সেতু নির্মাণের দাবী বাঁশের সাঁকোয় ৮ গ্রাামের মানুষের যাতায়াত! কাউনিয়ায় জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রæতি নিরবে কাঁদে
3, May, 2023, 7:58:29:PM
সারওয়ার আলম মুকুল,
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
কাউনিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রীসহ জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রæতি নিরবে কাঁদে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোয় ৮ গ্রাামের মানুষের যাতায়াত! স্বাধীনতার ৫২বছরেও এই এলাকায় একটি পাকা সেতু ণির্মান হয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহীদবাগ ইউনিয়নের প্রাননাথ চর গ্রামে খলিলের ঘাট এলাকায় মরা তিস্তা নদীর উপর স্বেচ্ছা শ্রমে নির্মিত নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ ৮গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে। ভোটের আগেবালিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ হান্নান খলিলের ঘাটে পাকা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও আজও নির্মাণ হয়নি সেতুটি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলছে যাতায়াত। শষ্য ভান্ডার খ্যাত এলাকার কৃষি পণ্য পরিবহনে কৃষকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। ফসলের ন্যায মূল্যে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। চীনের দুঃখ হোয়াং হো নদী আর এ কাউনিয়ায় চরাঞ্চলের ৮ গ্রামের মানুষের দুঃখ হচ্ছে মরা তিস্তার শাখা নদীটি। হারাগাছ ইউনিয়ন ও শহীদবাগ ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে তিস্তা রেল ও সড়ক সেতু পয়েন্টে গিয়ে মিলিত হয়েছে তিস্তা সতী নদীটি। বর্ষা মৌসুমে নৌকা আর বাঁশের সাঁকোই এলাকাবাসীর ভরসা, আর শুকনা মৌসুমে নদীর বুক চিরে পায়ে হেটে চলাচল করে এলাকার মানুষ। হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে খলিলের ঘাট নামক স্থানে পাকা সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবী এলাকাবাসীর। খলিলের ঘাট পাকা সেতু না থাকায় নাজিরদহ চর, পল্লীমারী, চাংরা, খলাইঘাট, ঠিকানার হাট, পাগলার হাট, দয়াল বাজার, বুদ্ধির বাজার, মাষ্টার বাজার, চরপ্রাননাথ ও সাব্দী গ্রামের স্কুল কলেজ মাদ্রাসা গামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্থ লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন হাট বাজারে যাতায়ত করে। ওই গ্রাম গুলো শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এ গ্রাম গুলোতে ব্যাপক আলু, ভুট্টা, ধান, পাট, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ,বাদাম, খিরা, শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব কৃষি পণ্য হাট বাজারে বিক্রির জন্য নিতে হলে প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে তকিপল হাট, ৭ কিলোমিটার ঘুরে খানসামা হাট ও ১২ কিলোমিটার ঘুরে মীরবাগ হাটে যেতে হয়। অথচ খলিলের ঘাটে পাকা সেতু নির্মাণ হলে অর্ধেক পথ কমে আসবে। সেই সাথে এলাকার কৃষকরা পাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যে। ওই এলাকার মানুষ নৌকায় পারাপারে দূর্ভোগ কমাতে গত বছর বর্ষা মৌসুমে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে বাঁশ উত্তোলন করে বাশেঁর সাকো নির্মাণ করে চলাচল করছে। সাঁকোটির এখন নরবড়ে অবস্থা। চাংড়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মঈনুল ইসলাম ও কপিল উদ্দিন জানায়, এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে এ কথা বহুদিন ধরে শুনে আসছি, কিন্তু সেতু নির্মাণের কোন আলামত দৃর্শ্যমান নয়। এ ছাড়াও হারাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমান্তে সেতু নির্মাণের স্থানটি হওয়ায় দুই চেয়ারম্যানের রশি টানাটানিতে সেতু নির্মাণের উদ্দ্যোগ বার বার ভেস্তে যাচ্ছে কিনা তা তাদের জানা নেই। হারাগাছ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ বলেন শহীদবাগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আঃ হান্নান সাহেবের সাথে সমন্বয় করে সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা পঠানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে। শহীদবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আঃ হান্নান জানান, সেতু নির্মানের ব্যাপারে উপজেলা সমন্বয় মিটিংসহ মন্ত্রীমহদয়ের সাথে কথা বলেছি, আশা করছি কাজ হবে। উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জনান, মন্ত্রী মহদয়ের সাথে কথা বলে খলিলের ঘাটে প্রায় ৯কোটি টাকা ব্যায়ে ৯০ মিটার সেতু নির্মানের প্রস্তাবনা এলজিইডি সদর দপ্তরে তিনবার প্রেরন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ হবে। এলাকার কৃষকের কথা বিবচেনা করে খলিলের ঘাটে পাকা সেতু দ্রæত ণির্মানের দাবী এলাকাবাসীর।