|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
নতুন আইফোনে থাকছে নচ
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ২০১৭ সালে প্রথম তাদের আইফোনে নচ ডিজাইনের সূচনা করে। আইফোন ১০ থেকে শুরু, এখনই নচ বাদ দেয়নি অ্যাপল। জানা গেছে, আইফোনের নতুন সংস্করণেও নচ থাকবে।
আইফোন থেকে নচ বাদ দেয়া হবে বলে ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল। তখন ডিসপ্লেতে কাটা অংশকে ডিজাইনের মধ্যে নয়, বরং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা মনে করেছিল অ্যাপল। তবে ৩ বছর আগের সেই ডিজাইন এবারও আনবে অ্যাপল।
আগামী বছর আইফোন ১৩ মডেলেও এই নচ দেখা যাবে। তবে নচের আকার সরু হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে টুইটার অ্যাকাউন্ট আইস ইউনিভার্স। নচ ডিজাইনকে মডিফাই করে অন্যান্য ফোন কোম্পানি বের করেছে ওয়াটার ড্রপ, ওভাল শেপ ও পাঞ্চহোল নচ।
কিছু কোম্পানি ডিসপ্লেকে সুন্দর রাখতে পপ আপ ক্যামেরাও এনেছে। আগামীতে প্রচলন ঘটবে আন্ডার ক্যামেরা ডিসপ্লের। সে ক্ষেত্রে নচ ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন থাকবে না।
|
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ২০১৭ সালে প্রথম তাদের আইফোনে নচ ডিজাইনের সূচনা করে। আইফোন ১০ থেকে শুরু, এখনই নচ বাদ দেয়নি অ্যাপল। জানা গেছে, আইফোনের নতুন সংস্করণেও নচ থাকবে।
আইফোন থেকে নচ বাদ দেয়া হবে বলে ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল। তখন ডিসপ্লেতে কাটা অংশকে ডিজাইনের মধ্যে নয়, বরং প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা মনে করেছিল অ্যাপল। তবে ৩ বছর আগের সেই ডিজাইন এবারও আনবে অ্যাপল।
আগামী বছর আইফোন ১৩ মডেলেও এই নচ দেখা যাবে। তবে নচের আকার সরু হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে টুইটার অ্যাকাউন্ট আইস ইউনিভার্স। নচ ডিজাইনকে মডিফাই করে অন্যান্য ফোন কোম্পানি বের করেছে ওয়াটার ড্রপ, ওভাল শেপ ও পাঞ্চহোল নচ।
কিছু কোম্পানি ডিসপ্লেকে সুন্দর রাখতে পপ আপ ক্যামেরাও এনেছে। আগামীতে প্রচলন ঘটবে আন্ডার ক্যামেরা ডিসপ্লের। সে ক্ষেত্রে নচ ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন থাকবে না।
|
|
|
|
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
দুনিয়াটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে স্মার্টফোন। ল্যাপটপে সিনেমা দেখা কিংবা ঘুরতে বেরোলে ভারী ক্যামেরা নিয়ে যাওয়ার দিন অনেকটাই শেষ হয়ে এসেছে।
স্মার্টফোনের ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ডিসপ্লে আর অনন্য ক্যামেরায় সব কিছুই এখন পকেটে। আর নান্দনিক ডিজাইনে, অত্যাধুনিক সব ফিচারে, আকর্ষণীয় দামে ফোন এনে তরুণদের মন জয় করে নিচ্ছে রিয়েলমি।
সম্প্রতি টেক-ট্রেন্ডসেটার ব্র্যান্ডটি ৯০ হার্টজের আল্ট্রা-স্মুথ ডিসপ্লে, এই প্রাইস রেঞ্জের সর্বপ্রথম ৬৪ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরায় মাত্র ১৮,৯৯০ টাকায় বাজারে এনেছে রিয়েলমি ৭ আই।
চলুন দেখে নেয়া যাক, মিড লেভেলের এই স্মার্টফোনে আর কী কী সুবিধা আছে।
হাতের মুঠোয় প্রফেশনাল ক্যামেরা
প্রফেশনাল ক্যামেরা পকেটে নিয়েই ঘোরার সুযোগ করে দিয়েছে রিয়েলমি। রিয়েলমি ৭ আই-তে আছে এই প্রাইস রেঞ্জের সর্বপ্রথম ৬৪ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ক্লিয়ার কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ।
৬৪ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরার সঙ্গে আছে ৮ মেগাপিক্সেলের ১১৯ ডিগ্রির আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেলের একটি ম্যাক্রো লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেলের একটি সাদা-কালো পোর্ট্রেট লেন্সের সমন্বয়ে এই সেটআপে প্রতিটি মুহূর্তের চমৎকার ছবি তোলা যাবে।
মূল ক্যামেরার সেন্সর সাইজ ১/২-ইঞ্চি ও এফ/১.৮-এর বড় অ্যাপারচার থাকায় অল্প আলোতেও পরিষ্কার, উজ্জ্বল ছবি তোলা যাবে।
ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্সে প্রাকৃতিক দৃশ্য, স্থাপত্য এবং গ্রুপ ছবি তোলা হবে আরও সহজ। আল্ট্রা-ম্যাক্রো লেন্সের সঙ্গে মাত্র ৪ সেন্টিমিটার দূর থেকে ছবি তুলতে পারায় সহজেই হারিয়ে যেতে পারবেন ম্যাক্রো জগতে। চমকপ্রদ কিছু নতুন কালার ফিল্টারে প্রতিটি পোর্ট্রেটে পাওয়া যাবে চমৎকার ডিটেইলস আর অসাধারণ টেক্সচার।
নাইটস্কেপ মোডে আছে ৩টি দুর্দান্ত ফিল্টার– সাইবারপাঙ্ক, ফ্লেমিঙ্গো ও মডার্ন গোল্ড। ভিন্নধর্মী এ ইফেক্টগুলোতে রাতের ছবিতে দেবে নতুন এক নান্দনিকতা। পাশাপাশি দিনের আলোতে এ ইফেক্টগুলো ব্যবহারে মিলবে নতুনত্ব।
এর সেলফি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সনি ইন-ডিসপ্লে আইএমএক্স ৪৭১ সেন্সর। এর এফ/২.১ বড় অ্যাপারচার, এআই বিউটিফিকেশন, বোকেহ ইফেক্টে যে কোনো সময়েই চমৎকার সেলফি তোলা যাবে। আছে এইচডিআর এবং ইআইএস স্টেবিলাইজেশনও। ক্যামেরায় থাকা সিনেমা মোডে প্রো-লেভেলে ভিডিও করার সুবিধা থাকায় সিনেমাটিক ভ্লগিংকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।
এ ছাড়া ক্যামেরায় আরও আছে– এইচডিআর, ফ্রন্ট প্যানোরামা, ইউআইএস স্ট্যাবিলাইজেশন, সুপার নাইটস্কেপ মোড ও ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও করার সুবিধা।
৯০ হার্টজ আল্ট্রা স্মুথ ডিসপ্লেতে বিনোদন বাড়বে বহুগুণ
রিয়েলমি ৭ আই-এর ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের কারণে গেমিং বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কিংবা ভিডিও, মুভি দেখায় আরও আনন্দ মিলবে।
৭ আই-তে উচ্চ রিফ্রেশ রেট প্রচলিত ৬০ হার্টজের ডিসপ্লের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি, পাশাপাশি ১২০ হার্টজের স্যাম্পলিং রেটে প্রতিটি সোয়াইপ হবে আরও স্মুথ। ডিসপ্লের ৬০০ নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতায় প্রচণ্ড আলোতেও সহজেই ফোন ব্যবহার করা যাবে।
রিয়েলমি ৭ আই-এর ৬.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লের স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও অনুপাত ৯০ শতাংশ। এ ডিভাইসটির ডিসপ্লে ব্যবহারকারীর চোখকে সুরক্ষিত রাখবে। ফলে ব্যবহারকারী দীর্ঘসময় ধরে অনায়াসে ডিভাইসটি ব্যবহার করতে পারবে। শক্তিশালী চিপসেটে গেমিং ও কাজে অনন্য গতি রিয়েলমি ৭ আই-তে আছে শক্তিশালী এবং আরও কার্যকর ১১ ন্যানোমিটারের স্ন্যাপড্রাগন ৬৬২ প্রসেসর, ক্রায়ো ২৬০ সিপিইউ ও অ্যাড্রেনো ৬১০ জিপিইউ।
এর সঙ্গে ৮ গিগাবাইট এলপিডিডিআর ৪এক্স র্যাকম স্মার্টফোনে দেবে ২.০ গিগাহার্টজ পর্যন্ত গতি।
১২৮ গিগাবাইটের ইন্টারনাল স্টোরেজের সঙ্গে আছে এসডি কার্ডের ব্যবহারে ২৫৬ গিগাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানোর সুবিধা। আর নিরবচ্ছিন্ন ব্যবহারে আনন্দ জোগাবে রিয়েলমি ইউআই।
