//সেলিম মিয়া
গভীর-শ্রদ্ধা-চিত্তে মুজিব-ভক্তিতে, আগষ্ট-পায়-প্রাণ; ভোগে ভরা ধনের দুয়ারে,শোকে ভরা আগষ্ট-এ এতিম খোঁজে, মুজিব আদর্শের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান। নব-নেতার গৃহে এসে এতিমের পক্ষে অক্ষমের আকুতি, নেতার-সরল-বিবৃত্তি, পিতৃ বিয়োগ! ওকে রেখে আয়; ঐ-করুনা-পাত্রের অভ্যান্তরিণ এতিমখানায়, সনাতনি হলে আশ্রমের আশ্রয়। বড় ভাই, ওগুলো-তো অধিকাংশই অপ্রতুল ও অব্যবস্থাপনার হযবরলায় ভরপুর। ওহে অক্ষম, তাতে তোর কি? তা তেমন কিছু না, তবে; সাদাকে কালোর প্রলয়ে, কালোকে লাল প্রবালের চাকচিক্যের মোহে, এ যেন পৃথিবীর মাঝে আরেক পৃথিবীর, কাক ময়ূরের বিবাহ নিমন্ত্রণ। মুজিব আত্মা এসেছে, দুঃখ ভারাক্রান্তে যা দেখছে তা- বিষাদের বিষন্নতায়, সারল্যের কমলতায়, অব্যক্ত ভাষায়, সদ্য এতিমের কতকি আকুতি-মিনতি; অর্ধাহারে গুমরে কাঁদে, সমাজ-তান্ত্রিক পুষ্টিহীনতায়। অথচ; আভিজাত্যের সদরে-অন্দরমহলে আয়োজন; অতিথি আপ্যায়ন শেষে, কত খাবার, আবর্জনার স্তূপে, তা আবার, অপেক্ষমান ক্ষুধার্ত টোকাইর খাদ্য-রূপে । মুজিব আদর্শের সাময়িক সন্তোষে, কিছু প্রায়াশ্চিত্তের প্রয়াসে, অন্ধ প্রেমের গৃহে, খুলেছে আমার মনের চোখ। তাইত আমার,এতিমের সাথে,এক টেবিলে একি খাবার। এ আমার, শোকাবহ আগস্ট পালন, শোক-সান্ত্বনার! মাগফেরাত কামনায়,মুজিব আত্মা পাক নীরব উপহার। হে বিধাতা! এমন সমর্থ সুযোগ দিও আমায়, বারবার।।
লেখক: পুলিশ ইন্সপেক্টর অব বাংলাদেশ।
|