টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অনধিকার ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মালিক মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে বেআইনীভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে এতে মালেক মিয়া (৫৫) ও তার স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০) উভয় মাথায় কাঁটা রক্তাক্ত মারাত্মক জখম আহত হয়েছে। গত ১৬/১২/২০২২ইং শুক্রবার বিকাল ৫.৩০ মিনিটে বাঁশতৈল গাইরা বেতিল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।বাদী বিবাদী উভয় বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন, নদীতে বাড়ি ভাঙার কারণে মালেক মিয়া বাঁশতৈল ইউ.পি গাইরা বেতিল গ্রামে এসে দীর্ঘদিন বাড়ি করে বসবাস করেন।রিপন মিয়া বলেন মহর আলী গং তারা অনেক খারাপ লোক ছিল,শুধু তাই নয় আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা, শাবল,দা লোহার পাইপ, বাঁশের, লাঠি, গাছের গাছের ডাল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় অনাধিকার প্রবেশ করে আ: মালেক ও তার স্ত্রী মিনারা বেগম কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় ২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা অত্যন্ত হৃদয় বিধায়ক ঘটনা। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানাকে অবগত করে টাঙ্গাইল জেলার মোকাম বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিঃ ম্যাজিঃ মির্জাপুর থানা আমলী আদালতে গত ২২/১২/২০২২ ইং তারিখে মামলা দায়ের করা হয়েছে।সি,আর মোকাদ্দমা নং -৭৪৬/২২ ধারা দঃবিঃ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৮০/৫০৬/৩৪ ধারায় মালালার বিবরনে দেখা যায়,ও রাহাজ উদ্দিন জানান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গুন্ডা প্রকৃতির বাঁশতৈল গায়রা বেতিলের মহর আলী, মহর আলীর ছেলে নূরনবী ও শামীম হোসেন, মিন্টু মিয়ার ছেলে মাছুদ, জামাল মিয়া ও তার ছেলে রাকিবসহ আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী গুন্ডা প্রকৃতির লোকদেশীয় অস্ত্র নিয়ে মালেকের নিজ বসত বাড়িতে তাদের পরিবারের সকলকে মারধর করেছে বিষয়টি অত্যন্ত মানবিক এই সন্ত্রাসী আমরা এই এলাকায় চাইনা। এদের বিচার করে আমাদের সমাজ ও এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হোক। মহর আলীর হাতে থাকা দা দিয়ে মালেক মিয়াকে মাথায় কূপ মেরে মাটিতে ফেলে রাখে। সুরমা বেগম মালেকের স্ত্রীকে কিলঘুষি মেরে পরনের কাপরচোপর বিবস্ত্র করে ফেলে। জামাল মিয়ার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মালেকের ছেলে রিপনকে এলোপাথারী বাইরিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নিলাফুলা জখম করে। মালেক, তার স্ত্রীরও ছেলেসহ গুরুতর আঘাতের কারনে আহত হলে সেই সুযোগে মাসুম ও রাকিব ঘরে ঢুকে আলমারীর ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। মালেক ও তার স্ত্রীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক থাকায় গ্রামের লোকজন সিএনজি যোগে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানেও তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানা যায়।গায়রাবেতিল এলাকার রাহাত উদ্দিন, রাজিয়া বেগম, শাহ্ আলম,আব্দুল বারেক, আব্দুল কাদেরসহ আরও ২০-২৫ জন এলাকাবাসী বলেন , ঘটনাটি সত্য বর্তমানে মালেক ও তার স্ত্রী আজ প্রায় ১৩ দিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি আছে এখনো তারা সুস্থ হয়নি। বর্তমানেও তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে।আরও বলেন, পূর্বে আসামীদের কয়েকজন ছদ্দনাম ধারন করে এই এলাকায় বসবাস করিতেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বে বরিশাল এলাকার এক স্থায়ী বাসিন্দা বর্তমানে অত্র এলাকায় বসবাসরত ব্যাক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুলিশ যদি এই বিষয়টির ব্যাপারে নজর না দেয় তবে মারামারিসহ খুন হওয়ার আশঙ্খা আছে।এ বিষয়ে বাশতৈল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়র্ডের মেম্বার মো.ছাদেক হোসেন বলেন, আসামী মাছুদের পিতা মিন্টু ওরফে ভূট্টো মিয়া আমার কাছে এসেছিল। আমার ছেলেসহ কয়েকজন মালেকে ও তার স্ত্রী,ছেলেকে ছেলেকে মারপিট করেছে কি করা যায়। উত্তরে মেম্বার বলেন আগে তারা সুস্থ হোক তারপর মিমাংসা করে দিব।আজ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় রান্নাঘর ভাঙ্গা টয়লেটের দরজা ভাঙ্গা আলমারীর ড্রয়ারের তালা ভাঙ্গাসহ রক্তমাখা গেঞ্জি, রক্তমাখা গাছের ডাল, রক্তমাখা বাঁশের লাঠি আলামত পাওয়া দেখা গেল। আসামীদের বাড়ির ঘরে তালা দেখা যায়। তাদের বিষয়ে এলাকাবাসীদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন ঘটনার দিন থেকে দিনের বেলায় তারা বাড়িতে থাকেনা অনেক রাত্রিতে বাড়ি আসে।এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, ঘটনার বিষয়ে কোর্ট থেকে এখনও কোন মামলার নথি আসেনি। আসলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করব।