এ ছাড়া ফাস্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক তো আছেই। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পানি ঢোকার হাত বাঁচাতে প্রতিটি পোর্টেই আছে সিলিকোনের ওয়াটারপ্রুফিং।
৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিতে অবারিত আনন্দ
নন-স্টপ স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য রিয়েলমি ৭ আই-তে আছে ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের বিশাল ব্যাটারি। আর এই ব্যাটারিকে কুইক চার্জ দেয়ার জন্য থাকছে ১৮ ওয়াটের কুইক চার্জ, যা দিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটের এর বিশাল ব্যাটারির ৩৩ শতাংশ চার্জ করা যায়।
অল্প ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে যেন পাওয়ার কনজাম্পশন না করে, সে জন্য আছে অ্যাপ কুইক ফ্রিজ। এ ছাড়া স্ক্রিন ব্যাটারি অপটিমাইজেশন স্বয়ংক্রিভাবে ডিসপ্লে ইফেক্ট কমিয়ে ব্যাটারির ওপর চাপ কমাবে।
সুপার পাওয়ার সেভিং মোডে মাত্র ৫% শতাংশ ব্যাটারি ব্যবহারে প্রায় ১.১ ঘণ্টা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।
হালের তরুণদের লাইফস্টাইলকে আরও সমুন্নত করতে রিয়েলমি ৭ আই-তে আনা হয়েছে নতুনত্ব। মিরর ডিজাইনের ফোনটি অরোরা গ্রিন ও পোলার ব্লু– এ দুটি ব্যতিক্রমী রঙে দেশের সব স্মার্টফোন স্টোরসহ অনলাইনে এর মাত্র ১৮,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে রিয়েলমি ৭ আই।
|
|
|
|
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : করোনা মহামারি শেষ হওয়ার পরও স্থায়ীভাবে বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ পাবেন মাইক্রোসফট কর্মীরা। পরিচালকের অনুমতি সাপেক্ষে মাইক্রোসফটের বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা এই সুবিধা পাবেন।
মার্কিন টেক জায়ান্ট ফেসবুক এবং টুইটারকে অনুসরণ করে মাইক্রোসফট এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাইক্রোসফট বলেছে, কিছু কাজের জায়গায় সশরীরে উপস্থিতি প্রয়োজন। যেমন- হার্ডওয়্যার অ্যাক্সেসের জন্য কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। তবে অনেক কর্মচারী তাদের পরিচালকদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের প্রয়োজন ছাড়াই খণ্ডকালীন বাসা থেকে কাজ করতে পারবেন।
মাইক্রোসফট এক মুখপাত্র নতুন দিকনির্দেশনা সম্পর্কে বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হল কাজগুলোকে আরও বিকশিত করতে হবে। এই নতুন নির্দেশিকা যুক্তরাজ্যের কর্মীদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।
মার্কিন পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য মতে, এপ্রিল পর্যন্ত নিযুক্তদের মধ্যে ৪৬ শতাংশেরও বেশি বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন। অনেক নিয়োগকারী সংস্থা প্রাথমিকভাবে এই ধারণাটির প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু মাসগুলো কেটে যাওয়ার সাথে সাথে এর কিছু ত্রুটি উঠে আছে।
|
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
কভিড-১৯ মহামারির বিস্তার রোধে সারাদেশের নাগরিকেদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে একটি স্মার্টফোন অ্যাপ চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘করোনা ট্রেসার বিডি’ শীর্ষক অ্যাপটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপটি ব্লুটুথ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুজন ব্যবহারকারীর কাছাকাছি থাকার সময় ও ব্যবহারকারীদের অবস্থান সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করে রাখবে। যখনই অন্য কোনো অ্যাপ ব্যবহারকারী একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে আসবে তখনই অ্যাপ দুটি নিজেদের মধ্যে ‘ডিজিটাল হ্যান্ডশেক’ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সুরক্ষিতভাবে আদান-প্রদান করবে।গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘করোনা ট্রেসার বিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে অথবা সরাসরি স্মার্টফোন থেকে (https://play.google.com/store/apps/details?id=com.shohoz.tracer) লিংকে ক্লিক করেও অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় আইসিটি অবকাঠামো ব্যবহার করে সমস্যা ও সংকট মোকাবেলায় সরকার একের পর এক প্রযুক্তিভিত্তিক নানা সমাধান নিয়ে আসছে। করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এমনি একটি অ্যাপ করোনা ট্রেসার বিডি, যা জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাত এবং জরুরি খাদ্য সরবরাহে প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে জীবনযাত্রা সচল রেখেছে। করোনা মহামারির বিস্তার রোধে করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপটি অন্যতম কার্যকর সমাধান হতে পারে। প্রতিমন্ত্রী দেশের সকল নাগরিকদের নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপটি ব্যবহার করে কোভিড-১৯ মহামারির বিস্তার রোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আইসিটি বিভাগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের শুরু থেকেই বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে দুর্যোগ, মহামরিসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। করোনা ট্রেসার বিডি অ্যাপটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত।
সহজ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেকোনো অ্যাপ ব্যবহারকারি কভিড-১৯ পজেটিভ শনাক্ত হলে তার কাছাকাছি আসা অন্য অ্যাপ ব্যবহারকারিদের স্বয়ংক্রয়িভাবে সম্ভাব্য ঝুঁকি ও করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.আবুল কালাম আজাদ, আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. আবদুল মান্নান, এলআইসিটির প্রকল্পের আইটি-আইটিইএস পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদ এবং আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে অ্যাপটি তৈরিতে কাজ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, এটুআই ও এসডিএমজিএ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে অ্যাপটি তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় টেক স্টার্টআপ সহজ লিমিটেড।
|
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের হানায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলো। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সবার মধ্যেই। মহামারি ঠেকাতে মহাচ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন সারাবিশ্বের নীতিনির্ধারকরা। এবার করোনা আতঙ্কের মধ্যেই পৃথিবী দেখবে গোলাপী চাঁদ। আগামী ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে দেখা যাবে এই নান্দনিক দৃশ্য।
