তথ্য -প্রযুক্তি -
ভালুকায় বিএনপির ইফতার মাহফিল দোয়া ও আলোচনা সভা।

মোঃ আকাশ আহমেদ, ভালুকা প্রতিনিধিঃ- ময়মনসিংহের ভালুকায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি`র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় (২১মার্চ) বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিডষ্টোর বাজারে হাজ্বী শহিদুল ইসলাম মার্কেটের সামনে বিএনপির ইফতার মাহফিল দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও মোঃ নাজমুল আলম সোহাগ মাস্টারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভালুকা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মোর্শেদ আলম, এ সময় বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সালাহ্ উদ্দিন আহম্মেদ, খালেদুজ্জামান তালুকদার হুমায়ুন, নাসির উদ্দিন সরকার, আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম (শহিদ), নজরুল ইসলাম বি.এস.সি, আইয়ুব আলী কমান্ডার (বীর মুক্তিযোদ্ধা), রুহুল আমিন (রুহুল), মোছাঃ খালেদা নার্গিস, উপজেলা যুবদল নেতা আবু সাঈদ জুয়েল, উপজেলা শ্রমিক দল সভাপতি সৌমিক হাসান সোহাগ। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শামীম আহমেদ, শরীফ আহম্মেদ, হাসিব আল হানিফ,এমরামুল আহম্মেদ শাহীন, মুনসুর আলী, খসরু, রাসেল ঢালী, সহ ভালুকা উপজেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সংগ্রামী নেতৃবৃন্দ।

ঝিকরগাছায় নির্বাচনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় পর চলছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা

শাহাবুদ্দিন মোড়ল , ঝিকরগাছা : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিওরদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪১হাজার টাকার ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার তার প্রতিবেদনে বলছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এই জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা। যার ফলে তিনি ২০ মার্চ সকালে তার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনের ফাইলপত্র বের করে আবারও নিজের করা ভূল নিজেই ধরতে পেরে ঘষামাজা করে প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমারকে তার দপ্তরে ডেকে নিয়ে পূর্বে তারিখ অনুযায়ী আবারও প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণির সদস্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা খরচ হিসেবে নিয়েছেন ৪১হাজার টাকা। উক্ত নির্বাচনে ফমর-৫ (প্রবিধান ২৫ দ্রষ্টব্য) এর ফলাফল বিবরণী মারফতে তথ্যে দেখা গেছে অভিভাবক সদস্য পদে আবুল ইসলাম পেয়েছেন ১০৭ভোট, কামারুল ইসলাম পেয়েছেন ১০২ভোট, জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ১০০ ভোট, আঃ রহিম পেয়েছেন ৯৬ ভোট, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য আয়রা খাতুন পেয়েছেন ৯৮ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত। আর তাদের নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক পেয়েছেন ৮৯ভোট, মিন্টু মিয়া পেয়েছে ৮৬ভোট, কোরবান আলী পেয়েছেন ৯৪ভোট, স্বপন কুমার দাস পেয়েছেন ৮৫ ভোট ও সোনিয়া খাতুন ৯৩ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন বলে স্বাক্ষর করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার। ইতিমধ্যে সমুদয় টাকা পরিশোধ করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার। তবে বিদ্যালয়ের নির্বাচন কেন্দ্রিক নগদ ৪১হাজার টাকার উপরে খরচ হল দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা টাকা গ্রহণ করার পরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিপরীতে কি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় ? এটা কেমন ভূল! এবিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল ও অভিভাবক মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়। এটা থেকে পরিত্রাণ পেতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেতন মহলের নেতৃবৃন্দ। প্রধান শিক্ষক কার্তিক কুমার বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে তার দপ্তরে ডেকে পূর্বের প্রতিবেদনের বিপরীতে নতুন প্রতিবেদন দিয়েছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হুসাইন মিঞা বলেন, আমার ভূলের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

মধুপুরে ছরোয়ার আলম খান আবুর ইফতার ও দোয়া মাহফিল

আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবুর নির্বাচনী আলোচনা ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুড়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকেলে ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুড়ালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান যষ্টিনা নকরেক,শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সামছুল আরেফিন শরিফ, মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানান শাহজাহান আলী তালুকদার, বেরীবাইদ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই বিকেল থেকেই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত হতে থাকেন। বিকেল পাঁচ টার মধ্যেই ধলপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ জনসমুদ্রে পরিনত হয়। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

হুয়াওয়ের বার্ষিক ডেটা সেন্টার সিরিমনি অনুষ্ঠিত

হুয়াওয়ে সম্প্রতি বার্ষিক ডেটা সেন্টার সিরিমনি ২০২৪ আয়োজন করেছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ডেটা সেন্টারখাতে প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ অর্জন তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন সহযোগীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একইসাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সহযোগীরা হুয়াওয়ে ডেটা সেন্টারের পণ্য এবং পরিষেবা নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।

 

