|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
কক্সবাজারে ফল ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরে মো. ওসমান (৪০) নামের এক ফল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের মোহাজাহের পাড়া সংলগ্ন টাংকি পাহাড় এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ওসমান শহরের মোহাজেরপাড়ার মৃত নূর আহাম্মদ পুত্র। সে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল সড়কে ফল বিক্রি করতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, মো. ওসমান তার নির্মাণাধীন বাড়িতে একা থাকতেন। প্রায় সময় বন্ধুরা মিলে তার বাড়িতে আড্ডা দিতো। বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতেও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির ছাদে আড্ডা ও ও লুডু খেলেছে। সকালে তার এক ভাগ্নি ঘরের লাইট বন্ধ করার জন্য বাড়িতে ঢুকলে একটি কক্ষে ওসমানের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকারীরা গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কক্সবাজার সিআইডির ফরেনসিক দলের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছেন। এঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
|
কক্সবাজার শহরে মো. ওসমান (৪০) নামের এক ফল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের মোহাজাহের পাড়া সংলগ্ন টাংকি পাহাড় এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মো. ওসমান শহরের মোহাজেরপাড়ার মৃত নূর আহাম্মদ পুত্র। সে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল সড়কে ফল বিক্রি করতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, মো. ওসমান তার নির্মাণাধীন বাড়িতে একা থাকতেন। প্রায় সময় বন্ধুরা মিলে তার বাড়িতে আড্ডা দিতো। বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতেও কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির ছাদে আড্ডা ও ও লুডু খেলেছে। সকালে তার এক ভাগ্নি ঘরের লাইট বন্ধ করার জন্য বাড়িতে ঢুকলে একটি কক্ষে ওসমানের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকারীরা গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কক্সবাজার সিআইডির ফরেনসিক দলের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছেন। এঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
|
|
|
|
উপকার করা মহৎ কাজ। ইসলাম ধর্মে অন্যের উপকার করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পুরো জীবনই অন্যের উপকারে সঁপে দিয়েছেন। নবীপ্রেমিক মুমিনরা যারা আল্লাহকে ভয় করে তার সব সময় অন্যের উপকারে নিজেকে ব্যস্ত রাখবে এটাই স্বাভাবিক।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা কোর না। আল্লাহকে ভয় কর। তিনি নিশ্চয় কঠোর শাস্তিদাতা।’ সুরা মায়েদা, আয়াত ২।
আমরা সমাজে বসবাস করি। আমাদের পাশে প্রতিবেশী কিংবা আত্মীয়স্বজনের প্রতি সাধ্যানুযায়ী খোঁজখবর রাখা জরুরি। এদের মধ্যে কেউ বিপদে পড়লে তাদের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। কিন্তু আজ আমরা অন্যের বিপদে পাশ কাটিয়ে চলে যাই। হাসি-তামাশা বা তার বিপদে মজা নিতে থাকি। একটি উদাহরণ দিলে সহজে বোঝা যাবে। কেউ বিপদে পড়ে তার কাছে থাকা গচ্ছিত পণ্য বিক্রি করতে চাইলে আমরা পণ্যটির দাম নির্দিষ্ট দাম থেকে কমিয়ে দিই। কেননা সে বিপদে পড়ছে বিক্রি না করে কোথায় যাবে। অবশেষে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি কম দামেই তার পণ্যটি বিক্রি করে দেয়। এই হলো আমাদের সমাজের নিষ্ঠুরতা। অথচ অন্যের সমস্যার সমাধান করে দেওয়া মুমিনের নৈতিক ও ইমানি দায়িত্ব।
মুসলিমে উল্লেখ রয়েছে, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের পার্থিব কষ্টসমূহের মধ্য থেকে একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার একটি বড় কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর অভাবের কষ্ট লাঘব করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার অভাবের কষ্ট লাঘব করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ গোপন রাখে, আল্লাহতায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার অন্য মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য করতে থাকে, আল্লাহও ততক্ষণ তার সাহায্য-সহায়তা করতে থাকেন।’
