নতুন বাজার ডেস্ক : রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাত হত্যা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ আসামি বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশ ২৭ অক্টোবর।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে আদালতে হাজির হন অভিযুক্তরা। এছাড়া আবরার রাহাতের বাবা-মা ও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মহানগর দায়রা জজ আদালত কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে ১০ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়।
আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবার করা মামলায় গত পহেলা অক্টোবর ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন আদালত। আসামিদের অবহেলার কারণে রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আবরারের মৃত্যু হয়েছে বলে বরাবরই অভিযোগ আবরারের পরিবারের।
২০১৯ সালের পহেলা নভেম্বর কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় আবরার। অনুষ্ঠানস্থলে বিদ্যুতের ত্রুটিপূর্ণ তার রেখে দেয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবার পরও আবরারকে কাছের হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে দূরের হাসপাতালে নেয়া, এমনকি তার মৃত্যুর পরও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ৬ নভেম্বর আবরারের বাবা মজিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
নতুন বাজার ডেস্ক : রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ছাত্র নাঈমুল আবরার রাহাত হত্যা মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ আসামি বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ হয়েছে। আদেশ ২৭ অক্টোবর।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে আদালতে হাজির হন অভিযুক্তরা। এছাড়া আবরার রাহাতের বাবা-মা ও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মহানগর দায়রা জজ আদালত কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে ১০ আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়।
আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবার করা মামলায় গত পহেলা অক্টোবর ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন আদালত। আসামিদের অবহেলার কারণে রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আবরারের মৃত্যু হয়েছে বলে বরাবরই অভিযোগ আবরারের পরিবারের।
২০১৯ সালের পহেলা নভেম্বর কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় আবরার। অনুষ্ঠানস্থলে বিদ্যুতের ত্রুটিপূর্ণ তার রেখে দেয়া, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবার পরও আবরারকে কাছের হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে দূরের হাসপাতালে নেয়া, এমনকি তার মৃত্যুর পরও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ৬ নভেম্বর আবরারের বাবা মজিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলো সম্পাদক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এ সময় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে পাপিয়ার স্বামী মফিজুরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী। তিনি তার খালাস প্রত্যাশা করেন। এরপর পাপিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী। তবে তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
এ মামলায় ১২ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ১২ জনকে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন-পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র্যাব।
ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানির জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান বৃহস্পতিবার এ দিন ধার্য করেন।
আজ মামলার চার্জ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। ডিআইজি মিজানের আইনজীবী চার্জ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন জানালে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এটি ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
একই সঙ্গে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মিজানের স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মিজান ছাড়া চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগনে মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল হাসান রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
এ সময় মিজানকে তাৎক্ষণিক পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেফতারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়।
পরদিন ডিআইজি মিজানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়।
নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। ২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় কারা অধিদপ্তর হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ নির্দেশ দেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আসামির উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ২২ সেপ্টেম্বর চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বদলির আদেশ দেন।
এর আগে ২৬ আগস্ট আদালতে এই অভিযোগপত্রটি (চার্জশিট) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন।
গত বছরের ২০ অক্টোবর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে দুদক। অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি আট ৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২০০৪ এ ২৭ (১) ধারায় দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তুরাগ থানায় করা দুটি মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আবদুল মালেকের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে দুই মামলায় তার সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
অন্যদিকে আব্দুল মালেকের আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. শফিউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আব্দুল মালেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। অবৈধ অস্ত্র আইনে করা মামলায় সাত দিন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ঘটনায় করা মামলায় সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার ভোরে তুরাগ এলাকা থেকে আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় দুটি মামলা হয়।
গ্রেপ্তারের দিন সংবাদ সম্মলনে র্যাব জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মালেক ড্রাইভারের শত কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী মালেক পেশায় একজন ড্রাইভার। মালেকের স্ত্রীর নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা বিলাসবহুল ভবন আছে।
ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় ৪.৫ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন আছে এবং দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল অর্থ গচ্ছিত রয়েছে।
গাড়িচালক আব্দুল মালেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি। তিনি ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে আজ আদালতে তোলা হতে পারে। এরআগে জাল টাকা, অবৈধ অস্ত্র ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মালেককে গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টায় ঢাকা হমানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে তাকে সোপর্দ করার কথা রয়েছে।
এর আগে র্যাব বাদী হয়ে তুরাগ থানায় মালেক ড্রইভারের বিরুদ্ধে অভিযোগে একটি মামলা করেন। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তুরাগ এলাকার বামনেরটেকের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে সংবাদ সম্মলনে র্যাব জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মালেক ড্রাইভারের শত কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী মালেক পেশায় একজন ড্রাইভার। মালেকের স্ত্রীর নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা বিলাসবহুল ভবন আছে।
ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় ৪.৫ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন আছে এবং দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে।
গাড়িচালক আব্দুল মালেকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি। তিনি ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত রয়েছেন।
দুদকের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি করনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রদীপের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিশেষ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘আসামির পক্ষে আগের দিন জামিন আবেদন করা হয়েছিল। ওই আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদালত তা নামঞ্জুর করেন। আমরা আসামির এজাহারভুক্ত সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেছি, আদালত তা মঞ্জুর করেছেন, প্রসেস হয়ে গেছে। এখন সেই সম্পত্তি জব্দে আর কোনো বাধা নেই।‘
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকায় প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে একটি ছয়তলা ভবন গড়ে তুলেছেন। যা গোপন করার জন্য ভবনটি তার শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন বলে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে ভবনটি প্রদীপের স্ত্রীকে দান করেন শ্বশুর। দানপত্র দলিল হলেও ভবনটি প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির অর্জিত বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
এর আগে অস্ত্র মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে আদালতের কাছে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপক্ষ। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে আদালতের কাছে তার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে সাহেদের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। এদিন সাহেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রোববার পরবর্তী দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
এর আগে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সাহেদ। এসময় আদালত তাকে সাফাই সাক্ষী দিবেন কি-না প্রশ্ন করলে সাহেদ সাফাই সাক্ষী দিবেন না বলে জানান। এর পর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিউপস্থাপনের জন্য এদিন ধার্য করেন।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ বলেন, আমার কাছে থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। মামলায় ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনায় নানা প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলম তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করে।
৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল।
২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে রবিউল ইসলাম।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাম জাফর।
তিনি বলেন, আসামি নিজে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে সম্মতি জানায়। তাই সকাল ১০টায় রবিউলকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে আবেদনসহ তাকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘোড়াঘাট আমলি আদালত-৭ এ নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘোড়াঘাট আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে রবিউলকে কড়া নিরাপত্তা নিয়ে দিনাজপুর আদালতে তোলা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর দুপুর ১টার দিকে তিনি বিচারকের সামনে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি শুরু করেন এবং বিচারক তা লিপিবন্ধ করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রবিউলকে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আবার আদালতে তোলা হয়। আদালতে স্বীকারাক্তিমূলক জবাববন্দি করবেন বলে আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী সে নিজেই। আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে।
তার দেয়া তথ্যমতে, হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একসাথে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন বিষয়গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে রবিউলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের দোষ স্বীকার করে। গত ১২ তারিখ এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছে এ ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী সে নিজে। পরে তাকে ওইদিনেই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
আদালতের বিচারক তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ওইদিনই তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম করোনাভাইরাস থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ রবিবার মাহবুবে আলমের স্ত্রী বিনতা মাহবুব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি করোনা মুক্ত হয়েছেন। আগের থেকে ভালো আছেন। সকালে নাস্তা করেছেন। ছেলে-মেয়েরা তাকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন।’
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক মাহবুবে আলমের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও দোয়া চেয়েছেন বিনতা মাহবুব।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত শুক্রবার ভোরে তাকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়।
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য জিকরুল্লাহ ওরফে হাসান, আরিফুল ইসলাম আরিফ ও সাইফুল ইসলাম আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আত্মপক্ষ শুনানির ‘দোষী না নির্দোষ’ প্রশ্নের জবাবে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থণা করেন।
ওই আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলেও তিনি জানান।
এর আগে মামলাটিতে আদালত চার্জশিটের ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
এ মামলার অপর দুই আসামি মাওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে তাহের ও সাইফুল ইসলাম ওরফে আকরাম ওরফে হাসিব ওরফে আব্দুল্লাহ পলাতক।
মামলাটিতে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক মশিউর রহমান।
২০১৫ সালের ৩০ মার্চ তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ীর দিপীকা মোড়ে ওয়াশিকুরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর পালানোর সময় হিজড়া ও এলাকাবাসী মিলে দুজনকে আটক করে। এ ঘটনায় ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ বাদি হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওয়াশিকুর মতিঝিলের ফারইস্ট অ্যাভিয়েশন নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ট্রেইনি অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাবা টিপু সুলতানের সঙ্গে তিনি বেগুনবাড়ীর ৪/৩-এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে সাবলেট থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপেজলার উত্তর হাজীপুরে।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকেও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে মামলার বাদীর করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমীন শাহরিয়ার ফেরদৌসের বৃহস্পতিবার দুপুরে করা আবেদনটি শুনানি শেষে খারিজ করে দেয় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত।
এর আগে এসপি মাসুদকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার আবেদনের পর মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এসপি এবিএম মাসুদ হোসেনকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি ফৌজদারি আবেদন করেছি। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে আদেশের অপেক্ষায় রেখেছেন।
পুলিশ সুপারকে আসামি করার কারণ সম্পর্কে বাদী শারমিন সাংবাদিকদের জানান, এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন ঘটনার শুরু থেকেই আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মেজর সিনহার মানহানি করেছেন।
শারমীন বলেন, ‘তাই আদালতের কাছে আমার প্রত্যাশা এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসপি মাসুদকে উক্ত মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের ফেরার পথে মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর গত ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বড় বোন।
আদালতের নির্দেশে মামলাটি র্যাব তদন্ত করছে। তারা মামলার ১৩ আসামিকে নানা মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ পর্যন্ত মামলায় ১২ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি সোমবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। দ্বিতীয় দফা চার দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বেলা সোয়া ৩টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টেকনাফ-৩ আদালতে আসামীদের হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলমের চার দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক তামান্না ফারাহর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে, আসামীদের পুন:রিমান্ডের বিরোধীতা এবং জামিন আবেদনে অংশ গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম থেকে আসা তিন আইনজীবীরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট ওসি প্রদীপসহ সাত পুলিশের দ্বিতীয় দফায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করছিলেন একই আদালত। তার আগে আসামীদের সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর এপিবিএন এর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ খান।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে প্রদীপসহ পুলিশের নয়জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ পৃথক তিনটি মামলা করেছে। পরে সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় আরো একট মামলা হয়েছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশের ৭ জন, এপিবিএনের ৩ জন ও স্থানীয় ৩ জন বাসিন্দা (পুলিশের মামলার সাক্ষী) গ্রেফতার হয়েছেন। মামলা তদন্ত করছে র্যাব।
রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান তার ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১০ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাহেদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ১৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার প্রতারণার মামলায় সাদেহের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থানায় প্রতারণার মামলায় সাত দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একই দিন সাতক্ষীরার অস্ত্র মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় সেই বহুল আলোচিত মামলার আসামি মো. মজনুর (৩০) বিচার শুরু হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুনাহার তার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
শুনানিকালে মজনুকে আদালতে সরাসরি হাজির করা হয়নি। তাকে কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত দেখানো হয়। তাকে বিচারক ভার্চ্যুয়ালি অভিযোগ পাঠ করে শোনান। এ সময় আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
মামলাটিতে গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক ঢাকা সিএমএম আদালতে মো. মজনুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সকল আদালত ছুটিতে থাকায় এ মামলারও কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
গত ৫ আগস্ট থেকে আদালতের কার্যকম শুরু হওয়ার পর সিএমএম আদালত চার্জশিট ওই ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠালে বিচারের তারিখ ঠিক করে ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় চলতি বছর ৯ জানুয়ারি আসামি মজনুর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন এবং ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।
চার্জশিটে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে ৪০/৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভুক্তভোগী (২১) পৌঁছালে আসামি মজনু পেছন থেকে ধরে ফুটপাতে ফেলে গলা চেপে ধরে। ভুক্তভোগী চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এরপর মজনু ভুক্তভোগীকে অচেতন অবস্থায়ই ধর্ষণ করেন। মজনু অভ্যাসগতভাবে একজন ধর্ষণকারী। তিনি প্রতিবন্ধী, পাগল, ভ্রাম্যমাণ মহিলার সম্মতি ব্যতীত এই অনৈতিক কাজ করে আসছিলেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় থাকেন। তার স্থায়ী কোনো বসবাসের জায়গা নেই।
এর আগে র্যাব-১, উত্তরা এর সিপিসি-১ এর চৌকশ দল গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাস স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তার ওপর থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে।
তারও আগে, গত ৬ জানুয়ারি ভুক্তভোগীর অধ্যক্ষ বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী তার বড় মেয়ে (২১)। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি থাকতেন রোকেয়া হলে। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা হন। রাত ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডে থামে। তিনি বাস থেকে নেমে ফুটপাথ দিয়ে ৪০/৫০ গজ শেওড়ার দিকে হেঁটে আর্মি গলফক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ বছর বয়সী একজন তাকে আক্রমণ করেন এবং পরে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ করেন।
করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় আজ সোমবার পাঁচ মাস পর ফের শুরু হয়েছে বরগুনার বহুল আলোচিত শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম। সোমবার সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিচারিক আদালতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১০ আসামি আদালতে হাজির হন।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, আদালতে আসামিদেরকে ৭৬ জন সাক্ষীর দেয়া সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হবে। এছাড়াও আসামিদের সাফাই সাক্ষী গ্রহণ ও কোনো কাগজপত্র জমা দেয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হবে। কোনো আসামির পক্ষে কাগজপত্র জমা দেয়ার না থাকলে আজকেই আদালতে বিচারিক কার্যক্রম শেষ হতে পারে।
রিফাত হত্যা মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু। মামলায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মিন্নি ও শিশু আসামিদের মোট আটজন জামিনে আছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।