সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়ায় (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ আগাম আলুর আতুঁড়ঘর খ্যাত রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় ৬০ থেকে ৭০ দিনে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভের আশায় তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামে আলু রোপনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আগাম আলুতে যে পরিমান লাখ হয় তা অন্য কোন ফসলে এত লাভের মুখ দেখতে পায় না। সরেজমিনে উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে শীতকালীন ফসল আগাম আলু রোপনে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কথিত আছে রংপুর জেলায় প্রথম উত্তোলন হয় কাউনিয়া এলাকায়। আগাম জাতের আলু চাষ করে বাজিমাতের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। তাই আলু চাষে ধুম পড়েছে। এ ফসলকে ভাগ্য বদলের ফসলও বলা হয়। কৃষকরা বলছেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম আলু চাষে বাজিমাত করতে চান তারা। বর্তমানে আলুর ব্যাপক চাহিদা ও দাম বেশী থাকায় গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আগাম আলুর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। কৃষক সোহরাব হোসেন মুদী জানান, অধিক লাভের আশায় তিস্তার চরে আগাম জাতের আলু চাষ করেছি। নভেম্বর মাস থেকে আলু রোপণ শুরু হলেও এবার অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ৫ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। অর্জন হয়েছে প্রায় ১০১০ হেক্টর। গত বছরের তুলনা প্রায় ৮০ হেক্টর জমি বেশি। গত বছর লাভের মুখ দেখায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা বেশি হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর চাহিদা বেশি থাকে। কৃষকরা বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হন। কৃষি কর্মকর্তা জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে ভাগ্য পরিবর্তনের আগাম আলু বপনে চরাঞ্চলে কৃষকরা প্রাণচঞ্চল মুখর হয়ে উঠেছে। কৃষকদের ভাগ্য বদলের ফসলে পরিণত হয়েছে আলু। আগাম আমন ধানে ভাল ফলন পেয়ে কৃষকরা আগাম আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা ভাল ফলন ও দাম পেয়ে লাভবান হবেন বলে আশা করছি।