হুদার মতো আজ্ঞাবহ লোক দিয়ে হবে নতুন ইসি: মির্জা ফখরুল
23, February, 2022, 12:17:24:AM
ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট সার্চ কমিটি আওয়ামী লীগ ঘরনা লোকদের বাইরে আর কারও নাম দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তাই বিদায়ী দুই কমিশনের মতো এবার আজ্ঞাবহ কমিশন গঠিত হবে। আর সেই কমিশন একটি সাজানো নির্বাচন করবে বলে মনে করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা জানান।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম পাঠিয়েছে সার্চ কমিটি। সেখানে থেকে পাঁচ নাম নিয়ে ইসি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
কিন্তু সার্চ কমিটি যাদের দিয়ে করেছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের লোক দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সার্চ কমিটি যে নামগুলো পাঠাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। যাদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে, দেখা যাবে তারা সেই হুদার মতোই লোক।
ক্ষমতাসীন সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে এমনি অভিযোগ করে তিনি বলেন, এখন তারা আবার নির্বাচিত হওয়ার জন্যে তাদের মতন করে ইসি গঠন করবে। সে জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেছে। আইনও তৈরি করেছে। সবই জনগণকে বোকা বানানোর জন্য।
সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার বিচার দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তার বিচার হতে হবে। তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপদগ্রস্ত হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিছু দিন আগে র্যাব এবং সাত জন কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে। পুরো জাতি লজ্জা পেয়েছে। এই সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে শত শত রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে গুম করে দিয়েছে, হত্যা করেছে। যে কারণে আন্তর্জাতিক সব মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে এটা আর গণতান্ত্রিক দেশ নেই। পুরোপুরিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে, আইনমন্ত্রী-উপদেষ্টার ফোনালাপ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষকতা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন দুর্নীতির এক মহোৎসব চলছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই চলমান এই লুটপাট আর দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে। মন্ত্রী, এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ক্ষমতাসীন দলের মেয়র-চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, মন্ত্রী ও উপদেষ্টার এই ফোনালাপ সরকারের দুর্নীতির একটি প্রকৃত চিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আজকে জাতির কাছে এটি একটি প্রমাণিত সত্যের দলিল।
বিএনপি মুখপাত্রের অভিযোগ সরকারের নেতা মন্ত্রী ও দলীয় ব্যবসায়ীদের লুটপাটের জন্যই সব রকম পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। জিনিস পত্রের দাম কামানোর দাবিতে দু’একদিনের মধ্যেই নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করবে বিএনপি।