ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে গত(১২ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একটা করে বই পেয়েছ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। অন্য শ্রেণিতেও রয়েছে বইসংকট। জানা গেছে,বই উৎসবের পর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও সব বই না পেয়ে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীর মন খারাপ।
ঠিক মোত সব ক্লাস করতে না পরে এখন তাদের সময় কাটছে স্কুলের মাঠে ও বাড়িতে খেলা করে। সুরাইয়া জামান প্রথম শ্রেণি থেকে এবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছে। উৎসবের দিন নতুন বই আনতে স্কুলে গিয়ে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসে সে।কয়েক দিন পরে স্কুল থেকে দেওয়া হয়েছে একটা ইংরেজি বই।
একটা বই পেয়ে মন খারাপ।পরে স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,স্কুলে তাদের সব বই আসেনি। আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।এসব কথা বলেন সুরাইয়া জামানের মা সপ্না খাতুন ও পৌর এলাকার মর্জিনা বেগম।উপজেলা শিক্ষা অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান,উপজেলার মোট ৭৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ হাজারের উর্ধে তার মধ্যে তৃতীয়,চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হলেও প্রায় ৬ হাজার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর দেওয়া হয়েছে একটা করে।
সব বই না আসায় দেওয়া সম্ভব হয়নি।কোটচাঁদপুর বাজেবামদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,তীব্র শীত উপেক্ষা করে হেটে হেটে স্কুলে এসেছে দ্বিতীয় শ্রেণির শাহিন,মমিম ও সাকিল। কিন্তু একটা বই থাকায় ক্লাস না করে স্কুল মাঠে খেলাধুলা করেই সময় কাটছে তাদের।
নতুন সব বই না পাওয়ায় অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী অভিভাবককে নিয়ে আসছে স্কুলে।খুদে শিক্ষার্থী ফাহিম বলে, স্কুলের বড় ভাই বুনেরা বই পেয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো সব বই পাইনি। এ জন্য স্কুলে এসে ক্লাস করতে পারছি না।তাই আমরা স্কুল মাঠে খেলা করছি।অভিভাবক রফিকুল বলেন,গত বছর বই বিতরণে সমস্যা হলেও কিছু নতুন বই পেয়েছিল। কিন্তু এবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একটি করে বই পেয়েছি।বছরের প্রথম মাসের ১৪ দিন হয়ে গেল তবুও তারা সব বই পেল না।
নতুন বইয়ের আনন্দটা অন্য রকম। এ রকম হলে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলবে।দ্রুত এর সমাধান হাওয়া দরকার।উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন,নতুন বছরের প্রথম দিনেই আমরা বই বিতরণ করেছি। তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই দিতে পেরেছি।
কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটা করে বই দিতে পারেছি।তাদের বই এখনো আমরা হাতে পাইনি।আশা করছি, দ্রুত সব বই পেয়ে যাব।’কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশিত বরণ পাল জানান,এনসিটিবি থেকে নতুন বই সব না পাওয়ায় এমনটি হয়েছে। প্রথম শ্রেণির বাংলা ও দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি বই দেওয়া হয়েছে। কয়েক দিনের ভেতরেই এই সমস্যা কেটে যাবে।