২০২৩ সালে হুয়াওয়ে তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতে উন্নত ডেটা সেন্টার প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছে।  বিভিন্ন শিল্পের বিশেষ প্রয়োজন অনুসারে উদ্ভাবনী সমাধান প্রদানে দক্ষতা প্রদর্শনেও সক্ষম হয়েছে হুয়াওয়ে। এরকম একটি উদ্যোগ হলো আকিজ সিরামিকসের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি সলিউশনসহ একটি যুগান্তকারী ২.৮ মেগাওয়াট ইউপিএস স্থাপন। এছাড়া হুয়াওয়ে নিয়ে এসেছে ফিউশনমডিউল ৮০০ মডুলার ডেটা সেন্টার, যাতে রয়েছে স্বল্প স্থানে ব্যবহারের উপযোগী ডিজাইন এবং ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ও কুলিং সলিউশন। এগুলি ব্যবসার পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে বিশেষভাবে কার্যকর। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে ডেটা সেন্টার শিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগীদের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। অনুষ্ঠানটিতে হুয়াওয়ে সেরা সহযোগীদেরকে বিভিন্ন প্রকল্পে তাদের ভূমিকা ও দক্ষতার জন্য পুরস্কৃত করে। 

 

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেস ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) বলেন, “আমরা হুয়াওয়ে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার সিরিমনি ২০২৪-এ প্রদর্শিত উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলিকে উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত। ২০২৩ সালে প্রাপ্ত অর্জন আমাদের সহযোগী ও গ্রাহকদের বিশেষ চাহিদা পূরণের জন্য হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আমরা সহযোগীদের নিরন্তর সমর্থন ও আস্থার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের সাফল্য অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। উদ্ভাবন ও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিতে হুয়াওয়ে অবিচল রয়েছে। আমরা বাংলাদেশে এবং এর বাইরেও ডেটা সেন্টার শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।"

 

স্টুডিও ইনোভেশন লিমিটিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ”এই স্বীকৃতি অর্জন করতে পারায় আমরা নিজেদের সম্মানিত মনে করছি। কেবল আমাদের এই অর্জনকে উদযাপন করা নয় বরং হুয়াওয়ের সাথে আমাদের মজবুত সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরার জন্য এই আয়োজন। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা যুগান্তকারী সলিউশন্স আমাদের সফলতার পাশাপাশি গ্রাহকদের চাহিদা মোকাবেলায় ও আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ডেটা ইন্ডাস্ট্রিতে আরও উদ্ভাবন আনতে আমরা সামনের দিনগুলোতেও হুয়াওয়ের সাথে যে্ৗথভাবে কাজ করতে চাই।”

 

হুয়াওয়ে ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমের জন্য স্মার্টলি, এডজ কম্পিউটিং ও ব্রাঞ্চ আউটলেটের জন্য স্মার্ট স্মল ডেটা সেন্টার সলিউশন ফিউশনমডুউল৮০০, মিডিয়াম সাইজ ডেটা সেন্টার ও জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুত সরবরাহের জন্য মডুলার ইউপিএস সলিউশন্স ইউপিএস৫০০০-ই এর মতো ডেটা সেন্টার সলিউশন নিয়ে এসেছে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার সিরিমনি ২০২৪-এ গত বছর অর্জনগুলোকে উদযাপনের পাশাপাশি আগামীতে ডেটা সেন্টার শিল্পে উদ্ভাবন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

 

হোয়াটসঅ্যাপে হাই ডেফিনিশন ছবি পাঠাবেন যেভাবে।

সাধারণ মানের ছবির পাশাপাশি হাই ডেফিনিশন বা এইচডি ছবি পাঠানোর ব্যবস্থাও আছে হোয়াটসঅ্যাপে। এই লেখা সে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপ মূলত টেক্সট মেসেজ ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম। তবে হোয়াটসঅ্যাপে ছবিও আদান প্রদান করা যায়। কিন্তু অন্য অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো এই প্ল্যাটফর্মেও একে-অপরকে ছবি পাঠানোর সময় জায়গা বাঁচাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবির গুণগত মান কমিয়ে একে `কমপ্রেস` করে দেওয়া হয়।সাধারণ মানের ছবির পাশাপাশি হাই ডেফিনিশন বা এইচডি ছবি পাঠানোর ব্যবস্থাও আছে হোয়াটসঅ্যাপে। এই লেখা সে বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। 

  • যাকে ছবি পাঠাতে চান, তার চ্যাটবক্স খুলুন।
  • ক্যামেরা আইকনে ক্লিক করে গ্যালারি থেকে ছবি নির্বাচন করুন। ছবিটিকে অবশ্যই এইচডি কোয়ালিটির হতে হবে, নতুবা এইচডি শেয়ারিং অপশন আসবে না।
  • ছবিটি এইচডি কোয়ালিটির হলে স্ক্রিনের উপরের দিকে `HD` নামের একটি অপশন আসবে। সেখানে ক্লিক করলে স্ক্রিনের নিচের দিকে পপ-আপ হিসেবে ২টি অপশন আসবে। একটি `স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি` আরেকটি `এইচডি কোয়ালিটি`। এবার এইচডি কোয়ালিটি অপশনে ক্লিক করে ছবিটি পাঠিয়ে দিতে পারেন ।
  • ছবিটি এইচডি হিসেবে ডেলিভার হলে চ্যাটবক্সে ছবির কোনায় `HD` চিহ্ন থাকবে।
মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ।