উপকারের পাশাপাশি অন্যায় থেকেও অন্যদের বাঁচাতে হবে। মাদক, ধর্ষণ, যৌতুকসহ সমাজের সব অপকর্ম থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে অন্যদের নিষেধ করতে হবে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই সর্বোৎকৃষ্ট উম্মত। তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে মানব জাতির জন্য। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহকে বিশ্বাস কর।’ সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১১০।
আমাদের অন্যের উপকারে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যের উপকার করলে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত পাওয়া যাবে। আমাদের স্মরণ রাখা উচিত, আমি যদি কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে উপকার করি তাহলে আমি কখনো বিপদে পড়লে অন্যরা আমাকে উপকার করবে। তাই আসুন, উপকার করতে না পারলেও বাকি জীবনে অন্যের ক্ষতি নয়, নিজেকে উপকারে ব্যস্ত রাখি।
|
|
|
|
মোঃ শাকিল আহমেদ, বরগুনা। বরগুনায় ঈদ-ই মিলাদুনবী (সঃ) উৎযাপন উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ আক্টোবর) সকাল ১০টায় বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর সামনে থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শিল্পকলা একাডেমির সামনে শেষ হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সিরাত একাডেমি, শিশু একাডেমি র আয়োজনে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর শুভ জন্ম দিন উপলক্ষে এ র্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে তারা। এ সময় জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তাসহ ধর্ম পরায়ন মুসলমান ও মাদ্রাসার ছাত্ররা অংশ নেয়।
|
|
|
|
এম সাজেদুল ইসলাম সাগর
নবাবগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নিবার্হী অফিসার অনিমেষ সোম এর
সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন পারুল বেগম পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ মমিনুজ্জামান উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা,কর্মচারী, গণমাধ্যম কর্মী ইসলামী ফাউন্ডেশনের সদস্য সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
|
|
|
|
পারভেজ শাহরিয়ার
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
বরগুনার আমতলীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহ,আইম্মায়ে হিযবুল্লাহ,যুব হিযবুল্লাহ ও ছাত্র হিযবুল্লাহ`র যৌথ আয়োজনে আনন্দ র্যালী ও স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০ টায় আমতলী তিন রাস্তার মোড় সাকিব প্লাজার সামনে থেকে বিভিন্ন মাদ্রাসার সহাস্রাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষজন নবীজির জন্মদিনের বিভিন্ন প্লাকার্ড নিয়ে আনন্দ র্যালী ও স্বাগত মিছিল অংশ নেয়। আনন্দ র্যালী ও স্বাগত মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিন করে আমতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মুখে এসে শেষ হয়।
জমইয়াতে হিযবুল্লাহ আমতলী পৌর শাখার সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মিনহাজ উদ্দিনের সভাপত্বিতে আনন্দ র্যালী ও স্বাগত মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব মাওলানা আবু জাফর মোঃ সামসুদ্দোহা।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জমইয়াতে হিযবুল্লাহ`র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ ইউছুফ শিকদার, সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ আবু ইউসুফ, পৌর সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ ঈসা রুহুল্লাহ, পৌর জমইয়াতে হিযবুল্লাহ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা জহির উল্লাহ মল্লিক, উপজেলা যুব হিযবুল্লাহ`র সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন তালুকদার, উপজেলা ছাত্র হিযবুল্লাহ`র সভাপতি মাওলানা আবু মুসা আল হাদি, পৌর ছাত্র হিযবুল্লাহ`র সভাপতি মাওলানা মোঃ ইব্রাহীম খলিল প্রমুখ।#
