বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে তালা, সালিশ বৈঠকেও মিলেনি সুরাহা, চলছে নানান হয়রানি।
16, November, 2022, 6:08:9:PM
স্টাফ রিপোর্টার
এমনি অভিযোগ পাওয়া গেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কালামিয়ার বাজারে, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার সরেজমিন কেশবপুর ইউনিয়ন কালামিয়ার বাজারে গিয়ে দেখা যায় উক্ত বিষয় নিয়ে স্হানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে সালিশ করেন, তবে একাধিক বার সালিশ হলেও মিলছে না জমি। বলে জানান ভুক্তভোগী সাইফুল হাওলাদার সহ অন্যরা,
জানা গেছে- দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলেই আসছে কিন্তু মিমাংসা হচ্ছে না, এনিয়ে একাদিক বার থানায় মৌখিক ভাবে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, এলাকাবাসী বলেন অভিযুক্ত আব্দুল হক মিলন এর, বড় ভাই মুজিবর এক জমি কয়েকজনের কাছে বিক্রি করে এসেছে, পরবর্তীতে বিক্রিকৃত জমি আবদুল হক মিলন তাহার পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে বর্তমানে ক্রয়-কৃত মালিকদের হয়রানি এবং মামলা দেন,তারই ধারাবাহিকতায় কালামিয়ার বাজারস্থ, ভুক্তভোগী সাইফুল হাওলাদারের ক্রয় কৃত জমিতে অবস্থিত মুদি দোকানে প্রভাবশালী স্থানীয়দের সহায়তায় দোকানটি দীর্ঘদিন ধরে তালা বন্ধ করে রাখে, এতে সাইফুল হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করার সাংবাদিকদের জানান, তার মুদি দোকানটি দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ থাকায় দোকানে থাকা মালামাল নষ্ট হয়ে গিয়েছে,পরবর্তীতে এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে, দোকানের তালা খুলে দেয়া হয়,এবং গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় , কিন্তু তাতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল হক মিলন, ও তার সহযোগীরা সাইফুল সহ অন্য ভুক্তভোগী দের কে হুমকি ধমকি ও মিথ্যা মামলা দেয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে
সরজমিনে আরো দেখা যায় দোকান তালা দেওয়া এই বিষয় জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বলেন সাইফুল হাওলাদার তার নিজস্ব জমিতে একটি মুদি দোকান দেয় কয়েকদিন যাওয়ার পর আব্দুল হক মিলন তার সাঙ্গোপাঙ্গ দিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে দেন,
এ এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল হক মিলন ও তার বড় ভাই মুজিবর বলেন ওরা কোন জমি পাবে না,এই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বললেও কোনো কাগজ পত্র দেখান নি, কিন্তু সাইফুল হাওলাদার, উক্ত বিরোধপূর্ন জমির প্রয়োজনীয় দলিলাদি সহ কাগজপত্র উপস্থাপন করেন,
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেসেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পিকু মাষ্টার বলেন আমি দুই পক্ষকে নিয়ে একাধিক বার সালিশ এবং মিমাংসারর চেষ্টা করেছি কিন্তু আব্দুল হক মিলন ও তার বড় ভাই মুজিবুর তা মানতে রাজি না। তাই এ বিষয়ে আমি আর হস্তক্ষেপ করতে চাইনা । সাংবাদিকদের সম্মানার্থে আমি আজকে একটি সাময়িক সুরাহার চেষ্টা করেছি মাত্র, এতে আবদুল হক মিলন না মানলে আমার কিছু করার নেই
থানায় মৌখিক অভিযোগের বিষয় জানতে চাওয়া হলে বাউফল থানার এস আই,প্রসেনজিত জানান, বিষয় টি অনেক জটিল,এবিষয় উভয়ের মধ্য ঝামেলা রয়েছে,