|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
আমতলী বকুলনেছা মহিলা কলেজের শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও জাল সনদধারী অধ্যক্ষের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধনে বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলা। চার শিক্ষক আহত।
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের জাল সনদধারী অধ্যক্ষ মোঃ ফোরকান মিয়ার অপসারণ ও বেতন ভাতার দাবীতে শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রীদের মানববন্ধনে ফোরকানের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ের জেষ্ঠ্য প্রভাষক জয়নুল আবেদীনসহ চার শিক্ষক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত জয়নুল আবেদীনকে শিক্ষকরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহেদীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মেহেদীকে প্রধান আসামী করে ছয় জনের নামে মামলা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে বকুলনেছা মহিলা কলেজের সামনে।
জানাগেছে, ফোরকান মিয়া ১৯৯৯ সালে বিএ (পাস) জাল সনদ দিয়ে আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক পদে চাকুরি নেন। ২০১০ সালে তিনি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ওই কলেজের অধ্যক্ষ হন। অধ্যক্ষ হওয়ার তিন বছরের মাথায় ২০১৩ সালে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেংকারীর অভিযোগে কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। সাময়িক বরখাস্তের পর তাঁর ডিগ্রি পাসের জাল সনদের তথ্য বেরিয়ে আসে। পরে তিনি স্বেচ্ছায় কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ৮ বছর ফোরকান কলেজে দায়িত্ব থেকে দূরে ছিলেন। ২০২১ সালের ১২ জুলাই মোঃ ফোরকান মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ পদে আসীন হন। ওই বছর ২৬ নভেম্বর কলেজ পরিচালনা কমিটি তাকে পুনরায় বরখাস্ত করেন। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জবর দখল করে কলেজের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফোরকানের এমন কর্মকান্ডে গত বছর নভেম্বর থেকে এ বছর মে মাস পর্যন্ত ৭ মাস কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১ টায় জাল সনদধারী বহিস্কৃত অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার অপসারণ ও বেতন ভাতার দাবীতে শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। ফোরকানের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহেদী, ভুমি দস্যু বাবুল মিয়া, আমতলী পৌর জামায়াতের আমির প্রভাষক মোঃ কবির হোসেন, সাবেক উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোঃ বাছির উদ্দিন, জামায়াত নেতা রসায়ন বিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মোঃ জলিল, মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন মানববন্ধনে হামলা করে। হামলায় কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ের জেষ্ঠ্য প্রভাষক জয়নুল আবেদীন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক বশির উদ্দিন, পদার্থ বিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক জলিলুর রহমান আহত হয়। গুরুতর আহত জয়নুল আবেদীনকে শিক্ষকরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ হামলায় জড়িত বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহেদীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। এদিকে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফোরকানকে কলেজ থেকে অপসারণ এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌস আক্তার বাদী হয়ে মেহেদী, ফোরকান, জামায়াত নেতা কবির হোসেন ও জলিলকে আসামী করে ছয় জনের নামে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ সন্ত্রাসী মেহেদীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ফোরকানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মেহেদী, নৈশ প্রহরী বাবুল মিয়া, আমতলী পৌর জামায়াতের আমির প্রভাষক কবির হোসেন, সাবেক উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক বাছির উদ্দিন, জামায়াত নেতা রসায়ন বিদ্যার প্রভাষক জলিল মিয়া, মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন মানববন্ধনে হামলা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়।
আহত প্রভাষক জয়নুল আবেদীন বলেন, ফোরকান, জলিল, নজরুল, বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহেদী ও বাবুল আমার উপরে হামলা করেছে। আমি এ ঘটনায় শাস্তি দাবী করছি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসি আক্তার বলেন, জাল সনদধারী বহিস্কৃত অধ্যক্ষ ফোরকান জবর দখল করে কজেলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার কারনে গত সাত মাস ধরে শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। ফোরকানের অপসারণ ও বেতনভাতার দাবীতে শিক্ষকরা মানববন্ধন করে। ওই মানববন্ধনে ফোরকানের নেতৃত্বে জামায়াত শিবির ঘরনার কিছু শিক্ষক ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কলেজের শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে। এতে চারজন শিক্ষক আহত হয়। এ ঘটনায় শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়া বলেন, আমি মারধর করিনি। উল্টো আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা বলেন, আহত জয়নুল আবেদীনের মুখমন্ডল, চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বরগুনা পুলিশ সুপার আবদুস সালাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
|
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের জাল সনদধারী অধ্যক্ষ মোঃ ফোরকান মিয়ার অপসারণ ও বেতন ভাতার দাবীতে শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রীদের মানববন্ধনে ফোরকানের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। হামলায় কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ের জেষ্ঠ্য প্রভাষক জয়নুল আবেদীনসহ চার শিক্ষক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত জয়নুল আবেদীনকে শিক্ষকরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহেদীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মেহেদীকে প্রধান আসামী করে ছয় জনের নামে মামলা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে বকুলনেছা মহিলা কলেজের সামনে।
জানাগেছে, ফোরকান মিয়া ১৯৯৯ সালে বিএ (পাস) জাল সনদ দিয়ে আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক পদে চাকুরি নেন। ২০১০ সালে তিনি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ওই কলেজের অধ্যক্ষ হন। অধ্যক্ষ হওয়ার তিন বছরের মাথায় ২০১৩ সালে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেংকারীর অভিযোগে কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটি তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। সাময়িক বরখাস্তের পর তাঁর ডিগ্রি পাসের জাল সনদের তথ্য বেরিয়ে আসে। পরে তিনি স্বেচ্ছায় কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ৮ বছর ফোরকান কলেজে দায়িত্ব থেকে দূরে ছিলেন। ২০২১ সালের ১২ জুলাই মোঃ ফোরকান মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ পদে আসীন হন। ওই বছর ২৬ নভেম্বর কলেজ পরিচালনা কমিটি তাকে পুনরায় বরখাস্ত করেন। কিন্তু তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জবর দখল করে কলেজের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফোরকানের এমন কর্মকান্ডে গত বছর নভেম্বর থেকে এ বছর মে মাস পর্যন্ত ৭ মাস কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১ টায় জাল সনদধারী বহিস্কৃত অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়ার অপসারণ ও বেতন ভাতার দাবীতে শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। ফোরকানের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহেদী, ভুমি দস্যু বাবুল মিয়া, আমতলী পৌর জামায়াতের আমির প্রভাষক মোঃ কবির হোসেন, সাবেক উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোঃ বাছির উদ্দিন, জামায়াত নেতা রসায়ন বিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক মোঃ জলিল, মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন মানববন্ধনে হামলা করে। হামলায় কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ের জেষ্ঠ্য প্রভাষক জয়নুল আবেদীন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক বশির উদ্দিন, পদার্থ বিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রভাষক জলিলুর রহমান আহত হয়। গুরুতর আহত জয়নুল আবেদীনকে শিক্ষকরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ হামলায় জড়িত বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহেদীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। এদিকে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফোরকানকে কলেজ থেকে অপসারণ এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেছেন। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌস আক্তার বাদী হয়ে মেহেদী, ফোরকান, জামায়াত নেতা কবির হোসেন ও জলিলকে আসামী করে ছয় জনের নামে থানায় মামলা করেছে। পুলিশ সন্ত্রাসী মেহেদীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ফোরকানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী মেহেদী, নৈশ প্রহরী বাবুল মিয়া, আমতলী পৌর জামায়াতের আমির প্রভাষক কবির হোসেন, সাবেক উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক বাছির উদ্দিন, জামায়াত নেতা রসায়ন বিদ্যার প্রভাষক জলিল মিয়া, মাকসুদুর রহমান, নজরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন মানববন্ধনে হামলা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়।
আহত প্রভাষক জয়নুল আবেদীন বলেন, ফোরকান, জলিল, নজরুল, বহিরাগত সন্ত্রাসী মেহেদী ও বাবুল আমার উপরে হামলা করেছে। আমি এ ঘটনায় শাস্তি দাবী করছি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসি আক্তার বলেন, জাল সনদধারী বহিস্কৃত অধ্যক্ষ ফোরকান জবর দখল করে কজেলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তার কারনে গত সাত মাস ধরে শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। ফোরকানের অপসারণ ও বেতনভাতার দাবীতে শিক্ষকরা মানববন্ধন করে। ওই মানববন্ধনে ফোরকানের নেতৃত্বে জামায়াত শিবির ঘরনার কিছু শিক্ষক ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কলেজের শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে। এতে চারজন শিক্ষক আহত হয়। এ ঘটনায় শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে বহিস্কৃত অধ্যক্ষ ফোরকান মিয়া বলেন, আমি মারধর করিনি। উল্টো আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কাঙ্খিতা মন্ডল তৃণা বলেন, আহত জয়নুল আবেদীনের মুখমন্ডল, চোখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
বরগুনা পুলিশ সুপার আবদুস সালাম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
হুয়াওয়ে সম্প্রতি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (আইইউটি)- তে একটি ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট ইভেন্টের আয়োজন করে। এই ইভেন্ট থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
গত ২৩শে মে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্টে প্রায় ১৪০ জন শিক্ষার্থী এমসিকিউ এবং ইন্টারভিউ সেশন এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাছাই প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছে। ইভেন্টে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে এর সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার মোঃ ফারা নেওয়াজ এবং এইচআর এক্সিকিউটিভ মোঃ খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আইইউটি থেকে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু রায়হান মোস্তফা কামাল এবং সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
এই আয়োজন সম্পর্কে হুয়াওয়ের সিনিয়র এইচআর ম্যানেজার মোঃ ফারা নেওয়াজ বলেন, “বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনা অনেক বেশি। হুয়াওয়ে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, এই তরুণদের সুযোগ দিলে এবং সঠিকভাবে ক্ষমতায়ন করলে তারা নিজেদের নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে। হুয়াওয়ে একটি কানেক্টেড ও ইনটেলিজেন্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মেধাবী তরুণদের সাথে কাজ করে যাবে।”
আইইউটি’র সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু রায়হান মোস্তফা কামাল বলেন, “হুয়াওয়ে নিয়মিতভাবে আমাদের ক্যাম্পাসে রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট আয়োজন করে। এই উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। এই ধরনের উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট খাত এবং একাডেমিয়ার মধ্যে ব্যবধান দূরীকরণে ভূমিকা রাখে। আমাদের শিক্ষার্থীদের অনেক সম্ভাবনাময় আইডিয়া আছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন কিছু শেখার এবং অন্বেষণ করার আগ্রহ আছে। এই ধরনের মানসিকতা আমাদের আইসিটি ইকোসিস্টেমের জন্য কল্যাণকর। এছাড়া, যারা আইসিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাদের জন্য হুয়াওয়ের এই ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট একটি চমৎকার সুযোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণরা আইসিটি’র শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে উৎসাহিত বোধ করবে।”
আইসিটি প্রতিভা বিকাশ হুয়াওয়ের একটি মূল লক্ষ্য এবং হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে যে ফ্রেশ গ্রাজুয়েটদের জন্য হুয়াওয়ের মত স্বনামধন্য আইসিটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ ভবিষ্যতে তাঁদের প্রতিভা বিকাশে ব্যাপক অবদান রাখবে। হুয়াওয়ে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট আয়োজন করে আসছে। গত বছর বিভিন্ন রিক্রুটমেন্ট ইভেন্ট এর মাধ্যমে প্রায় ১০০ জন ফ্রেশ গ্রাজুয়েট হুয়াওয়ের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।
|
|
|
|
মোঃ আফজাল হোসেন,
দিনাজপুর প্রতিনিধি
ফুলবাড়ী উপজেলার সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা সংরক্ষনের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী। সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অত্র উপজেলার সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উক্ত বিদ্যালয়ের উত্তর পার্শ্বে মোঃ মাহমুদুর রহমান চৌধুরী বহুতল মার্কেট নির্মানের জন্য পুস্তুতি গ্রহণ করেন। বিদ্যালয়ের নামাজ ঘর তথা মসজিদের ছাদের পানি তার জায়গায় পড়ছে দাবী করে ২ ফুট জায়গাসহ তিনি মার্কেট নির্মান শুরু করেছেন। তার দাবী অযৌক্তিক ভিত্তিহীন মনে করে সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা সংরক্ষণ করার দাবী করে এলাকার শতাধিক ব্যক্তি লিখিত ভাবে গত ০৯/০৩/২০২৩ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীরা হলে, মনজুরুল হাসান, আমিনুল ইসালাম, মহফিজুর রহমান চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম সহ এলাকার শতাধিক ব্যক্তি। সীমানা প্রাচীরের বাহিরে স্কুলের জায়গা ছাড়া রয়েছে। মসজিদ নির্মানের সময় প্রতিপক্ষ মোঃ মাহমুদুর রহমান চৌধুরী কোন প্রকার বাধা প্রদান করেন নি। মোঃ মাহমুদুর রহমান এর পারিবারিক বিরোধ নিস্পত্তির সময় মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি’র উপস্থিতিতে মোঃ মাহমুদুর রহমান চৌধুরী নিজ মুখে বলেছেন সীমানার বাহিরে বিদ্যালয়ের ২ফুট জায়গা ছাড়া রয়েছে। টয়লের নির্মানের সময় স্কুল কর্তৃপক্ষের আপত্তির কারণে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর দপ্তরে বৈঠক হয়। সর্বশেষ মোঃ মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ৬২৪ নং দাগের জমির সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য মাননীয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতিতে স্কুলের ২ ফুট জায়গা ছেড়ে মাপযোগ সম্পন্ন করা হয়। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের ছেড়ে দেওয়া ২ফুট জায়গা সংরক্ষনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া অতি জরুরী বলে দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্কুলের ২ফিট জায়গা ছেড়ে পৌর বিধি অনুযায়ী মার্কেট নির্মান করার জন্য এলাকবাসী জোর দাবী করেন। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদ আলম লিটন এর নিকট গত ০২/০৩/২০২৩ইং তারিখে একইভাবে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে সুজাপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী সঞ্জয় চক্রবর্তী এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করা হয়েছে তিনি উপস্থিত থেকে মাপযোগ করে বিষয়টি সমাধান করার কথা বলেছেন। বর্তমান প্রতিক্ষকের মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এভাবে থাকবে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
প্রতীক্ষার প্রহর শেষ! আবারও শুরু হল হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি’র নতুন ব্যাচের নিবন্ধন। রেজিস্ট্রেশন করা যাবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ক্লাস বুয়েটের ইসিই বিল্ডিং- এ আগামী ৮ জুন থেকে শুরু হবে। প্রশিক্ষণ শেষে থাকছে হুয়াওয়ে সার্টিফাইড আইসিটি অ্যাসোসিয়েট (এইচসিআইএ) সার্টিফিকেট অর্জন করার সুযোগ।
৪র্থ বর্ষ, স্নাতকোত্তর এবং অন্যান্য প্রকৌশল বিভাগ (ইইই/সিএসই/সিএস/আইসিই/ইসিই/ইটিই/ইইসিই/আইটি) থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং ও স্টোরেজের উপর সাত সপ্তাহ ব্যাপী প্রশিক্ষণ থাকবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে চার ঘণ্টা ক্লাস হবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। শিক্ষার্থীরা https://iict.buet.ac.bd/ অথবা https://eee.buet.ac.bd/ এই লিঙ্কে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের ইমেলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। প্রতিটি কোর্সের জন্য ৩০ জন নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ‘হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি’র অনুকূলে পে-অর্ডার (পিও)/ডিমান্ড ড্রাফ্টের (ডিডি) মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি দেওয়ার পর একাডেমিতে পিও/ডিডি জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে ইমেলে (huaweibuetict@gmail.com) পিও/ডিডি’র স্ক্যান করা কপি/ফটোকপি পাঠানোর পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নির্দেশনা সহ একটি কনফার্মেশন মেইল পাবেন।
উল্লেখ্য, হুয়াওয়ের বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশে ১৫০০ আইসিটি একাডেমি আছে। বাংলাদেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে গত বছরের ২৩ মার্চ বুয়েট আইসিটি একাডেমি চালু করে এবং ১২ জানুয়ারী (২০২৩) থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। সম্প্রতি ‘হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি’র প্রথম ব্যাচের ২৪ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ শেষে সনদ অর্জন করেছে। হুয়াওয়ে অথরাইজড ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি (এইচএআইএনএ) এই কোর্সটি সমন্বয় এবং সার্টিফিকেশন প্রদান করে।
|
|
|
|
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ মো. ইউনুচ আলীর বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় মাদ্রাসার সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহনকারী ৫৫ শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, সারাদেশে চলমান দাখিল (এসএসসি) পরীক্ষায় আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর ৫৫ শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। গতকাল ১৭ মে কৃষি শিক্ষা (৪র্থ) বিষয় পরীক্ষা দিতে আসেন পরীক্ষার্থীরা। হল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র দেন। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র দেখে বিচলিত হয়ে যান। তারা পড়াশুনা করেছে কৃষি শিক্ষা বিষয়ে প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের। এতে বিপাকে পড়ে যায় কৃষি শিক্ষা বিষয় পড়াশুনা করা পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থী মোঃ সজিব মৃধা বলেন, ১৭-০৫-২০২৩ ( বুধবার) কৃষি শিক্ষা (৪র্থ) বিষয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা হলে আসি। পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র দেখি বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়। আমরা যে বিষয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেই নাই সে বিষয় পরীক্ষা দিবো কিভাবে। বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষর ভুল হয়েছে বলে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পরীক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন।
ভুক্তভোগী একাধিক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষর ভুলের জন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। একটি নতুন বিষয়ে শুধু নাম লিখে পরীক্ষা দিয়ে এসে এখন অনেক টেনশনে আছি। দশ বছরের সাধনা একদিনে শেষ হয়ে গেছে। আমরা ভবিষ্যতে ভালো কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারবো না। আমাদের ভবিষ্যতের দায়ভার কে নেবে? আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
