শর্তসাপেক্ষ নতুন করে যুদ্ধবিরতির জন্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দেওয়া প্রস্তাবে সাড়া দেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
হামাসের দেওয়া নতুন প্রস্তাবে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে অসুস্থ, বৃদ্ধ ও নারী জিম্মিদের ছেড়ে দেবে তারা। এর বদলে ইসরায়েলকে ৭০০ থেকে এক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে হামাসের এই প্রস্তাবে রাজি হননি নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, হামাসের এই প্রস্তাব অযৌক্তিক।
এদিকে, গাজা উপত্যকার রাফা এলাকায় হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দিয়েছে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। রাফায় বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে হামলা চালালে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস। ওইদিন ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি হত্যার পাশপাশি আরও প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে আসে তারা। ওই হামলার পর গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
|
|
|
মোহাম্মদ মাহামুদুল
মালদ্বীপ প্রতিনিধি।
ইসলাহ্ ও আত্মশুদ্ধি মুলক, সম্পুর্ন অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন। মদিনার জামাত মালদ্বীপ শাখার উদ্যোগে পবিত্র ঈঁদে মিলাদুন্নবী (সঃ)উপলক্ষে বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল ২০২৩ইং অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৩ ই অক্টোবর, রোজ শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত নয়টায়। মালদ্বীপের রাজধানী মালে ডন-ডন রেস্টুরেন্টে এই ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে মদিনার জামাত মালদ্বীপ শাখার আহবায়ক ও প্রবাসী সাংবাদিক মোঃ আল আমীনের সঞ্চালনায় মালদ্বীপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ ফারুক মোল্লার সভাপতিত্বে,
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মালদ্বীপের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ নজরুল ইসলাম মজিব,
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মোঃ হারুন মিয়া, ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর সিকদার, ব্যবসায়ী মোঃ জিয়া খাঁ।
অনুষ্ঠান শুরুতেই প্রবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোঃ জাকির হোসেন, ও নাতে রাসুল( সঃ) পরিবেশন করেন মোঃ নুরুল আমিন সুন্নী।
অনুষ্ঠানে পবিত্র ঈঁদে মিলাদুন্নবী (সঃ) গুরুত্ব এবং দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির লক্ষে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা পেশ করেন মদিনার জামাত মালদ্বীপ শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা মহসিন খাঁন, হাফেজ মোঃ জাকির হোসেন, মোস্তফা হোসাইন সুন্নি, ক্বারী মোঃ শাহ্ আলম, ও মোঃ মাসুম প্রমুখ ,
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দেশ ও মুসলিম উম্ মার এবং ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য কল্যাণ মঙ্গল ও মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন, মাওলানা মোঃ তাজুল ইসলাম,
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ দুলাল আল মাইজভান্ডারি, মোঃ আদম আলী,ব্যবসায়ী আবু সলিম কুদ্দুস, মালদ্বীপ জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আবদুল্লাহ্ কাদের, প্রবীন প্রতিবাদী সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান কালাম, মোঃ ওসমান খাঁন আপন,মোঃ আলাউদ্দিন সরকার,মোঃ ইসরাফিল , মোঃ নাছির সরকার, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ সোহেল, মোঃ জানে আলম, মোঃ বাবুল হোসেন, কাজী তৌহিদুল ইসলাম, মামুন আঃরব,সহ মালে ও আসপাশের আইল্যান্ড থেকে আগত অনেক প্রবাসীরা মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।পরিশেষে নৌশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন মাহফিলের সভাপতি মোঃ ফারুক মোল্লা।
|
|
|
অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অকাস (অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্র বা এইউকেইউএস) কর্মসূচির অংশ হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরিতে ৪০০ কোটি ডলার দিচ্ছে বৃটেন। এ জন্য তারা বৃটিশ তিনটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে সাবমেরিনের ডিজাইন এবং পারমাণবিক শক্তিচালিত এই সাবমেরিন তৈরিতে।বৃটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই সাবমেরিনের নাম দিয়েছে এসএসএন-অকাস। তারা আরও বলেছে, বৃটিশ নৌবাহিনী এ যাবৎ যত সাবমেরিন পরিচালনা করেছে তার মধ্যে এই নৌযান হবে সবচেয়ে বৃহৎ, সবচেয়ে অত্যাধুনিক এবং সবচেয়ে শক্তিধর। এতে থাকবে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় সেন্সর, ডিজাইন হবে অতি আধুনিক এবং অস্ত্র বহনে সক্ষম। চুক্তিবদ্ধ তিনটি কোম্পানি হলো বিএই সিস্টেমস, রোলস-রয়সে এবং বেবকক।বলা হয়েছে, এই চুক্তি হলো বৃটেন এবং অকাস কর্মসুচির মধ্যে এক বড় মাইলফলক। ২০৩০-এর দশকে প্রথমে সাবমেরিনটি সরবরাহ দেয়া হবে বৃটেনে। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম সরবরাহ দেয়া হবে ২০৪০-এর দশকের শুরুতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।এর মধ্য দিয়ে তারা এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে কাউন্টার দিতে চান। অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানে যে নৌফ্লিট আছে তা ডিজেলচালিত। তার সঙ্গে পারমাণবিক শক্তিচালিত এই সাবমেরিন হবে বড় মাত্রায় সামনে এগিয়ে যাওয়া। কারণ, এই সাবমেরিনে আছে সবচেয়ে গোপনীয় সব বিষয় এবং বড় রকমের পাল্লা। বৃটেন ছাড়া প্রথম একটি দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক চালনা শক্তিসম্পন্ন প্রযুক্তি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শেয়ার করেছে ওয়াশিংটন।