|
|
|
|
গাউছিয়া কমিটির উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জসনে জুলুস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালণ করা হয়েছে।
রবিবার (৯-অক্টোবর) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিন করে গাড়ীযোগে ও পায়ে হেটে রেলী করেন নবী প্রিয় মুসলিম জনতা।
রেলি শেষে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইছাখালী এলাকায় প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনি নিয়ে এক আলোচনা সভা করা হয়।
তৈয়্যেবিয়া তাহেরিয়া মোনায়েমিয়া জামে মসজিদের সভাপতি তৈয়্যেবুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইছাপুরি এন্টার প্রাইজের সত্বাধিকারী জাকির হোসেন।
অন্যানদের মাঝে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডা.লুৎফর রহমান, মাওলানা ইদ্রিস হোসাইন আল কাদেরী, মাওলানা আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরী, গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফেজ রেফাজ উদ্দিন প্রমুখ।
মোঃ রাসেল মোল্লা
সহ সম্পাদক
দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
|
|
|
|
চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস। এ সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ কারণে আয়োজক কমিটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ জুলুস দাবি করে গিনেস বুকে তার স্বীকৃতি পেতে চায়। সেই লক্ষ্যে আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।
শনিবার (৮ অক্টোবর) আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মিডিয়া উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, গিনেস বুকে এই জুলুসের স্বীকৃতি মিললে বাড়বে বাংলাদেশের সুনাম, বিশ্বে পৌঁছাবে ইসলামের বার্তা।
আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের মিডিয়া উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, আলহামদুল্লিলাহ। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এ জশনে জুলুস পুরো দেশবাসী ও প্রশাসনের কাছে প্রশংসিত। আমরা মনে করি জসনে জুলুস যেহেতু একটা কল্যাণের বার্তা দিয়ে আসছে। তাই এটা গিনেস বুকে স্থান পেলে এটা একটা নির্মল সংস্কৃতির বার্তা দেবে।আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সহসভাপতি মোহাম্মদ মহসিন জানান, সারা বিশ্বের সবাই জানুক ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামের ৫০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস আয়োজিত হয়ে আসছে। এ জন্য গিনেস বুকে এ ধরনের কিছু একটা রেকর্ড থাকা দরকার।
|
|
|
|
যার পিতা ছিলেন নবী, স্বামী ছিলেন নবী, উত্তরঃ- কে সে মহীয়সী নারী?
ভাই ছিলেন নবী এবং ছেলেও ছিলেন নবী,
মহান এই নারীর নাম হলোঃ- সাইয়্যেদা হযরত লাইয়া বিনতে ইয়াকুব (রহিমা) যিনি রহিমা নামে পরিচিতা
← ছেলেঃ- হযরত যুল কিফল (আঃ)
স্বামীঃ- হযরত আইয়ুব (আঃ)
Nasir ভাইঃ- হযরত ইউসুফ (আঃ)
বাবাঃ- হযরত ইয়াকুব (আঃ)
দাদাঃ- হযরত ইসহাক (আঃ)
দাদার ভাইঃ- হযরত ইসমাইল (আঃ)
পরদাদাঃ- হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আঃ)
|
|
|
|
মুসাফাহা অর্থ করমর্দন, হাতে হাত মেলানো। আগন্তুক অথবা সাক্ষাতকারীর হাত ধরে তাকে অভিনন্দন জানানোর নাম মুসাফাহা।
এটা সালামের পূর্ণতা সাধন করে। কারও সাক্ষাত হলে মুখে সালাম আদান-প্রদান করে হাতে হাত মিলানো মুসলিম ঐতিহ্য ও সামাজিকতার অংশ। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। সাহাবাদের রীতি-রেওয়াজ। এ বিষয়ে হজরত কাতাদাহ বলেন, আমি হজরত আনাস (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম, সাহাবাদের আমলে কি তাদের মধ্যে মুসাফাহার প্রচলন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ। -সহিহ বোখারি : ৬২৬৩