শিক্ষার্থীদের সুত্রে আরো জানা যায়, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মো. ইউনুচ আলী পরীক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড প্রবেশ পত্রের সাথে সরবরাহ করেছেন। পরীক্ষার ফরম ফিলাপের পূর্বে শিক্ষার্থীরা রেজিষ্টেশন কার্ড অধ্যক্ষের কাছে একাধিকবার চেয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষ পরীক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন কাড দেন নাই বলেও তারা জানান।
পরীক্ষার্থী ফাতেমা. আয়শা, তাসনিম তানহা, আবিদা বলেন পরীক্ষার পেপারে শুধু নাম লিখে এসেছি। আমরা কোন ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারবোনা। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
অপর পরীক্ষার্থী মাহমুদ. হাবিুল্লাহ,মহিউদ্দিন. আশরাফুল, আবু তাহেরসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কারনে আজ আমরা ও আমাদের পরিবার মহাদুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছি। ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবোনা। আমরা সঠিক বিচারচাই প্রশাসনের কাছে।
মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইউনুচ আলীর মুঠোফোনে এবিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
মাদ্রাসার সহকারী হল সচিব মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্র অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। এ ভুল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। পরীক্ষার জন্য গঠিত হল কমিটির নয়।
মাদ্রাসার উপ- অধ্যক্ষ মাওলানা ইউছুফ আলী বলেন, এটা আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আমরা পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া করছি তারা ভাল রেজাল্ট করবে।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জিয়া উল হক মিলন বলেন, রেজিষ্টেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র অনুযায়ী প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশ্রাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, পরীক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাদের অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রনালয়, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বরগুনা জেলা প্রশসাক বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
মো:রাসেল মোল্লা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে চলছে। এসএসসি পরীক্ষার ৬টি কেন্দ্র, ৬টি ভেন্যু, দাখিল পরীক্ষার ৩টি কেন্দ্র, ৩টি ভেন্যু, ভোকেশনাল পরীক্ষার ১টি কেন্দ্র, ১টি ভেন্যুতে মোট ৫ হাজার ৮৩৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। নকল মুক্ত পরীক্ষায় অভিভাবকরা খুশি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রূপগঞ্জের এসএসসি পরীক্ষার প্রতি কেন্দ্র ও ভেন্যুতে ট্যাগ অফিসার, কেন্দ্র সচিব, সহকারী কেন্দ্র সচিব ও হল সুপার নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিল্যান্স টিম সকল কেন্দ্র ও ভেন্যু পরিদর্শন করেন। উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের সরকারি কর্মকর্তাগণ ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োজিত থেকে থানা ভবন থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে পুলিশ অফিসারদের সাথে নিয়ে নিজনিজ দায়িত্বরত কেন্দ্র কিংবা ভেন্যুতে চলে যান। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০/১৫ মিনিট আগে প্রশ্নের প্যাকেট খুলে পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের অনুপাতে ভাগ করে রাখেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫মিনিট আগে হলে হলে প্রশ্ন পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়া ভেদ করে প্রশ্ন কেন্দ্রে বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের তল্লাশি করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। প্রবেশপত্র, কলম, স্কেল, রাবার, সাপনার, এনালক হাতঘড়ি ছাড়া বই, খাতা, মোবাইল ফোন নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। কক্ষ পরিদর্শকরাও মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারে না।
এক স্কুলের শিক্ষার্থী অন্য স্কুলের শিক্ষক কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। কেন্দ্রে দায়িত্বের বাহিরে থাকা কোন শিক্ষক, শিক্ষিকা, অভিভাবক, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য কাউকেই পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। পুলিশ ও আনসার কেন্দ্রের গেইটে নিয়োজিত থাকেন। পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশের ফটোকপির দোকানগুলো আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখানে কোন সিন্ডিকেট নেই। ট্যাগ অফিসারগণ সময়মতো প্রশ্ন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরীক্ষা শেষে ফিরে আসেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। শিক্ষকরা নকল পৌঁছে দেন তা আবার শিক্ষার্থীর জানানোর ঘটনা কাল্পনিক।
রূপগঞ্জের সকল এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্রে সরকারের নির্ধারিত আইন মেনেই সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
জনতা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব মোক্তার হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শান্তিপূর্ণভাবে নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষায় অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।
এইচআর মডেল স্কুলের সহকারী কেন্দ্র সচিব শ্রী চরণ দাস বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে কিংবা পরে অভিভাবকদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল নেই।
কাঞ্চন ভারতচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মুজিবর রহমান বলেন, তল্লাশি করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করানো হয়। বহিরাগত কাউকেই পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
মুজিবর রহমান ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী সচিব রিনা আক্তার বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন কক্ষ পরিদর্শকসহ শিক্ষার্থীদের মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
সহিতুন্নেছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব শাহ্ মোঃ নাজমুল হাসান বলেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও এসএসসি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালীন দায়িত্বশীল ছাড়া কাউকেই পরীক্ষার কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভিজিল্যান্স সার্বক্ষণিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করছেন।
ভুলতা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও রূপগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডঃ আব্দুল আউয়াল মোল্লা বলেন, রূপগঞ্জের কোন কেন্দ্রেই অনিয়মের ছোঁয়া নেই। নকল নেই। বহিরাগতদের আনাগোনা নেই। দায়িত্বশীল ব্যক্তি ছাড়া কাউকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, নকলমুক্ত পরিবেশেই পরীক্ষা চলছে। কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইসমাইল বলেন, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশাসন তৎপর। রূপগঞ্জের সকল কেন্দ্র ও ভেন্যুতে নকলমুক্ত পরিবেশেই পরীক্ষা চলছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল হক বলেন, সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সকল নিয়মের মধ্যেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলছে। কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। অনিয়ম পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। সরকারের নির্দেশিত আইন অনুযায়ী পরীক্ষা চলছে। ব্যাহত হলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নকল সরবরাহকারী, পরীক্ষা কেন্দ্র নিয়ে অপপ্রচার কিংবা বিভ্রান্তকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।
রিপোর্ট
নির্বাহী সম্পাদক
দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
সম্প্রতি, অভিভাবকদের জন্য ক্যাম্পাস পরিদর্শনের আয়োজন করেছে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এ ক্যাম্পাস ট্যুর আয়োজনের উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীরা যেখানে বিশ্বমানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে তা শিক্ষার্থীদের মা-বাবা ও অভিভাবকদের দেখানো।
সম্প্রতি স্কুলের অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের জন্য ক্যাম্পাসটি সম্পূর্ণ তৈরি। এ উপলক্ষে, যেসব শিক্ষার্থী স্কুলে ভর্তি হয়েছেন তাদের মা-বাবা ও অভিভাবকদের পুরো ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
স্কুলের শ্রেণিকক্ষ, খেলার জায়গা ও অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধা সহ স্কুলের চমৎকার অবকাঠামো পরিদর্শন করেন অভিভাবকরা। এ সময় তারা এত অল্প সময়ে স্কুলের নির্মাণ কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান এবং স্কুলের সুযোগ-সুবিধা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় বসবাসকারী অভিভাবক সাজিদ রশিদ বলেন, `ক্যাম্পাসটি বেশ চমৎকার এবং স্কুল প্রাঙ্গণে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, এসব সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও বেশ জায়গাবহুল এ ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের মানসিকতা বিকাশে এবং তাদের শিক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।`
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রিমিয়াম কেমব্রিজ কারিকুলাম স্কুল – গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উন্মোচন করে এসটিএস গ্রুপ। গ্লেনরিচ স্কুলে ‘স্কুল অব লাইফ’ ধারনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে, যেখানে শিক্ষার্থীদের যত্নশীল পরিবেশে শিখতে ও নিজেদের বিকাশে উৎসাহিত করা হবে।
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের উপযোগী করে গড়ে তুলতে গ্লেনরিচে শিক্ষার্থিদের নির্দিষ্ট পাঠক্রমের বাইরেও শিক্ষামূলক বিভিন্ন বিষয় শেখানো হবে। যার মধ্যে রয়েছে: আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের সহযোগিতায় ফ্রেঞ্চ ভাষা শিক্ষা কোর্স এবং স্টেমরোবোর সহযোগিতায় রোবোটিকস শেখার সুযোগ। এছাড়াও, স্কুলের ম্যাথ ল্যাবের মাধ্যমে ম্যাথ বাডির সুবিধা প্রদান করা হবে এবং অ্যাসোসিয়েটেড বোর্ড অব রয়্যাল স্কুলস অব মিউজিকের সঙ্গীতের পাঠ গ্রহণ করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
----
|
|
|
|
জুবেল আরেফিন ব্যুরো চিফঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যালয়ের লোহার গেট ভেঙে পড়ে মুনতাহার আক্তার ( ৪) বছরের এক মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেরভেরী মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাধান লোহার গেট ভেঙে পড়ে শিশু মুনতাহা আক্তারের মৃত্যু হয়। নিহত মুনতাহা মাঝাপাড়া হাজীরহাট গ্রামের মোঃ মজনু মিয়ার মেয়ে। এলাকাবাসী সূত্রে, আজ ৬ মে ২০২৩ (শনিবার) সকাল ৭টার দিকে শিশু মুনতাহা আক্তারকে সাথে নিয়ে ধান শুকানোর জন্য ভেরভেরী মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে যান মা রুবিনা বেগম। মা রুবিন বেগম ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত থাকায় শিশু মুনতাহা বিদ্যালয়ে প্রবেশের লোহার গেটের পাশে একাই খেলছিলো। সে সময় হঠাৎ লোহার গেটটি ভেঙে শিশু মুনতাহার গায়ের উপর পড়লে গুরুত্বর আহত হয় সে। এলাকাবাসী শিশু মুনতাহাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা ১১টার দিকে শিশু মুনতাহার মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজিব কুমার রায় বলেন, বিদ্যালয়ের গেটে আহত শিশুটি সকাল ১১টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ আসার পর আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
|
|
|
|
মো: রাসেল মোল্লা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ১২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বিতরণ ও খেলার মাঠে গ্যালারী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৪মে বৃহস্পতিবার মুড়াপাড়া মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিতরণ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আলমাছের সহধর্মিনী ও মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মমতাজ বেগম।
সভায় বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল হক, মুড়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আলিম উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল আজিজ, গোলবক্স ভুঁইয়া, আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, এজাজ আহমেদ, মুড়াপাড়া ইউপি সদস্য তাওলাদ হোসেন প্রমুখ।
পরে মাছিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ২ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে রূপগঞ্জের ১২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঝে সিসি ক্যামেরা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
উল্লেখ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সিসি ক্যামেরাগুলো প্রদান করা হবে।
রিপোর্ট
নির্বাহী সম্পাদক
দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
|
|
|
|
মো:রাসেল মোল্লা
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। ৩ মে বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার ভোলাবো এলাকার গণবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়, কাঞ্চন হাজী রফিজুদ্দিন ভুইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাঞ্চন ভারতচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, কালাদী দাখিল মাদ্রাসা, জনতা উচ্চ বিদ্যালয় ও হাজী এখলাছ উদ্দিন ভুইয়া স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র মন্ত্রী পরিদর্শন করে। এ বছর রূপগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরিক্ষার ৯টি কেন্দ্রে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড অধীন এসএসসি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৮শত ২৬ জন।
এদের মধ্যে ছাত্র ২৩৩৭ জন ছাত্র এবং ছাত্রী ২৬৭৯ জন। মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৮২০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের মধ্যে ৩৬৩ জন ছাত্র এবং ৪৫৭ জন ছাত্রী।
২০২৩ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রিপোর্ট
নির্বাহী সম্পাদক
দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
|
|
|
|
কাউনিয়ায় (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
দীর্ঘ ২বছর পর ১০০ নম্বরের ৩ঘন্টার এসএসসি, ভকেশনাল ও দাখিল পরীক্ষায় রংপুরের কাউনিয়ায় উপজেলায় ১ম দিন (রবিবার) এর পরীক্ষায় ৬৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
কাউনিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফ মাহফুজ জানান, কাউনিয়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় ৩২০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৫৩, ভোকেশনাল ২৪৪ জনের মধ্যে ১জন এবং দাখিল পরীক্ষায় ৩৫৩ জনের মধ্যে ১৫জন অনুপস্থিত ছিল। সব মিলে ১ম দিন ৬৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। উপজেলার ৫টি কেন্দ্রে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে কোন প্রকার অপ্রতিকর ঘটনা ছারাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মনোনীতা দাস জানান, সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া ছিল। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ন ভাবে ১ম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|
|
|
|
সৈয়দ নুহু উল আলম নবীন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
তিন লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে চাকুরী না দেয়ার অভিযোগে বরগুনার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ রাওঘা নুর আল আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলমের বিরুদ্ধে জিয়াউল হক বাদী হয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিককে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আজ সোমবার এ মামলা তদন্তের দিন ধায্য করেছেন। ওই প্রধার শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো ৬/৭ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকুরী না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক তার অনিয়ম ধামাচাপা দিকেই পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন না করে বারবার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধা ও তার স্ত্রী মোসাঃ শিমুল ইসলামকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠন করছেন বলে অভিযোগ অভিভাবক ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের। এতে ক্ষুব্দ বিদ্যালয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী। দ্রæত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাসহ পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন অভিভাবক ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
জানাগেছে, ১৯৭৪ সালে আমতলী উপজেলার দক্ষিণ রাওঘা গ্রামে শিক্ষানুরাগী মোঃ আফসার উদ্দিন মাষ্টার দক্ষিণ রাওঘা নুর আল আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। নব্বই দশকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোঃ সামসুল আলম নিয়োগ পান। তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েই শুরু করেন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা। গত ত্রিশ বছরে তিনি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাকে যথাযথ সম্মানটুকু দেয়নি এমন অভিযোগ প্রতিষ্ঠাতার জেষ্ঠ পুত্র গাজী মোঃ গোলাম মোস্তফার। ২০২০ সালে প্রধান শিক্ষক নিজের মত করে তার আত্মীয় তৎকালিক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধাকে সভাপতি করে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়। গত তিন বছরে তিনি পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করেননি। প্রধান শিক্ষক বারবার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা ও তার স্ত্রী মোসাঃ শিমুল ইসলামকে এডহক কমিটির সভাপতি করে আসছেন। বিদ্যালয় অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তার নিজের অনিয়ম ধামাচাপা দিতেই পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন না করে বারবার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীকে এডহক কমিটির সভাপতি করছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরেছে। কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসছেন না বলে অভিযোগ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগের নামে ৬/৭ জনের কাছ থেকে অন্তত অর্ধকোটি টাকা ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জিয়াউল হক নামের একজন প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলমের বিরুদ্ধে গত ১ মার্চ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতে বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিককে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান এ মামলা তদন্তের জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য্য করেছেন।
বরিবার সরেজমিনে বিদ্যালয় ঘুরে দেখাগেছে, বিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আসলেও কোন শিক্ষক নেই। দুই ঘন্টা পরে (১১ টায়) প্রধান শিক্ষক আসলেও কোন সহকারী শিক্ষক আসেননি। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ইচ্ছামত ছুটাছুটি করছে।
শিক্ষার্থী তাহসিন, রাকিব, মুছা ও মোঃ রাহাত বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। তিনি না আসার কারনে সহকারী শিক্ষকরাও নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। ফলে ঠিকমত ক্লাসে পাঠদান হচ্ছে না। তারা আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রায়ই বিদ্যালয় না এসে তাবলিগে যান।
স্থানীয় হাসান খাঁন, লেলিন মোল্লা, অপু গাজী ও হানিফ খাঁন বলেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলমের স্বেচ্ছাচারিতা ও খামখেয়ালিতে বিদ্যালয়টি ধ্বংসের মুখে। তিনি বিদ্যালয়েতো আসেনই না তারপর গত তিন বছর ধরে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করছেন না। নিয়োগ বানিজ্যসহ তিনি তার নানাবিধ অনিয়ম চামাচাপা দিতেই বারবার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম মৃধা ও তার স্ত্রী শিমুলকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠন করছেন। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও নিয়োগ বানিজ্যের তদন্ত করে দ্রæত পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন তারা।
মামলার বাদী মোঃ জিয়াউল হক বলেন, আমার বাবা এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন আমাকেই টাকা দিয়ে চাকুরী নিতে হবে। আমাকে চাকুরী দেয়ার নামে প্রধান শিক্ষক তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন। চাকুরীতো দিচ্ছেনই না উল্টো টাকা ফিরিয়ে না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলম চাকুরী দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এডহক কমিটি গঠনের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছুই বলতে পারবো না। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেননি তিনি?