এর আগে অকাস চুক্তিকে সামরিক সক্ষমতায় সবচেয়ে এগিয়ে যাওয়ার একটি ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তাদের কাছে যে সামরিক সক্ষমতা আছে এর মধ্য দিয়ে তা আরও বৃদ্ধি পাবে। অকাসের অধীনে ক্যানবেরার কাছে ৫টি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন বিক্রি করার ইচ্ছা পোষণ করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার মানের এসব সাবমেরিন ২০৩০-এর দশকের শুরুর দিকে ক্যানবেরাকে দেয়ার কথা। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে চীন যে ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার করছে তা মোকাবিলায় এসব শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অকাস।কার্নেজ এন্ডোমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস নামের থিংকট্যাংকের ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা বিষয়ক সিনিয়র ফেলো অ্যাশলে টাউনশেন্ড বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জলসীমায় এসএসএন তার কর্মকাণ্ড চালাতে সক্ষম হবে। এর মধ্য দিয়ে চীনের যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের মোকাবিলা করা হবে।সামুদ্রিক লেন এবং বিভিন্ন কৌশলগত পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণে নেয়া হবে। এতে দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে চীনের সেনাবাহিনীর পরিকল্পনাকে অধিক মাত্রায় জটিল করে দেবে। তিনি আরও বলেন, একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও অস্ট্রেলিয়ান এসএসএন সম্মিলিত শক্তি হিসেবে পরিচালিত হবে। অস্ট্রেলিয়া যোগ দেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং বৃটেনের সঙ্গে।
|
|
|
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে একটি আত্মঘাতি হামলার পর রোববার ইরাকের সন্দেহভাজন কুর্দি বিদ্রোহীদের আস্তানা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) ২০টি গুহা, আশ্রয়কেন্দ্র ও ডিপো বিমান হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার তুরস্কের পার্লামেন্ট ভবনের কাছে আত্মঘাতি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই হামলাকারী নিহত ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। পরে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) ওই বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে। এর আগে ২০১৬ সালে আঙ্কারায় দুটি ভয়াবহ বোমা হামলা ঘটিয়েছিল এ সংগঠনটি।বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রায় চার যুগ ধরে পিকেকে আঙ্কারার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আসছে। গতকাল হামলার কয়েক ঘণ্টা পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামলার মাধ্যমে ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য কখনোই অর্জিত হবে না।তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, দুই হামলাকারী একটি বাণিজ্যিক গাড়িতে করে রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় নিরাপত্তা অধিদপ্তর ভবনের কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।আলি ইয়ারলিকায়া সাংবাদিকদের বলেন, হামলাকারীদের একজন আত্মঘাতি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। অপর হামলাকারী নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে নিহত হন। এ ছাড়া হামলার সময় গোলাগুলিতে দুই পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।এ হামলার তদন্তকাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছে আঙ্কারার প্রসিকিউটরের কার্যালয়। এ ছাড়া ওই এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় গণমাধ্যমকে ঘটনাস্থলের ছবি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
|
|
|
গোপন তারবার্তার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানের বিচার বিভাগীয় রিমান্ড আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন বিশেষ আদালত। ফলে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজা স্থগিত হলেও ইমরানকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।আজ বুধবার (৩০ আগস্ট) অ্যাটক জেলা কারাগারে অনুষ্ঠিত শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন। খবর জিও নিউজ।
সাইফার বা তারবার্তায় একটি কূটনৈতিক নথি ছিল। ইমরান খানের দাবি, তিনি এই তারবার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন। পিটিআইয়ের অভিযোগ, ওই তারবার্তায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সম্মিলিত বার্তা ছিল। এই একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও বিচারকাজ চলছে।
নিরাপত্তা নিয়ে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ সত্ত্বেও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর অ্যাটক জেলা কারাগারে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে এই কারাগারেই বন্দি আছেন ইমরান।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানের সাজা স্থগিত করে বহুল প্রত্যাশিত রায় দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুখ ও বিচারপতি তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরির সমন্বয়ে গঠিক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
তবে গতকাল তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার সাজা স্থগিত হলেও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলার শুনানির জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশেষ আদালত তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি গোপন তারবার্তার মামলায় আজ বুধবার (৩০ অগাস্ট) তাকে আদালতে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে এই মামলায় ইমরানকে গত মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখায় দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ। তারা ইমরানের বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলাটি করেছিলেন।
সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
|
|
|
