| বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   স্বাস্থ্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
মহাখালীর ক্যানসার হাসপাতাল এখন দুর্নীতিদের আখড়ায় পরিনত

আওরঙ্গজেব কামালঃ

 

ক্যান্সার চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি দেশে চাহিদার

তুলনায় এই মরণব্যাধির চিকিৎসাসেবাও অপ্রতুল। মানুষের চিকিৎসার একমাত্র

ভরসা জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল । আর এই হাসপাতালের

যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। ঢাকায় জাতীয়

ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগের যেন

শেষ নেই। প্রতিনিয়ত রোগীদের হয়রানী,দালাল চক্রের উৎপাত,এবং ওষধ কোম্পানীর

অত্যাচারে অতিষ্ট রোগীরা। এছাড়া হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে

চিৎসকদের ব্যবহারে রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এছাড়া চিকিৎসকরা ওষুধ

কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে চুক্তির মাধ্যমে রোগীদের হয়রানী করছে এমন

অভিযোগ উঠেছে।রাজধানীর একমাত্র সরকারি ক্যান্সার হাসপাতালে এরকম আরও নানা

অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন চরম আকার ধারন করেছে। সব সময় লক্ষ করা যায় এই

হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে রোগীদের সাথে

খারাপ আচারন করে এবং কিছু চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের নিয়ে বসে

খোশ গল্প করে অথচ প্রচুর রোগীর ভীড় থাকলেও তারা সে বিষয়ে তোয়াক্কা করেন

না। এবিষয়ে চিকিৎসকদের কিছু বলতে গেলে তাদেরকে নানাবিধ হুমকী ধমকী এমন কি

দালাল চক্র দিয়ে ঐ ব্যাক্তিকে নাজেহাল করেন। অথচ ‘জনগণের টাকায় তারা বেতন

পায় তারা৷ রোগীদের সাথে এরকম আচরণ করেন এবিষয়ে যেন দেখার কেহ নেই।

ডাক্তার আর নার্সদের দাপটে রোগীদের অসহায় হয়ে থাকতে হয় সব সময় ,কোনো কথা

বলা তো যায় না! আর কী বলব ভাই, এদের কুকর্ম আর অনিয়মের কথা লিখতে গেলে

যেন বলতে গেলে শেষ হবে না এমন মন্তব্য এক রোগী। সরেজমিনে যেয়ে দেখাযায়

রেডিও থ্যাপীর ফলোআপ রুম ১১৪ সেখানে বাইরে বসে আছে অসংখ্য ওষুধ কোম্পানীর

প্রতিনিধি। রোগীদের জন্য কোন চেয়ারখালী নেই। সব চেয়ার তাদের দখলে। আর

ভিতরে অনেক চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানীর উৎকোচ নিতে ব্যস্ত কিন্ত বাইরে

রোগীদের আহাজারী। কোন রকম একটি ব্যবস্থাপত্র বাহির হলে ওষুধ কোম্পানীর

প্রতিনিধিরা তার ছবি নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কারন যে পরিমান চুক্তি আসে সে

পরিমান ওষুধ চিকিৎসকরা লিখছেন কিনা।এবিষয় কথা বলতে গেলেই তেড়ে আসে

চিকিৎসকসহ দালালরা। এমন চিত্র প্রতিনিয়ত এই হাসপাতালে প্রতিটি দপ্তরে।

বাথরুম গুলি অত্যন্ত নোংড়া প্রচন্ড দূরগন্ধ যেন যাওয়া উপযোগী নেই।অধিকাংশ

চিকিৎসক ও নার্সের ব্যবহারে বা খামখেয়ালী পনায় রোীদের ভোগান্তির আর শেষ

থাকে না। অনেকে ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ী ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

চিকিৎসকের সামনে রোগী মারা যাচ্ছে কিন্ত চিকিৎসকের এবিষয়ে কোন খেহাল নেই।

বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা যা আছে, তা একদিকে অপ্রতুল এবং

অন্যদিকে দীর্ঘ মেয়াদে অনেক ব্যয়বহুল। আক্রান্তদের অনেকে বলেছেন,

চিকিৎসা ব্যয় সামলাতে গিয়ে জমিজমা বিক্রি করে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে

পড়ছে। তার পর চিকিৎসকরা রোগীদের শুধু ঘোরাতে থাকে নানা বিধ পরিক্ষা

নিরিক্ষা দিয়ে রোগীদের হয়রানী করে। এছাড়া অধিকাংশ চিকিৎসকের নিজিস্ব

দালাল রয়েছে তারা রোগীদের বুঝিয়ে নিজেদের ক্লিনিক বা চেম্বারে নিয়ে যায়

এরপর শুরু হয় কসাই কারবার। আবার এদের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে আন্দোলনের

হুমকী দেয়। বাংলাদেশের গরিব ক্যান্সার রোগীদের একমাত্র ভরসা জাতীয়

ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এখানে চিকিৎসা নেওয়া ছাড়া

রোগীদের আর কোন যায়গা নেই।আর সেই হাসপাতালে যদি এমন হয় তাহলে রোগীরা যাবে

কোথায়? ক্যান্সার নিয়ে গবেষণাকারী একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ২০১৮ সালের

রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এছাড়াও, প্রতিবছর আরও প্রায় দেড় লাখ

মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে রোগীদের কয়েকজন বলেছেন,

বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সরকারি এই হাসপাতালে খরচ কিছুটা কম। কিন্তু

লম্বা সময় ধরে সেটাও সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর এর একমাত্র

কারন দালাল চক্র। টাকা দিলে সব হয় আর টাকা না দিলে লম্বা সময় অপেক্ষা

করতে হয়। রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে তো আর কথা নেই। যেন সময়মতো হাসপাতালে

ভর্তি হয়ে চিকিৎসা পাওয়া আর চাদে যাওয়া সমান কথা। ভোগান্তি পোহাতে

পোহাতে রোগী ও স্বজনরা দিশেহারা হয়ে দালালদের পাতানো জালে পা দেয়।

হাসপাতারে কেমোথেরাপি দিতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় এবং রেডিও

থেরাপির সিরিয়াল পেতে ৫ মাস থেকে বছর পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।

অপারেশনেই এরকম সময় লাগছে। ফলে রোগীরা উপয় না পেয়ে এসব দাললদের মাধ্যমে

প্রতাড়িত হচ্ছে। উল্লেখ্য,জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও

হাসপাতালের আইসিইউয়ের জন্য আটটি অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি

ভেন্টিলেটর (এআরভি) কেনার ১২ বছরেও তা স্থাপন না করায় চরম ক্ষোভ জানিয়ে

ছিল হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, হাসপাতালটির চরম অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বশীল

ব্যক্তিদের কর্তব্যে অবহেলা শুধু দুঃখজনকই নয়, তা নিন্দনীয় ও উদ্বেগের

বিষয়।

লেখক ও গভেষকঃ

আওরঙ্গজেব কামাল

সভাপতি

ঢাকা প্রেস ক্লাব

মহাখালীর ক্যানসার হাসপাতাল এখন দুর্নীতিদের আখড়ায় পরিনত
                                  

আওরঙ্গজেব কামালঃ

 

ক্যান্সার চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি দেশে চাহিদার

তুলনায় এই মরণব্যাধির চিকিৎসাসেবাও অপ্রতুল। মানুষের চিকিৎসার একমাত্র

ভরসা জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল । আর এই হাসপাতালের

যে চিত্র ফুটে উঠেছে, তা আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। ঢাকায় জাতীয়

ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগের যেন

শেষ নেই। প্রতিনিয়ত রোগীদের হয়রানী,দালাল চক্রের উৎপাত,এবং ওষধ কোম্পানীর

অত্যাচারে অতিষ্ট রোগীরা। এছাড়া হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে

চিৎসকদের ব্যবহারে রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এছাড়া চিকিৎসকরা ওষুধ

কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সাথে চুক্তির মাধ্যমে রোগীদের হয়রানী করছে এমন

অভিযোগ উঠেছে।রাজধানীর একমাত্র সরকারি ক্যান্সার হাসপাতালে এরকম আরও নানা

অনিয়ম ও দুর্নীতি যেন চরম আকার ধারন করেছে। সব সময় লক্ষ করা যায় এই

হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে রোগীদের সাথে

খারাপ আচারন করে এবং কিছু চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের নিয়ে বসে

খোশ গল্প করে অথচ প্রচুর রোগীর ভীড় থাকলেও তারা সে বিষয়ে তোয়াক্কা করেন

না। এবিষয়ে চিকিৎসকদের কিছু বলতে গেলে তাদেরকে নানাবিধ হুমকী ধমকী এমন কি

দালাল চক্র দিয়ে ঐ ব্যাক্তিকে নাজেহাল করেন। অথচ ‘জনগণের টাকায় তারা বেতন

পায় তারা৷ রোগীদের সাথে এরকম আচরণ করেন এবিষয়ে যেন দেখার কেহ নেই।

ডাক্তার আর নার্সদের দাপটে রোগীদের অসহায় হয়ে থাকতে হয় সব সময় ,কোনো কথা

বলা তো যায় না! আর কী বলব ভাই, এদের কুকর্ম আর অনিয়মের কথা লিখতে গেলে

যেন বলতে গেলে শেষ হবে না এমন মন্তব্য এক রোগী। সরেজমিনে যেয়ে দেখাযায়

রেডিও থ্যাপীর ফলোআপ রুম ১১৪ সেখানে বাইরে বসে আছে অসংখ্য ওষুধ কোম্পানীর

প্রতিনিধি। রোগীদের জন্য কোন চেয়ারখালী নেই। সব চেয়ার তাদের দখলে। আর

ভিতরে অনেক চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানীর উৎকোচ নিতে ব্যস্ত কিন্ত বাইরে

রোগীদের আহাজারী। কোন রকম একটি ব্যবস্থাপত্র বাহির হলে ওষুধ কোম্পানীর

প্রতিনিধিরা তার ছবি নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কারন যে পরিমান চুক্তি আসে সে

পরিমান ওষুধ চিকিৎসকরা লিখছেন কিনা।এবিষয় কথা বলতে গেলেই তেড়ে আসে

চিকিৎসকসহ দালালরা। এমন চিত্র প্রতিনিয়ত এই হাসপাতালে প্রতিটি দপ্তরে।

বাথরুম গুলি অত্যন্ত নোংড়া প্রচন্ড দূরগন্ধ যেন যাওয়া উপযোগী নেই।অধিকাংশ

চিকিৎসক ও নার্সের ব্যবহারে বা খামখেয়ালী পনায় রোীদের ভোগান্তির আর শেষ

থাকে না। অনেকে ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ী ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

চিকিৎসকের সামনে রোগী মারা যাচ্ছে কিন্ত চিকিৎসকের এবিষয়ে কোন খেহাল নেই।

বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যবস্থা যা আছে, তা একদিকে অপ্রতুল এবং

অন্যদিকে দীর্ঘ মেয়াদে অনেক ব্যয়বহুল। আক্রান্তদের অনেকে বলেছেন,

চিকিৎসা ব্যয় সামলাতে গিয়ে জমিজমা বিক্রি করে পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে

পড়ছে। তার পর চিকিৎসকরা রোগীদের শুধু ঘোরাতে থাকে নানা বিধ পরিক্ষা

নিরিক্ষা দিয়ে রোগীদের হয়রানী করে। এছাড়া অধিকাংশ চিকিৎসকের নিজিস্ব

দালাল রয়েছে তারা রোগীদের বুঝিয়ে নিজেদের ক্লিনিক বা চেম্বারে নিয়ে যায়

এরপর শুরু হয় কসাই কারবার। আবার এদের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে আন্দোলনের

হুমকী দেয়। বাংলাদেশের গরিব ক্যান্সার রোগীদের একমাত্র ভরসা জাতীয়

ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। এখানে চিকিৎসা নেওয়া ছাড়া

রোগীদের আর কোন যায়গা নেই।আর সেই হাসপাতালে যদি এমন হয় তাহলে রোগীরা যাবে

কোথায়? ক্যান্সার নিয়ে গবেষণাকারী একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ২০১৮ সালের

রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার মানুষ

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এছাড়াও, প্রতিবছর আরও প্রায় দেড় লাখ

মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে রোগীদের কয়েকজন বলেছেন,

বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সরকারি এই হাসপাতালে খরচ কিছুটা কম। কিন্তু

লম্বা সময় ধরে সেটাও সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর এর একমাত্র

কারন দালাল চক্র। টাকা দিলে সব হয় আর টাকা না দিলে লম্বা সময় অপেক্ষা

করতে হয়। রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে তো আর কথা নেই। যেন সময়মতো হাসপাতালে

ভর্তি হয়ে চিকিৎসা পাওয়া আর চাদে যাওয়া সমান কথা। ভোগান্তি পোহাতে

পোহাতে রোগী ও স্বজনরা দিশেহারা হয়ে দালালদের পাতানো জালে পা দেয়।

হাসপাতারে কেমোথেরাপি দিতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় এবং রেডিও

থেরাপির সিরিয়াল পেতে ৫ মাস থেকে বছর পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।

অপারেশনেই এরকম সময় লাগছে। ফলে রোগীরা উপয় না পেয়ে এসব দাললদের মাধ্যমে

প্রতাড়িত হচ্ছে। উল্লেখ্য,জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও

হাসপাতালের আইসিইউয়ের জন্য আটটি অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি

ভেন্টিলেটর (এআরভি) কেনার ১২ বছরেও তা স্থাপন না করায় চরম ক্ষোভ জানিয়ে

ছিল হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, হাসপাতালটির চরম অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বশীল

ব্যক্তিদের কর্তব্যে অবহেলা শুধু দুঃখজনকই নয়, তা নিন্দনীয় ও উদ্বেগের

বিষয়।

লেখক ও গভেষকঃ

আওরঙ্গজেব কামাল

সভাপতি

ঢাকা প্রেস ক্লাব

কাউনিয়ায় মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য বিষয়ক ৩ দিন ব্যাপি মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপনী
                                  

