ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার চামিয়াদী গ্রামে কল্পনা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূ বিষপান করে আত্নহত্যা করেছেন।আত্মহত্যার প্ররোচণার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ।
যানাযায় ১৪ আগস্ট রোজ শনিবার সকালে। নিহত কল্পনা আক্তার বিষপান করে ।
ভালুকা উপজেলার চামিয়াদী গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং ঘাটাইল উপজেলার বড় চালা গ্রামের মোঃ শরফত আলীর মেয়ে। গৃহবধূ কল্পনা আক্তার এর বাবা মোঃ শরফত আলী জানান, ২০ বছর আগে তার মেয়ে কল্পনা আক্তারকে শফিকুল ইসলাম (৩৮) সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে দেন এবং তাদের সংসারে উজ্জল (১৪) ও সাথী (১১) সাবিনা (৭) নামে তিনজন সন্তান রয়েছে। মেয়ের বাবা জানান,বিয়ের পর থেকেই তাহার মেয়ের উপর মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হতো।এবং জামাই দ্বিতীয় বিয়ে করেন যার ফলে সংসারে প্রায় ঝগড়া হতো, ঘটনার দিন সকালে স্বামী শফিকুল কল্পনাথ তাকে বেদম মারপিট করে এবং বিষপান করার জন্য বোতল সামনে এনেদেন।এলাকা সূত্র যানাযায় অতঃপর ১৪ আগস্ট সকালে নেশার টাকার জন্য কল্পনা আক্তারকে বাঁশের লাঠি দিয়া পিটিয়ে আহত করেন। আনুমানিক ৮টায় আসামি পারিবারিক কলহ সৃষ্টি করে কল্পনা আক্তার কে অমানুষিক নির্যাতন করে এবং তাকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচণা দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষপান করে। আসামি ভালুকা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভালুকা মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে নিহত কল্পনা আক্তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করেন।