ঘটনার সুত্রপাত আনুমানিক রাত আটটা পয়ত্রিশ মিনিটের দিকে ঝিনাইদহ শহরের আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন এর সামনে। ট্রাক টার্মিনালের সাথেই রাশেদের বাড়ি।
স্ত্রীর সাথে কথা বলে দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে ডিসকভারি মোটরসাইকেলে করে রাস্তায় উঠেছে রাশেদ। যাচ্ছিল চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ডের দিকে। রাস্তা উঠার পরে কিছুই বুঝে উঠার আগেই অপর দিক থেকে দ্রুত গতিতে একটি মোটরসাইকেল রাশেদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। রাশেদ রাস্তার পাশে পড়ে যায়।
যে মোটরসাইকেলটা রাশেদের মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয় সে মোটরসাইকেলটার ছিল না কোন লাইট গতি ছিল ৯০ এর মত। বসেছিল তিনটি উঠতি বয়সের যুবক। ঘটনা ঘটার পরে কয়েকজন যুবক রাশেদকে একটা ইজিবাইকে উঠিয়ে দেয়। ইজিবাইক চালক দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জরুরিভাবে ডাক্তার কোন চিকিৎসা দেওয়ার আগেই রাশেদ( ৫০) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। যারা ওই দ্রুতগতির মোটরসাইকেল ছিল তারাও এসেছিল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার জন্য কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে তারা দ্রুত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে রাশেদের স্ত্রী এসে একটি কথা বলছিল আমি আমার দুই ছেলে নিয়ে এখন কি করব?
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত গতি মোটরসাইকেল চালকদের গতিরোধ করা হোক প্রয়োজনে আদালত বসিয়ে এদের জেল জরিমানা ব্যবস্থা করা হোক। তা নাহলে সড়কে ঝরতেই থাকবে রাশেদের মতো হাজারো প্রাণ। দেখতে হবে হাজার রাশেদের স্ত্রী পুত্র কন্যার কান্নার আহাজারি।