নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভায় অবস্থিত গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। গতকাল ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার এশিয়ান হাইওয়ে নামে পরিচিত ঢাকা বাইপাস সড়কের কাঞ্চনের কালাদী ও চরপাড়া এলাকায় তারা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বিআরটিসির ৩/৪টি বাসের গ্লাস ভাংচুর করে।
গ্রিন ইউনিভারর্সিটির শিক্ষার্থীদের শুক্রবার ছাড়া বিআরটিসি বাসে হাফ ভাড়া, শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে সিট বরাদ্দ, সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত হাফ ভাড়া কার্যকর, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসের হেলপারদের ভালো আচরণ, বুধবারের ঘটনায় জড়িতদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা ও আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণসহ ৬ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা জানায়, বাসের ভাড়া ও সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গত ১৭ এপ্রিল বুধবার ঢাকার কুড়িল থেকে বিআরটিসি বাসে করে গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আসার সময় বাসের হেলপার ও তাদের সহযোগীরা ২/৩ জন শিক্ষার্থীকে মারধর ও শ্লীলতাহানী করে। এ খবর ইউনিভার্সিটে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এর জের ধরে গতকাল ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আবারো দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের সামনের ঢাকা বাইপাস সড়কের কালাদী ও চরপাড়া এলাকায় শিক্ষার্থীরা আবরোধ করে। তারা বিক্ষোভ করে। এ সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ঢাকা ও ভুলতাগামী ৩/৪টি বিআরটিসির বাসের গ্লাস ভাংচুর করে। এ ঘটনায় সড়কের উভয় দিকে ৬/৭ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তাতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত জুবারের হোসেন বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মারধর ও শ্লীলতাহানীর ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তিসহ তাদের দেয়া ৬ দফা দাবী বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দাবী পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। দুপুর দুইটার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।