সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ রংপুরের কাউনিয়ার মানুষ। তাই গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে তিস্তা নদীতে গোসল করছে একদল শিশু-কিশোর। সরেজমিনে তিস্তা নদী পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে মৌসুমি মাঝিরা নদী থেকে মাছ ধরার নৌকাগুলো নদীর তীরে ভিড়লে কিচির-মিচির শব্দে চারপাশ মাতিয়ে রাখে গাঙচিলের দল। নদীতে গা ভাসিয়ে পাখা মেলে পানির ঝাপটা ছিটিয়ে যখন গাঙচিল খেলে বেড়ায় নদীর বুকে, তখন যেন এক নয়নাভিরাম দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সেই সাথে গরম থেকে শস্তি পেতে এক ঝাক শিশু কিশোর নদীতে নেমে করছে জলকেলি। বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রচন্ড দাবদাহে দিনে-রাতে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছিল কাউনিয়ার মানুষ। একে তো দেখা নেই বৃষ্টির! তার মধ্যে বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা কমে যাওয়ায় গরমও যেন চরমে। কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। যদিও দু-একফোটা বৃষ্টি পড়ে এরপর শুরু হয় আরও তীব্র গরম। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। কাউনিয়া মেডিকেলের কনসালটেন্ড ডাঃ খন্দকার মিিমনুল ইসলাম জানান, আজব এ আবহাওয়ার কারণে জ্বর সর্দি কাশি ইত্যাদি রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে আসে। বয়োবৃদ্ধদের এ অবস্থায় সতর্ক থাকতে হবে। যাদের ডায়াবেটিক, রক্তচাপ, হৃদরোগ রয়েছে তারা আরও সাবধানে থাকবেন। তিসতা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অদ্যাপক মুশফিকুর রহমান বলেন, আবহাওয়ার এমন বিপরীতমুখী অবস্থান অতীতে দেখিনি। এটা জলবায়ু বৈপরিত্যের প্রভাব। দিনে প্রচন্ড গরম অথচ রাতে কুয়াশা পড়ছে। তিসতা ডিগ্রী কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শানাজ শাহ বলেন, বৃক্ষ নিধন, বেপরোয়া ইট ভাটা স্থাপন, পরিবেশ দূষণ, পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়াসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার এমন রূপ দেখা যেতে পারে। কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, রাতদিনের তাপমাত্রার তারতম্যে কৃষিতে প্রভাব পড়ে। আমন ফসলে রোগ বালাই দেখা দিতে পারে। তবে আমরা সতর্ক আছি।