|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
জনপ্রিয় কথাশিল্পী, চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। সাহিত্যের এই রাজপুত্র ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ উপলক্ষে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন রয়েছে। তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন জানিয়েছেন, কোরআনখানি, এতিম শিশুদের খাওয়ানো ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
|
জনপ্রিয় কথাশিল্পী, চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বুধবার। সাহিত্যের এই রাজপুত্র ২০১২ সালের ১৯ জুলাই নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ উপলক্ষে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন রয়েছে। তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন জানিয়েছেন, কোরআনখানি, এতিম শিশুদের খাওয়ানো ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
|
|
|
|
নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পাঁচদিনব্যাপী বইমেলা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লাগার্ডিয়া বিমানবন্দর সংলগ্ন ম্যারিয়ট হোটেলে ৩০তম এ বাংলা বইমেলা শুরু হয়।
কানাডা থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি বইমেলার উদ্বোধন করেন কবি আসাদ চৌধুরী।
মেলা উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট ও বাংলাদেশ থেকে লেখক-শিল্পীরা এবারের বইমেলায় যোগ দিয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
এবার সরাসরি মেলায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল কবি আসাদ চৌধুরীর। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দুই দেশের মধ্যে চলাচল স্বাভাবিক না থাকায় তিনি মেলায় আসতে পারেননি।
আয়োজকরা জানায়, উদ্বোধনের পর যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ জন লেখক একসঙ্গে মঞ্চে উঠে প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন। এরপর সাংস্কৃতিক পর্বে নৃত্য পরিবেশন করেন অনুপ দাশ একাডেমি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন, সাংবাদিক হারুন হাবীব, কবি ও লেখক মিনার মনসুর, শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন, অনন্যা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মনিরুল হক, প্রকাশক আলমগীর শিকদার লোটন, কবি ও প্রকাশক জাফর আহমেদ রাশেদ, লেখক-প্রকাশক হুমায়ূন কবীর ঢালী, প্রকাশক সাইফুর রহমান চৌধুরী, প্রকাশক জসিম উদ্দিন, টিভি উপস্থাপক ও সংগীতশিল্পী নবনীতা চৌধুরী, সংগীতশিল্পী পুনম প্রিয়াম প্রমুখ।
এর আগে ২৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ৩০ বছর ধরে প্রবাসে এবং ১৯৯২ সাল থেকে নিউ ইয়র্কের এই বইমেলার আয়োজনের জন্য মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশ থেকে আসা লেখক ও প্রকাশকরা।
সংবাদ সম্মেলনে ৩০তম বইমেলার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ড. নূরুন নবী বলেন, প্রবাসে বসেও বাংলাদেশের সদ্য প্রকাশিত বাংলা বই এই মেলায় পাওয়া যায়। এটা সম্ভব হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণেই। কোভিডের হুমকি সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রথম সারির ১১ জন প্রকাশক এই মেলায় অংশ নিচ্ছেন। যে কয়দিন এই মেলা বসে, নিউ ইয়র্ক হয়ে ওঠে প্রবাসে এক টুকরো বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, কোভিডের কারণে গত বছর ভার্চ্যুয়াল মেলা করতে হয়েছিল। প্রবাসী বাঙালি পাঠকদের বিপুল আগ্রহ ও উৎসাহে কারণে এ বছর সংকুচিত আকারে পাঁচ দিনের মেলা বসছে।
|
|
|
|
ঢাকা: কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন করলো দলটির প্রথম প্রযোজনার নাটক ‘মুজিবের মেয়ে’।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ান হয় এ নাটক।
নাসরীন মুস্তাফা রচিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন ড. আইরিন পারভীন লোপা। যেকোনো বাঙালির কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ ভালো থাকা খুব জরুরি। মুজিব না থেকেও আছেন, তার সন্তানসম দেশের অস্তিত্বে। এ দেশের টিকে থাকার স্বার্থে প্রত্যেক বাঙালির সাহস জোগাতে মুজিব এখনো অপরিহার্য। আর মুজিব আদর্শ চেতনায় ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে লড়াই করেন যিনি, তিনি মুজিবের মেয়ে। এমনই গল্প নিয়ে বিন্যস্ত হয়েছে নাটকটির কাহিনী।
নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- সায়েম সামাদ, তাবেদার-ই-রসুল চান্নু, শামীম আহমেদ, আসমা-উল-হুসনা, মুস্তাফিজ শেখ, মুনমুন খান, এন আই টিপু, মির্জা সম্রাট, রাফিউল ইসলাম অনিক, সেজান জামান, হাসিব হক, উজ্জ্বল, ওয়াহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
|
|
|
|
রমা সিমলাই
যেমন সবাই রাখে, আমিও বুকের ডানদিকে খানিকটা কোমল প্রশ্রয় বাঁধিয়ে রেখেছি । গিরিখাত বেয়ে তরল প্রগলভতা ! উষ্ণ প্রশ্রয় আপ্যায়নে কি ভালবাসা হয় ! জানি না। স্বপ্নকে টেনে এনে প্রত্যেকটা রাতে, আমার সাথে এক বালিশে মাথা রেখে শুতে বাধ্য করেছি । ইচ্ছে করলে তোমরা আমাকে কুলটা ভাবতেই পারো ! চুপ চুপ ! আমি আর আমার স্বপ্ন, আমরা দুজনেই সমকামী ।
|
|
|
|
©মহুয়া সমাদ্দার
আমার মনে সুনীল ছিল সে তো আজও আছে সুনীল ছাড়া কে আর কবে নীল আকাশে বাঁচে ? সুনীল মানে ভালবাসা , দাঁড়ি , কমা, নীরা সুনীল মানে নীললোহিতের কষ্ট কিংবা পীড়া ! সুনীল মানে বুকের ভেতর লুকিয়ে রাখা প্রেম সুনীল মানে পেনের আঁচড় , সত্যিকারের জেম । সুনীল মানে কাকাবাবু , সন্তু তাঁরই সাথে সুনীল মানে দস্যুরা সব মরুক অপঘাতে । জানো সুনীল , আমিও তোমার নীরাই হতে চাই ঘুমোলে নারী , জাগবে নীরা , কথা কি ছিলো তাই ? নীরার মনে টনটনিয়ে উঠলে পড়ে ব্যথা ফিরবে সুনীল ? আনবে আবার প্রেমের নিজস্বতা ? জানো সুনীল , আজও পুরুষ নীরার প্রেমেই বাঁচে ? ঠিকানা তো হয়নি জানা । রেখেছো নীরার কাছে ?
|
|
|
|
লুনা আহমেদঃ
১৯৬২ সালের ২৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন সাহিত্যিক ও চিকিৎসক। তিনি বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের একজন উদীয়মান কবি সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন। নারীবাদী ও ধর্মীয় সমালোচনামূলক রচনার কারণে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। তিনি তাঁর রচনা ও ভাষণের মাধ্যমে লিঙ্গসমতা, মুক্তচিন্তা, ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদ ও মানবাধিকারের প্রচার করায় ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীদের রোষানলে পড়েন ও তাঁদের নিকট হতে হত্যার হুমকি পেতে থাকায় ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হন; [ তিনি কিছুকাল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছেন। বর্তমানে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক ভারতে অজ্ঞাতবাসে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর পিতা রজব আলী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তসলিমার মাতার নাম ইদুল আরা। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি সরকারী গ্রামীণ হাসপাতালে এবং ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ পর্য্যন্ত মিটফোর্ড হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিভাগে ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। #সাহিত্য_জীবন: তেরো বছর বয়স থেকে তসলিমা কবিতা লেখা শুরু করেন। কলেজে পড়ার সময় ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি সেঁজুতি নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তসলিমার কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা নামক তাঁর প্রথম কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয়। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে ও ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে আমার কিছু যায় আসে না কাব্যগ্রন্থগুলি প্রকাশিত হয়। এই সময় তসলিমা ঢাকা হতে প্রকাশিত নঈমুল ইসলাম খান দ্বারা সম্পাদিত খবরের কাগজ নামক রাজনৈতিক সাপ্তাহিকীতে নারী অধিকার বিষয়ে লেখা শুরু করেন। তাঁর কাব্যগ্রন্থ ও সংবাদপত্রের কলামে নারীদের প্রতি মুসলিম মৌলবাদীদের শোষণের কথা লেখায় ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা এই পত্রিকার অফিস ভাঙচুর করে। এই সময় নির্বাচিত কলাম নামক তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধসঙ্কলন প্রকাশিত হয়, যার জন্য ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে তসলিমা আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অতলে অন্তরীণ , বালিকার গোল্লাছুট ও বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা নামক আরো তিনটি কাব্যগ্রন্থ; যাবো না কেন? যাব ও নষ্ট মেয়ের নষ্ট গল্প নামক আরো দুইটি প্রবন্ধসঙ্কলন এবং অপরপক্ষ , শোধ, নিমন্ত্রণ ও ফেরা নামক চারটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে লজ্জা নামক তাঁর পঞ্চম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে বাংলাদেশের মুসলিমদের দ্বারা একটি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ওপর অত্যাচারের বর্ণনা করা হয়।এই উপন্যাসটি প্রকাশের পর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় মুসলিম মৌলবাদীরা তসলিমার ওপর শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে ও তাঁর এই উপন্যাস নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবী জানায়। গ্রন্থমেলা কর্তৃপক্ষ তাঁকে মেলায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। এই বছর অক্টোবর মাসে কাউন্সিল অব ইসলামিক সোলজার্স নামক এক মৌলবাদী সংগঠন তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করে। তসলিমা নাসরিনের সাতটি আত্মজীবনী গ্রন্থের অধিকাংশ বাংলাদেশ ও ভারত সরকার দ্বারা নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হয়। আমার মেয়েবেলা নামক তাঁর প্রথম আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে ইসলাম ও মুহাম্মাদের প্রতি বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হলেও ২০০০ খ্রিস্টাব্দে এই বইয়ের জন্য তসলিমা দ্বিতীয়বার আনন্দ পুরস্কার জয় করেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে তাঁর দ্বিতীয় আত্মজীবনী উতাল হাওয়া বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হয়। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে "ক" নামক তাঁর তৃতীয় আত্মজীবনী বাংলাদেশ উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে এই বইটি দ্বিখন্ডিত নামে প্রকাশিত হলেও ভারতীয় মুসলিমদের একাংশের চাপে নত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে বইটি নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত লেখক মহলে তীব্রভাবে সমালোচিত হয়। এই নিষেধাজ্ঞা ২০০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্য্যন্ত বলবৎ ছিল। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে সেই সব অন্ধকার নামক তাঁর চতুর্থ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। #দেশত্যাগ: ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকার এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইসলামি ধর্মীয় আইন শরিয়া অবলুপ্তির মাধ্যমে কুরআন সংশোধনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।এর ফলে ইসলামি মৌলবাদীরা তাঁর ফাঁসির দাবী জানাতে শুরু করে। তিন লাখ মৌলবাদী একটি জমায়েতে তাঁকে ইসলামের অবমাননাকারী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দালালরূপে অভিহিত করে। [] দেশ জুড়ে তাঁর শাস্তির দাবীতে সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে জনগণের ধর্মীয় ভাবনাকে আঘাত করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয় এবং জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তারী এড়াতে পরবর্তী দুই মাসে লুকিয়ে থাকার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয় এবং তসলিমা বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। #নির্বাসিত_জীবন: বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হওয়ার পর তিনি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে সুইডেনে ও ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জার্মানিতে বসবাস করেন।১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি সুইডেন ফিরে গেলে রাজনৈতিক নির্বাসিত হিসেবে জাতিসংঘের ভ্রমণ নথি লাভ করেন। এই সময় তিনি সুইডেনের নাগরিকত্ব লাভ করেন ও সুইডিশ কর্তৃপক্ষের নিকট তাঁর বাংলাদেশের পাসপোর্ট জমা দেন। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। এই সময় তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বাংলাদেশ সরকারের নিকট দেশে ফেরার অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হলে তিনি জাতিসংঘের ভ্রমণ নথি ত্যাগ করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে তাঁর বাংলাদেশের পাসপোর্ট ফেরত পান ও বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশ প্রবেশ করেন। বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে পুনরায় জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রুজু হলে তিনি পুনরায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ফ্রান্সে বসবাস করেন। দীর্ঘ ছয় বছর অপেক্ষার পর ২০০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতে প্রবেশ করার ভিসা সংগ্রহ করতে সমর্থ হলে তিনি কলকাতা যাত্রা করেন। এই বছর মার্চ মাসে তিনি শোধ নামক তাঁর একটি উপন্যাসের মারাঠি ভাষায় অনুবাদকর্মের প্রচারে মুম্বই শহরে পৌঁছনোর সময় মুসলিম মৌলবাদীরা তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার হুমকি দেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে তসলিমার পিতা মৃত্যুশয্যায় শায়িত হলে তসলিমার বাংলাদেশ প্রবেশে অনুরোধ করে ব্যর্থ হন। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হলে তসলিমা কলকাতা শহরে বসবাস শুরু করেন। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম সৈয়দ নূরুর রহমান বরকতি নাসরিনের মুখে কালিলেপন করলে পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেন। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল বোর্ড নামক একটি সংগঠন তাঁর মুন্ডচ্ছেদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা ঘোষণা করেন। এই বছর ৯ই আগস্ট তিনি শোধ উপন্যাসের তেলুগু ভাষায় অনুবাদকর্মের প্রচারে হায়দ্রাবাদ শহরে গেলে অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন নামক একটি রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় উত্তেজিত জনতা তাঁকে আক্রমণ করে। ১৭ই আগস্ট কলকাতা শহরের মুসলিম নেতারা তসলিমাকে হত্যা করার জন্য বিপুল অর্থ পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ২১শে নভেম্বর অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি ফোরাম নামক একটি ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠী কলকাতা শহরে তাণ্ডব শুরু করলে সেনাবাহিনীকে আইন ও শান্তিরক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়।এই দাঙ্গার পর নাসরিনকে কলকাতা থেকে জয়পুর হয়ে নতুন দিল্লি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারত সরকার তাঁকে পরবর্তী সাত মাস একটি অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দী করে রাখে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে "সিমোন দ্য বোভোয়ার" পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হলেও তিনি ভারতে প্রবেশে অনুমতি না পাওয়ার আশঙ্কায় ফ্রান্স যাত্রা করে পুরস্কার নিতে অসম্মত হন। এই সময় তিনি "নেই কিছু নেই" নামক তাঁর আত্মজীবনীর ষষ্ঠ ভাগ প্রকাশ বাতিল করেন ও কলকাতার দাঙ্গার জন্য দায়ী দ্বিখণ্ডিত নামক তাঁর বিতর্কিত বইটির কিছু অংশ অপসারণ করতে বাধ্য হন। ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব মুচকন্দ দুবে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে একটি পত্রে ভারত সরকারকে চাপ দিয়ে তসলিমার গৃহবন্দী অবস্থার মুক্তির জন্য অনুরোধ করেন। [] ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯শে মার্চ তসলিমা ভারত ছাড়তে বাধ্য হন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত মৌলবাদীরা তাঁর প্রাণনাশের হুমকি দিলে সেন্টার ফর ইনক্যুয়ারি তাঁকে ঐ বছর ২৭শে মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে সহায়তা করে এবং তাঁর খাদ্য, বাসস্থান নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।” নিবার্সিত হওয়ার পর তসলিমা নাসরিন ভারতে থাকা কালীন সময়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো বিগ বস ৮ -এ আমন্ত্রণ পান। কিন্তু তিনি এই আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেন। #বৈবাহিক_জীবন: ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তসলিমা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র প্রেমে পড়েন এবং গোপনে বিয়ে করেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের সাথে তাঁর বিয়ে এবং ১৯৯১ সালে বিচ্ছেদ হয়। তিনি ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক বিচিন্তার সম্পাদক মিনার মাহমুদকে বিয়ে করেন এবং ১৯৯২ সালে তাঁদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। তসলিমার কোন সন্তানাদি নেই। #গ্রন্থ_তালিকা: #কবিতা: শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা , ১৯৮১ নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে, ১৯৮৯ আমার কিছু যায় আসে না , ১৯৯০ অতলে অন্তরীণ, ১৯৯১ বালিকার গোল্লাছুট, ১৯৯২ বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা, ১৯৯৩ আয় কষ্ট ঝেঁপে, জীবন দেবো মেপে , ১৯৯৪ নির্বাসিত নারীর কবিতা, ১৯৯৬ জলপদ্য, ২০০০ খালি খালি লাগে , ২০০৪ কিছুক্ষণ থাকো , ২০০৫ ভালোবাসো? ছাই বাসো! , ২০০৭ বন্দিনী, ২০০৮ #প্রবন্ধ_সংকলন: নির্বাচিত কলাম , ১৯৯০ যাবো না কেন? যাব , ১৯৯১ নষ্ট মেয়ের নষ্ট গল্প , ১৯৯২ ছোট ছোট দুঃখ কথা, ১৯৯৪ নারীর কোন দেশ নেই , ২০০৭ নিষিদ্ধ , ২০১৪ তসলিমা নাসরিনের গদ্য পদ্য, ২০১৫ #উপন্যাস অপরপক্ষ ১৯৯২ শোধ, ১৯৯২ নিমন্ত্রণ , ১৯৯৩ ফেরা , ১৯৯৩ লজ্জা , ১৯৯৩ ভ্রমর কইও গিয়া, ১৯৯৪ ফরাসি প্রেমিক ,২০০২ শরম ,২০০৯ ছোট গল্প দু:খবতী মেয়ে , ১৯৯৪ মিনু , ২০০৭ #আত্মজীবনী আমার মেয়েবেলা, ১৯৯৯ উতাল হাওয়া , ২০০২ ক , ২০০৩; (পশ্চিমবঙ্গে দ্বিখণ্ডিত নামে প্রকাশিত, ২০০৩) সেই সব অন্ধকার , ২০০৪ আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ , ২০০৬ নেই, কিছু নেই , ২০১০ নির্বাসন , ২০১২ #চলচ্চিত্র তসলিমা নাসরিনের জীবনভিত্তিক প্রথম চলচ্চিত্র নির্বাসিত ২০১৪ সালে মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায়। ২০১৫ সালে এই চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ বাংলা চলচ্চিত্র বিভাগে ৬২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছে। #পুরস্কার_ও_সম্মাননা তসলিমা তার উদার ও মুক্তচিন্তার মতবাদ প্রকাশ করায় দেশ-বিদেশ থেকে একগুচ্ছ পুরস্কার ও সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। সেগুলো হলো - আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার , ১৯৯২ এবং ২০০০। নাট্যসভা পুরস্কার , বাংলাদেশ, ১৯৯২ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট কর্তৃক শাখারভ পুরস্কার , ১৯৯৪ ফ্রান্স সরকার প্রদত্ত মানবাধিকার পুরস্কার, ১৯৯৪ ফ্রান্সের এডিক্ট অব নান্তেস পুরস্কার, ১৯৯৪ সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল পেন কর্তৃক কার্ট টুকোলস্কি পুরস্কার, ১৯৯৪ [১০] যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ কর্তৃক হেলম্যান-হ্যামেট গ্রান্ট সম্মাননা, ১৯৯৪ নরওয়েভিত্তিক হিউম্যান-এটিস্ক ফরবান্ড কর্তৃক মানবতাবাদী পুরস্কার, ১৯৯৪ তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া ছবি: জাহেদ রবিন
|
|
|
|
©মহুয়া সমাদ্দার
তসলিমা তুমি মনের খাঁজে জ্বলো দীপশিখা হয়ে তসলিমা তুমি যেয়ো না হারিয়ে , যেও না কভু ক্ষয়ে । তসলিমা তুমি আছো তাই আজও প্রতিবাদ যায় শোনা তসলিমা তুমি ভালো কাজ করো , তাই এতো জল্পনা । তসলিমা তুমি চেয়েছো বাঁচুক মেয়েরাও ভালো করে তাই তো তোমার দেশের মাটি গিয়েছে ক্রমেই সরে । এদেশে , সেদেশে , সবখানে ঘুরে ভারতে পেয়েছো ঠাঁই তোমার মতোই সব মেয়েদের ঘুরে দাঁড়ানোই চাই । আমরা মেয়েরা আছি কম কিসে , তবে কেন মাথা নিচু ? বোরখাটা কেন আজও শুধু মেয়ের , ভেসে চলে পিছু পিছু ? (কপিরাইট প্রোটেক্টেড)
|
|
|
|
//সেলিম মিয়া
গভীর-শ্রদ্ধা-চিত্তে মুজিব-ভক্তিতে, আগষ্ট-পায়-প্রাণ; ভোগে ভরা ধনের দুয়ারে,শোকে ভরা আগষ্ট-এ এতিম খোঁজে, মুজিব আদর্শের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান। নব-নেতার গৃহে এসে এতিমের পক্ষে অক্ষমের আকুতি, নেতার-সরল-বিবৃত্তি, পিতৃ বিয়োগ! ওকে রেখে আয়; ঐ-করুনা-পাত্রের অভ্যান্তরিণ এতিমখানায়, সনাতনি হলে আশ্রমের আশ্রয়। বড় ভাই, ওগুলো-তো অধিকাংশই অপ্রতুল ও অব্যবস্থাপনার হযবরলায় ভরপুর। ওহে অক্ষম, তাতে তোর কি? তা তেমন কিছু না, তবে; সাদাকে কালোর প্রলয়ে, কালোকে লাল প্রবালের চাকচিক্যের মোহে, এ যেন পৃথিবীর মাঝে আরেক পৃথিবীর, কাক ময়ূরের বিবাহ নিমন্ত্রণ। মুজিব আত্মা এসেছে, দুঃখ ভারাক্রান্তে যা দেখছে তা- বিষাদের বিষন্নতায়, সারল্যের কমলতায়, অব্যক্ত ভাষায়, সদ্য এতিমের কতকি আকুতি-মিনতি; অর্ধাহারে গুমরে কাঁদে, সমাজ-তান্ত্রিক পুষ্টিহীনতায়। অথচ; আভিজাত্যের সদরে-অন্দরমহলে আয়োজন; অতিথি আপ্যায়ন শেষে, কত খাবার, আবর্জনার স্তূপে, তা আবার, অপেক্ষমান ক্ষুধার্ত টোকাইর খাদ্য-রূপে । মুজিব আদর্শের সাময়িক সন্তোষে, কিছু প্রায়াশ্চিত্তের প্রয়াসে, অন্ধ প্রেমের গৃহে, খুলেছে আমার মনের চোখ। তাইত আমার,এতিমের সাথে,এক টেবিলে একি খাবার। এ আমার, শোকাবহ আগস্ট পালন, শোক-সান্ত্বনার! মাগফেরাত কামনায়,মুজিব আত্মা পাক নীরব উপহার। হে বিধাতা! এমন সমর্থ সুযোগ দিও আমায়, বারবার।।
লেখক: পুলিশ ইন্সপেক্টর অব বাংলাদেশ।
|
|
|
|
রমা সিমলাই
ভারতবর্ষ কেমন আছো তুমি ! চিনতে পারছো আমাদের ! - এই তো সেদিনের কথা, কত মিছিল, কত রক্ত, কত বলিদান, নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার এক একটা অধ্যায় দিয়ে তোমাকে সাজিয়ে তুলেছিলাম, পরিপূর্ণ করেছিলাম তোমার স্বাধীনতার আয়োজন ! কেমন আছো তুমি আজ ! তুমি কি মানচিত্রের মতো সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা হয়েছো ! তুমি কি আজ তোমার সপ্তকোটি সন্তানের গর্বিত মা হয়ে প্রদীপ জ্বালো তুলসীতলায় ! ব্রিটিশ পুলিশের জুতোর আওয়াজে আজ তো আর তোমাকে বিনিদ্র রাত কাটাতে হয় না ! তোমার সন্তানেরা দুধেভাতে আছে তো মা ! তোমায় ভালোবাসে ! যে আগুন জ্বালিয়ে তোমার চারপাশের অন্ধকারকে পুড়িয়ে দিয়েছিলাম আমরা, আজ তা প্রদীপ হয়ে তোমার ঘরকে আলোকিত করে নিশ্চয়ই ! জানো, তোমার ক্ষুদিরাম আজও সেই কিশোরই রয়ে গেল ! মাঝেমাঝেই বায়না করে তোমার কোলে ফিরে যাওয়ার জন্য । ও না কি আবার শহীদ হবে তোমার জন্য ! আর মদন- লাল ধিঙরা ! সে তো আবার এককাঠি উপরে , সে আবার তার পুরোনো রিভালবারটাই ফেরত চায়, ইংরেজ মারবে বলে ! শুধু বিষণ্ণ সূর্য সেন ! চট্টগ্রাম অস্ত্রাগারের লুণ্ঠন করা অস্ত্রের হিসেব নিয়ে আজও বিড়বিড় করে, হিসেব মেলাতে পারে না ! যে মৃত শরীরটাকে টেনে হিঁচড়ে ওরা ফাঁসিতে তুলেছিল,তার মুঠোয় না কি একটা বুলেট ধরা ছিল, সেটার হিসেব কিছুতেই মেলাতে পারে না মাষ্টারদা ! কেমন আছো তুমি মা ! তোমার সন্তানেরা আজ স্বাধীন মাটিতে জন্মায় তো ! শিক্ষা স্বাস্থ্য চেতনা, আচ্ছা তোমার মেয়েরা নিশ্চয়ই আজ আর দাসী নয় , সব্বাই রাজকন্যা হয়ে উঠেছে, আর তোমার ছেলেরা, যাদের বুদ্ধি মেধা নিয়ে তোমার অহংকারে পা পড়তো না মাটিতে ! তারা তোমাকে রাজমাতা ক`রে রেখেছে তো ! মা গো, আমার ছেলে মেয়ে দুটোকে মানুষ কোরো, মা ! ব্রিটিশের গুলি যখন আমাকে আর আমার বউ টাকে ঝাঁঝরা করে দিল জালিওয়ানাবাগের জনসভায়, ঘুমিয়ে পড়ার আগের মুহূর্তে বাচ্চা দুটোকে এক ঝলক দেখেছিলাম যেন ! বড়ো করুণ ছিল সেই মুখ ! আঃ , কি যন্ত্রণা এখনো বুকে নিয়ে ফিরি ! ওদের একটু দেখো তুমি ! জানি না আর কখনো তোমার কোলে ফিরবো কি না ! আর কখনো তোমার কোলে মাথা রেখে গাইবো কি না, "ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরেই ঠেকাই মাথা "!
|
|
|
|
রমা সিমলাই
কালিদাস জাতি নিজেরাই নিজেদের উপহার দিল এ শোকের আবহ !! নৃশংস ভাবে হত্যা করা হলো জাতির পিতা`কে !!!)) বাঙলাদেশ যদি একটি দেশের নাম হয়, তবে বঙ্গবন্ধু একটি নদীর নাম। অতল আদরে লালন করে চলেছে একটা জাতিকে ! বাঙলাদেশ যদি একটি জাতির নাম হয়, তবে বঙ্গবন্ধু সে জাতির পিতার নাম। নিজেকে রক্তাক্ত করে, যে ধারন করেছে উত্তরাধিকার ! বাঙলাদেশ যদি একটি স্বাধীনতার নাম হয়, তবে বঙ্গবন্ধু একটা আন্দোলনের নাম। যে সংগ্রাম অর্জন করেছে স্বাধীন সূর্য চন্দ্রের বিস্তারভূমি ! বাঙলাদেশ যদি একটা ইতিহাসের নাম হয়, তবে বঙ্গবন্ধু এক অস্থির সময়ের নাম। যে ভগীরথের মতো শঙ্খের আহ্বানে সৃষ্টির তরঙ্গকে পল্লবিত করেছে নিশ্চিত পদপাতে ! বঙ্গবন্ধু একটা নদীর নাম বঙ্গবন্ধু এক জাতির পিতার নাম বঙ্গবন্ধু একটা আন্দোলনের নাম বঙ্গবন্ধু একটা অস্থির সময়ের নাম তবুও, যে নির্মমতায় ভারতবর্ষের শরীর থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল, কন্যাসমা বাঙলাদেশের শরীর, যে অন্ধকারের হিংস্রতায় লুটিয়ে পড়েছিল একদিন ভারতমাতার গুলিবিদ্ধ নিথর শরীর, সেই একই নির্মমতায়, একই হিংস্রতায় অসংখ্য মৃত্যু ছুটে এসেছিল চির হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণবন্ত, স্নেহবৎসল মানুষটির দিকে !! ফিনকি দেওয়া রক্তে শ্রেষ্ঠতম সন্তানকে বক্ষে ধারন করেছিলেন বঙ্গজননী !! ডুকরে কেঁদে উঠেছিল সময় !!! ইতিহাসের মৃত্যু হয় না কখনোই, তবে কখনো কখনো একটি মৃত্যু ইতিহাস হয়ে ওঠে! একরাশ কান্না হয়ে ওঠে কবিতা ! আর রক্তস্নাত জাতি পিতৃ তর্পণের আহুতি দিতে দিতে আকাশের দিকে দৃঢ়মুঠি ঔদ্ধত্ব ছুঁড়ে দিয়ে বলে, "বঙ্গবন্ধু বাঙালির চিরায়ত সম্পদ ! বাঙালির না থামা কান্না, বাঙালির বয়ে চলা শাস্বত জীবনবোধ !! অন্ধকারের সাধ্য কি তাকে আড়াল করে !!!"
|
|
|
|
//সেলিম মিয়া
ঈদ মানে হাসি খুশি, ভালবাসা পাশাপাশি ত্যাগে ঝরা শত কোটি পশুর প্রাণ। ভোগে-স্বাদে মজার-মাংস রান্নার-ঘ্রাণ। অতিথি আপ্যায়নে খাওয়া-দাওয়া, এরই নাম ঈদুল- আজহা। শিশুদের হৈচৈ স্বরোরব, পাখিদের কলরব বড়দের আনাগোনা মোলাকাত প্রেমিক প্রেমিকার হাঁটাহাঁটি হাতে-হাত। গরীব দুঃখী আত্মীয়ের মাঝে, তিনভাগের একভাগ সমানে-সমান অনেক ধনীক খাদ্য-বস্ত্র বিতরণে হন মহান, দেন অনেক ত্রাণ। এসো আজ শিখি আর শপথ করি, প্রতিটি দিন প্রতিটি মন, যেন করে আনচান ঠকাবনা কাউকে, চুরি করব না গরীবের-ধন। ত্যাগে-মহান ভোগে-জাহান, হক আদায়ে বিধাতার-বিধান মানব সবাই মানবো আমরা, ঠিক ঠিক এমন।
|
|
|
|
//সেলিম মিয়া
সাগর সৈকতে জোয়ার এসেছে, এসেছে সুন্দর সফেন, বর্ষায় ভরে গেছে মাঠ-ঘাট,ক্ষণে-ক্ষণে ঐযে ভাসে মেঘ। কর্ম কঠোর সফরে এসেছি,দিঘল-দরিয়া দিগন্তে আমি, ঢেউ এসে কেড়ে নেয় মন,কিছু পর মমতাময়ীর ফোন। খুশির দিনে খুশি থাকে না, তুই যদি না আসিস, "বাবা" ছোট্ট স্বরে নিছক জবাব, ছুটি হলে আসবানে মা। বিষাদের আরেক কায়া, প্রেয়সী ও ত্রিরত্নের, দূরে থাকা, এ যেন ভীষণ-ব্যথার, যঠর-জ্বালা-যন্ত্রণা। অবশেষে সৃষ্টিকর্তার সমীপে মিনতি, দূরে রেখেছ রাখো, তবে সুস্থ সুন্দর ভাবে বাঁচিয়ে রেখো, সবাই কে। আগামী বছর খুশির দিনে, থাকে না যেন দূরত্বের মেঘ, আসে যেন একত্রে খুশির ঝিলিক চন্দ্রিমা। হে পাক পরোয়ার্দেগার, তুমি পারো, সব তোমার মহিমা।
|
|
|
|
--আরেফিন সায়ন্তী লিমা
এই পথ একদিন আমিও ভুলে যাবো রক্তঝরা সব গোপন ক্ষত আর অভিমান বুকে চেপে আমিও ফিরে যাবো মাটির কাছে....!! এই এখানে আমি বড্ড ঘুমের অসুখে ভুগছি। যেদিন মাটির কাছে ফিরে যাবো সেদিন গভীর ঘুমে মগ্ন হব আশ্চর্যজনক ভাবে ভুলে যাবো এই যে পাড়ার সব কিছু সেদিন। এটা ভেবে ভালো লাগছে কষ্ট অর্পন কারীরা সেদিনের পর থেকে আর আমাকে দুঃখ দিতে পারবেনা!! আর......না। আর আমার ঘুমও ভাঙাতে পারবেনা আর না...!!
|
|
|
|
সজল আহমেদ
বৃদ্ধ পথিক ক্লান্তিভারে শীতল করতে কায়া___ হেঁটে-হেঁটে খুঁজতে লাগলো বৃক্ষ শীতল ছায়া। চর্ম যে তার ঘর্মে ভিজে রোদ্রে দিগুণ জ্বলে ছায়া না পেয়ে বৃদ্ধ পথিক রেগে গিয়ে কী বলে! পা দু`খানা পথের কোষে শক্ত করে ধায়__ মুচকি হেসে গ্রীষ্মের রোদ ঈশ্বর পানে চায়। খানিক হেঁটে পথিক হঠাৎ তাকায় ডানে ফিরে ঐতো সেখানে যাচ্ছে দেখা বৃক্ষ নদীর তীরে। ছায়ায় শীতল বৃক্ষ তলে স্নিগ্ধ সমীর বহে! হাত উঁচিয়ে পথিক তারই ঊর্ধ্বে চেয়ে কহে- "হে ঈশ্বর, বলো সেখানে কীসের এত সুর পাষাণ নদীও স্রোতের টানে গাইছে সুমধুর! রোদ্র তারই শীতল তাপে করছে কীসের খেলা বাতাস কেন বাইছে সেদিক স্নিগ্ধকরের ভেলা? পাখি কেন করছে খেলা এদিক-সেদিক ছুটে? ঘাসে যেন বাজছে মৃদঙ্গ খুশিতে ভূমিতে লুটে! মুচকি হেসে বলে ঈশ্বর পুলক মাখা স্বরে____ "একটি নক্ষত্র জন্মেছে আজ কাজী ফকিরের ঘরে। মানব রূপেই বাড়বে সে-জন দুঃখে করবে বাস মৃত ডালে ফুল ফুটিয়ে__সুখকে করবে চাষ। ঝাঁকড়া চুলে সুঠাম দেহে কলম নিয়ে হাতে বিদুৎ-টানে লিখবে গান, ছড়া-কবিতা তাতে। কান্নার হাসি, অসহায়ের সহায়, বৃদ্ধের চোখের জল_ মুছে দিয়ে তাকে টেনে নিবে বুকে, দুর্বলের হবে বল। বিশ্বের বুকে করবে সৃষ্টি বিদ্রোহী এক সুর ধূমকেতু হাতে বাঁশির সাথে অন্যায় করবে দূর। ধর্ম নামের হিংস্র প্রাচীর পুড়ে-পুড়ে হবে ছাই মনুষ্যত্বই হবে শ্রেষ্ঠ ধর্ম___মানুষ ভাই-ভাই। অসাম্যের তালা মাটিতে ফেলে দলবে পায়ের তলে সাম্যের ফুল রাখবে কুড়িয়ে মালা করে তার গলে। পুরুষের যতো অর্জন তার__শ্রেষ্ঠ প্রেরণাকারী ঘোষণা করবে দৃপ্ত কণ্ঠে, সে বিজয়লক্ষ্মী নারী। যতো পতিতা দেহ দিয়ে ভোগে পুরুষরে করলো পার তাদেরও দিবে মায়ের সন্মান__ দিবে নারীর অধিকার। শ্রমিক-মজুর-কুলি-মুচি সব টেনে নিবে তার বুকে মাটিতে যে ফেলে দিলো তাকে উড়িয়ে দিবে ফুঁকে। দুর্গম গিরি পাড়ি দিয়ে সে-যে আনবে তরুণ ডালা লাথি দিয়ে আবার ভাঙবে রেগে বদ্ধ কারার তালা।" এসব শুনে অবাক পথিক! দৃষ্টি ফিরিয়ে কহে__ "তবে কী প্রেম আসবে না তার ক্ষুব্ধ জীবন দ্রোহে?" শুনে ঈশ্বর বলে হেসে ফের, "ওরে পথিক শোন, তার-ই মতো প্রেমিক পুরুষ হবেই-বা ক`জন? প্রেমিকার খোঁপা সাজিয়ে দিবে উজ্জ্বল তারার ফুলে চাঁদের আলোতে করবে খেলা__ প্রিয়ার গহীন চুলে। ফুলের সৌরভে রচবে বাসর পূর্ণিমা রাতের ছায় বিরহ তাকে ধরবে পেয়ে, হঠাৎ; নিরালায়। গানে গানে তা করবে বর্ণন দীর্ঘ রাতের পরে আসবে ভোর কেটে যাবে ঘোর সুর-বীণায় ভরে।" শুনে পথিক বললো কেঁদে "আহ্ঃ! আরো যা কষ্ট আছে বলো শুনি। কেন তবে কদম ফুলটি পড়লো ঝরে পাছে?" খানিকক্ষণ থেকে মৌনভাবে ঈশ্বর বলে "আর! বিধির বিধান খণ্ডন করার সামর্থ আছে কার? দৈবভাবে মাঝ বয়সে হয়ে যাবে সে-যে চুপ মুখ না আর খুলবে তার- হবে মৃত্যুপূর্ব রূপ! এরই মাঝে মন-বাসনা_ করবে প্রকাশ তার মৃত্যুর পর ঠাঁই যেন হয় মসজিদের-ই পার।" শুনে পথিক ডুকরে কাঁদে__ কাঁদতেই থাকে হায় কাঁদতে কাঁদতে কী যেন ভেবে আকাশ পানে চায়। বলে, "ঈশ্বর নামটা বলো, নামটা শুনি; কী নাম হবে তার দেখে আসি তাকে আর বলে আসি গিয়ে, আসছে অন্ধকার! এতক্ষণ যা শুনলাম আমি দারুণ দুঃখ ভারে দৈববাণী শুনিয়ে আমি সাবধান করবো তারে।" এই কথা বলে বৃদ্ধ পথিক পা বাড়ালো ডানে পা দু`খানি আটকে গেল_ থমকে গেল বাণে! রেগে গিয়ে বলে ঈশ্বর "বুড়ো, করলি বড় ভুল বিধির বিধান খণ্ডন কাজের__এবার দে মাশুল। ঐতো আঁধার আসছে দেখ্ ধরতে তোকে ঘিরে মরবি এখন আপন দোষে, আর যাবি না ফিরে। মৃত্যুর আগে শুনে যা তুই, কী নাম হবে তার কাজী নজরুল নাম হবে যা বিশ্বে হবে ভার।" এসব শুনে শ্লেষ মাখা স্বরে পথিক কহে ধীরে___ নজরুলের ভয়ে তুমিও মোরে এমনি নিলে কেড়ে?"
|
|
|
|
//সেলিম মিয়া
ঈদ আসছে, আমেজ নেই, বিষাদ ছুঁয়েছে এ জীবনে; মা রয়েছেন একা একা জন্মস্হাণ পৈতৃক আবাসে। রাণী, রত্নরা রয়েছে, পূর্ববর্তী কর্মস্থল বিক্রমপুরে; আমি আছি হাওড় অঞ্চলের অজোয়া এক উগ্র গাঁয়ে। এ গাঁয়ে কারো মহামারীর ব্যথা নেই, নেই কোনো দুঃখ; ইফতার, ত্রাণ, ঈদ সামগ্রী বিতরণ গ্রুপ বিরোধ বিভক্ত। মতবিরোধ, হামলা মারামারি, অনেকেই আহত; আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, পুলিশ কে ও আক্রমণ; অবশেষে লাঠি চার্জ পুলিশের কঠোর এ্যাকশন।
|
|
|
|
//সেলিম মিয়া
রংধনুর রং মাখা আকাশে, হঠাৎ আঁধার-উতল খেলা, ধুধু বালুচরে, থরে-থরে, বানে ভাসে আপন-ভেলা। দুঃস্বপ্নের সেই কালের ক্ষণে হারিয়ে গেলো কোলাহল মাইক-মুখে এক-কথা চল চল চল,আশ্রয় কেন্দ্রে চল। যেতে-যেতে, যেতে না পারা, কেহ হারালো জীবন, কেহ যেতে পেরেও, খোয়ালো সব, রেখে আসা সম্বল, বিলীন হলো, অনেকের মতো আমার নিবাস-ভূমি। কতজন অনাহারের উপবাস, বিষাদের বেদনা বাহার; অতঃপর অসংখ্যজন ত্রাণ পেলো এ যেনো ঈদ উপহার; জ্ঞানওয়ালা কেহ কেহ বলে এসব প্রকৃতির তাণ্ড; আমি বলি, বিধাতার নজির এ এক এলাহি কাণ্ড।
|
|
|
|
|
|
হুমায়ূন আহমেদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। |
............................................................................................. |
নিউ ইয়র্কে বইমেলার উদ্বোধন করলেন কবি আসাদ চৌধুরী |
............................................................................................. |
শিল্পকলায় ‘মুজিবের মেয়ে’ মঞ্চায়িত |
............................................................................................. |
সমকামী |
............................................................................................. |
আমার সুনীল |
............................................................................................. |
কেমন আছেন তসলিমা নাসরিন? |
............................................................................................. |
তসলিমা |
............................................................................................. |
আগষ্ট উপহার |
............................................................................................. |
শহীদের চিঠি |
............................................................................................. |
বাঙালির শোকের দিনও বটে !! |
............................................................................................. |
ত্যাগ ভোগ |
............................................................................................. |
মহিমা |
............................................................................................. |
এই পথ একদিন |
............................................................................................. |
ঈশ্বর ও পথিক |
............................................................................................. |
ঈদের আমেজ |
............................................................................................. |
নিবাস |
............................................................................................. |
মায়ের গল্প |
............................................................................................. |
প্রেয়সীর প্রহরে |
............................................................................................. |
মায়ের গল্পঃ জীবন থেকে নেয়া |
............................................................................................. |
#যৌথ গল্প (১ম পর্ব) |
............................................................................................. |
মা |
............................................................................................. |
প্রার্থনা।। |
............................................................................................. |
মানবতা |
............................................................................................. |
সামাজিক দুরত্ব |
............................................................................................. |
সুখ |
............................................................................................. |
বিপরীত ভাবনা |
............................................................................................. |
প্রেমের বর |
............................................................................................. |
খোলা জানালা |
............................................................................................. |
ফুল ফাগুনের প্রেম |
............................................................................................. |
প্রেম ক্ষুধা |
............................................................................................. |
৮ই ফাল্গুন |
............................................................................................. |
একুশে বইমেলায় কবি ও সাংবাদিক হীরার ‘জলরঙ নারী’ |
............................................................................................. |
গুজবের বিরুদ্ধে স্লোগান |
............................................................................................. |
শিশুতোষ গল্প লিখে আইরিনের পুরস্কার জয় |
............................................................................................. |
জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু শুক্রবার |
............................................................................................. |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম.এ মান্নান > নির্বাহী সম্পাদক: মো: রাসেল মোল্লা
উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি: হাজী ইউসুফ চৌধুরী নাঈম ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ খন্দকার আজমল হোসেন বাবু, সহ সম্পাদক: কাওসার আহমেদ । প্রধান বার্তা সম্পাদক: আবু ইউসুফ আলী মন্ডল, সহকারী-বার্তা সম্পাদক শারমিন আক্তার মিলি। ফোন: বার্তা বিভাগ 01618868682- 01914220053, সম্পাদক ও প্রকাশক: 01980716232
ঠিকানাঃ বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়- নারায়ণগঞ্জ, সম্পাদকীয় কার্যালয়- জাকের ভিলা, হাজী মিয়াজ উদ্দিন স্কয়ার মামুদপুর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ। শাখা অফিস : নিজস্ব ভবন, সুলপান্দী, পোঃ বালিয়াপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ-১৪৬০, রেজিস্ট্রেশন নং 134 / নিবন্ধন নং 69 মোবাইল : 01731190131,E-mail- notunbazar2015@gmail.com, E-mail : mannannews0@gmail.com, web: notunbazar71.com,
|
|
|
|