|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
বিএনপির হাত ধরেই দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপির হাত ধরেই চালু হয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার।
তার সরকারি বাসভবনে বুধবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
অনিয়ম দুর্নীতি ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারীকে অবমাননা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার মধ্য দিয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। আইনের বিধান কঠোরভাবে কার্যকর হলে অপরাধীরা ভয় পাবে এবং এ সব ঘৃণ্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপরাধীদের আশ্রয়- প্রশ্রয়দান বন্ধ করতে হবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের পথও চিরতরে বন্ধ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকার যে কোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতনের রেকর্ড করেছিল, তখনকার সময়ে পূর্ণিমা, রহিমা, মাহিমা, ফাহিমাসহ হাজারো নারী নির্যাতিনে শিকার হয়েছিল। বিএনপি তাদের বিচারতো করেনিই বরং সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রা ও ধরন সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। এছাড়া ২০০৪ সালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা চালায় বিএনপি। তখন তারা বিচারতো করেইনি উল্টো পদে পদে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
কাদের আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও পৃষ্ঠপোষণে হত্যাকাণ্ড চালানো এবং বিচারের পথ বন্ধ করার জনক বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছে। এখন কোনো অপরাধী অপরাধ করে রেহাই পায় না। অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, দলীয় পরিচয় থাকলেও রেহাই দেয়নি সরকার।
একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশে-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়াচ্ছে জানিয়ে দেশবাসীকে এ মতলবি মহলের সব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে এ মতলবি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে, নষ্ট করছে দেশের ভাবমূর্তি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, করোনাকালেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, বাড়ছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ও।
দেশের অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
বিশ্বনেতারা যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন, যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি মহল দেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে, তার নেতৃত্বের ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিএনপির হাত ধরেই চালু হয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে সরকার।
তার সরকারি বাসভবনে বুধবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
অনিয়ম দুর্নীতি ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারীকে অবমাননা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করার মধ্য দিয়ে সরকারের কঠোর মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। আইনের বিধান কঠোরভাবে কার্যকর হলে অপরাধীরা ভয় পাবে এবং এ সব ঘৃণ্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে। সমাজের সব স্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অপরাধীদের আশ্রয়- প্রশ্রয়দান বন্ধ করতে হবে এবং তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের পথও চিরতরে বন্ধ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকার যে কোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সাথে সাথে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নারী ও শিশু নির্যাতনের রেকর্ড করেছিল, তখনকার সময়ে পূর্ণিমা, রহিমা, মাহিমা, ফাহিমাসহ হাজারো নারী নির্যাতিনে শিকার হয়েছিল। বিএনপি তাদের বিচারতো করেনিই বরং সংখ্যালঘু নির্যাতনের মাত্রা ও ধরন সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। এছাড়া ২০০৪ সালে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রেনেড হামলা চালায় বিএনপি। তখন তারা বিচারতো করেইনি উল্টো পদে পদে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
কাদের আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও পৃষ্ঠপোষণে হত্যাকাণ্ড চালানো এবং বিচারের পথ বন্ধ করার জনক বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছে। এখন কোনো অপরাধী অপরাধ করে রেহাই পায় না। অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক, দলীয় পরিচয় থাকলেও রেহাই দেয়নি সরকার।
একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশে-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ, রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়াচ্ছে জানিয়ে দেশবাসীকে এ মতলবি মহলের সব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে এ মতলবি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে, নষ্ট করছে দেশের ভাবমূর্তি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, করোনাকালেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, বাড়ছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়ও।
দেশের অর্থনীতি করোনার নেতিবাচক প্রভাব থেকে ইতিবাচক ধারায় ফিরছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
বিশ্বনেতারা যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছেন, যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি মহল দেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে, তার নেতৃত্বের ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে দুঃসময়ের কর্মীদের প্রাধান্য দিয়ে কমিটি পুর্ণাঙ্গ করার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ২৮ সেপ্টেম্বর দলীয় সভাপতির ৭৪তম জন্মদিন পালনের বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেত্রীকে করোনার সময় সর্বোচ্চ মানবিকতা দেখিয়ে জামিন দেয়া হয়েছে। বিএনপি একে দুর্বলতা মনে করলে ভুল করবে। গণবিরোধী যড়ষন্ত্রে লিপ্ত হলে দেশের জনগণকে নিয়ে কঠিন জবাব দেবার হুঁশিয়ারি দেন কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আবেগ-ভালোবাসা ও আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে এবং কাজকর্মে তা প্রতিফলন করে।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ কখনো যড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না; ষড়যন্ত্রের বরদাশত করে না। বরং আওয়ামী লীগই বারবার ষড়যন্ত্রের রাজনীতির শিকার হয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের বিভিন্ন উপজেলার উপনির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচন ও মেয়াদ শেষের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এর আগে বিএনপির নির্দেশিত পন্থায় মনোনয়ন পেতে তৃণমূল নেতাদের সুপারিশসহ এসব প্রার্থী কেন্দ্রে আবেদন করেন। তাদের আবেদন যাচাই বাছাই করে আজ পর্যন্ত ৪৮ জনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।
যারা মনোনয়ন পেলেন : উপজেলা চেয়ারম্যান পদ : মো. মকলেছুর রহমান উপজেলা-মান্দা, জেলা- নওগাঁ। মো. নূর-উন-নবী, উপজেলা-যশোর সদর, জেলা-যশোর। মো. আব্দুল মজিদ, উপজেলা-পাইকগাছা, জেলা-খুলনা। মো. মতিয়ার রহমান খান, উপজেলা-শরণখোলা, জেলা-বাগেরহাট। মো. নরুল হক আফিন্দী, উপজেলা- জামালগঞ্জ, জেলা-সুনামগঞ্জ। মো. আবদুস শুক্কুর পাটোয়ারী, উপজেলা-মতলব দক্ষিণ, জেলা-চাঁদপুর। নাদীরা আক্তার, উপজেলা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুর। মো. সাইফুল আলম, উপজেলা- দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লা।
উপজেলা ভাইস- চেয়ারম্যান: রাশেদুজ্জামান রাশেদ, উপজেলা-দিনাজপুর সদর, জেলা-দিনাজপুর। ফরিদা ইয়াছমিন, উপজেলা-দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লা। রুহুল আমিন, উপজেলা- দাউদকান্দি, জেলা- কুমিল্লা।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান: সোহরাব হোসেন মীর, ইউনিয়ন-বড়িবাড়ি, উপজেল -ইটনা, জেলা-কিশোরগঞ্জ। আফজাল হোসেন, ইউনিয়ন-লক্ষ্মীপাশা, উপজেলা- গোলাপগঞ্জ, জেলা- সিলেট। মো. আব্দুর রফ আল মামুন, ইউনিয়ন- সাদীপুর, উপজেলা- ওসমানী নগর, জেলা- সিলেট। আসকার আলী, ইউনিয়ন- সাচার, উপজেলা - কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর। মো. অলি উল্যা, ইউনিয়ন- ইছাপুর, উপজেলা- রামগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুর। মো. ইয়াকুব, ইউনিয়ন- সুয়াবিল, উপজেলা- ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম। মো. আসিফ আকতার, ইউনিয়ন- হারামিয়া, উপজেলা- সন্দ্বীপ, জেলা- চট্টগ্রাম। মো. সুফি মিয়া, ইউনিয়ন- মির্জাপুর, উপজেলা- শ্রীমঙ্গল, জেলা- মৌলভীবাজার। পারভেজ হোসেন চৌধুরী, ইউনিয়ন - শাহজাহানপুর, উপজেলা - মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ। মো. পারভেজ হোসেন, ইউনিয়ন - আদ্র, উপজেলা - বরুড়া, জেলা- কুমিল্লা। মাসুদ করিম, ইউনিয়ন - মেহের দক্ষিণ, উপজেলা- শাহরাস্তি, জেলা- কুমিল্লা। মো. সেলিম সরকার, ইউনিয়ন- সুলতানাবাদ, উপজেলা- মতলব উত্তর, জেলা- চাঁদপুর। মো. আক্তার হোসেন, ইউনিয়ন- জহিরাবাদ, উপজেলা- মতলব উত্তর, জেলা- চাঁদপুর। মোস্তফা কামাল, ইউনিয়ন- গেইট উত্তর, উপজেলা- কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর। নজরুল ইসলাম ভুইঁয়া, ইউনিয়ন- কেরোয়া, উপজেলা- রায়পুর, জেলা- লক্ষীপুর। তোফায়েল আহমেদ, ইউনিয়ন- চন্দ্রগঞ্জ, উপজেলা সদর, জেলা- লক্ষীপুর। জয়নাল আবেদিন, ইউনিয়ন- নানুপুর, উপজেলা - ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম। মো. আবু নাসের চৌধুরী, ইউনিয়ন- আধুনগর, উপজেলা-লোহাগড়া, জেলা- চট্টগ্রাম। মো. খোরশেদ আলম শিকদার, ইউনিয়ন- লোহাগড়া, উপজেলা - লোহাগড়া, জেলা-চট্টগ্রাম।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কোনো শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে আঘাত করলে সরকারকে গদি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ বক্তব্য দেন তারা।
বক্তব্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, গতকাল নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। তিনি বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে আঘাত ও খুন করা হয়, তাহলে সরকারকে গদি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামানো হবে।
যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, সরকার ভিপি নুরকে মেরে ফেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু তারা জানে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী একেকটা ভিপি নুর। তিনি বলেন, আজকে আমাদের ঘাপটি মেরে বসে থাকলে হবে না। আমাদেরকে এই ভোটারবিহীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে হবে। না হয় ভোটারবিহীন এ সরকার আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন আরও বাড়িয়ে দেবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- ডাকসুর সমাজ সেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান, ঢাবি শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. আতাউল্লাহসহ প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টানা পাঁচ মাস বন্ধের পর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হওয়াকে জাতীয় কাউন্সিলের অংশ হিসেবে দেখছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এরআগে জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির আহবায়ক সাঈদ আহমেদ আসলামের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় শহীদ জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তার আত্মা মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করা হয়।
বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল কবে হবে- এই প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম কাউন্সিলের একটা অংশ। অর্থাৎ আমাদের দেশব্যাপী প্রতিটা জেলা, উপজেলা বা থানার যতটা ইউনিট আছে সেগুলো কাউন্সিলে পূর্বেই সম্পন্ন করতে হয়। সেই কাজটা আমাদের শুরু হয়েছে। আমি বলব, বিশ্ব পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমাদের কখন কাউন্সিল করার সুযোগ সৃষ্টি হবে সেজন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। একটা সময় কাউন্সিল হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। এর একটা কাউন্সিল ভার্চুয়াল বা অনলাইনে হয় না। কাউন্সিল মানে হলো ব্যাপক। প্রায় চার হাজারের মতো কাউন্সিলর আছে। তারপরে ডেলিগেট। আপনারা জানেন যে, আমাদের কাউন্সিলে লাখ লাখ লোক সমবেত হয়। সবকিছু আপনাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল হয় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
করোনা সংক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মানুষের জীবনে যে ঝুঁকি সবকিছু মোকাবিলার ক্ষেত্রে আমাদেরকে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয় প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্বার্থে। আমি নিয়ম মানছি শুধু আমার স্বার্থে না, আরেকজনেরও স্বার্থে।
এখন যে স্বাস্থ্যবিধি আছে সেখানে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরেশোরে করার সুযোগ কম। তারপরেও কাজ শুরু করেছি। কাউন্সিল দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার একটা অংশ, এটা গঠনতন্ত্রেও নিয়ম আছে। গঠনতন্ত্র তো দলের জন্য, জীবনের জন্যই। সে কারণে আমাদের কাউন্সিলটা যেসময় হওয়ার কথা সে সময়ে হয় নাই। ভবিষ্যতে হবে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে বিকেলে। আজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এ দিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন বিতরণ ও জমা শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। ৩টি জেলা পরিষদ, ৯টি উপজেলা পরিষদ ও ৬১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন বিতরণ ও জমা নেয় দলটি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রী যেভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছেন সেটি বাংলাদেশে নজীরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা হাস্যকর। প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার যে পরিচয় দিয়েছে সেটি স্বীকার না করে যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটি ঠিক না । এরকম বক্তব্য দিলে ভবিষ্যতে বেগম জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানো হোক জনগণ থেকে দাবি উঠতে পারে। এজন্য বিএনপির প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা দেখানো উচিত।’
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, হত্যার রাজনীতি জিয়ার আমল থেকে শুরু। এখন খালেদা ও তারেক অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে উন্মেষ। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া এবং ২১ আগস্ট হত্যায় খালেদা ও তারেকের জড়িত থাকাই এটা প্রমাণ করে।’
সম্প্রতি হাটহাজারী মাদরাসার বিশৃঙ্খলা বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, হাটহাজারী মাদরাসার বিশৃঙ্খলা অভ্যন্তরীণ বিষয়। আহমদ শফী অসুস্থ অবস্থায় হাটহাজারী মাদরাসায় যে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল তাতে উনার মানসিক চাপ হয়েছিল কি না সেটি চিকিৎসকরা বলতে পারবে।
সিনেমা হলগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমা হল খোলার বিষয়ে হল মালিক ও সংশ্লিষ্টদের সাথে এ মাসের মধ্যেই বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ সূত্র : ইউএনবি
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বন্দুকের নল নয়, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ তাসের ঘর নয় যে, টোকা লাগলে পড়ে যাবে।
শনিবার সকালে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শেঁকড় মাটির অনেক গভীরে। মাটি ও মানুষের দল হিসেবে জনমানুষের বুকের গভীরে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ঠাঁই করে নিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের প্রতিটি দুর্যোগ ও সংকটে গত ৭০ বছর ধরে জনগণের পাশে থেকেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস দেশের জনগণ, বন্দুকের নল নয়। তাই যারা মনে করেন আওয়ামী লীগের অবস্থান তাসের ঘরের মতো, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, প্রতিটি উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ পল্লীবন্ধুর লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। তাই চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়েই ভোটের মাঠে থাকবে জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে বিজয়ের জন্যই লড়বে জাতীয় পার্টির প্রতিটি নেতাকর্মী।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে মনোনয়ন বোর্ড ঢাকা-৫ আসনে মীর আব্দুস সবুর আসুদ এবং নওগাঁ-৬ আসনে কাজী গোলাম কবিরকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন দেন।
এসময় জাতীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ এবং যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতীয় সংসদে ৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে ২৯টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে দলটির নয়াপল্টন কার্যালয়ে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এর মধ্যেই সবগুলো জমা পড়ে। সকাল থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আসেন বিএনপি কার্যালয়ে। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নির্বাচনে অংশ নিতে অনেকেই তাদের সমর্থকদের জড়ো করেন পার্টি অফিসের সামনে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, ঢাকা-৫ আসনে আলহাজ সালাহউদ্দিন আহমেদ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, নবী উল্লাহ নবী, মো. জুম্মন মিয়া ও আকবর হোসেন নান্টু।
ঢাকা-১৮ আসন: এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এম কফিল উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, বাহাউদ্দিন সাদি, মোস্তফা জামান সেগুন, মো. আখতার হোসেন ও আব্বাস উদ্দিন।
নওগাঁ-৬ আসন: আনোয়ার হোসেন, শেখ আব্দুস শুকুর, এস এম আল ফারুক জেমস, মাহমুদুল আরেফিন স্বপন, ইছহাক আলী, আতিকুর রহমান রতন মোল্লা, শেখ মো. রেজাউল ইসলাম, মো. শফিকুল ইসলাম, আবু জাহিদ মো. রফিকুল আলম রফিক।
সিরাজগঞ্জ-১ আসন: টিএম তাহজিবুল ইসলাম, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, রবিউল হাসান, সেলিম রেজা ও রুমানা মাহমুদ কনকচাঁপা।