প্রতি শুক্রবার নির্ধারিত সময়ে জুমার নামাজে এবং পবিত্র রমজান মাসে শুধু মাগরিবের নামাজের আজান দেয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের কর্তৃপক্ষ।মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি। মেয়র এরিক বলেন, কোন সম্প্রদায়গুলোকে তাদের প্রার্থনার আহ্বান জানানোর অনুমতি দেয়া হয়নি, তা নিয়ে বেশ দীর্ঘ সময় ধরে বিভ্রান্তি রয়েছে। আজ আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে, মসজিদগুলো শুক্রবার এবং রমজান মাসে কোনো অনুমতি ছাড়াই প্রার্থনার জন্য আহ্বান (আজান) জানানোর জন্য স্বাধীন।সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদ সমিতি এবং মুসলিম ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।তাদের উদ্দেশে এরিক অ্যাডামস আরও বলেন, আপনারা নিউইয়র্ক শহরে নিজেদের ধর্মীয় অনুশীলন করার জন্য স্বাধীন। কারণ আইন অনুসারে, আমাদের সবার সমান অধিকার রয়েছে। এই কৃতিত্ব অর্জনে আমাদের প্রশাসন অত্যন্ত গর্বিত।নতুন নির্দেশনা অনুসারে, কোনো মসজিদ প্রতি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে আজান দিতে পারবে। পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের আগে মাগরিবের নামাজের আজানও দেয়া যাবে।এদিকে, এমন ঘোষণায় মেয়র এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা। এছাড়া, সভা শেষ হওয়ার পরপরই মঞ্চ থেকে আজান দেয়া হয়; যার সঙ্গে ইংরেজি ব্যাখ্যাও ছিল।
|
|
|
সুমন খান:
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্দেগে এক বিশাল দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করেন। গতকাল ১৫ আগস্ট (২০২৩)সকাল ১০ .৩০মিনিট সময় দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ঢাকা, শেওড়াপাড়া বাস স্টেশন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস প্রাঙ্গনে এসময় বক্তব্য রাখেন,
মোঃ জাকির হোসেন বাবুল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ,মোঃ ইসমাইল হোসেন ইসমাইল সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর, আলহাজ্ব হুমায়ুন রশিদ জনি ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও সহ-সভাপতি ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর। মোঃ কবির আহমেদ ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলহাজ্ব হুমায়ুন রশিদ জনি ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঢাকা তার বক্তব্য রাখেন,
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে শাহাদতবরণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্য ও কলঙ্কময় কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিল বিপদগামী সেনারা। আজ পুরো জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
বিষয় বক্তব্য বলেন,কবির আহমেদ ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। ঘটনার সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তারা প্রাণে রক্ষা পান।বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মোশ্তাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে তৎকালীন সরকার।দোয়া মাহফিল দিয়ে শেষে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
|
|
|
মোহাম্মদ মাহামুদুল মালদ্বীপ প্রতিনিধি।
ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ, যা বিষুব রেখা জুড়ে বিস্তৃত। দেশটি ১১৯২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত যার দৈর্ঘ্য ৮৭১ কিলোমিটার। মোট আয়তন আনুমানিক ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার হলেও শুষ্ক ভূমি মাত্র ২৯৮ বর্গকিলোমিটার। দ্বীপগুলোকে ২৬টি প্রবালপ্রাচীরের ডাবল চেইনে বিভক্ত করা হয়েছে। ১১৯২টি দ্বীপ থাকলেও মাত্র ২০০টি দ্বীপে জনবসতি রয়েছে। প্রবালপ্রাচীরের রিসোর্টগুলো পর্যটকগণ ব্যবহার করলেও কিছু কিছু দ্বীপ শিল্প ও কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
রাজধানী, রিসোর্ট ও কিছু দ্বীপে বাংলাদেশি শ্রমিক আছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার, তাদের বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য যথেষ্ট ব্যাংকিং পরিষেবা নেই। ফলে, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয়, গুনতে হয় বাড়তি খরচ। বাধ্য হয়ে হুন্ডি বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হয় প্রবাসীদের। তাই, মালদ্বীপে বাংলাদেশি ব্যাংকের শাখা খোলার দাবি জানিয়েছেন মালদ্বীপ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
প্রবাসীদের মালদ্বীপে নিয়োগের সময় ডলারে বেতন দেওয়ার কথা কাগজে উল্লেখ করা হলেও বেশিরভাগ কোম্পানি ও মালিকপক্ষ বেতন দেয় মালদ্বীপের মুদ্রা রুপিয়ায়। সরকারিভাবে ১৫ দশমিক ৪২ রুপিয়া দিয়ে কিনতে হয় এক ডলার। কোম্পানিগুলো কর্মীদের রুপিয়া দিয়ে বেতন পরিশোধ করে সরকারি দামে। তার মানে ১৫ দশমিক ৪২ রুপিয়া করে। প্রবাসীদের দেশে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হয় ডলার কিনে। ডলার কিনতে হয় ব্ল্যাক মার্কেট থেকে। ব্ল্যাক মার্কেটে এক ডলারের দাম ১৭-১৮ রুপিয়া। এতে প্রতি ডলারে তিন থেকে চার রুপিয়া বেশি দিতে হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় হিসাব করলে প্রতি ডলারে ২৫-৩০ টাকা কম পান প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে আসা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই শ্রমিক। তাদের অধিকাংশই এখন নানা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। মালদ্বীপে ৬০ থেকে ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর ছিল ১ লাখের বেশি। এসব শ্রমিকের মধ্যে অর্ধেকের বেশি অবৈধ। তারা দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করেন। তাদের মধ্যে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের শ্রমিক আছেন। অবৈধভাবে মালদ্বীপের বিভিন্ন দোকান-মার্কেট-রিসোর্ট-হোটেলে কাজ করার পাশাপাশি ব্যবসা করছেন অনেক বাংলাদেশি। এসব শ্রমিকের মধ্যে যারা বৈধভাবে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক প্রবাসী ভালো আছেন।
যারা অবৈধ, তারা সমস্যার মধ্যে আছেন। তারা অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাতে পারেন না। বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন না। কারণ, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে হলে বৈধ কাগজপত্র থাকতে হয়।
