ঝুঁকছেন ফুটপাতের দিকে কাউনিয়ায় শীতের তীব্রতায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
31, December, 2022, 5:25:48:PM
সারওয়ার আলম মুকুল,
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
গত কয়েক দিন ধরে রংপুরের কাউনিয়ায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। কমছে তাপমাত্রা। দিনের বেলায় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকলেও বিকাল থেকে কমতে শুরু করে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে, চলবে টানা কয়েকদিন। ফলে শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষ সহ নি¤œমধ্যেবিত্তরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে শহরের তাপমাত্রার চেয়ে গ্রামের তাপমাত্র কম। তিস্তা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের গ্রাম গুলেতে শিতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশী। গ্রামে বিকাল থেকে তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে শুরু হয় ঘন কুয়াশা আর রাতে মনে হয় কুশার বৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়েও দিচ্ছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত নিবারনের জন্য নি¤œ আয়ের মানুষ ছুটছেন ফুটপাত বা রাস্তার ধারের শীতের কাপড়ের দোকান গুলোতে। এই শীতে মার্কেটের দোকান গুলোতে বিক্রি না বাড়লেও ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের বিক্রি বেড়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়ছে গরম কাপড়ের দোকানেও। শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতান গুলোতে শীতবস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতে। অভিজাত দোকান গুলোতে বিক্রি কম এর কারন জানতে চাইলে তারা জানান, মানুষ আসলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। সেজন্যই মূলত বিক্রি কম। তাছারাও চলতি বছর শীতের কাপড়ের দাম একটু বেশি। পাইকারি ক্রেতারা বেশি দামে কিনছেন। বাধ্য হয়ে আমাদেরও একটু বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। এজন্য ক্রেতা কম। আয়ের সাথের ব্যায়ের সংগতি মিলাতে না পেরে মধ্যবিত্ত, নি¤œবিত্ত সহ নি¤œ আয়ের মানুষ ছুটছেন ফুটপাতের দিকে। এক সময়ে স্বল্প আয়ের মানুষের মূল ভরসা ছিল ফুটপাত। এখন অবশ্য মধ্যম আয়ের এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে ফুটপাত-ভ্যান থেকে পোশাক কিনতে দেখা যায়। ফুটপাতে শিতের কাপড় কিনতে আসা বে-সরকারী সংস্থার কর্মরত একজন জানান, নিত্যপন্যের মূল্য দ্বিগুন থেকে তিন গুন বেড়েছে কিন্তু বেতন বাড়েনি, তাই বাধ্যহয়েই ফুটপাতে শীতের কাপড় নেয়ার চেষ্টা করছি। উপস্থিত প্রায় সকলেরই একই অভিযোগ নিত্যপন্যের মূল্যেবৃদ্ধি। কাউনিয়ায় প্রতিবছর বিভিন্ন এনজিও সামাজিক সংগঠন শিত বস্ত্র বিতরণ করলেও এবছর তেমন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। গ্রামের শীতার্থ মানুষগুলো শীত বস্ত্রের দাবী জানিয়েছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব সরকার জানান চলতি বছর প্রথম পর্যায়ে ২৮২০টি কম্বল পেয়েছি যা ৬টি ইউনিয়নে ৪৭০টি করে চেয়ারম্যনদের দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবরা তা বিতরণ করেছেন। নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন জানান আশা করছি আরও কম্বল আসবে। আসলেই অসহায় দরিদ্রমানুষ গুলোর মাঝে বিতরণ করা হবে।