পার্বতীপুরে নিয়মবহির্ভূত ভাবে গভীর নলকূপের লাইসেন্স প্রদান প্রতিকার ও সহযোগীতা চেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন।
25, May, 2024, 8:39:53:PM
মোঃ আফজাল হোসেন,
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট পক্ষ পাত মুলক অনিয়ম ও অনৈতিক তদবিরের মাধ্যমে ধারাবাহিকতা লংঘন করে পূর্বের আবেদন কারীকে বাদ দিয়ে তিন শতাংশ ভূমি মালিক অ কৃষককে লাইসেন্স প্রদানের অভিযোগ দাখিল করেছে। নীতিমালার আলোকে আগের আবেদন কারী আগে অগ্রাধিকার ধারাবাহিকতা বজায় না রাখায় ও তদবির বানিজ্যের কারনে লাইসেন্স প্রাপ্তীতে প্রকৃত কৃষকগন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন । উপজেলা সেচ কমিটির অন্যতম এক সদস্য অন্তরালে থেকে নীতিমালা কে পাশ কাটিয়ে নিয়মবর্হিরভুত তার মনোনীত ব্যক্তিকে লাইসেন্স প্রাপ্তীতে সহায়তা করেছেন মর্মে ভুক্তভোগী দু কৃষক মনোয়ার হোসেন এবং ইয়ারুল হক ৩০ এর্প্রিল/২৪ লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ গ্রামের কৃষক মনোয়ার হোসেন গত ১৩/১১/২০২২ কিসমত মৌজায় জেএলনং ১৫৫ খতিয়ান নং ৯৮ দাগ নং ৪২ এ গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। অপর দিকে একই গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে মোঃ ইয়ারুল হক ১২/০১/২০২৩ তারিখে কিসমত মৌজার জেএল নং ১৫৫ খতিয়ান নং ১৩৩ দাগ নং ২২ এ লাইসেন্স গ্রহনের জন্য সেচ কমিটির নিকট আবেদন করেছিলেন। পক্ষান্তরে একই গ্রামের মৃত্যু ছহেদ আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন কিসমত মৌজায় জেএলনং ১৮২ খতিয়ান নং ৯১ দাগ নং ৪২ এ গভীর নলকূপ স্হাপন করার জন্য ০৯/০৫/২৩ তারিখে সেচ কমিটির নিকট আবেদন করেন। একই মৌজায় তিনজন কৃষক গভীর নলকূপ স্হাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করে লাইসেন্স প্রাপ্তীর জন্য আবেদন করেছেন। খাগড়াবন্দ গ্রাম হতে তিনজন কৃষক একই কিসমত মৌজায় আবেদন কারী তাই আবেদনের ধারাবাহিকতা বিবেচনায় আনা বান্চনীয় ছিল বলে অভিযোগ কারী গন মনে করেন । সেচ কমিটির অন্যতম সদস্য শিক্ষক মেহেরুল ইসলাম জানান আবেদন যাচাই-বাছাই কালে আগের আবেদন কারী কে আগে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতির নিকট লিখিত অভিযোগ কারী কৃষক ইয়ারুল হক জানান আমার আবেদনের পাঁচ মাস পরে দেলোয়ার হোসেন আবেদন করেছে এবং অবৈধ উপায়ে লাইসেন্স প্রাপ্তীর জন্য পায়তারা করছিল বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রতিকার চেয়ে আমি প্রথম দফায় ৩০/৮/২৩ নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের নিকট আবেদন করেছিলাম যার ডকেট নং ৮৭২। অপর অভিযোগ কারী মনোয়ার হোসেন বলেন আমার লাইসেন্স প্রাপ্তীর আবেদনের ৭ মাস পরে দেলোয়ার হোসেন তিন শতাংশ জমি আমার নিকট আত্মীয়র কাছ থেকে ক্রয় করে আমার একই দাগে (৪২) লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করেছে যা শুধু মাত্র আমাকে হয়রানির সামিল । অভিযোগ কারী কৃষক মনোয়ার হোসেন এবং ইয়ারুল হক জানান আগের আবেদন কারী আগে অগ্রাধীকার নীতি অবলম্বন না করায় তিন শতাংশ ভূমি মালিক দেলোয়ার হোসেন কে গত ০৮ এপ্রিল /২৪ লাইসেন্স প্রদান অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃখজনক এবং রহস্যময়। আমাদের ১১/১২ একর করে কৃষি চাষাবাদ যোগ্য জমি থাকা সত্বেও আগে আবেদন করে লাইসেন্স পেলাম না। সেচ কমিটির সদস্য মেহেরুল প্রফেসারের পক্ষ পাত মুলক অনৈতিক তদবিরে কারনেই দেলোয়ার হোসেন কে অবৈধ সুবিধা আদায়ে তিনি অগ্রনী ভুমিকা রেখেছেন। ওই সদস্যর কারণেই আমরা প্রকৃত কৃষক হওয়া সত্বেও লাইসেন্স প্রাপ্তীর শর্তাবলী পুরন করার পরেও বি ত হয়েছি। তাই লাইসেন্সের আবেদনের ক্রমানুসারে আগের টা আগে এবং জমির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি গঠন সেই সঙ্গে দেলোয়ার হোসেনের লাইসেন্স স্থগিত করার জন্য আমরা যৌথ আবেদন করেছি। প্রয়োজনে নিয়মবহির্ভূত ভাবে তিন শতাংশ জমি মালিক কে লাইসেন্স প্রদানের প্রক্রিয়াগত বৈধতা নিয়ে আদালতের আশ্রয় নিব।
একই মৌজায় তিনজন কৃষকের গভীর নলকূপ স্হাপন ও লাইসেন্স প্রাপ্তীর ত্রিমুখী প্রতিযোগীতায় উপজেলা সেচ কমিটি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আগেরটা আগে এবং জমির পরিমাণ বিবেচনা নিয়ে সঠিক নীতি মালার আলোকে লাইসেন্স প্রদান সমাজ সচেতন কৃষক মহলের প্রত্যাশা।