স্টাফ রিপোর্টার
আয়-উপার্জনের দৃশ্যমান কোনো উৎস ছিল না। বাবা বসবাস করতেন ইজারা নেওয়া জমিতে। তবে পুত্রদের অনেক গুণ আছে দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসার জোরে কোটি কোটি টাকার মালিক তারা। রয়েছে অনেক বাড়ি যেগুলো আসলে দখল করা। এক সময় রিকশাভাড়াও জুটত না, এখন চড়েন বিলাসবহুল একাধিক গাড়িতে। আগে কথা বলার আগে সাত-পাঁচ ভাবতেন, এখন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস হয় না কারও। পোষা ক্যাডার বাহিনীই তাদের হয়ে সব কিছু করে। তাদের ভয়ে তটস্থ গাজীপুর-জয়দেবপুরের মানুষজন। জমি দখলের একটি মামলায় ৩ ভাই একত্রে জেলও খেটেছেন,
জামিন পেয়েই আবারও বিভিন্ন অসহায় মানুষের জমি দখল করাই তাদের পেশা,
এমনকি পুলিশও রেহাই পায়নি তাদের রোষানল থেকে,
বড় ভাই আওয়ামিলীগ নেতা আইয়ুব রানা, যার পেশাই হলো মানুষের জমি দখল করে বিক্রি বানিজ্য, অসহায় মানুষ, সাংবাদিক এমনকি হিন্দুদের জমিও দখলের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে, জমি দখলের মামলায় জেলও খেটেছেন ভাইদের নিয়ে,
মেঝো ভাই আলমগীর হোসেন যুবলীগ নেতা, যার পেশা জমি দখল, মাদক সেবন, অটোস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, এলাকায় এহেন কোন বিচার-আচার নেই যেখান থেকে আলমগীর ভাগ না নিয়ে ছাড়েন না, জমি দখলের মামলায় তিনিও অন্য ভাইদের সাথে ছিলেন জেলে,
ছোট ভাই মাসুদ রানা এরশাদ,
অটোস্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, ভূমি দস্যুতা, একাধিক নারী নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপের সময় পুলিশের হাতে ধরা পরা, স্ত্রী কতৃক নির্যাতন মামলার আসামী হয়ে জেলে যাওয়া, মহিলা লীগের অনুষ্ঠানে ঝামেলা করে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া,
হত্যা, মাদক, চাঁদাবাজি, অস্ত্র, নারী নির্যাতন সহ ২ ডজন মামলার আসামী এই এরশাদ,
মূলত ভাইয়া বাহিনীর মূল হোতাই এখন এরশাদ,
এরশাদ তার অনুসারীদের দিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ একাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত,
তার হাতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, কেউ হয়েছেন লাঞ্চিত,
গাজীপুর শহরে সকল ধরনের অপরাধ এই ভাইয়া বাহিনী দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় বলে জানা যায়, অস্ত্র, মাদক, চোরাই গাড়ির ব্যাবসা সহ একাধিক মামলার আসামী এই ভাইয়া বাহিনীর কারনে মেট্রো থানা এরিয়াতে আওয়ামিলীগের অবস্থা একেবারেই নাজুক, এই ভাইয়া বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায় না,
আওয়ামিলীগের নেতাকর্মীরা বলেন
এই ভাইয়া বাহিনীর কারনে তারা শহরে একটা ব্যনার ফ্যাস্টুন লাগাতে পারেন না,যোগ্যতা থাকা স্বত্বেও তাদের ভয়ে কেউ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগে পদপ্রার্থী হতে পেরেন না, দলীয় কার্যালয়ের পাশে বাড়ি হওয়াতে নগরীর অন্য যে কোন এলাকার নেতাকর্মীদের ভয় ভীতি দেখিয়ে নিজেদের আয়ত্তে রাখতে চান তারা, নেতাকর্মীরা বলেন এভাবে চলতে থাকলে একটি শহর থেকে আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ- সংগঠনের নেতাকর্মীরা সংগঠন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, পাশাপাশি দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংক নষ্ট হবে বলে তারা মনে করেন, দলীয় হাইকমান্ডেকে তারা দাবী জানিয়েছেন এই ভাইয়া বাহিনীকে এখনই থামানো না গেলে দলের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে হবে।
|