| বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

   অর্থ-বাণিজ্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
থমকে দেয়া হচ্ছে ‘ফাইভজি রেডিনেস’ প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার 

 

দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ৫জি’কে সম্প্রসারণ এবং ৪জি’কে আরও শক্তিশালী করতে গ্রহণ করা হয় বিটিসিএল’র অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রকল্প। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

 

 

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে দরপত্র প্রকাশ করা হয় যাতে অংশ গ্রহণ করার শেষ সময় ছিল ২রা নভেম্বর। এর পর ২০শে ডিসেম্বর তারিখের টেন্ডার ওপেনিং ডকুমেন্ট (দরপত্র খোলা) অনুযায়ী দেখা যায় এই দরপত্রে অংশ নিয়েছে তিন প্রতিষ্ঠানঃ নোকিয়া, জেডটিই ও হুয়াওয়ে।

 

পিপিআর (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল) নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের আহ্বায়ক আজম আলী এই প্রকল্পের কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মঞ্জির আহমেদের কাছে জমা দিয়েছেন। যা পরবর্তীতে বর্তমান বিটিসিএলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামানের কাছে জমা দেন মঞ্জির আহমেদ। কিন্তু আসাদুজ্জামান এই রিপোর্টটি দাপ্তরিকভাবে গ্রহণ করছেন না। কারণ এই রিপোর্ট গ্রহণ করার এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র বিজয়ীকে জানানোর বাধ্য বাধকতা রয়েছে পিপিআর-এ।

 

উপরন্তু জমাকৃত দরপত্রগুলো খুলতেও অনুমতি দিচ্ছেন না আসাদুজ্জামান। আর তাঁর এই কালক্ষেপনকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে এই প্রকল্পের দরপত্র আবেদনকারী, জেডটিই ও একটি বিশেষ মহল।

 

গত ২৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয় বরারর প্রকল্প দরপত্রের সরঞ্জামের কারিগরি সক্ষমতার বিষয়ে একটি মনগড়া অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে জেডটিই। যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র এই দরপত্রটি বাতিল করে পুনরায় আহ্বান করানো। অথচ এর আগে ৩০ শে অক্টোবর প্রাক্তন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবের সভাপতিত্বে সকল পরিচালক পর্ষদ, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, এবং দরপত্রে অংশগ্রহণকারী সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে বিটিসিএল অফিসে একটি সভা আয়োজন করা হয়। দরপত্র জমাদানের শেষ তারিখের আগে আয়োজিত সেই সভায় সকলকে আহ্বান করা হয় যাতে তারা যেন দরপত্র বিষয়ক যে কোন মতামত, অভিযোগ কিংবা পরামর্শ সেই সভায় বিনা দ্বিধায় উল্লেখ করে বা নভেম্বর মাসের তিন তারিখের মধ্যে বিটিসিএল ববাবর লিখিত আকারে জমা দেয়। সেই সভায় কিংবা পরবর্তীতে কোন প্রতিষ্ঠান কোন আপত্তি পেশ করেনি। বরং সবকিছু মেনে-বুঝে দরপত্র জমা দিয়েছে। কিন্তু দরপত্র জমা এবং কারিগরি মূল্যায়ন রিপোর্ট তৈরি হবার পর হঠাৎ জেডটিই প্রকল্পটি না পাওয়ার আশংকায় গড়িমসি শুরু করেছে।

এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গ্রাহক এসোসিয়েশনকেও দলে ভিড়িয়েছে তারা। এই প্রকল্পের চলমান প্রক্রিয়া এবং কারিগরি বিষয়গুলো তাদের জানার কোন উপায় না থাকলেও তারা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বরাবর একটি ভিত্তিহীন অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। সব কিছু মিলে থমকে আছে এই ফাইভ জি রেডিনেস প্রকল্প।

সমস্ত নিয়ম মেনে এই পুরো প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করতে গত ১৬ই মে হুয়াওয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, বিটিসিএল ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে হুয়াওয়ে।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবও এখানে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কারণ পূর্ববর্তী দুই সচিব মোঃ খলিলুর রহমান ও মোঃ আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতিবাজ দল ব্যাপক শোরগোল তৈরি করেছিল এবং শেষমেষ মোঃ আফজাল হোসেনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল অন্য বিভাগে।

থমকে দেয়া হচ্ছে ‘ফাইভজি রেডিনেস’ প্রকল্প
                                  

স্টাফ রিপোর্টার 

 

দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ৫জি’কে সম্প্রসারণ এবং ৪জি’কে আরও শক্তিশালী করতে গ্রহণ করা হয় বিটিসিএল’র অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রকল্প। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৫৯ কোটি ১০ লাখ টাকা যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

 

 

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে দরপত্র প্রকাশ করা হয় যাতে অংশ গ্রহণ করার শেষ সময় ছিল ২রা নভেম্বর। এর পর ২০শে ডিসেম্বর তারিখের টেন্ডার ওপেনিং ডকুমেন্ট (দরপত্র খোলা) অনুযায়ী দেখা যায় এই দরপত্রে অংশ নিয়েছে তিন প্রতিষ্ঠানঃ নোকিয়া, জেডটিই ও হুয়াওয়ে।

 

পিপিআর (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল) নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের আহ্বায়ক আজম আলী এই প্রকল্পের কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মঞ্জির আহমেদের কাছে জমা দিয়েছেন। যা পরবর্তীতে বর্তমান বিটিসিএলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামানের কাছে জমা দেন মঞ্জির আহমেদ। কিন্তু আসাদুজ্জামান এই রিপোর্টটি দাপ্তরিকভাবে গ্রহণ করছেন না। কারণ এই রিপোর্ট গ্রহণ করার এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র বিজয়ীকে জানানোর বাধ্য বাধকতা রয়েছে পিপিআর-এ।

 

উপরন্তু জমাকৃত দরপত্রগুলো খুলতেও অনুমতি দিচ্ছেন না আসাদুজ্জামান। আর তাঁর এই কালক্ষেপনকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে এই প্রকল্পের দরপত্র আবেদনকারী, জেডটিই ও একটি বিশেষ মহল।

 

গত ২৪ এপ্রিল মন্ত্রণালয় বরারর প্রকল্প দরপত্রের সরঞ্জামের কারিগরি সক্ষমতার বিষয়ে একটি মনগড়া অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে জেডটিই। যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র এই দরপত্রটি বাতিল করে পুনরায় আহ্বান করানো। অথচ এর আগে ৩০ শে অক্টোবর প্রাক্তন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবের সভাপতিত্বে সকল পরিচালক পর্ষদ, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, এবং দরপত্রে অংশগ্রহণকারী সকল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে বিটিসিএল অফিসে একটি সভা আয়োজন করা হয়। দরপত্র জমাদানের শেষ তারিখের আগে আয়োজিত সেই সভায় সকলকে আহ্বান করা হয় যাতে তারা যেন দরপত্র বিষয়ক যে কোন মতামত, অভিযোগ কিংবা পরামর্শ সেই সভায় বিনা দ্বিধায় উল্লেখ করে বা নভেম্বর মাসের তিন তারিখের মধ্যে বিটিসিএল ববাবর লিখিত আকারে জমা দেয়। সেই সভায় কিংবা পরবর্তীতে কোন প্রতিষ্ঠান কোন আপত্তি পেশ করেনি। বরং সবকিছু মেনে-বুঝে দরপত্র জমা দিয়েছে। কিন্তু দরপত্র জমা এবং কারিগরি মূল্যায়ন রিপোর্ট তৈরি হবার পর হঠাৎ জেডটিই প্রকল্পটি না পাওয়ার আশংকায় গড়িমসি শুরু করেছে।

এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গ্রাহক এসোসিয়েশনকেও দলে ভিড়িয়েছে তারা। এই প্রকল্পের চলমান প্রক্রিয়া এবং কারিগরি বিষয়গুলো তাদের জানার কোন উপায় না থাকলেও তারা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বরাবর একটি ভিত্তিহীন অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। সব কিছু মিলে থমকে আছে এই ফাইভ জি রেডিনেস প্রকল্প।

সমস্ত নিয়ম মেনে এই পুরো প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করতে গত ১৬ই মে হুয়াওয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সচিব, বিটিসিএল ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে হুয়াওয়ে।

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবও এখানে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। কারণ পূর্ববর্তী দুই সচিব মোঃ খলিলুর রহমান ও মোঃ আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতিবাজ দল ব্যাপক শোরগোল তৈরি করেছিল এবং শেষমেষ মোঃ আফজাল হোসেনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল অন্য বিভাগে।

মেগা প্রকল্পের কাজ হাতিয়ে নিতে কারসাজি ও অনিয়ম, নষ্ট হচ্ছে জনগণের টাকা
                                  

স্টাফ রিপোর্টার 

 

দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ও স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এজন্য গ্রহণ করা হচ্ছে বড় বড় সব মেগা প্রকল্প। প্রকল্প বাস্তবায়নে আস্থার সাথে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে কোন কোন প্রতিষ্ঠানের অতীত যেমন প্রশ্নবিদ্ধ, তেমনি রয়েছে দুর্নীতির ইতিহাস।  

এক্ষত্রে, উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধিতে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ (এমওটিএন) প্রকল্পের কথা। এ প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় এ প্রকল্প। অভিযোগ ওঠে নিয়ম ভঙ্গ করে কোনো বিশেষ চীনা প্রতিষ্ঠানকে এ প্রকল্পের কাজ দেয়া হয়েছে। নানা মহল থেকে অভিযোগ করা হয় কাজ দেয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট চীনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন কারসাজি ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে, যদিও বিশেষ ওই প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত বিডিং মূল্য বেশ অসামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন অনুযায়ী, সরাসরি ক্রয়পদ্ধতির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার অনুমোদন বাধ্যতামূলক। কিন্তু মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেয়ার আগেই বিটিসিএল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে চীনের জেডটিই হোল্ডিং কো. লিমিটেড ও জেডটিই করপোরেশনকে মনোনীত করে এবং ২৩১ মার্কিন ডলারে এ প্রকল্প চূড়ান্ত করে, যা স্পষ্টভাবেই আইনের লঙ্ঘন।  

এজন্য বিটিসিএল ও জেডটিই উভয়ের বিরুদ্ধেই অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর চীনের নির্দিষ্ট এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে মেগা প্রকল্প হাতিয়ে নিতে অসদুপায় অবলম্বনের পূর্ব ইতিহাসও রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। 

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১০৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার বিটিসিএল’র অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। এখন পর্যন্ত, দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করতে পারেনি বিটিসিএল। কিন্তু এরই মধ্যে, এ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। অভিযোগ করা হয়েছে কোনো পরামর্শক নিয়োগ না দিয়ে পক্ষপাতিত্ব করে একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার পাঁয়তারা চলছে। 

জেডটিই’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়! অন্যান্য দেশেও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সহ অন্তত ১৮টি দেশে জেডটিই’র বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করার জন্য জেডটিই-কে ২০১৭ সালে তিন বছর মেয়াদে শাস্তি পেতে হয়। এছাড়াও, ফিলিপিন ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক কন্ট্রোভার্সি, যা এনবিএন-জেডটিই চুক্তিতে দুর্নীতি কেলেঙ্কারি নামেও পরিচিত এর খবর প্রকাশিত হয়।  

এমনকি বাংলাদেশ অনিয়মের কারণে সংবাদ শিরোনামে স্থান করে নেয় জেডটিই। ২০২০ সালে জেডটিই করপোরেশনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সাথে কাজ করা ৫টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্বে চুক্তি বাতিল ও তদন্তে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় এনবিআরের ইনভেস্টিগেশন সেন্টার (সিআইসি)। 

এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে এমন একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেশের মেগা প্রকল্পের কাজ দেয়া যেকোন সুবিবেচকের মনেই প্রশ্নের উদ্রেক ঘটাবে। আর এটা করা হলে শুধুমাত্র জনগণের অর্থেরই অপচয় ঘটবে এবং জনগণের স্বার্থে মহৎ উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা সরকারের উদ্যোগই কলঙ্কিত হবে। উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের মতে সরকার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোকে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার আগে তাদের অতীতের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেয়া দরকার এবং এমন প্রতিষ্ঠানের সাথেই কাজ করা উচিত যাদের কাজে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা রয়েছে।

ফুলবাড়ীর শিবনগর ইউনিয়নে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষনা
                                  

মোঃ আফজাল হোসেন, 

দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর শিবনগর ইউনিয়নে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষনা। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ছামেদুল ইসলাম। ইউপি সচিব প্রদীপ কুমার অধিকারীর স ালনায় এ বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিবনগর ইউপির হিসাব সহকারী মোঃ মেহেদী হাসান, ইউপি সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

 

স্থানীয় পিভি সল্যুশন ইনস্টলারদের জন্য হুয়াওয়ের কর্মশালা আয়োজন
                                  

স্টাফ রিপোর্টার 

 

সম্প্রতি হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ডিজিটাল পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট প্রায় শতাধিক বাংলাদেশী পিভি (ফটোভোলটাইক) সলিউশন ইনস্টলারদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করে। ব্যবহারকারীদের সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজন সমাধানে পিভি ইনস্টলারদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ‘হুয়াওয়ে ইনস্টলার ওয়ার্কশপ ২০২৩’ শীর্ষক এই কর্মশালা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সহায়ক হবে।

 

হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) সেশনের শুরুতে এই খাতের সহযোগীদের উপস্থিতিতে তার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের এমডি এম এ তাহের হুয়াওয়ে ইনভার্টার ও সল্যুশন ব্যবহার করলে কি ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং হুয়াওয়ের বিভিন্ন পাওয়ার সলিউশন সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়। সেশনে বক্তারা হুয়াওয়ে ইনভার্টারের সুবিধা, সমাধান ও এ সম্পর্কিত নানা খুঁটিনাটি বিষয়, আবাসিক অন-গ্রিড এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস) সল্যুশনের ব্যবহারিক প্রয়োগ, ইনভার্টার ইনস্টল করা ও ফিউশন সোলার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কথা বলেন।

 

