স্বরূপকাঠির সোহাগ দলে সৎ ছেলে মেয়ের নির্যাতন অত্যাচার মা ও মাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে সাইফুল গংদের বিরুদ্ধে
7, June, 2022, 8:35:54:PM
পিরোজপুরের নেছারাবাদ স্বরূপকাঠির উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের, সৎ মাকে, ও মামাকে মারধর করতেও কুন্ঠা বোধ করেননি, নির্যাতন অত্যাচারের শিকার ও অর্থ আত্মসাতের নরপিচাশ । সন্ত্রাসী কায়দায় ও অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য বিশাল সম্পত্তির লোলুপ দৃষ্টি এবং নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে সৎ মাকে অমানবিক কায়দায় মারধর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে ২নং সোহাগদল ইউনিয়নের মোঃ কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মোঃ সাইফুল গংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র জানায় গত বৃহস্পতিবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রয়াত আলহাজ্ব মোঃ হাসেমের( তরকারি) প্রথম সংসারের ছেলে মেয়েরা অতর্কিত নির্যাতন অত্যাচার ও হামলা করে৷ সৎ মা মোসাঃ পলাশ বেগম(৪৮) ও তার সৎ মামা মোঃ মিলন(৩৬) ও তার স্ত্রীকে।স্থানীয় সূত্র জানায় বিশাল সম্পত্তির লোলুপ দৃষ্টি পড়ে প্রথম সংসারে ছেলে ও মেয়েদের। সামাজিক দায়িত্ব বোধ এবং রাষ্ট্রের আইন কানুন উপেক্ষা করে সৎ মাকে ঠকানোর নীল নকশায় মেতে উঠেছে প্রথম সংসারের ছেলে মেয়েরা। সামাজিক দায়িত্ব বোধ উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী কায়দায় সৎ মাকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করেন ও শারীরিক কায়দায় মারধর করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসী লম্পট চরিত্রে মোঃ সাইফুল সহ লালু মিয়া,মোঃ সালেক,রোজিনা, শামসুন নাহার, মোঃ হাসান ও মোঃ শোভন গংদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্র আরও বলেন তরকারি হাসেমের মৃত্যুর পর শুরু হয় এচক্রের নীল নকশার প্ল্যান। আর সেই প্লান অনুযায়ী প্রয়াত আলহাজ্ব মোঃ হাশেমের ( তরকারি) প্রথম সংসারে ছেলে মেয়েরা সুপরিকল্পিত ভাবে মাষ্টার প্লান অনুযায়ী একের পর এক নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকার সত্যতা রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের বেড়ে থাকা প্রয়াত মোঃ হাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃ পলাশ বেগম ভারাক্রান্ত মনে মিডিয়াকে বলেন, আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি তাদের অত্যাচারে । শুধু তাই না আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে অনেকদিন যাবত । আমাকে রাতের আধারে ডেকে নিয়ে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় ও আমার সৎ ছেলে-মেয়েরা আমাকে অমানবিক কায়দায় মারধর করেন। পাশাপাশি আমার আপন ছোট ভাই মোঃ মিলনকেও অমানবিক কায়দায় মারধর করে। বাদ যায়নি আমার ভাইয়ের স্ত্রীও। আমরা তিনজনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। তিনি আরও বলেন ওরা অমানুষের মত চরম নিষ্ঠুর আচরণ করে আমি বাঁচতে চাই আমি অধিকার চাই , আমাকে আপনারা বাচান না হলে আমাকেও ওরা মেরে ফেলবে। আমি মা তা বেমালুম ভুলে গেছে হীন স্বার্থের জন্য। স্থানীয় লোকজন না আসলে এচক্রের সদস্যরা আমাদের মেরে ফেলতো। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় প্রথমে অভিযোগ পরে আইনের ধারায় মামলা করতে বাধ্য হই , আমি দেখি আমার আশেপাশে যখন কেউ নেই আমার বাঁচতে হবে তাই আমি থানায় যেতে বাধ্য হলাম ।মামলার ধারা নং ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৫৪/৩৭৯ ও ৫০৬। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমি বেচে থাকার তাগিদে মামলা করি আমাকে ওরা যে কোন সময় মেরে ফেলবে আমাকেও আমার ভাই লোকজনক। এ ব্যাপারে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণ মাধ্যম কর্মীদের। মামলার আসামি কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম ,মৃত মোসলেমের ছেলে মোঃ লালু, শাসু দালালের ছেলে মোঃ সালেক, সালেক মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ রেজিনা বেগম, মোঃ কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ শামসুন নাহার, লালু মিয়ার ছেলে মোঃ হাসান ও শোভনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।এ ব্যাপারে উপজেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা সরেজমিনে প্রয়াত মোঃ হাশেম মিয়ার বাড়ীতে যান। গন মাধ্যম কর্মীদের আনাগোনা টের পেয়ে সুকৌশলে ছিটকে পড়ে আসামি পক্ষের সদস্যরা। তবে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন ঘটনার সত্যতা রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার চেয়ারম্যানও সমগ্র বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন। তবে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, অধিক সম্পদ কখনোই শান্তি বয়ে আনতে পারে না। আর সেই আলোকে স্বরূপকাঠি উপজেলার সাধারণ মানুষেরা বাস্তব চিত্র সরাসরি অবলোকন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করা ঠিক হয়নি , ওদের উপর অত্যাচার করছে এটা মানুষ এখন মানুষকে করতে পারে না লোকজন বলেন এটা সুষ্ঠ বিচার হওয়া দরকার তারা অসহায় তারা শারীরিক-মানসিকভাবে তারা নির্যাতিত সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা ভর্তি আছেন তারা গুরুতর অবস্থায় তাই এলাকার লোকজন আরো বলেন সুষ্ঠু বিচার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি দেখার জন্য । আইনের মাধ্যমে সুন্দর সমাধান হোক আর সেই প্রত্যাশা সমগ্র উপজেলাবাসীর।