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী এর অর্থায়নে সেভ দ্যা চিলড্রেন এর কারিগরি সহায়তায় আরডিআরএস বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক ৩ দিন ব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা বৃহস্পতিবার সমাপনী হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হল রুমে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে রিসোর্স পারসন হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী এন্ড অবস্ ডাঃ সিনথিয়া সিদ্দিকা, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ সাহেদ সাব্বির, মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাব্বির আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ সাহিদুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিরাজুল মুহাইমিনা। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আরডিাারএস বাংলাদেশ এর অফিসার-ক্যাপাসিটি বিল্ডিং মোঃ নাজমুল হুদা ডাকুয়া এবং অফিসার-গভঃ রিলেশন এন্ড কমিউনিটি মোবিলাইজেশন মোঃ গোলাম কিবরিয়া। প্রশিক্ষণে হাতে কলমে গর্ভবতী সেবা, প্রসূতি সেবা, নবজাতকের সেবা, প্রজননতন্ত্রের রোগের সেবা, পরিবার পরিকল্পনা পদ্বতি গ্রহন/ব্যবহারজনিত পাশর্^প্রতিক্রিয়া ও জটিলতার সেবা, পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক পরামর্শ প্রদান, কাউন্সেলিং ব্যবস্থাপনা, কেএমসি, রিসাসিটেশন এবং ইমপ্লান্ট ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণের সমাপনি দিনে আলোচনা সভা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিণ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা রংপুর ডাঃ এসএম সাইদুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার আলো পত্রিকার সম্পাদক সারওয়ার আলম মুকুল, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনী এন্ড অবস্ ডাঃ সিনথিয়া সিদ্দিকা, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোঃ সাহেদ সাব্বির, মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সাব্বির আহমেদ, আরডিআরএস বাংলাদেশ এর অফিসার-ক্যাপাসিটি বিল্ডিং মোঃ নাজমুল হুদা ডাকুয়া, অফিসার-গভঃ রিলেশন এন্ড কমিউনিটি মোবিলাইজেশন মোঃ গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ। প্রশিক্ষণে মেডিক্যাল অফিসার, সিনিয়র স্টাফ নার্স, মিডওয়াইভস, সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ পরিদর্শক সহ ২৪ জন অংশগ্রহন করেন। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার সাথে সেবা প্রদানের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু হার কমানো, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী বাড়ানো এবং এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে অগ্রণী ভুমিকা রাখবে বলে সকল প্রশিক্ষনার্থী প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। বক্তাগণটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য মানসম্পন্ন মাতৃ এবং নবজাতক স্বাস্থ্য পরিষেবার গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করেন। প্রস‚তি ও নবজাতক মৃত্যুহার হ্রাসের জন্য তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানসম‚হ এবং এনজিওর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতার উপর আরও জোর দেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের দ্বারা মাঠপর্যায়ে পরিচালিত কার্যক্রমগুলি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজনীয়তা এবং যৌথ কর্ম পরিকল্পনা এবং কর্মস‚চি বাস্তবায়ন এর মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাও ব্যক্ত করেন। 

 

ফুলবাড়ী উপজেলার চিন্তামন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি নির্মাণ হলেও ৩ বছরেও চালু হয়নি।
                                  

মোঃ আফজাল হোসেন, 

দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউপির (চিন্তামন) ১০শয্যা বিশিষ্ট্য মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি নির্মাণের ৩ বছর পার হলেও চালু হয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউপি মা ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মাণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় থেকে প্রায় ৪ কোটি ২৫ হাজার টাকা নির্মাণ কাজে বরাদ্ধ দ্ওেয়ার পর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দিনাজপুর টেন্ডার আহবান করলে উক্ত টেন্ডারের কাজটি পেয়ে থাকেন সিরাজগঞ্জ জেলার মেসার্স পিয়াস কনসট্রাকশন । নির্মাণ কাজটির ওয়ার্ক ওর্ডার পাওয়ার পর গত ১৬/০৮/২০১৮ইং সালে এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (এমপি) চিন্তামন ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি নির্মানের ভিত্তি স্থাপন করেন। ভিত্তি স্থাপনের পর থেকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান এর কাজ শুরু হয়। ফুলবাড়ী উপজেলার চিন্তামন ১০ শয্যা বিশিষ্ট্য মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রটি নির্মাণ হলেও গত ৩ বছরেও চালু হয়নি। ঠিকাদার মোঃ আনোয়ার হোসেন ১০ শয্যা বিশিষ্ট্য মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র এবং ৩য় তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করার পর ভবন দুটি এখন তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শিশু কল্যান কেন্দ্রের নির্মাণকৃত ৩য় তলা ভবনে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে সরবরাহকৃত মালামালগুলি তালা বন্ধ অবস্থায় থাকার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার মেসার্স পিয়াস কনসট্রাকশনের সত্বাধীকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভবন নির্মাণ হওয়ার পর দুটি ভবন ও মালামাল ২০২২ ইং সালে দিনাজপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মোছাঃ মমতাজ বেগম এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন এখানে আমার করার কিছু নাই।

অন্যদিকে দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রউফ এর সাথে কথা বলে তিনি জানান, ভবন নির্মাণ তদারক করেছি আমি। তবে ভবন নির্মাণ হওয়ার পর ভবন দুটি ঠিকাদার মোঃ আনোয়ার হোসেন দিনাজপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মোছাঃ মমতাজ বেগম এর নিকট হস্তান্তর করেছেন। 

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার তৎকালীন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মোছাঃ মমতাজ বেগম এর সাথে কথা বলে তিনি জানান, ঠিকাদার ভবন দুটি আমার নিকট হস্তান্তর করেছে। তবে জনবলের কারণে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে জনবল দেওয়া হলে আমরা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করব।

একই কথা বলেন তৎকালীন ফুলবাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেডিকেল অফিসার ডা: মোঃ রইচ উদ্দীন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঠিকাদার ভবন দুটি নিমার্নের পর দিনাজপুর উপ পরিচালক মোছাঃ মমতাজ বেগম এর নিকট হস্তান্তর করেছেন। আমি ঐ উপকেন্দ্রের দায়িত্বভার এর কোন চিঠি পাই নি। এদিকে গতকাল সোমবার দিনাজপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তৎকালীন উপ পরিচালক মোঃ মমতাজ বেগম অবসর গ্রহণ করার পর আমি জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত হই। বর্তমান বেতদিঘী ইউপি মা ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি তে সরকারি ভাবে জনবল না থাকায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। জনবল দেওয়া হলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু করা হবে। পাহারাদার মিজানুর রহমান ২০২০ ইং সাল থেকে ভবন দুটি তদারক করছেন। গত ৩ বছর ধরে তাকে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। ঠিকাদার তার নিকট চাবি দিয়ে চলে গেছে। এখন ঠিকাদার বলছে পাহারাদারের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। অন্যদিকে পাহারাদার মিজানু রহমান বলছেন ৩ বছর ধরে কোন বেতন পাই নি। ঠিকাদার আমাকে রাস্তায় চাবি ফেলে দিতে বলে। এই অবস্থায় পাহারাদার এখনও ভবনটি দায়িত্ব পালন করছেন। কে দিবে এই পাহারাদারের বেতন? আনাহারে অদ্যহারে দিন যাপন করছে পাহারাদার। গত ৩বছর ধরে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বি ত হচ্ছে এলাকার মানুষ। 

 

কাউনিয়ায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা
                                  

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা সোমবার পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মনোনীতা দাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। 

ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তা ও ইএসডিও-র বাস্তবায়নে জানো প্রকল্পের সহোযোগীতায় উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির আয়োজনে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানাজ পারভীন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিঞ্চিতা রহমান, উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারজানা আক্তার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সামিউল আলম, এমওএমসি এইচপি ডাঃ মিনাজুল মহিমিনা, প্রত্যাশার আলো পত্রিকার সম্পাদক সারওয়ার আলম মুকুল, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার রাজু আলম, ইউএস ডিও জানো প্রকল্পে উপজেলা ম্যানেজার কল্পনা রানী, ফিল্ড অফিসার হরিদাস বর্মন প্রমূখ। সভায় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনার আলোকে উপজেলা পর্যায়ে পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নে মূল্যয়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়। 

