শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা আর সমাবেশ, রাজধানীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে নারী দিবস। এবারের নারী দিবসে মূল ভাবনা, ব্রেক দ্যা বায়াস বা পক্ষপাত ভাঙা।
নারীরা এখন শিক্ষা বা অর্থনীতিতে সমানভাবে অংশ নিলেও সমাজের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে এখনো জারি আছে লড়াই। তাই নেত্রীরা বলছেন, সবখানে থাকতে হবে নারী-পুরুষ সমতা।
নারীর অধিকার আর প্রাপ্যতার সমতা আদায়ের লড়াইটা দীর্ঘদিনের। প্রেক্ষাপট পাল্টেছে, শিক্ষা, ব্যবসা কিংবা রাজনীতি সব কিছুতেই নারীদের পাদচারণা তুমুল এখন।
তারপরও চলার পথে নিপীড়নের বাঁধা রয়েই গেছে। শহুরে নারীর জীবনে বাঁধা নিয়ে কথা হলেও আদিবাসী নারীদের বৈষম্যের কথাগুলো এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, করোনাকালে আদিবাসী নারীদের আয় কমেছে আশি শতাংশ। পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারীদের সংখ্যাটাও অনেক বেশী।
তবে এসব বাঁধাকে পরাজিত করে নারীরা জয় ছিনিয়ে আনবে বলে আশা করেন শিক্ষামন্ত্রী। নারী দিবস উদযাপনে বর্ণিল শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরাও।
শোভাযাত্রা শেষে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন হয় সংগঠনটির নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন কণ্ঠস্বরের।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে, সম্পত্তিতে নারীদের সমান অধিকারসহ বিশ দফা দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। সমাবেশ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শোভাযাত্রা করেন নারী নেত্রীরা।