বাংলাদেশের জন্য চারটি সোলার পাওয়ার ইনভার্টার উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। ডিজিটাল জ্বালানির কার্যকারিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাজধানীতে আয়োজিত সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও ইপিসি সহযোগীদের জন্য আয়োজিত হুয়াওয়ে পার্টনার ইকোলজিকাল কনফারেন্স ২০২৩ শীর্ষক এক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় হুয়াওয়ে। পাশাপাশি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীগণ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ইনভার্টারগুলো প্রদর্শন করেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ডিজিটাল পাওয়ার বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইশিং (জ্যাক)। বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতের (সিঅ্যান্ডআই) জন্য তিনি SUN2000-100-KTL-M2, SUN2000-115-KTL-M2, SUN2000-50-KTL-M3 এবং ইউলিটি খাতের জন্য SUN2000-330KTL-H1 ইনভার্টার উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে লিয়াং উইশিং (জ্যাক) বলেন, “বাংলাদেশের শিল্পখাতের জন্য ডিজিটাল জ্বালানি তুলনামূলক একটি নতুন ধারণা। এর অভুতপূর্ব সম্ভাবনা রয়েছে এবং জ্বালানি সঙ্কটে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। নতুন এই ধারণা আমাদের শিল্পখাতকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে শুধুমাত্র সাশ্রয় কিংবা কার্যকরি পরিচালনারই সুযোগ করে দিবে না; তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতেও ভূমিকা পালন করবে। আর এই লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশে অনন্য এসব পণ্য নিয়ে এসেছি। আমার বিশ্বাস, এসব পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। অন্যদিকে, আমাদের সহযোগীদের ছাড়া বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যে সফলতা আমরা দেখছি তা কখনই সম্ভব হতো না। আমি আশাবাদী, দেশের প্রবৃদ্ধির সাথে আমরা সকলে একসাথে এগিয়ে যাবো।”
বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতের জন্য হুয়াওয়ে যে নতুন ইনভার্টারগুলো এনেছে সেগুলোয় স্মার্ট স্ট্রিং-লেভেল ডিসকানেক্টর (এসএসএলডি) ফিচার রয়েছে যা রিভার্স কারেন্ট ফ্লো ও শর্টসার্কিট শনাক্ত করে। শুধুমাত্র হুয়াওয়ে ইনভার্টারে টিইউভি স্বীকৃত আর্ক ফল্ট সার্কিট ইন্টারাপ্টার (এএফসিআই) ফাংশন রয়েছে যার ফলে মাত্র ০.৫ সেকেন্ডে প্লান্টে ২০০ মিটারের মধ্যে যে কোন আর্কিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে আগুনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও রয়েছে পিআইডি (পোটেনশিয়াল ইনডিউসড ডিগ্রেডেশন) রিকভারি ফিচার যা পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারে।
SUN2000-330KTL-H1 প্রথম ইনভার্টার যা স্মার্ট ফ্যান ডাস্ট রিমুভাল এবং স্মার্ট কানেক্টর-লেভেল ডিটেকশন (এসসিএলডি) ফাংশনসমৃদ্ধ। এর ফলে, ইউটিলিটি স্কেল প্রকল্পে ডিসি-সাইড ত্রুটির সময় অত্যন্ত নির্ভুলভাবে এবং দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সহজ হবে। সার্বিক পরিচালনায় কখনই এই ইনভার্টার বন্ধ করার প্রয়োজন হবে না। তাই পরিচালন ব্যয় ও সময় ছয় শতাংশ পর্যন্ত কমবে।
SUN2000-330KTL-H1 ইনভার্টারে নতুন প্রজন্মের ১৫০০ভোল্ট স্মার্ট স্ট্রিং ইউটিলিটি পিভি সিস্টেম রয়েছে, যা নিরাপদ, ব্যবহারবান্ধব, স্মার্ট ও কার্যকরী এনার্জি ডেনসিটি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। এটি সকল প্রেক্ষাপটে ব্যবহারযোগ্য প্রথম ডিসি ট্রিপল-সেফ ইনভার্টার।
বর্তমানে বিভিন্ন ইপিসি প্রতিষ্ঠান সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল জ্বালানির সম্ভাবনা উন্মোচনে অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য সম্মেলনে এই সকল সহযোগীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। আর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ওমেরা রিনিউয়্যাবল এনার্জি লিমিটেড, সিনার্জি লিমিটেড এবং সোলার ইপিসি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড – এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ২২ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার করেছে। গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সমাধান প্রদান করছে হুয়াওয়ে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পে এ সংশ্লিষ্ট সমাধান প্রদান করেছে। ময়মনসিংহে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোলার প্ল্যান্টে হুয়াওয়ের ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের জন্য চারটি সোলার পাওয়ার ইনভার্টার উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। ডিজিটাল জ্বালানির কার্যকারিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাজধানীতে আয়োজিত সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও ইপিসি সহযোগীদের জন্য আয়োজিত হুয়াওয়ে পার্টনার ইকোলজিকাল কনফারেন্স ২০২৩ শীর্ষক এক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয় হুয়াওয়ে। পাশাপাশি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীগণ বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ইনভার্টারগুলো প্রদর্শন করেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ডিজিটাল পাওয়ার বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইশিং (জ্যাক)। বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতের (সিঅ্যান্ডআই) জন্য তিনি SUN2000-100-KTL-M2, SUN2000-115-KTL-M2, SUN2000-50-KTL-M3 এবং ইউলিটি খাতের জন্য SUN2000-330KTL-H1 ইনভার্টার উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে লিয়াং উইশিং (জ্যাক) বলেন, “বাংলাদেশের শিল্পখাতের জন্য ডিজিটাল জ্বালানি তুলনামূলক একটি নতুন ধারণা। এর অভুতপূর্ব সম্ভাবনা রয়েছে এবং জ্বালানি সঙ্কটে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। নতুন এই ধারণা আমাদের শিল্পখাতকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে শুধুমাত্র সাশ্রয় কিংবা কার্যকরি পরিচালনারই সুযোগ করে দিবে না; তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতেও ভূমিকা পালন করবে। আর এই লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশে অনন্য এসব পণ্য নিয়ে এসেছি। আমার বিশ্বাস, এসব পণ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। অন্যদিকে, আমাদের সহযোগীদের ছাড়া বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে যে সফলতা আমরা দেখছি তা কখনই সম্ভব হতো না। আমি আশাবাদী, দেশের প্রবৃদ্ধির সাথে আমরা সকলে একসাথে এগিয়ে যাবো।”
বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতের জন্য হুয়াওয়ে যে নতুন ইনভার্টারগুলো এনেছে সেগুলোয় স্মার্ট স্ট্রিং-লেভেল ডিসকানেক্টর (এসএসএলডি) ফিচার রয়েছে যা রিভার্স কারেন্ট ফ্লো ও শর্টসার্কিট শনাক্ত করে। শুধুমাত্র হুয়াওয়ে ইনভার্টারে টিইউভি স্বীকৃত আর্ক ফল্ট সার্কিট ইন্টারাপ্টার (এএফসিআই) ফাংশন রয়েছে যার ফলে মাত্র ০.৫ সেকেন্ডে প্লান্টে ২০০ মিটারের মধ্যে যে কোন আর্কিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে আগুনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এছাড়াও রয়েছে পিআইডি (পোটেনশিয়াল ইনডিউসড ডিগ্রেডেশন) রিকভারি ফিচার যা পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারে।
SUN2000-330KTL-H1 প্রথম ইনভার্টার যা স্মার্ট ফ্যান ডাস্ট রিমুভাল এবং স্মার্ট কানেক্টর-লেভেল ডিটেকশন (এসসিএলডি) ফাংশনসমৃদ্ধ। এর ফলে, ইউটিলিটি স্কেল প্রকল্পে ডিসি-সাইড ত্রুটির সময় অত্যন্ত নির্ভুলভাবে এবং দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সহজ হবে। সার্বিক পরিচালনায় কখনই এই ইনভার্টার বন্ধ করার প্রয়োজন হবে না। তাই পরিচালন ব্যয় ও সময় ছয় শতাংশ পর্যন্ত কমবে।
SUN2000-330KTL-H1 ইনভার্টারে নতুন প্রজন্মের ১৫০০ভোল্ট স্মার্ট স্ট্রিং ইউটিলিটি পিভি সিস্টেম রয়েছে, যা নিরাপদ, ব্যবহারবান্ধব, স্মার্ট ও কার্যকরী এনার্জি ডেনসিটি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। এটি সকল প্রেক্ষাপটে ব্যবহারযোগ্য প্রথম ডিসি ট্রিপল-সেফ ইনভার্টার।
বর্তমানে বিভিন্ন ইপিসি প্রতিষ্ঠান সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল জ্বালানির সম্ভাবনা উন্মোচনে অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য সম্মেলনে এই সকল সহযোগীদের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। আর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ওমেরা রিনিউয়্যাবল এনার্জি লিমিটেড, সিনার্জি লিমিটেড এবং সোলার ইপিসি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড – এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ২২ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর অঙ্গীকার করেছে। গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সমাধান প্রদান করছে হুয়াওয়ে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পে এ সংশ্লিষ্ট সমাধান প্রদান করেছে। ময়মনসিংহে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোলার প্ল্যান্টে হুয়াওয়ের ডিজিটাল পাওয়ার সল্যুশন ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে সম্প্রতি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রামের আয়োজন করে হুয়াওয়ে।
কুয়েট থেকে রিক্রুটমেট প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাউথ এশিয়া হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মো. ফারা নেওয়াজ, ওমর হায়দার মুশফিক আহমেদ, মো. খালিদ হোসেন ও পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজার মো. তৌফিকুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ বিষয়ে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার এইচআর ডিরেক্টর হুয়াং বাওশিওং বলেন, “১৭০ টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে কাজ করার মাধ্যমে বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পেরেছে হুয়াওয়ে। বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ের দুই লাখ কর্মী রয়েছে; এবং এক্ষেত্রে সবসময়ই স্থানীয় মেধা ও মানবসম্পদের ওপরে গুরুত্ব দেয়া হয়। বাংলাদেশ অফিসে স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীর সংখ্যা এখন ৮০ শতাংশ এবং কর্মী তালিকায় আমরা সবসময় এই অনুপাত বজায় রাখার চেষ্টা করি। এছাড়া, আমরা প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ দিয়ে থাকি। এটি হুয়াওয়ের বিশেষজ্ঞদের সাথে নতুনদের সমন্বয় করতে সাহায্য করে। অপরদিকে, সদ্য স্নাতক শেষ করা গ্র্যাজুয়েটরাও সর্বাধুনিক জ্ঞান ও বহুজাতিক কর্মপরিবেশের মধ্য দিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করার সুযোগ পান।”
এ উদ্যোগ সম্পর্কে কুয়েটের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিশ্বজুড়ে হুয়াওয়ে কেবল আইসিটি সরঞ্জাম ও সমাধান দেয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে, এমনটা নয়; বরং উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নে বিস্তৃত বিনিয়োগ ও সুবিশাল টিমের মাধ্যমে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও মেধার মূল্যায়ন করার মাধ্যমে তারা দেশের শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে এখানে এসেছে এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার উদ্যোগ। আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারে উন্নতি করার মতো যথেষ্ট আকাঙ্ক্ষা ও যোগ্যতা রয়েছে। আমার বিশ্বাস, নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সমাজ ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।”
কুয়েটের সিএসই, ইইই ও ইসিই – এ তিনটি বিভাগ থেকে ২শ’ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের আওতায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিতরা খুব শীঘ্রই হুয়াওয়েতে যোগদান করবে।
ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট থেকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করা হুয়াওয়ের একটি নিয়মিত উদ্যোগ। পাশাপাশি, তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে আইসিটি স্কিলস কম্পিটিশন, সিডস ফর দ্য ফিউচার ও আইসিটি একাডেমির মতো বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে হুয়াওয়ে। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশে আইসিটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হুয়াওয়ের প্রতিশ্রুতির অংশ।
বাজার গবেষণা সংস্থা ওমডিয়া’র জরিপ অনুযায়ী ২০২২ সালে গোটা বিশ্বের টেলিভিশন বাজারে শীর্ষস্থানে ছিলো দক্ষিণ-কোরীয় ব্র্যান্ড স্যামসাং। এর মাধ্যমে ১৭ বছরের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই বছরগুলোতে স্যামসাং সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে তাদের ডিসপ্লে’র ওপর। বস্তুত, নিজেদের প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট লাইনআপকে অগ্রাধিকার দেয় স্যামসাং। যার উদাহরণ ব্র্যান্ডটির নিও কিউএলইডি লাইনআপ।
২০০৬ সালে স্যামসাংয়ের ‘বোর্দো’ টিভির হাত ধরে সর্বপ্রথম আধুনিক ডিজাইন এবং হালকা-ওজনের এলসিডি টিভি দেশের বাজারে আসে। সে বছরই স্যামসাং প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী টেলিভিশন বাজারে এক নম্বর স্থানটি অর্জন করে। একইভাবে ২০০৯ সালে প্রথম এলইডি টিভি এবং ২০১১ সালে প্রথম স্মার্ট টিভি নিয়ে আসে স্যামসাং।
এরপর ২০১৭ সালে স্যামসাং সর্বপ্রথম নিয়ে আসে কিউএলইডি টিভি। যা রীতিমতো টিভি’র বাজারে ‘নেক্সট-জেন’ অর্থাৎ পরবর্তী প্রজন্মের ডিসপ্লে’কে সংজ্ঞায়িত করে। এর কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে এই শিল্পের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শতভাগ কালার ভলিউম অর্জন সম্ভব হয়। এরই ক্রমধারায় ২০১৮ সালে ব্র্যান্ডটি কিউএলইডি এইটকে, কোয়ান্টাম মিনি এলইডি-ব্যাকড নিও কিউএলইডি এবং ২০২১ সালে সেলফ-ইল্যুমিনেটিং মাইক্রো এলইডি প্রযুক্তির সংযোজন করে গোটা শিল্পখাতে তাক লাগিয়ে দেয়।
সেইসাথে, লাইফস্টাইল সিরিজের মতো নতুন ক্যাটাগরি নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও স্যামসাংয়ের কৌশল ও সাফল্য নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। ২০১৬ সালে এসেছে অনবদ্য নকশার ‘দ্য সেরিফ’ ও ‘দ্য ফ্রেম’ -এর মতো লাইফস্টাইল টেলিভিশন।
যুগান্তকারী স্ক্রিনিং টেকনোলজি ও দুর্দান্ত গ্রাহকসেবার কারণে অন্য অনেক অর্জনের পাশাপাশি ২০২২ সালে স্থানীয় পর্যায়ে সেরা ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিও পায় স্যামসাং। আর এবারে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সেরা টিভি ব্র্যান্ডের স্বীকৃতিও অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে শাহরিয়ার বিন লুৎফর, ডিরেক্টর এবং হেড অব বিজনেস, স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স, বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে অত্যাধুনিক এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয়ে প্রিমিয়াম মডেলের টেলিভিশন তৈরি করে আসছে স্যামসাং। এই প্রচেষ্টায় টানা ১৭তম বছরের মত শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত এবং রোমাঞ্চিত। গ্রাহকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে এভাবেই আরো বেশি আনন্দদায়ক করে রাখতে ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব”।
‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগান নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতভিত্তিক সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বেসিস সফটএক্সপো-২০২৩। আর এই এক্সপো’র সহযোগী হিসেবে থাকছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেড।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক উদ্ভাবন এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতেই এই এক্সপো’র আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। আগামী ২৩-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র, পূর্বাচলে এই এক্সপো চালবে।
বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ উপলক্ষ্যে সম্প্রতি বেসিস সচিবালয়ে বেসিস এবং হুয়াওয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বেসিসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ, বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩-এর আহ্বায়ক ও বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, বেসিস সচিব হাশিম আহম্মদ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, স্টেকহোল্ডার রিলেশনস ফারাহ জাবিন আহমেদ।
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া ক্লাউড বিসনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্স লি এবং সেলস ম্যানেজার মো. শাজাহান আহমেদ।
রাসেল টি. আহমেদ বলেন, ‘আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই লক্ষ্য অর্জনে বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ একটি বড় ভূমিকা পালন করবে ও বাংলাদেশেকে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। হুয়াওয়ে সারা বিশ্বে আইসিটি ক্ষেত্রে একটি বড় জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। টেলিকম প্রযুক্তি, পণ্য, সফটওয়্যার ও সলিউশনের ক্ষেত্রে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে পাশে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
অ্যালেক্স লি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাকে সফল করতে আইসিটি ইকোসিষ্টেমের সকলের জন্য একটি সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩। ২৪ বছরের বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের আইসিটি ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন পূরণে হুয়াওয়ে যে ভূমিকা পালন করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের ক্ষেত্রেও একইভাবে বাংলাদেশের পাশে থাকবে হুয়াওয়ে। আমাদের আধুনিক যেসব সফটওয়্যার ও সল্যুশন রয়েছে তা আমরা এই সফটএক্সপোতে প্রদর্শন করব যাতে আমাদের সহযোগীরা নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে পারে এবং সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারে।’
উল্লেখ্য, বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩- এর উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যবসা সম্প্রসারণ কিংবা নতুন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য থাকবে বিজনেস লিডারস মিট, অ্যাম্বাসেডর নাইট, মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স, আইটি জব ফেয়ার এবং ক্যারিয়ার ক্যাম্প, বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন, আউটসোর্সিং কনফারেন্স, স্টার্টআপস কনফারেন্স, ডেভেলপার্স কনফারেন্স ইত্যাদি।
অনুষ্ঠিত হবে ২৩টিরও অধিক সেমিনার ও প্রযুক্তি অধিবেশন। এসব সেমিনারের মধ্যে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ‘5G and IoT - Opportunities for BGD Telecom and Software Industry’ শীর্ষক একটি সেমিনারে আলোচক হিসেবে যোগদান করবেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর এস এম নাজমুল হাসান।
এবারের মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে শাটল সার্ভিস, নলেজ-শেয়ারিং সেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানাবিধ আয়োজন । এছাড়াও থাকছে তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী তরুণদের জন্য আইটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প ও জব ফেয়ার।
সরকারি বেসরকারি নীতি নির্ধারক, প্রায় ২০০ জন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বক্তা, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীবৃন্দ, বিদেশী প্রতিনিধি দল, দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী এবং আগ্রহী তরুণ ছাত্র-ছাত্রীসহ ৩ লক্ষাধিক দর্শণার্থী বেসিস সফটএক্সপো পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও এ বছর ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে আনুমানিক ১০ লক্ষ তরুণ প্রজন্মকে অংশগ্রহণে আগ্রহী করা হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও দেশ-বিদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ আসবেন। বিজনেস লিডারস মিট-এ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের আট শতাধিক পদস্থ কর্মকর্তা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক ক্যাটাগরিতে মালদ্বীপে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পর পর তিনবার সি আই পি নির্বাচিত হওয়ায় প্রবাসী ব্যবসায়ী গ্লোবাল রিচ এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহেল রানাকে সংবর্ধনা দিয়েছে মালদ্বীপে বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
শুক্রবার ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মালদ্বীপের পাচঁ তারকা হোটেল জেনে এই আয়োজন করে মালদ্বীপে বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার এডমিনাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন সরকারের প্রণোদনার সুবিধা গ্রহণ করে দেশে শিল্প, কৃষি, চিকিৎসা,শিক্ষা এবং আইটিসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিশীল খাতে বিনিয়োগ করার জন্য মালদ্বীপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশি সিআইপিদের বিভিন্ন প্রণোদনা এবং কৌশলগত অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য উৎসাহিত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ, মিশনের তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার শাহা।
প্রবাসী সোশ্যাল ওয়াকার অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি জাকির হোসেনের সঞ্চালনায়,বক্তব্য রাখেন মালদ্বীপে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম মজিব,ব্যবসায়ী মোঃ দুলাল মাতবর,ফোর এল ইন্টারন্যাশনাল এর ম্যনাজিং ডিরেক্টর মোঃ হাদিউল ইসলাম,ভিউ কনস্ট্রাকশন এর চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন,মালদ্বীপে।বাংলাদেশী চিকিৎসক ডা:মোক্তার আলী লস্কর।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে ঢাকা ট্রেডার্স এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ বাবুল হোসেন,ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান,জহিরুল ইসলাম,আলতাফ হোসেন,রুহুল আমিন,সহ সাংবাদিক সামাজিক, রাজনৈতিক,ও ব্যবসায়ী সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ।
এ সময় প্রধান অতিথিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন মালদ্বীপ প্রবাসিরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সিআইপি সোহেল রানাকে প্রবাসীরা ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা বাংলাদেশী মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের পক্ষে ফোর এল ইন্টারন্যাশনাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাদিউল ইসলাম ও আইসাথ লায়াল হাসিম, ঢাকা ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বাবুল হোসেন, ফেনী জেলা উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা মো. ওমর ফারুক খোন্দকার (অনিক) উপদেষ্টা মো. শরিফুল ইসলাম, সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মিরাজ, আলোকিত চাঁদপুর সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন, সিলেট জেলা সংগঠনের সভাপতি আবদুল আল মামুন, কোকো প্রাইভেট লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার রাসেল আহমেদ সাগর, সিআইপিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মালদ্বীপ প্রবাসীদের পক্ষে ছিলেন, নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক ইউনিটের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান কালাম, সাংবাদিক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক খোন্দকার অনিক।
সংবর্ধনা ও সম্মাননা পুরস্কার প্রদান শেষে নৈশভোজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
শুরু হলো হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি একাডেমি’র প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। আগামী প্রায় পাঁচ মাস বুয়েটের ইসিই ভবনে স্থাপিত এই একাডেমিতে বুয়েট শিক্ষক এবং হুয়াওয়ের তত্ত্বাবধানে চলবে এই প্রশিক্ষণ।
হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি একাডেমি’র এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) বুয়েট ক্যাম্পাসে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- বুয়েট ইইই ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ খসরু; বুয়েটের ইইই বিভাগীয় প্রধান ড. মো: আয়নাল হক; বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: রুবাইয়াত হোসাইন মণ্ডল এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি।
বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা আইসিটি নির্ভরর্শীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে প্রয়োজনীয় আইসিটি কেন্দ্রিক বিষয়ে দক্ষ করে তোলার উপযুক্ত সময় এখন। এমন বাস্তবতায় হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ, যা তরুণ শিক্ষার্থীদের এই খাত সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে এবং আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পূরণে সাহায্য করবে।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, ‘হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি আমাদের স্কুল এন্টারপ্রাইজ কো-অপারেশন প্রোজেক্টের অংশ, যা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে আইসিটি খাত সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে ও একটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বুয়েটের সাথে এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আইসিটি খাতে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করার মাধ্যমে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
এই একাডেমিতে পর্যায়ক্রমে ভিন্ন ভিন্ন ১৯টি বিষয়ে ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম থাকবে। কোর্স ও সার্টিফিকেশন কো-অর্ডিনেট করবে হুয়াওয়ে অথোরাইজড ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি (এইচএআইএনএ)। শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্বের তিন হাজারের বেশি প্রশিক্ষকের সাথে যোগাযোগের সুযোগও পাবেন।
প্রথম ব্যাচের ফাইভজি (সেলুলার এন্ড মোবাইল নেটওয়ার্ক), ও রাউটিং এন্ড সুইচিং (আইপি নেটওয়ার্কস) বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কোর্স শেষে শিক্ষার্থীদের এই আইসিটি একাডেমি থেকে তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। আগ্রহীগণ https://gce.buet.ac.bd/facilities/huwaii-ict-academy ওয়েবসাইটে এই একাডেমির বিভিন্ন তথ্য পাবেন।