ওইদিন পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যবর্তী গড় দূরত্ব হবে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। তবে চাঁদের গোলাপি আভা দেখা যাবে পৃথিবী থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯০৭ কিলোমিটার দূর থেকে। অর্থাৎ ওইদিন পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কমে যাবে ২৭ হাজার ৪৯৩ কিলোমিটার।
চাঁদ দেখতে যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই সুপারমুন (গোলাপী চাঁদ) একটু বিশেষ। চলতি বছরের উজ্জ্বলতম এবং বৃহত্তম পূর্ণিমা হতে চলেছে এইটি। এপ্রিলের এই সুপারমুনকে ডাকা হচ্ছে গোলাপি চাঁদ নামে।
সুপারমুন কী: সুপারমুনের কক্ষপথ পৃথিবীর নিকটতম। আমাদের গ্রহ থেকে এই নিকটতম দূরত্বের কারণেই চাঁদকে অনেক বড় এবং উজ্জ্বল দেখায়।
তবে পূর্ণিমা হলেই যে সুপারমুন হবে, তা কিন্তু নয়। কারণ চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে। আমাদের গ্রহ থেকে আরও অনেক দূরে থাকলেও পূর্ণিমার পূর্ণ চাঁদ দেখা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া ওয়েবসাইট সিনেট-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮ এপ্রিলের সুপারমুন এ বছরের সবচেয়ে বড় এবং উজ্জ্বলতম সুপারমুন হবে।
|
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
করোনায় গৃহবন্দী মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেট। অনেকে আবার ঘরে বসেই অফিসের কাজ সেরে নিচ্ছেন। তাই এই সময়ে ইন্টারনেট সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ। বেড়েছে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার। কমেছে ইন্টারনেটের গতি।
ইন্টারনেট স্পিড কমে যাওয়ায় অফিসের কাজে দেরি, ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে দীর্ঘ সময়ের লোডিং, এই ধরনের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ইউজারদের। আপনিও নিশ্চয়ই এই সমস্যার ভুক্তভোগী। যদি তাই হয়, তাহলে জেনে নিন কীভাবে আপনি আপনার ফোনে অথবা ল্যাপটপে আপনার ইন্টারনেট স্পিড ঠিক রাখবেন।
প্রথমেই আপনি চেক করে নিন আপনার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের স্পিড কত। খুবই সহজ উপায়ে এটি আপনি যাচাই করতে পারবেন। ডাউনলোড করুন স্পিড টেস্ট অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাপটি ওপেন করার পরই আপনাকে ইন্সটল করার জন্য গো অপশন দেখাবে। সেখানে ক্লিক করলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি আপনার ইন্টারনেটের গতি সম্পর্কে অবগত হবেন।
আপনি যদি বাড়ি থেকে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে একটি স্ট্যাটিক ব্রডব্যান্ড কানেকশন নিয়ে নেওয়াই যথাযথ। নয়তো কাজের মাঝে মোবাইল ডেটা শেষ হয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে আপনাকে।
প্রথমে আপনার বাড়ির রাউটারটি রিবুট করুন। এতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় ইন্টারনেট স্পিড বেড়ে গিয়েছে। এছাড়া কাজের মাঝে মাঝে বেশ কিছু সময়ের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখুন। গেম খেলা ও মুভি দেখার সময় ও কাজের সময় এর থেকে পৃথক করে নিন।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রথম মহাকাশ অবতরণকারী ইউরি গ্যাগারিনের স্ত্রী ভেলেন্তিনা গ্যাগারিন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর। রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভেলেন্তিনা গ্যাগারিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
রুশ সিটি মিশন কন্ট্রোল সেন্টারের দেওয়া তথ্য মতে, গেলো মাসে স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন ভেলেন্তিনা গ্যাগারিন। এরপর তার শরীরে একটি অস্ত্রপ্রচার করা হয়। এ থেকেই তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভেলেন্তিনার মৃত্যুর সঠিক কোন কারণ জানায়নি রুশ স্পেস এজেন্সি। তার এই মৃত্যুতে স্বজনদের সান্ত্বনা জানিয়েছে রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি। ১৯৫৭ সালে ইউরি গ্যাগারিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ভেলেন্তিনা গ্যাগারিন। ১৯৬৮ সালে ইউরি গ্যাগারিনের মৃত্যুর সময় স্টার সিটি মহাকাশচারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জৈব রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন ভেলেন্তিনা। গ্যালিনা গ্যাগারিন ও ইলেনা ইউরিভেনা গ্যাগারিন নামের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে এই দম্পতির।
|
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
মঙ্গলগ্রহের একাধিক উচ্চমানের ছবি পাঠাল নাসার কিউরিওসিটি রোভার। গত বছর ২৪ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে ছবিগুলো তোলা হয়েছে। রোভারের মাস্টক্যামে ধরা পড়া ১.৮ বিলিয়ন পিক্সেলের ছবিগুলোতে প্রধানত মঙ্গলের প্রাকৃতিক দৃশ্য ফুটে উঠেছে। এছাড়াও মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে যানট।
নাসা সূত্রে খবর, প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা ধরে এক একটি ছবি তোলা হয়। রোভার একাধিক দিন একই ভ্যান্টেজ পয়েন্ট থেকে তার আশপাশের ছবি তোলার সুযোগ পায়। বর্তমানে লালগ্রহের ‘গ্লেন ক্রেটার’-এর (খাদ) ‘শার্প পর্বতে’ অনুসন্ধান চালাচ্ছে কিউরিওসিটি। ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘প্যানোরমা মোডে’ ওই এলাকার প্রায় ১ হাজারটি ছবি তুলেছে নাসার রোভারটি।
ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি থেকে কিউরিওসিটি প্রজেক্টের সনমগে যুক্ত বৈজ্ঞানিক অশ্বিনী বাসাভাডা বলেন, গোটা মিশনে এই প্রথম আমরা স্টিরিও ৩৬০ ডিগ্রি প্যানোরমা ছবির জন্য অভিযান চলিয়েছি। এই ছবি তোলার জন্য রোভারের মাস্ট ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। দুপুর বারোটা থেকে দু’টোর মধ্যে ছবিগুলো তোলার জন্য যানটির কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর পৃথিবী থেকে পাড়ি দেয় নাসার কিউরিওসিটি রোভার। প্রায় নয় মাসের সফরের শেষে ২০১২ সালের ৬ আগস্ট মঙ্গলের ‘গ্লেন ক্রেটার’-এ অবতরণ করে যানটি। তারপর থেকেই সেখানে প্রাণের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে রোভারটি।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওই খাদের মাঝে শার্প পর্বতে এসে পৌঁছায় কিউরিওসিটি। ওই খাদেই জৈব পদার্থ ও একটি শুকিয়ে যাওয়া হ্রদের সন্ধান দিতে সক্ষম হয় যানটি। এবার নতুন অত্যন্ত উন্নতমানের ছবি পাঠিয়ে বিজ্ঞানীদের হাতে রীতিমতো তথ্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্ভার তুলে দিয়েছে কিউরিওসিটি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিদেশ থেকে আসা কল বা আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের রেট পুনর্নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এক্ষেত্রে রাজস্ব ভাগাভাগির জন্য পৃথক সিলিং নির্ধারণ না করায় বছরে অন্তত হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে সরকার। এমনটাই বলছেন টেলিকম বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহকরাও এর কোনো সুফল পাবেন না। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন মোবাইল ফোন অপারেটররাও। এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব বিটিআরসিতে চিঠি দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসির উপপরিচালক সাবিনা ইসলামের স্বাক্ষরে বিটিআরসি আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের মূল্য পুনঃনির্ধারণের নির্দেশনা জারি করে। এতে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কল টার্মিনেশন রেট হবে ৫১ পয়সা মিনিট। যা আগে ছিল প্রায় দেড় টাকা। এতে আরো বলা হয়, ইন্টারন্যাশনাল কল টার্মিনেশন রেট পুনর্নির্ধারণের পাশাপাশি এখন থেকে সর্বনিম্ন হারের (ফ্লোর রেট) ভিত্তিতেই রাজস্ব ভাগাভাগি হবে। তবে সর্বোচ্চ কলরেট নির্ধারণ করা হয়নি এবং রাজস্ব ভাগাভাগিও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগে সরকার দেড় টাকার রাজস্ব পেলেও এখন পাবে ৫১ পয়সার রাজস্ব।
তবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক ইত্তেফাককে বলেছেন, বর্তমান বাজারের অবস্থা পরীক্ষানিরীক্ষা করেই বিটিআরসি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্তের আগে মোবাইল ফোন অপারেটরসহ সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বৈধ পথে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল নিয়ে আসাকে উত্সাহিত করতেই এ সিদ্ধান্ত। আগে অনেক বেশি ভিওআইপি হচ্ছিল। ফলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। অনেক গবেষণা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির নির্দেশনা জারির পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অ্যামটব থেকে চিঠি দেওয়া হয় বিটিআরসিকে। সেখানে বলা হয়েছে, বিটিআরসির এ সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন অপারেটরদের আয়ের ক্ষেত্রে বড়ো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তেমনি এ খাত থেকে সরকারি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বড়ো অঙ্কে কমিয়ে দেবে। চিঠিতে হিসেব দিয়ে বলা হয়, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রতি মাসে ৮৮৮ মিলিয়ন বা ৮৮ কোটি ৮০ লাখ মিনিট ইনকামিং কল আন্তর্জাতিক বাজার থেকে দেশে আসছে। এ হিসেবে আগের সর্বনিম্ন মূল্য দেড় টাকা হারে রাজস্ব ভাগাভাগির হিসেবে প্রতি মাসে বিটিআরসির রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৫২ কোটি ৯০ লাখ এবং এনবিআরের ভ্যাট ও কর বাবদ রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ১৩২ কোটি ১০ লাখ টাকা। বিটিআরসির পুনর্নির্ধারিত ৫১ পয়সা মিনিট হারে রাজস্ব ভাগাভাগি হলে যদি ১০ শতাংশ কলের পরিমাণও বাড়ে তাহলে এখন থেকে প্রতি মাসে বিটিআরসির রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ হবে ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অর্থাত্ নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিটিআরসি প্রতি মাসে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা এবং এনবিআর প্রায় ৮৩ কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে। সব মিলিয়ে তাদের রাজস্ব হারানোর পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা। এ হিসেবে এখন থেকে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল থেকে বছরে সরকারের মোট রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কমবে ১ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা।
হিসেবে বলা হয় বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্তের কারণে যদি ২০ শতাংশ করেও ইনকামিং কল বৈধ পথে বাড়ে তাহলে বিটিআরসির রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ প্রতি মাসে ৩১ কোটি টাকা এবং এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা কমবে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে রাজস্ব আদায় কম হবে ১০৮ কোটি টাকা। এ হিসেবে বছরে সরকারের মোট রাজস্ব আদায় কম হবে ১ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা।
তবে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে অপারেটরদের (আইজিডাব্লিউ) সংগঠন আইওএফের প্রধান শামসুদ্দোহা ইত্তেফাককে বলেন, ‘অপারেটরদের হিসাব ঠিক নেই। এই সিদ্ধান্তের আগে প্রতি মাসে গড়ে ৫২ কোটি মিনিট কল এসেছে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ৫২ শতাংশ কল বেড়ে গেছে। ফলে সরকারের খুব একটা রাজস্ব ক্ষতি হবে না। আসলে অপারেটররা তো চোর! অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা তো তারা করে। অবৈধ কল বাড়লে তো তাদের লাভ। এই কারণে সরকারের ভালো সিদ্ধান্তও তারা বাঁকা ভাবে দেখে।’
তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কল বাড়লেও সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হাজার কোটি টাকা দাঁড়াবে। পাশাপাশি অ্যামটব বলছে, বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্তের কারণে বৈধ পথে ১০ শতাংশ কল বাড়লেও চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রতি মাসে রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ হবে প্রায় ১৯ কোটি টাকা। বছরে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২২৮ কোটি টাকা। ২০ শতাংশ হারে বাড়লেও অপারেটরদের প্রতি মাসে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বছরে যা ২১০ কোটি টাকা।
অ্যামটব মহাসচিব এস এম ফরহাদ ইত্তেফাককে বলেন, কোনো এক ধরনের লাইসেন্সির জন্য তাদের মূল আয়ের বা কল রেটের ওপর রাজস্ব না নিয়ে সর্বনিম্ন রেটের ওপর রাজস্ব ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর। মোবাইল ফোন অপারেটরসহ অন্যান্য আরো যেসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আছে তাদের ক্ষেত্রেও কি সর্বনিম্ন মূল্য অনুযায়ী রাজস্ব ভাগাভাগি করা হবে? বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্তের কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কি দেশে আগের চেয়ে কমমূল্যে কল করার সুযোগ পাবেন? শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানের এই নতুন নির্দেশনার কারণে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বিশাল নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরদের রাজস্ব আদায়ও কমে যাবে, ফলে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে অ্যাপভিত্তিক ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) কল যেমন হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবার প্রভৃতি মাধ্যমে কলের হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার ভবিষ্যত্ যাত্রার গতি-প্রকৃতি দেখে বলা যায়, ভবিষ্যতে ওটিটি কল আরো বাড়বে এবং সরাসরি চ্যানেলে কল ক্রমাগত কমবে। ফলে এই সময়ে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট কমিয়ে বৈধ পথে সরাসরি চ্যানেলে ইনকামিং কল বেড়ে যাওয়ার যে প্রত্যাশা বিটিআরসি করছে তা অযৌক্তিক।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশে প্রায় এক মাস ধরে ই-পাসপোর্ট অনলাইনে চালু করা হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসগুলোতে প্রচুর চাপ পড়েছে। ই-পাসপোর্ট-এর সার্ভার প্রায়ই ডাউন থাকায় লাইনে দুই থেকে তিন ঘন্টা দাঁড়াতে হয়। নতুন এই “ই-পাসপোর্টে”র কারণে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বইয়ের প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। এ কারণে এমআরপি বই মজুদও কম হওয়ায় পাসপোর্ট বইয়ের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। অচিরেই এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না। আমাদের দেশে ই-পাসপোর্ট মাত্র শুরু হয়েছে।
আন্তর্জাতিকভাবে আধুনিক পাসপোর্টের ধারণা শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২০ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অন পাসপোর্ট অ্যান্ড কাস্টমস ফ্যামিলিয়ারিটিজ থ্র টিকিট’ লীগ অব নেশন্স বৈঠকের মাধ্যমে। এ কনফারেন্সে আধুনিক পাসপোর্টের বুকলেট ডিজাইন ও গাইড লাইন দেওয়া হয়। মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ধারণা আসে ১৯৮০ সালে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে। বাংলাদেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু হয় ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে। তার আগে ২০০৮ সালে উন্নত দেশগুলোতে ই-পাসপোর্ট চালু হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই হাতে লেখা পাসপোর্ট চালু হয়। এই হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করার সময়সীমা ছিল ২০১৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পরে পৃথিবীর কোন দেশ ট্রাডিশনাল নিয়মে হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে না। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে ৬.৬ মিলিয়ন হাতে লেখা পাসপোর্টকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে রূপান্তরিত করে। সরকার বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টকে ই-পাসপোর্ট বা বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে রূপান্তরিত করেছে। ই পাসপোর্ট-এ ইলেক্ট্রনিক মাইক্রো প্রোসেসর চিপ লাগানো থাকে। আপাতত দৃষ্টিতে পাসপোর্ট বইটি দেখে কোন কিছু বুঝা যাবে না। দেখতেও অনেকটা MRP পাসপোর্টের মতই। কিন্তু ভিতরে সংযুক্ত চিপটি এম আর পি (মেশিন রিডেবোল পাসপোর্ট) আর ই পাসপোর্টের মধ্যেকার প্রধান পার্থক্য সৃষ্টি করেছে। এই চিপের মধ্যে আছে বায়োমেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্টধারীর যাবতীয় তথ্য বহন করে। এতে মাইক্রো প্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনা সহ স্মার্ট কার্ডের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
বর্তমানে ই পাসপোর্টে যে সব বায়মেট্রিক সংরক্ষণে থাকবে তা হল পাসপোর্টধারীর ছবি, ১০ আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং চোখের আইরিশ। ই বর্ডার বা ইলেক্ট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক যাচাই করা হয়ে থাকে। পাবলিক কিই ইনফ্রাস্ট্রাকচার (PKI) এর মাধ্যমে চিপে সংরক্ষিত ডাটা যাচাই করা হয়ে থাকে। এতে পাসপোর্টধারীর ৩ ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি থাকবে।
ই-পাসপোর্টের সবচাইতে বড় সুবিধা হল ই পাসপোর্টধারীরা বিশেষ ই – গেট ব্যাবহার করে খুব দ্রুত ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন। এজন্য তাদেরকে ভিসা চেকিং এর লাইনের দাড়াতে হবে না। এতে করে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শেষ হবে। উল্লেখ্য যে এই ই – গেট শুধুমাত্র ই পাসপোর্টধারীরাই ব্যবহার করতে পারবেন।
ই-গেটের কাছে দাঁড়িয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তুলে নেয়া হবে। এরপর আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে নেয়া হবে সহজেই। কোন সমস্যা না থাকলে খুব দ্রুত শেষ হবে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া। আর কোন ঝামেলা থাকলে লাল বাতি জলে উঠবে এবং পাসপোর্টধারীকে সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ইমিগ্রেশন পার হতে দেয়া হবে না।
|
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
যবহারকারীদের নিরাপদ রাখতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নগ্ন সেলফি তুলতে বাধা দেবে স্মার্টফোন। ছবি তোলার সময় কেউ নগ্ন হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে স্মার্টফোনটির ক্যামেরা। অশ্লীল ছবিও সংরক্ষণ করবে না স্মার্টফোনটি।
শুধু তাই নয়, অভিভাবকরাও দূর থেকে স্মার্টফোনটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ জন্য স্মার্টফোনটিতে নতুন করে কোনো অ্যাপ বা এক্সটেনশন ইনস্টল করার প্রয়োজন হবে না। শিশু-কিশোরদের জন্য ‘টোন ই২০’ মডেলের স্মার্টফোনটি তৈরি করেছে জাপানের টোন মোবাইল।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অশ্লীল ছবি শনাক্ত করে সেগুলো ব্লক করতে পারে স্মার্টফোনটি। অশ্লীল ছবি তুলতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকদের কাছেও সতর্কবার্তা পাঠায়। স্মার্টফোনটির মূল্য পড়বে ১৮০ পাউন্ড।
|
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার আকাশে কী অবশেষে দেখা মিলল ভিনগ্রহের যানের, না কি এ টা অন্য কিছু? সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তর্ক শুরু হয়েছে একটি ছবিকে ঘিরে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি গোলাকার উজ্জ্বল বস্তু ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে। সেই দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করে আপলোড করা হয়েছে টুইটারে।
টুইটারে একাধিক হ্যান্ডলে এই ছবিটি আপলোড হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পরিষ্কার আকাশে একটি আগুন রঙের গোলাকৃতি কিছু একটা উড়ে যাচ্ছে। এটি বুধবার আমেরিকায় ক্যালিফর্নিয়ার উইড এলাকায় দেখা গেছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আসলে এটি একটি বিশেষ ধরনের মেঘ। যাকে ‘লেন্টিকুলার ক্লাউড’ বা ‘লেনি’ বলা হয়। এই ধরনের মেঘ সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। অনেক সময় এলোমেলো হওয়ার ফলে এই লেনি তৈরি হয়।