যেসব প্রবাসী বৈধ। বেতন পাচ্ছেন রুপিয়ায়। তারা রেমিট্যান্স পাঠাতে গেলে দেখা দেয় সমস্যা। কারণ, ডলার পাওয়া যায় না সরকারি দামে। কিনতে হয় তিন থেকে চার রুপিয়া বেশি দিয়ে। তাই, দেশ হারাচ্ছে রেমিট্যান্স। পকেটে ভারী হচ্ছে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের।
এজন্য অনেকেই ডিজিটাল হুন্ডি বা বিকাশে টাকা পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। এজন্য প্রতি ৫ হাজারে খরচ করতে হয় বাড়তি ৩০০ টাকা। এ টাকা দালালের পকেটে যায়। অধিকাংশ প্রবাসী বলছেন, বাংলাদেশ সরকার যদি এখানে বাণিজ্যিক ব্যাংক চালু করে এবং মালদ্বীপের রুপিয়ায় রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা করে, তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে। এতে মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স যাবে বেশি। মালদ্বীপ প্রবাসী নিম্ন আয়ের বাংলাদেশিরা এর সুফল পাবেন।
অভিবাসীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব মালদ্বীপ (সিবিএম) থেকে প্রতি মাসে বাংলাদেশে ৫০০ ডলার সমমানের রুপিয়া পাঠানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ডলার সংকটের কারণে জুলাই মাস থেকে সে সুযোগে ৩০০ ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। আগস্ট মাসে ৩০০ থেকে কমিয়ে ২৫০ ডলার করা হয়েছে। প্রতিদিন বাংলাদেশি ২০ জন ও শ্রীলঙ্কান ২০ জনকে রুপিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সুযোগ আরও বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন।
ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠাতে আসা কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের অন্য ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট ছিল। সিবিএম যখন রুপিয়ার মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ দেয়, তখন সেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে সিবিএম ব্যাংক থেকে লেনদেন শুরু করি। কিন্তু, রুপিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য অভিবাসী শ্রমিক গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রুপিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে হিমসিম খাচ্ছে ব্যাংকটি তাই এখন প্রতিদিন মাত্র ২০ জন প্রবাসীকে টোকেন নাম্বার দিচ্ছে। এটি আবার আগের মতো করা প্রয়োজন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকেও মালদ্বীপ সরকারের মতো এ ধরনের ব্যাংকিং উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মালদ্বীপ থেকে বৈধ পথে প্রবাসীরা ২ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ডলার দেশে পাঠান, যা পরের অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়েছে। মালদ্বীপ প্রবাসীরা যদি বৈধ পথে রুপিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন, এটি তিন গুণ হবে বলে আশা করা যায়।
মালদ্বীপ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরকারি বিনিময়মূল্যে ডলার প্রদান বা রুপিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশটির অর্থমন্ত্রীর কাছে গত বছর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি দেশটিতে থাকা পরিচয়পত্রহীন (আনডকুমেন্টেড) প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে সহযোগিতা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে মালদ্বীপের অর্থমন্ত্রী ইব্রাহিম আমীরের সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এই অনুরোধ জানান দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া, তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঠিক বেতন রশিদ দেওয়াসহ ডলারে বেতন পরিশোধের অনুরোধ জানান। দুই দেশের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা খোলার জন্য মালদ্বীপ সরকারকে অনুরোধ জানান হাইকমিশনার। মালদ্বীপের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশি কর্মীদের নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে এ বিষয়ে তার সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় মালদ্বীপের অর্থ প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও চ্যান্সারি প্রধান মো. সোহেল পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য মালদ্বীপের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, দীর্ঘদিনেও মালদ্বীপের সঙ্গে একটি বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেল স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশের লোক নিচ্ছে না মালদ্বীপ। এর ফলে কোম্পানিগুলো মাসে ৩০০ ডলার বেতনেও লোক খুঁজে পাচ্ছে না। অন্য দেশ থেকে কর্মীরা আসছেন। মালদ্বীপের শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত হলে এবং সে দেশে বাংলাদেশের ব্যাংকের শাখা চালু হলে রেমিট্যান্স আহরণ বাড়বে।
মালদ্বীপের বিভিন্ন দ্বীপে ও রিসোর্ট গুলোথেকে অনেক প্রবাসী চাইলে ও বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে পারেনা, বাংলাদেশ সরকার কিনবা বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি ট্রান্সফার গুলো যদি মালদ্বীপের দ্বীপে ও রিসোর্ট গুলোতে ব্যাংকের শাখা চালু করে অনেক বেশি রেমিট্যান্স যাবে মালদ্বীপ থেকে, মালদ্বীপ প্রবাসীরা এইটাই মনে করেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে মালদ্বীপ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন, তা সমাধানে সরকার ব্যবস্থা নেবে। মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে, এখনো এর কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে সংযোগ জোরদারে সম্মত হওয়ার প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালুর বিষয়ে দুই দেশের আলোচনায় ঐক্যমত হয়েছিল। এরও কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশ বিমান মালদ্বীপ রুটে চলাচল করলে প্রবাসীদের দেশে আসা যাওয়ার ভোগান্তি আরও কমবে।
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ মালয়েশিয়ায় ২৫২ বাংলাদেশিকে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তারা। অবৈধভাবে অবস্থান ও রেসিডেন্ট পারমিটের অপব্যবহারের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। শনিবার (৫ আগস্ট) ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে তাদের আটকের খবর জানানো হয়। শুক্রবার গভীর রাতে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চেরাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। বাংলাদেশিরা ছাড়াও অন্যান্য দেশের আরও ১৭৩ জন অভিবাসীকে আটক করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগের পরিচালক শামসুল বদরিন মহশিন বলেছেন, ৬০ জনের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বৈধ নথিপত্র না থাকা, অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পরও অবস্থান করার অভিযোগে মোট ৪২৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের ২৫২ জন, মিয়ানমারের ১০৮, ফিলিপাইনের ২, ইন্দোনেশিয়ার ৩০, কম্বোডিয়ার ৬, নেপালের ২০ এবং পাকিস্তানের ৭ জন নাগরিক রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বয়স আট থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। আটককৃতদের মধ্যে ৩৭২ জন পুরুষ এবং ৫৩ জন নারী।
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশের জন্য চারটি সোলার পাওয়ার ইনভার্টার উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। ডিজিটাল জ্বালানির কার্যকারিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাজধানীতে আয়োজিত সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও ইপিসি সহযোগীদের জন্য আয়োজিত হুয়াওয়ে পার্টনার ইকোলজিকাল কনফারেন্স ২০২৩ শীর্ষক এক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় হুয়াওয়ে। পাশাপাশি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীগণ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ইনভার্টারগুলো প্রদর্শন করেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ডিজিটাল পাওয়ার বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইশিং (জ্যাক)। বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতের (সিঅ্যান্ডআই) জন্য তিনি SUN2000-100-KTL-M2, SUN2000-115-KTL-M2, SUN2000-50-KTL-M3 এবং ইউলিটি খাতের জন্য SUN2000-330KTL-H1 ইনভার্টার উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে লিয়াং উইশিং (জ্যাক) বলেন, “বাংলাদেশের শিল্পখাতের জন্য ডিজিটাল জ্বালানি তুলনামূলক একটি নতুন ধারণা। এর অভুতপূর্ব সম্ভাবনা রয়েছে এবং জ্বালানি সঙ্কটে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। নতুন এই ধারণা আমাদের শিল্পখাতকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে শুধুমাত্র সাশ্রয় কিংবা কার্যকরি পরিচালনারই সুযোগ করে দিবে না; তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতেও ভূমিকা পালন করবে। আর এই লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশে অনন্য এসব পণ্য নিয়ে এসেছি। আমার বিশ্বাস, এসব পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। অন্যদিকে, আমাদের সহযোগীদের ছাড়া বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যে সফলতা আমরা দেখছি তা কখনই সম্ভব হতো না। আমি আশাবাদী, দেশের প্রবৃদ্ধির সাথে আমরা সকলে একসাথে এগিয়ে যাবো।”
বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতের জন্য হুয়াওয়ে যে নতুন ইনভার্টারগুলো এনেছে সেগুলোয় স্মার্ট স্ট্রিং-লেভেল ডিসকানেক্টর (এসএসএলডি) ফিচার রয়েছে যা রিভার্স কারেন্ট ফ্লো ও শর্টসার্কিট শনাক্ত করে। শুধুমাত্র হুয়াওয়ে ইনভার্টারে টিইউভি স্বীকৃত আর্ক ফল্ট সার্কিট ইন্টারাপ্টার (এএফসিআই) ফাংশন রয়েছে যার ফলে মাত্র ০.৫ সেকেন্ডে প্লান্টে ২০০ মিটারের মধ্যে যে কোন আর্কিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে আগুনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও রয়েছে পিআইডি (পোটেনশিয়াল ইনডিউসড ডিগ্রেডেশন) রিকভারি ফিচার যা পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারে।
SUN2000-330KTL-H1 প্রথম ইনভার্টার যা স্মার্ট ফ্যান ডাস্ট রিমুভাল এবং স্মার্ট কানেক্টর-লেভেল ডিটেকশন (এসসিএলডি) ফাংশনসমৃদ্ধ। এর ফলে, ইউটিলিটি স্কেল প্রকল্পে ডিসি-সাইড ত্রুটির সময় অত্যন্ত নির্ভুলভাবে এবং দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সহজ হবে। সার্বিক পরিচালনায় কখনই এই ইনভার্টার বন্ধ করার প্রয়োজন হবে না। তাই পরিচালন ব্যয় ও সময় ছয় শতাংশ পর্যন্ত কমবে।
SUN2000-330KTL-H1 ইনভার্টারে নতুন প্রজন্মের ১৫০০ভোল্ট স্মার্ট স্ট্রিং ইউটিলিটি পিভি সিস্টেম রয়েছে, যা নিরাপদ, ব্যবহারবান্ধব, স্মার্ট ও কার্যকরী এনার্জি ডেনসিটি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। এটি সকল প্রেক্ষাপটে ব্যবহারযোগ্য প্রথম ডিসি ট্রিপল-সেফ ইনভার্টার।
বর্তমানে বিভিন্ন ইপিসি প্রতিষ্ঠান সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল জ্বালানির সম্ভাবনা উন্মোচনে অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য সম্মেলনে এই সকল সহযোগীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। আর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ওমেরা রিনিউয়্যাবল এনার্জি লিমিটেড, সিনার্জি লিমিটেড এবং সোলার ইপিসি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড – এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ২২ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার করেছে। গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সমাধান প্রদান করছে হুয়াওয়ে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পে এ সংশ্লিষ্ট সমাধান প্রদান করেছে। ময়মনসিংহে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোলার প্ল্যান্টে হুয়াওয়ের ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ব্যবহার করা হচ্ছে।
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রামের আয়োজন করে হুয়াওয়ে।