কর্মশালা ছাড়াও, জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে একটি অনুমোদন সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। এই অনুমোদনের মাধ্যমে জেনেটিক লিমিটেড এখন থেকে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলির জন্য হুয়াওয়ে ইনভার্টারের রেডি স্টক রাখার বিশেষাধিকার পাবে। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের রুম্মান ইকবাল রনি, পরিচালক (সি অ্যান্ড আই, সোলার প্রজেক্ট) এবং ঝাং কাইওয়েই (মি. ক্যালভিন), বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এই সার্টিফিকেট জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লুৎফর রহমান এবং মোঃ ওবায়দুর রহমান, ডিরেক্টর মার্কেটিং, এর কাছে প্রদান করেন।

 

হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) এই ইভেন্টে বলেন, “হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে এই খাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ যেন নবায়নযোগ্য শক্তির উত্স থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে সে ব্যাপারে সহায়তা করা আমাদের পরিকল্পনার অংশ। এই কর্মশালা সৌরবিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।” 

 

অনুষ্ঠানে জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, “একটি নেতৃস্থানীয় সোলার ইনস্টলার কোম্পানি হিসেবে আমরা হুয়াওয়ের ইনভার্টারের রেডি ষ্টক রাখার যে অনুমোদন পেয়েছি সেটি একটি অসাধারণ সুযোগ। হুয়াওয়ে উন্নত মানের ইনভার্টার সরবরাহ করছে। এই অনুমোদন আমাদেরকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখতে সাহায্য করবে।”

 

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে এবং সোলার ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার (আইপিপি) প্রকল্প সহ বেশ কয়েকটি ছাদ-ভিত্তিক (রুফ টপ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ডিজিটাল পাওয়ারের দিকে দেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন ও এই রূপান্তরের সহযোগী হিসেবে নানান সহযোগীদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

স্থানীয় পিভি সল্যুশন ইনস্টলারদের জন্য হুয়াওয়ের কর্মশালা আয়োজন
                                  

উম্মে সালমা উর্মি

স্টাফ রিপোর্টার 

 

 

সম্প্রতি হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ডিজিটাল পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট প্রায় শতাধিক বাংলাদেশী পিভি (ফটোভোলটাইক) সলিউশন ইনস্টলারদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করে। ব্যবহারকারীদের সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজন সমাধানে পিভি ইনস্টলারদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ‘হুয়াওয়ে ইনস্টলার ওয়ার্কশপ ২০২৩’ শীর্ষক এই কর্মশালা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সহায়ক হবে।

হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) সেশনের শুরুতে এই খাতের সহযোগীদের উপস্থিতিতে তার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের এমডি এম এ তাহের হুয়াওয়ে ইনভার্টার ও সল্যুশন ব্যবহার করলে কি ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে আলোচনা করেন। অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং হুয়াওয়ের বিভিন্ন পাওয়ার সলিউশন সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়। সেশনে বক্তারা হুয়াওয়ে ইনভার্টারের সুবিধা, সমাধান ও এ সম্পর্কিত নানা খুঁটিনাটি বিষয়, আবাসিক অন- গ্রিড এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস) সল্যুশনের ব্যবহারিক প্রয়োগ, ইনভার্টার ইনস্টল করা ও ফিউশন সোলার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কথা বলেন।

কর্মশালা ছাড়াও, জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে একটি অনুমোদন সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। এই অনুমোদনের মাধ্যমে জেনেটিক লিমিটেড এখন থেকে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলির জন্য হুয়াওয়ে ইনভার্টারের রেডি স্টক রাখার বিশেষাধিকার পাবে। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের রুম্মান ইকবাল রনি, পরিচালক (সি অ্যান্ড আই, সোলার প্রজেক্ট) এবং ঝাং কাইওয়েই (মি. ক্যালভিন), বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এই সার্টিফিকেট জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লুৎফর রহমান এবং মোঃ ওবায়দুর রহমান, ডিরেক্টর মার্কেটিং, এর কাছে প্রদান করেন।

হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) এই ইভেন্টে বলেন, “হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে এই খাতে বিভিন্ন উদ্যোগ

গ্রহণ করছে। সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ যেন নবায়নযোগ্য শক্তির উত্স থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে সে ব্যাপারে সহায়তা করা আমাদের পরিকল্পনার অংশ। এই কর্মশালা সৌরবিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।”

অনুষ্ঠানে জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, “একটি নেতৃস্থানীয় সোলার ইনস্টলার কোম্পানি হিসেবে আমরা হুয়াওয়ের ইনভার্টারের রেডি ষ্টক রাখার যে অনুমোদন পেয়েছি সেটি একটি অসাধারণ সুযোগ। হুয়াওয়ে উন্নত মানের ইনভার্টার সরবরাহ করছে। এই অনুমোদন আমাদেরকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখতে সাহায্য করবে।”

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে এবং সোলার ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার

প্রোডিউসার (আইপিপি) প্রকল্প সহ বেশ কয়েকটি ছাদ-ভিত্তিক (রুফ টপ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ডিজিটাল পাওয়ারের দিকে দেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন ও এই

রূপান্তরের সহযোগী হিসেবে নানান সহযোগীদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

 

ফুলবাড়ীতে প্রাণ বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড রাইচ মিলের নতুন লাইন উদ্বোধন
                                  

মোঃ আফজাল হোসেন, 

দিনাজপুর প্রতিনিধি

 

ফুলবাড়ীতে প্রাণ বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড রাইচ মিলের নতুন লাইন উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণ গ্রæপ কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক মোঃ নাসের আহমেদ। 

গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলার রাঙ্গামাটি প্রাণ বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড রাইচ মিলের সিদ্ধ আতব চাউল নতুন লাইন ও ভূট্টা ও বোর ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন ও বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক মন্ত্রী এ্যাড: মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (এমপি)। উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি প্রাণ বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড এর বেশ কিছু প্রডাকশন সেকশন ও কারখানা পরিদর্শন করেন।

শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করেন হাফেজ মোঃ গোলজার হোসেন। এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড রাঙ্গামাটি ফুলবাড়ীর মহা ব্যবস্থাপক মোঃ জাকারিয়া হোসেন। 

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন, ফুলবাড়ী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মদ ওয়াসিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী, আমিন অটোরাইচ মিল স্বত্তাধীকারী, বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব রুহুল আমিন, বেতদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপাধ্যক্ষ মোঃ শাহ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, কাজিহাল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মানিক রতন, এলুয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা মোঃ নবীউল ইসলাম, ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আশরাফুল আলম ডাবলু, আলাদীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলগের সভাপতি মোঃ হাসান আলী। এ সময় প্রাণ বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড এর সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী, সুধিজন ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক: সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও শক্তিশালী ইবিআইটিডিএ মার্জিন নিয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি
                                  

স্টাফ রিপোর্টার

 

২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে ৩,৭৩৪.৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৮ শতাংশ বেশি। প্রথম তিন মাসে ১০ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনের সাথে যুক্ত হয়েছেন, ফলে বছরের প্রথম প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৪.৩ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন, যা গত প্রান্তিকের চেয়ে ০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

 

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশে গ্রাহকদের সেবা প্রদানের এবং সমাজের ক্ষমতায়নের ২৫ বছর উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন। এ মাইলফলক নিয়ে আমরা ২০২৩ সালে প্রবেশ করেছি। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি এবং ছয় মাস শেষে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা ও গ্রাহক সন্তুষ্টি বারবার মূল্যায়নের পরে গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। আমাদের সিম বিক্রি পুনরায় চালু হওয়ার পরে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসে এবং আমরা ৮ কোটি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করি।” 

 

তিনি আরও বলেন, “আমাদের অব্যাহত নেটওয়ার্কে বিনিয়োগের কারণে তরঙ্গ ও সাইট চালু করার ক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটে। আমরা আমাদের ফাইবার কানেক্টিভিটি দ্বিগুণ করেছি এবং সবমিলে ২০ হাজারের বেশি সাইট চালু করেছি। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত উপযোগী ডেটা নেটওয়ার্কের ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের জন্য উন্নতর অভিজ্ঞতা প্রদান এবং দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও উন্নত করতে আমরা উল্লেখযোগ্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি – একে আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ও গ্রাহকদের জন্য আরও উপযোগী করে তোলা হয়েছে। আমাদের সেবাগুলো যেনো আরও গ্রাহক-কেন্দ্রিক ও কার্যকরী হয় তা নিশ্চিতে এবং আমাদের গ্রাহকদের ক্রমবর্ধ্মান চাহিদা মেটাতে এটা জরুরি ছিল। আমাদের চলমান আধুনিকায়ন ও রূপান্তর যাত্রায় ইতিবাচক ফল আসা শুরু হয়েছে, যা আমাদের সক্ষমতা, দক্ষতা, টুলস ও অংশীদারিত্বের সমন্বয়ে ভবিষ্যতের উপযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে আমরা নিরলস কাজ করে যাবো।”

 

গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ইয়েন্স বেকার বলেন, “২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী আর্থিক ফলাফল প্রদান করছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার মতো নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও ইবিআইটিডিএ’র ক্ষেত্রে টানা আট প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে গ্রামীণফোন। দৈনিক সাবক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রাজস্বে ২.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কারণে এ প্রান্তিকে মোট রাজস্ব ২.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৩৪.৮ কোটি টাকায়। ব্যবহার বৃদ্ধির কারণে বছরপ্রতি ডেটা রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪.২ শতাংশ, যা সাবস্ক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রাজস্ব প্রবৃদ্ধির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।”  

 

“৬১ শতাংশ মার্জিন নিয়ে ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৭ শতাংশ। ২০.৯ শতাংশ মার্জিন নিয়ে এ প্রান্তিকে নিট

 

ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে
                                  

স্টাফ রিপোর্টার 

উম্মে সালমা উর্মি  

 

হুয়াওয়ে এখন থেকে এর পুরানো ইআরপি সিস্টেমের বদলে মেটা-ইআরপি সিস্টেম ব্যবহার করছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি, মেটা-ইআরপি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে

এই প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এমন ব্যক্তি ও টিমগুলোকে স্বীকৃতি প্রদান করে হুয়াওয়ে।গত ২০শে এপ্রিল চীনের ডংগুয়ানে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির শি লিউ বেই পো ভিলেজ ক্যাম্পাসে ‘হিরোজ ফাইটিং টু

ক্রস দ্য ডাডু রিভার’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজমেন্ট আইটি সিস্টেমগুলোর মধ্যে ইআরপি (এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং) সবচেয়ে জটিল। ১৯৯৬ সালে এমআরপি ২ (ম্যানুফ্যাকচারিং রিসোর্স প্ল্যানিং) সিস্টেম নিয়ে আসে হুয়াওয়ে,

পরবর্তীতে ইআরপি সিস্টেম হিসেবে বিভিন্ন আপগ্রেডের মধ্যে দিয়ে এর পরিধি বাড়ানো হয়। পুরোনো এই ইআরপি সিস্টেমটি হুয়াওয়ের গত ২০ বছরের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও দ্রুত উন্নয়নের পেছনে কোর সিস্টেম

হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। হুয়াওয়ের সুদক্ষ ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সহায়তা করেছে এই সিস্টেম; যে কারণে বিশ্বজুড়ে ১৭০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে প্রতিবছর শত শত কোটি ডলারের কাজ করতে সক্ষম হচ্ছে

প্রতিষ্ঠানটি।

হুয়াওয়ে ২০১৯ সালে ক্রমাগত বাহ্যিক চাপ ও ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে থাকে। এ সময়, পুরোনো ইআরপি সিস্টেমটির বদলে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন মেটা-ইআরপি সিস্টেম উন্নয়নের

সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির এখন পর্যন্ত নেয়া সবগুলো প্রকল্পের মধ্যে এটিই সবচেয়ে জটিল ও ব্যয়বহুল। গত তিন বছর ধরে হুয়াওয়ে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে ইন্ডাস্ট্রি ও ইকোসিস্টেম

সহযোগীদের সাথে কাজ করার পাশাপাশি, এই প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদ ও কয়েক হাজার মানুষকে নিয়োজিত করে। পুরোনো ইআরপি সিস্টেমের বদলে এই নতুন, ভবিষ্যৎমুখী, বৃহৎ পরিসরের উপযোগী ও

ক্লাউড-বান্ধব মেটা-ইআরপি ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে।

বর্তমানে, হুয়াওয়ের বিজনেস সিনারিওর শতভাগ ও বিজনেস ভলিউমের ৮০ ভাগ পরিচালনা করা হচ্ছে মেটা- ইআরপি’র মাধ্যমে। এই সিস্টেম মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বাৎসরিক সেটেলমেন্ট টেস্টেও একদম যথাসময়ে

নির্ভুল ও কোনোরকম অ্যাকাউন্টিং অ্যাডজাস্টমেন্ট করা ছাড়াই পুরোপুরি উতরে গেছে। হুয়াওয়ে’র রোটেটিং চেয়ারওমেন ও সিএফও সাবরিনা মেং বলেন, “প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া নির্ভর করে

কারিগরি দক্ষতা ও কয়েক বছরের অভিজ্ঞতার ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের ভাবনা অনুযায়ী এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের অংশীদারদের সহযোগিতা ছাড়া মেটা-ইআরপি

তৈরি করা সম্ভব হত না। উদ্ভাবনের মানসিকতার মাধ্যমে উদ্ভাবন সম্ভব; আর একসাথে কাজ করার মধ্য দিয়েই আসবে সমৃদ্ধি।”

মেটা-ইআরপির ওপর হুয়াওয়ে’র পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যা ইউলারওএস ও গাউসডিবি’র মতো অন্যান্যহুয়াওয়ে সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। একইসাথে, সেবার দক্ষতা ও পরিচালনার মান বাড়াতে মেটা-

ইআরপির মাধ্যমে ক্লাউড-নেটিভ আর্কিটেকচার, মেটাডেটা-ড্রিভেন মাল্টি-ট্যালেন্ট আর্কিটেকচার ও রিয়েল-টাইম ইন্টেলিজেন্সের মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে সহযোগীদের সাথে কাজ করছে হুয়াওয়ে।