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মেসেঞ্জার অ্যাপ এখন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ফেসবুকের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মেসেঞ্জারের জুড়ি নেই।এই মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে চ্যাট করার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও এবং অডিও কল করা যায়। অনেকে মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহার না করে মেসেঞ্জার লাইট অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। এতে ডাটার খরচ কম হয়।এবার মেসেঞ্জার লাইট অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ। আসছে সেপ্টেম্বরে বন্ধ হচ্ছে এই মেসেঞ্জার লাইট অ্যাপ।টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে এই অ্যাপটির ব্যবহারকারীদের কাছে একটি বার্তা পাঠানো হচ্ছে। সেই বার্তায় তাদের চ্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার জন্য মেসেঞ্জার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।মেসেঞ্জার লাইট অ্যাপটি ইতোমধ্যেই নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বরে পর থেকে এটি অকার্যকর হয়ে যাবে।মেটার মুখপাত্র এক ই-মেইলে টেকক্রাঞ্চকে জানিয়েছে, যারা অ্যান্ড্রয়েডের জন্য মেসেঞ্জার লাইট অ্যাপ ব্যবহার করছেন তাদের কাছে ২১ অগাস্ট থেকে বার্তা পাঠানো হচ্ছে। মেসেঞ্জার এবং মেসেঞ্জার লাইটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে মেটা এই বছরের শেষ নাগাদ মেসেজিং অ্যাপে ডিফল্ট এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে বলে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ঘোষণা করেছিল।

দেশের মানুষ না খেয়ে থাকে না,শান্তিতে আছে - পরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি করে দেশকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গিয়েছেন, দেশের মানুষের চাহিদা কি তিনি তা বুঝেন। দেশের মানুষ এখন আর না খেয়ে থাকেনা।মানুষ এখন অনেক শান্তিতে আছে।শনিবার(১৫ এপ্রিল)সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী বাঘা উপজেলা বটমুল চত্তরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ট্যাবলেট ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রপ্রতি মন্ত্রী আলহাজ্ব শাহরিয়ার আলম এমপি এ কথা বলেন।

 

বাঘা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে উপজেলার ৩০৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর ট্যাবলেট ও ১২ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

 

এ সময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ‍্যেশ‍্যে জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের সংকল্প কবিতার চতুর্থ প‍্যারার ৬ লাইন পাঠ করে শুনিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসসহ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে গোটা বিশ্ব যখন দ্রব‍্যমূল‍্য নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে তখন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন‍্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে কোন খাদ‍্য ঘাটতি নেই। নেই কোন অর্থনৈতিক মন্দা। তার পরেও একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশের জিনিস পত্রের দ্রব‍্যমূল‍্য নিয়ে অপপ্রচারে ব‍্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে স্বরন করে দিয়ে বলতে চাই, আয়‍্যারল‍্যান্ড এর ইতিহাস জানুন, আমেরিকার ইতিহাস জানুন। আয়‍্যারল‍্যান্ডে এক সময় আলুর দুর্ভিক্ষের কারনে হাজার হাজার মানুষ আয়‍ারল‍্যান্ড ছেড়ে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। পরবর্তিতে তাদের অনেকেই আমেরিকার নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়।শুধু আয়ারল্যান্ড না, দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে। বিশ্বের এই কঠিন সময়ে যখন নামিদামি রাষ্ট্র চরমভাবে অর্থনৈতিক মন্দায় পতিত হয়েছে তখন আমাদের দেশে তার বিন্দুমাত্র প্রভাব পড়েনি। এর কারন, দেশ এখন আওয়ামীলীগ সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। মমতাময়ী প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের ধারা অব‍্যাহত রয়েছে। অন‍্যন‍্য দেশে সংকটকালিন সময়ে সকল দল মিলে সংকট উত্তরনের জন‍্য লড়াই করেন কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত‍্য, আমাদের দেশের বিরোধীদল সংকট না হলেও তাঁরা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এই অপপ্রচার কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

 

এদিন প্রতিমন্ত্রীর ব‍্যাক্তিগত তহবিল থেকে উপজেলার ৭টি ইউপি ও ২টি পৌরসভায় প্রতিটিতে ৫০০ করে সর্বমোট ৪৫০০ অসহায় ও দুস্থ‍্য পরিবারের মাঝে খাদ‍্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ ফ ম হাসান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাদুজ্জামান, বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) খায়রুল ইসলাম সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ জনপ্রতিনিধি,গনমাধ‍্যম কর্মিসহ সাধারণ জনতা।

 

হুয়াওয়ের প্রযুক্তি সহায়তায় দেশজুড়ে নিজেদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করবে টেলিটক

উম্মে সালমা উর্মি

স্টাফ রিপোর্টার 

 

গ্রামীণ ও দূরবর্তী এলাকায় আরও শক্তিশালী ফোরজি নেটওয়ার্ক এবং ফাইভজি’র প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হুয়াওয়ের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর লেকশোর হোটেল গুলশানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

টেলিটক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম. হাবিবুর রহমান, এক্সপানশন অব টেলিটক নেটওয়ার্ক আপটু রুরাল এরিয়াস অ্যান্ড নেটওয়ার্ক রেডিনেস ফর ফাইভজি সার্ভিসেস প্রজেক্ট টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. খায়রুল হাসান, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং (পিটার) এবং হুয়াওয়ের টেলিটক অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর গুয়ো ইউ-সহ দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রকল্প দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফোরজি কাভারেজ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। টেলিটকের নতুন ফোরজি সাইট চালুর পাশাপাশি কোর নেটওয়ার্ক, আইপি নেটওয়ার্ক, চার্জিং ও বিলিং সিস্টেম ও স্যলুশন আধুনিকায়ন ও বিস্তৃতিতে কাজ করবে হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং (পিটার) বলেন, “বাংলাদেশের রূপান্তরে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি মূল ভূমিকা পালন করবে। আমরা বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রেখে যেতে চাই। সেই অনুপ্রেরণা নিয়েই আমরা আমাদের অত্যাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের একটি দায়িত্ববান সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভজি চালু করতে আমরা টেলিটককে সহযোগিতা করেছি। এটি এক অনন্য অর্জন।

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে আরও বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের প্রত্যাশা, এই চুক্তি বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।”

 

হুয়াওয়ের প্রযুক্তি সহায়তায় দেশজুড়ে নিজেদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করবে টেলিটক

 উম্মে সালমা উর্মি

স্টাফ রিপোর্টার

 

গ্রামীণ ও দূরবর্তী এলাকায় আরও শক্তিশালী ফোরজি নেটওয়ার্ক এবং ফাইভজি’র প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হুয়াওয়ের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। গতকাল (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর লেকশোর হোটেল গুলশানে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

টেলিটক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম. হাবিবুর রহমান, এক্সপানশন অব টেলিটক নেটওয়ার্ক আপটু রুরাল এরিয়াস অ্যান্ড নেটওয়ার্ক রেডিনেস ফর ফাইভজি সার্ভিসেস প্রজেক্ট টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. খায়রুল হাসান, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং (পিটার) এবং হুয়াওয়ের টেলিটক অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর গুয়ো ইউ-সহ দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রকল্প দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফোরজি কাভারেজ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। টেলিটকের নতুন ফোরজি সাইট চালুর পাশাপাশি কোর নেটওয়ার্ক, আইপি নেটওয়ার্ক, চার্জিং ও বিলিং সিস্টেম ও স্যলুশন আধুনিকায়ন ও বিস্তৃতিতে কাজ করবে হুয়াওয়ে।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং (পিটার) বলেন, “বাংলাদেশের রূপান্তরে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি মূল ভূমিকা পালন করবে। আমরা বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রেখে যেতে চাই। সেই অনুপ্রেরণা নিয়েই আমরা আমাদের অত্যাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের একটি দায়িত্ববান সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভজি চালু করতে আমরা টেলিটককে সহযোগিতা করেছি। এটি এক অনন্য অর্জন।

টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে আরও বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের প্রত্যাশা, এই চুক্তি বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।”

 

অনুষ্ঠানে টেলিটক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম. হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা আমাদের নেটওয়ার্ককে আধুনিক করতে চাই যাতে দেশব্যাপী সবাই আরও উন্নত নেটওয়ার্ক, ও উচ্চ-গতির সংযোগ উপভোগ করতে পারে। পাশাপাশি আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে আমাদের গ্রাহকদের উন্নত টেলিযোগাযোগ পরিষেবা দিতে চাই। টেলিটকের এই লক্ষ্য পূরণের জন্য যে চমৎকার প্রযুক্তি, সমাধান এবং লোকবল দরকার হুয়াওয়ের সেগুলো রয়েছে। তাই, আমরা অনেক আশাবাদী। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি প্রকল্পটি শেষ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।”

বিগত প্রায় ২৫ বছর ধরে বাংলাদেশ কাজ করছে হুয়াওয়ে এবং ২০০৪ সাল থেকে নতুন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দিয়ে টেলিটককে সেবা প্রদান করে আসছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে, টেলিটক এর বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়েকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে ফাইভজি সেবা উন্মোচন করে।

প্রায় এক লাখ দর্শনার্থীর সমাগমে শেষ হল বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার 

 

 

পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত চারদিনের বেসিস সফটএক্সপোর সমাপনী গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

 

 

সমাপনী অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাসেল টি আহমেদ জানান, ওয়েলকাম টু দ্যা মেটাভার্স প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী এই বেসিস সফট এক্সপোতে ২০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং ৯২ হাজার দর্শনার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যেই স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে প্রায় একশ বিশ কোটি টাকার সম্ভাব্য লিড পেয়েছে। ঢাকার বাইরে হলেও এটি একটি মাইলফলক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

 

 

এই সফটএক্সপোর সহযোগী হিসেবে ছিল হুয়াওয়ে। অন্য এক আলাপচারিতায় হুয়াওয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রায়, হুয়াওয়ে শীর্ষস্থানীয় আইসিটি প্রযুক্তি এবং সেবা প্রদানের মাধ্যমে অবদান রেখেছে। বর্তমানে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা বিশ্বাস করি যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই সফটএক্সপোতে, আমরা নীতিনির্ধারক, ইকোসিষ্টেম এবং ইন্ডাস্ট্রি সহযোগীদের সাথে হুয়াওয়ে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বিভিন্ন ব্যবহারের ক্ষেত্র ও সুবিধাসমূহ প্রদর্শন এবং আলোচনা করেছি। শিল্পের চাহিদা পূরণ করতে ক্লাউড কম্পিউটিং- এর উল্লেখযোগ্য বিকাশ এবং আমাদের সক্ষমতা সবার কাছে তুলে ধরার জন্য এটি সত্যিই একটি ভাল সুযোগ“