কুয়েট থেকে রিক্রুটমেট প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাউথ এশিয়া হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. ফারা নেওয়াজ, ওমর হায়দার মুশফিক আহমেদ, মো. খালিদ হোসেন ও পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার মো. তৌফিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার এইচআর ডিরেক্টর হুয়াং বাওশিওং বলেন, “১৭০ টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে কাজ করার মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পেরেছে হুয়াওয়ে। বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ের দুই লাখ কর্মী রয়েছে; এবং এক্ষেত্রে সবসময়ই স্থানীয় মেধা ও মানবসম্পদের ওপরে গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশ অফিসে স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা এখন ৮০ শতাংশ এবং কর্মী তালিকায় আমরা সবসময় এই অনুপাত বজায় রাখার চেষ্টা করি। এছাড়া, আমরা প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ দিয়ে থাকি। এটি হুয়াওয়ের বিশেষজ্ঞদের সাথে নতুনদের সমন্বয় করতে সাহায্য করে। অপরদিকে, সদ্য স্নাতক শেষ করা গ্র্যাজুয়েটরাও সর্বাধুনিক জ্ঞান ও বহুজাতিক কর্মপরিবেশের মধ্য দিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করার সুযোগ পান।”
এ উদ্যোগ সম্পর্কে কুয়েটের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ে কেবল আইসিটি সরঞ্জাম ও সমাধান দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, এমনটা নয়; বরং উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নে বিস্তৃত বিনিয়োগ ও সুবিশাল টিমের মাধ্যমে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও মেধার মূল্যায়ন করার মাধ্যমে তারা দেশের শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে এখানে এসেছে এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারে উন্নতি করার মতো যথেষ্ট আকাঙ্ক্ষা ও যোগ্যতা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সমাজ ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।”
কুয়েটের সিএসই, ইইই ও ইসিই – এ তিনটি বিভাগ থেকে ২শ’ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের আওতায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিতরা খুব শীঘ্রই হুয়াওয়েতে যোগদান করবে।
ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করা হুয়াওয়ের একটি নিয়মিত উদ্যোগ। পাশাপাশি, তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন, সিডস ফর দ্য ফিউচার ও আইসিটি একাডেমির মতো বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে হুয়াওয়ে। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির অংশ।
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
বাজার গবেষণা সংস্থা ওমডিয়া’র জরিপ অনুযায়ী ২০২২ সালে গোটা বিশ্বের টেলিভিশন বাজারে শীর্ষস্থানে ছিলো দক্ষিণ-কোরীয় ব্র্যান্ড স্যামসাং। এর মাধ্যমে ১৭ বছরের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই বছরগুলোতে স্যামসাং সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে তাদের ডিসপ্লে’র ওপর। বস্তুত, নিজেদের প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট লাইনআপকে অগ্রাধিকার দেয় স্যামসাং। যার উদাহরণ ব্র্যান্ডটির নিও কিউএলইডি লাইনআপ।
২০০৬ সালে স্যামসাংয়ের ‘বোর্দো’ টিভির হাত ধরে সর্বপ্রথম আধুনিক ডিজাইন এবং হালকা-ওজনের এলসিডি টিভি দেশের বাজারে আসে। সে বছরই স্যামসাং প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী টেলিভিশন বাজারে এক নম্বর স্থানটি অর্জন করে। একইভাবে ২০০৯ সালে প্রথম এলইডি টিভি এবং ২০১১ সালে প্রথম স্মার্ট টিভি নিয়ে আসে স্যামসাং।
এরপর ২০১৭ সালে স্যামসাং সর্বপ্রথম নিয়ে আসে কিউএলইডি টিভি। যা রীতিমতো টিভি’র বাজারে ‘নেক্সট-জেন’ অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্মের ডিসপ্লে’কে সংজ্ঞায়িত করে। এর কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে এই শিল্পের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শতভাগ কালার ভলিউম অর্জন সম্ভব হয়। এরই ক্রমধারায় ২০১৮ সালে ব্র্যান্ডটি কিউএলইডি এইটকে, কোয়ান্টাম মিনি এলইডি-ব্যাকড নিও কিউএলইডি এবং ২০২১ সালে সেলফ-ইল্যুমিনেটিং মাইক্রো এলইডি প্রযুক্তির সংযোজন করে গোটা শিল্পখাতে তাক লাগিয়ে দেয়।
সেইসাথে, লাইফস্টাইল সিরিজের মতো নতুন ক্যাটাগরি নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও স্যামসাংয়ের কৌশল ও সাফল্য নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। ২০১৬ সালে এসেছে অনবদ্য নকশার ‘দ্য সেরিফ’ ও ‘দ্য ফ্রেম’ -এর মতো লাইফস্টাইল টেলিভিশন।
যুগান্তকারী স্ক্রিনিং টেকনোলজি ও দুর্দান্ত গ্রাহকসেবার কারণে অন্য অনেক অর্জনের পাশাপাশি ২০২২ সালে স্থানীয় পর্যায়ে সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিও পায় স্যামসাং। আর এবারে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সেরা টিভি ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিও অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার বিন লুৎফর, ডিরেক্টর এবং হেড অব বিজনেস, স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স, বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে অত্যাধুনিক এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয়ে প্রিমিয়াম মডেলের টেলিভিশন তৈরি করে আসছে স্যামসাং। এই প্রচেষ্টায় টানা ১৭তম বছরের মত শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত এবং রোমাঞ্চিত। গ্রাহকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে এভাবেই আরো বেশি আনন্দদায়ক করে রাখতে ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব”।
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগান নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতভিত্তিক সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বেসিস সফটএক্সপো-২০২৩। আর এই এক্সপো’র সহযোগী হিসেবে থাকছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক উদ্ভাবন এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতেই এই এক্সপো’র আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আগামী ২৩-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র, পূর্বাচলে এই এক্সপো চালবে।
বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ উপলক্ষ্যে সম্প্রতি বেসিস সচিবালয়ে বেসিস এবং হুয়াওয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বেসিসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ, বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩-এর আহ্বায়ক ও বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, বেসিস সচিব হাশিম আহম্মদ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, স্টেকহোল্ডার রিলেশনস ফারাহ জাবিন আহমেদ।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া ক্লাউড বিসনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্স লি এবং সেলস ম্যানেজার মো. শাজাহান আহমেদ।
রাসেল টি. আহমেদ বলেন, ‘আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই লক্ষ্য অর্জনে বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ একটি বড় ভূমিকা পালন করবে ও বাংলাদেশেকে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। হুয়াওয়ে সারা বিশ্বে আইসিটি ক্ষেত্রে একটি বড় জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। টেলিকম প্রযুক্তি, পণ্য, সফটওয়্যার ও সলিউশনের ক্ষেত্রে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে পাশে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
অ্যালেক্স লি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে সফল করতে আইসিটি ইকোসিষ্টেমের সকলের জন্য একটি সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩। ২৪ বছরের বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন পূরণে হুয়াওয়ে যে ভূমিকা পালন করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের ক্ষেত্রেও একইভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে হুয়াওয়ে। আমাদের আধুনিক যেসব সফটওয়্যার ও সল্যুশন রয়েছে তা আমরা এই সফটএক্সপোতে প্রদর্শন করব যাতে আমাদের সহযোগীরা নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে পারে এবং সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারে।’
উল্লেখ্য, বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩- এর উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যবসা সম্প্রসারণ কিংবা নতুন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য থাকবে বিজনেস লিডারস মিট, অ্যাম্বাসেডর নাইট, মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স, আইটি জব ফেয়ার এবং ক্যারিয়ার ক্যাম্প, বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন, আউটসোর্সিং কনফারেন্স, স্টার্টআপস কনফারেন্স, ডেভেলপার্স কনফারেন্স ইত্যাদি।
অনুষ্ঠিত হবে ২৩টিরও অধিক সেমিনার ও প্রযুক্তি অধিবেশন। এসব সেমিনারের মধ্যে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ‘5G and IoT - Opportunities for BGD Telecom and Software Industry’ শীর্ষক একটি সেমিনারে আলোচক হিসেবে যোগদান করবেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর এস এম নাজমুল হাসান।
এবারের মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে শাটল সার্ভিস, নলেজ-শেয়ারিং সেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানাবিধ আয়োজন । এছাড়াও থাকছে তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী তরুণদের জন্য আইটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প ও জব ফেয়ার।
সরকারি বেসরকারি নীতি নির্ধারক, প্রায় ২০০ জন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বক্তা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীবৃন্দ, বিদেশী প্রতিনিধি দল, দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী এবং আগ্রহী তরুণ ছাত্র-ছাত্রীসহ ৩ লক্ষাধিক দর্শণার্থী বেসিস সফটএক্সপো পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও এ বছর ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে আনুমানিক ১০ লক্ষ তরুণ প্রজন্মকে অংশগ্রহণে আগ্রহী করা হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশ-বিদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ আসবেন। বিজনেস লিডারস মিট-এ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের আট শতাধিক পদস্থ কর্মকর্তা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
--------
|
|
|
মোহাম্মদ মাহামুদুল
মালদ্বীপ প্রতিনিধি।
বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক ক্যাটাগরিতে মালদ্বীপে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পর পর তিনবার সি আই পি নির্বাচিত হওয়ায় প্রবাসী ব্যবসায়ী গ্লোবাল রিচ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহেল রানাকে সংবর্ধনা দিয়েছে মালদ্বীপে বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
শুক্রবার ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মালদ্বীপের পাচঁ তারকা হোটেল জেনে এই আয়োজন করে মালদ্বীপে বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার এডমিনাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন সরকারের প্রণোদনার সুবিধা গ্রহণ করে দেশে শিল্প, কৃষি, চিকিৎসা,শিক্ষা এবং আইটিসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল খাতে বিনিয়োগ করার জন্য মালদ্বীপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশি সিআইপিদের বিভিন্ন প্রণোদনা এবং কৌশলগত অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য উৎসাহিত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ, মিশনের তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার শাহা।
প্রবাসী সোশ্যাল ওয়াকার অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি জাকির হোসেনের সঞ্চালনায়,বক্তব্য রাখেন মালদ্বীপে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মজিব,ব্যবসায়ী মোঃ দুলাল মাতবর,ফোর এল ইন্টারন্যাশনাল এর ম্যনাজিং ডিরেক্টর মোঃ হাদিউল ইসলাম,ভিউ কনস্ট্রাকশন এর চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন,মালদ্বীপে।বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা:মোক্তার আলী লস্কর।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে ঢাকা ট্রেডার্স এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ বাবুল হোসেন,ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান,জহিরুল ইসলাম,আলতাফ হোসেন,রুহুল আমিন,সহ সাংবাদিক সামাজিক, রাজনৈতিক,ও ব্যবসায়ী সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ।
এ সময় প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মালদ্বীপ প্রবাসিরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিআইপি সোহেল রানাকে প্রবাসীরা ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা বাংলাদেশী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের পক্ষে ফোর এল ইন্টারন্যাশনাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাদিউল ইসলাম ও আইসাথ লায়াল হাসিম, ঢাকা ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বাবুল হোসেন, ফেনী জেলা উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা মো. ওমর ফারুক খোন্দকার (অনিক) উপদেষ্টা মো. শরিফুল ইসলাম, সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মিরাজ, আলোকিত চাঁদপুর সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন, সিলেট জেলা সংগঠনের সভাপতি আবদুল আল মামুন, কোকো প্রাইভেট লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার রাসেল আহমেদ সাগর, সিআইপিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মালদ্বীপ প্রবাসীদের পক্ষে ছিলেন, নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিটের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান কালাম, সাংবাদিক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক খোন্দকার অনিক।
সংবর্ধনা ও সম্মাননা পুরস্কার প্রদান শেষে নৈশভোজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে কোরআন তেলওয়াত করেন বিল্লাল হোসেনে
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
শুরু হলো হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি একাডেমি’র প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। আগামী প্রায় পাঁচ মাস বুয়েটের ইসিই ভবনে স্থাপিত এই একাডেমিতে বুয়েট শিক্ষক এবং হুয়াওয়ের তত্ত্বাবধানে চলবে এই প্রশিক্ষণ।
হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি একাডেমি’র এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) বুয়েট ক্যাম্পাসে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- বুয়েট ইইই ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ খসরু; বুয়েটের ইইই বিভাগীয় প্রধান ড. মো: আয়নাল হক; বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: রুবাইয়াত হোসাইন মণ্ডল এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি।
বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা আইসিটি নির্ভরর্শীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে প্রয়োজনীয় আইসিটি কেন্দ্রিক বিষয়ে দক্ষ করে তোলার উপযুক্ত সময় এখন। এমন বাস্তবতায় হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ, যা তরুণ শিক্ষার্থীদের এই খাত সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে এবং আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পূরণে সাহায্য করবে।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, ‘হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি আমাদের স্কুল এন্টারপ্রাইজ কো-অপারেশন প্রোজেক্টের অংশ, যা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে আইসিটি খাত সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে ও একটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বুয়েটের সাথে এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আইসিটি খাতে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করার মাধ্যমে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
এই একাডেমিতে পর্যায়ক্রমে ভিন্ন ভিন্ন ১৯টি বিষয়ে ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম থাকবে। কোর্স ও সার্টিফিকেশন কো-অর্ডিনেট করবে হুয়াওয়ে অথোরাইজড ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি (এইচএআইএনএ)। শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্বের তিন হাজারের বেশি প্রশিক্ষকের সাথে যোগাযোগের সুযোগও পাবেন।
প্রথম ব্যাচের ফাইভজি (সেলুলার এন্ড মোবাইল নেটওয়ার্ক), ও রাউটিং এন্ড সুইচিং (আইপি নেটওয়ার্কস) বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কোর্স শেষে শিক্ষার্থীদের এই আইসিটি একাডেমি থেকে তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। আগ্রহীগণ https://gce.buet.ac.bd/facilities/huwaii-ict-academy ওয়েবসাইটে এই একাডেমির বিভিন্ন তথ্য পাবেন।
------
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
শক্তিশালী ডিজিটাল এবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন এবং ভারত ব্যাতীত) প্রায় ১৪০০ মিলিয়ন কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে হুয়াওয়ে, যার মধ্যে এক দশমিক এক বিলিয়ন বা ১১০০ মিলিয়ন মানুষ এবং দুই দশমিক ৯৩ মিলিয়ন বাড়ি রয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরামে আলোচনাকালে প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া এ তথ্য জানান। আলোচনায় লিয়াং বলেন, ‘মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।’
তিনি বলেন, হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে। ২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লক্ষ এরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে ত্বরাণ্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটাল এবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।”
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান > নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
|
|
|
2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com
|
Developed By: Dynamicsolution IT [01686797756] |
|