সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ কাউনিয়া উপজেলার ১পৌরসভা সহ ৬টি ইউনিয়নের গ্রাম গুলোর যেদিকে তাকানো যায়-শুধু ইরি-বোরো ধানের দিগন্ত জুরে সবুজ শ্যামলিমা। গত আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও বাজার দর বেশ ভাল থাকায় এবারও কৃষকরা রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাম্পার ফলন ফলিয়ে ভাল দাম পাওয়ার আশায়।
সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি গ্রাম এখন সবুজের সমারোহ। দিগন্তজুড়ে সবুজ আর সবুজ। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা বুক বেঁধেছে। পাশাপাশি চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ভাল থাকায় এবং সার, ডিজেল, পানি, কীটনাশক সহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সহজেই সরবরাহ পাওয়ায় এবং ঔষুধের দোকন গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করায় ভাল মানের উপকরন পাওয়ায় কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। ধান গাছের তেজদীপ্ত অবস্থা দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। পশ্চিম নিজপাড়া কৃষক সমবায় সমিতির ম্যানেজার শ্রী প্রহলাদ চন্দ্র জানান, গত বছরের চেয়ে এবার আমরা অনেক বেশি বোরো ধান চাষ করেছি। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি আমরা। হলদী বাড়ি গ্রামের কৃষক আলহাজ¦ মজিবর রহমান বলেন, জমিতে সময় মতো পানি সার ও কিটনাশক দেওয়ায় ধান সবুজ হয়েছে। এবার প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র ও মাহাফুজার রহমান বলেন, ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষক যাতে লাভবান হয় সে জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা দেখা যাচ্ছে সেখানেই দ্রæত পদক্ষেপ নিচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় হাইব্রিড ২৪৯৯ ও উপশি ৫০৯৮ মোট ৭৫৯৭ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্র ধরা হলেও অর্জন হয়েছে ৭৬১০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩৫০২ মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন বলেন, ভাল ফলনের জন্য পরিমিত সার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার কোথাও মাজড়া পোকার আক্রমণ এখন পর্যন্ত দেখা দেয়নি। ফলে আমরা আশা করছি, এবার জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।