বিদ্যালয় এডহক কমিটির সভাপতি মোসাঃ শিমুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোন টাকা নেয়নি। এগুলো মিথ্যা কথা। তবে বারবার এডহক কমিটির সভাপতি আপনি এবং তার স্বামী শহীদুল ইসলাম মৃধা হওয়ার প্রসঙ্গ তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিয়াউল হক মিলন বলেন, এডহক কমিটি গঠনের বিষয়টি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের, আমার না। আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পাবরো না। তবে বিদ্যালয়ে শিক্ষক না আসার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
|
|
|
|
মো:রাসেল মোল্লা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভায় অবস্থিত সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলি চাইল্ড আইডিয়াল স্কুল। স্কুলটি ২০০৩ সালে স্থাপিত হয়েছে এবং সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তাইজদ্দিন সিকদার।
অত্র বিদ্যালয়টি শুরুতে প্লে থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত চললেও হাটি হাটি পা পা করে আজ এস.এস.সি পরীক্ষা দিচ্ছে এই বিদ্যালয় থেকে।
গত ১৮ই এপ্রিল মঙ্গলবার অত্র বিদ্যালয়ের এস.এস.সি ১ম ব্যাচের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাইজদ্দিন সিকদার , মৈকুলী আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মেহেদী হাসান , শওকত আলী মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুক, কামসাইর ইমান ভূঁইয়া ক্রিয়েটিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নওয়াব ভূঁইয়া এবং অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ, অভিভাবক বৃন্দ প্রমূখ।
স্কুলের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের মাঝে ফাইল,কলম,স্কেল,পেন্সিল,রাবার, কাটার ও প্রবেশ পত্র বিতরণ করা হয়।
পরে দোয়া ও ইফতারি করার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।
রিপোর্ট
নির্বাহী সম্পাদক
দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
|
|
|
|
উম্মে সালমা উর্মি
স্টাফ রিপোর্টার
সম্প্রতি, সফলভাবে চার মাসের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমির প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। প্রশিক্ষণ শেষে ২৪ জন শিক্ষার্থীকে একাডেমির পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট
প্রদান করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান এবং হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ঝ্যাংচেং। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া পাবলিক রিলেশনস ডিপার্টমেন্টের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার নাজিয়া সামান্থা ইসলাম সহ শিক্ষাবিদগণ ও বুয়েটের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল রাউটিং ও সুইচিং (আইপি নেটওয়ার্কস) এবং ফাইভজি’র (সেলুলার অ্যান্ড মোবাইল নেটওয়ার্কস)। ২৪ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪ জন শিক্ষার্থী রাউটিং ও সুইচিং নিয়ে এবং ১০ জন শিক্ষার্থী ফাইভজি নিয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। হুয়াওয়ে অথোরাইজড ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যাকাডেমি (এইচএআইএনএ) এই কোর্স ডিজাইন করা হয় ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এছাড়াও, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের তিন হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হয় এই একাডেমিতে। এই একাডেমির লক্ষ্য পরবর্তী ব্যাচগুলোতে ১৯টি আলাদা বিষয়ে ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম পরিচালনা করা।
অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, “শিক্ষার্থীদের জন্য এখন আর শুধুমাত্র একাডেমিক জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। এই একাডেমির সাথে হুয়াওয়ের যে সংশ্লিষ্টতা আছে তার ফলে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও ভালভাবে জানতে পারছে। অর্জন করতে পারছে আন্তর্জাতিক সনদ যা তাঁদের জন্য সুফল বয়ে আনবে। এর মাধ্যমে তাদের কাজের সুযোগ আরও বিস্তৃত হবে এবং এই প্রশিক্ষণ তাদের ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।”
হুয়াওয়ের ঝ্যাংচেং বলেন, “বাংলাদেশে একটি উন্নত আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এবং শিক্ষার্থীদের প্রাসঙ্গিক আইসিটি দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এই একাডেমির প্রতি তরুণ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখে আমরা আনন্দিত। প্রথম ব্যাচের সকল অংশগ্রহণকারী যারা প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন।”
উল্লেখ্য, আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে আইসিটি একাডেমি স্থাপন করছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের আইসিটি সংশ্লিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে হুয়াওয়ে এর ষষ্ঠ আইসিটি একাডেমি সম্প্রতি কুয়েটে প্রতিষ্ঠা করেছে।
|
|
|
|
মোঃ আফজাল হোসেন,
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনির সন্মুখে খনি এলাকাবাসীদের জন্য স্থাপিত জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সমাজ কল্যাণ সংস্থা জিটিসি চ্যারিটি হোম কার্যালয় থেকে গতকাল শনিবার দুপুর ২.০০ টায় পাথর খনির শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত ৫২ জন শিক্ষার্থীকে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকাবাসীর জন্য সামজিক কল্যানমূলক কার্যক্রমের পরিচালনার লক্ষ্যে স্থাপিত জিটিসি চ্যারিটি হোমে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত খনি শ্রমিকদের সন্তানদের ৫২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন জিটিসি’র নির্বাহী পরিচালক জনাব মোঃ জাবেদ সিদ্দিকী এর পক্ষে উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদ হোসেন। পরে সদ্য এমপিওভুক্ত মধ্যপাড়া মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য বিগত মাসগুলোর আর্থিক সহায়তার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চলতি এপ্রিল মাসের জন্য কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ ওবায়দুর রহমানের হাতে আর্থিক অনুদানের অর্থও প্রদান করা হয়।
মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষন এবং উৎপাদন কাজে নিয়োজিত দেশীয় একমাত্র মাইনিং কোম্পানী জার্মানীয়া কর্পোরেশন লিমিটেড ও বেলারুশ কোম্পানী ট্রেস্ট এস এস এর যৌথ প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) তাদের অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিক সহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মাঝে সেবামূলক এবং সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে শ্রমিকদের উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত সন্তানদের মাঝে মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ সেবা প্রদান সহ মধ্যপাড়া পাথর খনির এলাকাবাসীর জন্য বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে সমাজ কল্যাণ সংস্থা “জিটিসি চ্যারিটি হোম” স্থাপন করেছে। খনি এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন বাড়াতে এলাকার বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছে জিটিসি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য যে, জিটিসি’র স্থাপিত চ্যারিটি হোমে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা সপ্তাহে ০৫ দিন খনি এলাকার সর্ব সাধারনের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
|
|
|
|
মো: রাসেল মোল্লা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দুর্নীতিবাজ শিক্ষা অফিসার জাহেদা আখতার ছয় বছর পর হবিগঞ্জের মাধবপুরে বদলি হওয়ায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ আব্দুল আলীম এ আদেশ দেন। গতকাল ৩ এপ্রিল সোমবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহেদা আখতার কোন রকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বিদায় নিয়েছেন।
জানা গেছে, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিন শতাধিক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামো সংস্কার, মেরামত ও রং করার জন্য প্রতি স্কুলে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। স্লিপ ফান্ডের টাকা বরাদ্দ আসে ৫০ হাজার টাকা করে। এসকল টাকা বরাদ্দের বিপরীতে উৎকোচ ছাড়া কোন কাজ করা যায়নি। সরকারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক বরাদ্দের টাকা থেকেও উৎকোচ দিতে হয়। স্লিপ বাবদ বিদ্যালয় বরাদ্দ ,বার্ষিক ক্যালেন্ডার, সিলেবাস, প্রশ্ন প্রণয়ন, শিক্ষা উপকরণ শিক্ষকদের বাধ্যতামূলক ক্রয় করতে হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিয়োজিত ব্যক্তির কাছ থেকে এসকল শিক্ষা উপকরণ ক্রয় করতে হচ্ছে। শিক্ষা অফিসারের নিজস্ব ব্যবসা এইভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মানী থেকে শতকরা পাঁচ টাকা, বিদ্যালয় সংস্কার কাজের অর্থ উত্তোলনে শতকরা চার টাকা হারে ঘুষ আদায় ছিলো উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহেদা আক্তারের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। উৎকোচ ছাড়া গত ছয় বছরে কোন কাজ হয়নি। মিলছেনা কোন প্রতিকার। জিম্মি হয়ে পড়ে শিক্ষকরা। ধাপে ধাপে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উৎকোচের চাহিদা বাড়তে থাকে। প্রতিবাদ করলেই শিক্ষকদের বদলি করা হয়। এছাড়া মাতৃত্বের ছুটি, বদলী, পেনশন, মাল্টিমিডিয়া ও ল্যাপটপ বিতরণ এবং তালিকা প্রণয়ন কিছুই টাকা ছাড়া হয়নি।
বেশ ক‘জন প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ক্ষুদ্র মেরামতসহ বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করে বিল তুলতে গেলে কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে হয়। এ প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে শিক্ষা অফিসারকে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত ঘুষ প্রদান করতে হয়। অবৈধ টাকা লেনদেনের জন্য ২/৩ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যম হিসাবে তারাই উৎকোচ গ্রহন করে কাজ সম্পন্ন করে দেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ঢাকায় থাকেন। প্রতিদিন সময়মতো অফিসও করেননা। অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহেদা আখতার বেপরোয়া হয়ে উঠে। জৈনক সচিবের ঘনিষ্টজন হিসাবে বার বার বদলী ঠেকিয়ে এখানে বহাল তবিয়তে ছিলেন জাহেদা আক্তার। সেই সচিব প্রায়ই উপজেলা শিক্ষা অফিসে বেড়াতে আসেন। কখনও কখনও আশপাশের রেস্টুরেন্টে তারা আড্ডায় মেতে উঠতেন।
তারাবো পৌরসভার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলতি অর্থ বছরে রূপগঞ্জের ১১৫ স্কুলে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা স্লিপ ফান্ড থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দের এ স্লিপ ফান্ডের টাকা উত্তোলনে স্কুল প্রতি ৪শ’ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করা হয়। প্রতি স্কুল থেকে ১২ দশমিক ৫০ টাকা হারে ভ্যাট আদায় করা হয়। আদায়কৃত ভ্যাটের টাকা পুরোপুরি সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়নি। যা তদন্ত করলে সততা পাওয়া যাবে।
কয়েকজন কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহেদা আখতারের স্বেচ্ছাচারিতায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই সকল বিষয়ে এখনও বই পায়নি। কবে নাগাদ পাবে তা তারা এখনো জানেনা। বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে এখনো বিনামূল্যের পাঠ্যবই পৌছায়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহেদা আখতার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তবে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বরাদ্দ কম থাকায় এখনও শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেয়া সম্ভব হয়নি।
রিপোর্ট
নির্বাহী সম্পাদক
দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান নির্বাহী সম্পাদক: মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, বার্তা সম্পাদক: মাসুম হাসান৷ সহকারী-বার্তা সম্পাদক লাকী আক্তার । ফোন: বার্তা বিভাগ- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com, facebook- notunbazar / সম্পাদক dhaka club
|
|
|
|