আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি যে কোনো বিষয়ে অপরাজনীতির ইস্যু খোঁজ করে। তাই সবাইকে সতর্ক থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির অপরাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের ও চাঁদপুর জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি যদি দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বা কোনো অপকর্ম করার চেষ্টা করে, তাহলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে তাদের অপরাজনীতির নিশ্চিহ্ন করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হু হু করে বাড়ছে। আমরা এখন আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছি। মাত্র ৬`শ ডলার ছিলো মাথাপিছু আয়। এখন ২৫`শ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এক সময় ছিলো চরম দরিদ্র্যের দেশ। বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত ছিলো। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত ছিলো। আজকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে। মাথাপিছু আয় শুধু বৃদ্ধি পায়নি, রফতানির আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য সংকট নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন দৃশ্যমান। কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, মাতারবাড়ী-পায়রা দুইটি সমুদ্র বন্দর হয়েছে। মেট্রোরেল হচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। এতো উন্নয়ন দেশের মানুষের ভালো লাগলেও বিএনপির লাগে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিটি সেক্টরের শেখ হাসিনা উন্নয়নের স্বাক্ষর রাখতে পরেছেন। উন্নয়ন-অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববাসীর কাছে প্রসংশিত হচ্ছে। বিএনপি, ৭১’র পরাজিত শক্তি, পাকিস্তানের দোসররা সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য রাজপথে নানামুখী মিথ্যাচার-অপপ্রচার করে চলছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপি শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে, এটি কোনোভাইে সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের বিএনপি দাবি করলো, আমরা আইন চাই। তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন এতো সল্প সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করা কঠিন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল একাধিক বার বলেছিলেন, সরকার চাইলে নির্বাচন কমিশন গঠন আইন একদিনে পাশ করতে পারে। বিএনপির দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আইনমন্ত্রী বিলটির খসড়া সংসদে উত্থাপন করলেন, সেখানে বিএনপি-জাতীয় পার্টিসহ সব দলের সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্তভাবে সংসদে উত্থাপন করলেন। সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাশ হলো। বিলটি পাশ হওয়ার পরেই কথা চেঞ্জ। এখন বলে সরকার তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশন গঠন ও আইন তৈরি করলেন। বিএনপি সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা। মিথ্যাচারের রাজনীতি করা ছাড়া বিএনপির আর কিছু করার নেই।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুর-৪ আসনের এমপি শফিকুর রহমান, চাঁদপুর-২ আসনের এমপি নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।