যে যায়গায় এই ভিনগ্রহের যানের মতো মেঘটি এবার দেখা গেল সেটি মাউন্ট শাশ্টা আগ্নেয়গিরির কাছে। একটি ক্যালিফোর্নিয়ার পঞ্চম উচ্চতম পাহাড়। ক্যালিফোর্নিয়ায় এই এলাকায় লেনি প্রায়ই দেখা যায়।
কেউ কেউ আবার এদের ‘ইউএফও ক্লাউড’ নামেও ডাকেন। তবে সাধারণত সেগুলো সাদা রঙেরই দেখা গেছে। কিন্তু বুধবার যে মেঘটি দেখা গেল সেটি দেখলে মনে হবে আগুন ছড়াচ্ছে আকাশে। আগুনের মতোই ছড়িয়ে পড়েছে এই ছবিটি।
|
|
|
|
নতুনবাজার ডেস্কঃ
বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীরা প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুকে পোস্ট লিখে, ছবি ও ভিডিও দেখে সময় ব্যয় করছে।
গবেষণা অনুযায়ী, ফেসবুক অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আমাদের মূল্যবান সময়, মানসিক শান্তি এবং শারীরিক স্বাস্থ্য নষ্ট হচ্ছে। তবে সব কিছুর ভালো এবং খারাপ দুটো দিকই রয়েছে। সচেতনতার অভাবে আমরা হয়তো খারাপ কাজেই বেশির ভাগ সময় ফেসবুককে ব্যবহার করছি, কিন্তু যারা অনলাইন প্রফেশনাল, তারা ফেসবুককে বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ মনে করেন। বিশ্বব্যাপী প্রায় দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ জনপ্রিয় এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে। সঠিক কৌশল অনুসরণ করতে পারলে ফেসবুকও হতে পারে অর্থ উপার্জনের একটি স্থায়ী মাধ্যম। চলুন জেনে নেয়া যাক ফেসবুক থেকে কীভাবে অর্থ উপার্জন সম্ভব।
কীভাবে ফেসবুক থেকে অর্থ আয়ের সম্ভাবনা তৈরি করবেন চাইলেই রাতারাতি ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করার আশা করতে পারেন না। ফেসবুক থেকে ভালো উপার্জন করতে চাইলে আপনাকে পরিকল্পিত উপায়ে কিছু কাজ করতে হবে। আয়ের আগে আপনাকে আয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে হবে। কীভাবে ফেসবুক থেকে নগদ অর্থ উপার্জন করা যায় তার কিছু কৌশল নিচে তুলে ধরা হলো।
নিজেকে উপযুক্ত হিসেবে তৈরি করা ফেসবুক থেকে উপার্জনের প্রথম পদক্ষেপটি হবে নিজেকে যথাযোগ্য তথা মানানসই হিসেবে তৈরি করা বা উপস্থাপন করা। আপনার উপস্থাপনা আবেগ বা দক্ষতা যেমন লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন বা কোনো ধরনের স্থানীয় ব্যবসায় যেমন বুটিক, হোম ডেলিভারির মতো বিষয়গুলো হতে পারে। যখন আপনি এ বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা বা কৌশলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী হবেন তখন এ মাধ্যমটির মাধ্যমে আপনার অর্থ উপর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
ফেসবুক পেজ অথবা গ্রুপ তৈরি করা ফেসবুক থেকে আয়ের জন্য প্রথমেই একটি পেজ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার নিজের আগ্রহের পাশাপাশি অন্যদের আগ্রহকেও প্রাধান্য দেয়া উচিত। ফেসবুক পেজ হতে পারে যেকোনো ধরনের। যেমন- ফুড রিভিউ, ট্রাভেল পেজ, নিউজ পোর্টাল কিংবা ট্রেন্ডি কোনো ট্রল পেজ। ট্রল পেজের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেন এটি কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে আঘাত না করে বা কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করে।
অডিয়েন্স তৈরি পেজ তৈরির পর আপনার প্রথম কাজই হচ্ছে অন্যান্য ফেসবুক ইউজারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এর জন্য আপনাকে মানসম্মত কনটেন্ট পোস্ট করে যত বেশি সম্ভব পেজটাকে অ্যাংগেজ রাখতে হবে। যখনই আপনার পেজটি ভালো সাড়া পেতে শুরু করবে, অর্থাৎ আশানুরূপ লাইক, কমেন্ট, শেয়ার হবে, তখনি আপনি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তত হবেন। আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে থাকুন এবং আর্টিকেলগুলো ফেসবুক পেজে নিয়মিত পোস্ট করুন।
ফেসবুক থেকে আয়ের জন্য আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে এবং কিছুতেই কোনো আর্টিকেল কোথাও থেকে কপি করতে পারবেন না। কপি করা আর্টিকেল দিয়ে কোনো দিনই আপনি সফলতা পাবেন না।
ইনফ্লুয়েন্সার হোন একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে আপনার সাধারণ ফেসবুক প্রোফাইল থেকেই আয় করতে পারেন। ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার বিষয়টা অনেকটা আধুনিক ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের মত। নামকরা কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা প্রচারণার জন্য স্বনামধন্য ও খ্যাতিমান ব্যক্তিদেরকে তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত করে। ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার হতে হলে প্রথমেই আপনাকে প্রোফাইলে মানসম্মত কিছু কন্টেন্ট ও যথেষ্ট সংখ্যক ফ্যান-ফলোয়ার থাকতে হবে। অবশ্যই আপনার ফেসবুক এক্টিভিটিতে সার্বিকভাবে ফলোয়ারদের সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া থাকা উচিত। এরপর Hireinfluence, BlogMint, Fromote এর মতো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেট এজেন্সির ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই আপনি কোনো এক ব্র্যান্ডের প্রতিটি পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ করবেন এবং পরবর্তীতে ওইসব ব্র্যান্ডের পোস্ট প্রচার করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।
দক্ষতা শিখুন আপনার যদি স্থানীয় কোনো ব্যবসা না থাকে এবং আপনি এখনও ফেসবুকের সাহায্যে উপার্জন করতে চান তবে অবশ্যই গ্রাফিক ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, কনটেন্ট লেখা, প্রোগ্রামিং প্রভৃতি নির্দিষ্ট বিষয়গুলোর প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে। যাতে আপনার তৈরি করা কনটেন্টগুলো সবার কাছে আকৃষ্ট হয়।
কীভাবে ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করবেন যখন আপনি আপনার ফেসবুক পেজে নির্দিষ্ট কিছু শ্রোতা তৈরি করতে পেরেছেন তখন আপনি ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য প্রস্তুত। আসুন এবার ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জনের কিছু পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।
পণ্য বিক্রয় অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার জন্য ফেসবুক একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পণ্যের ছবি, সাইজ, দাম দিয়ে সহজেই বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক থেকে আয়ের জন্য এটি অত্যন্ত সহজ এবং সুলভ একটি পদ্ধতি। অনলাইনে এমন অনেক গ্রুপ আছে যারা নিজেদের ব্যবসার প্রসার বা পরিচিতির জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম কনটেন্ট দিয়ে থাকে। এদের মূল উদ্দেশ্যই থাকে নিজের গ্রুপ, পেজ, পণ্য বা কোম্পানির পরিচিতি বাড়ানো। কারণ ফেসবুকে বিনামূল্যে ভিজিটর পাওয়া যায় এবং ভাইরাল হওয়ার মতো একটা অপশন তো আছেই!
এ সমস্ত কনটেন্টে আপনার কাজ হবে সর্বোচ্চ সংখ্যক বন্ধুদের ট্যাগ দেয়া, ইনভাইট করা, লাইক-কমেন্ট-শেয়ার করা। অর্থাৎ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় প্রচার কাজটি সম্পন্ন করা। আপনার পারফরমেন্সের ওপর আপনাকে কনটেন্ট উইনার ঘোষণা করা হবে এবং এখান থেকে প্রাইজ হিসেবে আপনি আয় করতে পারেন। বেশি ফলোয়ার, বেশি লাইক ও অধিক গ্রুপ মেম্বার সমৃদ্ধ যেকোনো কিছু আপনি অন্যদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনাকে সম্পূর্ণ ইউনিক আইডি এবং অন্যান্য মার্কেটিং মেটেরিয়াল প্রদান করবে। আপনার বিজনেস জেনারেটরের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে আপনি অর্থ পাবেন। সুতরাং, এক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে আয় করার জন্য একটি ভালো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইট খুঁজে নেয়া জরুরি।
আপনি যদি একজন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে কোনো কোম্পানির মার্কেটিং করতে চান, তবে কোম্পানির সাইট সার্চ দিয়ে রিকয়্যারমেন্ট ফর্ম পূরণ করুন। এটা আপনি ফ্রি এবং অল্প সময়েই করতে পারবেন।
প্রত্যেকটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য আলাদা আলাদা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলুন। এতে কোনো ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক একটি পেজ থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন খুঁজে বের করতে হবে না। বরং নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনোটাকে ফলো করতে পারবে।
প্রতিদিন পোস্ট করুন এবং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করুন নিখুঁতভাবে। ফলোয়ার বাড়ানোর মাধ্যমেই প্রচার বাড়ানো সম্ভব। যখন কেউ আপনার পোস্টে ক্লিক করবে এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট থেকে কিছু কিনবে, তখন আপনি আয় করবেন।
ফেসবুকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কোনো বিষয়ে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে অনলাইনে মানুষের ধারণা প্রতিষ্ঠা করতে পারাকেই ইনফ্লুয়েন্সার বলে। ইনফ্লুয়েন্সার হলে মার্কেটিং করার কষ্ট কমে যায়। অল্প কষ্টে বেশি লাভ করা যায়। ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার টেকনিক জানা থাকতে হবে।
যদি আপনার ওয়ালের পোস্টগুলোতে মানসম্মত লাইক-কমেন্ট-শেয়ার থাকে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে ফেসবুক থেকে আয় করা আপনার জন্য সহজ হবে। এমনকি আপনার যদি যথেষ্ট ফ্যান-ফলোয়ার থাকে এবং আপনার নিজস্ব প্রোফাইলে তাদের সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তবে BlogMint অথবা Fromote এ ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাকাউন্টে সাইন আপ করে আয় করতে পারেন সহজেই। সাইন আপ করার পর আপনার প্রোফাইলের তথ্য দিয়ে একটা ফর্ম পূরণ করবেন এবং ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজস্ব প্রাইস নির্ধারণ করে দেবেন।
ফেসবুকে ক্রয় বিক্রয় বাসায় অব্যবহৃত একটি ফোন পড়ে আছে? সময়ের অভাবে আপনার প্লেস্টেশনটি চালানো হচ্ছে না? পুরাতন ডিজিটাল ক্যামেরাটা বিক্রি করে নতুন একটি ডিএসএলআর কিনতে ইচ্ছুক? এরকম হাজারো খুঁটিনাটি জিনিস কিন্তু আমরা চাইলেই ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে পারি। ফেসবুকে কেনাবেচার (Buy and Sell) অসংখ্য গ্রুপ রয়েছে। কোনো কোনো গ্রুপ নির্দিষ্ট পণ্য কেনাবেচার জন্য, আবার কোনোটিতে পণ্য বিক্রি সম্পর্কে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। এসব গ্রুপে আপনার অব্যবহৃত যেকোনো পণ্যের জন্য সহজেই সঠিক ক্রেতা খুঁজে পেতে পারেন। তবে অনলাইনে এসব ক্রয় বিক্রয়ের সময় সতর্ক থাকতে হয়, যেকোনো লেনদেনের পূর্বে ক্রেতা সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য নিশ্চিত করতে হবে, একইসাথে নিশ্চিত করতে হবে টাকা আদান-প্রদানের সুরক্ষিত মাধ্যমও। কম সময়ে বেশি লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুক পেজ বুস্টিংয়ের মাধ্যমেও অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন তৈরি করার সময় ভৌগলিক অবস্থান, বয়স, লিঙ্গ প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়গুলোর উপর খেয়াল রাখতে হবে।
ফেসবুক মার্কেটিং হিসেবে কাজ করুন ব্যবসায়িক পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে যে কোনো বিজনেসের সাধারণ ফরমূলাটা অনেকটা এরকম ‘প্রোডাক্টটাকে যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে, তত বেশি সেল জেনারেট করা যাবে।’ তাই ফেসবুক মার্কেটিংয়ের প্রথম লক্ষ্য হবে কীভাবে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। কী ধরনের কনটেন্ট তৈরি করলে রিচ বেশি হবে। ফেসবুকের এলগরিদম এংগেইজমেন্ট নির্ভর। অর্থাৎ একজনের কনটেন্টে যদি আপনি কমেন্ট করেন তাহলে আপনার বন্ধুদের নিউজফিডেও সেই কনটেন্ট শো হবে। এভাবে যত এংগেইজমেন্ট জেনারেট করা যাবে, তত ভিজিবিলিটি বাড়বে। যত ভিজিবিলিটি বাড়বে, তত বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করুন আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রোপাইটর হন তবে আপনি এটিকে একটি পেশা হিসেবে নিতে পারেন (যাকে বলে ‘সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার’) এবং বেতন পেতে পারেন। কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব হলো করপোরেট সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর (যেমন ফেসবুক) অ্যাকাউন্টগুলো পোস্ট করার সময়সূচী অন্তর্ভুক্ত করা, শ্রোতা তৈরি করা, প্রচারের সাফল্য পর্যবেক্ষণ করা, গ্রাফিক্স তৈরি করা ইত্যাদি। অনেক ব্র্যান্ড এবং সংস্থাগুলো ব্র্যান্ড প্রচারের জন্য পেশাদার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দেয় এবং ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে থাকে।
ফেসবুকে বিনিয়োগ করুন আপনি হয়তো জানেন যে ফেসবুককে ন্যাসডাক কম্পোজিটে (Nasdaq Composite) একটি সার্বজনীনভাবে পরিচালিত সংস্থা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। অন্য শেয়ার বাজারের বিনিয়োগের মতো আপনি ফেসবুকের স্টক শেয়ার ‘এফবি’ কিনে আয় করতে পারবেন। তবে, এফবি স্টকের দাম প্রতিদিন ওঠানামা করতে পারে, তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে বিনিয়োগ করতে হবে।
অন্যান্য এতক্ষণ ফেসবুক থেকে আয় করার কিছু উপায় হাইলাইট করা হয়েছে। এগুলো ছাড়াও ফেসবুক ব্যবহার করে আরও কিছু মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ আছে। অনেক কোম্পানি এবং ব্র্যান্ড তাদের পোস্ট অন্য ফেসবুক পেজে শেয়ার করে থাকে। এসব ক্ষেত্রেও আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন। সেখান থেকেও আপনি অর্থ উপার্জন করতে পরেবেন।
এছাড়াও যে কোনো ফেসবুক ফ্যান পেজ বা গ্রুপে বেশি পরমিাণ ফলোয়ার থাকলে বিক্রয়যোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সুতরাং, আপনার সেরকম ফেসবুক পেজ থাকলে বিক্রি করে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনেকে আবার ফেসবুক লাইক বিক্রি করেও আয় করে থাকেন যদিও অনেকে এটাকে ভালো চোখে দেখে না। এছাড়াও ব্যক্তিগত ইমেজ, চাকরি খোঁজাসহ নানান কাজে ফেসবুক ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সবশেষ ভাবনা ফেসবুক একটি আপগ্রেডিং সামাজিক মিডিয়া প্লাটফর্ম যার কোনো ভৌগলিক সীমারেখা নেই। এর মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো সময় যে কারো কাছে ছবি, ভিডিও, বিজ্ঞাপন এবং পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
তবে, স্থায়ী উপায়ে ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করতে আপনার ফ্যান বা ফলোয়ারদের জীবনকে পণ্য হিসেবে মনে না করে তাদের বন্ধু, পরামর্শদাতা এবং সহযোগী হিসেবে মনে করে কাজ করতে থাকুন।
মনে রাখতে হবে, ফেসবুকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু আইটেম যেমন, তামাক, অ্যালকোহল জাতীয়, অবৈধ ওষুধ, অস্ত্র, জুয়াড় সামগ্রী, বন্য প্রাণী প্রভৃতি পণ্যগুলো বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগ নেই। সবমিলিয়ে আপনি যদি দক্ষতার সাথে কৌশলগতভাবে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এটি হতে আপনার অর্থ উপার্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম।
|
|
|
|
ডেস্কঃ শেষ মুহূর্তে চাঁদের পৃষ্ঠে নামার আগে হারিয়ে গিয়েছিল চন্দ্রযান ২`র ল্যান্ডার বিক্রম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল বিক্রমের তা জানা যায়নি। স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল গোটা ভারতবাসীর। কিন্তু এখনই এই বিষয়ে হাল ছাড়তে নারাজ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তাই ফের একবার চাঁদে অভিযানের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
বিক্রমের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ইসরোর বিজ্ঞানীরা আত্মবিশ্বাসী, চাঁদের অন্ধকার অংশে পা রাখবে ভারত থেকে পাঠানো ল্যান্ডার। চাঁদে ঘুরবে রোভার। আর সেই উদ্দেশ্যেই মিশন চন্দ্রযান ৩-এর জন্য তৈরি হচ্ছেন তারা। শোনা যাচ্ছে, আগামী বছর নভেম্বরেই মিশন চন্দ্রযান ৩-এর কাজ শেষ হবে। এই মিশনে কীভাবে কাজ হবে, তার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে ইসরো। এ নিয়ে গত অক্টোবর থেকে উচ্চস্তরে অন্তত চারটি বৈঠকও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার এখনও কাজ করছে। সেই জন্য পরবর্তী মিশনে এই অংশটি বাদ দিয়েই এগিয়ে যেতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। তারা জোর দিচ্ছেন একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভারের উপর। ফলে মিশন চন্দ্রযান-৩ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম খরচে সম্পন্ন হতে পারে।
সূত্রের খবর, মিশনের প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়ে গেছে। ল্যান্ডার চাঁদের কোন অংশে পদার্পণ করবে, সে নিয়েও আলোচনা চলছে। গতবারের চেয়ে এবার আরও বেশি সতর্কভাবে মাঠে নামছে সংস্থা। সম্প্রতি ইসরো প্রধান কে শিবন জানিয়েছেন, ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য আমরা আগের বার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে তিনশো মিটার দূর পর্যন্ত কাজ করেছিল আমাদের সিস্টেম। এবার লক্ষ্যে পৌঁছতে সেখান থেকে পাওয়া তথ্যই কাজে দেবে।’
|
|
|
|
ডেস্কঃ এখন তথ্য-প্রযুক্তির যোগ। তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। আর সেই তালিকায় প্রথমেই আছে ফেসবুক। তবে অনেকেই ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার অভিজ্ঞতার মধ্যে পড়েছেন। বিভিন্ন কারণেই ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড চলে যেতে পারে অন্যের নিয়ন্ত্রণে। তবে আর দেরি না তরে চলুন জেনে নেই ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে-
১. একাউন্ট ফিশিং এই প্রক্রিয়ায় হ্যাকার আপনাকে বিভিন্নভাবে লিংক পাঠাবে। হতে পারে ফেসবুক ম্যাসেজে কিংবা আপনার ইমেইলে। অবিকল ফেসবুক থেকে আসা নোটিফিকেশনের মতই লিংক আসে। ব্যবহারকারীরা বুঝতেই পারেন না আসলে এসব ফেসবুকের না। একে বলা হয় ফিশার ওয়েব। অবিকল দেখতে একটি ওয়েবসাইটের মতো হলেও আসলে তা নয়। ফলে যদি ফেসবুক ভেবে লগ ইন করেন তাহলেই আইডি খোয়া যাবে আপনার।
২. ওয়েবসাইটের শেয়ার বাটন কিছু ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে শেয়ার বাটন ক্লিক করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ থার্ড পার্টি ওয়েবসাইটে ছবি শেয়ার করতে সেখানে যে অপশন থাকে সেখানে ক্লিক করলেও অনেক সময় আপনার একাউন্ট ও পাসওয়ার্ড হ্যাক হতে পারে।
৩. ফেইক বন্ধুত্ব অনেক সময় দেখা যায় হ্যাকার ছদ্মবেশে আপনার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে এরা। আপনার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আপনাকে ইনবক্সে লিংক পাঠায়। এসব লিংকে না বুঝে ক্লিক করলেই আপনার গোপন পাসওয়ার্ড এবং ইমেইল হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
৪. সাইবার ক্যাফেতে লগ ইন অনেকে শুধু মোবাইলেই ফেসবুক চালাতে অভ্যস্ত। মাঝেমধ্যে কম্পিউটারে বসেন কেবল বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে। এসব ক্ষেত্রে যারা পাবলিক কম্পিউটার যেমন- সাইবার ক্যাফেতে যান, অনেক সময় তারা একাউন্ট লগ আউট করতে ভুলে যান। অথবা অনেকেই লগ ইন করার সময়ে খেয়াল করেন না রিমেম্বার পাসওয়ার্ড দেয়া রয়েছে। এভাবে আপনার অজান্তে অন্য কেউ আপনার একাউন্ট এ প্রবেশ করে হ্যাক করে নিতে পারে।
৫. ফেসবুক অ্যাপ ফেসবুকে নানা অ্যাপ রয়েছে। এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় সাবধান থাকা উচিত। অনেকেই এসব অ্যাপকে নিজের ইমেল একাউন্ট পাসওয়ার্ডসহ নানান তথ্য দিয়ে দেন। যা অনেক ক্ষেত্রেই এরা বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থার কাছে বিক্রি করে। এভাবে ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের একাউন্ট হারাতে পারেন।
|
|
|
|
ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থনীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বাসসকে জানান, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় থাকায় আরও এক থেকে দুই দিন বৃষ্টিপাত কম থাকতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘন্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
তিনি বলেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরী অব্যাহত রয়েছে।সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে বিক্ষিপ্তভাবে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, এবং লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল বাংলদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে । মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারী থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে এবং আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৫টা ২৭ মিনিটে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান
সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতিঃ হাজী মোবারক হোসেন।। সহ-সম্পাদক : কাউসার আহম্মেদ।
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু।
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, মোবাইল : 01731190131, 01930226862, E-mail : mannannews0@gmail.com, mannan2015news@gmail.com, web: notunbazar71.com, facebook- mannan dhaka club
|
|
|
|