 

রূপগঞ্জে ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সভা ॥ শোভাযাত্রা
                                  

মোঃ রাসেল মোল্লা 

 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল ১ এপ্রিল শনিবার কলেজ প্রাঙ্গনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল কেককাটা, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা। কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অবঃ) ডাঃ মোঃ আজিজুল ইসলাম। সভায় বক্তব্য রাখেন ইউএস বাংলা গ্রুপের ডেপুটি ডিরেক্টর ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ডাঃ মাহবুব ঢালী, মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল মতিন, মেজর জেনারেল (অবঃ) প্রফেসর ডাঃ বিজয় কুমার সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) অধ্যাপক মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, ডাঃ মোঃ এনায়েত করিম ও ডাঃ দেলোয়ার হোসেন মোল্লা প্রমুখ। 

পরে কেক কেটে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকা শোভাযাত্রা নিয়ে তারা প্রদক্ষিণ করে।  

 

রিপোর্ট 

নির্বাহী সম্পাদক 

দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম

ফুলবাড়ী উপজেলা সভাকক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
                                  

মোঃ আফজাল হোসেন,

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

 

ফুলবাড়ী উপজেলা সভাকক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আযোজনে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়়। ফুলবাড়ী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির আলোচনা সভার পূর্বে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এন,সি,ডি কর্নার ও নতুন ভবনের মহিলা ওয়ার্ড এবং কেবিন ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে এ্যাড.মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এম.পি, ও সাবেক সফল মন্ত্রী ও সভাপতি, প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং সভাপতি ফুলবাড়ী উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি। ফুলবাড়ী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন (ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর) উপজেলার উন্নয়নের রূপকার, স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাড.মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এম.পি। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মশিউর রহমান সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ী উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থানা কমিটির সহ-সভাপতি, ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন । এ সময় বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ মাহামুদ আলম লিটন, ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজ্ঞু রায় চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নীরসামচ্ছুজামান, ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম ডাবলু , দিনাজপুর জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবু, ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আরএমও ডাঃ মোঃশাকিলুর রহমান,ডাঃ মোঃ সাজেদুল ইসলাম সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ,সাংবাদিক,সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন যে কোনো রোগী হাসপাতালে আসলে তারা যেন ডাক্তারদের কাছে যেন মন খুলে কথা বলতে পারে, এবং ভালো ব্যবহার পায়,সেখানে তাদের ভালো আচরণে রুগীরা যেনো মুগ্ধ হয় । হাসপাতালের ডাক্তারগন রোগীদের এমন সেবা দিয়ে যাবেন যেন এই হাসপাতাল বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ স্থানে যায় । মাননীয় প্রধান মšী¿ জন নেত্রী শেখ- হাসিনা স্বাস্থ্য সেবায় সর্বাত্বক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন । বাংলাদেশ এখন সব কিছুতে এগিয়ে গেছে ।

ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা জোরদারকরন বিষয় অবহতীকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
                                  

মোঃ আফজাল হোসেন, 

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ ( সার্বহ্মণিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকর্মী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিলটন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদ আলম লিটন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিরু শামসুন্নাহার,ডা: মাহমুদুর রহমান, পরিচালক ( এমসি এইচ-সাভিস) ও লাইন ডাইরেক্টর ( এমসি আরএ এইচ) পরিবার পরিকল্পনা,ডা: দেয়ান মোর্শেদ কামাল (পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা রংপুর, ডা: মকলেছুর রহমান (উপপরিচালক স্থানীয় সরকার দিনাজপুর, ডা: এএইচ বোরহান উল-ইসলাম সিদ্দিকী (সিভিল সার্জন দিনাজপুর, ডা: সাইফুল ইসলাম উপপরিচালক পরিবার পরিকল্পনা দিনাজপুর, ফুলবাড়ী মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচএফপি) ডা: মোঃ রইচ উদ্দীন। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এনজিও কর্মী, সিভিল প্রশাসন, মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মী, পরিবার পরিকল্পনার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা স্বাস্থ্য সেবা জোরদার করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (এমপি) সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও স্বাস্থ্য খাতে সরকারের সফলতার বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরেন, এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের আহবান জানান।

 

 

অভিভাবকদের অভিযোগ কাউনিয়ায় টাকা বিনিময় মিলছে ইপিআই টিকা কার্ড
                                  

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

কাউনয়া উপজেলায় গত ছয় থেকে আট মাসে জন্ম নেওয়া অধিকাংশ নবজাতক শিশুদের টিকাদানের পর মিলছে না টিকা কার্ড। টিকা কার্ড না পাওয়ায় জন্মনিবন্ধনে বিড়ম্বনা পড়েছে অভিভাবকরা। অপরদিকে স্বাস্থ্য সহকারি আব্দুল মবিনের বিরুদ্ধে নবজাতকের অভিভাবকদের টাকা বিনিময়ে ইপিআই টিকা কার্ড দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অন্যতম সাফল্য ঠিক সময়ে ঠিক টিকাটি শিশু ও মাকে দিতে পারা। দেশের মানুষকে টিকা দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সুখ্যাতি কুড়িয়েছে। কিন্তু কাউনিয়ায় নবজাতকদের টিকা দেয়ার পর বিড়ম্বনায় পড়েছে অভিভাবকরা। টিকাদানের পর টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে টিকা কার্ড। হারাগাছ পৌর এলাকার সারাই মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মিমি বলেন, তাঁর কন্যা শিশুর বয়স দুই মাস। একই এলাকার ইসলামের বাড়ীতে গত বুধবার ইপিআই কেন্দ্রে তাঁর শিশুর তৃতীয় ডোজ টিকা দেয়। টিকা কার্ড চাইলে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারি আব্দুল মবিন তাকে জানান, টিকা কার্ডের সরবরাহ নেই। কার্ড নিতে একশত টাকা লাগবে। পরে তিনি টাকা দিয়ে টিকা কার্ড সংগ্রহ করেন। স্বাস্থ্য সহকারি আব্দুল মবিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে টিকা কার্ড সরবরাহ করা হচ্ছে না। কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রিন্ট করে টিকা কার্ড নবজাতকের অভিভাবকদের সরবরাহ করা হয়। টিকা কার্ড প্রিন্টের জন্য টাকা নেয়া হয়েছে। উপজেলা ইপিআই মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট রশিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে শূন্য থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হয়। উপজেলায় পর্যাপ্ত টিকা কার্ড সরবরাহ রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী প্রতিমাসে স্বাস্থ্য সহকারিদের ইপিআই টিকা কার্ড সরবররাহ করা হয়। বিনোদমাঝী গ্রামের ইসমিআরা বলেন, তাঁর শিশুর বয়স ৮মাস। ইপিআই টিকাদানের পর তাকে টিকা কার্ড দেওয়া হয় নাই। স্বাস্থ্য সহকারিরা জানিয়েছেন, টিকা কার্ড সরবরাহ নাই তাই সাদা কাগজে লিখে দেওয়া হচ্ছে পরবর্তী টিকাদানের তারিখ। এমন অভিযোগ অনেকেরই। অভিভাবকদের ভাষ্য, টিকা কার্ড সব শিশুর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি সনদ। বিশেষ করে জন্মনিবন্ধনের সনদের জন্য কার্ডটি থাকা বাধ্যতামূলক। ভাইস চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক বলেন, শিশুদের পরিচয়ের জন্মনিবন্ধন সনদ না পাওয়া পর্যন্ত দালিলিক প্রমাণ হলো ইপিআই হলুদ কার্ড। শিশুদের জন্য জন্মনিবন্ধনের এই কার্ড অপরিহার্য। কিন্তু শিশুরা টিকা পাচ্ছে তবে পাচ্ছে না টিকা কার্ড। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন বলেন, আমাদের এখানে পর্যাপ্ত টিকা কার্ড আছে এবং চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্য সহকারিদের তা সরকরাহ করা হচ্ছে। টিকাদানের পরও সব নবজাতক শিশুদের টিকা কার্ড দেয়া হচ্ছে। যদি কোন নবজাতকের অভিভাবক টিকা কার্ড না পেয়ে থাকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ শামীম আহমেদ বলেন, শিশুমৃত্যুর হার কমাতে শূন্য থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশুদের টিকাদানের পর সব শিশুরা বিনামূল্যে টিকা কার্ড পাওয়ার কথা। কাউনিয়া উপজেলায় কেন টিকা কার্ড পাচেছ না বিষয়টি দেখা হচ্ছে। রংপুর জেলা প্রশাসক ডা. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, শিশুদের জন্মনিবন্ধনের টিকা কার্ড অপরিহার্য। কার্ড না পেলে বিড়ম্বনায় পরবে অভিভাবকরা। আমি বিষয়টি দেখছি। 