শক্তিশালী ডিজিটাল এবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন এবং ভারত ব্যাতীত) প্রায় ১৪০০ মিলিয়ন কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে হুয়াওয়ে, যার মধ্যে এক দশমিক এক বিলিয়ন বা ১১০০ মিলিয়ন মানুষ এবং দুই দশমিক ৯৩ মিলিয়ন বাড়ি রয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরামে আলোচনাকালে প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া এ তথ্য জানান। আলোচনায় লিয়াং বলেন, ‘মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।’
তিনি বলেন, হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে। ২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লক্ষ এরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে ত্বরাণ্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটাল এবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।”
০১ ডিসেম্বর, ২০২২] ২০২৫ মধ্যে ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে নিজের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অপারেটরদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরাম ২০২২ -এ আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে। হুয়াওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাধিক দেশের মন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ফোরামে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের প্রেসিডেন্ট কাও মিং হুয়াওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সাথে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
৫০ কোটি মানুষ যেন ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন এবং পাঁচ লক্ষ মানুষ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন এজন্য ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত আইসিটি অবকাঠামো তৈরির অন্যতম লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে কাজ করছে। লিয়াং হুয়া তার মূল বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিজিটাল আর্থিক সেবা সাফল্যের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে, বাংলাদেশে একটি মোবাইল ই-ওয়ালেট পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের অংশীদারিত্ব এবং কীভাবে এই পরিষেবাটি বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সক্ষম করে তুলবে সে বিষয়টি লিয়াং উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন। আলোচনায় লিয়াং বলেন, “মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।”
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটাল এবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।”
এ লক্ষ্যে, হুয়াওয়ে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন এবং ভারত ব্যাতীত) প্রায় এক দশমিক এক বিলিয়ন মানুষ এবং ২৯৩ মিলিয়ন বাড়িতে কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে। হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে। ২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লক্ষ এরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে ত্বরাণ্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইনফো সরকার প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের অবকাঠামো নেটওয়ার্ক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে হুয়াওয়ে। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, হুয়াওয়ের ডেলিভারি কর্মীরা সাবট্রপিক্যাল ফরেস্ট, জলাভূমি, জলাবন সহ সরকারি প্রকল্পের অবকাঠামো নেটওয়ার্ককে ২,৬০০ গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশের মোট ৬০ শতাংশ এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবে, যেখানে সরকার, শিক্ষা ও আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
লিওনেল মেসি কিছু দেখেছিলেন: বেশি কিছু নয় তবে সবকিছু হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এক ঘন্টা চলে গেছে এবং আর্জেন্টিনা মেক্সিকোর বিরুদ্ধে কোনও উপায় খুঁজে বের করতে পারেনি যখন সে কাছে এসে শান্ত কথা বলেছিল। এক মিনিটের মধ্যে, তার সতীর্থের হিসাবের দ্বারা, তিনি আবার কাছে আসছেন। এই সময় সে দৌড়াচ্ছিল, চিৎকার করছিল, হেরে যাচ্ছিল, ডি মারিয়ার বাহুতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তার শট মেক্সিকো জালে উড়ে গিয়েছিল । তিনি ঠিক যেখান থেকে বলছিলেন সেখান থেকেই আঘাত করেছিলেন। এটা ছিল, তিনি স্বীকার করেছেন, একটি "মহান মুক্তি"।
মেসি বলেন, ‘আমরা কঠিন পরীক্ষা পার করেছি। “যদিও আমরা নিজের উপর আস্থা রেখেছিলাম, আমরা যা করতে পারি, সত্যের সময়ে অনেক কিছু আপনার মনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং সবকিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা কঠিন হতে পারে। তবে এই দল প্রস্তুত। আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি; এখন আমাদের আরেকটি নিতে হবে।"
ডি মারিয়াকে ২-০ ব্যবধানে জয়ের পর জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি আর্জেন্টিনাকে প্রান্ত থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া গোলের জন্য সহায়তা দাবি করছেন কিনা "কী?!" সে উত্তর দিল. তিনি জোর দিয়েছিলেন, রসায়নটি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের কাছ থেকে এসেছে এবং ধাতুর চেয়েও বেশি বেস দিয়ে এসেছে। "আমি তাকে ছুঁড়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু সে সবসময় সবকিছুর সমাধান খুঁজে পায়," সে বলল। "কি গুরুত্বপূর্ণ যে বলটি তার কাছে এসেছে।" এবং ডি মারিয়া জোর দিয়েছিলেন যে এটিও মেসির কাছেই ছিল - যদিও তিনি যেভাবে কথা বলেছেন তা থেকে তার ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জোসে লুইস মেন্ডিলিবার আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে বর্ণনা করার জন্য একটি লাইন এসেছে: তিনি যে কারও চেয়ে "পার্ক করেন", প্রাক্তন এইবার কোচ বলেছেন। তিনি এমনভাবে দেখতে পারেন যেন তিনি কিছু করছেন না, যেন তিনি থেমে গেছেন, তবে তিনি টেনে নিয়ে গেলেও তিনি থামেননি। বরং সে দেখছে, হিসাব করছে। এটি সেই অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি ছিল।
ডি মারিয়া বলেন, “আমরা জানতাম প্রথম 45 মিনিট খুব জটিল হবে। মেক্সিকো জানত একটি ড্র ঠিক হতে পারে কারণ তাদের শেষ খেলা সৌদি আরবের বিপক্ষে এবং তারা সেখানে তাদের জয় পেতে পারে। আমরা জানতাম দ্বিতীয়ার্ধ খোলা হবে, এবং এটি এমনই ছিল।"
লুসাইলের টেনশনে এতটা নিশ্চিত মনে হলো না। "প্রথমার্ধে আমরা খুব দ্রুত কিছু করার চেষ্টা করছিলাম, তাড়াহুড়ো করে, বিশেষ করে আমি," রদ্রিগো ডি পল বলেছেন। “অর্ধেক সময়ে ম্যানেজার ধৈর্য ধরতে বলেছিলেন, নিজেদের উপর চাপ না ফেলতে, লক্ষ্য আসবে। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের ধৈর্য ছিল যে লিও এবং ম্যানেজার আমাদেরকে অনেক প্রভাবিত করেছিল। আর্জেন্টিনা অবশ্যই উন্নতি করেছে, মেসি তাদের অনেক পদক্ষেপের সূচনা বিন্দু হয়ে উঠেছে, এবং তারপরও যখন সে সেই স্থান দখল করে এবং এক ঘন্টা পর লক্ষ্য নিয়েছিল তখন এটি ছিল তাদের লক্ষ্যে প্রথম শট।
মেসি বলেন, "আমাদের কিছু খেলোয়াড়ের জন্য এটা তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলা। প্রথমার্ধ খুব উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, খেলা খুব কঠিন ছিল। আমরা খুব দ্রুত কাজ করছিলাম, চাপের মধ্যে, আমরা স্পেস খুঁজে পাইনি কারণ মেক্সিকো আগের মতো বন্ধ হয়নি - সাধারণত তারা খেলতে আসে কিন্তু আজ তারা বন্ধ হয়ে যায়। আমরা বলটি এদিক থেকে ওপাশে নিয়ে যাচ্ছিলাম, জায়গা খোঁজার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু এটা সহজ ছিল না।
“দ্বিতীয় অর্ধে আমরা আমাদের ফুটবল খুঁজে পেয়েছি, আমরা সরতে শুরু করেছি, আমরা লাইনের মধ্যে পাস খুঁজে পেতে শুরু করেছি, যা আমাদের শক্তি। লক্ষ্য এসেছিল এবং এটি পরিস্থিতি পরিবর্তন করে। আমাদের তিনটি পয়েন্ট রক্ষা করতে হয়েছিল এবং ভাগ্যক্রমে এনজো [ফার্নান্দেজ] একটি দুর্দান্ত গোল করেছিলেন।
“আশা করি আমরা পরের ম্যাচে আরও শান্ত হতে পারব এবং অবশেষে আমাদের ফুটবল খুঁজে পাব, যেভাবে আমরা দীর্ঘদিন ধরে খেলছি। আমরা সবসময় আমাদের প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার চেষ্টা করি, জয়ের জন্য খেলি, আমাদের প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন এবং এই জয়টি এখন আমাদের হাতে জেনে প্রশান্তি দেয়। এমনকি পোল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে আমরা গ্রুপ জিততে পারতাম।
“আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। সমর্থন এবং একতা দর্শনীয় ছিল – আমরা জানতাম এটা হবে. অনেক স্নায়ু ছিল এবং আমরা সেই লোকদের জয় দিতে পেরেছি, যারা অনেক কষ্টও ভোগ করে। এই দলটি দেখিয়েছে যে এটি লড়াই করার জন্য প্রস্তুত এবং আমরা একটি খেলার জন্য এটি সব ফেলে দিতে পারিনি। যখন আমরা সবাই একসাথে থাকি, তখন আমরা দারুণ কিছু করতে পারি।"
ডি পল বাকী সন্দেহভাজনদের দেশে ফিরে মিডিয়ার জন্য একটি বার্তার মতো মনে হওয়ার কারণটিতে যোগদানের আহ্বান জানানোর সুযোগ নিয়েছিলেন। “অধিকাংশ মানুষ সবসময় আমাদের সাথে ছিল; আমি এমন কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানাই যারা বোর্ডে ফিরে আসতে পারেনি,” মিডফিল্ডার একটু ইঙ্গিত করে বললেন।
“এখন আমরা বিশ্বকাপ উপভোগ করা শুরু করতে পারি। এই গত তিন দিন আমরা তা করিনি। আমরা মনে মনে এটা নিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আজ আমরা তা টেনে নিয়েছি, [সমস্যা] থেকে বেরিয়ে এসেছি। ভক্তরা আমাদের সাথে পরিচিত, তারা আমাদের উপর অনেক আশা রেখেছে। যেদিন আমাদের এই কাপ ছাড়তে হবে আমরা চাই ভক্তরা ভাবুক: `তাদের আর দেওয়ার মতো বাকি ছিল না।` আমরা খালি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সবকিছু দেব।"
কাতার বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) প্রথম দল হিসেবে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ফ্রান্স (France)। শনিবার ডেনমার্ক (Denmark)কে ২-১ গোল হারিয়ে নক আউটে ওঠা নিশ্চিত করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। কিলিয়ান এমবাপের (Kylian Mbappe) জোড়া গোলে জিতল ফ্রান্স। ম্যাচের ৬১ মিনিটে গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দিয়েছিলেন এমবাপে। কিন্তু ৭ মিনিটের মধ্যেই ড্যানিশদের সমতায় ফেরান আন্দ্রেস ক্রিশ্চিয়ান। এরপর তিন পয়েন্ট পেতে ঝাঁপায় ফরাসিরা।
করিম বেঞ্জেমা, কন্তে, পোগবাদের মত তারকাদের ছাড়াও ফরাসি আক্রমণে সেই গত বিশ্বকাপের ঝাঁঝটা আছে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ২৩ বছরের এমবাপে গোল করে দলকে জেতান। রাশিয়া বিশ্বকাপে যেখানে শেষ করেছিল চ্যাম্পিয়ন, সেখান থেকেই যেন কাতারে শুরু করেছেন দিদিয়র দেঁশরা। আরও পড়ুন-আর্জেন্টিনাকে হারানো সৌদিকে দু গোলে হারিয়ে মেসিদের গ্রুপে শীর্ষে পোল্যান্ড৷
গোল দেখতে ক্লিক করুন
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারানোর পর এদিন ফের জেতায় ফ্রান্সের পয়েন্ট দাঁড়াল ৬। শেষ ম্যাচে ফ্রান্স খেলবে তিউনিসিয়ার বিরুদ্ধে। আর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ডেনমার্ক। এদিন, অস্ট্রেলিয়া জেতায়, শেষ ম্যাচ ড্য়ানিশদের অজিদের হারাতেই হবে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া যদি শেষ ম্যাচে ডেনমার্ককে রুখে দেয়,তাহলে অজিরা এই গ্রুপ থেকে ফ্রান্সের সঙ্গে নক আউটে উঠে যাবে।
‘বেস্ট এমপ্লয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আইসিটি খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও এই খাতে ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেমের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় ফরেন ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানটিকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত বিএসএইচআরএম-গার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স ৯ম আন্তর্জাতিক এইচআর কনফারেন্স ২০২২-এ হুয়াওয়েকেব এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ডটি গ্রহণ করেন হুয়াওয়ে টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিয়ং।
‘ইন বাংলাদেশ ফর বাংলাদেশ’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালে কার্যক্রম শুরু করে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। দীর্ঘ সময়ের এই যাত্রায় ধারাবাহিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে গেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। দেশের গ্রাহক, ভেন্ডর ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলোর সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের নানামুখী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইসিটি স্কিলস প্রতিযোগিতা, সিডস ফর দ্য ফিউচার, ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম, আইসিটি একাডেমি, হুয়াওয়ে আইসিটি ইনকিউবেটর এবং আরও বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। স্থানীয় কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বিশ্বমানের কাজের সুযোগ তৈরি করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের সামগ্রিক আইসিটি খাতকে সফল ও টেকসই করতে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।
হুয়াওয়ে বাংলাদেশের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান হুয়াং বাওশিয়ং বলেন, ‘এই ব্যবসায়িক ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে হুয়াওয়ে। ভিন্ন ভিন্ন অপারেটরের সাথে একযোগে টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি চালু করে প্রতিষ্ঠানটি; পাশাপাশি, ফাইভজি উন্মোচনের লক্ষ্যেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছে তারা। বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও উদ্যোগের মাধ্যমে আইসিটি ইকোসিস্টেমের বিকাশে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ শুরু করেছে হুয়াওয়ে।’
আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে কানেক্টিভিটি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের পার্টনার২কানেক্ট ডিজিটাল অ্যালায়েন্সে (জোট) যোগদানের জন্য একটি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতিও সই করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বুধবার (২৩ নভেম্বর)হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া প্রতিষ্ঠানটির ‘২০২২ সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম, কানেক্টিভিটি+: ইনোভেট ফর ইম্প্যাক্ট’-এ এই ঘোষণা দেন।
কীভাবে আইসিটি উদ্ভাবন ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে কানেক্টিভিটির ব্যবসায়িক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বকে ত্বরাণ্বিত করতে পারে, ফোরামে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইটিইউ এবং জাতিসংঘের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের টেলিকম মন্ত্রী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতাগণ অনলাইনে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বেলজিয়াম এবং জার্মানি থেকে অংশীদার, বিশেষজ্ঞ এবং ক্রেতারাও এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়াও, বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরাও এই অনুষ্ঠানে স্বশরীরে ও অনলাইনে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ডক্টর লিয়াং বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। যারা সংযোগবিহীন রয়েছেন, তাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি। সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্লাউড এবং কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে একত্রে কানেক্টিভিটি প্রত্যেককে ডিজিটাল জগতে আনতে সাহায্য করবে এবং তাদের আরও তথ্য এবং দক্ষতা এবং উন্নত পরিষেবা এবং বৃহত্তর
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে সুযোগ প্রদান করবে। এর ফলে, আরও সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি। টেলিযোগাযোগ খাতের প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সকল মানুষকে কানেক্টিভিটির সুবিধায় নিয়ে আসা। শিক্ষা, শিল্প ও টেক্সটাইল সহ প্রতিটি খাতে কানেক্টিভিটির ভূমিকা অপরিসীম; তাই, আমরাও এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং সকল অংশীজনদের সহযোগিতায় আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবে পরিণত করতে পারবো বলে আমি প্রত্যাশা করছি।’
ফাইভজি+এআইয়ের সফল সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্প্রতি খনির জন্য বিশেষ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) পরিবর্ধন করার ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে। এই সমন্বিত অপারেটিং সিস্টেম বড় আকারের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে।
হুয়াওয়ে ও চায়না এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ১৩টি খনি ও একটি কয়লা শোধনাগারে মাইনহারমোনি ওএস সম্বলিত ৩,৩০০টি যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
বিশেষভাবে, অপারেটিং সিস্টেমটি মঙ্গোলিয়ার অন্তরভুক্ত উলানমুলুন (উলান মোরান নামেও পরিচিত) খনির পুরোটা জুড়ে স্থাপন করা হয়েছে; যেখানে কানেক্টিভিটি, ইন্টারফেস ও ডেটা অ্যাকসেসের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে। অপারেটিং সিস্টেমটি সরঞ্জামগুলোর স্মার্ট নিয়ন্ত্রণ, নির্দিষ্ট সাইটের স্বয়ংক্রিয় টহল এবং অনলাইনে সরঞ্জামগুলো আপগ্রেড করার মতো নানা রকম উদ্ভাবনী পরিস্থিতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। ফলে আগে যে কাজ একদিনে হতো, এখন তা হবে মাত্র চার মিনিটে।
যেকোনো খনিকে ডিজিটালাইজ ও স্মার্ট খনিতে রূপান্তর করতে গেলে প্রথমেই কিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে- আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা, সরঞ্জামগুলোর আন্তঃকার্যক্ষমতা যাচাই করা এবং ডেটা ব্যবহারের সুযোগ না থাকার ঝুঁকি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এর জন্য উপযুক্ত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি খুঁজে বের করা।
একটি নেতৃস্থানীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটি ওএস (ইন্টারনেট অব থিংস অপারেটিং সিস্টেম) হিসেবে মাইনহারমোনি কেবল বিভিন্ন সরঞ্জামের মধ্যে ইউনিফাইড প্রটোকলই নিশ্চিত করে না, পাশাপাশি দূরবর্তী পরিদর্শনের সাথে সম্পর্কিত কাজগুলোকেও সহজ করে তোলে। এর ওপর ফাইভজি+এআই ভিডিও স্টিচিং প্রযুক্তির সাহায্যে খনির দূরবর্তী মেশিনগুলোকেও নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে, খনির ভূগর্ভস্থ কার্যক্রম এখন অফিসে বসেই দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এতে করে খনির নিরাপত্তার পাশাপাশি কর্ম-পরিবেশের উন্নতি হবে। এর মাধ্যমে সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খনির পরিদর্শন নিশ্চিত করা যাবে; পাশাপাশি খনির ভূগর্ভ পরিদর্শন কর্মীর সংখ্যা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা যাবে।
ভূগর্ভস্থ কয়লা খনিতে ভিন্ন ভিন্ন প্রটোকলের মাধ্যমে সকল ডিভাইস ও সরঞ্জাম লাগানো থাকে; এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সেগুলোকে সমন্বয়ের করার উপায় খুঁজে বের করা। এ কারণে, খনি খাতের সর্বপ্রথম আইওটি ওএস হিসেবে মাইনহারমোনি মাত্র তিন মাসে ডেভেলপ করতে হুয়াওয়ে’র মাইন টিম ও চায়না এনার্জি একসাথে ৩০টিরও বেশি সহযোগীদের সাথে কাজ করে।
বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়াকে স্মার্ট, নিরাপদ ও আরও কার্যকরী করে তুলতে ফাইভজি নেটওয়ার্ক ও ফোর এল অটোনমাস ড্রাইভিং ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। সম্প্রতি, স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব বন্দর তৈরির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে ও অন্যান্য সহযোগীদের সাথে চীনের তিয়ানজিন পোর্ট গ্রুপ (টিপিজি) একটি স্মার্ট টার্মিনাল নির্মাণ করেছে।
চীনের তিয়ানজিন বন্দরে অত্তিরিক্ত চাপ ও বন্দর ব্যবস্থাপনার জটিলতার কারণে এই বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সমস্যার সমাধানে এই বন্দরকে একটি বন্দরে পরিণত করার এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। বি-ডউ (BeiDou) নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমের সাহায্যে তিয়ানজিন বন্দরে কনটেইনার ট্রাকগুলো লকিং/আনলকিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়ায় পুরো প্রক্রিয়াটি এখন খুব সহজেই সম্পন্ন করা যাচ্ছে।
এই ইন্টেলিজেন্ট ও ডিজিটাল রুপান্তরের ফলে প্রতিটি ক্রেন ঘন্টায় ৩৯টি কন্টেইনার সরানোর কাজ সম্পূর্ণ করতে পারছে। এতে ক্রেনের সক্ষমতা গড়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমানে তিয়ানজিন বন্দরে প্রতিটি কন্টেইনার সরানোর জন্য ২০ শতাংশ কম জ্বালানি কম খরচ হচ্ছে এবং সর্বোপরি বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্মার্ট বন্দরের সম্ভাবনা নিয়ে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, “ডিজিটাল রূপান্তরের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে স্মার্ট পোর্ট ও টার্মিনাল গড়ে তোলা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে স্মার্ট পোর্টে পরিণত করতে পারলে তিয়ানজিনের মতোই এই বন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সেগুলো দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
তিয়ানজিন পোর্ট চীনে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা বন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া, ওয়ান বেল্ট-ওয়ান রোড উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এই বন্দরের গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা আছে। এই বন্দরে ২২ মিটার গভীরতা সহ ৩০০০০০-টন-ক্লাস জেটি আছে। ২০২১ সালে মোট কার্গোর পরিমাণের (৪৩৫ মিলিয়ন টন) বিবেচনায় এই বন্দর বিশ্বে নবম এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিংইয়ের (১৮.৩৫ মিলিয়ন টিইইউ) দিক থেকে অষ্টম অবস্থানে ছিল।
গ্লোবাল মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম ২০২২ (এমবিবিএফ২০২২) এ ফাইভজি প্রযুক্তির অধিগ্রহণ সহজতর করার জন্য হুয়াওয়ে আইসিটি প্রোডাক্টস অ্যান্ড সলিউশন ও ওয়্যারলেস সলিউশনের প্রেসিডেন্ট ইয়াং চাওবিন ‘ওয়ান ফাইভজি’ ধারণা ও এর জন্য বেশ কিছু কার্যকরী পণ্য উন্মোচন করেছেন।
ইএলএএ এর সাথে মেটাএএইউ এর সমন্বয় টিডিডি আপলিংক ও ডাউনলিংক কাভারেজ উন্নত করে, বিদ্যুৎ খরচ কমাতে সাহায্য করে
হুয়াওয়ের মেটাএএইউ বড় অ্যান্টেনা অ্যারে (ইএলএএ) প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও জ্বালানি সাশ্রয় করে। এই প্রযুক্তি আপলিংক ও ডাউনলিংক ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে ৩০% পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এবং ৩০% কম শক্তি খরচ করে একই রকম কাভারেজ নিশ্চিত করতে সক্ষম।
আল্ট্রা-ওয়াইডব্যান্ড ও মাল্টি-অ্যান্টেনা প্রযুক্তি ফ্র্যাগমেন্টেড এফডিডি স্পেকট্রামের সাহায্যে ব্যবহার প্রক্রিয়াকে সহজতর এবং স্পেক্ট্রাল এফিসিয়েন্সি উন্নত করে
হুয়াওয়ের আল্ট্রা-ওয়াইডব্যান্ড ফোরটিফোরআর আরআরইউ এর সাহায্যে এই প্রযুক্তি সহজেই ব্যবহার করা যায় এবং সকল ধরনের আরএটি, ব্যান্ডস ও ক্যারিয়ারে মিলিসেকেন্ড স্তরের পাওয়ার শেয়ারিং সমর্থন করে। একই স্তরের জিইউ কাভারেজ নিশ্চিত করার সাথে সাথে ৩০% পর্যন্ত বিদ্যুৎ খরচ কমায়। হুয়াওয়ের ডুয়াল-ব্যান্ড এইটটিএইটআর আরআরইউ ১.৮ ও ২.১ গিগাহার্টজ উভয় ব্যান্ডকে সমর্থন করে এবং ফোরজি ও ফাইভজি নেটওয়ার্ক সক্ষমতা যথাক্রমে ১.৫ ও ৩ গুণ বৃদ্ধি করতে পারে। হার্টজ প্ল্যাটফর্মের এইটটিএইটআর নেটিভ অ্যান্টেনার সাথে ব্যবহার করা হলে, এইটটিএইটআর আরআরইউ ১৫% পর্যন্ত জ্বালানি খরচ কমাতে সক্ষম। সিঙ্গেল-পোল পরিস্থিতির জন্য হুয়াওয়ে দিচ্ছে এই খাতের প্রথম এফডিডি ব্লেডএএএইউ সমাধান, যা এফডিডি ম্যাসিভ মিমো এএইউ ও সাব-৩ গিগাহার্টজ প্যাসিভ অ্যান্টেনার মধ্যে সমন্বয় ঘটায়।
‘গ্লোবাল এমবিবি ফোরাম ২০২২’ চলাকালীন হুয়াওয়ের বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও আইসিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড ওয়্যাং ‘স্ট্রাইড টু ৫.৫জি: দ্য ফাউন্ডেশন অব দ্য ফিউচার’ শীর্ষক মূল বক্তব্য প্রদান করেন। ডেভিড ওয়্যাং তার বক্তব্যে আলোচনা করেন কীভাবে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই খাত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে এবং ৫.৫জি প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে প্রস্তুতি গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই মাইলফলক অর্জনের জন্য এই খাতসংশ্লিষ্ট সকলকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে করে তারা ৫.৫জি প্রযুক্তির যুগে দ্রুত অগ্রসর হতে পারেন এবং সবার সম্মিলিত প্রয়াসে একটি উন্নত ও ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব গড়ে তোলা যায়।
ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা বর্তমানে যে পরিবর্তনগুলোর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার সবই ডিজিটাল অবকাঠামোর ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে সমন্বিত। ইন্টেলিজেন্ট বিশ্বে আমাদের পরবর্তী মাইলফলকটি অবশ্যই ৫.৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে ১০জিবিট/এস অভিজ্ঞতা প্রদান করবে, যা অসংখ্য সংযোগকে সহায়তা প্রদান করবে এবং নেটিভ ইন্টেলিজেন্স অর্জনে সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে ওয়্যাং গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই খাতে দুই বছরের সমন্বিত প্রচেষ্টার পর ৫.৫জি প্রযুক্তিতে বিশাল অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়েছে এবং তিনটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে।
প্রথমত, ৫.৫জি প্রযুক্তি এর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন শুরু হয়েছে এবং এটি সঠিক পথে রয়েছে, যা একে সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গির চেয়ে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে।
দ্বিতীয়ত, এই খাতটি ৫.৫জি প্রযুক্তির জন্য মূল প্রযুক্তিতে অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং আল্ট্রা- লার্জ ব্যন্ডউইথ এবং ইএলএএ এখন ১০ জিবিট/এস অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম।
তৃতীয়ত, আইওটি ল্যান্ডস্কেপের জন্য এই খাতের একটি স্পষ্ট ভিশন রয়েছে। ৫.৫জি প্রযুক্তি সমর্থিত (এনবি-আইওটি, রেডক্যাপ এবং প্যাসিভ আইওটি) তিন ধরনের ৫.৫জি প্রযুক্তি দ্রুতভাবে বিকশিত হচ্ছে এবং এটি বিপুল সংখ্যক আইওটি সংযোগকে সমর্থন করছে।
এই বিষয়ে ওয়্যাং বলেন, “যোগাযোগ খাত ধারাবাহিকভাবে বিকশিত হচ্ছে। ৫.৫জি প্রযুক্তির বিকাশ বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সামনের দিনগুলোতে আমাদের পাঁচটি নতুন খাত নিয়ে কাজ করতে হবে। এগুলো হলো: স্ট্যান্ডার্ড, স্পেকট্রাম, প্রডাক্ট, ইকোসিস্টেম ও অ্যাপ্লিকেশন। একসাথে আমরা ৫.৫জি’র অভিমুখে অগ্রসর হয়ে একটি উন্নত এবং ইন্টেলিজেন্ট বিশ্ব বিনির্মাণ করতে পারবো।”