 

 

 

এর আগে ‘5G and IoT - Opportunities for BGD Telecom and Software Industry’ শীর্ষক একটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর এস এম নাজমুল হাসান। 

জনপ্রিয় হচ্ছে ই-স্পোর্টস, সম্ভাবনা অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির

 স্টাফ রিপোর্টার 

 

 

১৯৯০ দশকের শুরুতে, নিছক শখ থেকে পেশাদার ও সংগঠিত খেলায় পরিণত হয়েছিল গেমিং। আর এখন, কয়েক বছর ধরে ই-স্পোর্টস নামে পরিচিত প্রতিযোগিতামূলক এই পেশাদার গেমিং ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইলেকট্রনিক স্পোর্টস বা সংক্ষেপে যাকে ই-স্পোর্টস বলা হয়, এর সাথে অন্য খেলার পার্থক্য বলতে কেবল এটুকুই যে, এখানে দর্শকরা শারীরিক আয়োজনের বদলে ভার্চ্যুয়াল জগতে বসে খেলা উপভোগ করেন। বিভিন্ন লিগ বা টিমের খেলোয়াড়রা একই সময় একই গেমে অংশগ্রহণ করেন এমন ‘অ্যাট-হোম-গেমারস’দের কাছে জনপ্রিয় গেমের মধ্যে রয়েছে - ফোর্টনাইট, লিগ অব লিজেন্ডস, কাউন্টার-স্ট্রাইক, কল অব ডিউটি, ওভারওয়াচ ও মেডেন এনএফএল।        

 

বলা চলে, গেমাররা প্রতিযোগিতা ভালোবাসেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসেবে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের বছরব্যাপী সাবস্ক্রিপশন থেকে শুরু করে মিলিয়ন ডলার জিতে নেয়ার সুযোগ রয়েছে, যা ই-স্পোর্টস খাতের প্রবৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। গেমাররা যেমন খেলতে পছন্দ করেন, তেমনি ফ্যানরাও তাদের খেলা দেখতে পছন্দ করেন। অনলাইন চ্যানেল বা লাইভ ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী লাখো ফ্যান এসব খেলা ফলো করেন ও নিয়মিত দেখেন। কিন্তু কথা হচ্ছে, ই-স্পোর্টস কেন বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, এ খাতের ভবিষ্যতই বা কি?

 

 

 

রোমাঞ্চকর ও উত্তেজনায় ভরপুর এবং অংশগ্রহণ করতে পারেন যে কেউ 

 

বিশ্বের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে গত কয়েকবছরে ই-স্পোর্টস খাত অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ খাতের দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনের অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে টুইচের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো, যে কারণে দর্শকরা পছন্দের খেলা দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। পাশাপাশি, এটির দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠার আরেকটি কারণ হচ্ছে – সবার অংশগ্রহণ করতে পারার সুযোগ। প্রথাগত খেলায় নানারকম শারিরীক বাধ্যবাধকতা থাকে, কিন্তু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কারণে ই-স্পোর্টস অনেক কম সময়ে অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। যেমন বলা যেতে পারে, ১০০ জনের বিপরীতে আরও ১০০ জনের বাস্কেটবল খেলা, যা আদতে অসম্ভব; কারণ কোনো বাস্কেটবল কোর্টেই ২০০ জন খেলোয়াড়কে জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। অথচ ই-স্পোর্টসের ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটি অসীম হতে পারে। উল্লেখ্য, গেমারদের জন্য অনেক বেশি সুযোগ নিয়ে এসেছে ই-স্পোর্টস। এর মাধ্যমে গেমারদের হাত ও চোখের সমন্বয়, যোগাযোগ দক্ষতা, ত্বরিত প্রতিক্রিয়া জানানো, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া ও কৌশল নির্ধারণের মতো সক্ষমতাগুলো নিখুঁতভাবে শাণিত হয়। পাশাপাশি, রোমাঞ্চকর ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্টের হালনাগাদ সব খবর পাওয়া যাবে পারিম্যাচ নিউজে।

 

 

 

খেলা দেখার অভিজ্ঞতা

 

প্রতিযোগিতামূলক অনলাইন গেম দেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে ই-স্পোর্টস স্ট্রিমিং করা। আর এজন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট সংযোগ ও একটি অ্যাপ বা ব্রাউজার যেখানে লাইভ ম্যাচ উপভোগ করা যাবে। ই-স্পোর্টসের মূল বিষয়টিই হচ্ছে- পুরো প্রতিযোগিতাটি যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় দেখা সম্ভব। প্রিয় খেলোয়াড়কে ফলো করা বা তার খেলা দেখা মোটেই সহজ কাজ নয়। তবে লাইভ স্ট্রিমিং, ইন্টারনেট সম্প্রচার ও বিশেষায়িত ই-স্পোর্টস চ্যানেল থাকায় এই কাজটি এখন একদম সহজ হয়ে গেছে। ফ্যানরা এখন একটি ডিভাইসে কয়েকটি ক্লিক করে খুব সহজেই দেখে নিতে পারেন খেলার সমস্ত খবর, ফলাফল বা পুরোনো খেলার হাইলাইটস। আর ই-স্পোর্টসের সেরা খেলোয়াড়দের বিষয়ে টিপস ও ট্রিকস এবং সুগভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করছে পারিম্যাচ নিউজ।

 

 

 

প্রবৃদ্ধি ধারা

 

২০২৩ সালে ই-স্পোর্টস বাজার থেকে আয়ের সম্ভাব্য আকার হতে পারে ১,৬২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে এই বাজারের সমন্বিত বাৎসরিক প্রবৃদ্ধির হার (সিএজিআর ২০২৩-২৭) হতে পারে ৮.৩১ শতাংশ। আর এই হিসাবে, ২০২৭ সালে বাজারের সম্ভাব্য আকার গিয়ে দাঁড়াবে ২,২৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।[1] পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ই-স্পোর্টস খাতের প্রবৃদ্ধি ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে; এবং খুব স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশেও সম্ভাবনাময় তরুণ খেলোয়াড়দের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যাদের মধ্যে অনেকেরই এই ইন্ডাস্ট্রিতে সফলভাবে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ই-স্পোর্টস খাতের জনপ্রিয়তা, মার্কেটিং, গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এই ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রম ও সময় দিচ্ছেন, এর পেছনের অন্যতম মূল কারণ টুর্নামেন্টের পুরস্কার। আগামীতে ই-স্পোর্টস খাত সবজায়গায় ছড়িয়ে যাবে এবং আশা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশেও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

 

আর এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে, বিশ্বের নানান প্রান্তের বিভিন্ন রকম খেলার খবর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে৷ 

বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ -এর ফাইভজি পার্টনার গ্রামীণফোন

স্টাফ রিপোর্টার 

 

বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’ –এ ফাইভজি পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। দেশের সবচেয়ে বড় এ সফটওয়্যার এক্সপো শুরু হয়েছে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হচ্ছে দেশের আইটি এবং আইটিইএস খাতের উদ্ভাবনী সব পণ্য এবং সার্ভিস। এক্সপো’র ফাইভজি পার্টনার গ্রামীণফোন এক্সপো’তে নিজেদের স্টলে (পি২৪, হল ২) ফাইভজি প্রযুক্তির বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও ভবিষ্যতমুখী ব্যবহার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রেখেছে। গ্রামীণফোনের স্টল পরিদর্শন করে দর্শনার্থীরা ফাইভজি’র সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারছেন।

 

 

 

গ্রামীণফোনের স্টলে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, রোবোটিক আর্ম, রিয়েল-টাইম রিমোট ভিউয়িং-সহ ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা, স্পিড টেস্ট এবং এমন অন্যান্য আকর্ষণীয় আয়োজনের মাধ্যমে হাজারো দর্শনার্থী চিকিৎসা, কৃষি, অবকাঠামো ও বিনোদন-সহ বিবিধ ক্ষেত্রে ফাইভজি’র যুগান্তকারী পরিবর্তন সক্ষমতা প্রসঙ্গে জানতে পারছেন। তারা ভিআর হেডসেট, কনসার্ট এবং টেক-শো`র পাশাপাশি গেমিং উপভোগ করছেন, যা পুরোপুরি গ্রামীণফোনের ফাইভজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ‘ওয়েলকাম টু দ্য স্মার্টভার্স’ (স্মার্টভার্সে স্বাগতম) – সফটএক্সপো’র এই প্রতিপাদ্যের সাথে একাত্ম হয়ে উপস্থিত দর্শনার্থীদের মাঝে ডিজিটাল এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে উৎসাহ জাগানো এবং প্রযুক্তিখাতের নির্ভরযোগ্য অংশীদার ও শীর্ষ নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সম্ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়াই ফাইভজি পার্টনার গ্রামীণফোনের মূল লক্ষ্য।

 

 

 

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “ফাইভজি যোগাযোগ ও প্রযুক্তিখাতে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। যার ফলে, কর্মদক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ` গঠনের লক্ষ্য অর্জন ত্বরাণ্বিত করার ক্ষেত্রে নতুন নতুন শিল্পখাতকে সংযুক্ত করবে। তরুণ প্রজন্মসহ সবাইকে ভবিষ্যতের অফুরন্ত সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার মাধ্যমে কীভাবে আগামীর রূপান্তরের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা যায় সে সম্পর্কে ধারনা পেতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এ এক্সপো।” তিনি আরও বলেন, “একটি ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন সফটএক্সপো’র অংশ হতে পেরে গর্বিত। চমৎকার সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য বেসিসসহ এই উদ্যোগের সকল পার্টনারদের ধন্যবাদ।”

 

 

 

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে মেলার পাশাপাশি বিভিন্ন আলোচনা, সংলাপ এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আলোকপাত করা হবে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, ফাইভজি, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), টেকসই উন্নয়নে শিল্পখাতে ফোরআইআর -এর প্রভাব, দেশীয় প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার, প্রযুক্তি খাতে লিঙ্গ-ভারসাম্য, সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা সায়েন্সের মত বিষয়ে। আইসিটি খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশেষজ্ঞবৃন্দ, নীতিনির্ধারক এবং অন্যান্য আইসিটি অংশীজনদের মাঝে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থানীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে উন্নত সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি এই এক্সিবিশনের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য।

 

 

বিশ্বজুড়ে শীর্ষ মোবাইল অপারেটরদের স্বীকৃতি দিলো ওপেনসিগন্যাল গ্রাহক অভিজ্ঞতা বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে গ্লোবাল রাইজিং স্টারস তালিকায় শীর্ষে গ্রামীণফোন

স্টাফ রিপোর্টার 

 

বৈশ্বিকভাবেই মোবাইল নেটওয়ার্কের মান নিয়ে কাজ করে ওপেনসিগন্যাল। ওপেনসিগন্যাল গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে তথ্য-নির্ভর বিশ্লেষনের জন্য সুপরিচিত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি এর ‘গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স রিপোর্ট’ (জিএমএনই) প্রকাশ করেছে, যেখানে ‘ভয়েস অ্যাপ এক্সপেরিয়েন্স’ শ্রেণিতে বাংলাদেশ থেকে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে গ্রামীণফোন।            

 

প্রতিষ্ঠানটি গ্লোবাল রাইজিং স্টারস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। গ্রাহকদের ভয়েস অভিজ্ঞতার মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি বছরপ্রতি উন্নতি করেছে – এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মানোন্নয়ন হয়েছে ১২.৭ শতাংশ। অন্যদিকে, ডাউনলোড গতিতে এগিয়ে রয়েছে বাংলালিংক। ৭৮.৫ শতাংশ স্কোর নিয়ে ডাউনলোড স্পিড এক্সপেরিয়েন্স শ্রেণিতে বাংলাদেশ থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলালিংক। এক্ষেত্রে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন (৭২.১ শতাংশ)।       

 

আপলোড স্পিড এক্সপেরিয়েন্স শ্রেণিতে বাংলাদেশের অপারেটরদের অবস্থান হচ্ছে, যথাক্রমে: গ্রামীণফোন (৭২.৩ শতাংশ), রবি (৬০.৩ শতাংশ) এবং বাংলালিংক (৫৯.৫ শতাংশ)। ফোরজি/ফাইভজি শ্রেণিতে মোস্ট পারসেন্টেজ ইমপ্রুভমেন্ট টাইমে বাংলালিংক (৭.৫ শতাংশ) এগিয়ে রয়েছে।

 

রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের মোবাইল খাত। এখন পর্যন্ত টেলিটকের পরে একমাত্র অপারেটর হিসেবে ফাইভজি সেবার ট্রায়াল পরিচালনা করেছে গ্রামীণফোন। ৭ কোটি ৯১ লাখ গ্রাহক নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠানটি ১৯ হাজারের বেশি ফোরজি টাওয়ার দিয়ে সেবা প্রদান করছে। দেশের ৯৯ শতাংশ স্থান গ্রামীণফোনের ফোরজি কাভারেজের আওতাধীন। আর রবির গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৪৪ লাখ, প্রতিষ্ঠানটির ফোরজি সাইট রয়েছে ১৬ হাজারের বেশি এবং দেশের জনসংখ্যার ৯৮.৩ শতাংশ রবির কাভারেজের আওতাধীন। অন্যদিকে, বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৯০ লাখ।

 

গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডস রিপোর্টের অংশ হিসেবে, ওপেনসিগন্যাল বিশ্বজুড়ে অপারেটরদের সেবার মান তুলনা করে। যাদের গ্রাহকরা সেবার সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন তাদের স্বীকৃতি দেয়া হয়। পাশাপাশি, গ্লোবাল রাইজিং স্টারসের অধীনে গ্রাহকদের মোবাইল নেটওয়ার্কে অভিজ্ঞতা প্রাপ্তির ভিত্তিতে অপারেটরদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। বিশ্বজুড়ে অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও গ্রাহকদের কাছে মোবাইল নেটওয়ার্কের অভিজ্ঞতার চিত্র তুলে ধরতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণমূলক নিরীক্ষা পরিচালনা করবে ওপেনসিগন্যাল।

আপনার হারানো ফলোয়ার ফিরে এসেছে

মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফলোয়ারের সংখ্যা কমে যায়। যাদের ফলোয়ার ছিল কয়েক লাখ, তাদের ফলোয়ার গিয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজারের নিচে। 

ফলোয়ার হারান ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গও। তার ১১৯ মিলিয়ন ফলোয়ার কমে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৯২৩ জনে। অবশেষে হারানো ফলোয়ার ফিরে আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী তার ফেসবুক ফলোয়ার ফিরে পেয়েছেন। 

ফলোয়ার হারিয়ে বুধবার সকালে যারা আক্ষেপ করছিলেন, তাদের মুখে এখন হাসি ফুটে উঠেছে।

ব্যবহারকারীদের ফলোয়ার হঠাৎ কমে যাওয়া এবং ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক বা মেটা কেউই কিছু জানায়নি।  

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত টেলিযোগাযোগের ২০০৮ সাইট, সচল ১২৫৫টি

বন্যায় সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের মোট তিন হাজার ৬১৭টি সাইটের মধ্যে দুই হাজার আটটি সাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এর মধ্যে এক হাজার ২৫৫টি সাইট পুনরায় সচল করা গেছে। বাকি ৭৫৩টি সাইট সচল করার জন্য কাজ চলছে।

বুধবার (২২ জুন) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এ সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপনের জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ১২টি ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আরও ২৯টি ভিস্যাট (খুব ছোট-অ্যাপারচার টার্মিনাল) স্থাপনে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিলেট হাই-টেক পার্ক, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজ, গোবিন্দগঞ্জ, দোয়ারা বাজার ও দিরাইসহ ছয়টি ভিস্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করেছে। বুধবার জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটে আরও দুটি ভিস্যাট হাব স্থাপনের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

বিএসসিএল সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সিলেট সদর উপজেলা কার্যালয়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বাংলো, বিশ্বরামপুর এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে সাতটি ভিস্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করেছে। এছাড়া বুধবার জৈন্তাপুর, ছাতক, জগন্নাথপুর, শাল্লা ও দিরাই উপজেলায় ভিস্যাট হাব স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

বিএসসিএল নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভিস্যাট হাব স্থাপন সম্পন্ন করেছে। বুধবার খালিয়াজুরী উপজেলা কার্যালয়ে ভিস্যাট হাব সংযোগ প্রদান কাজ সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আরও ভিস্যাট যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। সরবরাহকৃত ভিস্যাট যন্ত্রপাতির মধ্যে ৪ সেট ময়মনসিংহ সেনানিবাসে পাঠানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে অনলাইন বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহারে গ্রামীণফোনের সচেতনতামূলক উদ্যোগ

 মায়ের ভাষার মর্যাদা নিশ্চিত ও সমুন্নত রাখতে ‘অনলাইনের ভাষা’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন শুরু

[ঢাকা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২] বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ ও ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন আমাদের নিজেদের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি নিপীড়িত বাঙালি জাতির একটি পরিচয়ে পরিণত হয়েছে, মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা সাহসী জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি আমরা। দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন অনলাইন ও অফলাইন উভয়ক্ষেত্রেই মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহারে সচেতনতা প্রয়োজন আছে বলে বিশ্বাস করে। মাতৃভাষার জন্য আমাদের বীর ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের সম্মানে টেক সার্ভিস লিডার ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘অনলাইনের ভাষা’ শীর্ষক এক ক্যাম্পেইন চালু করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলা ভাষার নেতিবাচক ব্যবহার রুখতে স্টিকার ইমেজ ব্যবহারের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতেই এ ক্যাম্পেইনটি চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না এবং তরুণ প্রজন্মও অনেকক্ষেত্রে মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে গ্রামীণফোন বাংলা ভাষার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গত বছর গ্রামীণফোন ২৫ পয়সায় মোবাইল-টু-মোবাইল বাংলা এসএমএস ট্যারিফ সুবিধা চালু করেছে। এর ফলে, কোন ব্যবহারকারী যদি বাংলায় এসএমএস লিখে কাউকে পাঠায় তাহলে তাকে প্রচলিত মূল্যের পরিবর্তে মাত্র ২৫ পয়সা খরচ করতে হবে।

গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “অনলাইনের ভাষা আমাদের কাছে ক্যাম্পেইনের চেয়েও বেশি কিছু এবং আমাদের হৃদয়ের অনেক কাছের। দায়িত্বশীল করপোরেট সিটিজেন হিসেবে অনলাইন পরিসরে সবাইকে নিরাপদ রাখতে বিগত বছরগুলোতে আমরা সচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করছি। আমরা মনে করছি, ফেব্রুয়ারির বিশেষ এ মাসেও আমাদের রক্তঝরা বাংলা ভাষার দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের এগিয়ে আসা উচিত। এ উদ্যোগে অংশগ্রহণ করতে এবং অনলাইনের ভাষার দায়িত্বশীল ব্যবহারে একে অন্যকে সহায়তা করতে আমি আমাদের সম্মানিত গ্রাহক, পার্টনার, পৃষ্ঠপোষক ও অংশীজনদের স্বাগত জানাই।”

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, গ্রামীণফোন ‘ভাষার প্রতি ভালোবাসা’ শীর্ষক একটি উদ্যোগ চালু করে। সঠিকভাবে বাংলা জানা থাকলে যে যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা দূর হয় প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের এ বিশ্বাসের ওপরই গুরুত্বারোপ করে এ উদ্যোগটি। এছাড়াও, ২০২০ সালে চালু হওয়া ‘কথাগুলো হারিয়ে না যাক শব্দের অভাবে’ এ প্রতিপাদ্যের অধীনে গ্রামীণফোন একটি বিশেষ উদ্যোগ নেয়। এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণফোন এর ওয়েবসাইট ও সেলফ সার্ভিস ডিজিটাল কেয়ার অ্যাপ মাইজিপিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য গ্রাহকসেবা চালু করে। এখানে শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের জন্য সাইন-লাইন ডিজিট কেয়ার সুবিধা প্রদান করা হয়।


   Page 1 of 5
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান

নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
    2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com

Developed By: Dynamicsolution IT [01686797756]