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেছেন, রোগী দেখতে যাওয়ার কাজ পূর্ণ হয় রোগীর কপালে বা হাতে হাত রেখে এ কথা জিজ্ঞাসা করলে, আপনার অবস্থা কেমন? আর অভিনন্দন জানানো পূর্ণ হয় মুসাফাহা করলে। -মিশকাত : ৪৬৮১
মুসলমানদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতির সুদৃঢ় বন্ধন আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয়। মানুষের বন্ধন সুদৃঢ় হয় সুন্দর আচরণের মাধ্যমে। তাই সুন্দর আচার-ব্যবহার প্রকাশের প্রতিটি ধরণ আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দনীয়। কারও সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সালাম আদান-প্রদানে সঙ্গে সঙ্গেই তার প্রতি হাত বাড়িয়ে দিলে ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও বিনয় প্রকাশ পায়। পরস্পরে এমন ভালোবাসার দৃশ্য আল্লাহতায়ালার কাছে অনেক পছন্দনীয়। আল্লাহ খুশি হয়ে পুরষ্কার প্রদান করেন। কাজ যদিও ছোট কিন্তু পুরষ্কার দিচ্ছেন আল্লাহ। তাই কাজের বিবেচনায় পুরষ্কার ছোট হবে না। বরং দাতার বিবেচনায় তা বড়ই হবে। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, দুজন মুসলিম যদি সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করে তবে তারা আলাদা হওয়ার আগেই আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দেন। -সুনানে আবু দাউদ : ৫২১৪
তবে আবু দাউদের ৫২১৩ নং হাদিসে মুসাফাহা দ্বারা মাগফিরাত ও ক্ষমা লাভের জন্য মুসাফাহা করার সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। হাদিসের এ নির্দেশনার কারণে আলেমরা বলেন, মুসাফাহা করার সময় এভাবে দোয়া করা সুন্নত- ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম।
হজরত হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, এক মুমিন যখন আরেক মুমিনের সঙ্গে দেখা করতে যেয়ে সালাম দেয় এবং তার হাতে ধরে মুসাফাহা করে তখন তার গুনাহগুলো সেভাবে ঝরে পড়ে যেভাবে শীতকালে গাছের পাতাগুলো ঝরেপড়ে। -আওসাত লিত তাবারানি : ২৪৫
সালামের পর দুই হাতে করমর্দন করে অভিনন্দন জানানো মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামি রীতি। সহিহ বোখারির বর্ণনা মতে, হাম্মাদ বিন যায়দ আবদুল্লাহ ইবনে মোবারকের সঙ্গে মুসাফাহা করেছিলেন দুহাতে।
হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে তাশাহহুদ শেখান তখন তার হাত ছিল রাসূলের দুই হাতের মাঝে। এগুলো থেকে বুঝা যায় মুসাফাহা দুই হাতে হবে। মুসাফাহার পর হাত নিয়ে বুকে রাখার কোন দলিল হাদিসে পাওয়া যায় না। তাই তা পরিত্যাজ্য।
সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে, আচার ও আচরণে বিজাতীয় রীতি রেওয়াজ অনুসরণ করাকে ইসলাম কঠোরভাবে ঘৃণা করে। তাই করমর্দনের এমন কোনো রীতি বা পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিৎ হবে না- যা অতীতের কোনো অলি-আউলিয়া ও আলেম-উলামাদের থেকে আমরা পরম্পরায় পাই নাই বা দেখি নাই।
কাজের ব্যস্ততার কারণে বা অন্য কোনো কারণে যদি মুসাফাহা কষ্টের কারণ হয়- তবে তা বর্জন করাই শ্রেয়। কেননা, মানুষকে কষ্ট দেওয়া হারাম। সুন্নত আদায় করতে যেয়ে হারামে লিপ্ত হওয়ার অনুমতি নেই। পরপুরুষের সঙ্গে পরনারীর করমর্দন হারাম। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কারও মাথায় লোহার সূচ বিদ্ধ করা- পরনারী স্পর্শ করার চেয়ে অনেক শ্রেয়। কানজুল উম্মাল : ১৩০৬৫
সাক্ষাতের সময় মুসাফাহা করা সুন্নত। বিদায়ের সময়ও মুসাফাহা হতে পারে। মুসাফাহা সালামের পরিপূরক। তাই মুসাফাহা করবে সালামের পর। উভয় হাতে মুসাফাহা করা সুন্নত। এক হাতে মুসাফাহা করা কিংবা হ্যান্ডশেক করা সুন্নত পরিপন্থী ও বিজাতীয় অনুকরণ। তাই এটি পরিত্যাজ্য। তবে অনন্যোপায় অবস্থায় এক হাতে করা যেতে পারে।
মুসাফাহা খালি হাতে করা সুন্নত। মুসাফাহার পর হাতে চুমু খাওয়া, হাত বুকে লাগানো বেদয়াত। তাই এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত। কোনো মজলিশ বা বৈঠকে যেয়ে সবার সঙ্গে একাধারে মুসাফাহা করে মজলিসের বিঘ্নতা ঘটানো অনুচিত। একজনের সঙ্গে কিংবা যার উদ্দেশে গেছে তার সঙ্গে মুসাফাহা করেই ক্ষান্ত হবে। মুসাফাহা করতে গিয়ে কাউকে কষ্ট দেওয়া অনুচিত; কারণ মুসাফাহা করা সুন্নত আর কাউকে কষ্ট দেওয়া হারাম। তাই যেসব ক্ষেত্রে মুসাফাহা করতে গেলে যার সঙ্গে মুসাফাহা করা হবে সে বা অন্য কেউ কষ্টের শিকার হয়, সেসব ক্ষেত্রে মুসাফাহা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেসব অবস্থায় সালাম দেওয়া নিষেধ, সেসব অবস্থায় মুসাফাহা করাও নিষেধ। মুসাফাহার আরেকটি আদব হলো, প্রথমে হাত না সরানো।
|
|
|
|
অনেককে হাতের নখ বড় রাখতে দেখা যায়। নখ বড় রাখার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের কি আলাদা বিধান রয়েছে? চলুন এসব বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
হাত-পায়ের নখ কাটা প্রকৃতিগত সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, ফিতরাত (নবীদের পন্থা) হলো পাঁচটি বিষয়: খৎনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ খাটো করা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৯২)
অন্য হাদিসে এসেছে, ফিতরাত দশটি: এর মধ্যে নখ কাটাও রয়েছে। এজন্য ইসলাম মানুষের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম ও নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে মাকরূহ তাহরিমি বা গুনাহর কাজ বলেছে।
এ বিষয়ে সাহাবি আনাস (রা.) বলেন, গোঁফ ছোট রাখা, নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা ও নাভীর নিচের লোম মুণ্ডিয়ে ফেলার জন্য আমাদের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল; যেন আমরা এক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের বেশি দেরি না করি। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮)
প্রখ্যাত হাদিসবিশারদ ইমাম নববী (রহ.) এ সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘নখ কাটা সবার মতে সুন্নাত। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের উভয় হাত-পা সমান পর্যায়ের। ’ (আলমাজমুউ: ১/৩৩৯)
নখ বড় হওয়ার দরুন কোনো কারণে যদি নখের গোড়ায় পানি না পৌঁছে, তাহলে অজু শুদ্ধ হয় না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া, খণ্ড: ০১, পৃষ্ঠা: ২২)
এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, আবু ওয়াসিল বলেন, আমি আবু আইয়ুব (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলাম। মুসাফাহার সময় তিনি আমার নখ বড় দেখে বললেন, নবী (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ কেউ আসমানের খবর জিজ্ঞাসা করো, অথচ তার হাতের নখগুলো পাখির নখের মতো, যাতে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকে! (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৩০১১)
|
|
|
|
যে ব্যক্তি ভ্রমণ বা সফর করে তাকে সফররত অবস্থায় মুসাফির বলে। আবার যখন নিজ বাড়ি বা বাসভবনে চলে আসে তখন শরিয়তের পরিভাষায় তাকে বলে মুকিম।
মুকিম অর্থ হলো- নিজ বাসস্থানে অবস্থানকারী।
কিছু কিছু মানুষের ধারণা- সফর অবস্থায় সুন্নত নামাজ পড়া যায় না। এ ধারণা সঠিক নয়।
হ্যাঁ, মুকিম অবস্থার চেয়ে সফর অবস্থায় সুন্নত নামাজের কিছুটা শিথিলতা রয়েছে। তাই সফর অবস্থায় চলন্ত পথে, তাড়াহুড়োর সময় সুন্নত নামাজ ছেড়ে দেওয়া ভালো। কিন্তু সফরের শান্তিপূর্ণ অবস্থায় সুন্নত নামাজ পড়াই উত্তম। বিশেষত ফজরের সুন্নত সফর অবস্থায়ও অধিক গুরুত্ব রাখে। সুতরাং ‘সফর অবস্থায় সুন্নত নামাজ পড়া যাবে না’ ঢালাওভাবে এমন মনে করা ঠিক নয়।
|
|
|
|
