| বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   কৃষি -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
নবাবগঞ্জে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী-২০২৪ উদ্বোধনী /সমাপনী অনুষ্ঠান

মোঃ জুলহাজুল কবীর

নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর প্রতিনিধি 

 

সারা দেশের সাথে সংগতি রেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এর আয়োজনে, প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর ভার্চুয়াল শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রাণী সম্পদে ভরবো দেশ,গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী-২০২৪ উদ্বোধনী /সমাপনী অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান , মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান । উপস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ অজয় চন্দ্র। এ মেলায় উপজেলার বিভিন্ন খামার থেকে উন্নত জাতের গরু, ছাগল, হাস মুরগী, কবুতরসহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির পণ্য মেলায় স্টল দিয়ে প্রদর্শন করা হয়।

নবাবগঞ্জে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী-২০২৪ উদ্বোধনী /সমাপনী অনুষ্ঠান
                                  

মোঃ জুলহাজুল কবীর

নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর প্রতিনিধি 

 

সারা দেশের সাথে সংগতি রেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এর আয়োজনে, প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর ভার্চুয়াল শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রাণী সম্পদে ভরবো দেশ,গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী-২০২৪ উদ্বোধনী /সমাপনী অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান , মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আসাদুজ্জামান । উপস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ অজয় চন্দ্র। এ মেলায় উপজেলার বিভিন্ন খামার থেকে উন্নত জাতের গরু, ছাগল, হাস মুরগী, কবুতরসহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির পণ্য মেলায় স্টল দিয়ে প্রদর্শন করা হয়।

বিরামপুরে সাথী ফসল আবাদ করে লাভবান কৃষক আব্দুল কাদের
                                  

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় সাথী ফসলের চাষ ব্যাপক হারে বাড়ছে। বর্তমানে সাথী ফসলসহ দুই বা তারও বেশি ধরনের ফসল চাষ করা হচ্ছে ছোট যমুনা নদী বিধৌত বিরামপুরে।

মূলত কৃষি ও মৎস চাষ এ উপজেলার মানুষের প্রধান আয়ের উৎস। এখানকার কৃষকরা আগে ফসলি জমিতে শুধু ধান চাষ করতেন। তাতে খুব একটা লাভ হতো না তাদের। এখন তারা জমিতে চাষ করছেন সাথী ফসল। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে একই সঙ্গে একাধিক ফসল চাষ।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান, কৃষি খাতকে উন্নয়নমুখী ও লাভজনক করতে বিরামপুর উপজেলার জমিকে দুই ফসলি করার চেষ্টা চলছে। তারই ধারাবাহিকতা এই সাথী ফসল চাষ। সাথী ফসল হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে সবজি।

বিরামপুর উপজেলার পৌরশহরের ৬ নং ওয়ার্ডের হাবিবপুর রামপুরা গ্রামের মৃত কাছাব উদ্দিনের ছেলে কৃষক আব্দুল কাদের এ বছর সাথী ফসল হিসেবে করলার সাথে শসা,লাউ এবং ফুল কপির সাথে কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। তিনি জানান করলার সাথে শসা এবং করলা তোলা শেষ। এখন চলছে লাউয়ের পরিচর্যা। এ বছর প্রায় ১৩২ শতাংশ (৪ বিঘা) জমিতে সাথী ফসল চাষ করেছেন বলে তিনি জানান।

তিনি ২ বিঘা জমিতে করলার সাথে শসা,লাউ আবাদ করছেন।ইতি মধ্যে সে ৭০ হাজার টাকা করলা বিক্রয় করেছেন এবং আরো ৮০ হাজার টাকার বিক্রয় হবে বলে তিনি আশা করছেন। এছাড়াও ১ বিঘায় ফুল কপির সাথে কাঁচা মরিচ এবং আর ১ বিঘায় ফুল কপির সাথে বাঁধা কপি চাষ করেছেন।

কৃষক আব্দুল কাদের জানান একই খরচে অল্প সময়ে দুই ফসল পাওয়ায় লাভবান তিনি। তিনি ৪ বিঘা জমি চাষে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয় বলে জানিয়েছেন।৪ বিঘা জমির ফসল বেশীরভাগ সময় জমিতে বিক্রয় হয় এবং মাঝে মধ্যে নিজে বাজারে বিক্রয় করে ৬ লক্ষ টাকার বেশি আয় হয়।পরপর একাধিক ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছেন জানিয়ে কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, তবে এ ক্ষেত্রে পরিবারের লোকজনকে শ্রম দিতে হয় বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ ফিরোজ আহমেদ জানান, বিরামপুরে ফসলি জমিকে দুই ফসলি করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় বিরামপুর উপজেলায় ২৪ হেক্টর জমিতে সাথী ফসল আবাদ করা হয়েছে।তা ছাড়া সাথী ফসল চাষাবাদের প্রতি কৃষকদের আগ্রহও অনেক।সাথী ফসলে বাড়তি খরচ খুব একটা নেই বলে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষকের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে যুগান্তকারী সমাধান নিয়ে এলো আইফার্মার
                                  

স্টাফ রিপোর্টার 

 

নির্ভরযোগ্য সেবাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কৃষি যন্ত্রপাতি যেন এক জায়গায় পাওয়া যায় সে লক্ষ্যে অ্যাগ্রি মেশিনারি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার চালু করেছে আইফার্মার। এই সেন্টার থেকে কৃষকরা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মেশিনারি সম্পর্কে জানা, সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ও অর্ডার করার সুযোগ পাবেন। বগুড়ার শেরপুর ও শাজাহানপুর এবং জয়পুরহাটের কালাই, উত্তরাঞ্চলের এই তিন উপজেলায় সম্প্রতি এই এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারগুলো চালু করা হয়।

সাধারণত, কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে কৃষকদের নানান দোকান ঘুরতে হয়। সেক্ষেত্রে, বেশিরভাগ সময়ই তাদের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে না; অনেকক্ষেত্রে তারা ওয়ারেন্টি ও ক্রয়-পরবর্তী সেবাও ঠিকমতো পান না। অনেক সময় তাদের চড়া সুদে ঋণ নিতে হয়, তাও আবার কেবলমাত্র উচ্চমূল্যের উপকরণের ক্ষেত্রেই এ সুযোগ পাওয়া যায়। কৃষকের জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা, বিক্রয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে এই অ্যাগ্রি মেশিনারি একপেরিয়েন্স সেন্টারগুলো।

সকল ব্র্যান্ড ও আমদানিকারকের ছোট, মাঝারি বা বড় সকল ধরণের যন্ত্রপাতি এখন এক জায়গাতেই পাওয়া যাবে। কৃষকরা সেখান থেকে সরাসরি অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন ও যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবেন। এখান থেকে ক্রয়-পরবর্তী সেবাও পাবেন তারা। চমৎকার বিষয় হচ্ছে, এসব এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার থেকে কৃষকরা যেকোনো যন্ত্রপাতি ৪ থেকে ১২ মাস মেয়াদী ইএমআই বা ক্রেডিটে কেনার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে আর্থিক চাপ কমিয়ে আনতে সুবিধাজনক পেমেন্ট পদ্ধতিরও ব্যবস্থা থাকবে।

অসাধারণ এই উদ্যোগের বিষয়ে আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশে ১ কোটি ৬৫ লাখ কৃষক পরিবার রয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। তারা দেশের জিডিপিতে সাড়ে ১২ শতাংশ অবদান রাখছেন। এসব কৃষককে ওয়ান-স্টপ সমাধান দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। কৃষি প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে অ্যাগ্রি মেশিনারি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার চালু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। একটি স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কৃষির দিকে যাত্রায় এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী আমরা।”

এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার ঘুরতে আসা কৃষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, “আইফার্মার চমৎকার একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি গত ৯ মাস ধরে তাদের সেবা নিচ্ছি। আমি তাদের কম খরচের আর্থিক সহায়তা নেয়া শুরু করেছি এবং সম্প্রতি ইএমআই দিয়ে তাদের কাছ থেকে পাওয়ার টিলার কিনেছি। এতে করে আমার ওপর অনেকখানি চাপ কমেছে। আগে আমাদের যন্ত্রপাতির খরচ নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তা করতে হতো, কিন্তু এখন আমরা আমাদের ফসলের জন্য খুব সহজেই যন্ত্রপাতি পেয়ে যাচ্ছি, আবার তা পরিশোধও করছি আস্তে আস্তে। এই এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের সিস্টেম আমার ভালো লেগেছে, কারণ এখানে আমরা কেনার আগেই বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি।”

আইফার্মার বর্তমানে তিনটি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার নিয়ে কাজ করছে। তবে, সামনের দিনগুলোতে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অ্যাগ্রি মেশিনারি এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ এবং আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জামিল মহিউদ্দিন আকবর ৷ 

কর্তৃপক্ষ নিরব কাউনিয়ায় কারেন্ট ও চায়না ভয়ঙ্কর জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
                                  

সারওয়ার আলম মুকুল, 

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

রংপুরের কাউনিয়ায় নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না জাল দিয়ে অবাধে চলছে মাছ শিকার। ফলে বিলুপ্তি ও চরম হুমকিতে রয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ বিভিন্ন প্রকার জলজ প্রাণী। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর বর্তমানে বেশী চালু হয়েছে চায়না দুয়ারী রিং জালের ব্যবহার। চায়না জাল ও কারেন্ট জালে নদ-নদী, খাল-বিল জুড়ে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত দেশীয় মাছ ধরা পড়ছে চায়না জালে। এতে করে দিনদিন মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে নদ-নদী, খাল-বিল ও ডোবা-নালা গুলো। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বাজার বিক্রি করছে ভংঙ্কর এসব জাল, আর এক শ্রেণীর মানুষ চায়না জাল ও কারেন্ট জাল কিনে নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। প্রতিনিয়তই মাছ ধরার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। 

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় ঘুরে দেখাগেছে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে মাছ নিধনে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এবার ভয়ঙ্কর চায়না জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির মাছ। জালে ধরা পড়ে শুধু মাছই নয়, জলাশয়ে থাকা কোনো জলজ প্রাণীও রক্ষা পাচ্ছে না। চলতি মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে মাছের প্রজননও কম হয়েছে। এরপর নিষিদ্ধ কারেন্ট ও রিং জালের ব্যবহারে দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে উপজেলার জেলে পরিবার গুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে সহ¯্রাধিক জেলে পরিবার রয়েছে। তারা সারা বছর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে এসে কিছুটা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু অসাধু মাছ শিকারির রিং জালে এসব মাছ ধরা পড়ায় মাছের প্রজনন বৃদ্ধি চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এক দিকে যেমন দেখা দিয়েছে মাছের সংকট অন্যদিকে বিপাকে পড়েছে জেলে পরিবার। এভাবে কারেন্ট ও চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরলে কিছুদিন পর নদীতে আর কোনো মাছ পাওয়া যাবে না। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, সকল প্রকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা বেআইনি। মাছ শিকারে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার না করার জন্য প্রচার প্রচারণা চলমান রয়েছে। আমরা নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক বলেন, এই নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এই নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হবে। 

 

তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি, কলেজ মাঠে পাট ধুচ্ছে কৃষক
                                  

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

ভারতের গজল ডোবায় তিস্তা নদীর বাঁধের সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের ডালিয়া পয়েন্টে হঠাৎ করেই পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানি ছেরে দিলে রংপুরের কাউনিয়া ও লালমনিরহাট সদরের গোকুন্ডা ইউনিয়নে তিসতা ডিগ্রী কলেজসহ নি¤œাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হঠাৎ করে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে তিসতা ডিগ্রী কলেজ মাঠে পানি জমে যায়, সেই পানিতে পাট চাষিরা তাদের জাক দেয়া পাট মনে আনন্দে ধুয়ে নিচ্ছে। পাট ধোয়া একজন শ্রমিক জানান, বেশ কিছু দিন বৃষ্টি ছিল না, হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে কিন্তু আমাদের পাট ধোয়ার জন্য সুবিধা হয়েছে। কলেজ মাঠে শান্তি মতো পাট ধুতে পাচ্ছি। তিসতা কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ¦ আব্দুস সালাম আজাদ জানান, গত রাতে হঠাত করে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে কলেজ পাঠে প্রায় এক বুক পানি জমে যায়। এখন পানি কমতে শুরু করেছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদদৌলা বলেন, পরিস্থতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, `তিস্তার পানি গত সোমবার রাতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কিন্তু এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। তবে তিস্তাপাড়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

 

আইফার্মার ও ইউসিবি’র ভিন্নধর্মী উদ্যোগ শতভাগ ঋণ পরিশোধ করলেন ভুট্টা চাষিরা
                                  

উম্মে সালমা উর্মি

স্টাফ রিপোর্টার 

 

চুক্তিভিত্তিক চাষপদ্ধতিতে ভুট্টা চাষিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্য নিয়ে গত

বছরের নভেম্বরে ইউনাইডেট কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র (ইউসিবি) সহযোগিতায় একটি প্রকল্প চালু করে ফুল-স্ট্যাক

অ্যাগ্রিটেক স্টার্টআপ আইফার্মার। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকরা মাত্র ১০ টাকায় ইউসিবি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট

খোলার সুযোগ পান। পাশাপাশি, তারা আইফার্মার থেকে আর্থিক সুবিধা ও অন্যান্য কৃষি-ভিত্তিক সহায়তা পান। সম্প্রতি

সফলভাবে ভুট্টা চাষ ও বিক্রয় করার পর চাষিরা ঋণের পুরো অর্থই পরিশোধ করেন।

আইফার্মার ও ইউসিবি’র সহায়তায় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও গাইবান্ধার চরাঞ্চলের ভুট্টা চাষিরা এই আর্থিক সুবিধা

গ্রহণ করেন। এছাড়া, আইফার্মার সময় উপযোগী তথ্য-উপাত্ত, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও বিশেষজ্ঞ সেবা দিয়ে চাষিদের

সাহায্য করেছে। আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পরপরই চাষিরা কাজ শুরু করেন। এই পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে

আইফার্মারের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা চাষিদের নিয়মিত সহায়তা প্রদান করেন এবং পর্যবেক্ষণে রাখেন।

নানান প্রতিকূলতা সত্ত্বেও চাষিরা ভুট্টার বাম্পার ফলন নিশ্চিত করতে সক্ষম হন। আইফার্মার তাদের নিজস্ব

সরবরাহ-শৃঙ্খলের (সাপ্লাই চাইন) মাধ্যমে চাষিদের সকল ভুট্টা কিনে নিয়ে অর্থ পরিশোধ করে। মোট ৫৩৫ জন কৃষককে

২ কোটি ৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকার আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়। আইফার্মার রিটেইল-ভিত্তিক অর্থায়নের মাধমেও বেশ

কয়েকজন কৃষকের জন্য তহবিল নিশ্চিত করে। এছাড়া, আইফার্মার পরিচালিত একটি অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় দেখা যায়,

এই প্রকল্পে আইফার্মারের তত্ত্বাবধানে যারা ঋণ গ্রহণ করেছেন তারা লাভবান হয়েছেন। যেসব চাষি আগের বছর অন্য

কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন তারা গত বছরের তুলনায় এই বছর ৫০-৬৭ শতাংশ মূলধন সাশ্রয়

করতে সক্ষম হয়েছেন। কৃষকরা মোট ৪,০৩৩.১২ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদন করেছেন।

এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে আইফার্মারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাহাদ ইফাজ বলেন, “আমরা চাষিদের আর্থিক

অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে

ব্যাংক। আগামীতে আরও বেশি চাষির কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা নিরলস কাজ করে যাবো।”

ইউসিবি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এটিএম তাহমিদুজ্জামান বলেন, “কৃষকদের জন্য আর্থিক সেবা সহজলভ্য

করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। আইফার্মার এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।”

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চর এলাকার বাসিন্দা কৃষক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন,

“আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে আমি ঠিকমতো জমি চাষ করতে পারছিলাম না। পরে আমি আইফার্মারের আর্থিক

সহায়তার কথা জানতে পারি। এই প্রকল্পের অধীনে আইফার্মার এর সহায়তায় ইউসিবি থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ

করে ২৭০ ডেসিমেল জমি চাষ করি। আমি এ বছর ১৪,৪৪০ কেজি ভুট্টা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। আইফার্মারের এই

আর্থিক সহায়তার কারণে আমি ভাল মুনাফা অর্জন করার পাশাপাশি সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পেরেছি।”

উল্লেখ্য, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে চরাঞ্চলের কৃষকরা এবারই প্রথম আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে

অন্তর্ভুক্ত হলো। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে আইফার্মার প্রতি বছর এমন উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

কাউনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ
                                  

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

কাউনিয়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল খেলার উপজেলা পর্যায়ে ফাইনাল খেলা সোমবার বিকালে মোফাজ্জল হোসেন সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা পর্যায়ে ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল ইসলাম, আঃ মজিদ, প্রত্যাশার আলো পত্রিকার সম্পাদক সারওয়ার আলম মুকুল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শায়লা জেসমিন সাঈদ, সহকারী শিক্ষা অফিসার রঞ্জু আলম, আঃ লতিফ, এসএম আল মামুন, প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বুলবুল, শাহ ইকবাল হোসেন, আশফিকা বুলবুল পেস্তা প্রমূখ। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ খেলায় খিদরা উপনচকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সারাই দরজিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কে ২-১ খোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়। শ্রেষ্ঠ খেলোয়ার নির্বাচিত হয় আকাশ। বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ খেলায় বড়–য়াহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় খোপাতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১-০ গোলে পরাজিত কওে বিজয়ী হয়। শ্রেষ্ঠ খেলোয়ার নির্বাচিত হয় মেঘলা।

 

কাউনিয়ায় খড়ায় পুড়ছে আমন ক্ষেত, দিশেহারা চাষিরা
                                  

সারওয়ার আলম মকুল,

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল। বর্ষা মৌসুমে আমন ধান রোপনের উপযুক্ত সময়। ভরা বর্ষা মৌসুমে কাউনিয়া উপজেলায় বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়া ও টানা খরার কবলে পড়ে আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আমন ক্ষেত রক্ষায় কৃষকেরা সম্পুুরক সেচ দিয়ে ফসল রক্ষার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সম্পুরক সেচ প্রদানে অতিরিক্ত খরচে কৃষকের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার। ফলে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা করছে স্থানীয় চাষিরা। 

সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি বছর আষাঢ়-শ্রাবণ মাসেই বৃষ্টির পানিতে আমন চারারোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন কৃষকরা। এবার দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে পানি সঙ্কট চরম আকার ধারন করেছে। পানির অভাবে কৃষকরা চারারোপণ করতে পারছেন না। বৃষ্টি না থাকায় মাঠের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে আমন চাষীদের সেচ পাম্পের পানিই এখন একমাত্র ভরসা। এতে কৃষকদের আমন চাষে অনেক খরচ বাড়বে। আমন চারা রোপনের সময় জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য ড্রেন নির্মান না করায় অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছে। উপজেলার শিবু গ্রামের কৃষক হাফিজ উদ্দিন বলেন শ্রাবণ মাসের ৩য় সপ্তাহ পার হয়ে যাচ্ছে পানির অভাবে জমিতে ধান লাগাতে পারছি না, বাধ্য হয়ে সেচের ব্যবস্থা করে জমি লাগাতে হবে। রাজিব গ্রামের কৃষক মহসিন আলী, জানান আকাশে মেঘ জমলেও প্রায় চার সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির দেখা নাই। বৃষ্ঠি হয় হয় করেও এক সপ্তাহ দেখার পর ক্ষেতে শ্যালো বসিয়ে পানি দিচ্ছি। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাকে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে। নি¤œ মধ্যবিত্ত কৃষকেরা ১শ টাকা ঘন্টা দরে সেচের পানি ক্রয় করে জমিতে পানি দিতে গিয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে। গদাই গ্রামের কৃষক গফুর আলী জানায় প্রতি দিন চাতক পাখির মতো আকাশ পানে চেয়ে আছি পানির জন্য কিন্তু বৃষ্টির দেখা নাই। আকাশে মেঘ জমে একটু বৃষ্টি পরতে ধরে বন্ধ হয়ে যায়। এর পর শুরু হয় ভ্যাপসা গরম। এ ছাড়াও অনেক এলাকায় আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে মোনাজাত করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন বলেন, উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১১হাজার ৪শ ৫৮ হেক্টর জমিতে। বন্যা ও কিছুবৃষ্টির পর কৃষকেরা প্রানপন চেষ্টা করে আমন রোপন শুরু করে কিন্তু বর্তমানে খরা ও অনা বৃষ্টির কারনে এ পর্যন্ত ৬হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপন করা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আমরা আমন ক্ষেতে সম্পুরক সেচ দিতে পরামর্শ প্রদান করছে। বরেন্দ্র প্রকল্পের ২৫টি গভীর নলকূপ ও ২৫০২টি অগভীর নলকূপ চালু রেখে কৃষকেরা জমিতে সম্পুরক সেচ প্রদান করে ক্ষেত রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী ২৫ আগষ্ঠ পর্যন্ত আমন রোপন স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। লক্ষ্য মাত্রাও অর্জন হবে বলে তিনি আশা করছেন। 

দাম পেয়ে কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কাউনিয়ার চাষীদের
                                  

সারওয়ার আলম মুকুল, 

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কৃষকরা ধান, মাছ ও সবজি সহ বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। কম খরচে বেশী লাভের আশায় কলা চাষ দিন দিন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছল হচ্ছেন চাষিরা। 

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা গেছে,এই উপজেলার মাটি দোআঁশ ও বেলে দোঁআশ হওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদের ক্ষেত্রে ধান চাষকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। খোপাতি ও হলদীবাড়ি সহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা পুরনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে লাভজনক ফসল হিসেবে কলা চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে কলার বাগান ছিল না। কিন্তু খোপাতি ও হলদীবাড়ি গ্রামে এখন বাণিজ্যিক ভাবে কলার বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছে অনেক কৃষক। তবে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখনো জমির আঁইলে, পুকুর পাড়ে, বাঁশঝাড়ে বিচিকলা, সবরি কলা, চাম্পা কলা, সাগর কলাসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করছে। এলাকার একাধিক কলা চাষীরা জানান, চলতি খরিপ-১ মৌসুমে ভাইরাসজনিত রোগবালাই ও মৌসুমি ঝড়ে অনেক কলা চাষির কলা নষ্ট হলেও কৃষি বিভাগ থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি। তবে এখন যে কলার বাগান রয়েছে তাতে ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে দামও গত বারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পাচ্ছে। উপজেলার খোপাতি, হলদীবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে কলার চাষ হচ্ছে। কলা চাষ করে উপজেলার অনেক কৃষক সাবলম্বী হচ্ছে। খোপাতি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, ৭৫ শতক জমিতে ৯০০ সাগর কলা গাছ রোপন করেছে, তার চাষ থেকে শুরু করে সব কিছু মিলে প্রতিটি কলা গাছে খরচ হয়েছে ৮০ টাকা, সে ৯০০ কলার ছড়ি বিক্রি করেছে ৩লাখ ২৫ হাজার টাকা। প্রতিটি গাছে তার লাভ হয়েছে ২৮০ টাকা করে। একই কথা জানালেন কলা চাষি নজরুল ইসলাম, তারাজুল ইসলাম,শহিদার তারাও কলার বাম্পার ফলন ও ভাল দাম পাবে বলে আশা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, উপজেলায় কলা চাষে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। বর্তমানে উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে। কলা চাষের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একই জমিতে কলা চাষের ফাঁকে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা যায় এবং কৃষকরা যেন বেশ লাভবান হয় সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগ সর্বাত্বক চেষ্টা কওে যাচ্ছে। 

ভালুকায় দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলিতে রূপান্তর
                                  

 

আবু ইউসুফ নিজস্ব প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলায় প্রতি বছরই চাষের আওতায় আসছে পতিত জমি। বোরো , আমন, আবাদ হচ্ছে এসব জমিতে।

 

ভালুকা উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শ ত্রুমে উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে উপজেলায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকের একই সঙ্গে দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করছেন। এ ছাড়া যেসব জমি কখনও চাষ করা হয়নি, এসব জমিতে শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে।

 

উপজেলার বনগাঁও, গ্রামের কৃষকেরা জানান, ফসল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। বিশেষ করে রবিশস্য ও বোরো ধান চাষ হচ্ছে। পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থা ও সরকারি প্রণোদনা প্রদান করলে আরও পতিত জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব। এ ছাড়া এক ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করে সবজি ও বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করছেন বলে জানান তারা।

 

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, আমারা বোর মৌসুম শেষে উপজেলার বনগাঁও গ্রামে কৃষকে দিয়ে এক হেক্টর জমিতে রোপা আমন, বি ধান ৭৫, বি ধান ৭২ , ধান চাষ করা হয়েছে । পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যেন কোন জমি পতিত না থাকে। এ ফসল উৎপাদনের পর আমরা একই জমিতে সরিষা চাষ শুরু করবো, তার পর আবার ধান চাষ করবো।

 

সরেজমিনে উপজেলার বনগাঁও গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরে কৃষকেরা সবজি ও বোরো ধানের প্রতি ঝুঁকছেন। তারা বিভিন্ন পতিত জমিতে সরিষা, আলু, শাকসবজি চাষ করছেন। এ ছাড়া বোরো ধানের বীজতলার জন্য পতিত জমি প্রস্তুত করছেন। কৃষিতে খরচ বাড়লেও সারা বছর সবজিতে ভাল দাম পাওয়া যায়। এ জন্য পতিত জমিসহ সব জমিতে চাষ বেড়েছে।

 

 

কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি আগে আমার জমিতে শুধু আমন ধান চাষ করতাম। আমন চাষ করে আমার পরিবারের খাদ্যের চাহিদায় ঘাটতি থাকতো। পরে একই জমিতে, আউশ, আমন ও বোরো ধান চাষ করছি। এখন পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে ধান বিক্রি করি।

 

 উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে। পর্যাপ্ত সেচ থাকলে আরও পতিত জমি চাষের আওতায় আসবে। কৃষকরা পতিত জমিতে সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। বর্তমান সময়ে কৃষকরা অতি সহজে এক ফসলি জমিতে দ্বি-ফসলি, তিন ফসলি ফসল উৎপাদন করছেন।

 

কৃষকদের সেচ ও প্রণোদনার বৃদ্ধি করার মাধ্যমে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব বলে মনে করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

কাউনিয়ায় চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামে বাদামের কাটামারী শুরু
                                  

সারওয়ার আলম মুকুল,

 কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

তিস্তা নদীর ভাঙ্গাগড়া খেলার সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকা চরের মানুষ গুলো জেগে উঠা চরে বাদাম চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়েছে। কাউনিয়া উপজেলায় ইতোমধ্যে বাদামের কাটামারী শুরু হয়েছে প্রায় প্রতিটি গ্রামে। চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা বেজায় খুশি। 

সরেজমিনে উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত চরগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রাম গুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি গ্রামে বাদামের কাটামারী শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে বাদাম চাষের লক্ষমাত্রা ছিল ৭৩০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ৮১৫ হেক্টর জমিতে। চরাঞ্চলে বেশির ভাগ বিনা-৪, বারি ৬-৮-৯ এর চাষ হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইয়েদুল ইসলাম জানান, তৈল জাতীয় ফসল চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু চাষিকে ৩৩ শতাংশ জমির জন্য বীজ সার ও আন্তঃ পরিচর্যায় আর্থিক সহযোগিতা ১৫০০০ টাকা করে কৃষকদের দেয়া হয়েছে। পৌরসভাসহ অন্যান্য ইউনিয়নেও দেয়া হয়েছে। হারাগাছ চর চতুরা গ্রামের কৃষক আলিফ উদ্দিন কবিরাজ জানান, কৃষিবিভাগের সহযোগিতায় সে ১২দোন, নুর ইসলাম ১০ দোন, বায়দুল ৪ দোন, মহুবর রহমান ৩ দোন জমিতে বাদাম চাষ করেছে। আলিফ উদ্দিন কবিরাজ ও মহুবর রহমান জানান লিজ, বীজ, কর্তন শুকানোসহ একদোন জমিতে তাদেও খরচ হয়েছে ১১ থেকে ১২ হাজার টাক। প্রতি দোনে ফলন হয়েছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ মণ। বর্তমান বাদাম প্রতিমন বিক্রি হয়েছে ৪৫০০ থেকে ৪৮০০ টাকা। চলতি মৌসুমে বাদাম চাষিরা অধিক লাভের আশা করছেন। বালাপাড়া ইউপি চেয়াম্যান আনছার আলী ও মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন দুটি তিস্তা নদী বেষ্টিত। ফলে বেশিরভাগ এলাকা নদীগর্ভে। নদীতে চর জেগে উঠায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে নদী পাড়ের মানুষ গুলো ব্যাপক বাদাম চাষ করছে। চাষিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হলে তারা বাদাম চাষে আরও আগ্রহী হবে। কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে লক্ষমাত্রার চেয়ে ৮৫ হেক্টর বেশী জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদামের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে কুষকরা বেজায় খুশি। কৃষকরা বাদাম চাষে লাভবান হওয়ায় আগামীতে আরও বাদাম চাষ বৃদ্ধি পাবে। কৃষি বিভাগ বাদাম চাষিদের প্রতিবছর বিনামূল্যে বীজ ও পরামর্শে দিয়ে সহায়তা করে আসছে। 

 

নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ করে কাউনিয়ায় বাজিমাত করেছে তালুকশাহাবাজের খামারী ভুট্টু
                                  

সারওয়ার আলম মুকুল,

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গত কয়েক বছরে ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক দুগ্ধ ও গরুর খামার গড়ে উঠায় গো-খাদ্য সংকট নিরশনে বিদেশী নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। ঘাস চাষ করে বাজিমাত করেছে তালুকশাহাবাজ গ্রামের খামারী ইন্দ্রজিৎ ভুট্টু। 

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারীদের কাছ থেকে জানাগেছে বছরের একটা সময় গো খাদ্য সংকটে তাদের পরতে হয় সেই সংকট নিরশনে তারা নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ করছে। ইদ্রজিৎ ভুট্টু জানান নেপিয়ার ঘাস দুগ্ধ জাত গাভীকে খাওয়ালে বেশী পরিমানে দুধ পাওয়া যায়, এছাড়াও গার্ভবতী গরুকে এ ঘাস খাওয়ালে বাছুর অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পায় এবং স্বাস্থ্যবান হয়। এসব কারনে এ ঘাসের জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি ঘাস বানিজ্যিক ভাবে অনেকে চাষ করছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিঞ্চিতা রহমান জানান ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রজেক্ট এর আওতায় ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গরুর খামারী এ ঘাসের চাষ করছে। এছাড়াও প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে কাটিং চারা বিভিন্ন চাষির মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তালুকশাহাবাজ গ্রামের বড় খামারী ইন্দ্রজিৎ ভুট্টুসহ অনেকে জানান তারা বেশ কয়েক বছর থেকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পরামর্শে নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ করে আসছে। তাদের দেখাদেখি আনেকেই এখন এ ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি ও ভাল দাম পাওয়ায় অনেকেই এ ঘাস চাষে ঝুকে পড়ছে। এ ঘাস চাষে তেমন কোন পুজির প্রয়োজন হয় না। তা ছাড়া উৎপাদন ব্যায় ধান চাষের চেয়ে তুলনা মুলক অনেক কম। ভুট্টু জানান, দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠার পর থেকে গো-খাদ্যের সংকটে ছিল, সে লালমনিরহাট মেলিটারী ফার্ম ও গাইবান্ধা থেকে কাটিং চারা এন চাষ শুরু করেন, বর্তমানে ৯২শতক জমিতে ঘাস চাষ করার পর থেকে এখন আর সংকট নেই। ঘাস না থাকলে তার খামারের জন্য ২ থেকে ৩ লাখ টাকার ঘাস কিনতে হতো। তিনি জানান ঘাস একবার লাগালে আর লাগাতে হয় না। ঘাসের গোড়া থেকে এক ফিট উপড়ে কাটলে পড়ে সেখান থেকে আবার ঘাসের আগা বের হয়। উপজেলার দরিদ্র চাষীদের পৃষ্টপোষকতা করলে এবং পরিত্যাক্ত খাস জমিতে লীজের মাধ্যেমে ঘাস চাষের ব্যবস্থা করলে এলাকায় গো-খাদ্য সংকট থাকবে না এবং কৃষকের বাড়তি আয়ের উৎস তৈরীসহ দুগ্ধ উৎপাদনে অগ্রনী ভুমিকা রাখবে। উপজেলা প্রণী সম্পদ বিভাগ জানায় রংপুর বিভাগের মধ্যে কাউনিয়া উপজেলা ইতি মধ্যে দুগ্ধ উৎপাদনে প্রথম স্থানে রয়েছে। এ উপজেলায় সরকারী বে-সরকারী মিলে প্রায় ২২হেক্টর জমিতে নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ হয়েছে। দুগ্ধ উৎপাদনের এ হাড় ধরে রাখতে সরকারী ভাবে এ ঘাস চাষে খামারীদের প্রনদনা প্রদান সহ ব্যাংক ঋণ প্রদানের ব্যাবস্থা করলে চাষিরা আরও উৎসায়ীত হবে। ইতি মধ্যে ঘাস বাজারজাত করন শুরু হয়েছে। কাউনিয়ায় দিন দিন ঘাস চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

 

কাউনিয়ায় কাঁচা মরিচের ঝাল বেড়েছে মরিচের দাম পেয়ে চরাঞ্চলের চাষীরা বেজায় খুশি
                                  

সারওয়ার আলম মুকুল, 

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

কাউনিয়ায় তিস্তার চরে এখনও মরিচের সমারোহ। ফলন ভালো, দামও বেশী। তাই গ্রাহকের কাছে মরিচের ঝাল বাড়লেও কৃষক কৃষাণীর ঘরে হাসি ফুটেছে। চরাঞ্চচলের চাষিরা বলছে মরিচ চাষে তাদেও ভাগ্য বদলে দিচ্ছে। 

সরেজমিনে কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্ঠিত ২৯টি চর ঘুরে দেখা গেছে মরিচ ক্ষেতের ঘণ সবুজে ঘেরা। চারিদিকে জমি গুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের কাঁচা পাকা মরিচ। গত তিন বছর ধরে কাঁচা মরিচের ভালো দাম পেয়েছে কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে কাউনিয়ার মরিচ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বর্তমানে বৃষ্টির ফলে মরিচ ক্ষেতের কিছুটা ক্ষতি হলেও এবার আবহাওয়া অনুক‚ল থাকায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানায় কৃষকরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায় গত বছরের চেয়ে এ বছর ৮৫ হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪১০ হেক্টর কিন্তু চাষ হয়েছে ৪৪৫ হেক্টর জমিতে। অধিকাংশ মরিচ ক্ষেতই হলো তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে। তিস্তা নদীর কোল ঘেষা চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিস্তার চরাঞ্চলে পলি ও উর্বর দোআঁশ মাটিতে ফলন ভালো ও অধিক দাম পাওয়ায় চাষীরা বেজায় খুশী। চর আরাজী হরিশ^র এলাকার কৃষক সোহরাব জানান বর্তমানে প্রতি কেজি মরিচের দাম ৭০ টাকা থেকে ৯০ টাকা হওয়ায ভালো লাভ হচ্ছে, তিনি জানান ৩৬ শতক জমিত মরিচ চাষ করে খরচ হইছে ১৬ হাজার টাকা আর মচির বিক্রি করেছে ৪৬ হাজার টাকা। একই কথা জানালেন গদাই গ্রামের আলামিন, রবিউল ও আঃ বাকি। তারা জানান ‘তিস্তার চরে মরিচ চাষ কওে তাদেও ভাগ্য বদলে গেছে। প্রানাথ চরের কৃষক কোরবান আলী জানান, তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত রফতানি হচ্ছে। উপজেলার ভায়ের হাট, খানসামা হাট, টেপামধুপুর হাট এবং তপিকল হাট ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি দেদারছে কেনাবেচা হচ্ছে মরিচ। তকিপল হাটের আড়ৎদার হাফিজার মেম্বার জানান, চলতি মৌসুমে মরিচ চাষিরা অনেক ভাল দামে মরিচ বিক্রি করেছে। তার আড়ৎ থেকে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, বগুড়া সহ বিভিন্ন জেলার পাইকার এসে প্রতিদিন প্রায় ২০০মন মরিচ নিয়ে যায়। একমাস আগেও মরিচ ৪০০০ টাকা মন দুওে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বাজার একটু নি¤œ মূখি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহনাজ পারভীন জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকদের সার্বক্ষনিক ট্যাকনিক্যাল পরামর্শ দেয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়াও তিস্তার জেগে ওঠা চরের জমিতে প্রচুর পলি পড়ায় এলাকার মাটির প্রকৃতি ও আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য উপযোগী। 

 

কাউনিয়ায় ৭০ জন কৃষকে মাঝে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের বীজ সার সহ উপকরন বিতরণ
                                  

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

কাউনিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উদ্যোগে পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য চারা, বীজ, সারসহ বিভিন্ন উপকরণ মঙ্গলবার বিতরণ করা হয়। 

উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে বিতরন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহনাজ পারভীন। এসময় আরো উপস্থিতি ছিলেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ ইশারত আলী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইয়েদুল ইসলাম, উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার, সাংবাদিক জসিম সরকার, সাইফুল ইসলাম, কৃষক কৃষানীরা। কৃষি কর্মকর্তা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জায়গা ব্যবহার করতে অনাবাদি পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় কাউনিয়ায় ৭০টি পুষ্টি বাগান স্থাপনের লক্ষ্যে ৭০জন কৃষকের মাঝে বাগান স্থাপনের কলাকৌশলের উপর ব্রিফিং শেষে কৃষকদের মাঝে বীজ, সার, ঝাঝড়ি, সাইনবোর্ড, গাছের চারা (মাল্টা, লেবু, পেঁপে) ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। 

 

ফুলবাড়ীতে কৃষকদের কাছ থেকে ইরি বোর ধান সংগ্রহের উন্মুক্ত লটারি
                                  

মোঃ আফজাল হোসেন,

 দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভা কক্ষে গতকাল সোমবার অভ্যন্তরীন ইরি বোর ধান সংগ্রহের কৃষকদের কাছ থেকে উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে ধান সংগ্রহের উদ্বোধন। এতে সভাপত্বিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার:) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য শেষে ফিতা কেটে বোর ধান সংগ্রহের উন্মুক্ত লটারীর উদ্বোধন করেন, ফুলবাড়ী উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন। অন্যনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার, ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদ, মাদিলাহাট খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী, উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির মোঃ সামসুল মন্ডল, বেতদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান উপধ্যক্ষ শাহ্ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম, কাজিহাল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মানিক রতন, ভূমি অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রিন্ট মিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মঈন উদ্দীন। আয়োজনে ছিলেন, উপজেলা ধান সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর।।

 

 

কাউনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি ও উরুন গাইনে ছাটা চাউল
                                  

সারওয়ার আলম মুকুল, 

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

রংপুর অঞ্চলের কাউনিয়া উপজেলায় ধান থেকে চাউল তৈরীর এক মাত্র ভরসা ছিল ঢেঁকি ও উরুন গাইন। গ্রামের প্রতিটি গৃহস্থ বাড়ীতে শোভা বর্ধন করতো ঢেঁকি। সে সময় ঢেঁকি ছাড়া চাউল তৈরীর বিকল্প ভাবাই যেত না। এই ঢেঁকিকে ঘিরে শত শত পরিবার সংসার চালাতো। তাদের বলা হতো বাড়ানি। বর্তমানে বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিকতার ছোঁয়ায় বাঙ্গালী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি ও উরুন গাইনে ছাটা স্বাস্থ্য সম্মত চাউল হারিয়ে যেতে বসেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে কিছু কিছু বড় গৃহস্থ বাব দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে শীতের পিঠা পায়েশ তৈরীর আটা করার জন্য ঢেঁকি রেখেছেন। আবার কিছু কিছু ক্ষুদ্র চাউল ব্যবসায়ী যে খানে বিদ্যুৎ নেই সে খানে আর চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে প্রয়োজনের তাগিদে ঢেঁকি ও উরুন গাইন রেখেছে। ঢেঁকি ছাটা চাউল সবচেয়ে বেশী পুষ্টি গুন সম্পন্ন। বর্তমানে আধুনিক সমাজে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী চাউলের রং সাদা করার জন্য ইউরিয়া ও রাসায়নিক ক্যামিকেল পদার্থ মিশ্রন করে চাউল সাদা করছে। মেশিন দিয়ে মোটা চাউল কেটে নামী দামী চাউল তৈরী করে প্রতারনা করছে। এসব চাউল এর ভাত খেয়ে পেটের পীড়া, যকৃত ও কিডনি সহ নানা জটিল রোগে ভুগছে। এর প্রভাব বেশী পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধদের। ঢেঁকি ছাটা চাউল খাওয়া বাদ দেয়ায় বর্তমানে ক্যামিকেল যুক্ত চিকন সাদা চাউল খেয়ে ক্যান্সার সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। গ্রামে একটি জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে যারা ঢেঁকি ছাটা চাউল খায় তাদের রোগ বালাই কম হয়। শহরের লোকের চেয়ে গ্রামের বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের মরনব্যাধি কম। ঢেঁকি ছাটা চাউল বাজারে এখন দুস্প্রাপ্য। অনেকে মন্তব্য করে বলেছেন, ঢেঁকি ছাটা চাউল স্বাস্থের জন্য উপকারী ও পুষ্টি গুন সম্পন্ন। শরীর কে ভাল রাখার জন্য ঢেঁকি ছাটা চাউলের বিকল্প নেই। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ঢেঁকি ও উরুন গাইন আবার ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন বলে বিজ্ঞ মহল মনে করছেন। 

 


