জায়গা দখল করে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় গড়ে তুলেছেন স্ত্রীর নামে বহুতল ভবন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর তার সম্পদের বিষয়টি এখন সবার মুখে মুখে। এসব বিষয়ে নানা সময়ে কথা উঠলেও গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা দুদক ছিল নিঃশ্চুপ। শেষমেষ সাবেক মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর প্রদীপ কুমার ও তার স্ত্রীর সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয় ২ এর উপ পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খুব দ্রুতই এর প্রতিবেদন দেয়া হবে।

 

সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পুলিশের গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

মঙ্গলবার সকালে কক্সবাজার শহরের হিলডাউন সার্কিট হাউসে বৈঠকে বসেছেন কমিটির সদস্যরা। ঘটনার বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন তারা।

তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই ঘটনার একটি নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

 

এই কমিটিতে রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের মনোনীত একজন প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে রয়েছেন। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শকের মনোনীত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাকির হোসেন। এর আগে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাং শাজাহান আলিকে এই তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিল।

গত শুক্রবার কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও বিচারের দাবি করেছেন তারা।

সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিল তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টা নিয়ে যেহেতু তদন্ত চলছে, সেহেতু তিনি কোনো মন্তব্য করতে চান না। তবে তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রিজেন্টের মালিকের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি, প্রভাবশালী অনেকেই বিব্রত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরকারের হাইকমান্ডের অনেকেই বিব্রত। রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদের সাথে তাদের অন্তরঙ্গ ছবি ঘুরপাক খাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই ছবিতে অনেকেই নানান বিরূপ মন্তব্য করছেন। ছবিতে বিশিষ্ট ওই লোকদের সাহেদের সাথে বেশ অন্তরঙ্গই দেখা গেছে। অথচ অনেক আগে থেকেই এই সাহেদের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণার অভিযোগ। গত ৯ বছরেই রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অন্তত ৩২টি মামলা হয়েছে। এমন অভিযোগের পরেও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো বাছবিচার ছাড়াই কিভাবে সাহেদের সাথে অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে ছবি তুললেন তা নিয়েই মানুষের যত প্রশ্ন।

এসএসসি পাস ব্যক্তি সাহেদ করিম রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক। শুধু হাসপাতালই নয়; এমএলএম কোম্পানি, পত্রিকাসহ আরো কত কিছুর মালিক এই সাহেদ! উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। বিশিষ্ট অনেক ব্যক্তির সাথেই তার ছিল দহরমমহরম। প্রতারণাকাজে তিনি এই সম্পর্ককেই ব্যবহার করে আসছিলেন।

 

জানা গেছে, ২০০৯ সালের দিকে সাহেদ ধানমন্ডি এলাকায় বিডিএস কিক ওয়ান এবং কর্মমুখী কর্মসংস্থান সোসাইটি (কেকেএস) নামে দু’টি এমএলএম কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে গা ঢাকা দিলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ পর্যন্ত তার নামে ৩২টি মামলা রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন থানায়। তারমধ্যে ধানমন্ডি, মিরপুর, উত্তরা, লালবাগ ও আদাবরে মামলার সংখ্যা বেশি। মামলাগুলো হচ্ছেÑ বাড্ডা থানায়-৩৭(৭)০৯, আদাবর-১৪(৭)০৯, লালবাগ-৪৭(৫)০৯, উত্তরা ২০(৭)০৯, উত্তরা ১৬(৭)০৯, উত্তরা ৫৬(৫)০৯, উত্তরা ১৫(৭)০৯, ৩০(৭)০৯, ২৫(৯)০৯, ৪৯(০৯)০৯, ১০(৮)০৯; সবগুলোই প্রতারণার বলে জানা গেছে। প্রতারণার এসব টাকা রিজেন্ট কেসিএস লি. ইউসিবি ব্যাংক উত্তরা শাখায় অ্যাকাউন্ট নং-০৮৩২১০১০০০০১০০০৩, রিজেন্ট হাসপাতাল লি. ইউসিবি ব্যাংক উত্তরা শাখায় অ্যাকাউন্ট নং-০৮৩১১০১০০০০০০৬১৬, ব্র্যাক ব্যাংক উত্তরাসহ বিভিন্ন ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে তথ্য আছে। 
সংশ্লিøষ্ট সূত্র জানায়, প্রতারণার টাকা দিয়েই তিনি ব্যবসা প্রসারিত করেন। গড়ে তোলেন আরো শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এমনকি পত্রিকারো মালিকও হন। তিনি কিছু সাংবাদিকও নিয়োগ দেন। ওই পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক হিসেবে তিনি পরিচয় দিতেন। নিজেকে আরো শক্তিশালী করতেই তিনি এই পত্রিকার মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু সেই পত্রিকা আর বাজারে আসেনি। সেন্টার ফর পলিটিক্যাল রিসার্চ নামে একটি প্রতিষ্ঠানও চালাতেন তিনি। বিভিন্ন টকশোতে অংশ নিতেন। নামীদামি টেলিভিশনেও তিনি গেস্ট হিসেবে উপস্থিত হয়ে জাতিকে নসিহত করতেন।

র্যাব সূত্র জানায়, করোনাকালে ১০ হাজার রোগীর করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। মাত্র চার হাজার ২৬৪টি নমুনা সরকারিভাবে টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়। বাকি পাঁচ হাজার ৭৩৬টি পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট প্রদান করা হয়। রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চুক্তি অনুযায়ী, বিানামূল্যে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসা দেয়ার কথা ছিল; কিন্তু ১০ হাজার টেস্টের বিপরীতে রিজেন্ট প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া ভর্তি রোগীপ্রতি এক লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বাবদ বিল করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার শুধু জুন মাসেই সরকারের কাছে চিকিৎসা বিল বাবদ পাঠানো হয় এক কোটি ৯৬ লাখ টাকার হিসাব। সেবার নামে এভাবেই অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করেছে রিজেন্ট। আর যখনই এসব নিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো তদন্ত শুরু করে, তখন নিজেকে বাঁচাতে সাহেদ রিজেন্ট হাসপাতালের তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্তের একটি নাটক করেন।

এ দিকে, সাহেদের এই প্রতারণার চিত্র জনসমক্ষে এলে বিব্রত অবস্থায় পড়েন প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডি-এক্টিভ করার আগেই সাহেদের ওয়াল থেকে অনেকেই ওই সব ছবি নিয়ে ভাইরাল করেন। অনেককেই দেখা গেছে, সাহেদের সাথে বেশ অন্তরঙ্গ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতারণার কাজে সাহেদ এই ছবিগুলো ব্যবহার করতেন। এমনকি অনেক মানুষকে নানা সময় অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছেন এমন অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

লিবিয়ার ভয়ঙ্কর মানবপাচারকারী সিলেটের রফিক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

লিবিয়ার ‘ভয়ঙ্কর’ মানবপাচার চক্রের সদস্য সিলেটের বিশ্বনাথের রফিক। সব জেনে-শুনেই হাসিমুখে সিলেটের তরতাজা যুবকদের ঠেলে দেয় মৃত্যুর মুখে। এরপরও লিবিয়া পৌছালে জিম্মি করা হয় যুবকদের। বন্দি থাকা স্বজনের মৃত্যু ঠেকাতে সিলেটের রফিকের হাতেই তুলে দেওয়া হয় মুক্তিপণের টাকা। সেই টাকা রফিক হুন্ডির মাধ্যমে পাঠায় লিবিয়া। ওখানে রয়েছে তার ছেলে পারভেজ। সেও লিবিয়ার মানবপাচারকারী মাফিয়াদের একজন। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশে মানবপাচার চক্রের গড়ে তোলেছে রফিক।

গত বছরের মে মাস। দালাল রফিকের মাধ্যমে স্বপ্নের দেশ ইতালীর পথে গিয়ে ভুমধ্য সাগরে ডুবে মারা গেছে অনেক সিলেটী।- এই ঘটনার পর সিলেটের বিশ্বনাথের দালাল রফিকের সন্ধান মিলে। মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। পরপর ৮টি মানবপাচার মামলা হলে সিলেট ছেড়ে পালায় রফিক। ওই সময় আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হন্য হয়ে খুজলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে- মানবপাচার চক্রের আরেক সদস্য রফিকের মেয়ে পিংকি গ্রেপ্তার হয়েছিলো। গ্রেপ্তারের পর পিংকির কাছ থেকে মিলেছে রফিক, পারভেজ ও পিংকির মানবপাচারের নেটওয়ার্ক। এখন তার সবকিছুই তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির জানা। ঈদের আগে জামিন পেয়েছে পিংকি। সম্প্রতি বাড়িতে এসেছিলেন রফিকও। বাড়িতেই ঈদ কাটার বলে এলাকার লোকজন জানান। সোমবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকেই র্যা বের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সে। এরপর র্যা ব সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এক বছর পলাতককালে ঢাকায় ছিলো সে। সেখানে বসেই দেশজুড়ে মানবপাচারের নেটওয়ার্ক গড়েছে। এখন স্বজন হারানো শোকার্ত পরিবারগুলোর চোখ সরছে না তাদের উপর থেকে। তাদের গতিবিধি দিকেও তারা নজর রাখছে। আর  যাতে সিলেটের কোনো মায়ের কোল খালি না হয় সে কারনে তাদের এই নজরদারি। তেমনকি একজন ভুক্তভোগি বিশ্বনাথের রেজাউল ইসলাম রাজু। ঠিক এক বছর আগে রফিক ও ছেলে পারভেজের সিন্ডিকেটের কবলে ভাই রেজওয়ানুল ইসলাম খোকনকে হারিয়েছেন তিনি। ভুমধ্যসাগরের চিরতরে হারিয়ে গেছে খোকন। রাজু মানবজমিনকে জানান- এক বছর কারাগারে থাকার পর পিংকি মুক্তি পেয়ে গেছে। সে এখন বাড়িতে আছে। এখন রফিক আটক হয়েছে। তিনি বলেন- আমরা জান ও মাল সব হারালাম। এখন বাকী শুধু বিচার। এই বিচার হলেই আমরা খুশী হবো। আমরা চাই- সিলেটের আর কোনো মায়ের কোন যেনো খালি না হয়। স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগিরা ইতিমধ্যে রফিক ও তার পরিবারের মানবপাচারের অন্য তথ্যর খুজ পেয়েছেন। মিলেছে মানবপাচারের ভয়ঙ্কর তথ্য। বিশ্বনাথের রামধানা এলাকার কাঠলী পাড়া। ওই গ্রামের বাসিন্দা রফিক আহমদ। ৮ বছর আগে নিজ ছেলে পারভেজকে লিবিয়া পাঠান রফিক। সেখানে ওখানে গিয়ে থিতু হয়ে যায়। মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে যায়। ওখানে বাংলাদেশের নেটওয়ার্কের পুরোটাই নিয়ন্ত্রন করে পারভেজ। দেহরক্ষী নিয়ে ঘুওে সে। সিলেট থেকে পাচার করা মানুষ গেলে সে প্রায়ই যায়। দেখা সাক্ষাৎ করে। জিম্মিকালে পরিবারকে টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। ছেলের সূত্র ধরে সিলেটে মানবপাচারের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি ঘটায় রফিক। প্রথমে সে মানুষজন জোগার করতো। বিদেশ যেতে ইচ্ছুক মানুষ সংগ্রহ করতো। পরে সে মানুষ নিয়োগ করে। এলাকায় এলাকায় তার নিয়োজিত এজেন্টরা এই কাজ করতো। আর বিদেশে পাচারের বিষয়টি দেখভাল করতো মেয়ে পিংকি। তার একাউন্টেই কোটি কোটি লেনদেন হয়। ভুমধ্যসাগরের নৌকাডুবে সিলেটী যুবকদের মৃত্যুর ঘটনায় পিংকির বিরুদ্ধেও ৬ মামলা হয়। এসব মামলায় পিংকি গ্রেপ্তার হয়। এরপর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার তিনটি ব্যাংক একাউন্ট খুজে যান। এর ব্রাক ব্যাংকের একাউন্টে থাকা ৩২ লাখ টাকা খোজ পান। গ্রেপ্তারের আগেই পিংকি অগ্রনী ব্যাংকের শাখা থেকে ১ কোটি ৪৭ টাকা সরিয়ে ফেলে। পুলিশ জানায়- ভুমধ্য সাগর ট্র্যাজেডির পর রফিকের পর বিরুদ্ধে নতুন করে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে বিশ্বনাথ থানায় মামলা করেছিলেন মারা যাওয়া খোকনের ভাই রাজু। এছাড়া হবিগঞ্জে বানিয়াচংয়ে রানা নামে আরো এক জন মামলা করেন। এর বাইরে জালালাবাদ থানা, দক্ষিন সুরমা থানা ও গোলাপগঞ্জ থানা সহ সিলেটের আরো কয়েকটি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এসব মামলা দায়ের প্রাক্কালেই সিলেট থেকে পালিয়েছিলো রফিক। ফলে ওই সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রফিকের খোজ পায়নি। সম্প্রতি সময়ে বাড়ি এলে গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মানবপাচারের নির্মম ঘটনায় টাকাওলা বনে যাওয়া রফিক নিজ গ্রামে বানিয়েছে পাকা বাড়ি। দুটি বাস, দুটি মাইক্রোবাস ও তিনটি সিএনজি অটোরিক্সার মালিক সে।


   Page 1 of 4
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান
>
নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা


উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232

ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
    2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com

Developed By: Dynamicsolution IT [01686797756]