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি আসবাব কারখানা ও স মিল গুঁড়িয়ে দিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সকালে বসুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়া এলাকায় (সারের গুদাম) এ ঘটনা ঘটে। এতে ‘হুমায়ুন টিম্বার মার্সেন্ট অ্যান্ড স মিল’ নামের প্রতিষ্ঠানটির কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে দাবি মালিকপক্ষের।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় একাধিকবার ফোন দিলে ব্যস্ত পাওয়া যায়। খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। পরে অন্য একটি নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেন কাদের মির্জা। প্রথম আলোর প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়েই তিনি ফোন কেটে দেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর বেশ কিছু অনুসারী ও পৌরসভার কর্মী হুমায়ুন টিম্বার মার্সেন্ট অ্যান্ড স মিলে যায়। তাঁরা দুটি এক্সকাভেটর দিয়ে ভেতরের বিভিন্ন মালামাল গুঁড়িয়ে দেন। পরে মেয়রের অনুসারীরা সেখানে ‘শিশুপার্কের জন্য নির্ধারিত স্থান’ লেখাসংবলিত একটি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন।
তিনি কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে ফোন করে ঘটনাটি অবহিত করেন এবং আইনগত সহায়তা চান। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।
কারখানার মালিক ফিরোজ আলম
কারখানার মালিক ফিরোজ আলম অভিযোগ করেন, তাঁরা ১৯৯০ সাল থেকে করালিয়া মৌজার ডিএস ১৩৩ নম্বর খতিয়ানের ৫৫৮ নম্বর দাগের ১৭ শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক। জমি কেনার পর তাঁরা সেখানে ‘হুমায়ুন টিম্বার মার্সেন্ট অ্যান্ড স মিল’ প্রতিষ্ঠা করেন। সম্প্রতি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আকস্মিকভাবে ওই জমি ‘খাস’ দাবি করেন এবং জমি থেকে তাঁদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
ফিরোজ আলম জানান, ওই আদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা জেলা জজ আদালতে গত ২৫ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে বিরোধীয় ভূমিতে বিবাদী পক্ষের প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে কাদের মির্জার নেতৃত্বে প্রায় ২০০ অনুসারী ও পৌরসভার এক্সকাভেটর মেশিন গিয়ে তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁরা প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান কাঠসহ অনেক মালামাল পৌরসভার গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যান।
ফিরোজ আলমের অভিযোগ, মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে চলা প্রায় তিন ঘণ্টার তাণ্ডবলীলায় তাঁর প্রতিষ্ঠানের কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর তিনি কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি), জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে ফোন করে ঘটনাটি অবহিত করেন এবং আইনগত সহায়তা চান। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন তাঁর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, তাঁকে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফোনে ঘটনাটি জানানোর পর তিনি পুলিশ পাঠিয়ে মেয়রকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার বার্তাটি পৌঁছান। এরপর পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে। তবে এ ঘটনার বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষটি থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
ফিরোজ আলমের বড় ভাই হুমায়ুন কবিরকে ২ সেপ্টেম্বর দেওয়া পৌরসভার চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি সরকারি খাস সম্পত্তির ওপর বিধিবহির্ভূতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। জনস্বার্থে উক্ত জায়গার ওপর বসুরহাট পৌরসভার শিশুপার্ক নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আপনার বিধিবহির্ভূত স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুনর্নির্দেশ দেওয়া হলো।’ এর আগে গত ২২ মার্চ একই বিষয়ে আরেকটি নোটিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং স্থাপনা সরিয়ে না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
জায়গাটি খাস সম্পত্তি কি না, তা জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউল হক মীরকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, বসুরহাটের ওই জায়গাটি খাস কি না, কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না। তবে কিছুদিন আগে পৌরসভা থেকে একটি শিশুপার্ক নির্মাণের প্রস্তাব তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছিল। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইউএনওকে ওই প্রস্তাবের চিঠিটি পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মেয়রের প্রস্তাবিত শিশুপার্কের স্থান কোনটি, তা তিনি এই মুহূর্তে বলতে পারছেন না।
|
|
|
|
নদী বয়ে যায় বুকের ভেতর নদী বয়ে যায় মনে গ্রামের পাশেই বয়ে গেছে নদী নেই দেখা তার সনে।
শাপলা-শালুক-ঝিনুক কুড়ানো নদীটি আমার প্রিয় নেই নদী আর আগের মতন দিনে দিনে আজ ক্ষীয়।
শৈশবস্মৃতি জড়িয়ে তো আছে খেলেছি ডুবসাঁতার নদীর জলেই কত দাপাদাপি হিসেব আছে কি তার?
নদী সে তো এক নারীর মতন কাছে টানে এ আমাকে কত দিন হয় দেখি না চোখে কাছ থেকে আমি তাকে।
|
|
|
|
ত্যাগ ও উৎসর্গের ঈদ হলো ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। প্রতিবছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এই ঈদ পালিত হয়। সে হিসেবে বুধবার (২১ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে।
তবে করোনা মহামারির কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে হচ্ছে ঈদ। ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। ঈদগাহে ব্যাপক জনসমাগম করে ঈদের নামাজ না পড়ার আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বছরে দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যান। তাই মুসলিম উম্মাহর সুবিধার্থে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-
# ঈদের নামাজ ২ রাকাআত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং জামাতে আদায় করতে হয়।
# ঈদের ২ রাকাআত নামাজে অতিরিক্ত ৬ তাকবির দিতে হয়।
প্রথম রাকাআত: আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল আজহার ২ রাকাআত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবিরের সাথে ইমামের পেছনে আদায় করছি বলে নিয়ত বাঁধতে হয়। প্রথমেই তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাঁধবেন।
এরপর পড়তে হবে, সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।
তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাঁধবেন।
এরপর ইমাম সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু-সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু-সিজদা করবেন।
দ্বিতীয় রাকাআত: ইমাম দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মেলানোর পর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ৩ তাকবির প্রথম রাকাআতের মতোই আদায় করবেন। এরপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই সালাম ফিরানোর মাধ্যমে নামাজ শেষ করবেন।
এ নিয়মে ঈদুল ফিতরও আদায় করা হয়। উভয় ঈদের আগে-পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামাতেরও প্রয়োজন হয় না।
|
|
|
|
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। ঈদ মানে আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধুদের মিলনমেলা, হৈ-হুল্লোড়, ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডা। এ উৎসবে মুসলমানরা ঈদগাহে কোলাকুলি ও করমর্দন করে থাকেন। এছাড়া সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করাও ঈদের অন্যতম অর্থ। ঈদ মানে ভোগান্তিকে সঙ্গী করে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে একত্রিত হওয়া। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ আনন্দের সবকিছুতেই যেন ভাটা পড়েছে।করোনার দ্বিতীয় বছর অর্থাৎ এবারের ঈদেও নেই অনাবিল আনন্দের আবহ আর খুশির জোয়ার। অদৃশ্য এক ভাইরাসে পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। এক কথায় বলতে গেলে, এবারও ঈদ উৎসব আনন্দ-খুশির ডালা সাজিয়ে নয়, এসেছে শঙ্কা-অনিশ্চয়তার বার্তা নিয়ে।
শুক্রবার (১৪ মে) পবিত্র ঈদুল ফিতর। ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর দেশের মুসলমানরা এদিন ঈদ উদযাপন করবেন।
ঈদের নামাজ একটি বড় উৎসব। এদিন ছেলে, বুড়ো, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই দল বেঁধে ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে যান। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়, করমর্দন, কোলাকুলি করেন। সকল ভেদাভেদ ভুলে হাতে হাতে রাখার দৃঢ় প্রত্যয় নেন। কিন্তু করোনার স্বাস্থ্যবিধিতে এবারও তা হচ্ছে না। এবারের ঈদে নামাজ শেষে করা যাবে না চিরাচরিত কোলাকুলি, করমর্দন। উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম করা যাবে না। তাই ঈদের নামাজ পড়তে হবে মসজিদে মসজিদে।
সময় ভাগ করে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই নামাজ আদায় করতে হবে। যে এলাকায় করোনার প্রাদুর্ভাব নেই সেই এলাকায় হয়তো স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে ঈদগাহে জামাত হতে পারে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মেনে করা যাবে না কোলাকুলি, করমর্দন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রথম রমজান থেকে সরকারি বিধিনিষেধ চলছে। যা ঈদের পরেও বহাল থাকছে বলে আভাস দিয়েছে সরকার। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব ধরনের গণপরিবহন। তাই নাড়ির টানে গ্রামে গিয়ে মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে একত্র হওয়াতে ছেদ পড়েছে। যদিও সরকারি বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে নজরবিহীন ভোগান্তিকে সঙ্গী করে গ্রামের বাড়িতে গেছেন অনেক মানুষ। তবে অনেকেই কর্মস্থলে থাকছেন।
|
|
|
|
আবু ইউসুফ
বছর ঘুরে এল পবিত্র ঈদুল ফিতর। মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য দুটি দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত করেছেন। এ দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব তোমার রবের উদ্দেশ্যেই নামাজ পড় এবং নহর করো।’ (সুরা আল কাউছার, আয়াত : ২)
ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মতো নয়। যেমন—ঈদের দুই রাকাত নামাজের কোনো আজান, ইকামত নেই। এতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির রয়েছে। সেগুলো আদায়ের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিয়মগুলো হলো:
ঈদের নামাজ আদায় পদ্ধতি
১। প্রথমত স্বাভাবিক নামাজের মতোই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধতে হবে। এরপর ছানা পাঠ করতে হবে।
২। তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলতে হবে। প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দিতে হবে এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বাঁধতে হবে।
৩। এরপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাবেন।
৪। স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু-সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে।
৫। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত ওঠাবেন এবং ছেড়ে দেবেন। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন।
৬। এরপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন।
৭। নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠবেন। দুটি খুতবা দেবেন। এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। কোনো ধরনের কথা বলা বা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া যাবে না।
৮। খুতবা শেষে সবাই ঈদগাহ ত্যাগ করবেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান নির্বাহী সম্পাদক: মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । র্বাতা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, মাসুম হাসান৷ সহকারী-বার্তা সম্পাদক লাকী আক্তার । বার্তা বিভাগ ফোন০১৬১৮৮৬৮৬৮২
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com, facebook- notunbazar / সম্পাদক dhaka club
|
|
|
|