   Page 1 of 7
     কৃষি
নবাবগঞ্জে প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী-২০২৪ উদ্বোধনী /সমাপনী অনুষ্ঠান
.............................................................................................
বিরামপুরে সাথী ফসল আবাদ করে লাভবান কৃষক আব্দুল কাদের
.............................................................................................
কৃষকের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে যুগান্তকারী সমাধান নিয়ে এলো আইফার্মার
.............................................................................................
কর্তৃপক্ষ নিরব কাউনিয়ায় কারেন্ট ও চায়না ভয়ঙ্কর জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
.............................................................................................
তিস্তায় হঠাৎ পানি বৃদ্ধি, কলেজ মাঠে পাট ধুচ্ছে কৃষক
.............................................................................................
আইফার্মার ও ইউসিবি’র ভিন্নধর্মী উদ্যোগ শতভাগ ঋণ পরিশোধ করলেন ভুট্টা চাষিরা
.............................................................................................
কাউনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ
.............................................................................................
কাউনিয়ায় খড়ায় পুড়ছে আমন ক্ষেত, দিশেহারা চাষিরা
.............................................................................................
দাম পেয়ে কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কাউনিয়ার চাষীদের
.............................................................................................
ভালুকায় দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলিতে রূপান্তর
.............................................................................................
কাউনিয়ায় চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামে বাদামের কাটামারী শুরু
.............................................................................................
নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ করে কাউনিয়ায় বাজিমাত করেছে তালুকশাহাবাজের খামারী ভুট্টু
.............................................................................................
কাউনিয়ায় কাঁচা মরিচের ঝাল বেড়েছে মরিচের দাম পেয়ে চরাঞ্চলের চাষীরা বেজায় খুশি
.............................................................................................
কাউনিয়ায় ৭০ জন কৃষকে মাঝে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের বীজ সার সহ উপকরন বিতরণ
.............................................................................................
ফুলবাড়ীতে কৃষকদের কাছ থেকে ইরি বোর ধান সংগ্রহের উন্মুক্ত লটারি
.............................................................................................
কাউনিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে ঢেঁকি ও উরুন গাইনে ছাটা চাউল
.............................................................................................
কাউনিয়ায় বস্তায় বাদাম চাষ করে নিজপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক ব্যাপক সাড়া ফেলেছে
.............................................................................................
কাউনিয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাউনের চাষ হারিয়ে যাচ্ছে
.............................................................................................
কাউনিয়ায় তিস্তার চরে ভুট্টা নয় সোনা ফলেছে বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক
.............................................................................................
ফুলবাড়ীতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়ক কৃষক সমাবেশ ও প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত
.............................................................................................
কাউনিয়ায় খর¯্রােতা তিস্তায় পানি নেই শত শত নৌকার মাঝি ও মৎস্য জীবি বেকার
.............................................................................................
নবাবগঞ্জে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ ২০২৩ উদ্বোধন
.............................................................................................
ফুলবাড়ী খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান ও চাউল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন
.............................................................................................
রাজশাহীতে ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার প্রকাশ
.............................................................................................
আমতলীতে ছয় হাজার পাঁচ’শ কৃষক পেল কৃষি উপকরন।
.............................................................................................
কাউনিয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন, বর্তমান দামে হতাশ কৃষক
.............................................................................................
ভ্যানে করে ঘাস বিক্রি কাউনিয়া সহ দেশ জুরে গো-খাদ্য ঘাসে আয়বর্ধক কর্মসংস্থান সৃষ্টি
.............................................................................................
কাউনিয়ায় তিস্তার চরে বাদামী সোনার চাষ, লাভের স্বপ্ন কৃষকের
.............................................................................................
কাউনিয়ায় বোরো খেতে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন সোনালী ধান
.............................................................................................
দেশী ৪১ প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে মৎস্য বিভাগের উদাসিনতায় কাউনিয়ায় মাছের ঘাটতি ১০৩১ মেঃটন
.............................................................................................
ডিমলায় ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি
.............................................................................................
বর্ষা মৌসুমের আগমনে কাউনিয়ায় বাঁশের তৈরী মাছ ধরা চাঁইয়ের কদর বেড়েছে
.............................................................................................
এলুয়াড়ী ইউনিয়নে সেচ পাম্প মালিকেরা কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত পানির দাম নেওয়ায় মানববন্ধন
.............................................................................................
কাউনিয়ায় ৩০০০ পাট চাষির মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ বিতরণ
.............................................................................................
ফুলবাড়ীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে আউশ ধানের বীজ, পাট বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন
.............................................................................................
ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে তরমুজ ক্ষেত, কোটি কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা
.............................................................................................
ফুলবাড়ী উপজেলা খয়েরবাড়ীতে তেজপাতা চাষের অফার সম্ভাবনা
.............................................................................................
কুমড়া চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল কাউনিয়ায় কৃষি বিভাগের পরিকল্পনায় ধু-ধু বালুচরে কৃষি বিপ্লব
.............................................................................................
দলদলিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে বিষ প্রয়োগে রোপনকৃত ধানের চারা নষ্টের অভিযোগ
.............................................................................................
কোটচাঁদপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়
.............................................................................................
৫০০ একর জমিতে কুমড়া চাষ কাউনিয়ায় তিস্তার চরে নিরাপদ সবজি ক্ষেত পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান
.............................................................................................
২০০ হেক্টর জমিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কাউনিয়ার শহীদবাগে ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ড্রেন নির্মাণের উদ্বোধন
.............................................................................................
লাউয়ের বাম্পার ফলন কাউনিয়ায় বিষমুক্ত লাউ চাষ করে বাদশা মিয়া প্রকৃত বাদশা
.............................................................................................
ছাগল পালনে ভাগ্যের উন্নয়ন সম্ভব কাউনিয়ায় উন্নত জাতের ছাগল পালনের মডেল নুর আলম টুটুল
.............................................................................................
তিস্তা নদীর চরে ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের
.............................................................................................
নবাবগঞ্জে সারের কোনো সংকট নেই -------- --হারুনুর রশীদ শাহ
.............................................................................................
নো স্প্রে নো টেনশন তিস্তার চরে বীজ আলু উৎপাদনে বাম্পার ফলের স্বপ্ন চাষি তাজরুলের
.............................................................................................
বাম্পার ফলনের আশা কাউনিয়ায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর জমিতে গম চাষ
.............................................................................................
কাউনিয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি যান্ত্রিকীকরনের মাধ্যমে ধান রোপনের উদ্বোধন
.............................................................................................
মৌ মৌ গন্ধ চারিদিকে কাউনিয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষা চাষ
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান

নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
    2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com

Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD