ঝিনাইদহ মহেশপুরে ইছামতি নদী অস্তিত্ব সংকটে, খননের দাবি।
2, May, 2023, 7:29:11:PM
মোঃ আবু সুফিয়ান শান্তি
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সিমান্তবর্তি ৫ নং শ্যামকুড় ইউনিয়ানের শ্যামকুড় গ্রামের পশ্চিম দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের উত্তাল যৌবনা খরস্রোতা ইছামতি নদী জুড়ে কচুরী পানা জলকপাটের অভাবে পানি প্রবাহ না থাকায় ইছামতী নদীর করুন দশা।
এ ঐতিহ্যবাহী নদীর বিভিন্ন স্থানে এখন চর জেগে উঠেছে। অনেক স্থানে কচুরিপনা জমে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। তবে ইছামতি এখন পানির কাঙ্গাল। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে খেলছে বাচ্চারা ফুটবল। চাষাবাদ করছে কৃষক।
প্রমত্তা কুমারী পূর্ণ যৌবনা ইছামতি তীরবর্তী জনবসতির জন্য যে মাতৃ স্নেহের চাদর বিছিয়ে রেখেছিলো তা আজ রূপকথা বৈ কিছুই নয় কৃষাণ বধুর কলসি কাখে জল আহরণ কিংবা জেলেদের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ কৃষকের অর্থকারী ফসল পাট জাগ দেওয়া এবং তা থেকে সোনালী আশ এর যোগান দেওয়া ফসলের মাঠে সেচের ব্যবস্থা চিত্ত বিনোদনের জন্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা সর্বোপরি নদী পথে যাতায়াত ব্যবস্থা নদী ঘাটে বসে বরশি দিয়ে মাছ ধরা প্রকৃতির এতসব নিঃস্বার্থ উপহার সবি যেন কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে আর জনমানুষ হয়েছে কাঙ্গাল জেলে হারিয়েছে জীবিকা নির্বাহের পাথেয় কৃষাণ বধু আর জল আনতে নদীতে যায় না কলসি কাখে কৃষকের ঘরে ওঠেনা সেই সোনালী আশ কিংবা ফসলের ক্ষেতে সেচ দেওয়া হয় না নদী গর্ভ থেকে দুষ্টু বালকদের বড়শি দিয়ে মাছ ধরাও আর নেই আর পানি পথে যাতায়াত ব্যবস্থা সেতো অধরা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার
প্রধান দুইটি নদীর অন্যতম একটি ইছামতি।
এক সময় এ উপজেলায় বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া তে নৌকা যোগে চলাচলের প্রচলন ছিল। তবে প্রায় এক যুগ ধরে নদী পথে চলাচলের এ প্রচলন আর নেই। নদী দখল ও ভরাটের কারনে যৌবণ হারিয়েছে ইছামতি। নদী খনন ও নদীর জায়গা সংরক্ষণে সরকারি কোন উদ্যোগ নেই। দীর্ঘ নদীর কয়েকটি স্থানে সল্প গভীরতার কারনে পানি থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় পানি নেই। নদীর বুকে কৃষক মৌসুমী ফসলের চাষাবাদ করছে। বিশেষ করে কৃষককে ধান করতে দেখা গেছে। কৃষকের ধান ক্ষেতের সবুজ পাতা বাতাসে যেন ঢেউ খেলছে।
শ্যামকুড় গ্রামের মোঃ জসীম উদ্দীন বলেন, এক সময় ইছামতি নদীতে ব্যাপক পানি থাকতো। প্রায় এক যুগ আগে থেকে ইছামতি নদীতে পানি কমেছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে হাটু পানি থাকে। তাছাড়া বছরের অন্য সময় নদী প্রায় শুকনো থাকে।
কয়েকটি এলাকার নাম করনেও এই নদীর ভূমিকা রয়েছে। ইছামতি নদীর সাথে মহেশপুর উপজেলার মানুষের একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে। নদীর নাব্যতা সংকটের ফলে অসংখ্য মানুষের জীবন ধারন-জীবিকার পরিবর্তন এসেছে। নদী খননের মাধ্যমে ইছামতিকে বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান জানান তিনি।