চার আসনে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নে প্রত্যাশীরা ১০ হাজার টাকা মূল্যমানের ফরম সংগ্রহ করে ২৫ হাজার টাকার জামানতসহ জমা দেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ঢাকা-৫ এবং নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর। ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল কমিশন এখনো ঘোষণা করেনি।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫, ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ-১ এবং সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে ঢাকা-১৮ আসন শূন্য হয়।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি এদেশের মানুষ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী কোনো রাজনৈতিক দলের ন্যূনতম শ্রদ্ধা কিংবা আস্থা নেই। আর এজন্য নিঃসন্দেহে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে যারা গলাটিপে হত্যা করেছে কেবল তারা এবং তাদের সহযোগী হিসেবে নির্লজ্জ ভূমিকা রাখা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর বশবর্তী নির্বাচন কমিশনই দায়ী। এ নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিস্ময়কর কর্মকাণ্ডের জন্য ইতোমধ্যেই কুখ্যাতি অর্জন করেছে। তারা গত সাড়ে তিন বছরে তাদের মেয়াদকালে অনেক অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের জনস্বার্থবিরোধী মানসিকতাই শুধু প্রকাশ পায়নি, অসততা ও অযোগ্যতারও বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শুধু জাতীয় পার্টি না, আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করার মতো ক্ষমতা রাখি। আমার সেই কনফিডেন্স আছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক। সম্প্রতি তিনি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান।
বিদিশা বলেন, আমি জাতীয় পার্টির সাকসেসফুল প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলাম ২০০৫ সাল পর্যন্ত। যখন আমি জেলে যাই, তখন আমার পদ স্থগিত করা হলো। আমার জনপ্রিয়তা কিন্তু কমেনি। পার্টির কোনো আসনে (পদে) আমি বসব তা রংপুর বলেন, উত্তরবঙ্গ বলেন আর দেশের মানুষ বলেন- তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি চেয়ারম্যান হবো নাকি প্রেসিডিয়াম সদস্য হবো- এটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। পার্টির নেতা-কর্মীরা নেবে। শুধু বলবো, আমি রাষ্ট্র পরিচালনা করার মতো ক্ষমতা রাখি, শুধু জাতীয় পার্টি না। আমার সেই কনফিডেন্স আছে।
দেশের জনগণ ও নেতাকর্মীরা চাইলে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে আমার সন্তানের (এরিক এরশাদ) বাবার পার্টি। রংপুর তথা দেশের মানুষ বিশেষ করে নেতাকর্মীরা চাইলে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাই। উত্তরাধিকার সূত্রে কিন্তু পার্টির চেয়ারম্যান তার সন্তান বা স্ত্রীরাই হবেন। ভাই কখনো উত্তরাধিকার হয় না। আমাদের এই দক্ষিণ এশিয়াতে ভাইয়েরা কখনো (উত্তরাধিকার) হয় না। আর যিনি এখন হয়েছেন (জিএম কাদের) উনি তো অবৈধ চেয়ারম্যান। তার নামে কোর্টে রিট করা আছে। এটার এখনো ফয়সালা হয়নি। তবে, ফায়সালা হলে তাকে (চেয়ারম্যান হিসেবে) মেনে নেব।
জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যানের পরিবর্তন বিষয়ে বিদিশা সিদ্দিক বলেন, আমি চাইলে তো হবে না। যদি পার্টির নেতাকর্মীরা চায়, তৃণমূলের মানুষজন চায় তাহলে অবশ্যই।
রওশন এরশাদের বিষয়ে তিনি জানান, পার্টিতে নতুন নেতৃত্ব আসতে হবে। ইয়ং জেনারেশন আসতে হবে। স্পেসিফিক বলবো না যে, রওশন এরশাদ খারাপ, বিদিশা ভালো। ম্যাডামের যখন পার্টিকে বা দেশকে দেয়ার ছিল, উনি তখন দিয়েছেন। উনি বিরোধী দলের নেতা, দেশের ফার্স্ট লেডি ছিলেন। বয়সটা তখন ছিল। এখন আমাদের সুযোগ আসলে আমরা করবো, এটাই স্বাভাবিক। দেশের জন্য কিছু করতে চাই।
১৯৯৮ সালে একে-অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এরশাদ ও বিদিশা সিদ্দিক। তাদের ঘরে একমাত্র সন্তান এরিক এরশাদ। ২০০৫ সালে এরশাদ-বিদিশার ছাড়াছাড়ি হয়। মোবাইল চুরির একটি মামলায় জেলে যেতে হয় বিদিশাকে। জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়ামের পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয় তাকে। এরপর থেকেই রাজনীতিতে নিষ্ক্রীয় ছিলেন বিদিশা। ব্যস্ত ছিলেন ব্যবসা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে।
এক বছর আগে (২০১৯ সালের ১৪ জুলাই) সাবেক এই রাষ্ট্রপতি মৃত্যুবরণ করেন। কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্ট পার্কে সাবেক স্বামীর বাসায় ওঠেন বিদিশা। যেখানে এরশাদের সাথেই থাকতেন তাদের ছেলে এরিক এরশাদ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবারো আবেদন করেছে তার পরিবার। শারীরিক অসুস্থতায় সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে স্থায়ী মুক্তির জন্য গত মঙ্গলবার দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে আবেদন পত্রে তার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার স্বাক্ষর করেন। আবেদনে খালেদা জিয়ার সহোদর ‘ভাই’ হিসেবে শামীম ইসকান্দার নিজেকে উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে আজ সন্ধ্যায় স্বরষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে আইনী মতামত জানতে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিলে এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
এর আগে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয় সরকার। যারমেয়াদ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। এর আগেই সরকারের কাছে স্থায়ী মুক্তির জন্য আবেদন করে খালেদা জিয়ার পরিবার। ওই সময় বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি আইনমন্ত্রীর কাছেও চিঠি দেয় বেগম জিয়ার পরিবার। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেন খালেদা জিয়ার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালীন দুর্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়নি। পাশাপাশি তার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য শারীরিক অসুস্থতায় কোনো পরীক্ষাও করা সম্ভব হয়নি।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অফিস-আদালতসহ গণপরিবহন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। এতে অসুস্থ খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও এ সংক্রান্ত শারিরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আবেদনে তার বয়স, শারীরিক অসুস্থতা ও মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির জন্য আবেদন করা হল।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের সীমিত সম্পদ দিয়েই রাষ্ট্রের জ্বালানী নিরাপত্তার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আজ দলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, জ্বালানী নিরাপত্তা ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ তার বাসা থেকে ওয়েবিনারের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় যোগদান করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর।
আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন-সার্বভৌম ও উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখতেন এবং জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন যারা অনেক সময় স্বপ্ন দেখিয়েছেন, কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন নি। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা বাস্তবায়নও করেছেন।
হানিফ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কত দূরদর্শী সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন তা উঠে এসেছে তার কর্মকান্ডের মাধ্যমে। স্বাধীন রাষ্ট্রে সীমিত সম্পদের মধ্যেই তিনি দেশের জ্বালানী নিরাপত্তার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
আব্দুস সবুর বলেন, বঙ্গবন্ধু জ্বালানী নিরাপত্তায় প্রথম আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন। দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে মজবুত করতে ও জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বহুজাতিক কোম্পানী শেল ওয়েলের কাছ থেকে দেশের ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ অর্জনে জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সবুর আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা উন্নয়নশীল বিশ্বের একমাত্র সরকার প্রধান, যিনি জ্বালানী নিরাপত্তা বিষয়কে জাতীয় নিরাপত্তার সমার্থক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ওয়েবিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ইঞ্জিনিয়ার্স, অষ্ট্রেলিয়ার প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী খন্দকার এ সালেক।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ অঞ্জন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সংস্থা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড সংস্থা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌফিকুর রহমান তপু, তিতাস গ্যাস, ঢাকার মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার প্রমুখ। বাসস
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্ল্যাকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বিকালে বারিধারায় এ বৈঠক হয়। এতে বিএনপির কূটনৈতিক উইংয়ের প্রভাবশালী সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টার এ বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ গুম-খুনসহ বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় আগামী ৩০ আগস্ট ‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস’ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে গুম হওয়া বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সম্প্রতি কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের নিহত হওয়ার ঘটনাটিও গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়। দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে আগামী মাসে একটি ভার্চুয়াল কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করবে বিএনপি। সেখানে ব্রিটিশ হাইকমিশনারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে এ ধরনের সাক্ষাৎ আমরা প্রায়ই করে থাকি। তারই অংশ হিসেবে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ।’
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা-১৮ আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেয়ায় ভালো প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পপতি এম কফিল উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, উপনির্বাচনে ভোটের দিনক্ষণ পেছানোয় কোনো ক্ষতি হয়নি। এই সময়ে আমরা আরও প্রস্তুতি নিতে পারব। আমাদের যেখানে সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে, কোথাও বিভেদ থাকলে সেটাও মিটিয়ে ফেলা সম্ভব। দলকে আরও বেশি গুছিয়ে সবাইকে নিয়ে মাঠে নামারও সুযোগও হয়েছে।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন মঙ্গলবার ফায়েদাবাদ চৌরাস্তা ও টিআইসি কলোনীতে পথসভা করেন। পরে ফায়েদাবাদ চৌরাস্তায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন কফিল উদ্দিন আহম্মেদ। টিআইসি কলোনি হয়ে রশীদ সুপার মার্কেটে গিয়ে গণসংযোগ শেষ হয়।
ঢাকা-৫ আসনে ১৭ অক্টোবর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ভোট ৩০ দিন পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়নের বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত না হলেও তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন। বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়মিত উঠান বৈঠক, গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা করছেন। ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। এবার সেখানে কফিল উদ্দিন আহম্মেদ ছাড়াও বিএনপির আরও তিনজন প্রার্থী ভোট করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তারা হলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রজমান সেগুন, বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী নেতা বাহাউদ্দীন সাদী ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অন্য প্রার্থীরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামেননি।
এর আগে সোমবার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কফিল উদ্দিন আহম্মেদ। এরপর নিখোঁজ বিমানবন্দর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মুন্নার বাসায় গিয়ে তার মাকে সান্ত্বনা দেন তিনি।
কফিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নেতা-কর্মীরা মামলা-হামলার কারণে এলাকায় আসতে পারেনি। তারা এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। সামনে উপ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা করোনাভাইরাসের ভেতরেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমার পক্ষে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। আমরা এই সংসদীয় আসনের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করছি। নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা এলাকাছাড়া তারাও এলাকায় আসছেন। এতে এলাকায় একটি ভোট উৎসব বিরাজ করছে। আমরা আশাবাদী দিন যত যাবে আমাদের নেতা-কর্মীরা তত সুসংগঠিত হবে।
বিএনপির এই মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেন, নিকট অতীতে নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় তারা সারা জাতির আস্থা হারিয়েছে। দিনের ভোট আগের দিন রাতে করে সারাবিশ্বেই তারা কালিমা লেপন করেছে। আশা করি, আসন্ন নির্বাচনে তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। জনগণকে তাদের সাংবিধানিক ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে এই আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে চাই। এই আসনে ধানের শীষের বিজয় অনিবার্য। আশা করি, দল আমাকে সেই সুযোগ প্রদান করবে।
এ সময় দক্ষিণ খান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, উত্তরা পূর্ব থানার সিনিয়র সহসভাপতি শাহীন চৌধুরী, ৫০নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, জাহিদ মাস্টার, এসএম হান্নান, সালাউদ্দিন আহমেদ, ছাত্রদল নেতা আবদুল আজিজ, আনিসুর রহমানসহ শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতিঃ হাজী মোবারক হোসেন।। সহ-সম্পাদক : কাউসার আহম্মেদ।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু।
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, মোবাইল : 01731190131, 01930226862, E-mail : mannannews0@gmail.com, mannan2015news@gmail.com, web: notunbazar71.com, facebook- mannan dhaka club
|
|
|
|