করোনাভাইরাসের মহামারির বাস্তবতায় ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্প রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছেন। ফলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, এসএমএস পাঠানো এবং ডেটা ব্যবহারের খরচও বেড়ে যাবে।
ফলের জুস, বোতলজাত পানি, আমদানি করা এলকোহল, কোমল পানীয় পলিথিন ব্যাগ, আমদানী করা এসি, আমদানী করা মোটরসাইকেল, আলোকসজ্জা সামগ্রীও দাম বাড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, বাজেট পেশের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ অধিবেশনে যোগ দেননি। তবে সিডিউল অনুযায়ী যোগ দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বাজেট অনুমোদনের জন্য দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়।
করোনার নাজুক পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন।
করোনা মহামারির বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১৮ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।