 

আমতলীতে ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালে ভুল আল্ট্রাসাউন্ড প্রতিবেদনে চিকিৎসা! রোগীদের অবস্থা সংঙ্কটজনক।
                                  

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

 

ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালের ভুল আল্ট্রাসাউন্ড প্রতিবেদনে রুবিনা বেগম ও রুমা আক্তার নামের দুই রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ওই চিকিৎসা পত্রের ওষুধ সেবনে রোগীর অবস্থা সংঙ্কটজনক বলে দাবী করেন রোগীরা। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার নয়াভাঙ্গুলী ও ঘটখালী গ্রামে। 

 

জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল সংলগ্ন ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালে গত ১৯ জানুয়ারী নয়াভাঙ্গুলী গ্রামের রুবিনা বেগম ও ঘটখালী গ্রামের রুমা আক্তার গাইনী চিকিৎসক ডাঃ আনোয়ার হোসেনকে দেখাতে আসেন। রোগীর ধরন দেখে ডাক্তার তাদের আল্ট্রাসাউন্ড করতে নির্দেশ দেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক দুই রোগী ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালে আল্ট্রাসাউন্ড করেন। কিন্তু আল্ট্রাসাউন্ড বিশেষজ্ঞ ডাঃ মেহেরীন আশ্রাফ রোগী রুবিনার আল্ট্রাসাউন্ডের পরিবর্তে রুমা বেগমের আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে দেন। ডাঃ মেহেরীন আশ্রাফ রোগী রুবিনার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন রোগী রুবিনা বেগমের গর্ভে ওভামের মধ্যে বাচ্চা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই আল্ট্রাসাউন্ড দেখে ডাঃ আনোয়ার হোসেন চিকিৎসা পত্র দেন। ওই চিকিৎসাপত্রের ওষুধ খেয়ে রোগী রুবিনা বেগম ও তার গর্ভের সন্তানের অবস্থা সংঙ্কটজনক বলে দাবী করেন রোগী রুবিনা। পরবর্তীতে তিনি দি মেডিনোভা ক্লিনিক ডিজিটাল ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসাউন্ড করেছেন। ওই ক্লিনিকের আল্ট্রাসাউন্ড বিশেষজ্ঞ ডাঃ টিকে নাথ তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন রোগী রুবিনার গর্ভের ওভামে বাচ্চা রয়েছে কিন্তু বাচ্চার হার্টের অবস্থান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অপর দিকে রোগী রুমা আক্তারের আল্ট্রাসাউন্ডের পরিবর্তে হামিদার আল্ট্রাসাউন্ড দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালে প্রায়ই এভাবে একজনের আল্ট্রাসাউন্ড প্রতিবেদন অন্য জনকে দিয়ে থাকেন।

 

রুমা বেগম বলেন, আমার আল্ট্রাসাউন্ড না দিয়ে হামিদা নামের এক রোগীর আল্ট্রাসাউন্ড দিয়েছে। ওই আল্ট্রাসাউন্ড দেখে ডাঃ আনোয়ার হোসেন চিকিৎসা পত্র দিয়েছেন। ডাক্তারের দেয়া ওষুধ সেবনে শরীরের অবস্থা খারাপ দেখে সেবন বন্ধ করে দিয়েছি। 

 

রোগী রুবিনা বেগম বলেন, ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালে আল্ট্রাসাউন্ড করেছি। তারা আমার আল্ট্রাসাউন্ডের পরিবর্তে রুমার আল্ট্রাসাউন্ড দিয়েছে। ওই আল্ট্রাসাউন্ড দেখে ডাক্তার ওষুধ লিখে দিয়েছেন। ওই ওষুধ সেবন করে আমি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, আমার গর্ভের বাচ্চা কি অবস্থায় আছে জানিনা? 

 

ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালের আল্ট্রাসাউন্ড বিশেষজ্ঞ ডাঃ মেহেরীন আশ্রাফ নামের ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, আল্ট্রাসাউন্ডের প্রতিবেদনে ভুল নেই। তিনি আরো বলেন, ওই রোগীদের পুনরায় ডেকে এনে আল্ট্রাসাউন্ড করেছি।

 

গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আল্ট্রাসাউন্ডে এ রকম ভুল আমিও পেয়েছি। ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটাল কর্তৃপক্ষকে ভুল সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, এ রকম ভুল হলে চিকিৎসা করাই সমস্যা। এতে রোগীদেরতো সমস্যা হচ্ছেই আমারও সুনাম ক্ষুন্ন হয়। 

 

আমতলী ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালের পরিচালক মোঃ রকিব চৌধুরী রাজু বলেন, একজনের আল্ট্রাসাউন্ড প্রতিবেদন অন্যজনকে দেয়া হয়নি। নামের ভুল ছিল তা কেটে সংশোধন করে দেয়া হয়েছে। 

 

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুনয়েম সাদ বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বাস্থ্য ঝুকিতে সাধারণ জনগণ নবাবগঞ্জে ভেজাল হলুদগুড়া ও মরিচগুড়া
                                  

মোঃ জুলহাজুল কবীর

নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর। 

 

 

 বিষাক্ত রং ও ধানেরগুঁড়া, কাঠের গুড়া মিশ্রিত ভেজাল হলুদ-মরিচের গুঁড়ায় সয়লাব দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হাটবাজার গুলো। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের লোভে এ ভেজাল গুঁড়া আমদানি করে বাজারজাত করছে। আবার স্থানীয় কিছু মিল মালিক লোকচক্ষুর আড়ালে ভেজাল মিশ্রিত হলুদ ও মরিচের গুড়া তৈরী করে স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে কমদামে বিক্রি করছে। প্রশাসনেরর তদারকি না থাকায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদরসহ উপজেলার হাট বাজারে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব ভেজাল গুঁড়া আমদানি করেন। তারা ওই সব ভেজাল গুঁড়া তুলনামুলক কম দামে উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় হাটবাজারসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিভিন্ন পাইকার ও দোকানীদের কাছে বিক্রি করেন। এতে খুব সহজেই প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ছে এসব ভেজাল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া।

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়,‘ ভেজালমুক্ত কেজি প্রতি হলুদ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। যা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা । সেখানে ভেজাল হলুদের গুঁড়া পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। যা খুরচা বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা ।

 

অপরদিকে ভেজালমুক্ত প্রতি কেজি মরিচের গুঁড়া পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪শ টাকা দামে। যা খুরচা বিক্রি হচ্ছে ৩শ ৭০টাকা থেকে ৪শ টাকা দামে। আর ভেজাল মরিচের গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা থেকে ২শ ৬০ টাকা দামে। দামে কম হওয়ায় সাধারন ক্রেতারা চোখ বন্ধ করে এসব ভেজাল গুঁড়া কিনছেন।

 

নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য মতে, উপজেলার দাউদপুর বাজারের মোকলেছার পিতা মকবুল, আব্দুল মালেক, পিতা -অজ্ঞাত, আব্দুল লতিফ, পিতা- অজ্ঞাতসহ একাধিক অসাধু মিল মালিক ও ব্যবসায়ী নিজের মেশিনে ভেজাল কারবার করেন এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে ভেজাল হলুদ-মরিচের গুঁড়া আমদানি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মজুদ করে বিশেষ ভাবে প্রক্রিয়াজাত করে পাইকারী বিক্রি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। উপজেলায় প্রতি মাসে প্রায় ১শ মন ভেজাল হলুদ মরিচের গুঁড়া আমদানি করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় মিল মালিকেরা আধা পাকা ও নষ্ট কাঁচা মরিচ সাথে কাঠের গুড়া শুকিয়ে গুঁড়া করেন। ঝাল বৃদ্ধির জন্য ১৫কেজি গুঁড়ার সাথে ১কেজি কারেন্ট মরিচ বা ত্যাজা মরিচের গুঁড়া মিশানো হয়। চকচকে করার জন্য মিশানো হয় বিষাক্ত রং। অপরদিকে হলুদের গুঁড়ার সাথে মিশানো হয় চালের গুড়া, কাঠের গুড়া ও বিষাক্ত রং।

 

সরেজমিনে উপজেলার দাউদপুর বাজারের ভেজাল হলুদ-মরিচের গুড়া পাইকারী বিক্রেতা ও মিল মালিক মোকলেছারের মিল সংলগ্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায় বিরামপুর থেকে আমদানি করা তিন বস্তা (১৫০ কেজি) ভেজাল হলুদের গুঁড়ার। শনিবার বিশেষ মাধ্যমে এ ভেজাল গুঁড়া আনা হয়। ওই ভেজাল গুঁড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানী মোকছেদ আলী বলেন,‘এতে কোন ভেজাল নাই। আসল হলুদ গুঁড়া ২০০ টাকা বিক্রি হলে এটা কিভাবে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদত্তোর দিতে পারেনি।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন,‘ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের জন্য ভোক্তাদের কাছে ভেজাল বিক্রি করছেন। ভোক্তারাও না বুঝে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।

 

অপরদিকে সচতেন মহল বলছেন, এসব ভেজাল গুঁড়ায় মিশানো বিষাক্ত রং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্রশাসনের নিবরতায় অসাধু ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ভেজাল বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার দাবি তাদের।

 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম,এম আশিক রেজা বলেন, আমরা তো ভেজাল ও নকল বুঝতে পারবনা । আপনি বিষয়টি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেন। তাছাড়া, এরকম অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মোছাঃ মমতাজ বেগম জানান, কারা ভেজাল করছে, আপনারা চিহ্নিত করে রাখেন। আমাদের ভেজাল বিরোধী অভিযান চলমান আছে। এসকল ভজালকারীকে আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করব। 

কাউনিয়ায় দরিদ্র জনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত কোটি টাকার ২টি এক্স-রে মেশিন ২০বছর ধরে অচল
                                  

সারওয়ার আলম মুকুল, 

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার প্রায় সারে তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১শর্য্যা বর্তমানে জনবল ছাড়া নামে মাত্র ৫০শর্য্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি দীর্ঘ ২০ অন্যটি ৭ বছর ধরে এক্স-রে মেশিন ২টি শুধুমাত্র অপারেটরের অভাবে অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। এর ফলে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণ ও জনগনের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রæতির বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দরিদ্র জনগন বঞ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা থেকে। সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজনে রোগি নিয়ে তাদের কাউনিয়া থেকে ২৫কিঃমিঃ দুরে রংপুর জেলা সদরে গিয়ে অনেক টাকা ব্যয় করে এক্স-রে করতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে প্রথম এক্স-রে মেশিনটি স্থাপনের বছর খানেকের মাথায় নষ্ট হয়ে যায়। এরপর বেশ কয়েক বার ভাল করার চেষ্টা করা হয়েছে কিছু দিন চলে আবার নষ্ট হয়ে যায়। এরপর মেশিনটি মেরামতের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চিঠি দিয়েও কোন কাজ হয়নি। এরপর গত ৭বছর আগে আর একটি আধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রদান করা হয় যা অপারেটরের অভাবে চালুই করাই সম্ভব হয় নি। বেশ কয়েক বছর ধরে প্যাথলজি চালান যাচ্ছে না। সাধারন মানুষের সাধারন রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষাও এই হাসপাতালে হয় না। নার্সদের দুরদর্শিতার অভাবে হাসপাতালের রাস্তায় ডেলিভারির মতো ঘটনা ঘটে। সুইপারের অভাবে অপরিচ্ছন্নতা নিত্য দিনের। একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, পদাধিকার বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি মাননীয় এমপি মহদয়। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে বিগত ৫বছরেও স্বাস্থ্য কমিটির কোন সভা হয়েছে কিনা তা কেউ জানে না। ফলে হাসপাতালের প্রকৃত সমস্যা গুলো সমাধানে কর্তৃপক্ষ নজর দিচ্ছে না এবং এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টি প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন জানান শুধু এক্স-রে মেশিন ২টি নয় দীর্ঘ দিন ধরে ইসিজি ম্যাশিন, রক্ত সংরক্ষনের রিফ্রেজেরেটর, ডিসটিলওয়াটার তৈরী মেশিন চালু করা যায় নি। হাসপাতালের নানা বিধ সমস্যার ব্যপারে কর্তৃপক্ষকে বার বার জানান হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। এ¤ু^লেন্স এর সমস্যাটি বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপির চেষ্টার ফলে পাওয়াগেছে। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্বাস্থ্য কপপ্লেক্স এর নানা সমস্যার কথা জেনেছি। মন্ত্রী মহদয় ও জেলা সমন্বয় মিটিংএ বিষয় গুলো সমাধানের জন্য তুলে ধরবো। উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মায়া জানান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সমস্য গুলো সমাধানের জন্য মন্ত্রী মহদয় কে জানাব এবং উপজেলা পরিষদ থেকে যতটুকু করা সম্ভব সেটি করা হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকে আধুনিক চিকিৎসা সেবা না পেয়ে বলতে শোনা গেছে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌছানোর অঙ্গিকার এ উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এলাকার সাধারন দরিদ্র জনগন দ্রæত এক্স-রে মেশিন ২টি চালু সহ অনান্য সমস্যা গুলো সমাধারন করে জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছে। 