সবচেয়ে সহজ উপায়ে মানসম্পন্ন কাঠামো নির্মাণ ও সবচেয়ে কম খরচে সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই হুয়াওয়ের মূল উদ্দেশ্য। ইআরপি ও পিএলএম সহ বিস্তৃত পরিসরে বাধাহীন, দক্ষ ও নিরাপদ কোর

এন্টারপ্রাইজ বিজনেস সিস্টেম তৈরি করতে সহযোগীদের সাথে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।

 

রূপগঞ্জের ওরিয়ন ইনফিউশন কারখানায় অগ্নিকান্ড
                                  

মো: রাসেল মোল্লা 

 

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার মৈকুলি এলাকার স্যালাইন তৈরির কারখানা ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডে ১৭ এপ্রিল সোমবার দুপুর পৌনে একটায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে আগুন লেগে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।খবর পেয়ে ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিটের কর্মীরা দুপুর সোয়া দুইটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

 

আগুনে চারজন শ্রমিক আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউএস বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 এ ব্যাপারে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ বি পি বিনয় কৃষ্ণ বাড়ই বলেন, ফ্যাক্টরির দ্বিতীয় তলায় ডেক্সটো প্যাক 10, ডেক্সটো ছাল, ডেক্সটো ছাল বেবি, সেল প্যাক, ডায়নাক, হার্ডম্যান, ডেক্সটো লাক, মেনি সল সহ মোট ৩৬ রকমের প্রোডাক্ট তৈরি হয়। আর সেখানেই আগুন লেগেছে । ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। 

 

 ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ ওসমান গণি বলেন, আগুন লাগার ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেআগুনের সূত্রপাত ঘটে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি

 

 রিপোর্ট 

 নির্বাহী সম্পাদক 

 দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম

দক্ষিণ এশিয়ায় একটি স্মার্ট ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবে হুয়াওয়ে
                                  

উম্মে সালমা ঊর্মি 

স্টাফ রিপোর্টার

 

আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ৫০ হাজার তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করবে হুয়াওয়ে। আইসিটি একাডেমি সংযোজন, বিভিন্ন আইসিটি এবং স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা, বিশেষ অনলাইন কোর্স, নতুন কর্মচারী নিয়োগ এমন সব পদক্ষেপ এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে । আজ হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান

দপ্তর ঢাকায় বিল্ডিং এ স্মার্ট ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম, ইন সাউথ এশিয়া ফর সাউথ এশিয়া শিরোনামের একটি অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে হুয়াওয়ে।

 

হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউয়িং কার্ল আজ অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাংবাদিকবৃন্দ এবং হুয়াওয়ে কর্মকর্তাগণ সেসময় উপস্থিতছিলেন।

সম্প্রতি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান এবং বাংলাদেশকে নিয়ে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ এশিয়া উপ-অঞ্চল গঠন করেছে। 'দক্ষিণ এশিয়ায়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য' এই অনুপ্রেরণায় সকল গ্রাহক, সহযোগী, ইকসিস্টেম এবং সর্বোপরি এই পাঁচটি দেশের জন্য আরও বেশি কাছ থেকে সেবা দেয়ার জন্য এই উপঅঞ্চলটি

তৈরি করা হয়েছে। 

হুয়াওয়ে সবসময় প্রতিভা বিকাশের উপর জোর দিয়েছে কারণ এটি স্থানীয় ক্ষমতায়ন এবং সহযোগিতামূলক সাফল্যে বিশ্বাস করে। সেই লক্ষ্যে হুয়াওয়ে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় ৬,০০০ জনেরও বেশি তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করেছে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০,০০০ নতুন আইসিটি প্রতিভা বিকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।

‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গত কয়েক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া, হুয়াওয়ে স্টার্টআপগুলোকে সিড মানি (প্রাথমিক বিনিয়োগ) ও প্রযুক্তিগত পরামর্শ দেওয়ার জন্য আইসিটি ইনকিউবেটর আয়োজন করে থাকে। আইসিটি খাতের নারীদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে হুয়াওয়ে।

 

সরকারি টেকনিক্যাল অফিসার, টেলকো অপারেটর, শিক্ষাবিদ, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ইকোসিস্টেম পার্টনারদের

একত্রিত করে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। হুয়াওয়ে গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। এই একাডেমিতে আইসিটি উদ্ভাবন, ও সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী সফল বিভিন্ন বিসনেস কেস প্রদর্শন করা হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন আইসিটি একাডেমি তৈরি করা হয়েছে। এই একাডেমিগুলোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের পছন্দের প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত

সার্টিফিকেট অর্জন করার সুযোগ পায়।

 

ইউয়িং বলেন, “তিনটি বিষয় হুয়াওয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ - অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামো সরবরাহ, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, এবং আইসিটি প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করা। হুয়াওয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ করছে। এই বিনিয়োগ আমাদের ইকোসিস্টেম সহযোগীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদান করতে এবং একসাথে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সহায়তা করে। এছাড়া, সম্প্রতি যেসব দেশ ডিজিটাল রূপান্তর নীতি গ্রহণ করেছে তারা মূলত দক্ষ তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করবে। আইসিটি খাতের উন্নয়নে দায়িত্বশীল সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের তরুণদের প্রতিভা বিকাশের জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালের শেষ নাগাদ আমরা সারা বিশ্বে ২,২০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা প্রতি বছর গড়ে দুই লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকি।”

 

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একসাথে কাজ করবে হুয়াওয়ে ও বিকাশ
                                  

উম্মে সালমা

স্টাফ রিপোর্টার 

হুয়াওয়ে এবং বিকাশ সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় প্রতিষ্ঠান টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সাথে সঙ্গতি রেখে সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করবে। বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল পেমেন্ট অপারেটর বিকাশ ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে মোবাইল আর্থিক সেবা দিচ্ছে এবং প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজন পূরণ করছে। হুয়াওয়ে- এর অত্যাধুনিক ডিজিটাল ফাইন্যান্স সলিউশনের মাধ্যমে বিকাশের সেবা প্রদানে আরো গতিশীলতা আনছে।

 

এই যাত্রাকে এগিয়ে নিতে প্যান জুনফেং, প্রেসিডেন্ট, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিয়ন এবং সিইও, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ এব কামাল কাদীর, প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, বিকাশ, গত ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার, রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।

‘স্মার্ট ফিনটেক: ইনক্লুসিভ. ইনোভেটিভ. ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কামাল কাদীর এই সহযোগিতার তাৎপর্য তুলে ধরেন।

কামাল কাদীর বলেন, “২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিকাশ সবার জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আবির্ভাবের এই সময়ে আমরা একটি ডিজিটাল আর্থিক

ইকোসিস্টেম এবং স্মার্ট জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিকাশ ও হুয়াওয়ের যৌথ প্রচেষ্টার লক্ষ্য হলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন

লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা।”

 

ফিনটেক পণ্যের বিকাশের পর থেকে হুয়াওয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার ৩০টিরও বেশি দেশে এর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করেছে। হুয়াওয়ের ফিনটেক সেবা বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছে।

প্যান জুনফেং, প্রেসিডেন্ট, হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া রিজিয়ন এবং সিইও, হুয়াওয়ে বাংলাদেশ বলেন, “বাংলাদেশে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করাই হলো হুয়াওয়ে এবং বিকাশের মধ্যে এই সমঝোতার অন্যতম লক্ষ্য।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে মোবাইল মানি প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) খাতকে ডিজিটালাইজ করার জন্য বিকাশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ই-ওয়ালেট ও ন্যানো-লোনের মতো পরিষেবা দিচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করছে এবং উদ্ভাবন নিয়ে আসছে। ভবিষ্যতে আমরা বাংলাদেশের আরও বেশি মানুষকে ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল অর্থনীতির সুবিধা গ্রহণ করার জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে আমাদের এই সহযোগিতা আরও জোরদার করবো।”

ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী প্রতিনিধি সরদার এম আসাদুজ্জামান তার বক্তব্যে এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ‘স্মার্ট ফিনটেক, অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবনী এবং অনুপ্রেরণা’ এই ধরনের ধারণা। আমাদের প্রেক্ষাপটে এই শব্দগুলোর গুরুত্ব অনেক। আমি মনে করি, হুয়াওয়ে এবং বিকাশ উভয়েই বিষয়টি উপলব্ধি করে এর বাস্তবায়নে কাজ করছে। ভবিষ্যৎ সহযোগিতামূলক এই সমঝোতা উদ্যোগটি বাস্তবায়নে আরও সহায়ক হবে।”

ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সুজান ভাইজ বলেন, “এসডিজি আমার কাছে একটি ভিশন। এসডিজি হলো সেই গন্তব্য যেখানে আমরা ২০৩০-এ পৌঁছাতে চাই এবং এক্ষেত্রে আমরা সঠিক পথেই আছি। আমি মনে করি যে, স্মার্ট ফিনটেক সেই গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য একটি কার্যকরী মাধ্যম।”

কাউনিয়ায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল এজেন্ট ব্যাংকের উদ্ধোধন
                                  

সারওয়ার আলম মুকুল

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ 

 

কাউনিয়ায় গালস্ স্কুল মোড় থানা রোডে বৃহস্পতিবার বিকালে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার শুভ উদ্ধোধন করা হয়। 

উদ্ধোধন করেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের টেরিটরি ম্যানেজার এমডি আশিকুজ্জামান। ইউসিবি এজেন্ট ব্যাংকিং কাউনিয়া শাখার শাখা ব্যবস্থাপক ও জসিম টেলিকমের মালিক জসিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশার আলোর সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক সারওয়ার আলম মুকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন থানা রোডে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বারুল ইসলাম রাজু, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম পলাশ, এজেন্ট ব্যাংকিং রংপুর শাখার রিলেশনশিপ অফিসার মাহমুদুল হাসান। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জহির রায়হান, সাইফুল ইসলাম, জসিম সরকার, আসাদুজ্জামান আসাদ, সমাজ সেবক জমশের আলী প্রমূখ। আলোচনা শেষে কেক ও ফিতা কেটে দোয়া করা হয়। ইউসিবি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন, জমা করণ, রেমিট্যান্স একাউন্ট ওপেন ও অন্যান্য সব ধরণের সেবা এই এজেন্ট ব্যাংকে পাওয়া যাবে। 

 

 

এফবিসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পেলেন হুমায়ুন রশীদ (সিআইপি)
                                  

স্টাফ রিপোর্টার 

 

এফবিসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ অর্জন করেছেন এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হুমায়ুন রশীদ। গত ১৩ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে (বিআইসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

 

এফবিসিসিআই-এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ১১-১৩ মার্চ আগারগাঁওয়ের বিআইসিসিতে আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩- এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে ত্বরাণ্বিত করতে এ সামিটের আয়োজন করা হয়। সামিটের বিভিন্ন সেশনে দেশ-বিদেশ থেকে আগত ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকেরা অংশ নেন।

 

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, এমপি। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি।

 

হুমায়ুন রশীদ ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবসার সাথে ৪০ বছর ধরে জড়িত। এছাড়া, ব্যবসায়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে তিনি কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন (সিআইপি) স্বীকৃতি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

হুমায়ুন রশীদ বলেন, “দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠন হতে এ পুরস্কার অর্জন করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী বিভিন্ন সমাধান নিয়ে কাজ করছি আমরা। এ স্বীকৃতি আমাদের লক্ষ্যপূরণের সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।”

দু’হাজার ইউনিয়নে নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে গ্রামীণফোন
                                  

স্টাফ রিপোর্টার

 

 

আগামী দুই বছরে দুই হাজার ইউনিয়নে নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখতে কাজ করবে গ্রামীণফোন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের চেতনার সাথে একাত্ম হয়ে গ্রামীণফোন #ডিজিটাল প্রতিপাদ্যের অধীনে ‘ইন্টারনেট এর দুনিয়া সবার’ শীর্ষক একটি দীর্ঘমেয়াদী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যার লক্ষ্য লিঙ্গ সমতায় উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ব্যবহার।

 

দুই বছরব্যাপী এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সারাদেশে উঠান বৈঠক আয়োজিত হবে। যার মাধ্যমে যেসব নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নেই কিংবা সীমিত সুযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে এবং তাদের ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন করা হবে। ২ হাজার ইউনিয়নের গ্রাম ও প্রান্তিক অঞ্চলের নারীদের বিশেষ এ উঠান বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে যেখানে ইন্টারনেট তাদের জীবনকে কিভাবে উন্নত করতে পারে এবং সম্ভাবনা উন্মোচনে সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে সচেতন করা হবে। সেশনগুলি বাস্তব জীবনের উদাহরণ উপস্থাপন করে নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে যে ট্যাবু ও ভুল ধারনা প্রচলিত রয়েছে তা ভাঙতে তাদের সচেতন করবে। এছাড়াও অনুপ্রেরণামূলক মহিলাদের সাথে তাদের সংযোগের মাধ্যমে নারীদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তাগুলি প্রদর্শন করবে। 

 

গ্রামীণফোনের কর্মী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার অনুপ্রেরণাদায়ী নারীরা উঠান বৈঠকে তাদের মত ব্যক্ত করবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরি সম্পর্কে আলোচনা করবেন, যাতে অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারনেটের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও কাজের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারেন। অনলাইন নিরাপত্তার উপর অতিরিক্ত ফোকাস দিয়ে অনলাইন এবং অফলাইন মডিউল উভয়ই ব্যবহার করা হবে। উঠান বৈঠকের প্রথম রাউন্ড ৯ মার্চ থেকে শুরু হবে এবং লক্ষ্য পৌঁছানো পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে চলবে।

 

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের চারপাশে অনেক অনুপ্রেরণামূলক গল্প রয়েছে। যেমন দিনা মৃ যিনি মধুপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করছে কিংবা ফোয়ারা ফেরদৌস যিনি ঘরে বসে তার নিজস্ব এফ-কমার্স ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন বা ড. তাসনিম জারা যিনি প্রতিদিন অনলাইনে চিকিৎসা সংক্রান্ত ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। কিন্তু এমন অনেক নারীও আছেন যাদেরকে আমরা এই গল্পগুলো বলে, তাদের হাতের মুঠোয় থাকা সম্ভাবনাগুলোকে উন্মোচনে অনুপ্রাণিত করতে পারি।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের নারীদের এই যাত্রায় সমানভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ডিজিটাল সাক্ষরতাকে ২০০০টি ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, আমরা শুধুমাত্র দেশের আনাচে কানাচে থাকা মহিলাদের ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষিত করতে চাই না বরং আমাদের অনুপ্রেরণাদায়ী মহিলাদের একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই যেখানে তারা পিছিয়ে পড়া মহিলাদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়নের জন্য তাদের গল্পগুলি শেয়ার করতে পারে।’

 

জিএসএম’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো লিঙ্গ বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে – ২০২১ সালে যা ছিল ৪৮ শতাংশ। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা এবং প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। লিডিং প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে ‘ইন্টারনেট এর দুনিয়া সবার’ গ্রামীণফোনের ডিজিটাল ডিভাইড কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। সারাদেশে নারীদের জন্য ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির পক্ষে কথা বলে এবং তা ত্বরান্বিত করা এই প্রজেক্টের লক্ষ্য।

টেক্সটাইল খাতের জন্য উদ্ভাবনী বিভিন্ন সমাধান নিয়ে এসেছে এপিআর
                                  

স্টাফ রিপোর্টার 

 

এশিয়ার প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ভিসকোস রেয়ন প্রোডিউসার (উৎপাদনকারী) এপিআর ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি প্রদর্শনীর ১৭তম সংস্করণে এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত সমাধানগুলো প্রদর্শন করবে

 

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩] ভিসকোস রেয়ন উৎপাদনকারী এশিয়া প্যাসিফিক রেয়ন (এপিআর) ১৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট মেশিনারি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছে। প্রদর্শনীটি আজ থেকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হয়ে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ প্রদর্শনীতে স্থানীয় টেক্সটাইল ও পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্লোবাল সাপ্লায়ারদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করার এবং বিভিন্ন ডিজিটাল সমাধান ও উদ্ভাবন সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে।  

 

এপিআর এশিয়ার প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ভিসকোস রেয়ন প্রোডিউসার (উৎপাদনকারী), যারা প্ল্যান্টেশন থেকে ভিসকোস ফাইবার উৎপাদন করছে। এপিআর একটি ব্যক্তি মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান এবং সম্পদ-ভিত্তিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি নিয়ে গঠিত রয়্যাল গোল্ডেন ঈগল (আরজিই) গ্রুপের সদস্য। এপিআর ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউয়ের পাংকালান কেরিনসিতে অবস্থিত মিলে পরিবেশ-বান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি অত্যাধুনিক উৎপাদন সুবিধা ও উদ্ভাবনের সমন্বয় করে বার্ষিক প্রায় ২,৪০,০০০ টন ভিসকোস স্টেপল ফাইবার উৎপাদন করে। এছাড়া, এপিআর ইন্দোনেশিয়ার প্রথম ভিসকোস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভিসকোস স্টেপল ফাইবার সংক্রান্ত সুইস-ভিত্তিক সার্টিফিকেশন সংস্থা ঐক্যটেক্স কর্তৃক সাসটেইনেবল টেক্সটাইল প্রোডাকশন (এসটিইপি) সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।

 

এপিআরের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক বাংলাদেশ এবং এর পরিমাণ মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ। কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী ২০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করছে, যার মধ্যে প্রধান রপ্তানি বাজারগুলো হল তুরস্ক, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।

 

এপিআর প্রদর্শনীতে তাদের সুতা এবং তন্তুর নমুনা প্রদর্শন এবং সরবরাহ করবে। সুতা আমদানি করার ক্ষেত্রে দর্শনার্থীরা তাদের প্রয়োজন সরাসরি উৎপাদনকারীদের জানাতে পারবেন। এছাড়াও, এপিআর এর এপিআর২০২৩ এজেন্ডার অধীনে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে, যার মধ্যে থাকবে: ভিসকোস উৎপাদনে ফাইবারের দায়িত্বশীল সোর্সিং। এপিআর২০৩০ লক্ষ্যের মধ্যে আরও রয়েছে ভিসকোস স্টেপল ফাইবারের প্রতি টন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানো, মিলের জ্বালানির ক্ষেত্রে শতভাগ নবায়নযোগ্য ও পরিবেশ-বান্ধব জ্বালানির ব্যবহার, কার্যক্রম পরিচালনা ও রিকভারি সিস্টেমের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সমাধানের উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং ভিসকোস উৎপাদনে ২০ শতাংশ ওয়েস্ট কম্পোজিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে টেক্সটাইল পুনঃব্যবহারের উদ্ভাবন ত্বরাণ্বিত করা।     

 

ভিসকোস-রেয়ন হল অ্যাক্রেলিক, পলিয়েস্টার, নাইলন এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম-ভিত্তিক সিন্থেটিক কাপড়ের একটি বিকল্প, যা সম্পূর্ণ বায়োডিগ্রেডেবল। বিশ্বজুড়ে ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো অ-জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক উপকরণ ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে, যে কারণে ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে ভিসকোস-রেয়নের সমন্বিত বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার (সিএজিআর) ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তুলার মতো আরামদায়ক ও সিল্কের মতো মসৃণ ভিসকোস-রেয়ন অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যদায়কভাবে গায়ে জড়িয়ে যাবে এবং এর ডিজাইনও বেশ আকর্ষণীয়।  

 

এশিয়া প্যাসিফিক রেয়নের মার্কেটিং অ্যান্ড ডাউনস্ট্রিম ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট তপন সান্নিগ্রাহি বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেক্সটাইল খাতে অন্যদের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের ভিএসএফ (ভিসকোস-স্টেপল ফাইবার) ব্যবসা আন্তর্জাতিক বাজারে ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারণ করবে। গ্রাহকদের টেকসই ভিসকোস নিয়ে চাহিদা পূরণে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে, একইসাথে যেমন পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা হবে, পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকবে এবং দামও হবে প্রতিযোগিতামূলক।”

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তিনশ’ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানির আদেশ একশ’ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয়
                                  

মোঃ শফিকুল ইসলাম 

  

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা গতকাল ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে ৩শত কোটি টাকার পণ্য রপ্তানির আদেশ পাওয়া গেছে। বিক্রি হয়েছে একশত কোটি টাকার পণ্য। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাফিজুর রহমান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এমপি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি, এফবিসিসিআই-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আহমেদ বাবু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। 

 এবারের বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৩১টি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্টুরেন্ট অংশ নেয়। মেলায় ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপালের ১৭ টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন ধরণের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিকস, ইলেক্ট্রনিক্স, বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া কিংবা আরটিফিসিয়াল চামড়া, জুতা, চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারীওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারী, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ও ফার্ণিচার প্রদর্শন করা হয়। 

 ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য ঢাকার কুড়িল থেকে পূর্বাচল উপশহরের ৪নং সেক্টরের মেলাপ্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ডেডিকেটেড শাটল বাস নিয়মিত পরিচালনা করা হয়। মেলায় পর্যাপ্ত ব্যাংকিং সুবিধা, বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা, রক্তদান, ফায়ার সার্ভিস, শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক শিশুপার্ক ও মেলার আশপাশ সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হয়। 

গত ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়মে ১১টি প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মেলায় ঢাকা পূর্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এ জরিমানার টাকা আদায় করে।

বাণিজ্য মেলায় বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি, বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রক্রিয়া করা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও মেয়াদ, মোড়কে মূল্যবিহীন পণ্য বিক্রি করার অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া আর কখনো অনিয়ম করবেনা এ মুসলেকা দিয়ে ১০টি প্রতিষ্ঠান তাদের অপরাধ থেকে মুক্তি পেয়েছে।

মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ক্যাটাগরির সেরা প্যাভিলিয়ন, স্টল ও প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। ১ম পুরস্কার গোল্ড কালার ট্রফি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০টি সেরা প্যাভিলিয়ন ও স্টলে মধ্যে প্রদান করা হয়েছে। দ্বিতীয় পুরস্কার সিলভার কালার ট্রফি অপর প্রতিষ্ঠানের ১৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়নকে ও তৃতীয় পুরস্কার ব্রোঞ্জ কালার ট্রফি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১১টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে, বেস্ট ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে, বেস্ট ফার্ণিচার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে এবং ইনোভেটিভ পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদান করা হয়েছে।

 সভায় বক্তারা বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। যা দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের বিনোদন, ক্রয়-বিক্রয় ও বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশিন সেন্টারের নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর আকর্ষণ ডিঅইটিএফকে একটি জাতীয় অনুষ্ঠান হিসেবে প্রসিদ্ধ করেছে।

প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন-এ ক্যাটাগরিতে আবুল খায়ের মিল্ক প্রোডাক্টস লিমিটেড প্রথম, ডায়মন্ড ওয়ার্ড ও তানভীর ফুড (এমজেআই) দ্বিতীয় এবং সেভয় আইসক্রিম ফ্যাক্টরী লিমিটেড তৃতীয় স্থান অর্জন করে।

 

রিপোর্ট

 দৈনিক নতুন বাজার ৭১.কম

প্রধান সহকারী সম্পাদক


   Page 1 of 8
     অর্থ-বাণিজ্য
থমকে দেয়া হচ্ছে ‘ফাইভজি রেডিনেস’ প্রকল্প
.............................................................................................
মেগা প্রকল্পের কাজ হাতিয়ে নিতে কারসাজি ও অনিয়ম, নষ্ট হচ্ছে জনগণের টাকা
.............................................................................................
ফুলবাড়ীর শিবনগর ইউনিয়নে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষনা
.............................................................................................
স্থানীয় পিভি সল্যুশন ইনস্টলারদের জন্য হুয়াওয়ের কর্মশালা আয়োজন
.............................................................................................
স্থানীয় পিভি সল্যুশন ইনস্টলারদের জন্য হুয়াওয়ের কর্মশালা আয়োজন
.............................................................................................
ফুলবাড়ীতে প্রাণ বঙ্গ মিলার্স লিমিটেড রাইচ মিলের নতুন লাইন উদ্বোধন
.............................................................................................
২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক: সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও শক্তিশালী ইবিআইটিডিএ মার্জিন নিয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি
.............................................................................................
ব্যবসায়িক কৌশল উন্নয়নে নিজস্ব মেটা-ইআরপি ব্যবহার করবে হুয়াওয়ে
.............................................................................................
রূপগঞ্জের ওরিয়ন ইনফিউশন কারখানায় অগ্নিকান্ড
.............................................................................................
দক্ষিণ এশিয়ায় একটি স্মার্ট ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম গড়ে তুলবে হুয়াওয়ে
.............................................................................................
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একসাথে কাজ করবে হুয়াওয়ে ও বিকাশ
.............................................................................................
কাউনিয়ায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল এজেন্ট ব্যাংকের উদ্ধোধন
.............................................................................................
এফবিসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পেলেন হুমায়ুন রশীদ (সিআইপি)
.............................................................................................
দু’হাজার ইউনিয়নে নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে গ্রামীণফোন
.............................................................................................
টেক্সটাইল খাতের জন্য উদ্ভাবনী বিভিন্ন সমাধান নিয়ে এসেছে এপিআর
.............................................................................................
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তিনশ’ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানির আদেশ একশ’ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয়
.............................................................................................
কৌশলগত ব্যবসা পরিচালনায় গ্রামীণফোনের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি
.............................................................................................
বাণিজ্যমেলার সময় বাড়ানোর দাবি
.............................................................................................
বাণিজ্য মেলায় লোকসানের ঝুঁকিতে ব্যবসায়ীরা
.............................................................................................
১১টি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে, উৎকন্ঠায় গ্রাহকরা
.............................................................................................
লাইসেন্স ছাড়া চলবে না সিএনজি স্টেশন
.............................................................................................
ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তাকে মা ডেকেও রেহাই পেলেন না ব্যবসায়ীরা
.............................................................................................
মূল্যস্ফীতিকে উসকে দেবে আরেক দফা ।
.............................................................................................
দ্রব্যমূল্য বেশি নিলে কঠোর ব্যবস্থা- বাণিজ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
ডিএসই পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর
.............................................................................................
বিশ্বের অন্যতম সেরা বিনিয়োগ গন্তব্য বাংলাদেশ
.............................................................................................
জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদ
.............................................................................................
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে এক্সিম ব্যাংকের কম্বল
.............................................................................................
আবারও বাড়লো ডলারের দাম
.............................................................................................
দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-তেলের, তবে ডিমে...
.............................................................................................
বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
.............................................................................................
খুলনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভা
.............................................................................................
ময়মনংসিহরে ভালুকা উথুরা বাজারে অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট শাখার কার্যক্রম চালু
.............................................................................................
বর্ডারে চালের ট্রাক আটকে আছে, এলেই দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ
.............................................................................................
ঘরে বসেই যেভাবে ৩৬ টাকায় মিলবে পেঁয়াজ!
.............................................................................................
৩০ টাকায় টিসিবির পেঁয়াজ মিলবে কাল থেকে
.............................................................................................
ফের অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার!
.............................................................................................
‘পিঁয়াজের দাম মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে’
.............................................................................................
নতুন মাইলফলকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
.............................................................................................
শস্য ও ফসল চাষের ঋণে আগ্রহ নেই ২৮ ব্যাংকের
.............................................................................................
দাম কমেছে স্বর্ণ ও রুপার
.............................................................................................
দেশে মাথাপিছু গড় আয় বেড়েছে ১৫৫ ডলার
.............................................................................................
আজ থেকে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
.............................................................................................
সারা দেশে পানির দামে চামড়া বিক্রি!
.............................................................................................
চামড়া শিল্প নগরীতে অভিযান
.............................................................................................
নির্ধারিত দামের চেয়েও কমে বিক্রি হচ্ছে চামড়া
.............................................................................................
১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলে নেয়া যাবে নগদ সহায়তা
.............................................................................................
দাম বাড়বে যেসব পণ্যের
.............................................................................................
যেসব পণ্যের দাম কমবে
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান
নির্বাহী সম্পাদক: মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, বার্তা সম্পাদক: মাসুম হাসান৷ সহকারী-বার্তা সম্পাদক লাকী আক্তার । ফোন: বার্তা বিভাগ- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232

ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com, facebook- notunbazar / সম্পাদক dhaka club
    2015 @ All Right Reserved By notunbazar71.com

Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD