মসজিদের বকেয়া টাকা দেওয়া কে কেন্দ্র করে সমাজপতিরা বিরামপুরের পল্লীতে ১টি পরিবারকে এক ঘরে করে নির্যাতনের অভিযোগ
21, January, 2023, 5:57:25:PM
মোঃ আফজাল হোসেন
ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি ,
মসজিদের বকেয়া টাকা দেওয়া কে কেন্দ্র করে সমাজপতিরা বিরামপুরের পল্লীতে ১টি পরিবারকে এক ঘরে করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত কোরবানীতে লুৎফর রহমান দশে গোস্ত দেয়ার জন্য গেলে গোস্ত না নিয়ে ফিরিযে় দেন সমাজপতিরা। এরপর থেকে সমাজপতিরা তাকে এক ঘরে করে দিলে পরিবারটির উপর চলে নানাবিধ অত্যাচার ও নির্যাতন। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সীমান্ত ঘেষা ইউনিয়ন বিনাইলের মৌগ্রামে।
অভিযোগ কারীর স্ত্রী মৌলুদা জানান,আমরা বছরে দুই বারে মসজিদে মোটে এক হাজার টাকা দেই। আমার স্বামী যখন গত কোরবানীর পূর্বের জুম্মায় ১ হাজার টাকা জমা দিলে তাকে বলা হয়, আপনার আরো বকেয়া রয়েছে ৭ শত টাকা। আমার স্বামী বকেয়া ৭ শত টাকা পরে দিতে চাইলে মসজিদ কমিটির লোকজন বলে,এই মুহূর্তেই বাকি টাকা দিতে হবে। ওই দিনেই টাকা না দেওয়ায় কুরবানীর দিন আমার স্বামী দশে গোস্ত দিতে গেলে গোস্ত না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয় তাকে। এরপর থেকে তারা আমাদেরকে এক ঘরে করে দিয়ে নানান অত্যাচার ও নির্যাতন করছে। অন্য মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে সেখানেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে।
হঠাৎ একদিন মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ফিজারের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন ছেলে আমার ক্ষেতের বেড়া ভেঙ্গে দিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।মসজিদ কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল সহ আরো দুজন আমার তিনটি জমিতে দুই সিজন ফসল লাগাতে দেয়নি। আশেপাশের তিন গ্রামের কোন কৃষি শ্রমিক নিতে গেলে সেই শ্রমিকদেরকেও আমাদের জমিতে কাজ করতে বাধা প্রদান করছে। ফলে ওই ৪২ শতক জমি এখনো অনাবাদি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চলতি বোরো আবাদও নাকি করতে দিবে না তারা।
শুধু তাই নয়, এই সমাজপতিদের একজন আবুল হোসেন।তিনি আমাদেরকে মিথ্যে মামলা দিয়ে পাঁচ বছর যাবত হয়রানি করছে। এমনকি আমরা যদি এলাকার কোনো ভ্যানে উঠি ওই ভ্যানওয়ালাকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হয়।ফলে দরিদ্্র ওই ভ্যানওয়ালারা তাদের ভয়ে আর আমাদেরকে তাদের ভ্যানে নিতে চায় না। একদিন আমার নাতি খুব অসুস্থ হলে এখানকার এনামুল-হক নামে এক অটোচালককে নিয়ে ফুলবাড়ীতে যাই। পরবর্তীতে এলাকার সমাজপতিরা ওই দরিদ্র অটোচালককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করে।এই অবস্থায় আমাদেরও চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছ। আমার স্বামী অসুস্থ। দুই ছেলে,দুজনেই বাইরে থাকে। আমার এক নাতনি স্কুলে যাতায়াত করে। তারও চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মোদ্দা কথা,তাদের অত্যাচারে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। আমরা জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। বিষয়গুলি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোন সূরাহা হয়নি।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলার় বিনাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাদশার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার কোন মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।