 

রূপগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা
                                  

মোঃ রাসেল মোল্লা 

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার বিরাবো খালপাড় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে গতকাল ১৯ ডিসেম্বর সোমবার পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কাঞ্চন পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হোসেন মিয়া। 

 

সভায় বক্তব্য রাখেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ শফিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ন‚রে আল আমিন, কাঞ্চন পৌরসভা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ লুৎফর রহমান, কাঞ্চন পৌরসভার কাউন্সিলর সামসুন্নাহার বেগম প্রমুখ। 

পরে গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ শেষে তাদের মধ্যে বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়।

 

 রিপোর্ট 

 সহ সম্পাদক 

 দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম

 

৯০ লাখ মানুষ নেয়নি করোনার দ্বিতীয় ডোজ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
                                  

করোনার মৃত্যুর হার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। একই সঙ্গে আক্রান্তের হার ৪ ভাগের নিচে নেমে এসেছে। তবে এখনও অনেকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেননি। দ্বিতীয় ডোজ ৯০ লাখ মানুষ নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

 

 

 

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবায় স্ক্যানো ইউনিট উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখনও ভ্যাকসিন নেয়নি, তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর আর বুস্টার ডোজ নেওয়া সম্ভব হবে না। এ ছাড়া বুস্টার ডোজ মাত্র ৪ কোটি মানুষ নিয়েছে। তবে কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ না নিলে বুস্টার ডোজ পাবেন না।

 

 

 

তিনি আরও বলেন, অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত নবজাতকদের বিশেষায়িত সেবার জন্য স্ক্যানোতে রাখতে হয়। এই স্ক্যানোতে বিশেষায়িত সেবার ফলে নবজাতক সুস্থ হয়ে ওঠে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে শিশু মৃত্যুর হার ১০ শতাংশে কমিয়ে আনতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

 

 

 

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র মো. রমজান আলীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

শরীরচর্চা শেষে যে ৫ খাবার খাবেন
                                  

স্বাস্থ্য ধরে রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। নানান জন নানান ধরনের ব্যায়াম করেন। কেউ দৌড়ান, কেউ হাঁটেন। কিন্তু শুধু ঘাম ঝরালেই তো চলবে না। জিম করার পর বাড়ি ফিরে উপযুক্ত খাবার না খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই রইল পাঁচটি এমন খাবারের হদিস; যা খাওয়া যেতে পারেন শরীরচর্চার পর।

 

 

 

কলা

 

কলায় থাকে খনিজ পদার্থ ও প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। শরীরচর্চার সময়ে ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ লবণ বেরিয়ে যায়। এই বেরিয়ে যাওয়া খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণ করতে কলা অত্যন্ত উপযোগী।

 

 

 

পিনাট বাটার

 

শরীরচর্চার পর পিনাট বাটার দ্রুত প্রোটিন ও ফ্যাটের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। পাশাপাশি, পিনাট বাটার দ্রুত পেট ভরিয়ে দেয়। যা ফলে শরীরচর্চার পর তীব্র খিদের বশে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নেওয়ার আশঙ্কা কমে।

 

 

 

অমলেট

 

ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ডিমে এমন কিছু আমাইনো অ্যসিড যা পেশির শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলে শরীরচর্চার পর নামমাত্র তেলে তৈরি অমলেট খেলে পেশি সতেজ হয়। চাইলে ওমলেটে দিয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিও। এতে বাড়বে পুষ্টিগুণের মাত্রা।

 

 

 

স্মুদি

 

শরীরচর্চার পর দেহে প্রোটিনের মাত্রা বজায় রাখতে এখন অনেকেই বিভিন্ন রকমের প্রোটিন শেক খান। তবে যারা এই ধরনের প্রোটিন খেতে চান না, তারা খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের স্মুদি। স্মুদিতে মিশিয়ে নিতে পারেন বিভিন্ন রকমের ফল। শরীরচর্চার পর কম্বুচার মতো পানীয়ও বেশ উপযোগী।

 

 

 

মুরগির মাংস

 

মাংসের থেকে সহজলভ্য প্রোটিন খুব কমই রয়েছে। বিশেষ করে যারা সুঠাম ও পেশিবহুল দেহ চান, তাদের জন্য তেল-মশলা ছাড়া অল্প গোলমরিচ দিয়ে সেদ্ধ করা মুরগির মাংস অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে। পেশি সুগঠিত করতে সেদ্ধ করা মুরগির মাংস ও স্টু অত্যন্ত কার্যকর।

 

 

 

তবে মনে রাখবেন সব খাবার সকলের সহ্য হয় না। বিশেষ করে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যার জন্য শরীরচর্চা করেন। তাই কোনো সমস্যা থাকলে, কী খাবেন, আর কী খাবেন না তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের থেকেই।

তুচ্ছ নয় রক্তদান বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ
                                  

মানবজীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদান ইসলাম পরিপন্থী নয়। স্বেচ্ছায় রক্তদান সব ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজের শীর্ষে অবস্থান করছে। একজন সুস্থ-সবল মানুষ তিন মাস অন্তর রক্ত দান করতে পারেন, এতে শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না। ১৮ থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত যেকোনো সুস্থ ব্যক্তিই রক্তদান করতে পারবেন। রক্ত দেওয়ার সময় যদি কোনো রকম রোগ-ব্যাধি থাকে এবং কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক চলে, তবে ওই মুহূর্তে অনিরাপদ রক্ত না দেওয়াই ভালো। কাউকে রক্তদানের আগে রক্তদাতার কোনো অসুখ আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গবেষণাগারে স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হয়। নিরাপদ রক্তের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি অন্তত তিন-চার মাস অন্তর রক্ত দিতে পারেন। স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য পুরুষের ন্যূনতম ওজন ৫০ কেজি বা ১০০ পাউন্ড এবং নারীর ৯৫ পাউন্ড হওয়া বাঞ্ছনীয়।ইসলামের দৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় রক্তদানে অন্য মানুষের মূল্যবান জানপ্রাণ রক্ষা পায় এবং নিজের জীবনও ঝুঁকিমুক্ত থাকে; তাই রক্তদানের ব্যাপারে ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। অথচ দেশের হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছর রক্তের অভাবে মৃত্যুবরণ করছে। রক্তদাতার এক ব্যাগ মূল্যবান রক্তদানের মাধ্যমেই মৃত্যুপথযাত্রী অন্য মানুষের জীবন বাঁচানো যেতে পারে। কেউ যদি স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন, তাহলে এতে একজন বিপদগ্রস্ত মানুষের বা মুমূর্ষু রোগীর জীবন যেমন বাঁচবে, তেমনি রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার মধ্যে গড়ে উঠবে রক্তের বন্ধন। স্বেচ্ছায় রক্ত দিলে শুধু অন্যের জীবন বাঁচানো নয়, বরং নিজের জীবনও ঝুঁকিমুক্ত রাখা সম্ভব হবে। বিপন্ন মানুষের মহামূল্যবান জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিত্র কোরআনে ঘোষিত হয়েছে, ‘আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।"তুচ্ছ নয় রক্তদান বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ ডোনেট নংঃ- ৪০৬ রক্তদাতাঃ- মাসুদ রক্তের গ্রুপঃ- B+(ve) ব্যক্তিগত দানঃ- ১ম বার রক্তদানের স্থানঃ- দেওয়ান ক্লিনিক… রক্তদানের তারিখঃ- ২-০৪-২০২২ বর্ণ অনেক ধর্ম অনেক জাতি অনেক রক্ত ১ এগিয়ে আসুন রক্ত দানে, ফুটুক হাসি নতুন প্রাণে। গোড়াই ব্লাড ব্যাংক

ফোনে কথা বলতে বলতে শিক্ষার্থীকে চার ডোজ টিকা
                                  

নেত্রকোনার মদন উপজেলার এক স্কুল শিক্ষার্থীকে পর পর চার ডোজ করোনার টিকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে শঙ্কায় আছে শিক্ষার্থীর পরিবার। 

তবে, চার ডোজ করোনার টিকা নেয়া শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আর গোটা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে উপজেলা প্রশাসন। 

শনিবার সকালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে মদন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আদিবা বিনতে আজিজ। সেখানেই ঘটে অঘটনটি।

শহীদ স্বরণিকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আবিদা জানিয়েছেন, হাসপাতাল কক্ষের ভেতরে গেলে টিকা কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা এক নার্স মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে তাকে চার ডোজ টিকা দেন।

তার কথায়, একজনকে কয়টি টিকা দেয়া হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি ফোন রেখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন। আমাকে তো আপনি চারটি টিকা দিলেন- এই কথা বলার পরেও মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে তিনি আমাকে বাসায় চলে যেতে বলেন।

বাইরে এসে মা রাজিয়া সুলতানাকে বিষয়টি জানান আবিদা। ভেতরে গিয়ে চার ডোজের টিকার কথা বললে সেবিকারা জানান, এতে কিছুই হবে না। পরে হাসপাতালের ডাক্তার রিফাত সাঈদকে বিষয়টি জানানো হলে উল্টো রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়।

বিষয়টি জানাজানির পর গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা কোন সেবিকা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন জানতে চাইলে মুখ খুলতে রাজি হননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কৌশলে সরিয়ে দেয়া হয় অভিযুক্তকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত নার্সকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার পর শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে চিকিৎসকরা। এই শিক্ষার্থী সুস্থ আছে দাবি করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। 

এরিমধ্যে একই সময় টিকার চার ডোজ দেয়ার অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া এই কমিটি গঠন করেন।

সদর হাসপাতালের অভিজিত লোহকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন মেডিক্যাল অফিসার উত্তম কুমার পাল ও ইপিআই তত্ত্বাবধায়ক মজিবুর রহমান।


   Page 1 of 6
     স্বাস্থ্য
মহাখালীর ক্যানসার হাসপাতাল এখন দুর্নীতিদের আখড়ায় পরিনত
.............................................................................................
কাউনিয়ায় মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য বিষয়ক ৩ দিন ব্যাপি মৌলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপনী
.............................................................................................
ফুলবাড়ী উপজেলার চিন্তামন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি নির্মাণ হলেও ৩ বছরেও চালু হয়নি।
.............................................................................................
কাউনিয়ায় পুষ্টি সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সভা
.............................................................................................
রূপগঞ্জে ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সভা ॥ শোভাযাত্রা
.............................................................................................
ফুলবাড়ী উপজেলা সভাকক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
.............................................................................................
ফুলবাড়ীতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা জোরদারকরন বিষয় অবহতীকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
.............................................................................................
অভিভাবকদের অভিযোগ কাউনিয়ায় টাকা বিনিময় মিলছে ইপিআই টিকা কার্ড
.............................................................................................
আমতলীতে ইউনিক স্পেশালাইজড হসপিটালে ভুল আল্ট্রাসাউন্ড প্রতিবেদনে চিকিৎসা! রোগীদের অবস্থা সংঙ্কটজনক।
.............................................................................................
স্বাস্থ্য ঝুকিতে সাধারণ জনগণ নবাবগঞ্জে ভেজাল হলুদগুড়া ও মরিচগুড়া
.............................................................................................
কাউনিয়ায় দরিদ্র জনগণ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত কোটি টাকার ২টি এক্স-রে মেশিন ২০বছর ধরে অচল
.............................................................................................
রূপগঞ্জে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা
.............................................................................................
৯০ লাখ মানুষ নেয়নি করোনার দ্বিতীয় ডোজ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
শরীরচর্চা শেষে যে ৫ খাবার খাবেন
.............................................................................................
তুচ্ছ নয় রক্তদান বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ
.............................................................................................
ফোনে কথা বলতে বলতে শিক্ষার্থীকে চার ডোজ টিকা
.............................................................................................
টিকা দেয়ায় করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
করোনা টিকা পাচ্ছেন ৩য় লিঙ্গের মানুষ
.............................................................................................
শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব, কীভাবে বুঝবেন?
.............................................................................................
এক কেজি ফলের দাম ২০ লাখ টাকা!
.............................................................................................
৩ কোটি টিকা দেওয়া হবে এ মাসেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
আরও ১৪৬ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি
.............................................................................................
উৎসাহ-উদ্দীপনায় টিকা নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
.............................................................................................
যে কারণে নারীদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে বেশি
.............................................................................................
গ্রাম থেকে ১৪ দিন পর ঢাকায় ফেরার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
.............................................................................................
মাস্ক পরিধানে এবং খুলতে সাবধানতা
.............................................................................................
ওজন ও মেদ কমাতে পারে চাল কুমড়া
.............................................................................................
প্রতিদিন কতটুকু আনারস খাওয়া সঠিক?
.............................................................................................
ডাবল চিন থেকে রক্ষা পাওয়ার জাদুকরী উপায়
.............................................................................................
অ্যাকজিমা সারাতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করবেন যেভাবে
.............................................................................................
১০ রোগ থেকে মুক্তি দেবে বরই
.............................................................................................
দুধের সঙ্গে যে খাবার খাবেন না
.............................................................................................
টিকা নিলেন তিন বিচারপতি
.............................................................................................
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন
.............................................................................................
টিকা নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
.............................................................................................
টিকা নিলেন ডা. জাফরুল্লাহ, বললেন সবাইকে নিতে
.............................................................................................
১৫ হাজার পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত ৪৮৫, মৃত্যু ১৩
.............................................................................................
গ্যাস্ট্রিক নির্মূলের কার্যকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
.............................................................................................
এক সপ্তাহ পিছিয়েছে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন
.............................................................................................
২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন
.............................................................................................
প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আসছে ১২ অগস্ট
.............................................................................................
৫০ শতাংশ ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই
.............................................................................................
বাতাস থেকেও ছড়ায় করোনাভাইরাস!
.............................................................................................
এ বছরই মিলবে করোনা ভ্যাকসিন!
.............................................................................................
যেসব ভুলে নষ্ট হচ্ছে আপনার চোখ!
.............................................................................................
মাত্র এক কোয়া রসুন!
.............................................................................................
কেন গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাবেন?
.............................................................................................
এক নজরে ৬৪ জেলায় করোনাক্রান্ত
.............................................................................................
করোনার আরেকটি উপসর্গ চিহ্নিত
.............................................................................................
চোখ দেখেও বুঝতে পারবেন আপনি করোনায় আক্রান্ত কিনা!
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান

নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
    2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com

Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD